-
-
GBP/USD: ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৯ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2144193615.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2980 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। এছাড়াও, আমি মার্কেটে এন্ট্রির জন্য অন্য কোনো এন্ট্রি পয়েন্টও খুঁজে পাইনি। গতকাল, পাউন্ডের মূল্য মাসিক সর্বোচ্চ 1.30 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, যা যুক্তরাজ্য থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এবং এই পেয়ারের মূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে ঘটেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নীতিমালা নিয়ে ট্রেডারদের আশাবাদ এই মূল্য বৃদ্ধিকে সমর্থন যুগিয়েছে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির স্থায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে, বিশেষ করে আজকের ফেডারেল রিজার্ভ বৈঠকের আগে। ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতা মূলত কয়েকটি উপাদানের ওপর নির্ভর করবে, যার মধ্যে অন্যতম এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই দিনের প্রথমার্ধে পাউন্ডের মূল্য পুনরায় সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেল টেস্ট করার চেষ্টা করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3020-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2991-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3020-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2975-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2991 এবং 1.3020-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2975-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল টেস্ট করার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2945-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2991-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2975 এবং 1.2945-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২০ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1740319407.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, সন্ধ্যার দিকে গঠিত দুটি সিগন্যাল স্পষ্ট কারণবশত উপেক্ষা করা উচিত ছিল। এতে 1.2980-1.2993 এরিয়ায় দুটি সেল সিগন্যাল ছিল। উভয় ক্ষেত্রেই, এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপসও কমেনি। এই সিগন্যালগুলো ছিল একই ধরনের, অর্থাৎ নতুন ট্রেডাররা কেবল একটি শর্ট পজিশনে এন্ট্রি করতে পারত। এমনকি সেই ট্রেডও মুনাফার সাথে ক্লোজ করা যেত, কারণ দিনের বাকি সময় এই পেয়ারের মূল্য এন্ট্রি পয়েন্টের নিচেই ছিল। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, ইতোমধ্যেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ এটি প্রতিরোধ করে চলেছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনও 1.1800-এর দিকে GBP/USD-এর দরপতনের প্রত্যাশা করছি। তবে, ট্রাম্পের নীতিমালা ডলারকে কতদিন দুর্বল করে রাখবে তা অনিশ্চিত। এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। আপাতত, দীর্ঘমেয়াদে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অযৌক্তিক ছিল না, তবে এটি খুব বেশি শক্তিশালী ও অপ্রত্যাশিত ছিল। বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যত আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেদাররা এখন ডলার বিক্রি করার জন্য কোনো কারণের প্রয়োজন মনে করছে না। তবে, আমরা একটি নিম্নমুখী কারেকশনেরও প্রত্যাশা করছি।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমের গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধান ইভেন্ট হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক ও গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে এবং বেকারত্ব ও মজুরি বৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। নির্ধারিত ইভেন্টগুলোর কারণে, মার্কেটে উচ্চ মাত্রার অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, আমরা মনে করি যে যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডকে সমর্থন করার সম্ভাবনা কম।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২১ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/42206259.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2965 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণেই, আমি পাউন্ড ক্রয় করিনি। মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের পরে, যেখানে ৮-১ ভোটে মূল সুদের হার 4.5%-এ অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে মত দেয়া হয়, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, পূর্বে যারা আরও ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতির পক্ষে ছিলেন, তারাও এবার সুদের হার কমানোর পক্ষে কোনো আহ্বান জানাননি, এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি তার সহকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। এই প্রেক্ষাপটে, পাউন্ডের উপর পুনরায় চাপ সৃষ্টি হয় এবং এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত থাকে। জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও সতর্ক অবস্থানের তুলনায় বেশি প্রভাব বিস্তার করে। আজ, যুক্তরাজ্যের নেট পাবলিক সেক্টর ঋণ এবং কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (CBI) থেকে প্রকাশিত শিল্প আদেশ সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জাতীয় অর্থনীতির অবস্থা প্রতিফলিত করে এমন এই ধরনের অর্থনৈতিক সূচক সাধারণত মুদ্রার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হয়, তবে এটি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করতে পারে। দুর্বল ঋণ এবং শিল্প আদেশের তথ্য পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত বাই সিগন্যাল এবং সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবো। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3004-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2947-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3004-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2913-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2947 এবং 1.3004-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2913-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2865-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2947-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2913 এবং 1.2865-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1369102970.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে, 1.2913 লেভেল থেকে একটি বাউন্স দেখা যায় এবং পেয়ারটির মূল্য প্রায় ৫০ পিপস ঊর্ধ্বমুখী হয়। দুর্ভাগ্যবশত, সবচেয়ে নিকটতম টার্গেট থেকে মাত্র ৭ পিপস দূরে এসে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যায়, তাই ট্রেডটি টেক প্রফিটের সাথে ক্লোজ করা সম্ভব হয়নি। এরপর আবারও 1.2913 থেকে একটি বাউন্স দেখা যায়, এবং তারপর মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে যায়। টেকনিক্যালি, সব সিগন্যালই ভুল ছিল, কারণ কোনো সিগন্যালেই মূল্য টার্গেট লেভেলে পৌঁছায়নি। তবে কোন লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না, কারণ প্রতিবারই মূল্য অন্তত ২০ পিপস সঠিক দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। তৃতীয় সিগন্যালটি উপেক্ষা করাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের কার্যকলাপ সেটিকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা এখনো মধ্যমেয়াদে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, তবে ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রভাবে ডলারের এই দরপতন আর কতদিন স্থায়ী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার পরিবর্তিত হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এখনো নিম্নমুখী প্রবণতাই বিরাজ করছে। পাউন্ডের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পেছনে কারণ থাকলেও, আবারও অতিরিক্ত ও অযৌক্তিকভাবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ ঘণ্টাভিত্তিক চার্টের টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার এই সম্ভাবনাকেই সমর্থন করছে। পাউন্ড আবারও অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে দামী হয়ে উঠেছে। ৫ মিনিটের চার্টে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রে কেবল নিউ হোম সেলস বা নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের উপর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম থাকবে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/179830119.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2875 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি এবং কোনো ট্রেডও করিনি। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি আমদানির ওপর 25% শুল্ক আরোপের ঘোষণার ফলে পাউন্ডের দরপতন ঘটে। যদিও এই পদক্ষেপকে মার্কিন শিল্প ও কর্মসংস্থানের জন্য ইতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তবে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এর ফলে সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় এবং পাউন্ডের মূল্যও হ্রাস পায়। আজ দিনের প্রথমার্ধে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের MPC সদস্য স্বাতি ধিংগ্রার বক্তব্য দেবেন। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির বিষয়ে তিনি কী মন্তব্য করেন, ট্রেডাররা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, বিশেষ করে যেহেতু আজ যুক্তরাজ্য থেকে অন্য কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। মূল্যস্ফীতির চাপ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কী ভাবছে, তা নিয়ে ধিংগ্রা মন্তব্য করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে গতকাল মূল্যস্ফীতি হ্রাসের প্রেক্ষাপটে সুদের হারের পরিবর্তন সংক্রান্ত যেকোনো ইঙ্গিত ট্রেডাররা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2961-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2929-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2961-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2905-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2929 এবং 1.2961-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2905-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2875-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2929-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2905 এবং 1.2875-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/299078490.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সারাদিন ধরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, তবে সন্ধ্যায় চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা আসে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করে। পাউন্ডের 500 পিপস দরপতনের পর এখনই ধরে নেওয়ার সময় আসেনি যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। ট্রাম্প চাইলে এই পুরো পরিস্থিতি খুব সহজেই "মেরামত" করতে পারেন। তিনি আর কতদূর যেতে পারেন এই মুহূর্তে আমরা সেটি কল্পনা করতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি! কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাও এখন একধরনের আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে। যেখানে আগে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেশটির অর্থনীতির অংশ হতে চাইতেন, এখন অনেকেই সেই দেশ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে; আমাদের দৃষ্টিতে সেটিই হয়তো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নয়। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিণতি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে ট্রাম্প 'সর্বশক্তি' নিয়ে মাঠে নেমেছেন—আর গলফ ক্লাবে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করছেন। সংক্ষেপে, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে এবং বাণিজ্যযুদ্ধ আরও জটিল আকার ধারণ করছে। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5 মিনিট টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার কমপক্ষে তিনটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। 1.2791–1.2798 জোন থেকে মূল্য দুইবার বাউন্স করেছে এবং 1.2723 লেভেল থেকে একবার বাউন্স করেছে। তিনটির মধ্যে দুটি ট্রেডেই মূল্য টার্গেট লেভেলে পৌঁছেছিল। তৃতীয় ট্রেডটি সম্ভবত স্টপ লসের মাধ্যমে ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে, তুলনামূলকভাবে সীমিত দৈনিক মুভমেন্ট থেকেও মঙ্গলবার 70–80 পিপস পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব ছিল। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: 1 ঘণ্টার টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনও ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমরা আর দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করছি না। শুক্রবার এই পেয়ারের যে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে, তা একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশনের সূচনা হতে পারে। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করছে। একবার ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণার কথা বললেই ডলার আবারও দরপতনের শিকার হচ্ছে। আর এখনো কেউ যদি মনে করে এটিই ডলারের শেষ দরপতন—তাহলে তারা সত্যিই খুব আশাবাদী! বুধবার GBP/USD পেয়ারে মূল্যের অস্থিরতা এবং ঝড়ো মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। আজ পাউন্ড ও ডলারের মূল্যের দিকনির্দেশনা কী হবে, তা পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব। আপাতত যুক্তিসঙ্গতভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রয়েছে এবং এই প্রবণতা সারাদিন ধরে অব্যাহত থাকতে পারে। 5 মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3225, 1.3272। বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোন দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে নিশ্চিতভাবেই দিনব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা সামনে আসতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা উচ্চ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মার্কিন ডলারের আরেক দফা দরপতনের সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/742388973.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2803 এর লেভেল টেস্ট করে—যা পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপসের বেশি কমে যায়। FOMC-এর সাম্প্রতিক বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হলেও মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যত সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে বিরতি আসবে বলে মূল্যায়ন করে নিয়েছে। বরং, পাউন্ডের ওপর চাপ এসেছে ট্রাম্পের ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করার ঘোষণার প্রেক্ষিতে। আজ এই পেয়ারের মূল্যের আরও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা যেতে পারে, কারণ যুক্তরাজ্য থেকে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থাকবে, যেটি ফেডের আর্থিক নীতিমালা নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে। তবে, স্থানীয় কিছু বিষয়ও বিবেচনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতা, যেটি মাঝে মাঝেই সামনে আসে, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। যুক্তরাজ্য থেকে কোন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ার কথা থাকায় পাউন্ডের ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ার পরিবর্তে তারা সহায়তা পেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2956-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2887-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2956-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। চলমান কারেকশনের সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2838-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2887 এবং 1.2956-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2838এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2764-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে—যতটা সম্ভব উচ্চ মূল্যে শর্ট পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2887-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2838 এবং 1.2764-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
১১ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/531968341.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট গত ২৪ ঘণ্টায় GBP/USD পেয়ারের মূল্য 170 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকে। কয়েক দিন আগেই আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে, তবে এটাও বলেছিলাম যে এটি খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যেমনটা দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করার ডলার আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে। পূর্বেই বলা হয়েছে, ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলতে পারে কারণ ট্রাম্প চীন ও অন্যান্য দেশের ওপর অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারেন। হায়ার টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্রও এখন উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে, তাই বর্তমানে এসব বিশ্লেষণের গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম। আমাদের আগে ট্রাম্পের শুল্ক বাস্তবায়নের সময়কাল পার করতে হবে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে, তখন আমরা হায়ার টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল অবস্থা নতুন করে মূল্যায়ন করতে পারবো এবং উপসংহার টানতে পারবো।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/428774995.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যদিও পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট ইউরোর তুলনায় ততটা শক্তিশালী ছিল না। ফলে নতুন ট্রেডারদের লাভ ইউরোর মতো বেশি না হলেও, কিছুটা আয়ের সুযোগ অবশ্যই ছিল। আজ ট্রাম্পের জন্য একটি নতুন দিন—মানে, আমরাও নতুন নতুন সুযোগ পেতে পারি।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ১ ঘণ্টার চার্টে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনো ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পর থেকেই আমরা দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেওয়া থেকে বিরত রয়েছি। শুক্রবার এই পেয়ারের তীব্র দরপতন দেখা গিয়েছিল, যা একটি বড় কারেকশনের সূচনা হতে পারে। তবে মার্কেট এখনো ট্রাম্প এবং তার সিদ্ধান্তের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণা করলেই ডলার পুনরায় দরপতনের শিকার হয়। শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে। আজ পাউন্ড এবং ডলারের মূল্য কোন দিকে যাবে সে পূর্বাভাস দেওয়া কার্যত অসম্ভব। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাই এখন পর্যন্ত যথার্থ বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু বেইজিং অথবা ওয়াশিংটন থেকে আজ কী ধরনের খবর আসবে, তা কেউ জানে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য যেসব লেভেল ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3225, 1.3272। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে আমরা মনে করছি না যে মার্কেটের ট্রেডাররা সেগুলোতে খুব একটা মনোযোগ দেবে। আর মনোযোগ দিলেও, এগুলোর বাস্তব কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৫ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/656601702.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। আমি অন্য কোনো কার্যকর এন্ট্রি পয়েন্টও খুঁজে পাইনি। গতকাল যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন না আসায়, দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য যে দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছিল, সেটিই বজায় রয়েছে। তবে আজকের পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল হতে পারে। GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রয়োজন। যদি এই সূচকগুলোর যেকোনো একটির ফলাফল হতাশাজনক হয়, তবে সেটি ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাজ্যে জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা জাতীয় শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেটি কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়, যা পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে। বেকারত্বের হার — অর্থাৎ শ্রমশক্তিতে থাকা মোট বেকার মানুষের শতাংশ — দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার আরেকটি মূল নির্দেশক। উচ্চ বেকারত্বের হার অর্থনৈতিক মন্দা, ভোক্তা ব্যয়ের নিম্নগতি এবং সামাজিক অস্থিরতা নির্দেশ করতে পারে। অন্যদিকে, বেকারত্বের হার কম হলে মজুরি বৃদ্ধি পায় এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে। গড় আয় বৃদ্ধির হার কর্মীদের উপার্জনে পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরে। গড় মজুরি বৃদ্ধি উচ্চ উৎপাদনশীলতা, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণ হতে পারে। গড় মজুরি কমে গেলে সেটিও পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে। যদি ট্রেডাররা নেতিবাচক ফলাফল উপেক্ষা করে, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3288-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3225-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3288-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3190-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3225 এবং 1.3288-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3190-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3135-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3225-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3190 এবং 1.3135-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।