-
৩ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/973292476.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মানে কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ওপর ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়বে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। প্রতিটি সূচকেরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে; তবে, মার্কিন ISM সূচক সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশ করা হবে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক। তাই, সোমবার অত্যন্ত অস্থির ট্রেডিং দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে, সোমবারের জন্য তেমন কোনো বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, উইকেন্ডে ঘটে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মার্কেটে শক্তিশালী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। শনিবার রাতে, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই দুই নেতা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। আলোচনায় উভয় দেশের প্রধানের মধ্যে মতোবিরোধ সৃষ্টি হয় এবং তারা যে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন, সেটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। জেলেনস্কি হতাশ হয়ে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন, এবং ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনের জন্য সকল প্রকার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা মনে করি যে মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকেই, অথবা সোমবার এশিয়ান সেশনে ফরেক্স মার্কেটে এই ঘটনাটি প্রভাব ফেলতে পারে।
উপসংহার: সামগ্রিকভাবে, সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ বেশিরভাগ বিষয়ই নিম্নমুখী প্রবণতার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, মার্কেটে সেশন শুরু হওয়ার সময় ট্রেডারদের সম্ভাব্য গ্যাপ এবং এশিয়ান সেশনের উচ্চ অস্থিরতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। দৈনিক ট্রেডিংয়ের পুরোটা সময় জুড়ে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যার ফলে সোমবার কিছুটা অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, ইউরো এবং পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/3QH8ufa
-
৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/990983561.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের বেকারত্বের হার প্রকাশ করা হবে। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হারের মতো ট্রেডারদের ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলে না, তাই সম্ভাব্যভাবে ট্রেডাররা এটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, আজ জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: যদিও মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন একটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিবৃতি দেবেন, যা সন্ধ্যার দিকে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গত পরশু, হোয়াইট হাউসে ঘটে যাওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ডলারের তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। পরে, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান করা বন্ধ করবে এবং চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করবে। এই পরিস্থিতির আলোকে, যদি মার্কিন ডলার আজ থেকে পুনরায় শক্তিশালী হতে শুরু করে, তবে এটি আশ্চর্যের কিছু হবে না। তবে, ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত নীতিগুলোর কারণে ট্রেডাররা ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতে পারেন। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগপ্রবণ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ। ইউরো, পাউন্ড এবং ডলারের ক্ষেত্রে শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ট্রেডাররা এই সিদ্ধান্তগুলোকে কীভাবে ব্যাখ্যা করে সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সৃষ্ট মতবিরোধ মার্কেটে ডলার বিক্রির সরাসরি কারণ ছিল বলে মনে হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/41DIqrH
-
বোনাসের কোন খবর নাই কেন?????
-
৫ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1027212449.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ইউরোজোনে সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ISM সূচক। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শ্রম বাজার পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়। তবে, এই প্রতিবেদনটি সাধারণত নন-ফার্ম পেরোলস (NFP) প্রতিবেদনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা ট্রেডারদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। যাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনকে ট্রেডাররা বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে না, কারণ তারা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তৃতার ওপর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ হু পিলের বক্তৃতা রয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে উভয় কর্মকর্তাই মুদ্রানীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি ও জিডিপি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। তাদের বক্তব্য ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে; তবে বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে মার্কিন ডলার এবং মার্কিন স্টক বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প যত বেশি বক্তব্য দিচ্ছেন, ডলার তত বেশি দুর্বল হচ্ছে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্য অস্থিরতার সম্মুখীন হতে পারে, কারণ বর্তমানে আবেগপ্রবণভাবে ট্রেডিং করা হচ্ছে এবং ট্রাম্প এর প্রধান কারণ। ইউরো, পাউন্ড, এবং ডলারের জন্য মূল বিষয় শুধু ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নয়, বরং ট্রেডাররা কীভাবে সেগুলো ব্যাখ্যা করছে। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তগুলোকে নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করছে।
Read more: https://ifxpr.com/4bpbO8p
-
৬ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/586020973.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এই সপ্তাহে ইতোমধ্যেই প্রচুর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা ইউরো, পাউন্ড বা ডলারের উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করেনি। মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে, যা মূলত ট্রেডারদের আতঙ্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন বৈদেশিক নীতির সাথে সম্পর্কিত আবেগপ্রবণ প্রত্যাশার ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে, তবে এটি সম্ভবত একটি স্বল্পমেয়াদী কারেকশন হবে, যা সামগ্রিক শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের মূল ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠক; তবে, এটি বাজার পরিস্থিতির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইসিবি আবারও মূল সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা তাত্ত্বিকভাবে ইউরোর জন্য নেতিবাচক হওয়া উচিত। তবে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়গুলো বেশি প্রভাব ফেলছে। যদিও ইসিবির ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা বেশ স্পষ্ট, তবুও কারেন্সি মার্কেটে ট্রাম্পের প্রভাব অনেক বেশি দৃশ্যমান। ফলস্বরূপ, আজ মার্কিন ডলার কিছুটা শক্তিশালী হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্টে কোন যৌক্তিক ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা কতদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের কারণে ডলার বিক্রি করতে থাকবে, তা এখনো অনিশ্চিত। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে আবেগপ্রবণ হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং এই আবেগের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্য। ইউরো, পাউন্ড এবং ডলারের জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মূল বিষয় নয়, বরং ট্রেডাররা কীভাবে সেগুলো ব্যাখ্যা করছে সেটাই মূল আলোচ্য বিষয়। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডাররা এসব সিদ্ধান্তকে নেতিবাচকভাবে দেখছে।
Read more: https://ifxpr.com/3DnaAhl
-
মার্কিন ইতিহাসেr প্রথম হোয়াইট হাউস ডিজিটাল অ্যাসেট সামিট!
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1809921262.jpg[/IMG]
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক, যিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কৌশলগত ক্রিপ্টোকারেন্সি রিজার্ভ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন, যা এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। তবে, এই পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র বিটকয়েনভিত্তিক হবে না—এর পাশাপাশি বিকল্প টোকেনও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। লুটনিক উল্লেখ করেছেন যে ট্রাম্প একটি বিটকয়েন রিজার্ভ গঠন গুরুত্ব স্বীকার করেন, তবে ৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য হোয়াইট হাউস ডিজিটাল অ্যাসেট সামিটে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এই ঐতিহাসিক সামিট ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রিপ্টো নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালা এবং এই খাতে সরাসরি বিনিয়োগের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। লুটনিক জানিয়েছেন ট্রাম্পের ক্রিপ্টো রিজার্ভ পরিকল্পনায় বিটকয়েন বিশেষ মর্যাদা পাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে, ট্রাম্প বলেছেন যে "মার্কিন ক্রিপ্টো রিজার্ভ" ক্রিপ্টো খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে, যা বাইডেন প্রশাসনের তথাকথিত "দুর্নীতিগ্রস্ত আক্রমণের" কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে রিপল, সোলানা এবং কার্ডানো এই রিজার্ভের অংশ হবে। ট্রাম্প তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের "ক্রিপ্টো রাজধানী" হিসেবে গড়ে তুলতে চান। ডেভিড স্যাকস এবং বো হাইনস দ্বারা আয়োজিত এই সামিটে ক্রিপ্টো খাতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে মাইকেল সেলার, ব্র্যাড গারলিংহাউস এবং সের্গেই নাজারভ রয়েছেন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে: মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থায় ডিজিটাল অ্যাসেটের ভবিষ্যৎ, জাতীয় অবকাঠামোতে ডিজিটাল মুদ্রার একীভূতকরণ, ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন। এছাড়া, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম সপ্তাহে, ট্রাম্প এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৪১৭৮ স্বাক্ষর করেন, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অ্যাসেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য জারি করা হয়েছে। এই আদেশ বিশেষভাবে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের মতে আর্থিক স্থিতিশীলতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং মার্কিন সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই নির্বাহী আদেশ CBDC-এর তৈরি, ইস্যু এবং ব্যবহারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই ঘোষণার পর, বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং সাম্প্রতিক দরপতন থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। তবে, দৈনিক চার্টের প্রযুক্তিগত সূচক অনুসারে, অসসিলেটরগুলো এখনো ইতিবাচক সংকেত দেয়নি, অর্থাৎ নিশ্চিত বুলিশ প্রবণতা এখনো শুরু হয়নি।
Read more: https://ifxpr.com/3DaGeP9
-
সবার দৃষ্টি এখন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ওপর রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/635942772.jpg[/IMG]
শুক্রবার ইউরো-ডলার পেয়ারের মূল্য 1.0834 লেভেলে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারের দুর্বলতা নির্দেশ করে। উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির পরও, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা 1.09 লেভেল ব্রেকের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0890 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে ট্রেডাররা মূল্য ঐ লেভেলে থাকা অবস্থায় মুনাফা সংগ্রহ করেছিল। ফলে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই পেয়ারের মূল্য 50 পিপস হ্রাস পেয়েছে। EUR/USD পেয়ারের সাপ্তাহিক চার্টে দেখা যাচ্ছে যে, গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য 500 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে—গত ১৬ বছরে এটি ছিল সবচেয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এর মূল কারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা হোয়াইট হাউসের প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক আরোপসংক্রান্ত বিরোধের ফলে সৃষ্ট হয়েছে। পূর্বে, নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা ডলারের পক্ষে কাজ করেছিল, কিন্তু এখন আমরা এর বিপরীত প্রভাব দেখছি। মার্কেটের ট্রেডাররা যৌক্তিকভাবে ধারণা করছে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতার প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরের তুলনায় আরও বেশি আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করতে বাধ্য হবে। ট্রেডারদের প্রত্যাশাও পরিবর্তিত হয়েছে। ট্রেডাররা নিশ্চিত যে এই মাসে ফেডের বর্তমান নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আসবে না, তবে ভবিষ্যৎ বৈঠকে আর্থিক নীতিমালা কিছুটা নমনীয় হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। CME FedWatch টুল অনুযায়ী, মে মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৫০% পর্যন্ত বেড়েছে, এবং জুন মাসে এটি ৮৭% এ পৌঁছেছে। নমনীয় নীতিমালার প্রত্যাশা কেবলমাত্র সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবের কারণে বাড়েনি, বরং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কারণেও এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক, খুচরা বিক্রয়, এবং ভোক্তা আস্থা সূচক প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যা মার্কিন ডলারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। ফেব্রুয়ারির নন-ফার্ম পে-রোল (NFP) প্রতিবেদনের ফলাফলও হতাশাজনক ছিল। দেশটির কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়ে 150,000-এ পৌঁছেছে, যা ১২ মাসের গড় 170,000 এর তুলনায় কম ছিল, এবং পূর্ববর্তী দুই মাসের (জানুয়ারি ও ডিসেম্বর) পরিসংখ্যান সংশোধন করে আরও কমানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার (U3) 4.1%-এ পৌঁছেছে, যা প্রত্যাশিত 4.0%-এর চেয়ে বেশি। শ্রমবাজারের বিস্তৃত সূচক U6 হার 8.0%-এ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চ। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার 62.4%-এ নেমে এসেছে, যা জানুয়ারি ২০২৩ সালের পর সর্বনিম্ন। মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন এই উদ্বেগজনক চিত্রকে আরও জোরদার করতে পারে, যা মার্কিন ডলারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। আগামী সপ্তাহে, প্রধান মূল্যস্ফীতি সূচক—CPI এবং PPI—প্রকাশিত হবে, যা নমনীয় আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের প্রত্যাশাকে আরও শক্তিশালী বা দুর্বল করতে পারে। বুধবার, ১২ মার্চ, ফেব্রুয়ারির ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত তিন মাস ধরে সামগ্রিক CPI-এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে, জানুয়ারিতে এটি 0.5% এ পৌঁছেছে। তবে, ফেব্রুয়ারিতে এটি কমে 0.3%-এ নেমে আসার পূর্বাভাস রয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি টানা চার মাস বৃদ্ধি পেয়েছে (অক্টোবর থেকে জানুয়ারি), যা সর্বোচ্চ 3.0%-এ পৌঁছেছিল, তবে এটি 2.9%-এ নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে মূল CPI মাসিক ভিত্তিতে 0.4% থেকে 0.3% কমতে পারে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 3.3% থেকে 3.2% এ হ্রাস পেতে পারে। বিশ্লেষকরা কেবল মূল্যস্ফীতির সামান্য হ্রাসের আশা করছেন, তবে মূল বিষয় হলো যে, এমনকি যদি ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় (অথবা আরও দুর্বল আসে), তবুও মার্কিন ডলার চাপের মধ্যে থাকবে। মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ধারণে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক—উৎপাদন মূল্যসূচক (PPI)—পরদিন, ১৩ মার্চ প্রকাশিত হবে। এটিতেও একই ধরণের প্রবণতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেখানে টানা কয়েক মাসের বৃদ্ধির পর সূচকটি কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো বুথ স্কুল অফ বিজনেসে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন যে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের অগ্রগতি "সম্ভবত অব্যাহত থাকবে, তবে এটি অনিয়মিত হতে পারে।" যদি আসন্ন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনে দুর্বলতা দেখা যায় (বিশেষ করে জানুয়ারির মূল PCE সূচকের মন্থরতার পরিপ্রেক্ষিতে), তাহলে মে মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা নমনীয় নীতিমালার পক্ষে যাবে। বর্তমানে, এই সম্ভাবনা ৫০/৫০। উল্লেখযোগ্যভাবে, শুক্রবার পরিলক্ষিত EUR/USD-এর শেষ মুহূর্তের দরপতন পাওয়েলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী অবস্থায় অর্যেছে এবং ফেডের অতিরিক্ত সুদের হার কমানোর কোন জরুরি প্রয়োজন নেই। তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, পাওয়েল মূলত ফেডের মার্চের বৈঠকের কথা বলেছেন, যেখানে ট্রেডাররা নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের আশা করছে না। দ্বিতীয়ত, তিনি তার বক্তব্যে বাড়তি অনিশ্চয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব এবং ভোক্তা আস্থার পতন এখনো সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করা হয়নি, উল্লেখ করে বলেন, "এই পরিবর্তনের ফলাফল অর্থনীতি এবং মার্কিন মুদ্রানীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।" অর্থাৎ, পাওয়েলের শুক্রবারের বক্তব্যকে খুব বেশি কঠোর বলা যাবে না। EUR/USD-এর মূল্যের যেকোনো নিম্নমুখী কারেকশনকে এই পেয়ার ক্রয়ের সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0850 এর লেভেল, যা সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড সূচকের উপরের লাইন। মূল লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0950 এর লেভেল, যা একই টাইমফ্রেমে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা।
Read more: https://ifxpr.com/4kupRgW
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি – ১১ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1745334719.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কেটে ব্যাপকভাবে স্টক বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত ছিল, তবে এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে এই প্রবণতা কিছুটা মন্থর হয়ে যায়, যা মার্কিন স্টক ইনডেক্স ফিউচার, ট্রেজারি ইয়েল্ড, এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি মূল্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। তবে, মার্কেটে এখনো চাপ বিরাজ করছে, কারণ ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের শুল্ক নীতিমালা এবং সরকারি ব্যয় হ্রাসের কারণে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে। S&P 500 ফিউচার 0.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের শুরুর দিকে এটি 1% এর বেশি হ্রাস পেয়েছিল। নাসডাক 100 সূচক এবং ইউরোপীয় স্টকের ফিউচার কন্ট্রাক্টেও সামান্য পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছে। মঙ্গলবার, এশিয়ার স্টক মার্কেটের প্রধান সূচকসমূহ পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে আসে, কারণ নাসডাক 100 সূচক ২০২২ সালের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের শিকার হয়। হংকং এবং চীনের স্টক সূচকগুলোও দরপতন কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছে। ২-বছরের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড পুনরুদ্ধার হয়েছে, যা আগে অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই মাস পার হওয়ার পর, বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি ক্রমাগত নেতিবাচক হয়ে উঠছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে বাণিজ্য যুদ্ধ, সরকারি ব্যয় হ্রাস, এবং দীর্ঘদিনের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে। কিছু বিনিয়োগকারী এই পরিবর্তনকে চীনের এবং হংকংয়ের বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যেখানে চীনা সরকার সম্ভাব্যভাবে প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করবে আশা করা হচ্ছে। যদিও বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে দূরে সরে আসছে, চীনের মূল ভূখণ্ডের বিনিয়োগকারীরা গতকাল রেকর্ড পরিমাণ স্টক কিনেছে, বিশেষ করে চীনের AI সেক্টরে ডিপসিক স্টার্টআপের অগ্রগতির কারণে মার্কেটে ইতিবাচক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। এদিকে, সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের কৌশলবিদরা মার্কিন স্টকের রেটিং "ওভারওয়েট" থেকে "নিউট্রাল" করেছে এবং চীনের রেটিং "ওভারওয়েট" এ উন্নীত করেছে, কারণ তারা মনে করছে যে মার্কিন স্টক মার্কেট বর্তমানে স্থবির অবস্থায় রয়েছে। সিটিগ্রুপ চীনের রেটিং উন্নীত করার কারণ হিসেবে মার্কেটে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর দেশটির আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে। এর আগে, HSBC কৌশলবিদরা ইউরোপীয় (যুক্তরাজ্য ব্যতীত) স্টক মার্কেটের রেটিং "আন্ডারওয়েট" থেকে "ওভারওয়েট" এ উন্নীত করেছে, কারণ তারা মনে করছে যে ইউরোজোনে সম্ভাব্য রাজস্ব প্রণোদনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার S&P 500 সূচক 2.7% এবং নাসডাক 100 সূচক 3.8% দরপতনের শিকার হয়েছে। একপর্যায়ে, উভয় সূচকের দরপতন 5%-এর বেশি ছিল। বৃহৎ মূলধনী কোম্পানিগুলোর মধ্যে, টেসলা ইনকর্পোরেটেডের শেয়ারের দর 15% হ্রাস পেয়েছে, এবং এনভিডিয়ার শেয়ারের দর প্রায় 7% হ্রাস পেয়েছে। মঙ্গলবার, G10 কারেন্সির বেশিরভাগই মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলার এশিয়ান সেশনে কিছুটা দুর্বল ছিল। সুইস ফ্রাঁ এবং জাপানি ইয়েনের মতো ঐতিহ্যগত নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বীকৃত মুদ্রাগুলো ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ইউরো এখনো ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে, কারণ ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হচ্ছে। কমোডিটি মার্কেটে, তেলের দাম টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য হ্রাস পাচ্ছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছে যে শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক নীতিগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে পারে। স্বর্ণের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে মার্কিন স্টক মার্কেটের দরপতনের প্রভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলোর মূল্য নতুন বার্ষিক সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছেছে।
S&P 500-এর টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এখনো S&P 500 সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার বিরাজ করছে। ক্রেতাদের আজকের প্রধান লক্ষ্য হবে $5,645 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এটি সফল হলে, সূচকটির মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে $5,670 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল হলো $5,692, যেখানে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারলে মার্কেটে তাদের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। তবে, যদি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার আগ্রহ আরও কমে যায়, তাহলে ক্রেতাদের অবশ্যই $5,617 লেভেলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যদি সূচকটির দর এই লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যায়, তাহলে সূচকটির দর দ্রুত $5,594 পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে এবং সম্ভবত $5,567 পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/43BAJn5
-
১২ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1688835148.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে বর্তমানে অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মতোই এটিও তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ট্রেড করছে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করছে। এমনকি যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়—যা 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের আরও কঠোর আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের ইঙ্গিত দিতে পারে—তবুও এর প্রভাবে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। ডলারের দর হয়তো 50-60 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে আরেকবার ডলার বিক্রির প্রবণতার মধ্যে এই বৃদ্ধি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ে যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রয়েছে, যেখানে ক্রিস্টিন লাগার্ডে, ফিলিপ লেন এবং জোয়াকিম নাগেলের বক্তৃতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও ঘোষণার দিকেই নজর দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিরতিহীনভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার, তিনি কানাডাকে ১৯০৮ সালে প্রণীত সীমান্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে মার্কিন-জাপান বাণিজ্য চুক্তি প্রধানত জাপানের জন্য লাভজনক। মঙ্গলবার, তিনি কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ, সকল দেশের স্টিল ও অন্যান্য আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসতে পারে। উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই ওঠানামা করতে পারে, কারণ বর্তমান মার্কেট মূলত আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যক্রম দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আরও চাপের মধ্যে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি কমে যায়, তাহলে এটি ডলার বিক্রির আরও একটি কারণ হিসেবে কাজ করবে।
Read more: https://ifxpr.com/420fwlG
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৩ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/908809974.jpg[/IMG]
S&P 500 এবং নাসডাক সূচকের ফিউচার আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে, যা গতকাল প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের অপ্রত্যাশিত ফলাফলের কারণে ঘটেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এশিয়ার স্টক সূচকসমূহেও দরপতন ঘটেছে, যা গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান উচ্চ অস্থিরতার ধারাবাহিকতা হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই অবস্থার ফলে হেজ ফান্ডগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ওয়াল স্ট্রিটের কৌশলবিদরা মার্কিন স্টক মার্কেটে আরও দরপতনের পূর্বাভাস দিয়েছে। আজ, মার্কিন ও ইউরোপীয় ফিউচার 0.5% হ্রাস পেয়েছে, যখন নাসডাক 100 কন্ট্রাক্ট 0.9% হ্রাস পেয়ে বুধবারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বিপরীতে, ট্রেজারি বন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কাজুও উয়েদা মজুরি এবং ভোক্তা ব্যয়ের উন্নতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পর ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। স্টক মার্কেটের এই ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে, বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান আক্রমণাত্মকভাবে স্টকের বিক্রয়ের প্রবণতার কারণে এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। উচ্চ বেকারত্বের হার এবং ফেডারেল চাকরির ছাঁটাইয়ের কারণে আরও অস্থিরতার মাত্রা আরও বেড়েছে, যা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন সম্পর্কিত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কিছু বিনিয়োগকারী তাদের মূলধন মার্কিন স্টক মার্কেট থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে, বিশ্লেষকরা মার্কিন স্টক মার্কেট সম্পর্কে আরও সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছে। গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড সাম্প্রতিক সময়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে, যা পূর্বে সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং HSBC হোল্ডিংস পিএলসি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, সিটিগ্রুপ মার্কিন স্টক মার্কেটের রেটিংকে "ওভারওয়েট" থেকে "নিউট্রাল"-এ নামিয়ে এনেছে, যখন চীনের রেটিংকে "ওভারওয়েট"-এ উন্নীত করেছে। স্টক মার্কেটে সাম্প্রতিক অস্থিরতা মূলত এই উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) সামান্য বৃদ্ধির প্রতিবেদন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালায় তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন আনবে না। ফেডারেল রিজার্ভ উচ্চ সুদের হার বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা বাড়ছে, যা নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। গতকাল, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ঘোষণা করেছেন যে তার দল শনিবারের সম্ভাব্য সরকারি শাটডাউন প্রতিরোধ করতে রিপাবলিকানদের ব্যয়ের বিল ব্লক করবে। তিনি রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা ডেমোক্র্যাটদের অর্থায়ন পরিকল্পনাকে অনুমোদন করুক, যা এপ্রিল ১১ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি নির্দেশ করে যে স্টকের মার্কেটের সাম্প্রতিক সর্বনিম্ন লেভেলটি প্রকৃতপক্ষে সর্বনিম্ন লেভেল নাও হতে পারে, কারণ আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুল্ক সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন করে আমদানিকৃত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর 25% শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা ব্যবস্থা নেবে, যা বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি, কানাডা আনুমানিক $20.8 বিলিয়ন মূল্যের মার্কিন পণ্যের উপর 25% শুল্ক আরোপ করেছে—যার মধ্যে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়াস্বর প এসেছে। কমোডিটি মার্কেটের হালনাগাদ তথ্য কমোডিটি মার্কেটে, স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বর্তমানে আউন্স প্রতি $2,940 লেভেলে ট্রেড করছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে, যা পূর্ববর্তী দুই সপ্তাহের ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর পরিলক্ষিত হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/41MbgVB