-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৭ আগস্ট।
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেকটা উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1613-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো কিনিনি এবং সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট মিস করেছি। গতকাল, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের তিনজন প্রতিনিধি একযোগে দেশটির শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা একসাথে বিবৃতি দেওয়ায় আর্থিক মহলে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার সূত্রপাত হয়, এবং বিনিয়োগকারীরা তাদের কৌশল ও পূর্বাভাস পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য হন। বহুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হওয়া শ্রমবাজারে এখন দুর্বলতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা ফেডকে মুদ্রানীতি নমনীয় করার বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। যে সুদের হার হ্রাস কিছুদিন আগেও অসম্ভব মনে হচ্ছিল, এখন তা বাস্তব সম্ভাবনায় পরিণত হচ্ছে। এ ধরনের পদক্ষেপ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উদ্দীপনা জোগাতে পারে, ভোক্তা ব্যয় বাড়াতে পারে এবং ব্যক্তি ও কর্পোরেট ঋণের চাপ কমাতে পারে। মার্কিন ডলার এ খবরে তাৎক্ষণিক ও প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ডলারের এই দরপতন ইঙ্গিত দেয় যে, মার্কেটের ট্রেডাররা সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক ঝুঁকির সংকেত হিসেবে দেখছে। সামনের দিনগুলোতে ফেডের কর্মকর্তাদের নতুন বিবৃতি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে হবে, কারণ সেগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যত পদক্ষেপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারে। আজকের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে, তবে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জার্মানি থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ওপর। দিনের প্রথম ভাগে দেশটির শিল্প উৎপাদন এবং বাণিজ্য ঘাটতি সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। শিল্প উৎপাদনের অবস্থা একটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত। উৎপাদন বৃদ্ধির অর্থ হলো চাহিদা বাড়ছে, নতুন অর্ডার আসছে এবং এর ফলে সামগ্রিকভাবে জিডিপির ইতিবাচক গতি প্রতিফলিত হচ্ছে। যদি প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয়, তবে ইউরোর মূল্য আরও বেড়ে যেতে পারে, কারণ এটি জার্মান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার এবং সম্প্রসারিতভাবে পুরো ইউরোজোনের অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতির সংকেত দেবে। বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিবাচক ফলাফল—যেখানে রপ্তানি আমদানির চেয়ে বেশি—প্রকাশিত হলে তা জার্মান পণ্যের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ও দেশটিতে পুঁজি প্রবাহের ইঙ্গিত দেবে। এই বিষয়গুলো ইউরোর জন্য সহায়ক। অন্যদিকে, যদি শিল্প উৎপাদনের ফলাফল দুর্বল হয় বা বাণিজ্য ঘাটতি নেতিবাচক হয়, তাহলে তা ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিনিয়োগকারীরা এটি জার্মান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার সংকেত হিসেবে ব্যাখ্যা করে ইউরো বিক্রি শুরু করতে পারেন। আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 ও #2 বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1226654029.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1731-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1685-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1731এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1658-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1685 এবং 1.1731-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/162614352.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1658-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1603-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1685-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1658 এবং 1.1603-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/419848
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৮ আগস্ট
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1650 লেভেল টেস্ট করে, যা এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। 1.1650 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল — যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি রাফায়েল বস্টিকের বিবৃতিতে কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়, যা মার্কিন ডলারকে সমর্থন করেছে। এর ফলে ইউরোর বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তার মন্তব্যে স্পষ্ট ছিল যে, ফেড মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এমনকি যদি তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়ে। বস্টিক ইঙ্গিত দেন যে, তিনি আশা করছেন সুদের হার আগামী কয়েক মাস বর্তমান স্তরে স্থির থাকবে — যা ফেডের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তার নিকটবর্তী সময়ের মধ্যে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে পরে জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডের নতুন সদস্য হিসেবে স্টিফেন মিরানকে নিয়োগ দিয়েছেন, যিনি তাকে আরও বেশি অনুগত বলে বিবেচনা করছেন। মিরান, পদত্যাগকারী অ্যাড্রিয়ানা কুগলারের স্থলাভিষিক্ত হন। এই ঘটনাটি ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, কারণ বিনিয়োগকারীরা এই নিয়োগকে যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার দ্রুত কমানোর সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। মিরানের নিয়োগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর রাজনৈতিক চাপ এবং ফেডের স্বাধীনতা হারানোর আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিনিয়োগকারীরা ধরে নিচ্ছেন যে ফেডের নতুন সদস্য আরও ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতিকে সমর্থন করবেন, যা দ্রুত মূল্যস্ফীতি এবং দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দুর্বলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। আজ ইউরোজোন থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই, যা ইঙ্গিত দেয় যে হয়তো একটি সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যেই ট্রেডিং সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে গতকালের ঘটনাবলি — বিশেষ করে ফেডের কর্মকর্তাদের মিশ্র বার্তা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিয়োগ — EUR/USD-এর মূল্যের স্বল্পমেয়াদি মুভমেন্টের ক্ষেত্রে আরও অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ নয়, বরং সাম্প্রতিক খবর ও রাজনৈতিক বিবৃতিগুলোকেও বিবেচনায় নিতে হবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/248056634.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1710-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1667-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1710-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1635-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1667 এবং 1.1710-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/155483596.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1635-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1590-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1667-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1635 এবং 1.1590-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/420008
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৪ আগস্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1256984675.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1710-এর লেভেল টেস্ট করে। যা ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং ফলস্বরূপ এই পেয়ারের 15 পয়েন্টের দরপতন ঘটে। ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের পরস্পরবিরোধী বিবৃতি ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি প্রবণতা বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। যদিও ফেডের কিছু সদস্যের মন্তব্য সংযত ছিল, সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট। গুলসবি, যিনি বর্তমান প্রতিবেদন ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষে, জোর দিয়েছেন যে ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা আগত অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে। এর ফলে মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্পেকুলেটিভ ট্রেডিংয়ের জন্য ইউরো আকর্ষণীয় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফেডের অন্যান্য প্রতিনিধিরা শ্রমবাজারে মন্থরতার লক্ষণ অব্যাহত থাকলে আরও নমনীয় আর্থিক নীতিমালার পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। আজ ট্রেডারদের মনোযোগ ইউরোপীয় অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে থাকবে। মূল প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের দ্বিতীয় প্রান্তিকের হালনাগাদ জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে কর্মসংস্থানের পরিবর্তনে। কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেটি একটি ইতিবাচক সংকেত হবে, যা শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা এবং ভোক্তা আস্থাকে নিশ্চিত করবে। একই সাথে, কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মন্থরতা পরিলক্ষিত হলে সেটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দিতে পারে এবং ইউরোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও জুন মাসের শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সূচক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিফলিত করে, যা উৎপাদন খাতে চাহিদা ও সরবরাহের গতিশীলতা প্রদর্শন করে। পূর্বাভাস অনুযায়ী সূচকটির সামান্য বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে, তবে যেকোনো অপ্রত্যাশিত ফলাফল কারেন্সি মার্কেটে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1081444090.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1751-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1717-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1751-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1695-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1717 এবং 1.1751-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1695-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1669-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1717-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1695 এবং 1.1669-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
EUR/USD. বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাস
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/306247296.jpg[/IMG]
আজ EUR/USD পেয়ারের দরপতন হচ্ছে, কারণ বুধবার প্রকাশিত ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশের পর মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফেডের অধিকাংশ সদস্যগণ জোর দিয়ে বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি শ্রমবাজারের উদ্বেগের চেয়ে বেশি, যেহেতু শুল্ক-সংক্রান্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিভাজন গভীর হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই 4.25–4.50%-এর মধ্যে মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা উপযুক্ত বলে মনে করেছেন। শিকাগো মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জের (CME) ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 82%। ইউরোর দিক থেকে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাপতির মতে সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তিগুলো অনিশ্চয়তা হ্রাসে সহায়তা করেছে, যদিও তা সম্পূর্ণ দূর করতে পারেনি। একই সময়ে, লাগার্দে জোর দিয়ে বলেছেন যে কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোপের অর্থনীতি স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে। আজ জার্মানির সেবা খাতের ভোক্তা মূল্যসূচক (HCOB) প্রকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আশা করা হচ্ছে যে এই খাতের PMI 50.3-এ পৌঁছাবে। ইউরোজোনের (HCOB) সেবা খাতের PMI সূচকও প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভোক্তা মূল্যের সমন্বয়কৃত সূচক (HICP) বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 2%-এ পৌঁছাবে, যা প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কোর HICP-ও জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী অপরিবর্তিত থেকে বার্ষিক ভিত্তিতে 2.3%-এ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রেডারদের মূল মনোযোগ শুক্রবার ওয়াইওমিং-এর জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে অনুষ্ঠেয় ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভাষণের দিকে থাকা উচিত, যা ফেডের সেপ্টেম্বরের বৈঠকে মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোকপাত করা হতে পারে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, 4-ঘন্টার চার্টে এই পেয়ারের মূল্য 200-SMA এর নিচে নেমে যাওয়ায় বিয়ারিশ প্রবণতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বিশেষত যখন এই চার্টের অসসিলেটরগুলোও নেগেটিভ জোনে রয়েছে। 1.1650 লেভেল, যা এখন রেজিস্ট্যান্স হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, পূর্বে সাপোর্ট হিসেবে কাজ করেছিল। EUR/USD পেয়ারের মূল্য গতকালের সর্বনিম্ন লেভেলে সাপোর্ট খুঁজে পাবে, যার নিচে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সাইকোলজিক্যাল লেভেল 1.1600। তবে দৈনিক চার্টে অসসিলেটরগুলো নিউট্রাল জোনে আছে, যা ইঙ্গিত করে যে এই পেয়ার এখনো ব্যাপক দরপতনের জন্য প্রস্তুত নয়।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/421361
-
২৯ আগস্ট কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1770545708.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান সাইডওয়েজ মুভমেন্টের মধ্যেও বুলিশ প্রবণতা বজায় ছিল। এটি আশ্চর্যের কিছু নয়, কারণ রেঞ্জের (ফ্ল্যাট) মধ্যে ট্রেডিং মার্কেটে একটি সাধারণ ঘটনা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে কিংবা এই সপ্তাহে কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তদুপরি, ট্রেডাররা যে প্রতিবেদনগুলো পেয়েছে সেটির ফলাফল একটি দিকেই ইঙ্গিত করছে: ডলার বিক্রি করা উচিত। এখনো নতুন করে ডলার বিক্রয়ের প্রবণতা দেখা না যাওয়ায় এটি মূলত মার্কেটে একটি বিরতির ইঙ্গিত দিচ্ছে—অন্যভাবে বললে, মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে। ট্রেডাররা কেবল নতুন প্রবণতা শুরু হওয়ার আগে শক্তি সঞ্চয় করছে। গতকাল জানা গেছে যে মার্কিন অর্থনীতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে 3% নয়, বরং 3.3% হারে প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। তবে আমরা যেমনটি বলেছি, এই খবরে ডলারের জন্য তেমন ইতিবাচক কিছু নেই, কারণ জিডিপি ছাড়া অন্যান্য মার্কিন অর্থনৈতিক সূচকগুলো বেশিরভাগই বৃদ্ধি নয় বরং পতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/161398105.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, পেয়ারটির মূল্য 1.1655–1.1666-এর গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া অতিক্রম করে এবং তারপর উপর থেকে কয়েকবার ওই লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে। ফলে, নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই ট্রেডগুলো থেকে প্রায় 10–15 পিপসের সীমিত মুনাফা করা সম্ভব ছিল, তবে পরিস্থিতি বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল, তাই পজিশনগুলো শুক্রবার বা এমনকি পরের সপ্তাহেও হোল্ড করে রাখা যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এই বছরের শুরু থেকে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখনো মার্কিন ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা প্রায় হরাইজন্টাল (সাইডওয়েজ) মুভমেন্টই লক্ষ্য করেছি। আমাদের মতে, আগের মতোই, ডলার কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের ওপর নির্ভর করতে পারে। শুক্রবার স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং হতে পারে, কারণ আজও খুব অল্প কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ব্রেক করে উপরের দিকে গেলে মূল্যের 1.1740-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। আবার 1.1655–1.1666-এর নিচে কনসোলিডেশন হলে 1.1571-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। 5-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1552–1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। শুক্রবার জার্মানিতে খুচরা বিক্রয়, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো আকর্ষণীয় প্রতিবেদন হলেও ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে PCE প্রতিবেদন, ব্যক্তিগত আয়/ব্যয়ের পরিসংখ্যান এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা আস্থা সূচক প্রকাশিত হবে—এসবও সর্বোচ্চ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন নয়।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/422306
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/815307561.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1679 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 25 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জুলাই মাসে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়নি, কারণ পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সূচকটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। এটি ফেডারেল রিজার্ভকে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য দিচ্ছে, বিশেষত যখন তারা এ বছর প্রথমবারের মতো সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে, এটি লক্ষ্য করা জরুরি যে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়ে গেছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত অর্থনৈতিক সূচকগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে। এবং যদিও মার্কিন সুদের হারের পরিস্থিতি এখনও জটিল এবং অপ্রত্যাশিত, বর্তমানে ফেডের অভ্যন্তরে আসন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো বড় ধরনের মতবিরোধ নেই। আজ দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হবে, যা বিশেষজ্ঞরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন: ইউরোজোনের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI এবং বেকারত্বের হার। PMI-এর ক্ষেত্রে, বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদরা গত মাসের তুলনায় সূচকটির সামান্য পতনের পূর্বাভাস দিয়েছেন। এই পরিবর্তন শিল্পোন্নয়নের কিছুটা ধীরগতির ইঙ্গিত দিতে পারে। একই সময়ে, যদি প্রকৃত মান পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো আসে, তবে এটি বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করতে পারে এবং ইউরোকে সহায়তা করতে পারে। অন্যদিকে, বেকারত্বের হার শ্রমবাজার পরিস্থিতির একটি ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করে। এটি গত মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকার প্রত্যাশা করা হচ্ছে; তবে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। বেকারত্বের হার কমে গেলে ইসিবি মুদ্রানীতির ব্যাপারে অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অবস্থান আরও দৃঢ়ভাবে বজায় রাখতে পারে, আর যদি সুদের হার বেড়ে যায় তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান নিতে প্রণোদিত হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/38511404.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1749-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1716-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1749-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।গুরুত্বপূর্ ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1698-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1716 এবং 1.1749-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1698-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1664-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে।গুরুত্বপূর্ ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1716-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1698 এবং 1.1664-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/422480
-
EUR/USD. সূচক বিশ্লেষণ – ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/543280068.jpg[/IMG]
ট্রেন্ড বিশ্লেষণ (চিত্র 1)। মঙ্গলবার, মার্কেটে 1.1710 লেভেল (গতকালের দৈনিক ক্লোজ) থেকে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে এবং লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1659 লেভেল — যা 23.6% রিট্রেসমেন্ট লেভেল (নীল ডটেড লাইন)। এই লেভেল টেস্ট হলে, মূল্য সম্ভবত রিবাউন্ড করে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে এবং 1.1668 লেভেলের 13-পিরিয়ড EMA (পাতলা হলুদ লাইন) টেস্ট করার চেষ্টা করবে। চিত্র 1 (দৈনিক চার্ট)। সমন্বিত বিশ্লেষণ: সূচক বিশ্লেষণ – নিম্নমুখী ভলিউম – নিম্নমুখী ক্যান্ডেলস্টিক বিশ্লেষণ – নিম্নমুখী প্রবণতা বিশ্লেষণ – নিম্নমুখী বলিঙ্গার ব্যান্ডস – নিম্নমুখী সাপ্তাহিক চার্ট – নিম্নমুখী উপসংহার: এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করবে। বিকল্প পরিস্থিতি: 1.1710 লেভেল (গতকালের দৈনিক ক্লোজ) থেকে মূল্য নিম্নমুখী হয়ে 1.1640 লেভেলের দিকে যেতে পারে — যা 61.6% রিট্রেসমেন্ট লেভেল (হলুদ ডটেড লাইন)। এই লেভেল টেস্ট হলে, মূল্য সম্ভবত রিবাউন্ড করে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে 1.1659 লেভেলের 23.6% রিট্রেসমেন্ট লেভেল (নীল ডটেড লাইন) টেস্ট করতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/422637
-
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1791756931.jpg[/IMG]
ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির হার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করলেও—যা আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করেছে—মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর তীব্র দরপতন ঘটেছে। মনে হচ্ছে, ট্রেডাররা ধারণা করছেন যে ইসিবির কঠোর অবস্থান আবারও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যা বরং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বদলে নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে। আগস্ট মাসে ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 2.1%-এ পৌঁছেছে, যা জুলাইয়ের 2% থেকে বেশি এবং অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি, যেখানে জ্বালানি ও খাদ্যের মতো অস্থির উপাদান অন্তর্ভুক্ত, 2.3%-এ অপরিবর্তিত ছিল। পরিষেবা খাতের মূল্যস্ফীতি, যা সাধারণত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়, কমে 3.1% হয়েছে। এই পরিসংখ্যান ইউরোজোনে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে, যেখানে সুদের হার হ্রাসের বিরতি এবং তারল্য হ্রাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, ইসিবি আবারও কেবল মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলাতেই মনোনিবেশ করবে, যা অর্থনৈতিক মন্দাকে আরও তীব্র করতে পারে—বিশেষত উচ্চ ঋণগ্রস্ত দেশগুলোতে। অন্যদিকে, কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখারও কিছু যুক্তি রয়েছে। ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি এখনো ইসিবির 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে, এবং সঠিক পদক্ষেপ না নিলে নীতিনির্ধারকের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে—বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, যা বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া, কিছু অর্থনীতিবিদ মনে করেন, নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে দীর্ঘমেয়াদি স্থবির মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক মন্দা কম ক্ষতিকর হতে পারে। প্রতিবেদনটি ইসিবির সেই অবস্থানকেই শক্তিশালী করেছে যে 11 সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ব্যাংকটি ঋণের সুদের হার কমানো থেকে বিরত থাকতে পারে, মুদ্রাস্ফীতির গতি এবং মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির চাপ সহ্য করার অর্থনীতির সক্ষমতা—উভয় বিষয়কে বিবেচনায় রেখে। জুলাই মাসে ইসিবির কর্মকর্তারা সুদের হার 2%-এ অপরিবর্তিত রেখেছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড নিশ্চিত করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক "ভালো অবস্থানে রয়েছে"। এখন আর বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত নন যে এ বছর আর সুদের হার কমানো হবে কিনা। সম্প্রতি বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেল ইউরোজোনের অর্থনীতি এক ধরনের ভারসাম্য মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, যেখানে মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার উভয়ই 2%-এ রয়েছে। নির্বাহী বোর্ড সদস্য ইসাবেল স্নাবেল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি সুদের হার কমানোর কোনো ভিত্তি দেখছেন না। তিনি সতর্ক করেছেন যে মার্কিন শুল্ক সরাসরি মুদ্রাস্ফীতির চাপ সৃষ্টি করবে।
আজ ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ প্রত্যাশিত, যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করতে পারে। উল্লেখযোগ্য যে ইউরোজোনের সর্বশেষ প্রতিবেদনের অন্যান্য অঞ্চলের মিশ্র সংকেত অনুসরণ করছে। যেখানে ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেনের মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল, সেখানে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল। ফলে পরিস্থিতি অনিশ্চিতই রয়ে গেছে—এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তির পরেও যাতে অধিকাংশ রপ্তানি পণ্যের শুল্ক 15% সীমার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1655 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল এটিই 1.1685 লেভেল টেস্টের সুযোগ করে দেবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1715 পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1740-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে আমি কেবল মূল্য 1.1625 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তবে 1.1605 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1575 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3390 লেভেল নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3430 পর্যন্ত মুভমেন্টের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যদিও মূল্যের এই লেভেলের উপরের অগ্রগতি কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3470 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা 1.3340 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3310 লেভেলের দিকেনামতে পারে এবং পরবর্তীতে 1.3280 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/422804
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1952372661.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে ওঠা শুরু করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1660-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 20 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন শ্রম বিভাগ থেকে প্রকাশিত কর্মসংস্থানের সুযোগ ও শ্রমিক পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা ইউরোর আরও দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। মার্কেটের যেসব ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের ফলাফল নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করেন, তারা এই ফলাফলকে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য মন্থরতার পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচনা করেছেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে কর্মক্ষেত্রে খালি হওয়া পদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যা শ্রম চাহিদার দুর্বলতার সম্ভাব্য লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একই সঙ্গে, ছাঁটাইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণত কর্মীদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ এবং ভালো কর্মসংস্থানের খোঁজার ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। সবমিলিয়ে, এই বিষয়গুলো মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতির দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। আজ ইউরোজোনে জুলাই মাসের খুচরা বিক্রয় সূচকের পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। খুচরা বিক্রয় সূচকের হ্রাসকে সাধারণত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হয়, কারণ ভোক্তা ব্যয় অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা হিসেবে বিবেচিত হয়। ইউরোজোনে, যেখানে বেশ কয়েকটি দেশ এখনো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, ভোক্তা কার্যকলাপের আরও পতন পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে এবং আরও সহায়ক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য ইসিবির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের উপর সম্ভাব্যভাবে পরোক্ষ প্রভাব ফেলবে। যেহেতু খুচরা বিক্রয়ের প্রত্যাশিত হ্রাস ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হচ্ছে, তাই প্রত্যাশার তুলনায় অপ্রত্যাশিত যেকোনো পরিবর্তন—উভয় দিকেই—এই পেয়ারের মূল্যের আরও দৃশ্যমান ওঠানামা সৃষ্টি করতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে নেতিবাচক হয়, তবে ইউরো অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি সূচকটির পতনের মাত্রা ততটা গুরুতর না হয়, তাহলে ইউরোর মূল্য সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1695-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1660-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1695-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1645-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1660 এবং 1.1695-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1645-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1609-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1660-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1645 এবং 1.1609-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/422950
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৫ সেপ্টেম্বর
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1639-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। একই লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্ট করার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা এই পেয়ারের বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী ট্রেড বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 15 পিপস ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। খুব শিগগিরই বেশ কিছু অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোজোনের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি পরিবর্তন, কর্মসংস্থানের মাতরা, জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং অর্ডার এবং ইতালির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউরোজোনের জিডিপি পরিসংখ্যান। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও, এ অঞ্চলের অর্থনীতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে সামান্য হলেও প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করবে। কর্মসংস্থানের হারও শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা এবং ভোক্তা আস্থা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সম্পর্কিত প্রতিবেদন শিল্প খাতের অবস্থা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদানের মূল্যায়নে সহায়তা করবে। অর্ডার হ্রাস পেলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ইতালির খুচরা বিক্রয় সূচক দেশটির ভোক্তা ব্যয়ের প্রবণতা প্রতিফলিত করে। খুচরা বিক্রয় সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি সাধারণত ইতিবাচক অর্থনৈতিক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়, আর হ্রাস পেলে তা ভোক্তা আস্থা হ্রাস ও ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কেবলমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনগুলোর শক্তিশালী ফলাফলই ইউরোর দর বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। অন্যথায় সবাই মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/44494070.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1707-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1676-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1707-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1660-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1676 এবং 1.1707-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1794736079.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1660-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1633-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1676-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1660 এবং 1.1633-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/423101