-
সংকট থেকে মার্কিন ডলারের সহসাই মুক্তি মিলছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/781340206.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার সমস্যার মুখোমুখি হয়েই চলেছে, এবং মূল প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে: ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের আগে এবং বৈঠকের পরে এটি কতটা দরপতনের শিকার হবে। এই সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হলো ফেডের কর্মকর্তারা কি ট্রেডারদের ধারাবাহিকভাবে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার বিপরীতে কোনো অবস্থান নেবেন কিনা, যা বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদদের মতে আগামী বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। স্পষ্টতই, বুধবারের ফেডের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাজারের (মুদ্রাসহ) পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে, তবে এটিই ক্যালেন্ডারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নয়। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অব জাপানও মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। ট্রেডারদের দৃষ্টি নিঃসন্দেহে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে থাকবে, যেখানে তিনি সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করবেন এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কখন সুদের হার কমানো শুরু হতে পারে এবং কী মাত্রায় তা করা হবে সে বিষয়ে যেকোনো সংকেতের জন্য ট্রেডাররা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ট্রেডারদের প্রত্যাশা এবং ফেডের নির্দেশনার মধ্যে যেকোনো ভিন্নতা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের গতি মন্থর হওয়ায় তা ফেডকে একটি জটিল অবস্থার মধ্যে ফেলেছে: একদিকে কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখায় তা অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে খুব দ্রুত মুদ্রানীতি নমনীয় করা হলে সেটি নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। ফেডের কৌশল নির্ধারণে পাওয়েলের বক্তব্যই মূল বিবেচ্য বিষয় হবে। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন তিনি এ বছর আরও সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করবেন, তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে সুদের হার কতবার কমানো হবে। একই সময়ে, মার্কেটে অনিশ্চয়তা এড়াতে পাওয়েলের জন্য বক্তব্যে অস্পষ্টতা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হবে। তার কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্যের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। যদি পাওয়েল চাকরি হারানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন—কারণ মহামারির পর শ্রমবাজার সবচেয়ে বড় মন্দার সম্মুখীন হয়েছে—তাহলে এটি ফেডের সুদের হার কমানোর মাত্রা বাড়ানোর সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিপরীতে, যদি তিনি শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন এবং বর্তমান সমস্যাকে অস্থায়ী হিসেবে উপস্থাপন করেন, তবে এটি ফেডের আর্থিক নীতিমালা আরও দীর্ঘ সময় কঠোর রাখার ইঙ্গিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তও গুরুত্বপূর্ণ হবে। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার অর্থনৈতিক গতিশীলতা যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রায় একই রকম, ফেডের পথ অনুসরণের চাপের মধ্যে পড়তে পারে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব জাপানের সতর্কভাবে অপেক্ষার অবস্থান এবং ইয়িল্ড কার্ভের নিয়ন্ত্রণ এখনও বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে। সুদের হার আরও বাড়ানোর প্রস্তুতির যেকোনো ইঙ্গিত বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যেহেতু জাপান একটি বড় ঋণদাতা দেশ। সার্বিকভাবে, এই সপ্তাহ বেশ ঘটনাবহুল এবং অনিশ্চয়তায় ভরপুর হবে, যেহেতু বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1745 লেভেলের উপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1780 পৌঁছানো সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1813 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া তা চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1866। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.1700 লেভেলের কাছে থাকা অবস্থায় আমি এই পেয়ার ক্রয়ের উল্লেখযোগ্য আগ্রহের আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে মূল্যের 1.1665-এ নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1630 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: পাউন্ড ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3590-এর তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3615-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যদিও মূল্যের আরও উপরে ওঠা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3645। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3525 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3495-এর দিকে নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3458 পর্যন্ত দরপতন আরও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/46AIKd8
-
যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে দুর্বলতার ইঙ্গিত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/336313280.jpg[/IMG]
ইতিবাচক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ড পুরোপুরিভাবে সহায়তা পায়নি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো আসন্ন কর বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নেয়ায় গ্রীষ্মকাল জুড়ে যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে দুর্বল পরিস্থিতি অব্যাহত থেকেছে, যা অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, আগস্টে কর্মসংস্থানের সংখ্যা আরও 8,000 হ্রাস পেয়েছে, যা টানা সপ্তম মাসের মতো পতন। ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য ইতিবাচক হলেও তা উদ্বেগজনক। তিন মাসের বোনাস বাদে মজুরি প্রবৃদ্ধি কমে 4.8%-এ নেমে এসেছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বেসরকারি খাতের মজুরি প্রবৃদ্ধি কমে 4.7%-এ দাঁড়িয়েছে, যে সূচকটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। বেকারত্বের হার 4.7%-এ স্থির হয়েছে, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, অন্যদিকে চাকরির শূন্যপদের সংখ্যা অব্যাহতভাবে হ্রাস পেয়েছে। স্পষ্টতই, শ্রমবাজার কার্যক্রমের মন্থরতা ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, কম কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং দুর্বল মজুরি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে, যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ নির্দেশ করছে। এমনকি বেকারত্ব সামান্য বাড়লেও তা সতর্কবার্তা দেয়, যা ইঙ্গিত দেয় যে কোম্পানিগুলো ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শূন্যপদ হ্রাস শ্রম চাহিদা দুর্বল হওয়ার প্রমাণ দেয়, কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হচ্ছে। মজুরি প্রবৃদ্ধির মন্থরতা যদিও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করে, যা ভোক্তা চাহিদা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সার্বিকভাবে, যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। অতিরিক্ত কর বৃদ্ধি অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে এবং শ্রমবাজার পরিস্থিতিকে আরও নেতিবাচক করতে পারে। এই পরিসংখ্যান চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্যও বড় ধাক্কা, যিনি এপ্রিল মাসে বেতন কর এবং ন্যূনতম মজুরি করের তীব্র বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার কারণ হয়ে দাঁড়ানোর জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। কোম্পানি ও ভোক্তারা এখন 26 নভেম্বর বাজেটে নতুন জনঅর্থ ঘাটতি পূরণের জন্য আরেক দফা কর বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সময়ে, এই প্রতিবেদন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগ হ্রাস করবে না। যদিও গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি শ্রমবাজারের দুর্বলতার ওপর জোর দিয়েছেন, তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা ক্রমশ উদ্বিগ্ন হচ্ছেন যে সাম্প্রতিককালে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ভোক্তাদের মধ্যে স্থায়ীভাবে পণ্য মূল্যের বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি করছে। খাদ্য ও জ্বালানির বিল বৃদ্ধি 18 মাসের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতিকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে হয়েছে, এবং আগামীকালের প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতি 3.8%-এ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। গত এক মাসে ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা পুনর্বিবেচনা করেছে এবং এ বছর আর কোনো নমনীয়করণের প্রত্যাশা করছে না। নয় সদস্যবিশিষ্ট মুদ্রানীতি কমিটি বৃহস্পতিবার মূল সুদের হার 4%-এ অপরিবর্তিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3645-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3675-এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3710 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3610 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3585-এর নিম্ন লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3550 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4nD1dM6
-
আজ ফেডের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/619247090.jpg[/IMG]
আজ ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা সুদের হার কমিয়ে মার্কিন শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি হবে একটি নীতিগত পরিবর্তন, যেখানে গত কয়েক মাস ধরে শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এটি মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সুদের হার হ্রাস করা হলে সেটি ঋণ গ্রহণ ও বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ এই ধরনের পদক্ষেপের সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, নিম্ন সুদের হারে ফিরে গেলে তা অ্যাসেটের বাবলের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে এবং আর্থিক খাতের অস্থিরতা বাড়াতে পারে। তাছাড়া তারা সতর্ক করেছেন যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তারা চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ঋণ গ্রহণ ও ব্যয় করতে দ্বিধা করলে এই সুদের হার হ্রাসের পদক্ষেপ অকার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এই নীতিগত পরিবর্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত চাপের মধ্যে আসছে, যিনি এই সপ্তাহে আরও বড় আকারে সুদের হার হ্রাসের দাবি করেছিলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির এই নাটকীয়তা এমনকি প্রশ্ন তুলেছিল এই সপ্তাহের বৈঠকে কারা অংশ নেবেন তা নিয়ে, যদিও সোমবার সন্ধ্যায় সিনেটে ফেডের নতুন এক গভর্নরকে অনুমোদন দেওয়ার পর তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বাইরে, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে এবং সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসগুলোর ওপর দিকে থাকবে, যেখান থেকে আগামী মাসগুলোতে সুদের হারের সম্ভাব্য পথ সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে "ডট প্লট"-এ—যে চার্টে FOMC সদস্যদের ভবিষ্যৎ সুদের হার সম্পর্কিত ব্যক্তিগত পূর্বাভাস দেখানো হয়। এই পূর্বাভাসগুলোতে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিলে তা ফেডের অভ্যন্তরে বিভাজনকে উন্মোচিত করবে এবং মার্কেটে অনিশ্চয়তা বাড়াবে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত পূর্বাভাসও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবেন। এই পূর্বাভাসগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন ট্রেডারদের প্রত্যাশা ও বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উপর প্রবল প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, "প্রতিটি সুদের হার হ্রাসের পদক্ষেপ পূর্ববর্তীটির তুলনায় আরও কঠিন হয়ে উঠবে, যদি না শ্রমবাজার আরও অবনতির লক্ষণ দেখা যায়।" আগেই যেমন বলা হয়েছে, সুদের হার প্রত্যাশিত কোয়ার্টার-পয়েন্ট হ্রাস নিয়ে ফেডের সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি থাকতে পারে। কিছু কর্মকর্তা আরও উচ্চ হারে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে চাপ দিতে পারেন, আবার কেউ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে থাকতে পারেন। শেষ পর্যন্ত বিতর্কটি কেন্দ্র করবে কোন বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ: শ্রমবাজারের তীব্র অবনতি নাকি শুল্কের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি। যাইহোক, যদি নীতিনির্ধারকদের পূর্বাভাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না দেখা যায় এবং আজকের সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়ে থাকে, তবে স্বল্পমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে যদি ফেডের অধিকাংশ সদস্য ভবিষ্যতের জন্য আরও ডোভিশ বা নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন—অথবা আরও কঠোর হয়ে সুদের হার অর্ধ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেন—তাহলে সম্ভবত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে, যেমন ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার দুর্বল হবে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1875 লেভেলের নিয়ে যেতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1910 লেভেল টেস্ট করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1940-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1985 উচ্চতা। অন্যদিকে, মূল্য কেবল 1.1835 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রমের আশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1790 রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করা অথবা 1.1750 থেকে লং পজিশন ওপেন করা উত্তম হবে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3665-এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। এটি 1.3710 পর্যন্ত অগ্রগতির সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে, যা ব্রেক করে মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা প্রায় 1.3745-এ অবস্থিত। যদি এই পেয়ারের দরপতন শুরু করে, তবে মূল্য 1.3625 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য গুরুতর আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3590-এর দিকে চলে যেতে পারে, যেখানে 1.3550 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/41WQ6oM
-
১৮ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1770839654.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে, আর সপ্তাহের শেষ দিকে ট্রেডাররা পুরোপুরিভাবে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে মনোযোগ দেবে। ফেড গতকাল সন্ধ্যায় তাদের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তবে আজকের পুরোটা সময় এই দুটি কারেন্সি পেয়ার সেই ইভেন্টের চাপের মধ্যে থাকতে পারে। ফেডের বৈঠকের পর আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নিঃসন্দেহে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে, তবে একই সময়ে এটি পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট ঘটাতে পারে, কারণ ট্রেডাররা সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ভোট বণ্টনের দিকে মনোযোগ দেবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/919969386.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ বেশ উল্লেখযোগ্য। লাগার্ড ইতোমধ্যেই এই সপ্তাহে দুইবার বক্তব্য রেখেছেন, এবং উভয় ক্ষেত্রেই তিনি মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই ট্রেডারদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে। আজকের মূল ইভেন্ট হলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বৈঠক। এই বৈঠকের ফলাফল দিনেরবেলা ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য নতুন বাই সিগন্যাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। আজ 1.1808 লেভেল থেকে ইউরো ট্রেড করা যেতে পারে, আর পাউন্ডে ট্রেডিং নির্ভর করবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের ওপর। এই গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত মার্কেটে এন্ট্রি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না, কারণ অনিশ্চিত প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে—আগেভাগে কেউই জানে না যে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেবে।
Read more: https://ifxpr.com/46bgrSD
-
নতুন প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/953415580.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের আবারও দরপতন শুরু হয়েছে, কারণ আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে—যা আসন্ন শরতের বাজেটের আগে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এমনকি খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও পাউন্ডকে সহায়টা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক এসেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ঋণ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 18 বিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং-এ, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের 12.5 বিলিয়ন পাউন্ডের পূর্বাভাসের অনেক উপরে এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক ঋণগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ঋণগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যের ইতোমধ্যেই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাউন্ড কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের সংকেত দিচ্ছে। ঋণগ্রহণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকলে যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনমন হতে পারে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণকে আরও কঠিন করে তুলবে এবং সরকারি ঋণ পরিশোধের খরচ বাড়িয়ে তুলবে। র্যাচেল রিভস এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে তাকে এমন একটি বাজেট প্রস্তুত করতে হবে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে কিন্তু ঋণের বোঝা বাড়াবে না। তাকে অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ব্যয় সংকোচনের দাবির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। এই শরতে প্রকাশিতব্য বাজেট যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে। এর ফলাফল শুধু আগামী কয়েক বছরের অর্থনৈতিক নীতিমালাই নির্ধারণ করবে না, বরং পাউন্ডের মূল্যের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে, যা সরকারের প্রতিটি ঘোষণা ও পরিকল্পনার পরিবর্তনের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শেষে বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 83.8 বিলিয়ন পাউন্ডে, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের পূর্বাভাসের চেয়ে 11.4 বিলিয়ন বেশি এবং এক বছর আগের তুলনায় 67.6 বিলিয়ন পাউন্ড বেশি। এই অবনতির পেছনে রয়েছে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা এবং ঋণের সুদ প্রদানে ব্যয় বৃদ্ধি, পাশাপাশি প্রতিকূল সংশোধিত পূর্বাভাসও এতে ভূমিকা রেখেছে। ঋণ পরিষেবার বাড়তি খরচ, ধারাবাহিকভাবে আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তন, এবং বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশিত নিম্নমুখী সংশোধন চ্যান্সেলরের নিজস্ব আর্থিক নিয়ম ভাঙতে পারে, যেখানে বলা হয়েছে 2029–30 অর্থবছরের মধ্যে রাজস্ব দিয়ে বর্তমান ব্যয় মেটাতে হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস জানিয়েছে, অনলাইন ও দোকানে বিক্রিত পণ্যের পরিমাণ 0.5% বেড়েছে, যা জুলাই মাসের সংশোধিত 0.5% বৃদ্ধির সাথে মিলে গেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পোশাক ও বেকারি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে, যা কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের দোকানের বিক্রি হ্রাসকে পুষিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রয় সূচকের 0.4% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করছে যে ভোক্তারা গ্রীষ্মকালে কর্মী ছাঁটাই, মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতি এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছেন, যার একটি বড় অংশ লেবার সরকারের 26 বিলিয়ন পাউন্ড মজুরি ব্যয়ের বৃদ্ধির ফল। স্পষ্টতই, খুচরা বিক্রয় সূচকের শক্তিশালী ফলাফল এখন চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3570-এ পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3620 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3655 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতন হয়ে 1.3420 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4ptywCK
-
নতুন প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/955624721.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের আবারও দরপতন শুরু হয়েছে, কারণ আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণগ্রহণের পরিমাণ পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে—যা আসন্ন শরতের বাজেটের আগে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এমনকি খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও পাউন্ডকে সহায়টা করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক এসেছিল। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ঋণ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 18 বিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং-এ, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের 12.5 বিলিয়ন পাউন্ডের পূর্বাভাসের অনেক উপরে এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাসিক ঋণগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ঋণগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যের ইতোমধ্যেই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাউন্ড কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের সংকেত দিচ্ছে। ঋণগ্রহণের মাত্রা আরও বাড়তে থাকলে যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট রেটিংয়ের অবনমন হতে পারে, যা বিনিয়োগ আকর্ষণকে আরও কঠিন করে তুলবে এবং সরকারি ঋণ পরিশোধের খরচ বাড়িয়ে তুলবে। র্যাচেল রিভস এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে তাকে এমন একটি বাজেট প্রস্তুত করতে হবে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে কিন্তু ঋণের বোঝা বাড়াবে না। তাকে অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ব্যয় সংকোচনের দাবির মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। এই শরতে প্রকাশিতব্য বাজেট যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হবে। এর ফলাফল শুধু আগামী কয়েক বছরের অর্থনৈতিক নীতিমালাই নির্ধারণ করবে না, বরং পাউন্ডের মূল্যের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করবে, যা সরকারের প্রতিটি ঘোষণা ও পরিকল্পনার পরিবর্তনের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস শেষে বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে 83.8 বিলিয়ন পাউন্ডে, যা বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিসের পূর্বাভাসের চেয়ে 11.4 বিলিয়ন বেশি এবং এক বছর আগের তুলনায় 67.6 বিলিয়ন পাউন্ড বেশি। এই অবনতির পেছনে রয়েছে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা এবং ঋণের সুদ প্রদানে ব্যয় বৃদ্ধি, পাশাপাশি প্রতিকূল সংশোধিত পূর্বাভাসও এতে ভূমিকা রেখেছে। ঋণ পরিষেবার বাড়তি খরচ, ধারাবাহিকভাবে আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তন, এবং বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশিত নিম্নমুখী সংশোধন চ্যান্সেলরের নিজস্ব আর্থিক নিয়ম ভাঙতে পারে, যেখানে বলা হয়েছে 2029–30 অর্থবছরের মধ্যে রাজস্ব দিয়ে বর্তমান ব্যয় মেটাতে হবে। উল্লেখযোগ্য যে, আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস জানিয়েছে, অনলাইন ও দোকানে বিক্রিত পণ্যের পরিমাণ 0.5% বেড়েছে, যা জুলাই মাসের সংশোধিত 0.5% বৃদ্ধির সাথে মিলে গেছে। উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পোশাক ও বেকারি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে, যা কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের দোকানের বিক্রি হ্রাসকে পুষিয়ে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রয় সূচকের 0.4% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করছে যে ভোক্তারা গ্রীষ্মকালে কর্মী ছাঁটাই, মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতি এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছেন, যার একটি বড় অংশ লেবার সরকারের 26 বিলিয়ন পাউন্ড মজুরি ব্যয়ের বৃদ্ধির ফল। স্পষ্টতই, খুচরা বিক্রয় সূচকের শক্তিশালী ফলাফল এখন চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3570-এ পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3620 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবে, যা ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3655 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতন হয়ে 1.3420 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4pAj6Nc
-
ফেডের কর্মকর্তাদের সতর্ক বক্তব্য মার্কিন ডলারের দরকে প্রভাবিত করেনি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1547660925.jpg[/IMG]
গতকাল ক্লিভল্যান্ড ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট লোরেটা হ্যাম্যাকের এক সাক্ষাৎকার ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তিনি বলেন যে তিনি এখনও মুদ্রাস্ফীতির হার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বাড়তি অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকা উচিত। এই মন্তব্যটি বেশ বিস্ময়কর ছিল—বিশেষত গত সপ্তাহেই ফেড কর্তৃক সুদের হার হ্রাসের পর। হ্যাম্যাক উল্লেখ করেন যে সাম্প্রতিক সময়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ধীর হয়ে সার্বিকভাবে শ্রমবাজার স্থিতিশীল রয়ে গেছে, যেখানে কর্মী ছাঁটাই এবং বেকারত্বের হার কম রয়েছে। একই সময়ে, মুদ্রাস্ফীতি গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে এবং আগামী কয়েক বছরেও লক্ষ্যমাত্রা নাও অর্জিত হতে পারে। তার মন্তব্যগুলো মুদ্রানীতি নমনীয় করার সাধারণ প্রবণতার বিপরীতে গিয়ে বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ট্রেডাররা ক্লিভল্যান্ড ফেডের প্রধান কর্তাব্যক্তির বক্তব্যকে এই সংকেত হিসেবে নিয়েছিল যে, ভবিষ্যতে সুদের হার হ্রাসের গতি মন্থর হতে পারে। এর ফলে ইকুইটি মার্কেটে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যায় এবং মার্কিন ডলার সাময়িকভাব্বে এই পরিস্থিতি থেকে সহায়তা পেয়েছিল। সোমবার ক্লিভল্যান্ড ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে এক আলোচনায় হ্যাম্যাক বলেন, "আমার মনে হয় আমাদের মুদ্রানীতি নমনীয় করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হওয়া উচিত। আমি উদ্বিগ্ন যে যদি আমরা এই সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে নিই, অর্থনীতি আবারও অতিরিক্ত অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।" হ্যাম্যাকের বক্তব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মুদ্রাস্ফীতির স্থায়ী চাপের উপর তার দৃষ্টি। চলমান শুল্ক যুদ্ধ এবং অনিশ্চিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ফেডের শীর্ষ অগ্রাধিকার রয়ে গেছে। একদিকে, সুদের হার কমানো হলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে এটি মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে আবারও নীতিমালা কঠোর করার প্রয়োজন সৃষ্টি করতে পারে। এই দুই লক্ষ্যের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করাই ফেডের প্রধান চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে ফেডের নেতৃত্ব সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছে যে এই বছর সুদের হার আরও কতটা কমানো যায়, বিশেষত গত সপ্তাহে সুদের হার হ্রাসের পর, যা ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো করা হয়েছে। কিছু নীতিনির্ধারক ক্রমবর্ধমানভাবে শ্রমবাজারের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন, আবার অন্যরা মূলত ধারণ করছে যে শুল্ক এবং অন্যান্য পদক্ষেপগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে লক্ষ্যমাত্রার উপরে নিয়ে যেতে পারে। হ্যাম্যাক বলেন, গত সপ্তাহে সুদের হার হ্রাসের পর আর্থিক নীতিমালা এখন "খুব মাঝারি পর্যায়ে" কঠোর রয়েছে, যা সুদের হারকে নিরপেক্ষ লেভেলের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে—যা প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে না, আবার বাধাও সৃষ্টি করে না। তিনি আরও বলেন, "আমি মনে করি শ্রমবাজার এখনও যথেষ্ট ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে এবং আমি মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন।" এদিকে, কারেন্সি মার্কেটের ট্রেডাররা হ্যাম্যাকের বক্তব্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1820 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। কেবল তখনই 1.1850 লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1882 লেভেলের দিকে যেতে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1920-এর লেভেল। যদি দরপতন ঘটে, আমি আশা করি মূল্য 1.1785 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা দেবে। যদি তা না হয়, তাহলে 1.1760 লেভেল টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1725 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট: পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হল এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3540 লেভেল ব্রেক করানো। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3565 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, যার উপরে ওঠা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3605 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.3490 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেকআউট হয়ে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3455 লেভেলে নেমে যেতে পারে, এরপর 1.3415 লেভেল পর্যন্ত দরপতন প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/3Ia7yzy
-
এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ $100 বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে: স্টক ও স্বর্ণের দর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, ফেড ধীর গতিতে সুদের হার কমাতে যাচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/227793517.jpg[/IMG]
ওয়াল স্ট্রিটএর স্টক সূচক আবারও নতুন উচ্চতায় মার্কিন স্টক মার্কেট সোমবার টানা তৃতীয় সেশনে রেকর্ড লেভেলে লেনদেন করেছে, যেখানে প্রযুক্তি খাতের স্টকের মূল্যের শক্তিশালী উত্থান প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এআই আশাবাদ বাড়াচ্ছে এনভিডিয়া ওপেনএআই-এ $100 বিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণার পর এনভিডিয়ার স্টকের দর প্রায় 4% বেড়েছে। চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে যে তারা ডেটা সেন্টারের জন্য প্রসেসর সরবরাহ করবে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে। অ্যাপল এবং টেসলার স্টকেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ওয়েডবুশ আসন্ন iPhone 17-এর শক্তিশালী চাহিদার কথা উল্লেখ করে স্টকের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর পর অ্যাপলের শেয়ারের দর 4.3% বেড়েছে। টেসলার শেয়ারের মূল্যও 1.9% বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে টেক সেক্টর S&P 500 সূচককে টেনে তুলেছে, যা 1.7% বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে ভারসাম্য রাখছে ফেড মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বাইরেও ট্রেডাররাক ফেডারেল রিজার্ভের সংকেতের দিকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য রেখেছিল। গত সপ্তাহে ফেড ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো সুদের হার কমিয়েছে এবং জানিয়েছে ভবিষ্যতে আরও কমানো হতে পারে। তবে সব কর্মকর্তা একমত নন। সেন্ট লুইস ফেডের প্রেসিডেন্ট আলবার্তো মুসালেম এবং আটলান্টা ফেড প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বস্টিক উভয়েই উল্লেখ করেছেন, সাম্প্রতিককালে সুদের হারের এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট হ্রাস বাড়তে থাকা বেকারত্বের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছে, তবে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ অগ্রাধিকার রয়ে গেছে। S&P 500 সূচক মৌসুমি দুর্বলতাকে অগ্রাহ্য করছে S&P 500 সূচক বছরের শুরু থেকে 13.8% বেড়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে 3.6% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও ঐতিহাসিকভাবে সেপ্টেম্বর মাস ইকুইটি মার্কেটের জন্য দুর্বল থাকে। স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 66 পয়েন্ট বা 0.14% বেড়ে 46,381.54-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে। S&P 500 সূচক 29 পয়েন্ট বা 0.44% বেড়ে 6,693.75-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে। নাসডাক কম্পোজিট 157 পয়েন্ট বা 0.70% বেড়ে 22,788.98-এ থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে।
Kenvue শেয়ারের অস্থির লেনদেন যখন বিনিয়োগকারীরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন তখন Tylenol প্রস্তুতকারী Kenvue-এর শেয়ারের 7.5% দরপতন হয়েছিল, যিনি ব্যথানাশক ওষুধ এবং অটিজমের সম্ভাব্য সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য দিতে যাচ্ছিলেন। মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে FDA চিকিৎসকদের গর্ভবতী নারীদের অ্যাসিটামিনোফেন প্রেসক্রাইব না করার সুপারিশ করবে। তার বক্তব্যের পর Kenvue-এর শেয়ারএর মূল্য শক্তিশালীভাবে রিবাউন্ড করে 4.7% বেড়ে যায়। মুদ্রাস্ফীতির দিকে দৃষ্টি এই সপ্তাহের প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হবে মার্কিন পারসোনাল কনজাম্পজন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) প্রাইস ইনডেক্স, যা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর এশিয়ার স্টক মার্কেটে কারেকশন মঙ্গলবার বেশিরভাগ এশীয় স্টক মার্কেট সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধির পর কিছুটা দরপতনের শিকার হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আশাবাদ প্রযুক্তি শেয়ারে অর্থ প্রবাহিত করতে থাকে, অন্যদিকে ফেড কর্তৃক আরও সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা স্বর্ণের দাম বাড়তে সহায়তা করে। ওয়াল স্ট্রিট আবার নতুন রেকর্ড গড়লো এনভিডিয়া ওপেনএআই-তে সর্বোচ্চ 100 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর মার্কিন ইকুইটি সূচকগুলো আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কোম্পানিটি আরও নিশ্চিত করেছে যে 2026 সালের দ্বিতীয়ার্ধে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রথম চিপ সরবরাহ শুরু হবে। স্বর্ণের দর সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি $3759-এ পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে, যা শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় 9% বৃদ্ধি নির্দেশ করছে। এশিয়ার স্টক মার্কেটে টেক কোম্পানির রাজত্ব প্রযুক্তি খাতের স্টকগুলোর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এশিয়ায় সেমিকন্ডাক্টর শেয়ারের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক 0.5% বেড়েছে, যা মাসিক প্রবৃদ্ধি 9%-এর উপরে নিয়ে গেছে। জাপানের নিক্কেই ছুটির কারণে বন্ধ ছিল, তবে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এটি 6.5% বেড়েছে। তাইওয়ানের বেঞ্চমার্ক সূচকও প্রায় 7% বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনে ঊর্ধ্বমুকী প্রবণতা কমেছে তারল্য-নির্ভর প্রবৃদ্ধি ফিকে হয়ে যাওয়ায় চীনের ব্লু-চিপ শেয়ারের দর 0.8% কমেছে। ফলে জাপানের বাইরের এশিয়া-প্যাসিফিক স্টকের MSCI সূচক স্থিতিশীল ছিল, যদিও এক মাস আগের তুলনায় এটি এখনও 5.5% বেশি। ইউরোপ ও মার্কিন স্টক মার্কেটে সতর্ক মনোভাব ইউরোপীয় মার্কেটগুলো বৈশ্বিক আশাবাদের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। EUROSTOXX 50 এবং FTSE ফিউচার 0.1% বেড়েছে, আর DAX ফিউচার 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে S&P 500 এবং নাসডাক ফিউচারে তেমন পরিবর্তন হয়নি, যদিও আগের দিন উভয় সূচক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। ফেডের আরও সুদের হারের উপর বাজি বৈশ্বিক স্টক মার্কেট সমর্থন পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে আরও সুদ কমানোর প্রত্যাশা থেকে। গত সপ্তাহের নীতিগত শিথিলতার পর ট্রেডাররা আরও আত্মবিশ্বাসী যে ফেড অতিরিক্ত রেট কাট করবে। ফিউচারস মার্কেটের মূল্যায়ন অক্টোবরে এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট সুদের হার সম্ভাবনা এখন প্রায় 90% এবং ডিসেম্বরে আরেকটি কাটের সম্ভাবনা 75% নির্ধারণ করছে ফিউচারস মার্কেট। বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ফেড কর্মকর্তাদের মিশ্র বার্তার তুলনায় বেশি ডোভিশ। ফেডের ভেতরে বিভক্ত মতামত সোমবার ফেডের নতুন নিযুক্ত গভর্নর স্টিফেন মিরান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে, আক্রমণাত্মকভাবে রেট কমানোর আহ্বান জানান। তবে তার তিন সহকর্মী যুক্তি দেন যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ আরও পরিমিত অবস্থান দাবি করে। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মঙ্গলবার পরে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা মুদ্রানীতিতে আরও স্বচ্ছতা আনবে। রাজনৈতিক ঝুঁকির দিকে দৃষ্টি মার্কেট আরও বিবেচনা করছে যে সেপ্টেম্বর 30-এর ফান্ডিং ডেডলাইন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে। কারেন্সি মার্কেটে অস্থিরতা কারেন্সি ট্রেডিংয়ে ডলার টানা তিন সেশনের প্রবৃদ্ধির পর কিছুটা নেমে গেছে। ইউরো $1.1803-এ স্থিতিশীল ছিল, যা সোমবারের $1.1726 লো থেকে রিবাউন্ড করেছে। ইয়েনের বিপরীতে ডলার সাময়িকভাবে 148 স্পর্শ করার পর নেমে গেছে 147.77-এ। সুইডিশ ক্রোনা ডলারের বিপরীতে $9.3497-এ স্থিতিশীল ছিল, যখন বিনিয়োগকারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেট সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন। ফিউচারস বর্তমানে এক-তৃতীয়াংশ কাটের সম্ভাবনা নির্ধারণ করছে। তেলের উপর চাপ রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত সরবরাহের উদ্বেগ ক্রুডের দাম কমিয়ে দিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড 0.5% কমে ব্যারেলপ্রতি $66.24-এ নেমেছে, আর মার্কিন ক্রুড একই হারে কমে $61.98-এ নেমেছে।
Read more: https://ifxpr.com/4muo3Es
-
স্বর্ণের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1736099411.jpg[/IMG]
স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে তবে এখনো এটির মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি রয়েছে, কারণ ট্রেডাররা—মার্কি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল এবং এই সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের ভিন্নমত লক্ষ্য করে—ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সম্পর্কিত প্রত্যাশা পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। স্বর্ণের দর আউন্সপ্রতি প্রায় $3,719-এ নেমে এসেছে, যা মঙ্গলবার রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ লেভেল থেকে $70 নিচে। বুধবার স্বর্ণের মূল্য কমে যায়, যখন প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় যে আগস্টে মার্কিন নতুন আবাসন বিক্রয় অপ্রত্যাশিতভাবে 2022 সালের শুরুর পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ কমিয়েছে। ডলারের দর প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে, যা অধিকাংশ ক্রেতার জন্য স্বর্ণকে আরও ব্যয়বহুল করেছে। ট্রেডাররা মার্কিন কর্মকর্তাদের মন্তব্যও বিবেচনা করেছেন। বুধবার, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল কর্তৃক সুদের হার কমানোর জন্য স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সপ্তাহের শুরুতে, ফেডের চেয়ারম্যান শ্রমবাজার দুর্বলতা এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। সাধারণত সুদের হার হ্রাস মূল্যবান ধাতুর জন্য ইতিবাচক, কারণ এগুলো সুদ প্রদান করে না। এছাড়াও, সরবরাহ এবং চাহিদার গতিশীলতা এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু অঞ্চলে স্বর্ণ উৎপাদন হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর—বিশে করে উন্নয়নশীল বাজারগুলোতে—চাহি া বৃদ্ধির ফলে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রিজার্ভ বৈচিত্র্যময় করতে এবং মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে স্বর্ণ ব্যবহার করছে। এই প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্বর্ণের মৌলিক চাহিদাকে সহায়তা করবে। আশ্চর্যের কিছু নেই যে বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়ের কারণে স্বর্ণ ও রূপা এই বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় কমোডিটি হয়ে উঠেছে—এর মধ্যে রয়েছে গত সপ্তাহে ফেড কর্তৃক সুদের হার হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো থেকে ব্যাপক চাহিদা। মঙ্গলবার স্বর্ণের 1.2% বেড়ে আউন্সপ্রতি $3,791.10-এ পৌঁছেছে, গুজব অনুসারে চীন মূল্যবান ধাতুতে ফরেন সভারিন রিজার্ভের কাস্টডিয়ান হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETFs) থেকেও স্বর্ণের চাহিদা শক্তিশালী ছিল, যার ইনফ্লো গত শুক্রবার তিন বছরের সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের স্বর্ণের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স $3,756 ব্রেক করাতে হবে। এটি স্বর্ণের মূল্যের $3,802 পর্যন্ত অগ্রগতির পথ খুলে দেবে, যার উপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে $3,849 এরিয়া। স্বর্ণের দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য $3,705 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং স্বর্ণের মূল্যকে $3,658 পর্যন্ত নামিয়ে আনতে পারে, যেখানে আরও নিচে $3,600 পর্যন্ত দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3W4CFzE
-
২৬ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1655722114.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সর্বাগ্রে নজর দেওয়া উচিত কোর পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচার (PCE) প্রাইস ইনডেক্স এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের প্রতি। অনেকের মতে, PCE সূচকটি মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য ফেডারেল রিজার্ভের প্রিয় সূচক, যদিও আমরা অবশ্য এটির সাথে একমত নই। তাছাড়া, PCE সূচকের ক্ষেত্রে পূর্বাভাসের তুলনায় মূল ফলাফলের বড় ধরনের বিচ্যুতি খুবই বিরল। তাই উভয় ক্ষেত্রেই মার্কেটে কেবল তখনই প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত যখন মূল ফলাফল পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য, তবে আমরা আগেই বলেছি, বর্তমানে ইসিবির অবস্থানের ব্যাপারে ট্রেডারদের মধ্যে কোনো প্রশ্ন নেই। অর্থাৎ, এখন ইসিবির প্রধানের কাছ থেকে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত নতুন কোনো বিবৃতি প্রত্যাশা করা উচিত নয়। সময়ের সাথে সাথে মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে বা কমলে ইসিবির প্রতিনিধিদের বক্তব্যের ভঙ্গি পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এর জন্য আমাদের পরবর্তী মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়াও, আজ ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা থমাস বারকিন, মিশেল বোম্যান এবং রাফায়েল বস্টিক বক্তব্য দেবেন। মনে করিয়ে দিই, বর্তমানে ফেডারেল ওপেন মার্কেটে কমিটিতে মাত্র তিনজন স্পষ্ট "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানধারী সদস্য রয়েছেন যারা প্রতিটি বৈঠকে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে ভোট দিতে প্রস্তুত। তাই পুরো কমিটিকে "ডোভিশ বা নমনীয়" বলা যায় না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/387797285.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে মুভমেন্ট হতে পারে। গত দেড় সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই যথেষ্ট পরিমাণে দরপতন ঘটেছে, যা ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের অংশ হিসেবে রিবাউন্ডের সম্ভাবনাকে যৌক্তিক করে তুলেছে। তবে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে আরও দুটি তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হবে, যা নতুন করে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেডারদের পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল গ্রহণ করতে হবে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ট্রেডিং জোন হিসেবে কাজ করতে পারে। পাউন্ডের জন্য 1.3329–1.3334 এরিয়ায় দিকে নজর দিতে হবে, যেখান থেকে মূল্য ইতোমধ্যেই দুইবার রিবাউন্ড করেছে।
Read more: https://ifxpr.com/3IsMunZ
-
মার্কিন সরকারের শাটডাউনের ঝুঁকিতে স্বর্ণের দর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/50272875.jpg[/IMG]
ডলারের দরপতনের মধ্যে স্বর্ণের মূল্য আউন্সপ্রতি প্রায় $3,800-এ উঠে নতুন সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। স্বর্ণের দর 1.4% বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি $3,814-এ পৌঁছায়, যা গত মঙ্গলবারের রেকর্ড ভেঙে টানা ছয় সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখে। রূপার দর 2.4% বৃদ্ধি পেয়েছে, একইসাথে প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মার্কেটে অব্যাহত অস্থিরতা এবং এই ধাতুগুলোর এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে প্রবাহিত মূলধনের কারণে হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর থেকে শক্তিশালী চাহিদা—বিশেষত উদীয়মান বাজারগুলো থেকে—স্বর্ণের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৈদেশিক রিজার্ভকে স্বর্ণ দিয়ে বৈচিত্র্যময় করা ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার মূল্যের ওঠানামার বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা মার্কেটে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও স্বর্ণের উচ্চমূল্য বজায় রাখতে সহায়তা করছে। বিনিয়োগকারীরা সোমবার নির্ধারিত মার্কিন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের আগে নেতিবাচক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন—যা ফেডারেল সরকারের ফান্ডিং শেষ হওয়ার একদিন আগে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই প্রভাবে ডলারের দরপতনের আশা করা হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদি ব্যয়ের বিল নিয়ে সমঝোতায় ব্যর্থতা শাটডাউন নিয়ে আসতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে, বিশেষত শুক্রবারের বহুল প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান প্রতিবেদন, যাতে সেপ্টেম্বরে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দুর্বলতা দেখা যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন। দুর্বল ডলার সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য মূল্যবান ধাতুগুলোকে সস্তা করে তোলে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফেডের অক্টোবরের নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের পক্ষে অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে—এই পরিস্থিতি স্বর্ণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তবে, ফেডের সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ ঘিরে অনিশ্চয়তা এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, কারণ গত সপ্তাহে নীতিনির্ধারকরা আর্থিক নীতিমালা নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। বার্কলেস পিএলসি সম্প্রতি উল্লেখ করেছে যে মূল্যবান ধাতুগুলো ডলার এবং মার্কিন ট্রেজারির তুলনায় অতিমূল্যায়িত বলে মনে হচ্ছে না, যেখানে ফেডের পদক্ষেপ সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়টি কিছুটা প্রতিফলিত হওয়া উচিত, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার সম্ভাব্য হুমকির কথা বিবেচনা করলে। এই বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম 45% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর শক্তিশালী চাহিদা এবং ফেডের সুদের হার হ্রাসের নতুন প্রত্যাশার ফলে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বর্ণের মূল্য এখন টানা তৃতীয় প্রান্তিক বৃদ্ধির পথে রয়েছে। মূল্যবান ধাতু সমর্থিত ETF-এ মূলধন প্রবাহ ইতোমধ্যেই 2022 সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং ডয়েচে ব্যাংক এজি-সহ প্রধান ব্যাংকগুলো জানিয়েছে যে তারা আশা করছে স্বর্ণের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
স্বর্ণের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস ক্রেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স $3,802-এ অবস্থিত। এই লেভেল ব্রেক করলে $3,849 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বুলিশ প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে $3,906-এর লেভেলকে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, যদি পুলব্যাক ঘটে, তবে বিক্রেতারা মূল্যকে $3,756 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হবে এবং স্বর্ণের মূল্য $3,705-এ নেমে যেতে পারে , এমনকি $3,658 পর্যন্ত আরও দরপতন ঘটতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3IjGG04
-
৩০ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/559697022.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যার অধিকাংশই জার্মানি থেকে প্রকাশিত হবে। ইউরোর জন্য জার্মানির প্রতিব্দন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জার্মানি ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। তবে এটি ২৭টি দেশের মধ্যে কেবল একটি দেশ, তাই জার্মানির প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সাধারণত সীমিত হয়। আজকের প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে খুচরা বিক্রয়, বেকারত্বের হার, বেকারের সংখ্যা পরিবর্তন, এবং মুদ্রাস্ফীতি। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে মুদ্রাস্ফীতি, যা বৃদ্ধি পেয়ে 2.3%-এ পৌঁছাতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি যত বেশি হবে, ইউরোর জন্য তত ভালো, কারণ এতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) আরেক দফা আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ JOLTs চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, আর যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশিত হবে। অর্থাৎ, বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং এর মধ্যে কিছু প্রতিবেদনের ফলাফল নিশ্চিতভাবেই মার্কেটে মুভমেন্ট সৃষ্টি করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/928141389.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার আরও বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে, তবে আমরা প্রতিটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তৃতা নিয়ে আলোচনা করব না। শুধু গতকালই ইসিবি এবং ফেডের প্রতিনিধিদের অন্তত দশটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলো মার্কেটে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য, যদিও এটিও ট্রেডারদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করবে না। বর্তমানে ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, তাই লাগার্দের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বা দৃঢ় কোনো বক্তব্যের আশা করা উচিত নয়। কেবল সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ইসিবির অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য দুই দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, যা নির্দেশ করে যে ইউরোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে। EUR/USD: 1.1745–1.1754 এরিয়া এখনও প্রাসঙ্গিক, কারণ গতকাল এখান থেকে একটি রিবাউন্ড ঘটেছে। GBP/USD: মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া ব্রেক করেছে, তাই নতুন লং পজিশনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3466–1.3475 লেভেল এখনও সঠিক রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3KNgcof
-
৩ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, এবং এর মধ্যে কেবল একটিই সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ - সেটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে প্রকাশিতব্য পরিষেবা খাতের PMI। এই সূচকের পাশাপাশি, আমরা জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-এর পরিষেবা খাতের PMI-এর দ্বিতীয় অনুমান, সেইসাথে ইইউ-এর উৎপাদক মূল্য সূচকও প্রকাশিত হতে দেখব। তবে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। এছাড়াও, আজ যুক্তরাষ্ট্রে নন-ফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল, তবে সম্ভবত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মার্কিন সরকারের "শাটডাউন"-এর কারণে তা প্রকাশ করা হবে না। অতএব, আজ ট্রেডারদের মূল মনোযোগ ISM পরিষেবা খাতের PMI-এর উপর থাকবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1017082263.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাপতি ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা। লাগার্ড সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারেন, অন্যদিকে অ্যান্ড্রু বেইলি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারেন। উভয় বক্তৃতাই সম্ভাব্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ফেডের প্রতিনিধিদেরও বেশ কয়েকটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, যারা শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। ফেডের পরবর্তী বৈঠক অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত হয়েছে, যার মধ্যে শাটডাউন শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে, শাটডাউনের কারণে অক্টোবরের প্রতিবেদন "অসম্পূর্ণ" হতে পারে। সুতরাং, ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের দিকেও বাড়তি মনোযোগ দেয়া উচিত।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/105018233.jpg[/IMG]
উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোর মূল্যেরও নিম্নমুখী প্রবণতা সম্পন্ন হয়েছে (যদিও এটির মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেনি)। ইউরোর ট্রেডিং জোন হচ্ছে 1.1745–1.1754, যেখানে পাউন্ডের ক্ষেত্রে এন্ট্রি এরিয়া হচ্ছে 1.3466–1.3475 এবং 1.3413–1.3421।
Read more: https://ifxpr.com/4nzkUEV
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ৬ অক্টোবর: S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে সামান্য কারেকশন হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1687457237.jpg[/IMG]
গত শুক্রবার, মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফলের সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.01% বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক 0.28% হ্রাস পেয়েছে। শিল্পখাতভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.51% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি খাতভিত্তিক কোম্পানিগুলোর স্টকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুক্রবার কিছুটা মন্থর হয়, রেকর্ড উচ্চতা থেকে মূল্য়ের কারেকশন শুরু হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঘিরে প্রচলিত আশাবাদের মধ্যে হামাসকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বার্তা এবং মার্কিন সরকারের চলমান শাটডাউনের ফলে অর্থনৈতিক দুর্বলতার লক্ষণ প্রকাশের কারণে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছেদ পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঋণ গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ 10-বছর মেয়াদী বন্ডের ইয়েল্ড বা লভ্যাংশ শুক্রবার একদিনেই পাঁচ বেসিস পয়েন্টের বেশি কমে যায়। প্যালান্টির টেকনোলজিস ইনকর্পোরেটেডের স্টক সবচেয়ে বেশির দরপতনের তালিকায় অন্যতম ছিল, বড় ধরনের যোগাযোগ সংকট সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর যেটির দর ৭.৫% হ্রাস পেয়েছে। দিনের শেষভাগে দরপতন সত্ত্বেও S&P 500 সূচকে সামান্য প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল—এটি জুলাই মাসের পর থেকে এখন পর্যন্ত সূচকটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্কবার্তায় বলেন, যদি হামাস গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ থামাতে তার প্রস্তাবে সম্মত না হয়, তাহলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। নিউইয়র্ক মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার কিছু আগে হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবের কিছু শর্ত—যার মধ্যে জিম্মি মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—গ্রহণ করে, ফলে হামাস রবিবার পর্যন্ত বেঁধে দেয়া সময়সীমার আগেই সাড়া দিয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ISM পরিষেবা খাতের প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে—যেখানে মহামারির পর প্রথমবারের মতো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড হ্রাস পায় এবং নতুন অর্ডার বৃদ্ধির সংখ্যা খুবই কম ছিল। এটি উদ্বেগের বিষয়, কারণ পরিসেবা খাত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি—জিডি ি এবং কর্মসংস্থানের একটি বড় অংশের উৎস। এই মন্থরতার কারণ হিসেবে একাধিক বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়া। ঋণ গ্রহণের খরচ বেড়ে যাওয়া ব্যবসাগুলোর ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, আর পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের আয় হ্রাস পাচ্ছে—যা পরিষেবা খাতের চাহিদাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। তবে, ISMসূচকের হতাশাজনক ফলাফল সত্ত্বেও এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে সামগ্রিকভাবে দেশটির পরিষেবা খাত এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে সোয়াপ ট্রেডারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে যে অক্টোবর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাবে, যদিও শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি। গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায় এ নিয়ে যে, আরও কতটা সুদের হার কমানো প্রয়োজন—পূর্বে তারা সুদের হার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছিল। শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট অস্টেন গুলসবী তার আগের অভিমত পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সুদের হার কমানোর ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের অত্যন্ত সতর্ক হয়ে অগ্রসর হওয়া উচিত। অন্যদিকে, ফেডের গভর্নর স্টিভেন মিরান, যিনি সেপ্টেম্বর মাসে আরও বড় ধরনের হ্রাসের পক্ষে ছিলেন, বলেন—যদি আবাসন মূল্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়, তবে তিনি মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করবেন। কমোডিটি মার্কেটে, OPEC+-এর সরবরাহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি $61-এর নিচে নেমে যায়, যদিও গাজা সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরে শুক্রবার তেলের মূল্য কিছুটা বেড়ে যায়। স্বর্ণের মূল্য পরপর সপ্তম সপ্তাহে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার হ্রাস এবং অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতি জনিত উদ্বেগের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ ক্রয় বাড়িয়ে দিয়েছে। S&P 500 সূচকের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল $6,743 অতিক্রম করানো। সূচকটির দর এই লেভেল ব্রেক করলে নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে এবং পরবর্তী লেভেল $6,756-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি, বুলিশ ট্রেডারদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো $6,769 লেভেলের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, যা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায় এবং সূচকটি মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য $6,727 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের পক্ষ থেকে সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক হলে, সূচকটি দ্রুত $6,711 পর্যন্ত এবং সেখান থেকে $6,697 লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3VRgdKg
-
ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিবৃতি ইউরোর জন্য আংশিকভাবে সহায়ক হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/905814042.jpg[/IMG]
ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকটের ঝুঁকি যখন ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সরকারের শাটডাউনের দিকেই মোড় নিয়েছে, তখন ইউরোর দর দ্রুতই মার্কিন ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) দুই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এখন এমন কোনো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে না—কোনোদিক থেকেই নয়—যার ফলে তারা সুদের হার পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনই কোনো সম্ভাবনা প্রকাশ করছেন না। এই অবস্থান ইউরোপীয় মুদ্রার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ানোর একটি অতিরিক্ত কারণ হিসেবে কাজ করছে। ইসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গিনদোস এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন স্বীকার করেছেন যে একাধিক উপাদান এখন মূল্যস্ফীতিকে উভমুখীভাবে প্রভাবিত করছে। সোমবার মাদ্রিদে এক সম্মেলনে লুইস দে গিনদোস বলেন, "আমরা বলতে পারি যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিগুলো এখন অনেকটাই ভারসাম্যপূর্ণ—আম া আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলছি এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা আমাদের মুদ্রানীতির বর্তমান অবস্থানকে গ্রহণযোগ্য হিসেবেই বিবেচনা করছি। এর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির হার, আমাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস এবং মুদ্রানীতি পরিবর্তনের কার্যকারিতা।" বিনিয়োগকারীরা এ বক্তব্যগুলোর প্রতি সতর্ক আশাবাদের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এটিকেই সুদের হার কমানোর সংকেতের অনুপস্থিতি হিসেবে দেখছেন, যা ইউরোপীয় অ্যাসেটের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ইসিবি এখন থেকে সুদের হার পরিবর্তনের পূর্বে আগত প্রতিবেদনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ইসিবির বেশিরভাগ নীতিনির্ধারক মনে করছেন তারা তাদের বর্তমান মুদ্রানীতির কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট এবং নতুন করে নীতিমালা নমনীয় করতে হলে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের এতটাই ভিন্ন ধরনের ফলাফল আসতে হবে, যা এ মুহূর্তে তাদের মূল্য পূর্বাভাসের বাইরে। ইসিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর মুদ্রাস্ফীতি ১.৭%-এ নেমে আসবে এবং এরপর ২০২৭ সালে তা আবার ১.৯%-এ ফিরে যাবে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে—যা মূলত জার্মানি এবং অন্যান্য দেশগুলোর বাজেট ব্যয় বৃদ্ধির কারণে হবে। ফিলিপ লেইন উল্লেখ করেন—যদিও এই মুহূর্তে তিনি আরও নমনীয় আর্থিক নীতিমালার পক্ষে নন, কিন্তু নীতিনির্ধারকদের সামনে দুটি বিকল্প খোলা রয়েছে: সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা অথবা আরও কমানো। তিনি বলেন, "যদি মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্নমুখী বা উর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তাহলে একটু হ্রাসকৃত সুদের হার মধ্যমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা আরও ভালোভবে অর্জনে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।" ফ্রাঙ্কফুর্টে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন আরও উল্লেখ করেন, "পদ্ধতিগতভাবে, আমাদের মুদ্রানীতি এমন হতে হবে যাতে এটি মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের প্রতি যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারে।"
EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র বর্তমানে ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1720 লেভেল ব্রেক করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কেবল এই লেভেল ব্রেক করা গেলে 1.1745 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1775 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ক্রেতাদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেলে পৌঁছানো কঠিন হবে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1820 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1685-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করছি। সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না হলে, 1.1655-এর লেভেল রিটেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই সঙ্গত হবে অথবা 1.1610 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য এই মুহূর্তে মূল লক্ষ্য হলো 1.3500 লেভেলের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল ব্রেক করলে এই পেয়ারের মূল্য 1.3540-এ পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে, তবে এর পরে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট কঠিন হবে। দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3565 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3460 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইবে । যদি তারা সেখানে নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত যেতে পারে এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3365 পর্যন্তও নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4nFlcKs
-
মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্প্রসারিত হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1575618325.jpg[/IMG]
গতকাল বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল — যার মধ্যে ইউরো ও জাপানি ইয়েন সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। মিনিয়াপলিস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিল কাশকারির মন্তব্যের পর আবারও মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়, যেখানে তিনি সতর্ক করেন যে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার দ্রুত কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। মুদ্রানীতি নমনীয়করণের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশার মধ্যে তার এই বক্তব্য কারেন্সি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। বিনিয়োগকারীরা, আগেভাগে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় নিয়ে, আবারও ডলারকেই তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। কাশকারির মন্তব্য ফেডারেল রিজার্ভের সামনে থাকা মূল নীতিগত দ্বিধা স্পষ্ট করেছে। একদিকে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা ও কমতে থাকা মূল্যস্ফীতি সুদের হার কমানোর পক্ষে যৌক্তিকতা সৃষ্টি করছে; অন্যদিকে, অতিরিক্ত নমনীয় আর্থিক নীতিমালা নতুন করে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ফেডের প্রতি আস্থা দুর্বল করে দিতে পারে। এদিকে, ডলারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা অন্যান্য মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে — বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ক্ষেত্রে, যেগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এর ফলে মূলধন প্রবাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং এসব দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অর্থনীতি প্রতিপাদ্যে মিনেসোটা স্টার ট্রিবিউন কর্তৃক আয়োজিত একটি প্যানেল আলোচনায় কাশকারি বলেন, "আমরা অর্থনীতিতে মারাত্মক মূল্যস্ফীতির প্রবণতা লক্ষ্য করতে পারি। মূলত, আপনি যদি অর্থনীতিকে এর প্রকৃত উৎপাদন ও মূল্য নির্ধারণ সক্ষমতার চেয়ে দ্রুতগতিতে টানার চেষ্টা করেন, তাহলে শেষ পর্যন্ত আপনি শুধু বাড়তি মূল্যস্ফীতিই পাবেন।" মিনিয়াপলিস ফেড প্রেসিডেন্ট, যিনি এই বছর ফেডারেল ওপেন মার্কেট কওমিটির ভোটাধিকারপ্রাপ্ত সদস্য না হলেও নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, তিনি আরও সতর্ক করে বলেন যে বর্তমানে স্ট্যাগফ্লেশনের বা অর্থনৈতিক স্থবিরতার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে — কারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি স্থায়ী হয়ে আছে। তিনি বলেন, "আমরা যে কিছু প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করছি, তা স্ট্যাগফ্লেশনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।"
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এখন মার্কেট বেশিরভাগ ট্রেডার ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের দেওয়া বক্তব্যের ওপর আরও ঘনিষ্ঠভাবে নজর দিচ্ছেন। সামনের দিনগুলোতে ডলারের মূল্যের মুভমেন্ট নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন — যা সরকারি অচলাবস্থা নিরসনের পর প্রকাশিত হবে — এবং ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করবে। যদি মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হতে থাকে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়, তাহলে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, যা ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে। তবে, যদি মূল্যস্ফীতি উচ্চতর পর্যায়ে থাকে, তাহলে ফেড মুদ্রানীতি নমনীয় করা থেকে বিরত থাকতে পারে, যা ডলারের মূল্যকে বর্তমান লেভেলে থাকার জন্য সমর্থন প্রদান করা অব্যাহত রাখবে। EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী এখন ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1650 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে পারলে 1.1680 লেভেল টেস্ট করার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1715 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে তা সম্ভব হবে শুধুমাত্র বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা থাকলে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে 1.1745 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1610 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপের প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও কেউ সক্রিয় না হয়, তবে 1.1570 এরিয়া রিটেস্ট বা 1.1530 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই যুক্তিসঙ্গত হবে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে 1.3405 লেভেলের রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যার ওপরে পৌঁছানোটা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3490। অন্যদিকে, দরপতন ঘটলে মূল্য 1.3365 রেঞ্জে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে, তাহলে সেটি বুলিশ পজিশনের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং GBP/USD-এর মূল্য কমে 1.3325 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3280 লেভেল পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4h1np0d
-
৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/788010538.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বৃহস্পতিবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং সবগুলো প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। জার্মানিতে আমদানি, রপ্তানি এবং ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের মনোভাবের উপর অর্থবহ কোনো প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এমন মনে হতে পারে যে গতকাল প্রকাশিত জার্মানির শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল ইউরোর দরপতনের কারণ হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে—উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই ইউরোর দরপতন থেমে যায়। আজ যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্র—এই তিনটি প্রধান অঞ্চলের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে প্রায় কিছুই নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো — জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য। তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেডের চেয়ারম্যানের বক্তৃতার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন ফেডারেল রিজার্ভ কীভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং মাসের শেষে সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা নিরসনের অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল ফেডের সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অনেক কর্মকর্তাই আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে মনে রাখা উচিত, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থা চলছিল না। আমরা এখন এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি, যেখানে প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলোও প্রকাশিত হচ্ছে না। এই ধরণের প্রেক্ষাপটে ফেড "অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের" অবস্থান গ্রহণ করতে পারে: "যেহেতু প্রতিবেদন নেই — সেহেতু কোনো সিদ্ধান্ত নয়।" সংক্ষেপে বলা যায়, পাওয়েলের কাছে অনেক প্রশ্ন রয়েছে — এবং এই বক্তব্যই পুরো সপ্তাহের ট্রেডিংয়ের একমাত্র উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষভাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারেরই বিশৃঙ্খল ও অযৌক্তিক ট্রেডিং অব্যাহত থাকতে পারে। পুরো সপ্তাহজুড়েই উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চিত ছিল, আর পাওয়েলের বক্তব্য হয়তো মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলবে। নতুন ট্রেডারদের জন্য এখনো নিকটবর্তী গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা জোন থেকে ট্রেড করা সম্ভব; তবে মনে রাখতে হবে, মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি পরিপূর্ণ বা ধারাবাহিক পরিকল্পনা জন্য আদর্শ নয়। সতর্কতা অবলম্বন এবং যথাযথ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
Read more: https://ifxpr.com/4pYai45
-
১০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/321960769.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: পুরো সপ্তাহজুড়েই যেমনটি দেখা গেছে, শুক্রবারও খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূলত, এ পর্যন্ত এই সপ্তাহে একমাত্র উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রইতিবেদন ছিল জার্মানির শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন, যেটির ফলাফল আবারও অত্যন্ত দুর্বল এবং নেতিবাচক ছিল। এর বাইরে কিছু চোখে পড়ার মতো কিছু ঘটেনি। আজ যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজ্যুমার সেনটিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সূচক নয়, এবং এই সপ্তাহে পরিলক্ষিত মার্কেটের পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেইচ্ছে যে ট্রেডাররা এখন আর ডলার কেনার পেছনে স্পষ্ট কোনো কারণ খুঁজছেন না — সেই একই মার্কিন ডলার যা বিগত আট মাসে আগ্রাসীভাবে বিক্রি হয়ে আসছিল।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ দুটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য মুসালেম এবং গুলসবি আজ বক্তব্য দেবেন। তবে মনে রাখা দরকার, গতকাল জেরোম পাওয়েল বক্তব্য দিয়েছেন এবং তিনি স্পষ্ট করেছেন যে ফেডের বর্তমান অবস্থান হলো: মুদ্রানীতির ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল, এবং ভবিষ্যতে সুদের হার কমানো হবে কি না, তা নির্ধারিত হয়নি। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে পাওয়েল একই কথা গত কয়েক মাস ধরে বারবার বলে এসেছেন। তিনি বছরের শেষ নাগাদ দুইবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন না, কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়নি। বর্তমান প্রশ্ন হলো: যদি অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম অচলাবস্থা চলতে থাকে, তাহলে ফেড কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, যখন মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং শ্রমবাজার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনসমূহই প্রকাশিত হয়নি?
উপসংহার: চলতি সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, এখনও প্রধান দুই কারেন্সি পেয়ারের (EUR/USD এবং GBP/USD) বিশৃঙ্খল ও অযৌক্তিক ট্রেডিং দেখা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত উভয় পেয়ারের মূল্যের মূলত নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে — এবং কেন এমন হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে বলা খুবই কঠিন। এর মানে হলো, আজ ইউরো ও পাউন্ডের দর আরও কমে যেতে পারে — এই মুহূর্তে এটি ঘটার জন্য বিশেষ কোনো কারণ প্রয়োজন নেই। সুতরাং, আজ 1.1571–1.1584 জোন থেকে EUR/USD-এর ট্রেডিং করা যেতে পারে, এবং 1.3329–1.3331 জোন থেকে GBP/USD-এর ট্রেড করা যেতে পারে ।
Read more: https://ifxpr.com/4pZU4rb
-
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/109414521.jpg[/IMG]
ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, অপরদিকে মার্কিন ডলার দরপতনের শিকার হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রবিবার চীনের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তারপরও কারেন্সি ট্রেডাররা এখনো সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছে, এমনকি যখন মার্কিন স্টক মার্কেটে স্থিতিশীলতার প্রাথমিক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স বেইজিংকে অনুরোধ করেছেন যেন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে দেশটি একটি যৌক্তিক পথ গ্রহণ করে। তিনি বলেন, যদি বাণিজ্য সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ট্রাম্পের কূটনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে। পরে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে সম্ভাব্য আপসের ইঙ্গিত দেন, কিন্তু পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন যে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধ চীনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, "চীনকে নিয়ে চিন্তা করবেন না—সব ঠিক হয়ে যাবে! সম্মানিত চেয়ারম্যান শি সম্প্রতি কঠিন সময় পার করেছেন। তিনি নিজের দেশে অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে আসতে চান না, আমিও তা চাই না। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি করতে নয়!" ভ্যান্স ও ট্রাম্পের বিবৃতিগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বাণিজ্য সংঘর্ষ পুনরায় তীব্রতর হওয়ার কারণে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে বিঘ্ন ঘটেছে এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকলে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে। যেখানে ভ্যান্স সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান, ট্রাম্প সেখানে অপেক্ষাকৃত কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আপসের ইঙ্গিত অনেকেই ইতিবাচক বলে গ্রহণ করলেও, চীনের প্রতি তাঁর সতর্কবার্তা ইঙ্গিত দেয় তিনি দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, দুই পক্ষই বাণিজ্যযুদ্ধের চড়া মূল্য সম্পর্কে সচেতন। বিশেষ করে চীন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হ্রাস পেলে দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা এবং কর্মসংস্থানে সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। ট্রাম্প ও ভ্যান্সের বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাম্প্রতিক বাণিজ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্তনে চাপ দিয়ে যাবে, আবার একই সময়ে মার্কেটের বিচলিত বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতেও চাইছে যে এই উত্তেজনার আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনিবার্য নয়। সর্বাধিক সম্ভাব্য দৃশ্যপট হলো, দুই পক্ষই এখন সবচেয়ে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে এবং মে মাসে নির্ধারিত নতুন শুল্ক আরোপের সময়সীমা আরও দীর্ঘস্থায়ীভাবে স্থগিত হতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, শুধু ডলারেরই দরপতন হয়নি—শুক্রবার স্টক মার্কেট, তেল এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি েও গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপভাবে অ্যাসেট বিক্রির প্রবণতা দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প হুমকি দেন যে, চীনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য পদক্ষেপের উত্তর দেওয়া হবে। এর আগে, রবিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রকে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি বন্ধ করতে হবে এবং অবশিষ্ট বাণিজ্য সমস্যার সমাধানে আরও আলোচনার প্রয়োজন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, "প্রতিটি পদক্ষেপে উচ্চ শুল্কের হুমকি প্রদান চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার উপযুক্ত পথ নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান অবস্থান অব্যাহত রাখতে, তবে চীন উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না এবং নিজের আইনগত অধিকার রক্ষা করতে কঠোর অবস্থান নেবে।" এই সবকিছু শুরু হয়েছিল গত সপ্তাহে, যখন চীন নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ ঘোষণা করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা দেন যে, ১ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপ করা, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের রপ্তানি সীমিত করা হবে এবং সম্ভবত চীনের জন্য বিমান উপাদান সরবরাহও স্থগিত হতে পারে। যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ফরেক্স মার্কেট—বিশেষত মার্কিন ডলার—এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে দরপতনের শিকার হয়েছে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD এই মুহূর্তে ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1630 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্য 1.1660 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। সেখান থেকে 1.1690-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডাররা সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। উর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হল 1.1720। যদি এই পেয়ারে মূল্য হ্রাস পায়, তবে মূল্য 1.1590 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ক্রেতারা সক্রিয় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা উপস্থিত না থাকে, তবে 1.1545-এর লেভেল টেস্ট করা পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত অথবা 1.1510 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করার চিন্তা করা যেতে পারে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3360 লেভেলের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে এই পেয়ারের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3390। এই লেভেল অতিক্রম করলে পরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও সেখানে পৌঁছানো মূল্যের পক্ষে কঠিন হবে। চূড়ান্ত ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3425-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3290-এর দিকে চলে যাবে, এবং সেখান থেকে মূল্য আরও কমে 1.3260 পর্যন্ত যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/48rUxfp
-
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ বছর আর সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1512880680.jpg[/IMG]
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারক মেগান গ্রীন যখন ইঙ্গিত দেন যে তিনি অন্তত ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার কথা ভাবছেন, তখন ব্রিটিশ পাউন্ড চাপের মুখে পড়ে। গ্রীনের মতে, বিদ্যমান নীতিমালা মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট কঠোর নয়। গত সোমবার লন্ডনে 'সোসাইটি অব প্রফেশনাল ইকোনোমিস্ট' সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে গ্রীন বলেন, এখন সুদের না কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিদ্যমান। তার দৃষ্টিতে, আগেভাগেই আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা হলে সেটি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিতে পারে, এবং পরবর্তীতে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ও কঠোর নীতিমালা আরোপের প্রয়োজন সৃষ্টি করতে পারে। এমন পরিস্থিতি কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর আঘাত হানবে না, বরং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটেও অস্থিরতা তৈরি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। গ্রীন জোর দিয়ে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি মোকাবেলায় দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ সুদের হারের দরকার হবে, যাতে চাহিদা কিছুটা দমন করে মূল্যস্ফীতির হার কমানো যায়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং নতুন করে সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও সতর্কভাবে আর্থিক নীতিমালা বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করছে। গ্রীনের মতে, সুদের হার কমানো বন্ধ রাখা হলে সেটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আগের কঠোর আর্থিক নীতিমালার প্রভাব মূল্যায়নের জন্য আরও সময় দেবে—বিশেষ করে অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতির উপর তার প্রভাব মূল্যায়নের জন্য এটি করা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদন-নির্ভর এবং সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নীতিগত ভুল এড়াতে সহায়তা করবে এবং মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রায় স্থায়ী প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রত্যাশা করছেন যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC) আগামী নভেম্বর সভায় সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেবে—যা হবে আগস্ট ২০২৪-এ শুরু হওয়া তিন মাসব্যাপী সুদের হার হ্রাসে প্রথম বিরতি। গ্রীনের মন্তব্যে বোঝা যায়, ফেব্রুয়ারি বৈঠকে যেখানে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা দুই-তৃতীয়াংশ মূল্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে, সেই বৈঠকও তিনি এড়িয়ে যেতে আগ্রহী হতে পারেন। ট্রেডাররা আরও প্রত্যাশা করছে যে ডিসেম্বরেও সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। MPC-তে দায়িত্বপ্রাপ্ত চারজন বাইরের সদস্যদের একজন হিসেবে, গ্রীন সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার ৪%-এ অপরিবর্তিত রাখতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সঙ্গে একমত ছিলেন এবং আগস্ট মাসে যখন গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি ঋণ সুদের হার হ্রাসের পক্ষে নিয়ন্ত্রণকারী ভোট দেন, সেসময়ে নয় সদস্যের কমিটিতে গ্রীন ছিলেন চারজন ভিন্নমতালম্বীদের একজন। "আমি মনে করি আমাদের আর্থিক নীতিমালা এখনও কিছুটা কঠোর,"—গ্রীন বলেন। "তবে আগের চেয়ে কম কঠোর, এবং এটা উদ্বেগের কারণ—বিশেষ করে যখন আমি দেখতে পাচ্ছি যে গত ১২ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি আবার বাড়ছে।" ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আশা করছে মুদ্রাস্ফীতি অচিরেই ৪%-এর আশেপাশে পৌঁছাবে—যা তাদের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। "আমার উদ্বেগের কারণ হলো, আমরা সম্প্রতি এমন একটি সময় পার করেছি, যখন মুদ্রাস্ফীতি ১১%-এ পৌঁছেছিল, এবং আমার বিশ্বাস এটি মানুষের আচরণে প্রভাব ফেলেছে,"—তিনি আরও বলেন। "মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে, কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে সেটির গতি কমছে।" গ্রীনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে টেকসই সাফল্য আনতে হলে—বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতির হার বেশ 'অস্থিতিশীল' প্রমাণিত হচ্ছে—তখন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে ট্রেডারদের প্রত্যাশার আরও কঠোর রাখতে হবে। "এর একটি উপায় হতে পারে প্রথমে সুদের হার বাড়ানো, তারপর কমানো,"—তিনি বলেন। "তবে আমি মনে করি, এইভাবে ঘন ঘন নীতিমালা পরিবর্তন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থার ব্যাঘাত ঘটে।" যেমনটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রীনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পাউন্ড দরপতনের মুখে পড়ে। সাধারণত মার্কেটের স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা পাউন্ডকে সমর্থন করে, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে—যেখা ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি বাণিজ্য সংকট এবং কম প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে—এই অবস্থান কেবল স্টার্লিং-এর দুর্বলতাই বাড়িয়ে তোলে। টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3295 লেভেল ব্রেক করানো। এতে সফল হলে তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3325-এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারে পারবে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করাও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3360-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য 1.3260 লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। এই লেভেল সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনে গুরুতর আঘাত হানতে পারে এবং GBP/USD-এর মূল্য 1.3230 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি সম্ভাব্যভাবে মূল্য আরও কমে 1.3200 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে মূল্যকে 1.1600 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্যের 1.1630 লেভেলে পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1660 পর্যন্ত বাড়তে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সমর্থন ছাড়া তা অর্জন করা কঠিন হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.1690-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে। যদি দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য 1.1570 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.1545 লেভেলে পর্যন্ত নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অধিক যুক্তিযুক্ত হবে অথবা 1.1510 লেভেলের আশপাশ থেকে লং পজিশন ওপেন করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4qewW8o
-
সুদের হার আরও কম হওয়া উচিত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/791952750.jpg[/IMG]
গতকাল, বোস্টনের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সুসান কলিন্স বলেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি বছর সুদের হার আরও কমানো উচিত, যাতে শ্রমবাজারকে সহায়তা প্রদান করা যায় — তবে সেইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সুদের হারকে যথেষ্ট উচ্চ পর্যায়ে রাখাও প্রয়োজন। মঙ্গলবার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব বোস্টনের একটি অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তৃতায় কলিন্স বলেন, "যেহেতু মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি কিছুটা সীমাবদ্ধ হয়ে এসেছে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়েছে, তাই শ্রমবাজারকে সহায়তা করার জন্য এ বছর আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের প্রবণতা অব্যাহত রাখা যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে হচ্ছে।" তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে যখন ফেডের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং ট্রেডাররা এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কলিন্সের বক্তব্য ফেডের দায়িত্বের জটিলতা তুলে ধরেছে — একদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যদিকে শ্রমবাজারকে সক্রিয় রাখতে হবে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবুও তা এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়ে গেছে। তাই কলিন্স ধীরে-ধীরে সুদের হার কমানোর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছেন — যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্তরে সুদের হার বজায় রেখেই গৃহীত হবে এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে ফেডের নীতিগত কৌশল নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, দ্রুত এবং তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় সুদের হার হ্রাস করা উচিত যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়া যায়, যদিও তার ফলে অস্থায়ীভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। অন্যদিকে, অনেকেই আরও সতর্ক পদক্ষেপের পক্ষে যারা মনে করেন, খুব দ্রুত সুদের হার কমালে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে। কলিন্স বলেন, "সামান্য অতিরিক্ত নমনীয় নীতিমালার পরেও আর্থিক নীতিমালা এখনও কিছুটা সীমাবদ্ধ থাকবে।এর ফলে, যখন শুল্কজনিত প্রভাব অর্থনীতির ভেতর পুরোপুরি কাজ করা শুরু করবে, তখন মুদ্রাস্ফীতি আবারও কমে আসবে।" এখন বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন যে, চলতি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ফেডের বৈঠকে সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে — গতকাল ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটি হলে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার হ্রাস করা হবে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে, ফেড মূল সুদের হার এক চতুরাংশ পয়েন্ট কমিয়ে 4.00–4.25%-এ নামিয়ে এনেছিল। কলিন্স আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কর্মসংস্থান হ্রাসের পেছনে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা কঠিন — এটি শ্রম চাহিদার কমে যাওয়ার ফল, না কি অভিবাসন কমে যাওয়ার ফলে শ্রমের যোগান কমেছে তা এখনই বলা মুশকিল। তাঁর মতে, বেকারত্বের হার স্থিতিশীল রাখতে যা প্রতি মাসে প্রয়োজন, সেই হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা মহামারির আগের প্রায় 80,000 থেকে কমে এসে এখন 40,000-এ পৌঁছে যেতে পারে। বোস্টন ফেডের প্রধান আরও যুক্ত করেন, তিনি আশা করছেন ২০২৫ সালের শেষ ভাগে এবং ২০২৬ সালের শুরুতে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও বাড়বে – তবে তা তুলনামূলকভাবে সীমিত মাত্রায়। সুসান কলিন্সকে সুদের হারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেন, আর্থিক নীতিমালা কোনো পূর্ব নির্ধারিত পথ অনুযায়ী চলে না এবং তিনি এমন একটি পরিস্থিতিরও কল্পনা করতে পারেন, যেখানে অক্টোবর মাসে সুদের হার হ্রাসের পর নীতিনির্ধারকরা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন — বিশেষ করে যদি মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, "সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস যথোপযুক্ত হতে পারে, তবে আমি মনে করি আমাদের আগেভাগেই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।" ফেডের আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষিতে কলিন্সের এইসব মন্তব্যের পর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন শুরু হয়।
ফেডের আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষিতে কলিন্সের এইসব মন্তব্যের পর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন শুরু হয়। এখন EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে 1.1630 লেভেল ব্রেক করিয়ে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1660 লেভেল টেস্ট করানোর পরিকল্পনা করতে পারবে। এরপর সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1690 লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে — তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে এই উচ্চতায় পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1715 লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে 1.1600 লেভেলের দিকে যায়, তাহলে বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। যদি তারা সক্রিয় না হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1570 লেভেলে নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1545 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হবে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3360 ব্রেক করানো। কেবল এরপরই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3390-এ পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী হওয়া যাবে, যেখান থেকে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3425 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হলে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধরনের আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও নিচে 1.3290 এবং সম্ভবত 1.3250-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4n7GMGa
-
মিরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1856210220.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে, কারণ ফেডারেল রিজার্ভের আরও বেশি সংখ্যক কর্মকর্তারা অক্টোবরের শেষের দিকে নির্ধারিত বৈঠকে সুদের হার কমানোর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করছেন। স্টিভেন মিরান, যাকে প্রায়শই 'ট্রাম্প-নিযুক্ত' ফেড কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তিনি গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে এখন নীতিনির্ধারকদের জন্য দ্রুত সুদের হার হ্রাস করা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বুধবার মিরান বলেন, "বর্তমানে সুদের হার হ্রাসের ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্ভাবনা আগের চেয়ে অনেক কম।" তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধকে ঘিরে বেড়ে চলা অনিশ্চয়তা নতুন করে ব্যাপক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। তিনি যোগ করেন, "আমি বলব, এখন আমি গত সপ্তাহ বা গত মাসের তুলনায় আরও কম সুদের হার চাই। তবে ঝুঁকির এই পরিবর্তিত ভারসাম্যের পরিপ্রেক্ষিতে, আমি মনে করি এখন আরও নিরপেক্ষ আর্থিক নীতিমালার দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়া জরুরি।" স্পষ্টতই অনেক অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষক মিরানের এই অবস্থানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে বর্তমান অনিশ্চয়তার মধ্যে অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে সুদের হার হ্রাস অত্যন্ত জরুরি—মার্কিন ডলারে দরপতনের মাধ্যমে এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। তবে অন্যদিকে, দ্রুত সুদের হার কমানোর এই অভিযানের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত সুদের হার হ্রাসের ফলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে এবং জাতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটতে পারে। এই কারণেই, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আরও ভারসাম্যপূর্ণভাব এবং ধাপে ধাপে নীতিমালা নমনীয়করণের প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনে যুক্ত কোম্পানিগুলো নতুন করে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্যযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে — কারণ গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর অতিরিক্ত 100% শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। এর আগে চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জানায় যে তারাও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের বিক্রয়ের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিবেচনা করবে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই মঙ্গলবার এক বক্তব্যে মার্কিন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করেন এবং এটি নিশ্চিত করেন যে, চলতি মাসের শেষের দিকে ফেড কর্মকর্তাদের আসন্ন বৈঠকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার এক চতুরাংশ পয়েন্ট (0.25%) হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে মন্থরতা ও সম্ভাব্য বেকারত্বের ঝুঁকি — এই দুটি বিষয়কেই এই সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করতে পারে, যদিও মূল্যস্ফীতি এখনও ফেডের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়েছে। বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন 1.1680 লেভেল ব্রেক করিয়ে এই পেয়ারের মূল্যকে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এটি করা গেলে মূল্যের 1.1715 লেভেলে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্য 1.1745 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1765 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.1644 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হন, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1614 লেভেলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1580 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটি সফলভাবে ব্রেক করা গেলে তারা মূল্যকে 1.3480 লেভেলের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার ওপরে মূল্যের আরো অগ্রসর হওয়া কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3525 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3400-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা আবার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তবে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি বাই পজিশনের জন্য বড় ধরনের আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3370 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং এমনকি 1.3333 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4hg3rPh
-
১৭ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/537158787.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: আবারও দেখা যাচ্ছে যে শুক্রবারের ক্যালেন্ডারে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পূর্ববর্তী বিশ্লেষণগুলোতে আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে শুক্রবার কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, কিন্তু তা পুরোপুরি সঠিক নয়। আজ ইউরোজোনে সেপ্টেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হবে। তবে এটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, কারণ দ্বিতীয় অনুমান সাধারণত প্রথম অনুমানের সঙ্গে মিলে যায় এবং এটি কখনোই "উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন" প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয় না। এই প্রতিবেদন ছাড়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2037946343.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত থাকলেও, মার্কেটে সেগুলো সামান্য প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এই সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কর্মকর্তাদের অন্তত ২০টি বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে — কিন্তু এর কোনোটিই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। পূর্বে যেমনটি বলা হয়েছে, ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েল — উভয়েই গত কয়েক সপ্তাহে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন, যার ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে বেশ ভালোভাবে বুঝে নিতে পেরেছে যে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা কোন দিকে এগোচ্ছে। ইসিবি সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না, যেহেতু বর্তমানে এটি করার দরকার নেই। আর ফেডের পক্ষ থেকে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে, কারণ মার্কিন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট সূচকগুলোর ফলাফল এখনো বেশ দুর্বল। একই সঙ্গে, এটি স্পষ্ট যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কাছ থেকেও নিকট ভবিষ্যতে কোনো আর্থিক প্রণোদনামূলক পদক্ষেপের আশা করা যাচ্ছে না, কারণ যুক্তরাজ্যে ইতোমধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে এবং বর্তমানে এটি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং সেশন, সাম্প্রতিককালে ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউটের ভিত্তিতে প্রধান দুটি কারেন্সি পেয়ার — EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। EUR/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, 1.1655–1.1666 জোন সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই লং পজিশন এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে এবং আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যও 1.3413–1.3421 জোনের ওপর উঠে গেছে, যা 1.3466–1.3475 এরিয়ার দিকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে। যেহেতু সপ্তাহের শেষ দিনে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছি, তাই পুরো শুক্রবারজুড়েই উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3IPeen1
-
২০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1414317671.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। তাই আজ ট্রেডাররা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, এর বাইরে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্যও এখন খুব একটা গুরুত্ব বহন করছে না, কারণ ট্রেডাররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে। শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালাকে কেন্দ্র করে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে, যদিও সেটিও এখন তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/350483387.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার খুবই অল্প সংখ্যক ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে, যার প্রায় কোনোটিই ট্রেডারদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। গত কয়েক সপ্তাহে, আমরা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড (BoE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) অনেক প্রতিনিধির বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করেছি। সেই হিসেবে, ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত। সোমবার ইসাবেল স্ন্যাবেল-এর (ইসিবির প্রতিনিধি) নির্ধারিত বক্তৃতা খুব সম্ভবত মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে। তবে, নতুন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার আরও কমানোর পক্ষপাতী ছিল না। তাই নতুন মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যান প্রকাশ পেলেও, নীতিগত অবস্থানে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটের পর ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 লেভেলে একটি শক্তিশালী ট্রেডিং এরিয়া রয়েছে, যেখান থেকে পরবর্তী সিগনালের উপর ভিত্তি করে লং অথবা শর্ট পজিশনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.3413–1.3421 এরিয়া ইতোমধ্যেই ব্রেক করা হয়েছে, যার ফলে 1.3466–1.3475 জোনের দিকে আরও মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/47asBM5
-
যুক্তরাজ্যে সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1437974179.jpg[/IMG]
বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাজ্য সরকার পূর্বাভাসের চেয়ে £7.2 বিলিয়ন বেশি ঋণ গ্রহণ করেছে—এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এটি অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভসের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ, যিনি বর্তমানে প্রকাশিতব্য বাজেট পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন যার লক্ষ্য হলো আর্থিক খাত পুনরুদ্ধার করা। যদিও ঋণগ্রহণে এই আকস্মিক বৃদ্ধি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না, তবে এটি সরকারের ঘোষিত সরকারি ঋণ গ্রহণের মাত্রা স্থিতিশীল করা এবং বাজেট ঘাটতি হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস এবং দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এই মুহূর্তে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাগুলোর জন্য অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড যদি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও দীর্ঘ সময় ধরে সুদের হার উচ্চ পর্যায়ে ধরে রাখে, তাহলে এতে দেশটির সরকারের ঋণ গ্রহণের ব্যয় বেড়ে যাবে এবং আর্থিক খাতের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে, যা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলিতে বিনিয়োগ হ্রাস ঘটাতে পারে। রিভসের আসন্ন বাজেট পরিকল্পনাটি বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকগণ সতর্কভাবে পর্যালোচনা করবে। আর্থিক খাত পুনরুদ্ধারের জন্য তাঁর পরিকল্পনার বিশ্বাসযোগ্যতা ও বাস্তবতাই মূলত ব্রিটিশ মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থার বিষয়টি নির্ধারণ করবে। রিভস রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপের প্রস্তাব দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে স্থিতিশীল আর্থিক নীতিমালা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা তার জন্য অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির বাজেট ঘাটতি বর্তমানে £99.8 বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটি (OBR)-এর মার্চ মাসের পূর্বাভাস £92.6 বিলিয়নের চেয়েও বেশি। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই যুক্তরাজ্য সরকার £20.2 বিলিয়নের ঋণ গ্রহণ করেছে, যা করোনা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণগ্রহণ। মূলত সরকারি ঋণের উপর উচ্চ সুদ পরিশোধ করার কারণে পরিস্থিতির এইরূপ অবনতি ঘটেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, উচ্চ সুদের হার, কল্যাণ খাতে ব্যয় হ্রাস স্থগিত রাখা, এবং OBR-এর পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত উৎপাদনশীলতা সংশোধনের ফলে রিভসকে প্রায় £35 বিলিয়ন অতিরিক্ত অর্থ খুঁজে বের করতে হবে—যা শুধুমাত্র ব্যয় ও আয়ের ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারিত £9.9 বিলিয়ন রিজার্ভ পূরণ করতেই লাগবে। ঘাটতির পরিমাণ OBR-এর পূর্বাভাস ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি, যদিও এই মাসের শুরুতে এক সংশোধনের মাধ্যমে রিভস অতিরিক্ত £2 বিলিয়ন VAT রাজস্ব পেয়েছেন। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ONS) জানিয়েছে, এই সংশোধন মূলত HM রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টমস-এর পক্ষ থেকে বিতরণ করা ভুল ভ্যাট সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কারণে করা হয়েছে। ONS আরও জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে বাজেট ঘাটতি ছিল এই রেকর্ড চালুর (১৯৯৩) পর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক ঘাটতি এবং এটি OBR-এর পূর্বাভাস £20 বিলিয়নের প্রায় কাছাকাছি ছিল। অর্থনীতিবিদরা গড় পূর্বাভাস দিয়েছিলেন £20.8 বিলিয়ন। উল্লেখ্য, উপরের সব ঘটনাপ্রবাহের ফলে পাউন্ডের সামান্য দরপতন ঘটেছে। বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে $1.3405-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এটিই এই পেয়ারের মূল্যের $1.3440-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যার উপরে যাওয়ার অনেক কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে $1.3485 এর আশেপাশের লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রয়ের প্রবণটা বাড়লে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে সম্ভবত $1.3370 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে $1.3335 পর্যন্ত নামিয়ে আনবে, যার পরে $1.3295 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারণের সম্ভাবনাও থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4onMTHA
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২২ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1811796241.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ৪.০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। আমাদের ধারণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃদ্ধি পেলে (বা তার চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেলে), যা বিগত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে—মূল সুদের হার হ্রাসের বিষয়ে এখন কোনো আলোচনাই হওয়া উচিত নয়। তাই ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির এই প্রবণতা ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য একটি সহায়ক মৌলিক কারণ হতে পারে। জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1682289966.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট তালিকাভুক্ত থাকলেও, বাস্তবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত কয়েক সপ্তাহে, আমরা ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB), ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BOE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের একাধিক প্রতিনিধির বক্তব্য শুনেছি, ফলে এই তিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান অবস্থান এখন স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের নতুন কোনো মন্তব্য মার্কেটে নতুন করে চিন্তার খোরাক যোগাবে বলে মনে হয় না। মনে করিয়ে দিই যে, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল — যা আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে। তাছাড়া, মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ প্রতিবেদন ছাড়াও, ইসিবি প্রধান ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানোর বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিলেন। ফলে নতুন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও নীতিগত অবস্থানের দিক থেকে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। উপসংহার: চলতি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারো স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটি ও ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোর (EUR/USD) জন্য 1.1571–1.1584 এরিয়ায় একটি কার্যকর ট্রেডিং জোন রয়েছে, যেখান থেকে লং ও শর্ট উভয় ধরনের পজিশনের কথা ভাবা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য (GBP/USD) বর্তমানে 1.3329–1.3331 এবং 1.3413–1.3421 এরিয়ার মাঝামাঝি নির্দিষ্টভাবে অবস্থান করছে। তবে আবারও মনে করিয়ে দিই—বর্তমানে মার্কেটে ভলাটিলিটি অত্যন্ত কম এবং কার্যকর কোনো সামষ্টিক প্রেক্ষাপট কার্যত অনুপস্থিত। শুধুমাত্র আজ প্রকাশিতব্য মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে পাউন্ডের মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4qlPH9R
-
বিটকয়েনের মূল্য কি $100,000-এর নিচে নেমে যাবে?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1077031714.jpg[/IMG]
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের $100,000-এর নিচে নেমে যাওয়াটা একরকম "অনিবার্য"। যদিও যৌক্তিকভাবে এটি একপ্রকার বিপরীত ধরণের পরিস্থিতি—কারণ এই দরপতন হয়তো পরবর্তী বুলিশ মুভমেন্টের আগে বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্কেটে এন্ট্রি করার শেষ সুযোগ হতে পারে। মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই, এই একই বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিটকয়েনের মূল্য $135,000-এ পৌঁছাবে এবং বছরের শেষে সম্ভবত এটির মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ $200,000-এ পৌঁছাবে। তবে বর্তমানে তারা সতর্ক করে বলছেন, সাময়িকভাবে বিটকয়েনের মূল্যের $100,000-এর নিচে নেমে যাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চাপ বনাম ক্রিপ্টো মার্কেট: আতঙ্ক, বাণিজ্য যুদ্ধ ও ডলার ৬ অক্টোবর বিটকয়েনের মূল্য $126,000-এ পৌঁছেছিল, এটি শুধু স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেল ছিল না; বরং এটি মার্কেটে নতুন পর্ব শুরুর ইঙ্গিত দেয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড উল্লেখ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসেট বিক্রির ধারা শুরু হয়। এই ধরনের আশংকা বিনিয়োগকারীদের মার্কিন ডলারে বিনিয়োগে বাধ্য করে — এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর জন্য বিষের মতো কাজ করে। বিটকয়েনও এর ব্যতিক্রম নয়। যেহেতু ঐতিহ্যবাহী মার্কেটে লিকুইডিটি ফেরার কোনো লক্ষণ নেই এবং আর্থিক নীতিমালা নমনীয় সকল প্রত্যাশা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, তাই বিটকয়েন বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে এটিতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
বিটকয়েনের মূল্য $100,000-এর নিচে নেমে যাবে—কিন্তু এই দরপতন খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না: বরং এটি নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিটকয়েনের সম্ভাব্য সময়িক দরপতনকে ঝুঁকি হিসেবে দেখছে না, বরং এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, আগামী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করার আগেই "মার্কেটকে দুর্বল বিনিয়োগকারীদের ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে।" যারা এই "দরপতনের" সময় বিটকয়েন কিনতে পারবে, তারা আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের শুরুতেই উপকৃত হতে পারে। ব্যাংকটি সম্ভাব্য নিম্ন লেভেল চিহ্নিত করতে তিনটি সূচকের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে: ১. স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মধ্যে বিনিয়োগ প্রবাহ পূর্ববর্তী সপ্তাহে স্বর্ণের দরপতনের মধ্যেই বিটকয়েনের মূল্য দৈনিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদি এই বিপরীতমুখী পারস্পারিক সম্পর্ক বহাল থাকে, তাহলে এটি ঐতিহ্যবাহী নিরাপদ বিনিয়োগের খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাসেট থেকে ক্রিপ্টোর দিকে বিনিয়োগ প্রবাহ শুরু হওয়ার সংকেত দিতে পারে। ২. ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক হঠাৎ ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান ফেডারেল রিজার্ভ যদি শুধুমাত্র নিরপেক্ষ থাকার সংকেতও দেয়, তাহলে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হবে। আর্থিক নীতিমালা কঠোর করার পদক্ষেপ স্থগিত করার যেকোনো ইঙ্গিত সরাসরি লিকুইডিটি বাড়িয়ে দেবে এবং ডিজিটাল অ্যাসেটের মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ৩. টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কারেকশনের মাঝেও বিটকয়েনের মূল্য এখন পর্যন্ত ৫০-সপ্তাহের মুভিং অ্যাভারেজের (২০২৩ সালে যা ছিল প্রায় $25,000-এ) উপরে রয়েছে। এই আপট্রেন্ড লাইনটি বুলিশ মার্কেটের অন্তর্নিহিত কাঠামোগত শক্তিমত্তা নির্দেশ করে।
অপশন বনাম ফিউচার: পরিণত মার্কেটের ইঙ্গিত যখন মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডার স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিতর্ক করছে, বিটকয়েনের মার্কেটের কাঠামো কিন্তু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চেকঅনচেইনের তথ্য অনুযায়ী, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিটকয়েন অপশনে মোট ওপেন ইন্টারেস্ট ফিউচারের তুলনায় বেশি হয়েছে: যা যথাক্রমে $108 বিলিয়ন বনাম $68 বিলিয়ন। যেখানে আগে ট্রেডাররা উচ্চ লিভারেজসম্পন্ন ফিউচারের উপর নির্ভর করতেন, এখন তারা ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য অপশনের দিকে ঝুঁকছে। অপশন ব্যবহার করে ফোর্সড লিকুইডেশনের ঝুঁকি ছাড়াই ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় — যা প্রতিষ্ঠানিক মানসিকতা ও ঝুঁকি পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিপক্বতা নির্দেশ করে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ব্ল্যাকরকের তৈরি আইশেয়ার্স বিটকয়েন ট্রাস্ট (IBIT)-এ অপশনের সূচনা বিটকয়েনের প্রতিষ্ঠানিক রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
অক্টোবর: স্বর্ণ–বিটকয়েনে সম্পর্ক ছিন্ন অক্টোবর মাসটি বেশ ব্যতিক্রমধর্মী ছিল: স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মূল্য সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে গিয়েছে। যেখানে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে, শেখানে বিটকয়েনের মূল্য ৬% কমেছে। এতে "ডিজিটাল স্বর্ণ বনাম সত্যিকারের স্বর্ণের" দীর্ঘদিনের পারস্পারিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। আসলে, এই বিচ্যুতি দুইটি অপ্রাসঙ্গিক কারণের ফল। অক্টোবরের ২১–২২ তারিখে স্বর্ণ দরপতন মূলত মার্কেটের ওভারহিট পরিস্থিতির ফল ছিল, পক্ষান্তরে ক্রিপ্টো মার্কেট সপ্তাহখানেক আগেই কারেকশনের মাধ্যমে "পেইন পয়েন্ট" অতিক্রম করেছিল, যখন প্রায় ১৭% দরপতনের পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, আগে থেকেই বিটকয়েনের মূল্যের কারেকশন শুরু করেছিল।
বিভিন্ন ধরণের অনুঘটক, বিভিন্ন ধরণের প্রভাব স্বর্ণের মূল্য মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়। তার বিপরীতে, বিটকয়েনের মূল্য বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কারণ দ্বারা প্রভাবিত—যেমন লিভারেজ, ইটিএফে বিনিয়োগ প্রবাহ, এবং অন-চেইন রিডিস্ট্রিবিউশন। এই বিষয়গুলোই ক্রিপ্টো মার্কেটকে আলাদা করে তুলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাইবিটের মতো প্ল্যাটফর্মে টোকেনাইজড গোল্ড (XAUTUSDT) ঠিকই স্পট মার্কেটের মুভমেন্ট অনুসরণ করেছে, যাতে কোনো ব্যতিক্রম বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি—এটি ট্রেডারদের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। এই ইকোসিস্টেম এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যা বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সক্ষম।
ট্রেডারদের জন্য এর মানে কী দাঁড়ায়? বিটকয়েনের মূল্য এখন টার্বুলেন্সের জোনে প্রবেশ করছে। শক্তিশালী হোল্ডাররা এখনো সক্রিয় রয়েছে, এবং প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ফিউচারের তুলনায় অপশনের দিকে ঝুঁকছেন। স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের আরও ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবং বিটকয়েনের মূল্য $95,000–$97,000 রেঞ্জে আরেকবার দরপতনের শিকার হতে পারে। তবে ৬–১২ মাসের সময়কাল বিবেচনায় নিলে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং প্রতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ভিত্তিতে মনে করা যায় যে দীর্ঘমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3Jsqo5n
-
মার্কিন ডলার চাপের সম্মুখীন হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/62463545.jpg[/IMG]
২০২৫ সালে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদপ্রাপ্তির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার সম্প্রতি তার অবস্থানে হঠাৎ বড় রকমের পরিবর্তন এনেছেন — যা আপাতদৃষ্টিতে কারেন্সি মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ওয়ালার ফেডের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন। বহু বিশ্লেষকের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিফেন মিরানের মতো চাপের মধ্যে রয়েছেন, যিনি আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমাতে জোর দিয়ে আসছেন। ফলে ওয়ালার কার্যত হোয়াইট হাউস প্রশাসনের সমর্থন পাওয়ার জন্য একটি কৌশলগত ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তবে, এমন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। একদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রতি আনুগত্য তার কাঙ্ক্ষিত পদ লাভের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে, হঠাৎ নীতিগত অবস্থানের পরিবর্তন তাকে ফেডের অন্যান্য সদস্য এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের আস্থার বাইরে ঠেলে দিতে পারে — যারা এতদিন তাকে একজন রক্ষণশীল এবং পূর্বাভাসযোগ্য নীতিনির্ধারক হিসেবে বিবেচনাক করে এসেছে। ফেডের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তীব্র বিতর্ক চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে এবং এই স্বাধীনতার ওপর যেকোনো রাজনীতিক চাপ জাতীয় মুদ্রার প্রতি আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং আর্থিক খাতে গুরুতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। একজন অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ হিসেবে ওয়ালার এই সূক্ষ্ম ভারসাম্যের বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝেন, এবং ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে আর্থিক ব্যবস্থা বিপন্ন না করে সতর্কতার সাথে এগিয়ে চলা তার কর্তব্য। গত কয়েক মাস ধরে ওয়ালার পুনরায় সুদের হার কমানোর পক্ষে কথা বলে আসছেন, যদিও তার কয়েকজন সহকর্মী তার বক্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখেছেন। তবে মাত্র গত সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোই যথেষ্ট হবে। অথচ এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক ইভেন্টে ওয়ালার বলেন, "আমরা সবাই বুঝি যে, মার্কেট এবং মার্কিন জনগণের স্বার্থে একটি সুস্পষ্ট ও ধারাবাহিক নীতিমালার জন্য আমাদের নিজ নিজ অবস্থানের ব্যাপারে কিছুটা সমঝোতায় আসতে হবে।" এটা মনে করিয়ে দেয়া উচিত যে ট্রাম্প শুধু ফেডের পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টিই পর্যালোচনা করছেন না—তিনি ফেডের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য বৃহত্তর পর্যায়ে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। তিনি সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক প্রভাব কমিয়ে আনতে চান। সুদের হার কমানোর চাপ দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা চান ফেড নিজেদের কর্মদক্ষতা নতুন করে মূল্যায়ন করুক এবং প্রয়োজনে বড় পরিসরের কাঠামোগত সংস্কারে এগিয়ে আসুক। যেহেতু ওয়ালার জেরোম পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন (যার মেয়াদ ২০২৫ সালের মে মাসে শেষ হবে), তাই তার দৃষ্টিভঙ্গি এখন সর্বদিক থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ওয়ালারের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান সুদের হার আরও কমানোর দিকেই ইঙ্গিত করে, এবং এই বিষয়ে তার প্রকাশ্য সমর্থন দেখে অনেকেই সন্দেহ করছেন যে, তিনি কৌশলগতভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান পদের জন্য উপযুক্ত করে তুলছেন। চলতি বছর জুড়ে বেশ কিছু বিষয়ে তিনি এগিয়ে ছিলেন — যেমন ট্রাম্প কর্তৃক শুল্ক আরোপের ফলে মূল্যস্ফীতি এককালীনভাবে বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, আবার শ্রমবাজারের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করতেও তিনিই প্রথম মন্তব্য করেন। গত জুনে তিনি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার স্পষ্ট লক্ষণ দেখিয়ে প্রথম নীতিনির্ধারক হিসেবে পুনরায় সুদের হার হ্রাসের আহ্বান জানান। এমনকি জুলাই মাসের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকে যখন বেশির ভাগ সদস্য সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ছিলেন, তখন ওয়ালার ভিন্নমত পোষণ করেন। এটাই প্রথমবার নয় যে, ওয়ালার তার সহকর্মীদের সন্দেহ সত্ত্বেও নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখেছেন। ২০২২ সালেও তাকে সমালোচিত হতে হয়েছিল, কারণ তিনি বলেছিলেন ফেড শ্রমবাজারে ব্যাপক বেকারত্ব সৃষ্টি না করেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ফেডের প্রতিনিধিদের বক্তব্য যতটা 'নমনীয়' হবে, মার্কিন ডলারের ওপর চাপও ততটাই বাড়বে।
টেকনিক্যাল পূর্বাভাস — EUR/USD বর্তমানে ইউরোর ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1620 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। মূল্য কেবল এই লেভেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারলেই 1.1650 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এরপর পেয়ারটির মূল্য 1.1700 এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও এটি সফলভাবে করতে হলে মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সহায়তার প্রয়োজন হবে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1725 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। যদি বড় ক্রেতারা সেখানে সক্রিয় না হন, তাহলে পরবর্তী সম্ভাব্য লং এন্ট্রির জন্য হয়ত 1.1545 লেভেল ব্রেকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বা 1.1500 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।
টেকনিক্যাল পূর্বাভাস — GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য লক্ষ্য হবে 1.3360-এ অবস্থিত রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3385 এর দিকে মুভমেন্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করাও বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3420 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের দরপতনের হয়, তাহলে মূল্য 1.3320 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয় এবং এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে এটি বুলিশ পজিশনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আঘাত হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3280 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3250 পর্যন্তও দরপতন হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3J3TVlU
-
পণ্য তৈরি করে দিন যেখানে কোন এঈই
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২৭ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2001958640.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার একটি মাত্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। আজ জার্মানিতে Ifo বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। বলা বাহুল্য যে এটি একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক মৌলিক প্রভাবক কিংবা উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রায় উপেক্ষা করে চলেছে। ফলে, আজ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব অত্যন্ত দুর্বল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/268300298.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। এই সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলোর প্রতিও ট্রেডারদের আগ্রহ খুবই কম। সব ট্রেডারদের কাছে এটি এখন স্পষ্ট যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল সুদের হার ০.২৫% কমাবে এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মুদ্রানীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না। তাই, সম্ভবত মার্কেটে এই দুটি বৈঠকের প্রভাব বেশ কম থাকবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জেরোম পাওয়েল কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি পাওয়া যেতে পারে, তবুও এখনো এটি স্পষ্ট নয় যে শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদন ঠিক কবে প্রকাশিত হবে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের ক্ষেত্রেই আবারও খুব দুর্বল এবং এলোমেলো ট্রেডিং পরিলক্ষিত হতে পারে। ইউরোর জন্য একটি উপযুক্ত ট্রেডিং এরিয়া হলো 1.1655 থেকে 1.1666 রেঞ্জ, যেখানে লং এবং শর্ট — উভয় ধরনের পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড বর্তমানে 1.3329–1.3331 রেঞ্জের কাছাকাছি ট্রেড করছে, যা একটি ট্রেডিং রেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে, অধিকাংশ ট্রেডিং সিগন্যালের ক্ষেত্রে বর্তমানে মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারছে না, কারণ মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা মাত্রা খুবই দুর্বল রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4oIBjai
-
ফেডারেল রিজার্ভের অতি-নমনীয় অবস্থান নীতিনির্ধারকদের মধ্যকার বিভাজন আরও বাড়াতে পারে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2090059217.jpg[/IMG]
ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিনব্যাপী নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত বৈঠক শেষে ফেডারেল রিজার্ভ টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যাতে করে দুর্বল হয়ে পড়া শ্রমবাজারকে সমর্থন দেওয়া যায়। তবে অক্টোবর পেরিয়ে মুদ্রানীতির নমনীয়করণ পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টা ফেডের ভেতরে এমন কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকে নতুন করে বাধার সম্মুখীন হতে পারে, যারা এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। গত এক মাস ধরে মার্কিন সরকারি কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ থাকায় কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি — যার ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই অনিশ্চিত ও অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একদিকে, পূর্ববর্তী কিছু সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য দুর্বলতার ইঙ্গিত দেননি। অপরদিকে, কর্মসংস্থান বিষয়ক পরিসংখ্যানে স্পষ্ট স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে — যা মুদ্রানীতিতে উদ্দীপনার প্রয়োজনের ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতির চাপ তুলনামূলকভাবে মাঝারি হলেও এখনো বিদ্যমান রয়েছে, এবং অতিরিক্ত হারে সুদের হার কমালে সেই চাপ আরও বাড়তে পারে — যা মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) অভ্যন্তরীন মতবিরোধ এই পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। যারা ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তারা মনে করেন, শ্রমবাজার সংকট মোকাবেলার ঝুঁকি ইতোমধ্যেই মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে গেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দেওয়া জরুরি — এমনকি তার ফলে মূল্যস্ফীতি হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। অপরদিকে, হকিশ বা কঠোর অবস্থানে থাকা সদস্যরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি এখনই সবচেয়ে বড় হুমকি এবং সেটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে — এমনকি তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর বা বেকারত্ব বেড়ে গেলেও। গত শুক্রবার প্রকাশিত নতুন কনজ্যুমার প্রাইস বা ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফল অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল মুদ্রাস্ফীতি গত তিন মাসের মধ্যেই সর্বনিম্ন গতিতে বেড়েছে। এটি ফেডের জন্য সুদের হার হ্রাসের পক্ষে একটি নির্ধারণকারী উপাদান হতে পারে, যা বছরের শেষ পর্যন্ত মুদ্রানীতি নমনীয় করার ধারাকে বজায় রাখবে। চলতি বছরে নীতিনির্ধারকরা শুল্ক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রভাব বুঝতে অপেক্ষারত ছিলেন। গ্রীষ্মে কর্মী নিয়োগের সংখ্যা রেকর্ড পতনের পর, ফেডের কর্মকর্তারা সেপ্টেম্বরে মূল হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং বছরের শেষ নাগাদ আরও দুইবার সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস দেন। এই মাসের শুরুতে দেওয়া এক বিবৃতিতে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেন যে, শ্রমবাজার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে গেছে এবং আরও অবনতির ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, ফিউচার মার্কেটে এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে আগামীকাল শেষ হতে যাওয়া বৈঠকের পরে আরও একবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হার কমানোর পথে সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে ফেলেছে, এবং ডিসেম্বরেও আরেকবার সুদের হার কমানো হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের শুল্কনীতি এখনো প্রত্যাশিত হারে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারেনি, তবুও নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক আরোপসহ নিয়মিত নানা বিধিনিষেধের ঘোষণা উদ্বেগ তৈরি করছে যে, এসব প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। এছাড়া এমন পণ্যখাতেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেগুলো সরাসরি শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। ফেডের বহু কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই মন্তব্য করেছেন, মূল্যস্ফীতি গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেডের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করেছে এবং তারা ২০২৮ সালের আগ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছেন না। দীর্ঘ সময় ধরে এই লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থেকে যাওয়া মানে হলো দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে যেতে পারে — যা নীতিনির্ধারকদের জন্য প্রকৃত অর্থেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যেভাবেই হোক, ফেড কর্তৃক অত্যন্ত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের আশঙ্কাই এখন মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের প্রসঙ্গে বলা যায়, ক্রেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1675 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। শুধুমাত্র এই লেভেল পুনরুদ্ধার করতে পারলেই, এই পেয়ারের মূল্যের 1.1700 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.1725-এ যেতে আরে, তবে প্রধান ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1755-এর লেভেল। অন্যদিকে, যদি ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য 1.1645-এ নেমে আসে, তাহলে আমি মূল্য এই লেভেলে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি সেখানে কেউ সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1620-এর লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1580 থেকে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ খোঁজা উচিত।
GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3365 লেভেল অতিক্রম করানো উচিত। এটি করতে পারলেই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3400 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে — তবে এই লেভেল ব্রেক করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3435-এর এরিয়ার আশেপাশের লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 1.3345 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জের ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD পেয়ারের বুলিশ পজিশনের ওপর বড় ধাক্কা হবে এবং মূল্য কমে অন্তত 1.3320-এ চলে আসতে পারে — যারপর 1.3285 পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/47j5ugQ
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২৯ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1485907720.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার কোনো নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। যদিও সোমবার এবং মঙ্গলবার জার্মানিতে অন্তত কিছুটা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল (যেগুলোর ফলাফল মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি), বুধবার এই ধরনের কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, সেইসাথে জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/352246692.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ বুধবার শুধুমাত্র একটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে। স্পষ্ট কারণেই বলা যায়, বর্তমানে ফেড বা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কেউই মুদ্রানীতি বা অর্থনীতির ওপর কোনো মন্তব্য বা সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না, তাই আজ শুধুমাত্র ফেডের বৈঠকের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত হবে। ফেডারেল রিজার্ভ যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তা অনেকাংশেই আগে থেকেই জানা — মূল সুদের হার 0.25% হ্রাস করার কথা রয়েছে। তবে, পাওয়েল আজকে সংবাদ সম্মেলনে কী বার্তা দেবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিবেচনা করার মতো একটি বিষয় হলো, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমের "শাটডাউন" চলছে, যার ফলে অনেক সরকারি সংস্থা বন্ধ রয়েছে। অক্টোবর মাসে শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি, যার ফলে এসব সূচকের অবস্থা এখনো শুধুমাত্র অনুমানভিত্তিক। ফেড সম্ভাব্যভাবে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মূল সুদের হার হ্রাস করতে পারে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ফেড কীভাবে মুদ্রানীতির ব্যাপারে অগ্রসর হবে সেটি বোঝা। আমাদের দৃষ্টিতে, ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কথা ছিল। তারপরেও পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে বিভিন্ন কারণে ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এলোমেলো মুভমেন্ট বা বিশৃঙ্খল ট্রেডিং দেখা যেতে পারে। দিনের প্রথমার্ধে, একইভাবে স্বল্পমাত্রার ভোলাটিলিটি বজায় থাকতে পারে; তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভোলাটিলিটির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। ইউরো পেয়ারের জন্য ট্রেডিং রেঞ্জ হিসেবে 1.1655-1.1666 গুরুত্বপূর্ণ, যেখান থেকে শর্ট এবং লং – উভয় ধরনের পজিশন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড 1.3259 লেভেলের আশেপাশে ট্রেড করছে, যেখান থেকেও ট্রেড করা যেতে পারে। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ সিগন্যাল অনুযায়ী মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না, কারণ মার্কেটে মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা এখনো অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4oMTbRo
-
ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক: মতবিরোধপূর্ণ অবস্থান
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1188676079.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কিন ডলারের দঢ় ইউরো, পাউন্ড, জাপানি ইয়েন এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ হলো আজকের ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পর মার্কেটে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়তে পারে এমন আশংকা করা হচ্ছে। ট্রেডাররা এখন দুটি মূল বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন: এক, মার্কিন সুদের হার 0.25% হ্রাস; দুই, ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের পক্ষ থেকে কিছু দিকনির্দেশনা—যদি তিনি সম্ভবত জটিল প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন, কারণ নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের ফলে অস্পষ্ট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই মাসের শুরুতে পাওয়েল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC) মূলত শ্রমবাজারে সম্ভব্য ঝুঁকির বিষয়েই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রেখেছে। তবে, গত সপ্তাহে বিলম্বে প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল এসেছে—যা স্বল্পমেয়াদে ফেডের মধ্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থানধারী সদস্যদের ভূমিকা কমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিনিয়োগকারীরা এখন শ্রমবাজার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে আরও বেশি মনোযোগী হয়েছেন। যেহেতু ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তাই বর্তমান মূল্যস্ফীতির চাপ এবং ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা নিয়ে সন্তুষ্ট, তাই এখন ফেডের এজেন্ডায় আরও আগ্রাসীভাবে সুদের হার হ্রাস নিয়ে আলোচনা উঠে আসতে পারে। এর ফলে, পাওয়েল হয়তো আবারও মনোযোগ সরিয়ে কর্মসংস্থানকেন্দ রিক নীতিতে ফিরে যেতে পারেন, এবং ফেডকে নিরপেক্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন। ফেডের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বুধবার ঘোষণা করা হবে এবং এর পরে পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবার ফেড কমিটির পক্ষ থেকে কোনো নতুন অর্থনৈতিক পূর্বাভাস বা সুদের হারের পূর্বাভাস প্রকাশ করা হবে না। ফলে, পাওয়েলের বক্তব্যের দিকেই মনযোগ কেন্দ্রীভূত থাকবে। তার মন্তব্যই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করে দিতে পারে। যদি তাঁর বক্তব্যে কোনো ধরনের স্পষ্ট বা ঘোলাটে ইঙ্গিত থাকে, তাহলে মার্কেটে প্রবল ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। ট্রেডাররা সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দৃশ্যপট বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ নজর থাকবে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং শ্রমবাজারকে সহায়তা করার কৌশলের ওপর কোনো নতুন ইঙ্গিত পাওয়া যায় কি না। ফিউচার মার্কেটের গতিপ্রবাহে দেখা যাচ্ছে যে, বিনিয়োগকারীরা আজকের বৈঠকে সুদের হার 0.25% কমানোকে প্রায় অবধারিত সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন। তবে এই উচ্চ সম্ভাবনা মানে এই নয় যে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে। কমিটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, যারা শ্রমবাজারের ঝুঁকি স্বীকার করলেও, এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এছাড়া, আনুষ্ঠানিকভাবে কঠোর অবস্থানে সমাপ্তি টানা হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এমনকি, গত সেপ্টেম্বরে যেখানে নয়জন সদস্য বছর শেষে সর্বোচ্চ একবার সুদের হার কমানোর পক্ষে ছিলেন, এবারের বৈঠকে সেই বিভাজন আরও তীব্র হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, অনেকেই মনে করছেন পাওয়েল আজকের বৈঠক সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। চলমান সরকারি কার্যক্রমে শাটডাউনের কারণে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান না থাকাও তার এই সতর্ক অবস্থানকে আরও জোরালো করবে।
টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের জন্য প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1645 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এটি সম্ভব হলে পরবর্তীতে 1.1668 লেভেল টেস্ট করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1696 পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1725 লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তবে মূল্য 1.1621 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেখানে কেউ সক্রিয় না হলে, এই পেয়ারের মূল্য আবারও 1.1602 লেভেল টেস্ট করতে পারে বা 1.1580 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হবে 1.3270 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এটি সম্ভব হলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3310-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে, যদিও এই লেভেল ব্রেক করাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3340 লেভেল। অন্যদিকে, যদি পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3225 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই লেভেল যদি ব্রেক করা হয়, তাহলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3180-এর লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3140 পর্যন্তও দরপতনের সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4o8ETue
-
ইসিবি চলতি বছরের শেষভাগ পর্যন্ত তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/145167495.jpg[/IMG]
এর আগের দুটি বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) আজ তাদের পরপর তৃতীয় বৈঠকেও সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সদ্যপ্রাপ্ত কিছু নতুন প্রতিবেদনে বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ফ্রান্সে উদ্ভূত রাজস্ব সংকট কতখানি ক্ষতিসাধন করেছে — তা বোঝার ক্ষেত্রে আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের নীতি অবস্থানের দিকনির্দেশনা ও ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির হার এখনো ইসিবি'র ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার সামান্য ওপরে অবস্থান করছে, তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে — যা ইসিবি'র নীতিনির্ধারকদের সামনে একটি দ্বিধাগ্রস্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়া, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের পর ফ্রান্সে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়ের ওপরও প্রভাব ফেলছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ইসিবি যেকোনো নীতিগত অবস্থানের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানেই থাকতে পারে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ইসিবি নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার অপেক্ষা করবে। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য মজুরি এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফার ক্ষেত্রেও, যা বর্তমান অর্থনৈতিক মন্থরতার প্রেক্ষিতে প্রত্যাশানুযায়ী নাও বৃদ্ধি প্রদর্শন পারে। ইসিবির পরবর্তী বৈঠকটি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং সে সময় পর্যন্ত সর্বশেষ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সম্ভব হবে। বেশিরভাগ বিশ্লেষকদের মতে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ডিপোজিট রেট ২% স্তরেই অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, ঋণ নেয়ার ব্যয় ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই মাত্রায়ই থাকবে — যদি না ডিসেম্বরে হালনাগাদ পূর্বাভাসে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম দেখানো হয়। এখানে লক্ষ্যনীয় যে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসিবির কর্মকর্তারা প্রায় প্রতিনিয়ত প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্যকে অনুসরণ করে বলেছেন যে, বর্তমানে ইউরোজোনে বিদ্যমান মুদ্রানীতি "উপযুক্ত স্থলে" রয়েছে। তবে কিছু ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। একদিকে আগামী বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফ্রান্সে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নু ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেডের চাপে আছেন, এবং জার্মানিতে একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ-এর দল নির্বাচনী জরিপে ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদে থেকে পিছিয়ে রয়েছে — এসবও ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। আজ প্রকাশিতব্য ইউরোপীয় প্রধান অর্থনীতিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এইসব প্রভাব অর্থনীতিকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে — তা বোঝা যাবে। তবে, প্রতিবেদনের ফলাফল যদি আরও নেতিবাচকও হয়, তারপরও আগামী কয়েক মাসে ইসিবি'র পক্ষ থেকে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস বর্তমানে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1645 লেভেল স্পষ্টভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী করতে হবে। শুধুমাত্র এর ফলে 1.1668 লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1696 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1725। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1621 পর্যন্ত নেমে যায়, তাহলে আমি বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি কেউ সেখানে সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1602 লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে, অথবা 1.1580 থেকে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেখতে হবে।
GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ড ক্রেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3240 লেভেলে নিয়ে যাওয়া এবং এই রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা। কেবলমাত্র এই লেভেলের ওপরে উঠতেই মূল্যের 1.3270-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যাবে, যা অতিক্রম করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3310 এরিয়া। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 1.3190 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD পেয়ারের বুলিশ পজিশনে বড় ধাক্কা দিতে পারে এবং মূল্য কমে 1.3170-এ পৌঁছাতে পারে — যারপর দরপতনের মাত্রা আরও বিস্তৃত হয়ে মূল্য 1.3140-এর দিকেও নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4nsF2Yb
-
আজ যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৩ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1311759646.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি বেশ উল্লেখযোগ্য। আজ জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবর মাসের উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকের (PMI) চূড়ান্ত অনুমান হিসেবে প্রকাশিত হবে। মনে করিয়ে দিই, মার্কেটে দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত অনুমানের প্রভাব সাধারণত খুবই সীমিত থাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ISM উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক সূচক প্রকাশিত হবে, যা একবারই প্রকাশিত হয় এবং মার্কেটে এই প্রতিবেদনের প্রভাব অনেক বেশি হয়। তাই আজকের দিনটিতে ট্রেডারদের দৃষ্টি মূলত ISM সূচকের দিকেই থাকবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/208600215.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার অল্প কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে। বিশেষভাবে, আজ ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য মেরি ড্যালি এবং লিসা কুকের ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে মনে রাখতে হবে, ফেডের সর্বশেষ বৈঠক মাত্র কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই বৈঠকে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বিস্তারিতভাবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। সংক্ষেপে বললে, বর্তমানে ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তারাই শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত সামষ্টিক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং সেই প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ করে ডিসেম্বর মাসের চূড়ান্ত নীতিগত বৈঠকে সুদের হার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও, আজ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনেরও একটি ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে। তবে ইসিবির মুদ্রানীতির ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতির নমনীয়করণ সম্পন্ন করেছে এবং শুধুমাত্র যদি ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে 2%-এর নিচে চলে যায় তাহলে তা পুনরায় শুরু হবে। বর্তমানে এই ধরণের কোনো সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারও অনিশ্চিত ও দিকনির্দেশনাবিহী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। আজ প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের পরিমাণ সীমিত হওয়ায় মার্কেটে ভোলাটিলিটি তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে। শুক্রবার ইউরোর মূল্য 1.1527 থেকে বাউন্স করে এবং সম্ভাবত 1.1571-1.1584-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে। একইভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছে, যা নির্দেশ করছে এটির মূল্য 1.3203-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে যদি উভয় কারেন্সি পেয়ার আবারও এই লেভেল/এরিয়ার নিচে স্থির হয়ে যায়, তাহলে নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে—EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1474 এবং GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে 1.3043।
Read more: https://ifxpr.com/47kvUAe
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৪ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1468686585.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, আর সোমবার প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোও মার্কেটে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি—প্রত্যাশি মুভমেন্ট তো দূরের কথা। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই এখনো "নিম্ন লেভেল" অবস্থান করছে, কিন্তু কারেকশনভিত্তিক মুভমেন্টের কাঠামোর মধ্যেও মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা চোখে পড়ছে না। তাই আজ, যখন কার্যত কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনই প্রকাশিত হবে না, তখন শক্তিশালী প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম—যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেকটি "তথ্যবোমা" মারেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/442492257.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলো নিয়ে মার্কেটে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সকালে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে দুটি বক্তব্য দেবেন; তবে ইসিবি মাত্র গত সপ্তাহেই একটি বৈঠক করেছে, এবং সে বৈঠকের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই মার্কেটে সরবরাহ করা হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে লাগার্ডে ঠিক কী নতুন তথ্য দিতে পারেন? সর্বশেষ মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ইসিবির মুদ্রানীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি, কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার এখনো 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার আশপাশেই রয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশে মুদ্রাস্ফীতির ওঠানামার বাস্তবে প্রায় কোনো গুরুত্ব নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার বাড়ানোর বা কমানোর কোনো বৈধ ভিত্তি তাদের হাতে নেই।
উপসংহার: এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারও এলোমেলো ও কম অস্থিরতার সাথে ট্রেডিং হতে পারে। 1.1527 লেভেলের কাছাকাছি ইউরোর নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়তে পারে, তবে সোমবারের মতোই অস্থিরতা কম থাকার কারণে সেসব সিগন্যাল থেকেও প্রকৃত লাভের কোনো সম্ভাবনা দেখা নাও যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে তৃতীয় বা চতুর্থবারের মতো বাউন্স করে উঠতে পারে, যার ভিত্তিতে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3JvxpCA
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৫ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1160256092.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, গত এক মাস ধরে ট্রেডাররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এবং ইভেন্ট উপেক্ষা করেছে। এর একটি অন্যতম উদাহরণ হল সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ ISM উৎপাদন সূচক, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল, তবুও আমরা ডলারের কোনো দরপতন দেখতে পাইনি। আজ পরিষেবা খাতের ADP এবং ISM প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা পারে, যা বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে, অক্টোবর মাসের পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকের দ্বিতীয় মূল্যায়নে প্রকাশিত হবে, তবে এগুলো একেবারেই স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার একটি মাত্র ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত আছে। শুধুমাত্র ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সারাহ ব্রিডেনই বক্তব্য রাখবেন, এবং এর বাইরে আর কিছি। তবে, কারেন্সি মার্কেটের (এবং এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও) সাম্প্রতিক মুভমেন্ট মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির সাথে ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বর্তমানে ট্রেডারদের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। গতকাল 1.1474-এর কাছাকাছি ইউরোর একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তাই আজ এটির মূল্য 1.1527-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.2980-1.2993 এর এরিয়া অথবা 1.3043-এর কাছাকাছি নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3LgJlJ3
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৬ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/715285592.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবারও অস্বাভাবিক মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এবার, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যা আমাদের এই ধারণা পুনরায় নিশ্চিত করছে যে ডলারের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা অসম্ভব রকমের অযৌক্তিক এবং এই চলমান মুভমেন্টের সাথে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনো সম্পর্ক নেই। মনে করিয়ে দিই, সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ISM ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাকটিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় অনেক নেতিবাচক এলেও সেটি অগ্রাহ্য করা হয়। বুধবার প্রকাশিত ISM সার্ভিস অ্যাকটিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ইতিবাচক ছিল, সেটিও মার্কেটের ট্রেডাররা উপেক্ষা করেছে। একই সময়ে, ADP থেকে প্রকাশিত শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলও প্রত্যাশার থেকে ইতিবাচক ছিল, তাও ট্রেডাররা আমলে নেয়নি; তবে মার্কিন অর্থনীতিতে +42,000 নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, সাধারণভাবে বলতে গেলে, "এটি গড়পরতার নিচের মান।" ফলে, পুরোপুরি টেকনিক্যাল কারণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। দৈনিক টাইমফ্রেমে 1.1400–1.1830-এর ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের দরপতন চলমান রয়েছে। এই দরপতন শীঘ্রই শেষ হতে পারে, এবং আমরা মধ্যমেয়াদে কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করে চলেছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/868524593.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার দিনের মধ্যে একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা মূল্য 1.1474 লেভেল থেকে তিনবার বাউন্স করার ফলে গঠিত হয়েছে। এর ফলে, নতুন ট্রেডাররা মার্কিন ট্রেডিং সেশনে লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন। যেহেতু সিগন্যালটি তুলনামূলকভাবে দেরিতে গঠিত হয়, তাই ট্রেডটি পরবর্তী দিনে নিয়ে যেতে হতো। বর্তমানে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা যেতে পারে, যাতে করে মুনাফার জন্য সুস্থিরভাবে অপেক্ষা করা যায়।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও মার্কিন ডলারের জন্য প্রতিকূল রয়েছে। সুতরাং, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরোপীয় মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা এখনও প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। তবে আমরা এই রেঞ্জ থেকে মূল্যের বের হওয়ার অপেক্ষায় আছি এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা গতকালের বাই সিগন্যাল অনুসরণ করে মূল্যের 1.1527-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করতে পারেন। এই লেভেল থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1527 লেভেল ব্রেক করে, তাহলে মূল্যের 1.1571-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ রেখে লং পজিশন হোল্ড করে রাখা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনে জার্মানির খুচরো বিক্রয় ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নেই, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি খুব বেশি মনযোগ দিচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/3JzUVyo
-
পাউন্ডের তীব্র দরপতন হয়েছে — এবং এর পেছনে বস্তুনিষ্ঠ কারণ ছিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1751369531.jpg[/IMG]
গতকাল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে বাজেটের অংশ হিসেবে এই মাসের শেষে প্রত্যাশিত আসন্ন কর-বৃদ্ধির ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকার কঠোর কিন্তু ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেবে, তারপর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ১০০ পয়েন্টেরও বেশি কমেছে। ২৬ নভেম্বর ট্রেজারি কর্মকর্তাদের কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কয়েক ডজন সম্ভাব্য কর বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনা করার সময় এই সতর্কতা জারি করা হল। তিনি ৩৫ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন, যার মধ্যে রয়েছে দেশ ছেড়ে যাওয়া ধনী ব্রিটিশদের জন্য এক্সিট ট্যাক্স এবং প্রিমিয়াম হাউজিংয়ের উপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ সহ সম্ভাব্য পদক্ষেপ। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক ছিল। প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে পাউন্ডের তীব্র দরপতন হয়েছিল, যা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার অবনতি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে কর বৃদ্ধি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল করে দিতে পারে। নতুন বাজেটকে ঘিরে প্রত্যাশা ব্রিটিশ মুদ্রার উপর একটি বড় আঘাত এনেছে। বিনিয়োগকারীরা নতুন আর্থিক পদক্ষেপের জন্য অপ্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে, এগুলোকে এমন একটি কারণ হিসেবে দেখছেন যা ইতোমধ্যেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে। কিয়ার স্টারমারের প্রস্তাবনা কেবল উদ্বেগ বাড়িয়েছে, তবে উচ্চ কর আরোপের সম্ভাবনা প্রায় অনিবার্য বলে মনে হচ্ছে। স্টারমার লেবার পার্টির এমপিদের বলেছিলেন যে বাজেটটি জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ জনসাধারণের পরিষেবা সুরক্ষার মতো শ্রম মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। তিনি বলেন "এটি আমাদের জাতীয় ঋণ কমাবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমাবে।" ইতোমধ্যে, র্যাচেল রিভস কর ব্যবস্থা বিবেচনা করার সময় ধনী ব্রিটিশদের উপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। তিনি বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক জারি করা উৎপাদনশীলতার পূর্বাভাসের অবনমনের সুযোগ নিতে চান, যা কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ এবং এটিকে আরও ন্যায্য করে তোলার মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থায়নে অতিরিক্ত ২০ বিলিয়ন পাউন্ডের আঘাতের সম্মুখীন হতে পারে। ব্রেক্সিট, কোভিড-১৯ মহামারী এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলোর অধীনে বছরের পর বছর ধরে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণকে দায়ী করে স্টারমার বলেছেন যে পরিস্থিতির যতটুকু অবনতি হয়ে তা আশঙ্কার চেয়েও খারাপ ছিল।দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এর মুখোমুখি হয়ে, আমরা আমাদের দেশকে নতুন করে এবং দীর্ঘমেয়াদীভাবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর কিন্তু ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেব।" GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যের 1.3035-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3065-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সুযোগ দেবে, যার উপরে আরও মূল্য বৃদ্ধি বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হল 1.3100 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3000 লেভেলের উপর থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানের উপর একটি গুরুতর আঘাত আনবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2965-এ নেমে যেতে পারে, যার ফলে 1.2930-এর দিকে দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/3LrLW2I
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৭ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2124179769.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: শুক্রবার খুব স্বল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে, কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কেবল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। মনে রাখবেন যে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের শূন্যপদ এবং মজুরি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে, টানা দ্বিতীয় মাসের মতো, চলমান "শাটডাউনের" কারণে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি, যা এখন সময়কালের দিক থেকে রেকর্ড স্থাপন করেছে। সুতরাং, মার্কিন শ্রম বাজারের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2064063790.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের আরও বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, তবে এই দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই ট্রেডাররা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য পেয়েছে। গত সপ্তাহে কোনো নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM সূচক ছাড়া) প্রকাশিত না হওয়ায় এবং মার্কিন শ্রমবাজারের অবস্থা মূল্যায়ন করার সময় ADP প্রতিবেদনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া না হওয়ায়, এল্ডারসন, জেফারসন বা মিরান ট্রেডারদের মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম। সবাই নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন জন্য অপেক্ষা করছে, যেটিতে ADP-এর চেয়ে অনেক বেশি খাতের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ গত দুই দিনে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোর মূল্য 1.1527 লেভেল অতিক্রম করেছে, তাই লং পজিশন আজও প্রাসঙ্গিক রয়েছে, যেখানে মূল্যের 1.1571-1.1584-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া অতিক্রম করেছে, যার ফলে সেল সিগন্যাল গঠিত না হওয়া পর্যন্ত লং পজিশন বজায় রাখা সম্ভব, যেখানে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4omlaHy