-
৯ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/231405770.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং হয়েছে, যদিও এর পিছনে কোনো বিশেষ কারণ ছিল না। সোমবার প্রায় কোনোই সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ছিল না, শুধুমাত্র জার্মানি থেকে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা প্রত্যাশিতভাবেই ট্রেডারদের আগ্রহ জাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে, আমরা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, যখন এই পেয়ারের মূল্য স্পষ্টভাবে ফ্ল্যাট প্রবণতার মধ্যে আটকে ছিল, আমরা বারবার বলেছি যে শুধুমাত্র ইউরোর মূল্য বাড়বে এবং ডলারের দরপতন হবে। মার্কিন ডলারের জন্য সার্বিক মৌলিক পটভূমি এখনও একেবারেই নেতিবাচক, তাই আরও দরপতন ছাড়া অন্য কিছুই প্রত্যাশিত নয়। এছাড়াও মনে রাখবেন, শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলও চরমভাবে হতাশাজনক ছিল। এর অর্থ, সেপ্টেম্বর মাসেই ফেড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে। আজ আরেকবার বার্ষিক ভিত্তিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের দৃষ্টিতে, এই প্রতিবেদন থেকেও ডলারের জন্য ইতিবাচক কিছু আশা করা যায় না। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরে কনসোলিডেশন করেছে, তাই এখনই 2025 সালের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সেরা সময়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1786165755.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য 1.1737–1.1745 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল কিন্তু ফ্ল্যাট রেঞ্জের ভেতরে নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু করতে ব্যর্থ হয়। মার্কিন সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করেছিল, যা ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয় এবং সেগুলো মঙ্গলবার পর্যন্ত নিরাপদে ধরে রাখা যেতে পারে, যেখানে স্টপ লস ব্রেক-ইভেনে বা সর্বনিম্ন মূল্যে সেট করা যেত।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের বছরের শুরু থেকে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা বজায় রয়েছে, এবং ফ্ল্যাট মুভমেন্ট এখন সমাপ্ত বলে বিবেচিত হতে পারে। মার্কিন ডলারের জন্য মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখনও নেতিবাচক, তাই আমরা এখনও আমেরিকান মুদ্রার দর বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। পূর্বের মতো, আমরা মনে করি ডলার শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করতে পারবে। মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে, কারণ আগের দিন এটির মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেল থেকে বেরিয়ে এসেছে, যেখানে মূল্য টানা তিন সপ্তাহ ধরে আটকে ছিল। সুতরাং, ইউরোর মূল্যের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা এখন 1.1808 লেভেল। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে আপনাকে যে লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সম্ভবত শুক্রবার প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনের চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। খুব সম্ভবত, এই প্রতিবেদনের ফলাফল নেতিবাচক হবে, যা নতুন করে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42mbQua
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ সেপ্টেম্বর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1295672829.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে ওঠা শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 146.74 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ডলার কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এর ফলে এই পেয়ারের দর 147.48 লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের প্রথমার্ধে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এবং ইয়েনের প্রতি শক্তিশালী চাহিদা বজায় থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলে গেছে। মার্কেতের কিছু ট্রেডার ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তাদের প্রত্যাশার পরিবর্তন করেছে এবং মুনাফা তুলে নেওয়া শুরু করেছে। আজকের জন্য এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচকের প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হতে, যদিও এটি দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই কারণে, ইউরোপীয় সেশনে উল্লেখযোগ্য কোনো মুভমেন্টের সম্ভাবনা নেই, এবং সীমিত রেঞ্জের ভেতরে ট্রেড করা উত্তম হবে। কেবলমাত্র জাপানি রাজনীতিবিদদের কঠোর ও অপ্রত্যাশিত বিবৃতিই মার্কেটের বর্তমান গতিশীলতার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/13437623.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 148.29-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 147.59-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 148.29-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 147.23-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 147.59 এবং 148.29-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.23-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 146.45-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 147.59-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 147.23 এবং 146.45-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3IiQzLf
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১১ সেপ্টেম্বর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/680826461.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নেমে আসতে শুরু করেছিল ঠিক তখন এই পেয়ারের মূল্য 147.32 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ডলার বিক্রয় করার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এর ফলে এই পেয়ারের কোনো উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা যায়নি। আগস্টে মার্কিন উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI) প্রত্যাশিত বৃদ্ধির পরিবর্তে হ্রাস পাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইয়েনের মূল্য মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য বৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। এই সীমিত প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন কারণের প্রতিফলন—যার মধ্যে রয়েছে জাপানের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলমান উদ্বেগ এবং ব্যাংক অব জাপানের মুদ্রানীতি। মার্কিন প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের দরপতন সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীরা ইয়েন নিয়ে সতর্ক রয়েছেন, কারণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের প্রতি ইয়েনের সংবেদনশীলতা—দুর্ ল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, বৃদ্ধ জনসংখ্যা এবং রপ্তানি নির্ভরতা—জাপানি মুদ্রাকে বাহ্যিক ধাক্কার প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। আজ জাপান থেকে প্রকাশিত BSI লার্জ ম্যানুফ্যাকচারার স বিজনেস কন্ডিশনস ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল কারেন্সি মার্কেটে কোনো প্রভাব ফেলেনি। তাছাড়া, একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে মনোভাবের উন্নতির মতো এমন ইতিবাচক সংকেত ইয়েনের ট্রেডাররা অপ্রত্যাশিতভাবে উপেক্ষা করেছে। এই অস্বাভাবিকতা স্পষ্টভাবে নির্দেশ করছে যে বর্তমানে মার্কেটে জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করছে ও পরস্পরবিরোধী উপাদান প্রভাব বিস্তার করছে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি আজ মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1212782497.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 148.02-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 147.59-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 148.02-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 147.38-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 147.59 এবং 148.02-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.38-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 146.94-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 147.59-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 147.38 এবং 146.94-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3K1oSXL
-
১২ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1987666047.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং এখনও নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যদিও মুভমেন্ট কিছুটা দুর্বল রয়ে গেছে। মনে হচ্ছে মার্কেট মেকাররা সঠিক মুহূর্তের অপেক্ষায় আছে—আর সেই সময় এখনও আসেনি। মনে করিয়ে দিই, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার জন্য এখনও যথেষ্ট কারণ রয়েছে: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন কিছু ঘটেনি যা ডলারের মূল্য বৃদ্ধিকে যৌক্তিকতা দেবে। গতকাল ইসিবি মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট সংকেত দিয়েছে যে নিকট ভবিষ্যতে নীতিমালা নমনীয় করা হবে না। অন্যদিকে, ফেড আগামী সপ্তাহ থেকেই মূল সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে, এবং আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে মুদ্রানীতি ব্যাপকভাবে নমনীয় করতে পারে। যদি ইউরো ইসিবি সুদের হার হ্রাসের সময়ও বাড়তে থাকে, তবে ফেড নীতিমালা নমনীয় করলে কী হবে? তাই ইউরোপীয় মুদ্রার আরও দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা বজায় থাকা উচিত, যদিও টেকনিক্যাল বিষয়গুলো উপেক্ষা করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/127300018.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রকাশের 15 মিনিট আগে একটি শক্তিশালী বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনা করে। নতুন ট্রেডাররা 1.1655–1.1666 এরিয়া থেকে বাউন্সের ফলে লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন এবং 10 মিনিট পরেই স্টপ লস ব্রেকইভেনে সরিয়ে নিতে পারতেন। সত্যি বলতে, গতকালের সিগন্যালটি যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কারণ এটি দুটি বড় ইভেন্টের সংযোগস্থলে গঠিত হয়েছিল—ইসিবির বৈঠক এবং মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন। তবুও, এটি থেকে বেশ ভালোই মুনাফা করার সুযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের চলতি বছরের শুরু থেকে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও মার্কিন ডলারের জন্য ব্যাপকভাবে নেতিবাচক, তাই আমরা ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো প্রত্যাশা করছি না। আমাদের মতে, আগের মতোই, ডলারের মূল্যের কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করা যেতে পারে। তবে, ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে টেকনিক্যাল কারণে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, যেহেতু এখনও মার্কেটে বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। তবে, নতুন লং পজিশন ওপেন করার জন্য 1.1737–1.1745 জোন ব্রেকআউট করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া প্রয়োজন। 5-মিনিটের চার্টে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে দৃষ্টি দিন: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। শুক্রবার ইইউ-এ জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে (যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ)।
Read more: https://ifxpr.com/48eiTZM
-
GBP/JPY. বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাস
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1839559149.jpg[/IMG]
GBP/JPY পেয়ারের মূল্য 200.00-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের উপরে রয়েছে এবং আবারও 200.35 লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করছে, যা এটি শুক্রবার অতিক্রম করেছিল। বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করবে, এবং মনে হচ্ছে মূল সুদের হার 4%-এ অপরিবর্তিত থাকবে। এছাড়া সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা সূচকের বৃদ্ধি বিবেচনায়, 2025 সালের শেষ পর্যন্ত সতর্কভাবে 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের' অবস্থান বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সব কারণ ব্রিটিশ পাউন্ডকে সহায়তা দিচ্ছে এবং GBP/JPY পেয়ারের দর বৃদ্ধির জন্য সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করছে। অন্যদিকে, জাপানি ইয়েন এখনো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে হিমশিম খাচ্ছে, কারণ দেশীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাংক অব জাপানের জন্য সুদের হার বৃদ্ধিতে বিলম্ব করার অতিরিক্ত কারণ হতে পারে বলে ধারণা তৈরি করছে। এই পরিস্থিতি GBP/JPY পেয়ারের ক্রেতাদের পক্ষে কাজ করছে। একই সময়ে, মার্কেটের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীদের মতে ব্যাংক অব জাপান এখনও ধীরে ধীরে নীতিমালা নমনীয়করণের পথে রয়েছে। সাম্প্রতিককালে স্বাক্ষরিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–জাপ নের মধ্যকার চুক্তি দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপারে একটি বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দূর করেছে। এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকের সংশোধিত জাপানি জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রতিবেদন, শ্রমবাজারের চাপ এবং সাত মাস পর প্রথমবারের মতো বাস্তব আয়ের বৃদ্ধি, এ বছরের পরবর্তী মাসগুলোতে ব্যাংক অব জাপান কর্তৃক আরেকবার সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করছে। এই পরিস্থিতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশার বিপরীতে অবস্থান করছে এবং GBP/JPY পেয়ারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা সীমিত করতে পারে।
ফলস্বরূপ, ট্রেডারদের দৃষ্টি এখন শুক্রবার নির্ধারিত ব্যাংক অব জাপানের দুই দিনের বৈঠকের ফলাফলের দিকে রয়েছে, যেখানে মুদ্রানীতির দিকনির্দেশনার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি মঙ্গলবার প্রকাশিতব্য যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং বুধবার নির্ধারিত ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান পাউন্ডের মূল্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং GBP/JPY-এর মূল্যের মুভমেন্টেও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের আগে, ঝুঁকির কারণে মার্কেটে সতর্ক প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাই বেশি। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, দৈনিক চার্টের অসিলেটরগুলো পজিটিভ জোনে রয়েছে, এবং পেয়ারটির মূল্য 200.00 সাইকোলজিক্যাল লেভেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। 9-দিনের EMA বর্তমানে 14-দিনের EMA-এর উপরে অবস্থান করছে, এবং মূল্য উভয়ের উপরে ট্রেড করছে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাই বেশি।
Read more: https://ifxpr.com/4nw8cWQ
-
স্বর্ণের মূল্য নতুন করে সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/13650529.jpg[/IMG]
এই সপ্তাহে স্বর্ণের মূল্য নতুন রেকর্ড গড়েছে, কারণ ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীরা ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছেন, যার মধ্যে আগামী কয়েক মাসে সুদের হার হ্রাসের সিদ্ধান্তও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মঙ্গলবার স্বর্ণের দর আউন্সপ্রতি প্রায় $3,685-এ পৌঁছে সোমবারের সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে, মার্কিন ডলারের দর সাত সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে এসেছে, যা স্বর্ণের এই মূল্য বৃদ্ধিকে সহায়তা করেছে। যদিও এ সপ্তাহের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই মূল্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তবুও ফেডের প্রান্তিকভিত্তিক অর্থনৈতিক ও সুদ হার সংক্রান্ত পূর্বাভাস—যা "ডট প্লট" নামে পরিচিত—প্রকাশিত হবে এবং ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলন করবেন। এই মূল্যবান ধাতুর মূল্যের সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বাড়তে থাকা অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা নির্দেশ করছে। বিনিয়োগকারীরা, ফিয়াট বা নগদ কারেন্সির অবমূল্যায়নের আশঙ্কায়, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন, যা ঐতিহ্যগতভাবে অস্থির সময়ে মূল্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সপ্তাহে ফেডের আসন্ন বৈঠকে সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তই মূল ইভেন্ট, যা মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতির প্রত্যাশা—যার মধ্যে আগামীকাল সুদের হার হ্রাস এবং সম্ভবত আরও হ্রাসের সম্ভাবনা অন্তর্ভুক্ত—স্বর ণের চাহিদাকে বাড়িয়ে তুলছে, কারণ নিম্ন সুদের হার বন্ডের মতো বিকল্প বিনিয়োগকে কম আকর্ষণীয় করে তোলে। ফেড সংক্রান্ত প্রত্যাশার বাইরেও, অন্যান্য কারণগুলোও স্বর্ণের মূল্যের প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করছে। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, ইসরায়েলে পুনরায় সামরিক সংঘাত বৃদ্ধি, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদাকে ত্বরান্বিত করছে। পাশাপাশি, একাধিক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক সক্রিয়ভাবে স্বর্ণ ক্রয়ও চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে সমর্থন করছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ফেডের ওপর বাড়তে থাকা চাপ—যার মধ্যে গভর্নর লিসা কুককে অপসারণ করার প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত—স্বর ণের চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। চলতি বছর স্বর্ণের দাম ইতোমধ্যেই 40%-এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা S&P 500-এর মতো প্রধান অ্যাসেটকেও অতিক্রম করেছে। সম্প্রতি এটি 1980 সালের মুদ্রাস্ফীতির সমন্বিত সর্বোচ্চ লেভেলকেও ছাড়িয়েছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছে যে বেসরকারি ট্রেজারি হোল্ডিংসের মাত্র 1% যদি স্বর্ণে স্থানান্তরিত হয়, তবে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি প্রায় $5,000 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/589501582.jpg[/IMG]
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ক্রেতাদের এখন স্বর্ণের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স $3,705 অতিক্রম করাতে হবে। এটি স্বর্ণের মূল্যের $3,756-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে, যা ব্রেক করে উপরের দিকে যাওয়ার মূল্যের পক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যমাত্রা হলো $3,813 এরিয়া। যদি স্বর্ণের দরপতন ঘটে, মূল্য $3,658 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং স্বর্ণের মূল্য দ্রুত $3,600-এ নেমে যেতে পারে, যেখানে $3,562 পর্যন্ত দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/48fCZCY
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৭ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/659229895.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 146.88 লেভেল টেস্ট করে, যা ডলার বিক্রি করার সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের 40 পিপসের বেশি দরপতন ঘটে। ফেডারেল রিজার্ভ আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে—এই প্রত্যাশাই ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং জাপানি ইয়েনকে সহায়তা করেছে। সম্ভবত আজকের দিনের প্রথমার্ধে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে থাকবে। এই পরিস্থিতির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল স্পষ্টতই নেতিবাচক ছিল, যা মার্কিন অর্থনীতির ব্যাপারে একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরছে। দ্বিতীয়ত, ট্রেডাররা ফেডের আসন্ন সুদের হার হ্রাসের বিষয়টি ইতোমধ্যেই আংশিকভাবে মূল্যায়ন করেছে, তবুও এটি ডলারকে বিনিয়োগকারীদের কাছে কম আকর্ষণীয় করে তুলছে। তৃতীয়ত, এর বিপরীতে ব্যাংক অব জাপান কর্তৃক আর্থিক নীতিমালায় আসন্ন পরিবর্তনের প্রত্যাশার কারণে জাপানি ইয়েনের দর ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। দৈনিক ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1257572673.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.05-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 146.62-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 147.05-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 146.39-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 146.62 এবং 147.05-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 146.39-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলের নিচে নেমে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 146.01-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 146.62-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 146.39 এবং 146.01-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3K5loUo
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৮ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1830844393.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 146.17 লেভেল টেস্ট করে, যা ডলার বিক্রয়ের জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপসের বেশি হ্রাস পায়। গতকাল ফেড কর্তৃক সুদের হার হ্রাসের সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে ইয়েনের দর বৃদ্ধি ঘটিয়েছিল, তবে পরবর্তীতে ডলারের চাহিদা ফিরে আসে। ফেডের সুদের হার হ্রাসের প্রতি ট্রেডারদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া পূর্বানুমেয় ছিল: ইয়েন, যা ঐতিহ্যগতভাবে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত, শক্তিশালী হয়েছিল। পরবর্তী এই পেয়ারের মূল্যের বিপরীতমুখী হওয়ার মূল কারণ ছিল ফেডের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সম্পর্কিত সুস্পষ্ট সংকেতের অনুপস্থিতি। ট্রেডাররা যারা ধারাবাহিকভাবে নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়ে আরও দৃঢ় বিবৃতির প্রত্যাশা করছিলেন, তারা তা পাননি। তাছাড়া, জাপানের নিজস্ব সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক এবং ব্যাংক অব জাপানের আর্থিক নীতিমালা ইয়েনের মূল্যের মুভমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আজ সকালে যন্ত্রপাতি ও মেশিনারি অর্ডার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সূচকটি তীব্রভাবে 4.6% হ্রাস পেয়েছে, যা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দরপতন ঘটিয়েছে। এটি জাপানের অর্থনীতির জন্য একটি অপ্রত্যাশিত নেতিবাচক সংবাদ ছিল, যেখানে ইতোমধ্যেই স্থবির অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং অন্যান্য এশীয় দেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশ্লেষকরা অর্ডারের এই পতনের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন: বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পাশাপাশি ভোক্তাদের আস্থার হ্রাসে সৃষ্ট দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2396207.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 148.70-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 147.66-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 148.70-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 147.18-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 147.66 এবং 148.70-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.18-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 146.20-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 147.66-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 147.18 এবং 146.20-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nvsorU
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৯ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1800145377.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 147.49 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে। এই কারণে আমি ডলার ক্রয় করিনি এবং একটি কার্যকর ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট কাজে লাগাতে পারিনি। আগস্টে ফিলাডেলফিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 21 পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা সঙ্গে সঙ্গেই মার্কেটে ডলার ক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি করে এবং জাপানি ইয়েনের দরপতন ঘটিয়েছে। সূচকটির এই প্রবৃদ্ধি অধিকাংশ বিশ্লেষককে বিস্মিত করেছে—কারণ পূর্বাভাসে অনেক কম ফলাফল প্রত্যাশা করা হয়েছিল—এবং এটি মার্কিন অর্থনীতির পূর্বাভাসের তাত্ক্ষণিক পুনর্মূল্যায়ন ঘটায়। বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের যেকোনো লক্ষণ পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল এবং তারা দ্রুত ডলারে বিনিয়োগ শুরু করে, যা নিরাপদ বিনিয়োগ এবং লাভজনক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়। ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি ইয়েনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। আজ ব্যাংক অব জাপান সুদের হার 0.5%-এ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ইয়েনকে কিছুটা সহায়তা দিয়েছে, কারণ অনেক বিনিয়োগকারী ও ট্রেডার মধ্যমেয়াদে সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন। এই আশাবাদের পেছনে জাপানে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ ভূমিকা রাখছে। তবুও ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সংযত রয়েছে। একদিকে, সুদের হার অপরিবর্তিত থাকায় সেটি ব্যাংক অব জাপানের সতর্ক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছার সংকেত দেয়। অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীরা জানেন বর্তমান পরিস্থিতি চিরকাল চলতে পারে না। মুদ্রাস্ফীতি, যদিও এখনও লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেনি, ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ইয়েনের ভবিষ্যতের জন্য মূল বিষয় হবে ব্যাংক অব জাপানের আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তনের গতি ও ব্যাপ্তি। যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক অতিরিক্ত ধীরগতিতে পদক্ষেপ নেয়, ইয়েনের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে; তবে হঠাৎ সুদের হার বৃদ্ধি পেলে তা অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং মন্দার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। শেষ পর্যন্ত, ব্যাংক অব জাপান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবৃদ্ধি সমর্থনের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/311679975.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 148.48-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 147.69-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 148.48-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 147.30-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 147.69 এবং 148.48-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.30-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 146.57-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 147.69-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 147.30 এবং 146.57-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/46ayzMk
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২২ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1383297262.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1764 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। দ্বিতীয়বার 1.1764 লেভেল টেস্ট করার সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যা সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 সক্রিয় করে এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 20 পয়েন্ট কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায়, গত সপ্তাহের শেষ দিকে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পায় হয়। ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার পর বিনিয়োগকারীরা প্রতিবেদনের অনুপস্থিতিকে তাদের পোর্টফোলিও স্থিতিশীল করার সুযোগ হিসেবে দেখেছেন। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনে সেপ্টেম্বর মাসের কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক প্রকাশিত হবে। এর পাশাপাশি, ইসিবির প্রতিনিধি ফিলিপ লেন এবং বুন্দেরব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেলের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। কনজিউমার কনফিডেন্স সূচকের ভোক্তাদের মনোভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা তাদের ব্যয় করার প্রবণতা প্রতিফলিত করে এবং সরাসরি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলে। জনগণ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে দেখছে এবং ভবিষ্যতের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন—তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞরা এই সূচকের প্রতি নিবিড় মনোযোগ দেবেন। সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হলে তা ইউরোর জন্য সহায়ক হবে। ফিলিপ লেন এবং জোয়াকিম নাগেলের বক্তৃতাও ট্রেডারদের উল্লেখযোগ্য আগ্রহ আকর্ষণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ইসিবির সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে, বিনিয়োগকারীরা মুদ্রানীতির ভবিষ্যতের ব্যাপারে ইঙ্গিত খুঁজবেন। মুদ্রানীতিতে সম্ভাব্য যেকোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত কারেন্সি মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1792-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1757-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1792-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1722-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1757 এবং 1.1792-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1158071410.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1722-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1684-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1757-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1722 এবং 1.1684-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/46N2FFM
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ সেপ্টেম্বর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/80610592.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্রই শূন্যের উপরে ওঠা শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 147.96 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ডলার কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি। গতকাল USD/JPY পেয়ারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়নি, যদিও মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে তুলনামূলকভাবে কঠোর অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছিল। বরং ডলারের অবস্থান কিছুটা দুর্বল হয়েছিল, যা সম্ভবত ফেডের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে মার্কেটের ট্রেডারদের পুনর্মূল্যায়নের কারণে হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মনে হচ্ছে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে আসার ঝুঁকির দিকে ক্রমবর্ধমান মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের পরবর্তী দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হবে মার্কিন সামষ্টিক পরিসংখ্যান দ্বারা, তাই দিনের প্রথমার্ধে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই—বিশেষ করে জাপানে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা না থাকায়। এ কারণে রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং করা উচিত হবে, যেখানে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2-এর উপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1322761908.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 148.33-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 147.91-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 148.33-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 147.71-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 147.91 এবং 148.33-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.71-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 147.28-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 147.91-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 147.71 এবং 147.28-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nkUFlt
-
স্বর্ণের ট্রেডিং সিগন্যাল, ২৪-২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: মূল্য $3,791 (8/8 মারে - 38 SMA)-এর নিচে থাকা অবস্থায় স্বর্ণ বিক্রি করুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1315478679.jpg[/IMG]
ইউরোপীয় সেশনে স্বর্ণের মূল্য প্রায় 3,791.08-এর নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে। এই লেভেল থেকে আমরা একাধিক টেকনিক্যাল কারেকশন লক্ষ্য করেছি, তাই আগামী দিনগুলোতে এই ইন্সট্রুমেন্টটির বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে ট্রেড করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বর্ণের দর 38-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ এরিয়ায় প্রায় 3,697 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। যদি স্বর্ণের মূল্য প্রায় 3,790-এর লেভেলের কাছে একটি ডাবল টপ প্যাটার্ন গঠন করে, তাহলে এটি স্বল্পমেয়াদে শর্ট পজিশন হোল্ড করে রাখার স্পষ্ট সিগন্যাল হিসেবে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের মূল্য 3,791-এর লেভেল ব্রেক করে, তাহলে মূল্য +1/8 মারে লেভেলের প্রায় 3,828 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ঈগল সূচক নেগেটিভ সিগন্যাল দিচ্ছে, তাই যেকোনো টেকনিক্যাল রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এবং যতক্ষণ স্বর্ণের মূল্য 3,800 এর নিচে কনসোলিডেট করে, এটি সেল সিগন্যাল হিসেবে গণ্য হবে, যার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে আপট্রেন্ড চ্যানেলের নিচের অংশ প্রায় $3,700-এর লেভেল। যদি স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেল ব্রেক করে এবং 38-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ 3,697-এর নিচে কনসোলিডেট করে, তবে এটি স্বল্পমেয়াদী সেল সিগন্যাল হিসেবে ধরা হবে। স্বর্ণের মূল্য সাইকোলজিক্যাল লেভেল $3,500 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। আগামী কয়েক ঘণ্টার জন্য আমাদের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা হলো 3,770 বা 3,785 এর আশেপাশে টেকনিক্যাল রিবাউন্ড হলে স্বর্ণের সেল করা। স্বর্ণের মূল্য এই দুই লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায়, ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করবেন।
Read more: https://ifxpr.com/4muo3Es
-
https://forex-images.ifxdb.com/userf...4ed88ca429.jpg
USD/CHF। বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (SNB) সুদের হার সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হবে, এরপর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মার্টিন শ্লেগেলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও মূল সুদের হার 0.0%-এ অপরিবর্তিত রাখবে, যা পরপর দ্বিতীয় বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত হবে, যদিও গত বছরের মার্চ থেকে টানা ছয়বার সুদের হার হ্রাস করা হয়েছিল। ট্রেডাররা প্রত্যাশা করছে এই বছর আর সুদের হার কমানো হবে না, তবে আগামী বছরের সম্ভাব্য পদক্ষেপ এখনো অনিশ্চিত। বিনিয়োগকারী ও ট্রেডারদের শ্লেগেলের বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ এতে নেতিবাচক সুদের হার নীতির পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত থাকতে পারে। এই সিদ্ধান্ত সুইস ফ্রাঁর বিনিময় হারের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে এবং USD/CHF-এর মূল্যের মুভমেন্টে মোমেন্টাম নিয়ে আসবে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রাস্ফীতি এখনো SNB-এর লক্ষ্যমাত্রার নিচে রয়েছে, আর ফ্রাঁ সাম্প্রতিককালে শক্তিশালী হওয়ায় সেটি আবারও ব্যাংকটিকে নেতিবাচক সুদের হারের নীতি পুনরায় চালু করার কথা ভাবতে প্ররোচিত করতে পারে। এর ফলে "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা কার্যত বাতিল হয়ে যায় এবং ইঙ্গিত দেয় যে সুইস ফ্রাঁর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা কম। SNB-এর সিদ্ধান্তকে ঘিরে মূল ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে USD/CHF পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 0.7940 সাপোর্ট লেভেলের আশেপাশে সংকীর্ণ রেঞ্জে ওঠানামা করছে, যেখানে 9-দিন EMA অবস্থান করছে, মার্কিন ডলারের মাঝারি মেয়াদী দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণ করলে এই পেয়ারের মূল্য 0.7900 লেভেল—যা সাপ্তাহিক সর্বনিম্ন লেভেল এবং আগের দিন টেস্ট করা হয়েছিল—থেকে রিবাউন্ড অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দেবে এবং এই সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেভেল প্রায় 0.7975 লেভেলের উপরে ব্রেক করতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে, ক্রেতাদের লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে সাইকোলজিক্যাল লেভেল 0.8000-এ নিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, অপ্রত্যাশিত "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান এই পেয়ারের তীব্র দরপতন ঘটাবে এবং মূল্যকে আবার 0.7900 লেভেলে ফিরিয়ে আনবে। আরও দরপতন বিক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত সেল সিগন্যাল হিসেবে ধরা হবে, যেখানে প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হবে 0.7855-এর কাছাকাছি অবস্থিত ইন্টারমিডিয়েট সাপোর্ট এবং 0.7830 লেভেলে চূড়ান্তভাবে পতন ঘটতে পারে—যা 2011 সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন লেভেল এবং গত সপ্তাহে রেকর্ড করা হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/46EXUwW
-
২৬ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/440968356.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করার পর পুনরায় নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক মুভমেন্ট ছিল। প্রবণতা এখন বিয়ারিশে পরিবর্তিত হয়েছে, তাই দরপতনই প্রত্যাশিত। তবে, বৃহস্পতিবারের দরপতন কেবল টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণেই ঘটেনি। মার্কিন সেশনে আমরা যেসব প্রতিবেদনের দিকে নজর দিতে বলেছিলাম সেগুলো প্রকাশিত হয়: ডিউরেবল গুডস অর্ডার এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। উভয় প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডার ও বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, যা ডলারের মূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে উদ্দীপিত করেছে। সুতরাং, স্থানীয় পর্যায়ে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার যথেষ্ট ভিত্তি ছিল; তবে বৈশ্বিক পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদে মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে। মনে করিয়ে দিই, অনেক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, আর ফেড পুনরায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা শুরু করেছে, যা ডলারের জন্য শক্তিশালী বিয়ারিশ ফ্যাক্টর।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এটি পুরো ইউরোপীয় সেশন জুড়ে গঠিত হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য 1.1737–1.1745 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করেছে। মাত্র প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে মূল্য 1.1655–1.1666 জোনে পৌঁছে গেছে। হঠাৎ করে দরপতন শুরু হওয়ায় শর্ট পজিশনে দ্রুত এন্ট্রি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যারা এতে সফল হয়েছেন তারা প্রায় 30–40 পিপস মুনাফা অর্জন করেছেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2111287177.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে বৈশ্বিক পর্যায়ে EUR/USD পেয়ারের একটি নতুন কারেকশন শুরু হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের সহায়তায় হয়েছে। তবে সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য নেতিবাচক, তাই আমরা এখনো ডলারের শক্তিশালী দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। আমাদের দৃষ্টিতে, আগের মতোই মার্কিন মুদ্রার কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করা যেতে পারে—যার একটি আমরা বর্তমানে লক্ষ্য করছি। শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে; তবে উল্লেখযোগ্য হলো, বৃহস্পতিবার এই দরপতনের জন্য শক্তিশালী কারণ ছিল, কিন্তু আজ তা নাও থাকতে পারে। তাই আজ শুক্রবার যেকোনো দিকে মুভমেন্ট হতে পারে, এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আবারও ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। শুক্রবার ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে, সেইসাথে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এবং মার্কিন PCE মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যেগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা লাগার্দের বক্তব্যে তেমন কিছু আশা করছি না, তবে মার্কিন সূচকগুলোর ফলাফল ডলারের বিনিময় হারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/48GrO6m
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/243670357.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1689 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। এই লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্ট হওয়ার সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যা সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর হওয়ার সুযোগ দেয়, যদিও এই পেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হতে দেখা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, যা মুদ্রাস্ফীতির মাঝারি পর্যায়ের চাপ নির্দেশ করে। এই বিষয়টি বৈশ্বিক ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে ঝুঁকি ও সুযোগের পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশি স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করা মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য চাপের মুখে পড়ে, বিশেষত ইউরোর বিপরীতে। বিনিয়োগকারীরা, যারা ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক আক্রমণাত্মক অবস্থানের প্রত্যাশা করছিলেন, এখন আরও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছেন । পূর্বাভাস অনুযায়ী PCE সূচকের প্রকাশিত ফলাফলকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও সতর্ক অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে মার্কিন অ্যাসেঁটের প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ হ্রাস পাচ্ছে এবং উচ্চ রিটার্ন প্রদান করতে পারে এমন অ্যাসেটের দিকে মূলধন প্রবাহ শুরু হচ্ছে। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোন থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, কেবল বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেলের একটি বক্তব্য প্রত্যাশিত। কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পাবে এবং মার্কেটে মুভমেন্টের সম্ভাব্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। নাগেলের অবস্থান, ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে তার মূল্যায়ন এবং নিকট ভবিষ্যতের পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে ঘনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য ইসিবির পরিকল্পনা নিয়ে যেকোনো সংকেত খুঁজবেন। সুদের হার সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আজ আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1760-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1735-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1760-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র ইসিবির প্রতিনিধিগণ দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1721-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1735 এবং 1.1760-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1721-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1695-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1735-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1721 এবং 1.1695-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4pKkAV9
-
৩০ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1810995098.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবারের বেশিরভাগ সময় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করেছে। এটি বলা যায় না যে ডলারের তীব্র দরপতন হয়েছে, তবে টানা দুই দিন ধরে এটির দরপতন অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে বলা যায় না যে মার্কিন সরকারী শাটডাউনের হুমকি বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে—যদিও ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে এই ধরনের কারণ প্রায় নিশ্চিতভাবেই বড় ধরনের প্রভাব ফেলত। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলারের দর তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে আমরা একটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন এঁকেছি, তবে এটি কিছুটা অনিশ্চিত। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোন—কোনো জায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যার মাধ্যমে দিনেরবেলা স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার কারণটি ব্যাখ্যা করা যায়। আমাদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, মধ্যমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। যদিও বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে মৌলিক পটভূমি উপেক্ষা করছে, তবে এমন পরিস্থিতি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। এ সপ্তাহে মার্কিন মুদ্রার সামনে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কারণ রয়েছে, কারণ শ্রমবাজার, বেকারত্ব এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/152412418.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে সোমবার বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সবগুলোই প্রত্যাশা অনুযায়ী কার্যকর ছিল না। আমরা পূর্বের 1.1737–1.1745 রেঞ্জ পরিবর্তন করে এখন 1.1745–1.1754 এরিয়া নির্ধারণ করেছি। তাই ট্রেডারদের আজ এই আপডেটেড রেজিস্ট্যান্স জোন নিয়েই কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও বজায় রয়েছে। সামগ্রিকভাবে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ডলারের জন্য অনুকূল নয়, তাই আমরা এখনও মার্কিন মুদ্রার বড় ধরনের দর বৃদ্ধির আশা করছি না। আমাদের মতে, আগের মতোই, ডলারের মূল্যের কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের ওপর নির্ভর করা যেতে পারে—এবং বর্তমানে আমরা একটি কারেকশন লক্ষ্য করছি। মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের 1.1745–1.1754 রেঞ্জে ট্রেডিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকালই এই এরিয়া থেকে একটি রিবাউন্ড ঘটেছিল, যা দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.1655–1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করলে লং পজিশনের সুযোগ তৈরি হবে, যেখানে মূল্যের 1.1808-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ সপ্তাহে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি প্রভাবশালী হবে, একই সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ডলারের মূল্যকে নিম্নমুখী করার চেষ্টা করছেন।
Read more: https://ifxpr.com/4mD1q0D
-
৩ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/889024144.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, অপ্রত্যাশিতভাবে EUR/USD পেয়ারের দরপতন ঘটেছে। এর অর্থ এই নয় যে ডলারের মূল্য যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে "ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা" শুরু হবে। তবে, এই সপ্তাহে মার্কেটে খুবই মিশ্র এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, ট্রেডাররা মার্কিন মুদ্রার জন্য প্রতিকূল অনেক কারণকে উপেক্ষা করেছে। যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল ডলারের দরপতনের জন্য আনুষ্ঠানিক কারণ ছিল। ইউরোজোনের বেকারত্বের হার অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে 6.3%-এ পৌঁছেছে, যা ইউরোর দরপতনের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবুও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমে শাটডাউন শুরু হয়েছে এবং শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আবারও দুর্বলতা দেখা গিয়েছে। আমাদের মতে, এই দুটি কারণ ইইউ-এর বেকারত্বের হারের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটিও লক্ষণীয় যে মুদ্রানীতির ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রেডাররা এখন প্রায় 100% নিশ্চিত যে ফেড চলতি বছর শেষের আগে দুইবার সুদের হার কমাবে। তবে, আপাতত, এই সমস্ত কারণগুলোকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, যা মার্কেটের মুভমেন্টকে অযৌক্তিক করে তুলছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল—কিন্তু এটি একটি কার্যকর সিগন্যাল ছিল। ৫ ঘন্টা ধরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1745–1.1754-এর রেজিস্ট্যান্স জোনের আশেপাশে কনসলিডেট করেছিল। অবশেষে যখন রিবাউন্ড ঘটে, তখন মূল্য প্রায় ৫০ পিপস সঠিক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। যদিও এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666-এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, তবুও নতুন ট্রেডাররা মুনাফার জন্য ম্যানুয়ালি এই ট্রেড ক্লোজ করতে পারতেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1991359221.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে এবং এখনও মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে উঠতে পারেনি। ডলারের মৌলিক পটভূমি দুর্বল রয়েছে, তাই আমরা মার্কিন মুদ্রার মূল্যের দৃঢ় বৃদ্ধির আশা করছি না। আগের মতোই, ডলারের মূল্যের কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করা যেতে পারে, যার মধ্যে একটি আমরা বর্তমানে হতে দেখছি। শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের আবার 1.1745–1.1754 জোনের মধ্যে ট্রেড করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জোন থেকে একটি রিবাউন্ড হলে মূল্যের 1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এই জোন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে মূল্যের 1.1808-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আরও যৌক্তিকভাবে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। শুক্রবার, ইইউতে ক্রিস্টিন লাগার্ড বক্তব্য দেবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রাথমিকভাবে নন-ফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্বের হার প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু শাটডাউনের কারণে তা ইভেন্ট ক্যালেন্ডার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে আইএসএম পরিষেবা বিষয়ক পিএমআই।
Read more: https://ifxpr.com/4o5qb6Y
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৬ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/720094237.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করে ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 147.45 লেভেলটি টেস্ট করে—যা ডলার ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 10 পিপস পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হয়। জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সানায়ে তাকাইচি দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন—এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইয়েন মার্কিন ডলারের বিপরীতে 300 পিপস দরপতনের শিকার হয়। তার অর্থনৈতিক উদ্দীপনা পরিকল্পনা এবং নমনীয় মুদ্রানীতি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ফরেক্স মার্কেটে ইয়েন বিক্রির প্রবণতা জোরদার করে। তাকাইচির নেতৃত্ব গ্রহণকে মার্কেটে স্পষ্টভাবে এই ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে যে, আগ্রাসী সরকারি ব্যয়ের নীতিমালা ও নিম্ন সুদের হারভিত্তিক "আবেনোমিকস" কৌশল চলমান থাকবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে যে, যেসব নীতিমালা স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করতে পারে, সেগুলো দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ইয়েনের আরও দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এখন এটি স্পষ্ট যে, স্বল্প-মেয়াদে ইয়েনের কার্যকারিতা মূলত নির্ভর করবে নতুন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ ও ব্যাংক অব জাপানের অবস্থানের ওপর। যদি তাকাইচি বড় আকারে প্রণোদনা কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেন এবং ব্যাংক অব জাপান মূল্যস্ফীতি নিয়ে নমনীয় অবস্থান অব্যাহত রাখে, তাহলে ইয়েনের মূল্যের ওপর নিম্নমুখী চাপ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আজকের ট্রেডিং কার্যক্রমে আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 151.02-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 150.35-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 151.02-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের দরপতন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 150.06-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 150.35 এবং 151.02-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/985890134.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 150.06-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 149.70-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 150.35-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 150.06 এবং 149.70-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3IHYiTt
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৭ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1507916442.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামা শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 150.26 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ডলার বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এই সিগন্যালের ফলস্বরূপ এই পেয়ারের মূল্য 40 পয়েন্টেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। গতকাল বিকেলে যখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বাজেট আলোচনা আরেক দফা ব্যর্থ হয় এবং সরকারি শাটডাউন আরও দীর্ঘায়িত হয় তখন মার্কিন ডলার মাঝারি মাত্রায় দরপতনের শিকার হয়। উল্লেখ্য যে দীর্ঘমেয়াদি শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থা হ্রাস করে। এতে শুধু মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবই নয়, শাটডাউনের একটি সরাসরি প্রভাব অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রবাহের ওপরও পড়ে। যখন সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, তখন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব ঘটে, যার ফলে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায় এবং বিশ্লেষক ও ট্রেডারদের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে। সময়মতো প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে মার্কেটে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব কারণ সত্ত্বেও, জাপানি ইয়েনের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারেনি। জাপানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণাটি, যা গতকাল দেওয়া হয়েছে, এখনও ইয়েনের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করছে। নতুন নেত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তিনি ভবিষ্যতের সংস্কারের ক্ষেত্রে নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে চান এবং প্রয়োজনে অর্থনৈতিক প্রণোদনা পুনরায় চালু করবেন। এই অবস্থান আবারো ব্যাংক অব জাপানের সুদের হার বৃদ্ধির পরিকল্পনার সাথে বিরোধ সৃষ্টি করছে। আজকের ট্রেডিং কৌশল হিসেবে আমি মূলত বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1837933365.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 150.97-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 150.58-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 150.97-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের দরপতন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 150.30-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 150.58 এবং 150.97-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 150.30-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 149.98-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 150.58-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 150.30 এবং 149.98-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/42q6deL
-
স্বর্ণের মূল্য $4,000-এর উপরে পৌঁছেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/540102464.jpg[/IMG]
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে শিগগিরই স্বর্ণের মূল্য $4,000-এ পৌঁছতে পারে। গতকাল সেই পূর্বাভাস বাস্তবে পরিণত হয়েছে। স্বর্ণের স্পট মূল্য প্রথমবারের মতো আউন্স প্রতি $4,000 অতিক্রম করেছে এবং বর্তমানে মূল্য প্রায় $4,036-এর আশেপাশে স্থির আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকার অচলাবস্থার কারণে দেশটির অর্থনীতিতে সম্ভাব্য গুরুতর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় স্বর্ণের মূল্য এই মাইলফলক অর্জন করেছে। স্বর্ণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ মাত্র দুই বছর আগেও এটি $2,000-এর নিচে ট্রেড করছিল। শুধু এই বছরেই, স্বর্ণের দর 50%-এর বেশি বেড়েছে — যার পেছনে কাজ করছে বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা, ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ। এতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বিশ্বের বৃহৎ ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাসমূহ, যখন বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে স্বর্ণের ক্রয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। স্বর্ণের মূল্যের সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ ওয়াশিংটনের বাজেট সংকটের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা মার্কেটের সম্ভাব্য অস্থিরতা থেকে সুরক্ষা খুঁজছেন। আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভের অপেক্ষাকৃত নমনীয় অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত স্বর্ণকে আরও সহায়তা করেছে, কারণ স্বর্ণে সুদ নেই। বিনিয়োগকারীরাও এর প্রতিক্রিয়ায় ইটিএফে তাদের অ্যাসেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। এমনকি, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই, বাস্তব-স্বর্ণ ভিত্তিক ইটিএফে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাসিক বিনিয়োগ প্রবাহ দেখা গেছে। পাশাপাশি, ফেড কর্তৃক সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাজনিত কারণে দুর্ব হয়ে পড়া মার্কিন ডলার বিদেশি ক্রেতাদের কাছে স্বর্ণকে তুলনামূলকভাবে আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে—যা চাহিদা আরও বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে, এই সমস্ত উপাদানগুলোর একত্রিত প্রভাবে বর্তমানে স্বর্ণের ধারাবাহিক দর বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মনে রাখতে হবে যে স্বর্ণের মূল্যেরও অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিভিন্ন সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করা উচিত। পোর্টফোলিওর বৈচিত্র্যময়তা বজায় রাখা এবং শুধুমাত্র স্বর্ণের ওপর মূলধন সংরক্ষণের নির্ভরশীলতা এড়ানো জরুরি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/152089511.jpg[/IMG]
ইতিহাস অনুযায়ী, প্রায়শই বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক সংকটের সময়ে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে থাকে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর স্বর্ণের দর প্রতি আউন্সে $1,000 ছাড়িয়েছিল, কোভিড-১৯ মহামারির সময় $2,000 অতিক্রম করেছিল, এবং ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তখন তা $3,000 ছুঁয়েছিল। এখন, একটি নতুন অস্থিতিশীলতার পটভূমিতে এই মূল্যবান ধাতুটির দর $4,000 অতিক্রম করেছে— যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মৌখিক আক্রমণ। এর মধ্যে রয়েছে সরাসরি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে হুমকি এবং গভর্নর লিসা কুককে পদ থেকে সরানোর প্রচেষ্টা — যা সম্ভবত ফেডের স্বাধীনতার ওপর এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, এখন ক্রেতাদের জন্য নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স হলো $4,062। স্বর্ণের মূল্য সফলভাবে এই লেভেল ব্রেকআউট কওরে ঊর্ধ্বমুখী হলে $4,124 এরিয়ার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যার ওপরে ওঠা কিছুটা কঠিন হতে পারে। বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা $4,186-এর লেভেল। যদি দরপতন শুরু করে, তাহলে মূল্য $4,008 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে চাইবে। যদি স্বর্ণের মূল্য নিশ্চিতভাবে এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, তবে তা ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং স্বর্ণের দর $3,954 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হলো $3,906।
Read more: https://ifxpr.com/46ZMnIK
-
৯ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1895412585.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার (এবং বৃহস্পতিবারের শুরু পর্যন্ত), GBP/USD পেয়ারের মূল্যের দুর্বল নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল — যদিও বাস্তবে এই ধরনের মুভমেন্টের পেছনে কোনো স্পষ্ট মৌলিক কারণ নেই। মনে করিয়ে দিই, পাউন্ডের মূল্য যখন ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে তখন প্রবণতা বুলিশে রূপান্তরিত হয়েছিল। এই সপ্তাহে ব্রিটিশ কারেন্সির জন্য কোনো তাৎপর্যপূর্ণ মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থা ও শিকাগোতে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে স্পষ্টভাবেই ডলারের জন্য নেতিবাচক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং বছরের শেষ নাগাদ ফেডারেল রিজার্ভের আরও দুই দফা সুদের হার হ্রাস করবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ডলারের দরপতন হওয়াই স্বাভাবিক, দর বৃদ্ধি নয়। তাই আমাদের দৃষ্টিতে GBP/USD পেয়ারের বর্তমান দরপতন পুরোপুরি অযৌক্তিক। তাত্ত্বিকভাবে, শক্তিশালী পারস্পারিক সম্পর্কের কারণে ইউরোর দরপতনের ফলে পাউন্ডেরও দরপতন হতে পারে; তবে এই ব্যাখ্যাও বিতর্কযোগ্য। যদিও পাউন্ডের বড় আকারে দরপতন হয়নি, তবুও বর্তমানে যখন মুদ্রাটির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়া উচিত, তখন এটির মূল্য কমে যাচ্ছে। সংক্ষেপে, এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্টগুলো এখনো বিশৃঙ্খল এবং দুর্বল কাঠামোবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1309883065.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে আমরা EUR/USD-এর মতো পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। এই পেয়ারের মূল্য ক্রমেই সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো উপেক্ষা করছে। যদিও ট্রেডিং সিগন্যাল এখনো তৈরি হচ্ছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল 1.3413–1.3421 জোনে ট্রেডিংয়ের সময় চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল — প্রত্যেকটিই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই নতুন ট্রেডারদের অবশ্যই বোঝা দরকার, এই মুহূর্তে মার্কেটে যৌক্তিকতার অভাব রয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী মুভমেন্টগুলো ভীষণ অস্থিরতা ও পূর্বাভাসযোগ্য নয়।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্ট অনুযায়ী GBP/USD পেয়ারের মূলয়ের পূর্বের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, তবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এখনও শুরু হয়নি। যেমনটি আগেই উল্লেখ করেছিলাম, মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ নেই, তাই এখনও সময়ের সাথে সাথে আমরা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। তবে, মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি এখনো বেশ জটিল। স্পষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে এবং টেকনিক্যাল স্ট্রাকচারগুলোর ধারাবাহিকতা ভেঙে যাচ্ছে। লোয়ার টাইমফ্রেম (৫ মিনিটে) টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড করা গেলেও, যেকোনো টাইমফ্রেমেই এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো অনির্ভরযোগ্য রয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, বিশেষ করে যখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 লেভেল ব্রেক করে গেছে। মার্কেটের বর্তমান বাস্তবতায়, অনিয়মিত পুলব্যাক ও পূর্বনির্ধারিত সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো উপেক্ষিত থাকারও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স জোনগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, যা নির্ভর করবে তিনি কী বলেন তার ওপর। ফেডের বর্তমান সুদের হার হ্রাসের আঙ্গিকে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সামগ্রিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে, পাওয়েলের বক্তব্য দিনের প্রধান ইভেন্ট হতে যাচ্ছে। মার্কেটে হঠাৎ করে যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, সে জন্য ট্রেডারদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4oeLUJD
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/529247288.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচ থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 152.87 লেভেল টেস্ট করে, যা ডলার কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, USD/JPY পেয়ারের মূল্যের 35-পিপসের একটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়। জাপানি ইয়েন চাপের মধ্যে ছিল, কারণ গতকাল আরও কয়েকজন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তা মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সুদের হারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক অবস্থান গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন। মার্কেটের ট্রেডাররা তাৎক্ষণিকভাবে এই ধরনের বক্তব্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়: জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান কেন্দ্র করে ইয়েন আরও বেশি বিক্রির চাপের মুখে পড়ে। জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গি নতুন প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের সঙ্গে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তার ওপর USD/JPY পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যত মুভমেন্ট নির্ভর করবে। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো যে, জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত কয়েক মাস ধরেই আরও হকিশ বা কঠোর মুদ্রানীতির ভিত্তি তৈরি করছিল, যেখানে নতুন প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করতে পুনরায় অর্থনৈতিক প্রণোদনামূলক নীতিমালার দিকে ফিরে যাওয়ার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/646633580.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 153.31-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 152.94-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 153.31-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের দরপতন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 152.66-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 152.94 এবং 153.31-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 152.66-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 152.302-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 152.94-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 152.66 এবং 152.30-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4ogAEwl
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট – ১৩ অক্টোবর: S&P 500 ও নাসডাক সূচকে তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1161096654.jpg[/IMG]
শুক্রবার নিউইয়র্ক সেশনের শেষে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে বিগত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতনের সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 2.71% হ্রাস পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 3.56% হ্রাস পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক 1.90% হ্রাস পেয়েছে। আজকের এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে, মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এতে করে গত শুক্রবার তীব্র বাণিজ্য উত্তেজনার ফলে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা প্রশমিত হয়। S&P 500-এর ফিউচারের দর 1.3% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নাসডাক 100-এর ফিউচার কন্ট্রাক্টের দর 1.8% উর্ধ্বমুখী হয়েছে, কারণ চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপের হুমকির পর ট্রাম্প প্রশাসন কিছুটা নমনীয় অবস্থানে গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, ইউএস ট্রেজারি বন্ডের ফিউচার দরপতনের মুখে পড়ে এবং অপরিশোধিত তেলের মূল্য 1.5% বৃদ্ধি পেয়েছে। রূপার দাম কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টও অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার মার্কেটে এই অপর্যাপ্ত দরপতনের সরাসরি কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণা, যেখানে তারা বেইজিংয়ের রপ্তানি পণ্য নিয়ন্ত্রণের জবাবে চীনের পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপের প্রস্তুতির কথা জানায়। এই ঘোষণা যেন হঠাৎ বজ্রপাতের মতো এসেছে, যার ফলে ওয়াল স্ট্রিট থেকে শুরু করে টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ পর্যন্ত সব প্রধান সূচকে আতঙ্কজনকভাবে অ্যাসেট বিক্রির প্রবণতা শুরু হয়। পুনরায় পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট দ্রুত বিক্রি করতে বাধ্য হন এবং নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ব্যাপকভাবে মূলধনের স্থানান্তর ঘটে। এই দরপতনের পরিণতি ছিল তাৎক্ষণিক। আমেরিকান ডলার পতনের মুখে পড়ে কারণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূলধন বেরিয়ে যেতে শুরু করে, অপরদিকে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকার প্রেক্ষাপটে তেলের দাম ব্যাপক হারে কমে যায়। অপরদিকে, স্বর্ণের মূল্য তীব্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়—যা অনিশ্চয়তার সময়ে নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত। সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের এমন তীব্র দরপতন ছিল বিরল ঘটনা, যার ফলে এই বাণিজ্য উত্তেজনাজনিত প্রতিক্রিয়া এতটা তীব্র হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে শুল্কের প্রভাবে দরপতনের পর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসের আশায় মার্কেটে দ্রুত পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছিল। ট্রাম্পের পদক্ষেপের জবাবে, চীন যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কের ভয় দেখানো বন্ধ করার আহ্বান জানায় এবং অসমাপ্ত বাণিজ্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার ওপর জোর দেয়। বেইজিং এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, যদি ওয়াশিংটন বিরূপ হস্তক্ষেপ চালিয়ে যায়, তবে চীনের পক্ষ থেকেও পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো দ্বিধা থাকবে না। গতকাল, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা চীনের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী, যদিও ট্রাম্প পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দেন যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন ফিংয়ের এই আলোচনায় অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। একইসাথে, তিনি সতর্কবার্তা দেন যে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধ চীনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনের উপর চাপ বাড়াতে চায় এবং অন্যদিকে মার্কেটের ট্রেডারদের আশ্বাস দিচ্ছে যে পরিস্থিতির আরও অবনতির সম্ভাবনা অনিবার্য নয়। S&P 500-এর টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, আজ ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হবে 6,648-এর কাছাকাছি সর্বনিম্ন রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। সূচকটির দর এই লেভেল অতিক্রম করলে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সূচকটির পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 6,660। ক্রেতাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে 6,672 লেভেলের ওপরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা—যা তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে তুলবে। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের চাহিদা হ্রাস পেলে এবং সূচকটির মূল্য নিম্নমুখী হলে, মূল্য 6,638 লেভেলের আশপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করলে, দ্রুত সূচকটির মূল্য কমে গিয়ে 6,630 লেভেলে পৌঁছাতে পারে এবং সেখান থেকে আরও নিম্নমুখী 6,616 এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/476zPzp
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট: ১৪ অক্টোবর – S&P 500 ও নাসডাক সূচকে দরপতনের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/967975562.jpg[/IMG]
গত শুক্রবার, মার্কিন স্টক সূচকগুলো মাঝারি মাত্রার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সাপ্তাহিক ট্রেডিং শেষ হয়েছিল। S&P 500 সূচক 1.56% বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং নাসডাক 100-এর কারেকশনের পর সূচকটি 2.21% বৃদ্ধি পায়। শিল্পখাত কেন্দ্রিক ডাও জোন্স সূচক 1.29% বৃদ্ধি পায়। তবে আজ S&P 500 সূচকের ফিউচার কন্ট্রাক্টের দর 0.7% কমে গেছে, এবং নাসডাক 100 ফিউচারের দর 1% হ্রাস পেয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে চীনের পাল্টা পদক্ষেপের পর, যেখানে তারা হানওয়া ওশেন কোং-এর মার্কিন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন কওরে পরিবহন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইক্যুইটি সূচকসমূহ 1.3% কমে গেছে, যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাপানের নিক্কেই 225 সূচক 3% হ্রাস পেয়েছে, যার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা অন্যতম প্রধান কারণ। একইসঙ্গে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলো আবারও দরপতনের সম্মুখীন হয়। ইয়েন ডলারের বিপরীতে পূর্ববর্তী ক্ষতি পুনরুদ্ধার করে শক্তিশালী হয়েছে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে স্বর্ণের তীব্র দরপতন হয়, আগে মূল্য যতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছিল তার বেশিরভাগই হ্রাস পেয়েছে; এর আগে সকালে রুপার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানোর পর সেটি বড় মাত্রার দরপতনের শিকার হয়। মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ১০-বছর মেয়াদি বন্ডের ইয়েল্ড প্রায় 4.03%-এ পৌঁছেছে। যদিও মার্কিন স্টক মার্কেট শুক্রবারের দরপতন কিছুটা পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে — যা 'দরপতনের সময় ক্রয়ের' কৌশলের মাধ্যমে মাধ্যমে মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয় — তবুও চীনের সর্বশেষ পরিবহ্ন নিষেধাজ্ঞা নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে যে, বাণিজ্য বিরোধ আবারও তীব্র হতে পারে। এই ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার হ্রাসে সম্ভাব্য বিরতির সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের আশঙ্কা — এই সব মিলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিশেষ করে কমোডিটির সাথে সম্পর্কযুক্ত কারেন্সিগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিনিয়োগকারীরা যারা আগে রাজনৈতিক ঝুঁকিকে উপেক্ষা করছিলেন, এখন তারা আরও সতর্কভাবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবমূল্যায়ন করছেন। চীনের এই পরিবহন নিষেধাজ্ঞা ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্ক সংকেত—যে বাণিজ্য সংঘাত বিভিন্ন রূপে আসতে পারে এবং সাপ্লাই-চেইন ও সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের জবাবে চীনা প্রধানমন্ত্রী হানওয়া ওশেন-এর পাঁচটি মার্কিন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে ডোমিনো-প্রভাবের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যেখানে একটি দেশের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে অন্যান্য দেশের পাল্টা পদক্ষেপ শুরু হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত সংঘাতের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর আগে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান যে তিনি এখনো মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বিরল খনিজ উপাদানের রফতানিতে চীন যদি আরও কঠোরতা দেখায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে সমস্ত বিকল্প উন্মুক্ত রেখেছে। আজ চীন এর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে যে, বিরল খনিজ উপাদান ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের রফতানি নিয়ন্ত্রণের অর্থ 'পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা' নয়, এবং যেসব আবেদনে নিয়ম অনুসরণ করা হবে, সেগুলোর অনুমোদন অব্যাহত থাকবে। টেকনিক্যাল চিত্র: S&P 500 বর্তমানে S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী ক্রেতাদের প্রধান কাজ হবে $6,616 লেভেলের কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা নো। এই লেভেল অতিক্রম করলে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সুযোগ তৈরি হবে এবং সূচকটি $6,630-এ পৌঁছাতে পারে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে $6,638 লেভেলের ওপরে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায় এবং সূচকটির মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য $6,603 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে, ইন্সট্রুমেন্টটির দর দ্রুত $6,590-এ নেমে যেতে পারে এবং পরবর্তী লক্ষ্য থাকবে $6,517।
Read more: https://ifxpr.com/475tHHz
-
ডলারের তীব্র দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1231559310.jpg[/IMG]
গতকাল, মার্কিন ডলার বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে তীব্রভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে — এবং এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি নির্ধারণে ফেডের সক্ষমতা ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর বিজনেস ইকোনোমিক্সের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাওয়েল বলেন, নীতিনির্ধারকরা সেপ্টেম্বর মাসে যখন সুদের হার কমিয়ে বছরে আরও দুইবার সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, তখন থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। পাওয়েল বারবার কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দুর্বলতার ওপর জোর দিয়েছেন এবং জানান যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। লিখিত বক্তৃতার পরে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, "আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে চাকরির জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা কমে গেলে তা বেকারত্বের হারকেও প্রভাবিত করতে পারে। আমরা একটি ব্যতিক্রমী সময় পার করেছি, যখন সবকিছু একসঙ্গে মন্থর হয়ে গিয়েছে, এবং এখন আমাদের শ্রমবাজারের দিকে দৃষ্টি দেয়ার সময় এসেছে।" এই মন্তব্যগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে এবং মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের আর্থিক নীতিমালাকে আরও নমনীয় করার প্রস্তুতিকে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করেছে, যা অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন ঘাটতির কারণে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল হয়ে পড়েছে। যেহেতু প্রতিবেদনভিত্তিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে, তাই ভবিষ্যতে সুদের হার নির্ধারণের সময় ফেডকে পরোক্ষ সূচক এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করতে হবে। এই বাস্তবতা ভবিষ্যৎ পূর্বাভাসে ভুল হওয়ার এবং মার্কেটের পরিস্থিতির পরিবর্তনের প্রতি উপযোগীভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে না পারার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে। তবুও, পাওয়েলের মন্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাই ফেডের মূল অগ্রাধিকার। পাওয়েলের বক্তব্যের পর অক্টোবর মাসে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ফেডারেল ফান্ড ফিউচার কন্ট্র্যাক্ট অনুযায়ী, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা প্রায় ১০০%-এর কাছাকাছি রয়েছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, ফেড সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার 4.00–4.25% রেঞ্জে নামিয়ে আনে, যা গত ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো এই ধরনের পদক্ষেপ ছিল এবং তা গ্রীষ্মকালীন কর্মসংস্থান বৃদ্ধির এক তীব্র মন্দার পরপরই করা হয়। তবে বেকারত্বের হার এখনও তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে — যা মাত্র 4.3%। ফেডের পরবর্তী বৈঠক ২৮–২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। গত মাসে ১৯ জন ফেড সদস্যের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে আরও দুইবার সুদের হার হ্রাস করা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ৯ জন কর্মকর্তা মনে করেন, সুদের হার একবার বা তারও কম কমানো হলেও যথেষ্ট হতে পারে। এখন EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে 1.1630 লেভেল ব্রেক করিয়ে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1660 লেভেল টেস্ট করানোর পরিকল্পনা করতে পারবে। এরপর সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1690 লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে — তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে এই উচ্চতায় পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1715 লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে 1.1600 লেভেলের দিকে যায়, তাহলে বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। যদি তারা সক্রিয় না হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1570 লেভেলে নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1545 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হবে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3360 ব্রেক করানো। কেবল এরপরই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3390-এ পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী হওয়া যাবে, যেখান থেকে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3425 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হলে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধরনের আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও নিচে 1.3290 এবং সম্ভবত 1.3250-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3IXaq35
-
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/275527015.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোপীয় মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। বর্তমানে ট্রেডাররা মূলত ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার মধ্যকার পার্থক্যের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে: ইসিবি আপাতত তাদের আর্থিক নীতিমালা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা করছে না, অন্যদিকে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বছরের শেষ নাগাদ সক্রিয়ভাবে সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে। গতকাল, ইসিবি'র গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জোয়াখিম নাগেল উল্লেখ করেন যে বর্তমানে সুদের হারে পরিবর্তন আনার কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং তিনি সতর্ক করেন যে মুদ্রাস্ফীতির নির্দিষ্ট কিছু উপাদানের দিকে এখনও সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। যদিও এটি এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নয় যে আগামী কয়েক মাসে ঋণ গ্রহণের খরচ কেমন হবে, তবে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান বলেন, ভোক্তা মূল্যস্ফীতি প্রায় ২% লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নাগেল বলেন, "আমি মনে করছি আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি কোনো কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখছি না, যদি না নতুন কিছু সামনে আসে। তবে সত্যি বলতে, আমি এমন কিছুর সম্ভাবনা দেখছি না।" ইসিবির কর্মকর্তারা বর্তমান সুদের হার নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট এবং তারা বারবার বলছেন যে আর্থিক নীতিমালা "সঠিক অবস্থানে" আছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মনে করেন, আগামী দুই বছরে কিছুটা ঘাটতির আশঙ্কা সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি ২%-এর আশেপাশেই থাকবে এবং ইউরোজোন মার্কিন শুল্কের চাপকে সফলভাবেই সামাল দিচ্ছে। তবে, কিছু নীতিনির্ধারক আগামীতে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাও পুরোপুরিভাবে উড়িয়ে দিচ্ছেন না—যা ইতোমধ্যে আটবার কমানো হয়েছে—কারণ তারা আশঙ্কা করছেন মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে সম্প্রতি বলেছেন, তিনি কখনোই আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের সমাপ্তির ঘোষণা দেবেন না, কারণ বর্তমান অনুকূল পরিস্থিতিও পরিবর্তিত হতে পারে। উল্লেখ্য, আজ আবারো লাগার্ডের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। ফ্রাঁসোয়া ভিলরোয়া দ্য গালো ইসিবি'র গভর্নিং কাউন্সিলের একজন সদস্য, যিনি ভবিষ্যতের সুদের হার হ্রাসের বিকল্প উন্মুক্ত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এক আলাদা সাক্ষাৎকারে ফরাসি এই নীতিনির্ধারক বলেন, "যদিও ইসিবি এখন ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে, তবে এর মানে এই নয় যে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে।" তিনি আরও যোগ করেন, "মূল্যস্ফীতির এখন নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এজন্য, যদি আগামীতে কোনো পরিবর্তন আসে, তবে আমার মতে, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।" বর্তমানে দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালার মধ্যে পার্থক্য বেশ স্পষ্ট: ইউরোর দর আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর মার্কিন ডলারের দরপতন হচ্ছে। সম্ভবত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন 1.1680 লেভেল ব্রেক করিয়ে এই পেয়ারের মূল্যকে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এটি করা গেলে মূল্যের 1.1715 লেভেলে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্য 1.1745 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1765 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.1644 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হন, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1614 লেভেলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1580 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে।
GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটি সফলভাবে ব্রেক করা গেলে তারা মূল্যকে 1.3480 লেভেলের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার ওপরে মূল্যের আরো অগ্রসর হওয়া কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3525 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3400-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা আবার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তবে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি বাই পজিশনের জন্য বড় ধরনের আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3370 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং এমনকি 1.3333 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4ocCXkF
-
১৭ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/361179905.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে এবং ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। চার্টে দেখা যাচ্ছে, এখন মার্কেটে একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, এবং আমরা ব্রিটিশ পাউন্ডের আরও দর বৃদ্ধির আশা করছি। গতকাল যুক্তরাজ্যে আগস্ট মাসের শিল্প উৎপাদন এবং জিডিপি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে আগের মতোই, ব্রিটিশ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করেনি। ট্রেডারদের দৃষ্টি এখন মূলত মার্কিন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফেডারেল রিজার্ভ, এবং চীনের সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্য যুদ্ধের দিকেই কেন্দ্রীভূত। আমাদের দৃষ্টিতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈশ্বিক মৌলিক অনুঘটক মার্কিন ডলারকে সহায়তা করছে না। গত কয়েক মাসে এই পেয়ার দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি প্রশস্ত সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড করেছে। সাধারণত এমন দীর্ঘ কনসোলিডেশনের পরে নতুন একটি প্রবণতা শুরু হয় — হয় ঊর্ধ্বমুখী নয়তো নিম্নমুখী। এই পর্যায়ে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো কারণ নেই, যার মানে শিগগিরই বুলিশ প্রবণতা শুরু হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1750799140.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার একটি সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যেই কমপক্ষে পাঁচটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 জোন থেকে পাঁচবার রিবাউন্ড করেছে, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য একাধিক এন্ট্রি পয়েন্ট তৈরি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি না ঘটলেও, আমাদের বিশ্বাস আজকের সেশনে পাউন্ডের মূল্যের 1.3466–1.3475 জোনে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অবশেষে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন সম্ভাব্য বুলিশ প্রবণতা গঠিত হতে শুরু হয়েছে, যার ফলে আরও ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। আগেও বলা হয়েছে যে দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো ভিত্তি নেই। সেই কারণে মধ্যমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত আগ্রাসী পদক্ষেপ মার্কেটে এমন চাপ সৃষ্টি করছে, যা ডলার থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এখন স্পষ্টভাবে বুলিশ প্রবণতা শুরু হয়েছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 রেঞ্জ নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে লং পজিশনগুলো আরও শক্তিশালী হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3466–1.3475 জোনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিপরীতভাবে, যদি মূল্য এই জোনের নিচে নেমে যায়, তাহলে একটি ডাউনওয়ার্ড কারেকশনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590, 1.3643-1.3652, 1.3682, এবং 1.3763। শুক্রবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র— কোনো দেশ থেকেই উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অতএব, ট্রেডারদের কোনো বড় খবরের ভিত্তিতে মার্কেটে নাটকীয় মুভমেন্টের প্রত্যাশা না করে প্রধানত টেকনিক্যাল সিগন্যাল অনুসরণ করেই ট্রেডিং করতে হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3JhGXkm
-
২০ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/98469334.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যতটা না বেড়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, গত সপ্তাহেই টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল; সেই অনুযায়ী, এখন ট্রেডাররা সম্পূর্ণ যৌক্তিকভাবেই ইউরোর দর বৃদ্ধির আশা করতে পারেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে সম্প্রতি (আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে), ইউরোর দরপতনের জন্য খুব কম কারণ ছিল, এবং মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্যও তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে দৈনিক টাইমফ্রেম এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যার ফলে প্রায় তিন সপ্তাহব্যাপী যে দরপতন দেখা গেছে, তা অনেক প্রশ্ন উদ্রেক করেছে। শুক্রবার প্রকাশিত ইউরোজোনের সেপ্টেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস এবং প্রাথমিক অনুমান - উভয়ের চেয়ে বেশি এসেছে। মুদ্রাস্ফীতির হার যত বেশি হবে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সুদের হার আরও কমানোর সম্ভাবনা ততটাই কমে যাবে। ফলে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ইউরোর জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু দেখা গেছে, ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটির ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যেমনটা প্রত্যাশিত ছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বিবৃতির মাধ্যমে মার্কেটে উত্তেজনা কিছুটা কমিয়ে দেন, যেখানে তিনি বলেন যে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাড়তি শুল্ক স্থায়ী হবে না। এই ভিত্তিতে, ডলারের দর সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/932989488.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবারের সেশন চলাকালীন সময়ে কার্যত কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। সন্ধ্যার দিকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়ার দিকে হ্রাস পায়, কিন্তু তখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ট্রেডারই উইকএন্ডের জন্য ট্রেডিং থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ, এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য এই এরিয়াতেই অবস্থান করছে এবং এখনো পর্যন্ত নতুন কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অবশেষে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কিছুটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে এবং এখনও সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য বেশ প্রতিকূল। তাই, আমরা 2025 সালে পরিলক্ষিত বুলিশ প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। সোমবারে EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ দিনের বেলা কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। নতুন ট্রেডাররা 1.1655–1.1666 এরিয়ার আশেপাশে একটি সিগন্যাল গঠনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তবে, সামগ্রিকভাবে আজ এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। সোমবার ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। তাই, আজ আবারও এই পেয়ারের মূল্যের খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাট্যালিটি বা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কিন্তু ইউরোর মূল্যের মন্থর ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এ মুহূর্তে এই ধরনের মুভমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় সব কারণই বিদ্যমান।
Read more: https://ifxpr.com/4o4yjoA
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২১ অক্টোবর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/239221498.jpg[/IMG]
ইউরোর ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1664 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। দিনের শুরুতে জার্মানির উৎপাদক মূল্য সূচকের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের প্রকাশের পর ইউরোর চাপে সম্মুখীন হয় এবং মার্কিন সেশনের সময়েও তা পুরোপুরিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়নি। আসন্ন প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন ডলারে বিনিয়োগ করতে শুরু করে, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এবং ইউরোর দরপতন হতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় ইউরোর জন্য কোনো সহায়ক কারণ ছিল না, এবং এখন ট্রেডারদের দৃষ্টি আসন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকগুলোর দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে—যেগুলো থেকে ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আজ সকালে ইউরোজোন থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই, তাই এখন সমস্ত মনোযোগ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতার দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। সুদের হার সংক্রান্ত বিষয়ে তার সতর্ক অবস্থান, বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি কমতে থাকলে, ইউরোকে সীমিত সহায়তা দিতে পারে। তবে, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা খুবই কম। ট্রেডাররা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণী অবস্থান সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত পাওয়ার আশায় তার প্রতিটি বক্তব্য সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, লাগার্ডের বক্তব্যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান প্রতিফলিত করার প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে—যেখানে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরা হতে পারে। আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা ১ এবং পরিকল্পনা ২ এর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/387251434.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1674-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে (গাঢ় সবুজ লাইন) 1.1638-এর (চার্টে হালকা সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1674-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র লাগার্ডের কাছ থেকে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া গেলে এই পেয়ার ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1619-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1638 এবং 1.1674-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1619-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1584এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1638-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1619 এবং 1.1584-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/42Puifa
-
২২ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/805521734.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে এবং স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটির সাথে নিম্নমুখী হয়েছে। ইউরো টানা তিন দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে, যদিও এর পেছনে কোনো মৌলিক বা টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটগত যৌক্তিকতা নেই। আমরা এখনো মনে করি যে বর্তমানে মার্কিন ডলারের যেকোনো মূল্য বৃদ্ধিই অযৌক্তিক। ট্রেডারদের দৈনিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান রেঞ্জ-বাউন্ড স্ট্রাকচারের দিকে খেয়াল রাখা উচিত, যা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের অস্বাভাবিক এবং এলোমেলো মুভমেন্টের প্রধান কারণ। সোমবার এবং মঙ্গলবার উভয় দিনেই ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো ইভেন্টও ছিল না। ফলে, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর খুব একটা সুযোগ ছিল না। লোয়ার টাইমফ্রেমে সম্প্রতি এই পেয়ারের মূল্য একটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সক্রিয় রয়েছে। তবে, স্পষ্ট কোনো কারণ ব্যতীত এই পেয়ারের মূল্য এখনও দরপতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/132071756.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার জুড়ে মাত্র একটি সঠিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল এবং এটি এশিয়ান সেশনের সময় গঠিত হয়। মূল্য 1.1655 লেভেল থেকে নিখুঁতভাবে রিবাউন্ড করে এবং এরপর ৪০ পিপসের মত দরপতন হয়। যারা এই সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রেড করতে পেরেছেন তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বেশ ভালোই মুনাফা করতে পেরেছেন, বিশেষ করে যদি স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটির বিষয়টি বিবেচনা করা হয়।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, আবারও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে এবং এখনও সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। তাই আমরা এখনো ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বুলিশ প্রবণতার আরও বিকাশের আশা করছি। তবে, ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্য চওড়া সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করছে। এই ফ্ল্যাট রেঞ্জই লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটি এবং অযৌক্তিক মুভমেন্টের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বুধবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে অগ্রসর হতে পারে, কারণ এখনো কোনো মৌলিক অনুঘটক নেই। 1.1571–1.1584 এরিয়ার কাছে পরবর্তী ট্রেডিং সিগন্যালগুলো গঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মূল্য সেখানেই অবস্থান করছিল। ৫-মিনিটের চার্টে দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। বুধবার, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে আরেকবার বক্তব্য দেবেন, তবে তাঁর বক্তব্যের প্রতি ট্রেডারদের আগ্রহের মাত্রা এখন বেশ সীমিত। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে একেবারেই কোনো কিছুই নেই।
Read more: https://ifxpr.com/4oyhYbI
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৩ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1508240657.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত সীমিত পর্যায়ের ভোলাটিলিটি দেখা গেছে — যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রেডারদের জন্য একরকম স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া ও কোনো ইভেন্ট না থাকা সত্ত্বেও মার্কিন ডলারের মূল্য আবারও অকারণে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, এই পেয়ারের মূল্য 1.1584 লেভেল সফলভাবে ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়নি, যদিও বর্তমানে মূল্যের মুভমেন্টের ধরন দেখে মনে হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে মূল্য এই লেভেল ব্রেক করতে পারে। ফলে আমরা এখনো ডলারের এমন এক মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি যা বৈশ্বিক মৌলিক প্রেক্ষাপট এবং স্বল্পমেয়াদি টেকনিক্যাল চিত্র—উভয়ের সাথেই সাংঘর্ষিক। উল্লেখযোগ্য যে, প্রায় সব মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ এখনো মার্কিন ডলারের বিপক্ষে রয়েছে, এবং ঘন্টাভিত্তিক চার্টে পূর্বে এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনও ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে এখনো কোনো প্রকৃত বুলিশ প্রবণতা গঠিত হয়নি। এই পেয়ারের মূল্য প্রতিদিনই যেন যান্ত্রিকভাবে ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে এবং গড়ে ২০ পিপস হ্রাস পাচ্ছে। এই ধরনের মুভমেন্ট এখনো অযৌক্তিক এবং ভোলাটিলিটিও অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। দৈনিক চার্টে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের একটি ফ্ল্যাট বা সাইডওয়েজ রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা সম্ভবত মার্কেটে পরিলক্ষিত বর্তমান মুভমেন্টের মূল কারণ।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1655282433.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার একটি নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571–1.1584 জোন থেকে নিখুঁতভাবে বাউন্স করে—যা নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করার একটি সুযোগ তৈরি করে। তবে মার্কেটে পর্যাপ্ত ভোলাটিলিটি না থাকায় মাত্র ২০–২৫ পিপসের মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন বুলিশ প্রবণতা প্রাথমিক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক। সেই অনুযায়ী, আমরা এখনো ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরাবৃত্তির প্রত্যাশা করছি। তবে এই পেয়ারের মূল্য দৈনিক চার্টের ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত, আমরা সম্ভবত লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি এবং এলোমেলো মুভমেন্ট দেখতে থাকব। বৃহস্পতিবার ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র — কোথাও কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 1.1571–1.1584 জোনে রয়েছে, তাই এই এরিয়াতেই নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৫-মিনিট চার্টে দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। গত কয়েক সপ্তাহে ক্রিস্টিন লাগার্ড বেশ কয়েকবার বক্তব্য দিলেও তা মার্কেটে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং তার সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি — যেকারণে আজ মৌলিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/47z0KoN
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৪ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/402336283.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। কার্যত কোনো মুভমেন্টই দেখা যায়নি, এবং প্রতিদিনই ভোলাটিলিটি রেকর্ড মাত্রায় কমে যাচ্ছে। যদিও সপ্তাহের শুরুতে আমরা খুবই দুর্বল হলেও একটি নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করেছি, বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জে থাকার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে, মার্কেট কার্যত "স্থবির" হয়ে পড়েছে। তবে আজ মার্কেটে আবার সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ এই সপ্তাহে আজই প্রথম কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সেই কারণে, ভোলাটিলিটির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুঃখজনকভাবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করছে, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক মুভমেন্টের প্রধান কারণ। তাই আজকে তুলনামূলকভাবে বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও, মূল্যের যৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাবে এমন সম্ভাবনা কম। টেকনিক্যাল দিক থেকেও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করলেও... এরপর আর কিছুই হয়নি। এখনো পর্যন্ত কোনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়নি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/258889434.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এবং সেটি বেশ কার্যকর ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের একদম শুরুতেই, এই পেয়ারের মূল্য 1.1584 লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং দিনের শেষে মূল্য ২০ পিপস পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে মূল্যের ভোলাটিলিটির মাত্রার প্রেক্ষাপটে, এটি তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো মুভমেন্ট।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, যদিও মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো পর্যন্ত মার্কিন ডলারের জন্য বেশ নেতিবাচক। তাই, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে বলে আশা করছি। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে, এই কারণে লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি এবং মূল্যের অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ আজ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। 1.1571–1.1584 জোনে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠকের আশা করা যেতে পারে। গতকাল এই জোনে ইতোমধ্যে একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। আজকের পুরো পরিস্থিতিই নির্ভর করবে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ধরন ও ফলাফলের ওপর। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলর উপর দৃষ্টি দেয়া উচিত: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনে অক্টোবর মাসের পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। অতিরিক্তভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে এই সপ্তাহের "প্রধান প্রতিবেদন" হিসেবে বিবেচিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তাই আজ মার্কেটে অন্তত কিছুটা মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3JasqHj
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৭ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1940123368.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো স্পষ্ট প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। দিনজুড়ে ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলো ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার কথা ছিল। তবে, মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্টের পরিবর্তে খুব সামান্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা গেছে। ইউরোপীয় কারেন্সির মূল্যের আবারও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ভালো সুযোগ ছিল, তবে ট্রেডাররা যদি এটি না কেনে এবং সামগ্রিকভাবে ট্রেডিংয়ের প্রতি তাঁদের আগ্রহ না থেকে, তাহলে মৌলিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন, কোনো মোমেন্টাম তৈরি হবে না। মূলত, আমরা কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া দেখেছি, যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে বেড়ে ৩%-এ পৌঁছেছে। এই ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের আসন্ন বৈঠকগুলোতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মাত্র ৫ মিনিট স্থায়ী হয়, যার ফলে ডলার ৪০ পিপস দরপতনের শিকার হয়। এটাই সারাদিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট ছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/29399727.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবারের সেশনে একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা বর্তমানে ভোলাটিলিটির মাত্রা বিবেচনায় নিলে অস্বাভাবিক নয়। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রকাশের পর এই পেয়ারের মূল্যের 1.1655-এ পৌঁছায়, তারপর সামান্য বিচ্যুতির সাথে এই পেয়ারের দরপতন হয়। নতুন ট্রেডাররা এই সেল সিগন্যাল কাজে লাগাতে পারতেন, তবে যৌক্তিক কারণেই এই দরপতনের মাত্রা দুর্বল ছিল।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কিছুটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। অতএব, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে অবস্থায় করার প্রবণতা বজায় আছে, যার ফলে লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং অনেক সময় অযৌক্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। সোমবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে সম্ভবত আবারও খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা যাবে। 1.1571–1.1584 এরিয়া অথবা 1.1655–1.1666 রেঞ্জের মধ্যে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। সোমবার, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা আকর্ষণীয় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা আবার প্রায় শূন্যে নেমে আসতে পারে। এটি মনে রাখা প্রয়োজন, এমনকি গত শুক্রবার প্রকাশিত আটটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের ফলাফলও কোনো উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করেনি।
Read more: https://ifxpr.com/47OrosX
-
কেন স্বর্ণের মূল্য আউন্স প্রতি $4,000-এর নিচে নেমে গেল?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1408860892.jpg[/IMG]
এই সপ্তাহের শুরুতে তীব্র দরপতনের পর, স্বর্ণের মূল্য প্রতি আউন্সে $4,000-এর নিচে নেমে গেছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির ফলে নিরাপদ অ্যাসেটের প্রতি চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। স্বর্ণের মূল্যের এই লেভেলটি মনস্তাত্ত্বিকভাব গুরুত্বপূর্ণ একটি লেভেল হিসেবেও বিবেচিত হয়। স্বর্ণের মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি স্বল্পমেয়াদী ট্রেডারদের লং পজিশন ক্লোজ করতে প্ররোচিত করতে পারে, যা বিয়ারিশ প্রবণতা আরও জোরালো করে তুলবে। তবে, বর্তমানে দরপতন হওয়া সত্ত্বেও, স্বর্ণের চাহিদাকে সমর্থন করার পেছনের মৌলিক উপাদানগুলো এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির অনিশ্চয়তা — এসবই স্বর্ণের চাহিদাকে এখনও সহায়তা করে যাচ্ছে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা থাকা অবস্থায়, ট্রেডাররা এখনো স্বর্ণকে অস্থির সময়েও একটি নির্ভরযোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখনো স্বর্ণের প্রতি আগ্রহী, কারণ তারা রিজার্ভে বৈচিত্র্য আনতে এবং মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে চায়। আগামী সপ্তাহগুলোতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে থাকবে। যদি আলোচনায় অচলাবস্থা শুরু হয় বা বাণিজ্যসংক্রান্ত উত্তেজনা আবার বাড়ে, তাহলে স্বর্ণের চাহিদা আবারও বেড়ে যেতে পারে এবং মূল্য $4,000 বা তারও ওপরে পৌঁছে যেতে পারে। অন্যদিকে, যতক্ষণ না স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টির জন্য নতুন কোনো অনুঘটক সামনে আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি চাপের মধ্যে থাকতে পারে। মঙ্গলবার, স্বর্ণের মূল্য $3,973-এ নেমে আসে — যা আগের সেশনে 3.2% দরপতনের পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ঘটেছে। তবুও চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত স্বর্ণের দাম ৫০% এরও বেশি বেড়েছে। বর্তমান দরপতন বড় ট্রেডার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য বড় পরিসরে স্বর্ণ ক্রয়ের একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যারা ১০ বছরেরও বেশি সময় আগে শেষবার স্বর্ণ কিনেছিল, তারা এখন মধ্য-মেয়াদী থেকে দীর্ঘ-মেয়াদে অতিরিক্ত স্বর্ণ সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করছে। এছাড়াও আশা করা হচ্ছে যে, বুধবার শেষ হওয়া দুই দিনব্যাপী বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে। সাধারণত সুদের হার হ্রাস স্বর্ণের মূল্যের জন্য ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে স্বর্ণের টেকনিক্যাল পরিস্থিতি অনুযায়ী, ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে স্বর্ণের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল $3,954-এ পুনরুদ্ধার করা। এটি করা গেলে, তারা স্বর্ণের মূল্যকে $4,008 লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে — তবে এই লেভেল ব্রেকআউট করে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে $4,062 লেভেল। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের দরপতন হতে থাকে, তাহলে মূল্য $3,906 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে এবং স্বর্ণের মূল্য অন্তত $3,849 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে থেকে $3,802 পর্যন্তও দরপতন হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4qqcAJf
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৯ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1357172512.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবার খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। সারাদিন জুড়ে ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতার সম্মুখীন হয়েছিল, যার ফলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় মুদ্রারও দরপতন হতে শুরু করে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ইউরোর মূল্য কিছুটা পুনরুদ্ধার করে, কিন্তু স্থানীয় কারণে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত ছিল। অতএব, আমরা গতকাল ইউরোর মূল্যের যেটুকু তীক্ষ্ণ মুভমেন্ট দেখেছি, যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস বিবৃতি না দিলে তা হয়ত দেখা যেত না। দৈনিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের মোট ভোলাটিলিটি ছিল 43 পিপস। আজ সন্ধ্যায়, ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে (বা বলা ভালো, শেষ হবে), তাই নতুন ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার প্রত্যাশা করতে পারেন। যদিও ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ওয়াকিবহাল রয়েছে। ফেড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, পরপর দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার 0.25% হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। যুক্তি অনুযায়ী, আজও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকবে, তবে লক্ষ্যণীয় যে, সম্প্রতি ইউরোর মূল্য বাড়ছে না, যদিও ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল ভিত্তি রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2026182562.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি ও একরকম এলোমেলো মুভমেন্টের কারণে, যেকোনো ট্রেডিং সিগন্যাল, লেভেল বা জোন কাজে লাগিয়ে মুনাফা অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে গিয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655-1.1666 এরিয়ার কাছ থেকে বাউন্স করেছিল, যা পরবর্তীতে আর ব্রেক করা সম্ভব হয়নি। এরপর এই পেয়ার প্রায় ২০ পিপস দরপতনের শিকার হয়ে আবার 1.1655-1.1666 রেঞ্জে ফিরে আসে।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। একটি নতুন আপট্রেন্ড লাইন গঠিত হয়েছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য প্রতিকূল। ফলে, আমরা 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। যদিও দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করছে, যা মার্কেটে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি ও লোয়ার টাইমফ্রেমে অযৌক্তিক মুভমেন্টের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বুধবার, নতুন ট্রেডাররা আবার 1.1655-1.1666 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে আরেকটি বাউন্স হলে সেটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করলে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই এই পেয়ারের মূল্যের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করিনি, কারণ ভোলাটিলিটির মাত্রা এখনো অত্যন্ত কম। ৫ মিনিট টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। বুধবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা সম্ভাব্যভাবে মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42ZRRC7
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/412487408.jpg[/IMG]
USD/JPY পেয়ারের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 152.18 লেভেল টেস্ট করে, যা ডলার বিক্রি করার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২৫ পিপস পর্যন্ত কমে যায়। গতকাল জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার পর, যেখানে তিনি বলেন যে ভবিষ্যতের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে অর্থনৈতিক সূচকের ওপর নির্ভর করবে, এর প্রেক্ষিতে জাপানি ইয়েন মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়। ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যানের মতে, অক্টোবরে সুদের হার হ্রাস মূলত ঝুঁকিমুক্ত থাকার পদক্ষেপ ছিল, এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে। কারেন্সি মার্কেটে এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পূর্বানুমানযোগ্য ছিল: অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হয়, যার ফলে ইয়েনের আকর্ষণ হ্রাস পায়। ফেডের চেয়ারম্যানের মন্তব্যের পরে মার্কেট, যারা এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আরও আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করা হবে বলে আশা করছিল, তারা তাদের প্রত্যাশা সংশোধন করে নেয়—যার ফলে ইয়েনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। আজকের এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে, ইয়েন আবার দরপতনের শিকার হয়, যখন ব্যাংক অফ জাপান তাদের মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ব্যাংকে অব জাপানের বোর্ড মেম্বার নাওকি তামুরা ও হাজিমে তাকাতা টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেন। বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন ব্যাংক অফ জাপানের গভর্নর কাজুয়ো উয়েদা-র সংবাদ সম্মেলনের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতের নীতিগত পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়—কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ইয়েনের চলমান দুর্বলতার কারণে ব্যাংক অব জাপান প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর জোর দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1266666521.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 153.82-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 153.14-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 153.82-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 152.76-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 153.14 এবং 153.82-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 152.76-এর (চার্টে হালকা লাল লাইন) লেভেল পৌঁছানোর পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 152.02-এর লেভেল (গাঢ় লাল লাইন), যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 153.14-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 152.76 এবং 152.02-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3Wrv66q
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৩১ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2019321099.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও গতকাল এই পেয়ারের মূল্য আরেকবার অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছিল। ইউরোপীয় মুদ্রা আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে; দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান বজায় রেখেছে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বহাল রয়েছে। অতএব, আমরা এখনো শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। গতকাল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে খুব সামান্যই যৌক্তিকতা ছিল। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই সকাল থেকেই ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করতে শুরু করে। এর মানে, ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের অপেক্ষাও করেননি, বরং তাঁরা ফেডের বৈঠকের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিলেন, যেটিকে একেবারে "ব্যাপকভাবে ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান বলা যাবে না। পরবর্তীতে, জার্মানি ও ইউরোজোন থেকে প্রকাশিত জিডিপির প্রতিবেদনের ফলাফল নতুন কোনো সংকটের ইঙ্গিত দেয়নি। জার্মানির বেকারত্বের হারও হতাশাজনক ছিল না। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতিও প্রত্যাশার চেয়ে কম এসেছে। তাই, কোনো প্রতিবেদন থেকেই ইউরোর দরপতনের সঠিক কারণ দেখা যায়নি। একই কথা ইসিবির বৈঠকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, ট্রেডাররা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিল, ঠিক সেরকম সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/531946787.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়ার নিচে এসে স্থির হয়, এবং এরপরই সকল মুভমেন্টের সমাপ্তি ঘটে। তাই, নতুন ট্রেডারদের পক্ষে এই একটি শর্ট পজিশন থেকে লাভ করা কঠিন ছিল, তবে লোকসানও হয়নি, কারণ মূল্য এই এরিয়াটির আশপাশেই ছিল।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, আবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন চলমান থাকার ইঙ্গিত পরিলক্ষিত হচ্ছে। নতুন করে এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও আর্থিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। সুতরাং, টেকনিক্যাল দিক থেকে ইউরোপীয় মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের গঠন ও সেখানে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে, তাই আমরা প্রতীক্ষা করছি কখন এই প্রবণতা শেষ হবে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে। শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন, যেখানে এই মুহূর্তে এই পেয়ারের মূল্য অবস্থান করছে। এই এরিয়া থেকে মূল্য বাউন্স করলে সেটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.1527-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এই এরিয়ার ওপর কনসোলিডেশন হলে সেটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য আপনি এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। শুক্রবার ইউরোজোনে মাত্র দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে গতকাল মার্কেটে প্রকাশিত আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডাররা কার্যত উপেক্ষা করেছে। আজ, জার্মানির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের প্রকাশিত হবে। এটি মনে রাখা জরুরি যে, ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব খুবই সামান্য।
Read more: https://ifxpr.com/47sOHbj
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৩ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/646230328.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের চলমান নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যদিও এর পেছনের কারণগুলো কিছুটা সন্দেহজনক ছিল। সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, নতুন ট্রেডারদের জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মনে করিয়ে দিই, ইউরোপীয় ইউনিয়নে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন দুটি ধাপে প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে প্রথম প্রতিবেদনটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার, অক্টোবর মাসের প্রাথমিক (প্রথম) অনুমান প্রকাশিত হয়, যেখানে বার্ষিক ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল 2.1% — যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। অর্থাৎ, প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কোনো ফলাফল ছিল না এবং আবারও ইউরোর দরপতন শুরু হওয়ার জন্য কোনো যৌক্তিক কারণও ছিল না। পূর্বাভাস ও প্রকৃত ফলাফলের তুলনার বাইরে গিয়ে, আমরা এই বিষয়টির ওপর নজর দিতে পারি যে ইউরোপে মূল্যস্ফীতি মন্থর হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) "ডোভিশ" বা নমনীয় অবস্থান সম্ভবত আরও দৃঢ় হচ্ছে, এবং এর ফলে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে, এই ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির পতন এতটাই সামান্য যে ইসিবি কেবল তখনই পদক্ষেপ নেবে যদি মুদ্রাস্ফীতির হার 2%-এর নিচে নেমে আসে। সুতরাং, শুক্রবারের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইউরোপীয় মুদ্রা এখন শুধুই টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে দরপতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1864734223.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার সারাদিনে একটি মাত্র সেল ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, প্রায় সারাদিন ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের কনসোলিডেশন হয়েছে। মার্কিন ট্রেডিং সেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়া ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, যার ফলে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1527-এর প্রথম লক্ষ্যমাত্রা নেমে আসে এবং সেই লেভেল থেকে বাউন্স করে। তাই, নতুন ট্রেডারদের জন্য মুনাফা নিশ্চিত করার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার আবারও মার্কেটে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বিরাজ করছে, তবে এর মাঝেও স্বল্প পরিসরে মুনাফা করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের আবারও দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়েছে এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। তাই টেকনিক্যাল কারণে ইউরোর এই দরপতন আরও কিছুদিন বজায় থাকতে পারে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার বিষয়টি এখনো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট স্ট্রাকচার যা শেষ হওয়ার পরেই নতুন করে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1527 লেভেলে ট্রেড করতে পারেন। এই লেভেল থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.1571-1.1584 এরিয়ার দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। তবে মূল্য এই লেভেলের নিচে মূল্য স্থিতিশীল হলে 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। সোমবার ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে ISM সূচকের ওপর, যেটির ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/43Nkhzq
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৪ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1598470804.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সোমবার সামান্য অস্থিরতার মধ্যেই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে মার্কেটে যে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা গেছে, তা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠেনি, কারণ উল্লেখযোগ্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তবে সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হয়েছে, যেটি একমাত্র অনুমান হিসেবেই প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনের গুরুত্ব যতই হোক না কেন, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পূর্বাভাস এবং প্রকৃত ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য। আমরা জানতে পারলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতে আবারও চাপের মধ্যে পড়েছে, যদিও পূর্বাভাসে এই খাত সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখানো হয়েছিল। ফলে, প্রতিবেদনটির ফলাফল মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক নেতিবাচক ছিল, যা সাধারণ পরিস্থিতিতে ডলারের দরপতন ঘটিয়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করার কথা। কিন্তু, এবার আমরা এই পেয়ারের মূল্যের কোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখিনি। সেই কারণে, আমরা আবারও আমাদের পাঠকদের এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছি যে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক, এবং এমনটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আগের মতোই চলমান রয়েছে। অক্টোবর মাসেও আমরা খুবই সীমিত এবং পূর্বাভাসযোগ্য মুভমেন্ট দেখেতে পেয়েছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/722738222.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার 1.1527 লেভেলের কাছাকাছি দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা এতটাই কম ছিল যে এই সিগন্যালগুলোর কোনোটিই প্রকৃত অর্থে মুনাফা দিতে পারেনি। আমরা পূর্বেও উল্লেখ করেছি, যদি কোনো দিনে এই পেয়ারের মূল্যের কেবলমাত্র 40 পিপসের মধ্যে মুভমেন্ট হয়, তাহলে ট্রেডিং সিগন্যাল যতই শক্তিশালীই হোক না কেন, মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই সীমিত। মার্কেটে এখনো কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো স্পষ্টভাবে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকার ইঙ্গিত প-পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুকূল নয়। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ইউরোপীয় মুদ্রা আরও দরপতন হতে পারে। তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে, যা থেকে বের হওয়ার পর পুনরায় একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3102-1.3107 এরিয়ার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেড করতে পারেন। এটি শুধুমাত্র একটি লেভেল নয়, বরং দৈনিক টাইমফ্রেমে সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানাও। এখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, কিন্তু যদি ক্রয়ের প্রবণতা কম থাকে, সেক্ষেত্রে মার্কেটে বিশেষ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাবে না। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। মঙ্গলবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধির খুব একটা প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতাভিত্তিক বা দিকনির্দেশনামূলক মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশ কম।
Read more: https://ifxpr.com/4qF8JYP
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৫ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/838529588.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবার কোনো কারণ ছাড়াই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল। গতকাল, একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু লাগার্ডে মুদ্রানীতি বা অর্থনীতির নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি। অতএব, এই ইভেন্টের কারণে নতুন করে ইউরোর দরপতন হয়নি। তবুও, আমরা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একই কথার পুনরাবৃত্তি করছি: বর্তমানে কেবল টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে দরপতন হচ্ছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি মার্কিন ডলারের জন্য এখনও অনুকূল নয়। দৈনিক টাইমফ্রেমে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য কেবল সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের লাইন থেকে নিচের লাইনে নামছে আর উঠছে । তবে, লোয়ার টাইমফ্রেমে সামগ্রিক পরিস্থিতি ট্রেডিংয়ের জন্য বিশেষভাবে ইতিবাচক নয়। গতকাল, দুটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল যা কাজে লাগানো যেত। হায়ার টাইমফ্রেমে কোন প্রবণতা বিরাজ করে তা বিবেচ্য নয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/225688766.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল যা নতুন ট্রেডাররা সহজেই কার্যকর করতে পারতেন। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.1527 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল এবং মার্কিন সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.1474 থেকে সক্রিয়ভাবে বাউন্স করে। সুতরাং, প্রথমে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, তারপরে লং পজিশন। উভয় ট্রেডই মুনাফার সাথে ক্লোজ করা যেত ছিল।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুকূল নয়। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ইউরোপীয় মুদ্রা আরও দরপতন হতে পারে তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে, যা থেকে বের হওয়ার পর 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1455-1.1474 এরিয়ায় ট্রেড করতে পারবেন। গত রাতে এই লেভেলের কাছাকাছি একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তাই নতুন ট্রেডাররা এই এরিয়ার উপর ভিত্তি করে ট্রেড করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য 1.1455-1.1474 এরিয়া দৃঢ়ভাবে ব্রেক করে অতিক্রম করলে 1.1413-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচন করতে পারেন consider the levels: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। বুধবার, ইউরোজোনে কেবলমাত্র পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকসমূহের দ্বিতীয় মূল্যায়ন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ADP এবং ISM থেকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রত্যাশিত। প্রথম প্রতিবেদনটি বর্তমানে মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য একমাত্র প্রতিবেদন। দ্বিতীয়টিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক।
Read more: https://ifxpr.com/4qKkA7Y