-
এই প্রথম করোনায় মৃত্যুশূন্য দেশ
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ মারা যায়নি। দেশে মহামারি শুরুর পর থেকে গত দেড় বছরের বেশি সময় পর এই প্রথম মৃত্যুশূন্য দিন কাটাল বাংলাদেশ।
এদিকে একই সময়ে নতুন করে আরও ১৭৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯ জন। দেশে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ২৭ হাজার ৯৪৬ জন।
শনিবার (২০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিফ কোভিড ইউনিট) অধ্যাপক ডা. মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যান সাতজন। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হয় ২৫৩ জনের দেহে।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ১৫ হাজার ১০৭ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯০ জন। মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬ জন।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথমবারের মতো মৃত্যের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছে আরও ৭ হাজার ৪৬১ জন। অন্যদিকে শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ১২০ জন। এর আগে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গিয়েছিল ৭ হাজার ৫২৮ জন। অন্যদিকে শনাক্ত হয়েছিল ৬ লাখ ১ হাজার ১০০ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৯ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৫৫ হাজার ২১৬ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৩ কোটি ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮০ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৪ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৮ জনের।
-
ওমিক্রন আতঙ্কে বিধিনিষেধের কথা ভাবছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ
বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চলাফেরায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। যে কোনো জনসমাগম এড়াতে বিধিনিষেধ জারি করেছে জার্মান সরকার।
সংক্রমণ কমাতে ঘরে থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে পর্তুগাল। অন্যদিকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৫০ কোটি কোভিড টেস্ট কিট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' - সিডিসি জানায়, গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তদের ৭৩ দশমিক ২ শতাংশের দেহেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। যেখানে ডিসেম্বরের শুরুতে মোট আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের শিকার ছিলেন ১ শতাংশেরও কম।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বড় দিনের আগে শঙ্কিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশগুলো নিচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও নতুন এই ধরনের ছড়িয়ে পড়া রোধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন।
বাইডেনের পদক্ষেপের মধ্যে প্রথমে রয়েছে ৫০ কোটি কোভিড টেস্ট কিট ক্রয়ের বিষয়টি। এসব কিট পাওয়া যাবে বিনামূল্যে, যা দেশটির সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকযোগে পৌঁছে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ১ হাজার সামরিক চিকিৎসাকর্মীকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা বাইডেন প্রশাসনের। হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হবে আরও বেশি টিকা। তবে এখনো পরিকল্পনায় নেই লকডাউনের মতো কোনো বিধিনিষেধ।
ইউরোপের দেশগুলোয় দ্রুতই দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। তাই বড়দিনের আগে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টর ছড়িয়ে পড়া থামাতে জার্মানিতে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরাও ১০ জনের বেশি জড়ো হতে পারবেন না কোথাও।
বড়দিনকে সামনে রেখে জনসাধারণের চলাচল এবং জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নৈশ ক্লাব ও বার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল সরকার। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশটির প্রায় ৫০ শতাংশ নতুন রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
এদিকে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়লেও আপাতত লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কোনো পরিকল্পনা ব্রিটিশ সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
-
দেশে করোনায় একলাফে তিনগুণ মৃত্যু বাড়ল
দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের চেয়ে তিনগুণ। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১২৩ জনে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও ৩ হাজার ৩৫৯ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৬৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ২৭ হাজার ৯২০ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩০২ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ জন। এর আগে, বুধবার (১২ জানুয়ারি) করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৯১৬ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ৩২ জন। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৪৮০ জন, যা করোনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গিয়েছিল ৭ হাজার ৮৪৭ জন। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৬৮ জন। বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ কোটি ৭৩ লাখ ১৯ হাজার১৮৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৪ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৬ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ৫৮৪ জন।
-
দেশে করোনা শনাক্ত এক লাফে অনেক বাড়ল, মৃত্যুও *ঊর্ধ্বমুখী
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জনের। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও ৬ হাজার ৬৭৬ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ৩১ হাজার ৯৮০ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪২৭ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ জন।
এর আগে, রোববার (১৬ জানুয়ারি) করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ২২২ জন।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৬৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩৭ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৬ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৮১৫ জন।
-
1 Attachment(s)
করোনার নতুন আরেক উপসর্গ চর্মরোগ[ATTACH]16579[/ATTACH]
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে যখন আমরা সবাই চিন্তিত তখনই করোনার নতুন উপসর্গের কথা শোনালো ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজি। সমীক্ষা বলছে, করোনার যেসব উপসর্গের কথা আমরা জানি তার সঙ্গে নতুন আরেকটি উপসর্গ এবার যোগ হলো স্কিন প্রবলেম। করোনার উপসর্গের মধ্যে যেগুলো উল্লেখযোগ্য তাহলো সর্দি লাগা, জ্বর, গলাব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, শরীরের জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শরীর দুর্বল অনুভব হওয়া ইত্যাদি। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজি এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, ৮.৮ শতাংশ কোভিড রোগী এখন ত্বকের কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সেখানে ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে পাঁচ ধরনের র*্যাশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনা রোগীরা সবচেয়ে বেশি যে ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাহলো পায়ের আঙুল ফুলে লাল বা বেগুনি রঙ ধারন করা। আক্রান্ত এসব জায়গায় চুলকানির সমস্যা হয় এবং হাঁটাচলায় কষ্ট হয়। যদিও এ সমস্যা ঠান্ডায় দেখা যায় তবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে যেকোনো সময়েই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ রোগকে কোভিড ডিজিস বলে আখ্যায়িত করেছে। করোনায় আরেকটি যে ত্বকের সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাহলো এগজিমা। এ ধরনের সমস্যায় ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকে র*্যাশ, প্রদাহ, চামড়া ওঠতে থাকে যা গলা, বুক ও হাতের বিভিন্ন অংশে বেশি হয়ে থাকে। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও ত্বকের এ ধরনের সমস্যা রয়ে যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে। ফলে বিশেষজ্ঞদের এ বিষয়টি নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলছে।
করোনায় আরও এক ধরনের যে চর্মরোগ দেখা যাচ্ছে তা হলো হাইভস। এ ধরনের চর্মরোগে আপনার সারা শরীরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে র*্যাশে ভরে যাবে। হাত ও পায়ে সাধারণত লাল লাল চাকা ভাব দেখা দেয়। প্রায় দুই সপ্তাহের মতো স্থায়ী এ র*্যাশকে নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ উপসর্গটি করোনা আক্রান্তের শুরুর দিকের একটি লক্ষণ।
-
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু প্রায় অর্ধেক কমল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের মৃত্যুর চেয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৪ জনে।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু প্রায় অর্ধেক কমল। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে আরও ২ হাজার ১৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে করে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৩০৪ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩২ জন।
এর আগে, শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশে করোনা ভাইরাসে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫৮৪ জন। এদিকে, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫০ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৮ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ৯২ হাজার ৯২৮ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৩১ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ২৮ লাখ এক হাজার ৩২৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ২৬২ জনের।
-
করোনায় আরেকটি মৃত্যুহীন দিন, শনাক্ত ৬৫
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি। এর আগে শুক্রবারও (২৫ মার্চ) দেশে করোনায় কেউ মারা যাননি। এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১৮ জনের। শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৬৫ জনের দেহে। এর আগে শুক্রবার করোনা শনাক্ত হয় ১০২ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ২৪৯ জনে।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ০৩ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৮৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩১ জন। এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮২০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪১ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার ১৬০ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬১ লাখ ৪২ হাজার ৯৩০ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৬ লাখ ৮৯০ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ১৮৯ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৮৯০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৮৮৫ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৯৮ লাখ ২ হাজার ২৫৭ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৬ জনের।
-
টানা চার দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য বাংলাদেশ
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। এর আগে গত শনিবার (২৬ মার্চ), শুক্রবার (২৫ মার্চ) ও বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দেশে করোনায় কেউ মারা যাননি। ফলে টানা চার দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দেখল বাংলাদেশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১৮ জনের। রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৪৩ জনের দেহে। এর আগে শনিবার করোনা শনাক্ত হয় ৬৫ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ জনে।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৯৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর আগে শনিবার শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৭৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৪ জন। এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, রোববার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪১ কোটি ৫৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০৩ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮১ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৩৬ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৪২৫ জনের। আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ২৭০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ৩৪ জনের।
-
একদিনে আরও ৪ হাজার প্রাণ কেড়ে নিল করোনা
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিছুদিন আগেও ডেলটা, ওমিক্রন ধরনের কারণে নিত্যদিন করোনার ভীতিকর অবস্থা দেখতে হয়েছিল বিশ্ববাসীকে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪২৫ জন। এ সময় মারা গেছেন আরও ৪ হাজার ২১১ জন। এর আগের দিন বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯৮ জন। এ সময় মারা যান ৪ হাজার ২৬ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪২ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৫৯৮ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৫১৭ জন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৭২২ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৪৪৫ জনের।
-
1 Attachment(s)
ওমিক্রনের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক করোনার নতুন রূপ এক্সই!
[ATTACH=CONFIG]17297[/ATTACH]
ডেলটাক্রন, ওমিক্রন, নিওকোভের পর এবার সন্ধান মিলল করোনাভাইরাসের নতুন রূপ এক্সই’র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, ওমিক্রন রূপের বিএ.১ এবং বিএ.২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই পরিব্যক্ত ‘এক্সই’ রূপটির উৎপত্তি। গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে এই ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৬০০টি এক্সই সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা গেছে। তবে সংক্রমণ ক্ষমতা প্রবল হলেও করোনাভাইরাসের নতুন রূপটির মারণক্ষমতা কম বলেই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অনুমান। এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতিটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।আমেরিকায় সাম্প্রতিক সংক্রমণের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাসটি দায়ী। সম্প্রতি হংকংয়ে শিশুদের উপরে করা একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য রূপের তুলনায় তো বটেই, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং প্যারাইন ফ্লুয়েঞ্জার চেয়েও বেশি গুরুতর সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম বিএ.২ উপপ্রজাতিটি। তার আগে পাওয়া ওমিক্রন রূপের বিএ.১ উপপ্রজাতিটিও যথেষ্ট সংক্রামক ছিল।