-
সংকট থেকে মার্কিন ডলারের সহসাই মুক্তি মিলছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/781340206.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার সমস্যার মুখোমুখি হয়েই চলেছে, এবং মূল প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে: ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের আগে এবং বৈঠকের পরে এটি কতটা দরপতনের শিকার হবে। এই সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হলো ফেডের কর্মকর্তারা কি ট্রেডারদের ধারাবাহিকভাবে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার বিপরীতে কোনো অবস্থান নেবেন কিনা, যা বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদদের মতে আগামী বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। স্পষ্টতই, বুধবারের ফেডের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাজারের (মুদ্রাসহ) পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে, তবে এটিই ক্যালেন্ডারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নয়। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অব জাপানও মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। ট্রেডারদের দৃষ্টি নিঃসন্দেহে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে থাকবে, যেখানে তিনি সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করবেন এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কখন সুদের হার কমানো শুরু হতে পারে এবং কী মাত্রায় তা করা হবে সে বিষয়ে যেকোনো সংকেতের জন্য ট্রেডাররা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ট্রেডারদের প্রত্যাশা এবং ফেডের নির্দেশনার মধ্যে যেকোনো ভিন্নতা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের গতি মন্থর হওয়ায় তা ফেডকে একটি জটিল অবস্থার মধ্যে ফেলেছে: একদিকে কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখায় তা অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে খুব দ্রুত মুদ্রানীতি নমনীয় করা হলে সেটি নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। ফেডের কৌশল নির্ধারণে পাওয়েলের বক্তব্যই মূল বিবেচ্য বিষয় হবে। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন তিনি এ বছর আরও সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করবেন, তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে সুদের হার কতবার কমানো হবে। একই সময়ে, মার্কেটে অনিশ্চয়তা এড়াতে পাওয়েলের জন্য বক্তব্যে অস্পষ্টতা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হবে। তার কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্যের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যদি পাওয়েল চাকরি হারানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন—কারণ মহামারির পর শ্রমবাজার সবচেয়ে বড় মন্দার সম্মুখীন হয়েছে—তাহলে এটি ফেডের সুদের হার কমানোর মাত্রা বাড়ানোর সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিপরীতে, যদি তিনি শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন এবং বর্তমান সমস্যাকে অস্থায়ী হিসেবে উপস্থাপন করেন, তবে এটি ফেডের আর্থিক নীতিমালা আরও দীর্ঘ সময় কঠোর রাখার ইঙ্গিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তও গুরুত্বপূর্ণ হবে। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার অর্থনৈতিক গতিশীলতা যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রায় একই রকম, ফেডের পথ অনুসরণের চাপের মধ্যে পড়তে পারে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব জাপানের সতর্কভাবে অপেক্ষার অবস্থান এবং ইয়িল্ড কার্ভের নিয়ন্ত্রণ এখনও বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে। সুদের হার আরও বাড়ানোর প্রস্তুতির যেকোনো ইঙ্গিত বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যেহেতু জাপান একটি বড় ঋণদাতা দেশ। সার্বিকভাবে, এই সপ্তাহ বেশ ঘটনাবহুল এবং অনিশ্চয়তায় ভরপুর হবে, যেহেতু বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1745 লেভেলের উপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1780 পৌঁছানো সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1813 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া তা চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1866। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.1700 লেভেলের কাছে থাকা অবস্থায় আমি এই পেয়ার ক্রয়ের উল্লেখযোগ্য আগ্রহের আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে মূল্যের 1.1665-এ নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1630 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: পাউন্ড ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3590-এর তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3615-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যদিও মূল্যের আরও উপরে ওঠা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3645। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3525 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3495-এর দিকে নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3458 পর্যন্ত দরপতন আরও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/46AIKd8
-
যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে দুর্বলতার ইঙ্গিত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/336313280.jpg[/IMG]
ইতিবাচক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ড পুরোপুরিভাবে সহায়তা পায়নি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো আসন্ন কর বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নেয়ায় গ্রীষ্মকাল জুড়ে যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে দুর্বল পরিস্থিতি অব্যাহত থেকেছে, যা অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, আগস্টে কর্মসংস্থানের সংখ্যা আরও 8,000 হ্রাস পেয়েছে, যা টানা সপ্তম মাসের মতো পতন। ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য ইতিবাচক হলেও তা উদ্বেগজনক। তিন মাসের বোনাস বাদে মজুরি প্রবৃদ্ধি কমে 4.8%-এ নেমে এসেছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বেসরকারি খাতের মজুরি প্রবৃদ্ধি কমে 4.7%-এ দাঁড়িয়েছে, যে সূচকটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। বেকারত্বের হার 4.7%-এ স্থির হয়েছে, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, অন্যদিকে চাকরির শূন্যপদের সংখ্যা অব্যাহতভাবে হ্রাস পেয়েছে। স্পষ্টতই, শ্রমবাজার কার্যক্রমের মন্থরতা ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, কম কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং দুর্বল মজুরি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে, যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ নির্দেশ করছে। এমনকি বেকারত্ব সামান্য বাড়লেও তা সতর্কবার্তা দেয়, যা ইঙ্গিত দেয় যে কোম্পানিগুলো ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শূন্যপদ হ্রাস শ্রম চাহিদা দুর্বল হওয়ার প্রমাণ দেয়, কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হচ্ছে। মজুরি প্রবৃদ্ধির মন্থরতা যদিও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করে, যা ভোক্তা চাহিদা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সার্বিকভাবে, যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অতিরিক্ত কর বৃদ্ধি অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে এবং শ্রমবাজার পরিস্থিতিকে আরও নেতিবাচক করতে পারে। এই পরিসংখ্যান চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্যও বড় ধাক্কা, যিনি এপ্রিল মাসে বেতন কর এবং ন্যূনতম মজুরি করের তীব্র বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার কারণ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। কোম্পানি ও ভোক্তারা এখন 26 নভেম্বর বাজেটে নতুন জনঅর্থ ঘাটতি পূরণের জন্য আরেক দফা কর বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সময়ে, এই প্রতিবেদন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগ হ্রাস করবে না। যদিও গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি শ্রমবাজারের দুর্বলতার ওপর জোর দিয়েছেন, তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা ক্রমশ উদ্বিগ্ন হচ্ছেন যে সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ভোক্তাদের মধ্যে স্থায়ীভাবে পণ্য মূল্যের বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি করছে। খাদ্য ও জ্বালানির বিল বৃদ্ধি 18 মাসের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতিকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে হয়েছে, এবং আগামীকালের প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতি 3.8%-এ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। গত এক মাসে ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা পুনর্বিবেচনা করেছে এবং এ বছর আর কোনো নমনীয়করণের প্রত্যাশা করছে না। নয় সদস্যবিশিষ্ট মুদ্রানীতি কমিটি বৃহস্পতিবার মূল সুদের হার 4%-এ অপরিবর্তিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3645-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3675-এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3710 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3610 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3585-এর নিম্ন লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3550 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4nD1dM6
-
আজ ফেডের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/619247090.jpg[/IMG]
আজ ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা সুদের হার কমিয়ে মার্কিন শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি হবে একটি নীতিগত পরিবর্তন, যেখানে গত কয়েক মাস ধরে শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এটি মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সুদের হার হ্রাস করা হলে সেটি ঋণ গ্রহণ ও বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ এই ধরনের পদক্ষেপের সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, নিম্ন সুদের হারে ফিরে গেলে তা অ্যাসেটের বাবলের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে এবং আর্থিক খাতের অস্থিরতা বাড়াতে পারে। তাছাড়া তারা সতর্ক করেছেন যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তারা চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ঋণ গ্রহণ ও ব্যয় করতে দ্বিধা করলে এই সুদের হার হ্রাসের পদক্ষেপ অকার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এই নীতিগত পরিবর্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত চাপের মধ্যে আসছে, যিনি এই সপ্তাহে আরও বড় আকারে সুদের হার হ্রাসের দাবি করেছিলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির এই নাটকীয়তা এমনকি প্রশ্ন তুলেছিল এই সপ্তাহের বৈঠকে কারা অংশ নেবেন তা নিয়ে, যদিও সোমবার সন্ধ্যায় সিনেটে ফেডের নতুন এক গভর্নরকে অনুমোদন দেওয়ার পর তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বাইরে, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে এবং সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসগুলোর ওপর দিকে থাকবে, যেখান থেকে আগামী মাসগুলোতে সুদের হারের সম্ভাব্য পথ সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে "ডট প্লট"-এ—যে চার্টে FOMC সদস্যদের ভবিষ্যৎ সুদের হার সম্পর্কিত ব্যক্তিগত পূর্বাভাস দেখানো হয়। এই পূর্বাভাসগুলোতে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিলে তা ফেডের অভ্যন্তরে বিভাজনকে উন্মোচিত করবে এবং মার্কেটে অনিশ্চয়তা বাড়াবে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত পূর্বাভাসও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবেন। এই পূর্বাভাসগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন ট্রেডারদের প্রত্যাশা ও বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উপর প্রবল প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, "প্রতিটি সুদের হার হ্রাসের পদক্ষেপ পূর্ববর্তীটির তুলনায় আরও কঠিন হয়ে উঠবে, যদি না শ্রমবাজার আরও অবনতির লক্ষণ দেখা যায়।" আগেই যেমন বলা হয়েছে, সুদের হার প্রত্যাশিত কোয়ার্টার-পয়েন্ট হ্রাস নিয়ে ফেডের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি থাকতে পারে। কিছু কর্মকর্তা আরও উচ্চ হারে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে চাপ দিতে পারেন, আবার কেউ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে থাকতে পারেন। শেষ পর্যন্ত বিতর্কটি কেন্দ্র করবে কোন বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ: শ্রমবাজারের তীব্র অবনতি নাকি শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি। যাইহোক, যদি নীতিনির্ধারকদের পূর্বাভাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না দেখা যায় এবং আজকের সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়ে থাকে, তবে স্বল্পমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে যদি ফেডের অধিকাংশ সদস্য ভবিষ্যতের জন্য আরও ডোভিশ বা নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন—অথবা আরও কঠোর হয়ে সুদের হার অর্ধ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেন—তাহলে সম্ভবত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে, যেমন ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার দুর্বল হবে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1875 লেভেলের নিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1910 লেভেল টেস্ট করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1940-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1985 উচ্চতা। অন্যদিকে, মূল্য কেবল 1.1835 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রমের আশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1790 রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করা অথবা 1.1750 থেকে লং পজিশন ওপেন করা উত্তম হবে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3665-এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। এটি 1.3710 পর্যন্ত অগ্রগতির সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে, যা ব্রেক করে মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা প্রায় 1.3745-এ অবস্থিত। যদি এই পেয়ারের দরপতন শুরু করে, তবে মূল্য 1.3625 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য গুরুতর আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3590-এর দিকে চলে যেতে পারে, যেখানে 1.3550 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/41WQ6oM
-
১৮ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1770839654.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে, আর সপ্তাহের শেষ দিকে ট্রেডাররা পুরোপুরিভাবে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে মনোযোগ দেবে। ফেড গতকাল সন্ধ্যায় তাদের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তবে আজকের পুরোটা সময় এই দুটি কারেন্সি পেয়ার সেই ইভেন্টের চাপের মধ্যে থাকতে পারে। ফেডের বৈঠকের পর আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নিঃসন্দেহে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে, তবে একই সময়ে এটি পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট ঘটাতে পারে, কারণ ট্রেডাররা সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ভোট বণ্টনের দিকে মনোযোগ দেবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/919969386.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ বেশ উল্লেখযোগ্য। লাগার্ড ইতোমধ্যেই এই সপ্তাহে দুইবার বক্তব্য রেখেছেন, এবং উভয় ক্ষেত্রেই তিনি মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই ট্রেডারদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে। আজকের মূল ইভেন্ট হলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বৈঠক। এই বৈঠকের ফলাফল দিনেরবেলা ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য নতুন বাই সিগন্যাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। আজ 1.1808 লেভেল থেকে ইউরো ট্রেড করা যেতে পারে, আর পাউন্ডে ট্রেডিং নির্ভর করবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের ওপর। এই গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত মার্কেটে এন্ট্রি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না, কারণ অনিশ্চিত প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে—আগেভাগে কেউই জানে না যে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেবে।
Read more: https://ifxpr.com/46bgrSD
-
নতুন প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/953415580.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের আবারও দরপতন শুরু হয়েছে, কারণ আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে—যা আসন্ন শরতের বাজেটের আগে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এমনকি খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও পাউন্ডকে সহায়টা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক এসেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ঋণ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 18 বিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং-এ, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের 12.5 বিলিয়ন পাউন্ডের পূর্বাভাসের অনেক উপরে এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক ঋণগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ঋণগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যের ইতোমধ্যেই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাউন্ড কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের সংকেত দিচ্ছে। ঋণগ্রহণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকলে যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনমন হতে পারে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণকে আরও কঠিন করে তুলবে এবং সরকারি ঋণ পরিশোধের খরচ বাড়িয়ে তুলবে। র্যাচেল রিভস এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে তাকে এমন একটি বাজেট প্রস্তুত করতে হবে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে কিন্তু ঋণের বোঝা বাড়াবে না। তাকে অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ব্যয় সংকোচনের দাবির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। এই শরতে প্রকাশিতব্য বাজেট যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে। এর ফলাফল শুধু আগামী কয়েক বছরের অর্থনৈতিক নীতিমালাই নির্ধারণ করবে না, বরং পাউন্ডের মূল্যের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে, যা সরকারের প্রতিটি ঘোষণা ও পরিকল্পনার পরিবর্তনের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শেষে বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 83.8 বিলিয়ন পাউন্ডে, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের পূর্বাভাসের চেয়ে 11.4 বিলিয়ন বেশি এবং এক বছর আগের তুলনায় 67.6 বিলিয়ন পাউন্ড বেশি। এই অবনতির পেছনে রয়েছে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা এবং ঋণের সুদ প্রদানে ব্যয় বৃদ্ধি, পাশাপাশি প্রতিকূল সংশোধিত পূর্বাভাসও এতে ভূমিকা রেখেছে। ঋণ পরিষেবার বাড়তি খরচ, ধারাবাহিকভাবে আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তন, এবং বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশিত নিম্নমুখী সংশোধন চ্যান্সেলরের নিজস্ব আর্থিক নিয়ম ভাঙতে পারে, যেখানে বলা হয়েছে 2029–30 অর্থবছরের মধ্যে রাজস্ব দিয়ে বর্তমান ব্যয় মেটাতে হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস জানিয়েছে, অনলাইন ও দোকানে বিক্রিত পণ্যের পরিমাণ 0.5% বেড়েছে, যা জুলাই মাসের সংশোধিত 0.5% বৃদ্ধির সাথে মিলে গেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পোশাক ও বেকারি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে, যা কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের দোকানের বিক্রি হ্রাসকে পুষিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রয় সূচকের 0.4% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করছে যে ভোক্তারা গ্রীষ্মকালে কর্মী ছাঁটাই, মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতি এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছেন, যার একটি বড় অংশ লেবার সরকারের 26 বিলিয়ন পাউন্ড মজুরি ব্যয়ের বৃদ্ধির ফল। স্পষ্টতই, খুচরা বিক্রয় সূচকের শক্তিশালী ফলাফল এখন চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3570-এ পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3620 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3655 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতন হয়ে 1.3420 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4ptywCK
-
নতুন প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/955624721.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের আবারও দরপতন শুরু হয়েছে, কারণ আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে—যা আসন্ন শরতের বাজেটের আগে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এমনকি খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও পাউন্ডকে সহায়টা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক এসেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ঋণ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 18 বিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং-এ, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের 12.5 বিলিয়ন পাউন্ডের পূর্বাভাসের অনেক উপরে এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক ঋণগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ঋণগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যের ইতোমধ্যেই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাউন্ড কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের সংকেত দিচ্ছে। ঋণগ্রহণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকলে যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনমন হতে পারে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণকে আরও কঠিন করে তুলবে এবং সরকারি ঋণ পরিশোধের খরচ বাড়িয়ে তুলবে। র্যাচেল রিভস এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে তাকে এমন একটি বাজেট প্রস্তুত করতে হবে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে কিন্তু ঋণের বোঝা বাড়াবে না। তাকে অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ব্যয় সংকোচনের দাবির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। এই শরতে প্রকাশিতব্য বাজেট যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে। এর ফলাফল শুধু আগামী কয়েক বছরের অর্থনৈতিক নীতিমালাই নির্ধারণ করবে না, বরং পাউন্ডের মূল্যের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে, যা সরকারের প্রতিটি ঘোষণা ও পরিকল্পনার পরিবর্তনের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শেষে বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 83.8 বিলিয়ন পাউন্ডে, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের পূর্বাভাসের চেয়ে 11.4 বিলিয়ন বেশি এবং এক বছর আগের তুলনায় 67.6 বিলিয়ন পাউন্ড বেশি। এই অবনতির পেছনে রয়েছে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা এবং ঋণের সুদ প্রদানে ব্যয় বৃদ্ধি, পাশাপাশি প্রতিকূল সংশোধিত পূর্বাভাসও এতে ভূমিকা রেখেছে। ঋণ পরিষেবার বাড়তি খরচ, ধারাবাহিকভাবে আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তন, এবং বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশিত নিম্নমুখী সংশোধন চ্যান্সেলরের নিজস্ব আর্থিক নিয়ম ভাঙতে পারে, যেখানে বলা হয়েছে 2029–30 অর্থবছরের মধ্যে রাজস্ব দিয়ে বর্তমান ব্যয় মেটাতে হবে। উল্লেখযোগ্য যে, আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস জানিয়েছে, অনলাইন ও দোকানে বিক্রিত পণ্যের পরিমাণ 0.5% বেড়েছে, যা জুলাই মাসের সংশোধিত 0.5% বৃদ্ধির সাথে মিলে গেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পোশাক ও বেকারি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে, যা কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের দোকানের বিক্রি হ্রাসকে পুষিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রয় সূচকের 0.4% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করছে যে ভোক্তারা গ্রীষ্মকালে কর্মী ছাঁটাই, মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতি এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছেন, যার একটি বড় অংশ লেবার সরকারের 26 বিলিয়ন পাউন্ড মজুরি ব্যয়ের বৃদ্ধির ফল। স্পষ্টতই, খুচরা বিক্রয় সূচকের শক্তিশালী ফলাফল এখন চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3570-এ পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3620 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3655 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতন হয়ে 1.3420 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4pAj6Nc
-
ফেডের কর্মকর্তাদের সতর্ক বক্তব্য মার্কিন ডলারের দরকে প্রভাবিত করেনি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1547660925.jpg[/IMG]
গতকাল ক্লিভল্যান্ড ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লোরেটা হ্যাম্যাকের এক সাক্ষাৎকার ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তিনি বলেন যে তিনি এখনও মুদ্রাস্ফীতির হার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বাড়তি অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকা উচিত। এই মন্তব্যটি বেশ বিস্ময়কর ছিল—বিশেষত গত সপ্তাহেই ফেড কর্তৃক সুদের হার হ্রাসের পর। হ্যাম্যাক উল্লেখ করেন যে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ধীর হয়ে সার্বিকভাবে শ্রমবাজার স্থিতিশীল রয়ে গেছে, যেখানে কর্মী ছাঁটাই এবং বেকারত্বের হার কম রয়েছে। একই সময়ে, মুদ্রাস্ফীতি গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে এবং আগামী কয়েক বছরেও লক্ষ্যমাত্রা নাও অর্জিত হতে পারে। তার মন্তব্যগুলো মুদ্রানীতি নমনীয় করার সাধারণ প্রবণতার বিপরীতে গিয়ে বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ট্রেডাররা ক্লিভল্যান্ড ফেডের প্রধান কর্তাব্যক্তির বক্তব্যকে এই সংকেত হিসেবে নিয়েছিল যে, ভবিষ্যতে সুদের হার হ্রাসের গতি মন্থর হতে পারে। এর ফলে ইকুইটি মার্কেটে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যায় এবং মার্কিন ডলার সাময়িকভাব্বে এই পরিস্থিতি থেকে সহায়তা পেয়েছিল। সোমবার ক্লিভল্যান্ড ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে এক আলোচনায় হ্যাম্যাক বলেন, "আমার মনে হয় আমাদের মুদ্রানীতি নমনীয় করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হওয়া উচিত। আমি উদ্বিগ্ন যে যদি আমরা এই সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে নিই, অর্থনীতি আবারও অতিরিক্ত অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।" হ্যাম্যাকের বক্তব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মুদ্রাস্ফীতির স্থায়ী চাপের উপর তার দৃষ্টি। চলমান শুল্ক যুদ্ধ এবং অনিশ্চিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ফেডের শীর্ষ অগ্রাধিকার রয়ে গেছে। একদিকে, সুদের হার কমানো হলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে এটি মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে আবারও নীতিমালা কঠোর করার প্রয়োজন সৃষ্টি করতে পারে। এই দুই লক্ষ্যের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করাই ফেডের প্রধান চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে ফেডের নেতৃত্ব সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে যে এই বছর সুদের হার আরও কতটা কমানো যায়, বিশেষত গত সপ্তাহে সুদের হার হ্রাসের পর, যা ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো করা হয়েছে। কিছু নীতিনির্ধারক ক্রমবর্ধমানভাবে শ্রমবাজারের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন, আবার অন্যরা মূলত ধারণ করছে যে শুল্ক এবং অন্যান্য পদক্ষেপগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে লক্ষ্যমাত্রার উপরে নিয়ে যেতে পারে। হ্যাম্যাক বলেন, গত সপ্তাহে সুদের হার হ্রাসের পর আর্থিক নীতিমালা এখন "খুব মাঝারি পর্যায়ে" কঠোর রয়েছে, যা সুদের হারকে নিরপেক্ষ লেভেলের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে—যা প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে না, আবার বাধাও সৃষ্টি করে না। তিনি আরও বলেন, "আমি মনে করি শ্রমবাজার এখনও যথেষ্ট ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে এবং আমি মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন।" এদিকে, কারেন্সি মার্কেটের ট্রেডাররা হ্যাম্যাকের বক্তব্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1820 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। কেবল তখনই 1.1850 লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1882 লেভেলের দিকে যেতে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1920-এর লেভেল। যদি দরপতন ঘটে, আমি আশা করি মূল্য 1.1785 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা দেবে। যদি তা না হয়, তাহলে 1.1760 লেভেল টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1725 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হল এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3540 লেভেল ব্রেক করানো। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3565 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, যার উপরে ওঠা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3605 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.3490 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেকআউট হয়ে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, এরপর 1.3415 লেভেল পর্যন্ত দরপতন প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/3Ia7yzy
-
এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ $100 বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে: স্টক ও স্বর্ণের দর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, ফেড ধীর গতিতে সুদের হার কমাতে যাচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/227793517.jpg[/IMG]
ওয়াল স্ট্রিটএর স্টক সূচক আবারও নতুন উচ্চতায় মার্কিন স্টক মার্কেট সোমবার টানা তৃতীয় সেশনে রেকর্ড লেভেলে লেনদেন করেছে, যেখানে প্রযুক্তি খাতের স্টকের মূল্যের শক্তিশালী উত্থান প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এআই আশাবাদ বাড়াচ্ছে এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ $100 বিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণার পর এনভিডিয়ার স্টকের দর প্রায় 4% বেড়েছে। চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে যে তারা ডেটা সেন্টারের জন্য প্রসেসর সরবরাহ করবে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে। অ্যাপল এবং টেসলার স্টকেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ওয়েডবুশ আসন্ন iPhone 17-এর শক্তিশালী চাহিদার কথা উল্লেখ করে স্টকের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর পর অ্যাপলের শেয়ারের দর 4.3% বেড়েছে। টেসলার শেয়ারের মূল্যও 1.9% বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে টেক সেক্টর S&P 500 সূচককে টেনে তুলেছে, যা 1.7% বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে ভারসাম্য রাখছে ফেড মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বাইরেও ট্রেডাররাক ফেডারেল রিজার্ভের সংকেতের দিকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য রেখেছিল। গত সপ্তাহে ফেড ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো সুদের হার কমিয়েছে এবং জানিয়েছে ভবিষ্যতে আরও কমানো হতে পারে। তবে সব কর্মকর্তা একমত নন। সেন্ট লুইস ফেডের প্রেসিডেন্ট আলবার্তো মুসালেম এবং আটলান্টা ফেড প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বস্টিক উভয়েই উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিককালে সুদের হারের এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট হ্রাস বাড়তে থাকা বেকারত্বের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছে, তবে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ অগ্রাধিকার রয়ে গেছে। S&P 500 সূচক মৌসুমি দুর্বলতাকে অগ্রাহ্য করছে S&P 500 সূচক বছরের শুরু থেকে 13.8% বেড়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে 3.6% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও ঐতিহাসিকভাবে সেপ্টেম্বর মাস ইকুইটি মার্কেটের জন্য দুর্বল থাকে। স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 66 পয়েন্ট বা 0.14% বেড়ে 46,381.54-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে। S&P 500 সূচক 29 পয়েন্ট বা 0.44% বেড়ে 6,693.75-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে। নাসডাক কম্পোজিট 157 পয়েন্ট বা 0.70% বেড়ে 22,788.98-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে।
Kenvue শেয়ারের অস্থির লেনদেন যখন বিনিয়োগকারীরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন তখন Tylenol প্রস্তুতকারী Kenvue-এর শেয়ারের 7.5% দরপতন হয়েছিল, যিনি ব্যথানাশক ওষুধ এবং অটিজমের সম্ভাব্য সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দিতে যাচ্ছিলেন। মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে FDA চিকিৎসকদের গর্ভবতী নারীদের অ্যাসিটামিনোফেন প্রেসক্রাইব না করার সুপারিশ করবে। তার বক্তব্যের পর Kenvue-এর শেয়ারএর মূল্য শক্তিশালীভাবে রিবাউন্ড করে 4.7% বেড়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতির দিকে দৃষ্টি এই সপ্তাহের প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হবে মার্কিন পারসোনাল কনজাম্পজন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) প্রাইস ইনডেক্স, যা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর এশিয়ার স্টক মার্কেটে কারেকশন মঙ্গলবার বেশিরভাগ এশীয় স্টক মার্কেট সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধির পর কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আশাবাদ প্রযুক্তি শেয়ারে অর্থ প্রবাহিত করতে থাকে, অন্যদিকে ফেড কর্তৃক আরও সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা স্বর্ণের দাম বাড়তে সহায়তা করে। ওয়াল স্ট্রিট আবার নতুন রেকর্ড গড়লো এনভিডিয়া ওপেনএআই-তে সর্বোচ্চ 100 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর মার্কিন ইকুইটি সূচকগুলো আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কোম্পানিটি আরও নিশ্চিত করেছে যে 2026 সালের দ্বিতীয়ার্ধে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রথম চিপ সরবরাহ শুরু হবে। স্বর্ণের দর সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি $3759-এ পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে, যা শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় 9% বৃদ্ধি নির্দেশ করছে। এশিয়ার স্টক মার্কেটে টেক কোম্পানির রাজত্ব প্রযুক্তি খাতের স্টকগুলোর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এশিয়ায় সেমিকন্ডাক্টর শেয়ারের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক 0.5% বেড়েছে, যা মাসিক প্রবৃদ্ধি 9%-এর উপরে নিয়ে গেছে। জাপানের নিক্কেই ছুটির কারণে বন্ধ ছিল, তবে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এটি 6.5% বেড়েছে। তাইওয়ানের বেঞ্চমার্ক সূচকও প্রায় 7% বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনে ঊর্ধ্বমুকী প্রবণতা কমেছে তারল্য-নির্ভর প্রবৃদ্ধি ফিকে হয়ে যাওয়ায় চীনের ব্লু-চিপ শেয়ারের দর 0.8% কমেছে। ফলে জাপানের বাইরের এশিয়া-প্যাসিফিক স্টকের MSCI সূচক স্থিতিশীল ছিল, যদিও এক মাস আগের তুলনায় এটি এখনও 5.5% বেশি। ইউরোপ ও মার্কিন স্টক মার্কেটে সতর্ক মনোভাব ইউরোপীয় মার্কেটগুলো বৈশ্বিক আশাবাদের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। EUROSTOXX 50 এবং FTSE ফিউচার 0.1% বেড়েছে, আর DAX ফিউচার 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে S&P 500 এবং নাসডাক ফিউচারে তেমন পরিবর্তন হয়নি, যদিও আগের দিন উভয় সূচক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। ফেডের আরও সুদের হারের উপর বাজি বৈশ্বিক স্টক মার্কেট সমর্থন পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে আরও সুদ কমানোর প্রত্যাশা থেকে। গত সপ্তাহের নীতিগত শিথিলতার পর ট্রেডাররা আরও আত্মবিশ্বাসী যে ফেড অতিরিক্ত রেট কাট করবে। ফিউচারস মার্কেটের মূল্যায়ন অক্টোবরে এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট সুদের হার সম্ভাবনা এখন প্রায় 90% এবং ডিসেম্বরে আরেকটি কাটের সম্ভাবনা 75% নির্ধারণ করছে ফিউচারস মার্কেট। বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ফেড কর্মকর্তাদের মিশ্র বার্তার তুলনায় বেশি ডোভিশ। ফেডের ভেতরে বিভক্ত মতামত সোমবার ফেডের নতুন নিযুক্ত গভর্নর স্টিফেন মিরান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে, আক্রমণাত্মকভাবে রেট কমানোর আহ্বান জানান। তবে তার তিন সহকর্মী যুক্তি দেন যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ আরও পরিমিত অবস্থান দাবি করে। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মঙ্গলবার পরে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা মুদ্রানীতিতে আরও স্বচ্ছতা আনবে। রাজনৈতিক ঝুঁকির দিকে দৃষ্টি মার্কেট আরও বিবেচনা করছে যে সেপ্টেম্বর 30-এর ফান্ডিং ডেডলাইন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে। কারেন্সি মার্কেটে অস্থিরতা কারেন্সি ট্রেডিংয়ে ডলার টানা তিন সেশনের প্রবৃদ্ধির পর কিছুটা নেমে গেছে। ইউরো $1.1803-এ স্থিতিশীল ছিল, যা সোমবারের $1.1726 লো থেকে রিবাউন্ড করেছে। ইয়েনের বিপরীতে ডলার সাময়িকভাবে 148 স্পর্শ করার পর নেমে গেছে 147.77-এ। সুইডিশ ক্রোনা ডলারের বিপরীতে $9.3497-এ স্থিতিশীল ছিল, যখন বিনিয়োগকারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেট সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন। ফিউচারস বর্তমানে এক-তৃতীয়াংশ কাটের সম্ভাবনা নির্ধারণ করছে। তেলের উপর চাপ রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত সরবরাহের উদ্বেগ ক্রুডের দাম কমিয়ে দিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড 0.5% কমে ব্যারেলপ্রতি $66.24-এ নেমেছে, আর মার্কিন ক্রুড একই হারে কমে $61.98-এ নেমেছে।
Read more: https://ifxpr.com/4muo3Es
-
স্বর্ণের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1736099411.jpg[/IMG]
স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে তবে এখনো এটির মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি রয়েছে, কারণ ট্রেডাররা—মার্কি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল এবং এই সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের ভিন্নমত লক্ষ্য করে—ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সম্পর্কিত প্রত্যাশা পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। স্বর্ণের দর আউন্সপ্রতি প্রায় $3,719-এ নেমে এসেছে, যা মঙ্গলবার রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ লেভেল থেকে $70 নিচে। বুধবার স্বর্ণের মূল্য কমে যায়, যখন প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় যে আগস্টে মার্কিন নতুন আবাসন বিক্রয় অপ্রত্যাশিতভাবে 2022 সালের শুরুর পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ কমিয়েছে। ডলারের দর প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে, যা অধিকাংশ ক্রেতার জন্য স্বর্ণকে আরও ব্যয়বহুল করেছে। ট্রেডাররা মার্কিন কর্মকর্তাদের মন্তব্যও বিবেচনা করেছেন। বুধবার, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল কর্তৃক সুদের হার কমানোর জন্য স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সপ্তাহের শুরুতে, ফেডের চেয়ারম্যান শ্রমবাজার দুর্বলতা এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। সাধারণত সুদের হার হ্রাস মূল্যবান ধাতুর জন্য ইতিবাচক, কারণ এগুলো সুদ প্রদান করে না। এছাড়াও, সরবরাহ এবং চাহিদার গতিশীলতা এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু অঞ্চলে স্বর্ণ উৎপাদন হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর—বিশে করে উন্নয়নশীল বাজারগুলোতে—চাহি া বৃদ্ধির ফলে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রিজার্ভ বৈচিত্র্যময় করতে এবং মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে স্বর্ণ ব্যবহার করছে। এই প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্বর্ণের মৌলিক চাহিদাকে সহায়তা করবে। আশ্চর্যের কিছু নেই যে বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়ের কারণে স্বর্ণ ও রূপা এই বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় কমোডিটি হয়ে উঠেছে—এর মধ্যে রয়েছে গত সপ্তাহে ফেড কর্তৃক সুদের হার হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো থেকে ব্যাপক চাহিদা। মঙ্গলবার স্বর্ণের 1.2% বেড়ে আউন্সপ্রতি $3,791.10-এ পৌঁছেছে, গুজব অনুসারে চীন মূল্যবান ধাতুতে ফরেন সভারিন রিজার্ভের কাস্টডিয়ান হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETFs) থেকেও স্বর্ণের চাহিদা শক্তিশালী ছিল, যার ইনফ্লো গত শুক্রবার তিন বছরের সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের স্বর্ণের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স $3,756 ব্রেক করাতে হবে। এটি স্বর্ণের মূল্যের $3,802 পর্যন্ত অগ্রগতির পথ খুলে দেবে, যার উপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে $3,849 এরিয়া। স্বর্ণের দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য $3,705 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং স্বর্ণের মূল্যকে $3,658 পর্যন্ত নামিয়ে আনতে পারে, যেখানে আরও নিচে $3,600 পর্যন্ত দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3W4CFzE