-
১৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1074177591.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাজ্য জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি, GDP প্রতিবেদনটিতে প্রান্তিক ভিত্তিকের পরিবর্তে মাসিক ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশিত হবে, তাই ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া খুবই সীমিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জার্মানিতেও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে এটি ট্রেডারদের কাছ থেকে খুব বেশি আগ্রহ আকর্ষণ করবে না। এর প্রধান কারণ হলো এটি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় অনুমান এবং এটি শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের 27টি দেশের মধ্যে একটি দেশের মুদ্রাস্ফীতির চিত্র উপস্থাপন করে। গত দুই সপ্তাহে, ট্রেডাররা আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও উপেক্ষা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশ করা হবে, তবে এটিকেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: যদিও শুক্রবার নির্ধারিত কোন গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং বিবৃতির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। বর্তমানে আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ, কানাডার সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতের সমাধান। ফলে, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কী ধরনের নতুন খবর প্রকাশিত হতে পারে তা আগে থেকে অনুমান করা অসম্ভব। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেট আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছেন। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য না আসে, তবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সামান্য কারেকশন দেখা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এই মুহূর্তে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/3DHkDhk
-
১৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1097473178.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে, গত দুই সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি বেশ কম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর পরিবর্তে, তারা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত তথ্য এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক এমন যেকোনো বৈশ্বিক সংবাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য দরপতন এড়াতে সক্ষম হয়েছে, তবে এটি এখনো পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। মনে হচ্ছে, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের নতুন শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার (যেমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর শুল্ক আরোপ) জন্য অপেক্ষা করছে, যা ডলারের আরও বিক্রির প্রবণতার অনুঘটক হতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা। তবে, লাগার্ড প্রায়শই বক্তৃতা দিয়ে থাকেন, তাই মার্কেটে নতুন কোন তথ্য আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থান ইতোমধ্যেই স্পষ্ট: মূল সুদের হার আরও কমানো হতে পারে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি এখন আর উদ্বেগের কারণ নয় এবং গত ২.৫ বছরে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত দুর্বল ছিল। তাই, ইসিবির প্রেসিডেন্ট সোমবার নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগের সাথে ট্রেডিং করা হচ্ছে, যার প্রধান অনুঘটক ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্পের পদক্ষেপের ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই হয় হালকা কারেকশন দেখা যেতে পারে অথবা সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে। এখনো পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/3DYvseW
-
১৮ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/844910002.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোজোন এবং জার্মানিতে ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট বা অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে, যা আমাদের মতে ট্রেডারদের উপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, হাউজিং স্টার্টস, বিল্ডিং পারমিট এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এসব প্রতিবেদন ডলারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্টের উপর সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এর বেশি কিছু ঘটবে না। সোমবারের ট্রেডিংয়ে দেখা গেছে যে, কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলারের দরপতন হতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে খুব বেশি প্রশ্ন নেই। ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এই সপ্তাহে বৈঠকে বসবে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় নিশ্চিত যে কোনোভাবেই মুদ্রানীতি পরিবর্তন করা হবে না। তাই মূল পরিস্থিতি অ্যান্ড্রু বেইলি এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের উপর নির্ভর করছে। তবে, বৈঠকের দুই দিন আগে, মুদ্রানীতি কমিটির কোন সদস্যই সাক্ষাৎকার দিতে বা বর্তমান পরিস্থিতি এবং আসন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারেন না। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে সম্পূর্ণরূপে আবেগের সাথে ট্রেডিং পরিচালিত হচ্ছে এবং এর একমাত্র পরিচালক হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার পুনরায় চাপের মুখে পড়তে পারে। যদি ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো নতুন সংবাদ না আসে, তবুও ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এখন শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4iByEw7
-
১৯ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/648560458.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে। মার্কিন ডলার দুর্বল হওয়ার লক্ষণ দেখিয়ে যাচ্ছে, তবে সামনে কী হতে পারে? বুধবার ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে; তবে, এই ফলাফলে সাধারণত প্রাথমিক প্রতিবেদনের তুলনায় খুব বেশি পার্থক্য দেখা যায় না, তাই মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। আজ অন্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক। মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমানযোগ্য হলেও, জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন এবং "ডট প্লট" চার্ট মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে। বর্তমানে, ট্রেডারদের কাছে মুদ্রানীতি প্রধান আলোচ্য বিষয় নয়, তবে এই ইভেন্টটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পূর্ববর্তী "ডট প্লট" পূর্বাভাস অনুসারে, 2025 সালে দুইবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ছিল। যদি আজকের চার্টে প্রত্যাশিত সুদের হারের পরিবর্তন দেখা যায়—কম বা বেশি—তবে এটি মার্কিন ডলারের সঙ্গে সম্পর্কিত ট্রেডিং কৌশলগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। পাওয়েলের বক্তব্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে—যদি তিনি আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেন, তবে এটি ডলারকে আরও দুর্বল করতে পারে। তবে, আমরা আশা করছি যে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মার্কেটে আবারও মূল প্রবণতায় ফিরে আসবে, যা ডলারের বিক্রির দিকে পরিচালিত করবে, যা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে হয়েছে।
উপসংহার: বুধবার দিনভর, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগ দ্বারা ট্রেডিং পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছেন। সন্ধ্যায় স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে "ঝড়" উঠতে পারে, যা সাময়িকভাবে ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। তবে, ফেডের মুদ্রানীতিও এই মুহূর্তে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নির্ধারণের প্রধান উপাদান নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্ভাব্যভাবে সম্পূর্ণ বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা অব্যাহতভাবে মার্কিন ডলারের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করছে।
Read more: https://ifxpr.com/3Y1OlV8
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পর্যালোচনা: প্রবৃদ্ধির পর দরপতন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/854307784.jpg[/IMG]
S&P 500 স্টক মার্কেটের পর্যালোচনা – ১৯ মার্চ মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতন। কনসোলিডেশন। ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে দৃষ্টি। মঙ্গলবার প্রধান মার্কিন স্টক সূচক: ডাউ জোন্স -0.6%, নাসডাক -1.7%, S&P 500 সূচক -1.1%, S&P 500 সূচক বর্তমানে 5,614 পয়েন্টে রয়েছে, রেঞ্জ 5,500 – 6,000। সকল সেক্টরে দরপতনের সাথে স্টক মার্কেটে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। প্রধান স্টক সূচকগুলো সেশনের সর্বনিম্ন লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়েছে, যেখানে দরপতনের হার ছিল 0.6% - 1.7%। S&P 500 সূচক (-1.1%) এবং নাসডাক কম্পোজিট (-1.7%) টানা দুইদিনের বৃদ্ধির পর নিম্নমুখী হয়েছে, তবে আগের অর্জিত মুনাফা সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়নি। S&P 500 এবং নাসডাক কম্পোজিট যথাক্রমে গত বৃহস্পতিবার সেশন শেষ হওয়ার সময়ের তুলনায় 1.7% এবং 1.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহৎ মূলধনসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরপতনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল, যার মধ্যে রয়েছে টেসলা (TSLA 225.31, -12.70, -5.3%), এনভিডিয়া (NVDA 115.52, -4.00, -3.4%), মেটা প্লাটফর্ম (META 582.36, -22.54, -3.7%), এবং অ্যালফাবেট (GOOG 162.67, -3.90, -2.3%)। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া-এর ইভেন্ট সংক্রান্ত খবর বিশ্লেষণ করছিল, তবে এই ঘোষণাগুলো স্টকের মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। অন্যদিকে, অ্যালফাবেট ঘোষণা করেছে যে তারা ক্লাউড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপার উইয ইনকর্পোরেটেড-কে $32 বিলিয়নে অধিগ্রহণ করবে। ভূরাজনৈতিক ঝুঁকিও মার্কেটে দরপতনের কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তবে, পণ্য মূল্য এবং ট্রেজারি বন্ডের গতিবিধিতে এই উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়নি। ট্রেজারি বন্ড সাধারণত ভূরাজনৈতিক সংকটের সময় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ১০-বছর মেয়াদী ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড ৩ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.২৮% হয়েছে এবং ২-বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.০৪% হয়েছে, যা শুধুমাত্র সামান্য পরিবর্তন নির্দেশ করে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সাধারণত তেলের দাম বৃদ্ধি পায়, তবে WTI অপরিশোধিত তেলের ফিউচার গতকাল 1.2% হ্রাস পেয়ে প্রতি ব্যারেল $66.78 হয়েছে। ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের পরও মার্কেটে এর তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই ফোনালাপের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে উভয় নেতা প্রথমে জ্বালানি এবং অবকাঠামোগত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছেন, এরপর কৃষ্ণ সাগরে নৌবাহিনীর যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তীতে পর্যায়ে তারা একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির দিকে অগ্রসর হবেন। তবে, ট্রাম্প এই আলোচনায় সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং এটি তার প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি বলে মনে হয়েছে। যদিও মস্কোর বক্তব্য ইতিবাচক ছিল, ট্রাম্প ফোনালাপের পরপরই তার নির্ধারিত ভাষণ বাতিল করেন। সাধারণত, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকেন, তবে এইবার তার প্রতিক্রিয়া অনেক দেরিতে এসেছে। এটি স্পষ্ট যে ট্রাম্প সরাসরি একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি আশা করেছিলেন, যা এই ফোনালাপে হয়নি। বিশেষ করে, তার ব্যক্তিগত দূত উইথঅফ ফোনালাপের ঠিক আগে মস্কোতে শীর্ষ রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসেছিলেন, যেখানে প্রধান আলোচনার বিষয়গুলো আগেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। ফোনালাপের পর মস্কো এক্সচেঞ্জ সূচক ১% হ্রাস পেয়েছে। এটি মাঝারি মাত্রার দরপতন হলেও এটি এই আলোচনার ফলাফলের প্রতি রাশিয়ান বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত করে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: গতকাল প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে ফলাফল মিশ্র ছিল: ফেব্রুয়ারিতে আবাসন নির্মাণ শুরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, আমদানি ও রপ্তানি মূল্য বার্ষিক ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তন নির্দেশ করেছে। বছরের শুরু থেকে স্টক সূচকসমূহের পারফরম্যান্স: ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ: -1.7% S&P 500 সূচক: -4.5% S&P মিডক্যাপ 400 সূচক: -5.6% নাসডাক কম্পোজিট: -9.4% রাসেল 2000: -8.1% অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: ফেব্রুয়ারির আবাসন নির্মাণ শুরুর সংখ্যা: 1.501 মিলিয়ন (সর্বসম্মত পূর্বাভাস: 1.385 মিলিয়ন) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 1.350 মিলিয়ন (পূর্বে ছিল 1.366 মিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির বিল্ডিং পারমিট: 1.456 মিলিয়ন (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: 1.450 মিলিয়ন) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 1.473 মিলিয়ন (পূর্বে ছিল 1.483 মিলিয়ন) মূল বিশ্লেষণ: ফেব্রুয়ারিতে আবাসন নির্মাণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উন্নত আবহাওয়ার কারণে সম্ভব হয়েছে। এটি দক্ষিণ অঞ্চলে 18.3% বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে জানুয়ারিতে 23% পতন হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির রপ্তানি মূল্য: +0.1% (পূর্ববর্তী: +1.3%) কৃষিপণ্য বাদে রপ্তানি মূল্য: +0.1% (পূর্ববর্তী: +1.5%) ফেব্রুয়ারির আমদানি মূল্য: +0.4% (পূর্ববর্তী: সংশোধিত হয়ে +0.3% থেকে +0.4%) তেল বাদে আমদানি মূল্য: +0.3% (পূর্ববর্তী: +0.1%) ফেব্রুয়ারির শিল্প উৎপাদন: +0.7% (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: +0.2%) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: +0.5% থেকে +0.3% ফেব্রুয়ারির উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবহার: 78.2% (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: 77.7%) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 77.8% থেকে 77.7% মূল বিশ্লেষণ: শিল্প উৎপাদনে শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা মূলত গাড়ি এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদনে 8.5% বৃদ্ধির ফলে সম্ভব হয়েছে। সম্ভবত এই খাত নতুন শুল্ক আরোপের প্রত্যাশায় হয়েছে। গাড়ি উৎপাদন গত মাসের তুলনায় 11.5% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি ঋতুভিত্তিক বার্ষিক হারে 10.35 মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছেছে। বুধবার প্রকাশিতব্য নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন: 07:00 ET: MBA সাপ্তাহিক বন্ধকী সূচক (পূর্ববর্তী: +11.2%) 10:30 ET: সাপ্তাহিক অপরিশোধিত তেলের মজুদ (পূর্ববর্তী: +1.45 মিলিয়ন ব্যারেল) 16:00 ET: জানুয়ারির নেট TIC ফ্লো (পূর্ববর্তী: $72.0 বিলিয়ন) অতিরিক্তভাবে, মার্চ মাসের FOMC-এর বৈঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে 14:00 ET-এ। উল্লেখ্য: ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার পরিবর্তন করবে না বলে মনে হচ্ছে, তবে বিবৃতিতে গৃহীত অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হবে। এনার্জি: Brent অপরিশোধিত তেল: $70.20। মার্কিন মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে তেলের দাম প্রায় $1 কমেছে। যদি মার্কিন স্টক মার্কেটের দরপতন অব্যাহত থাকে, তাহলে তেলের দাম $70-এর নিচে নেমে যেতে পারে। উপসংহার: ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ফেডের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বিবৃতি সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। বর্তমানে, মার্কিন স্টক মার্কেট একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং সূচকটি সেই লেভেল থেকে কিছুটা নেমে এসেছে, যা সম্ভাব্যভাবে ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে সতর্কভাবে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মিখাইল মাকারভ আরও বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন:
Read more: https://ifxpr.com/4iHyjYH
-
ফেডারেল রিজার্ভ স্টক মার্কেটকে জীবনরক্ষাকারী লাইফবোট উপহার দিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/473479657.jpg[/IMG]
২৪-ঘণ্টার চার্টে #SPX-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার যথেষ্ট স্পষ্ট। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বৃহৎ পরিসরে ফাইভ-ওয়েভ গঠন, যা এতটাই প্রশস্ত যে এটি প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিনে সবচেয়ে ছোট স্কেলেও পুরোপুরি ফিট হয় না। সহজ কথায়, মার্কিন স্টক সূচকগুলো দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। তবে আমরা জানি, একসময় যেকোনো প্রবণতাই শেষ হয়। এই মুহূর্তে, ওয়েভ 5 of 5 সম্ভবত সম্পন্ন হয়েছে, কারণ ইনস্ট্রুমেন্টটি 6,093 লেভেল (ওয়েভ 4 থেকে 200.0% ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশন) অতিক্রম করতে চারবার ব্যর্থ হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে, একটি করেকটিভ ওয়েভ সিকোয়েন্স এখন গঠিত হচ্ছে। মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত উত্তপ্ত, এবং বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ এখন "বাবল" সম্পর্কে সতর্ক করছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে, আমরা একটি সম্পূর্ণ জটিল করেকটিভ স্ট্রাকচার a-b-c-d-e দেখতে পাচ্ছি, যার পর একটি ঊর্ধ্বমুখী a-b-c প্যাটার্ন দেখা গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে একটি নতুন নিম্নমুখী স্ট্রাকচার গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যার প্রথম ওয়েভটি স্পষ্টত একটি ইম্পালসের মতো বলে মনে হচ্ছে। তাই, আমি একটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ 2 বা b গঠনের প্রত্যাশা করছি, যার পর দরপতন আবার শুরু হতে পারে। আমার বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি দৈনিক ওয়েভ কাউন্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা S&P 500-এর দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী মুভমেন্ট নির্দেশ করে।
ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান ট্রেডারদের আতংক প্রশমিত করেছে, তবে ঝুঁকি রয়ে গেছে আগে যেমনটি সতর্ক করেছিলাম, #SPX এখন করেকটিভ ওয়েভ b গঠন করতে শুরু করেছে, যা সূচকটির দরকে 5,825 পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে—যা ওয়েভ a থেকে 50.0% ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মানে, মার্কিন স্টক মার্কেট স্বল্পমেয়াদে প্রবৃদ্ধির প্রদর্শন করতে পারে, তবে এটি পরবর্তী দরপতনের আগে সম্ভবত একটি করেকটিভ বাউন্স হবে। অবশ্য, ওয়েভ স্ট্রাকচার বিভিন্নভাবে বিকশিত হতে পারে—রিট্রেসমেন্ 38.2% বা এমনকি 76.4%ও হতে পারে, তবে আপাতত আমাদের একটি বেসলাইন সিকোয়েন্স রয়েছে। এই সপ্তাহের FOMC-এর বৈঠকে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কেবল মার্কেটের ট্রেডাররাই ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে আতংকিত হচ্ছে—ফেড নয়। ফেড মার্কিন অর্থনীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখতে পায়নি। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আশা করছে মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কমবে। তাই, পূর্বাভাস অনুযায়ী মুদ্রানীতির নমনীয়করণ ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে। তবে, মনে করিয়ে দিতে চাই যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানকে আমলে নিয়েছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মার্কিন অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি, যা এখনো সতর্কভাবে নেতিবাচক রয়ে গেছে। তবুও, ফেড কিছুটা হলেও মার্কেটের ট্রেডারদের শান্ত করতে পেরেছে, যদিও স্পষ্টভাবে অস্বীকার করা যাবে না—মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে হচ্ছে। হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের আশংকা অনুযায়ী নয়, কিন্তু মন্থর হচ্ছে। তাই, আমার ওয়েভ স্ট্রাকচার এখনও সঠিক রয়েছে। চূড়ান্ত মন্তব্য #SPX-এর বর্তমান ওয়েভ বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে ইনস্ট্রুমেন্টটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমি 6,125 লেভেল এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিমালার দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁর কার্যকলাপ—বাণিজ্ যুদ্ধ, শুল্ক, এবং আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ—মার্কিন অর্থনীতি এবং কর্পোরেট আয়ের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে, যা নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। মার্কিন স্টক মার্কেটে "বাবল" পুরোপুরি তৈরি হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে আরও একটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভের সম্ভাবনা আছে, তারপরে একটি বিয়ারিশ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ২৪-ঘণ্টার চার্ট দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা নিশ্চিত করেছে। হায়ার টাইমফ্রেমে ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও স্পষ্ট: একটি সম্পূর্ণ ফাইভ-ওয়েভ গঠন, যার ভিতরে পঞ্চম ওয়েভে আরেকটি পাঁচ-ওয়েভ প্যাটার্ন—এটি একটি নিশ্চিত নির্দেশক যে এই ওয়েভের গঠন সম্ভবত শেষের কাছাকাছি রয়েছে। সব মিলিয়ে এটি দীর্ঘ এবং জটিল করেকশনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যা সম্ভবত ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিমালা: ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজবোধ্য এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল প্যাটার্নে ট্রেড করা কঠিন এবং এটি প্রায়শই হঠাৎ পরিবর্তিত হয়। প্রবণতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকলে মার্কেটের বাইরে থাকাই ভালো। কখনোই মূল্যের মুভমেন্টের শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। তাই সবসময় স্টপ লস অর্ডার ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি এবং ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করা যায়, যাতে আরও পরিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।
Read more: https://ifxpr.com/4huB7r3
-
২৪ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/618102918.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা টেকনিক্যাল পরিস্থিতি এবং বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে পুরোপুরি যৌক্তিক ছিল। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং এর পেছনে মাত্র একটি কারণ ছিল — সেটি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রোটেকশনিস্ট বা সুরক্ষাবাদী নীতিমালা। অন্যান্য সমস্ত বিষয় প্রায় উপেক্ষিতই হয়েছিল। তবে বুধবার সন্ধ্যায় এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ এখনো আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না এবং পূর্বের মতোই ২০২৫ সালে দুইবারের বেশি সুদের হার হ্রাসের কোনো সম্ভাবনা রাখছে না। উপরন্তু, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে ফেড কোনো সমস্যাও দেখছে না। সুতরাং, মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ও দীর্ঘ সময় ধরে অযৌক্তিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে। সেই হিসেবে, বর্তমানে অন্তত একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট হিসেবে হলেও এই পেয়ারের দরপতন সম্পূর্ণভাবে যৌক্তিক। অবশ্যই, আগামীতে অল্প সময়ের মধ্যে ৬ মাস থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত চলমান দীর্ঘমেয়াদি নিম্নমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে এই প্রত্যাশা করা করা অতিরিক্ত আশাবাদী হতে পারে, কিন্তু এই প্রবণতা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করার বিশেষ কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা খুব কম ছিল। দ্বিতীয়ত, উভয় সিগন্যালই মার্কেটে ট্রেডিং হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে গঠিত হয়েছিল। যদি এগুলো শক্তিশালী এবং স্পষ্ট সিগন্যাল হতো, তাহলে ট্রেড করার যৌক্তিকতা থাকতে পারত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি ছিল না।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ সেটা হতে দিচ্ছে না। আমরা এখনো মধ্যমেয়াদে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যদিও ট্রাম্পের কার্যক্রমের প্রভাবে ডলারের দরপতন আর কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাই বিরাজ করছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য অকারণে বৃদ্ধি পায়নি, তবে আবারও এটি অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টের টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার অনুযায়ী, সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও হ্রাস পেতে পারে। পাউন্ড আবারও অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে দামী হয়ে উঠেছে। ৫ মিনিটের চার্টে প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107। সোমবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হলেও, এগুলো সামগ্রিকভাবে নয় বরং মূলত স্থানীয় পর্যায়ে মার্কেট সেন্টিমেন্টে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4hHJeAH
-
অর্থনৈতিক যুদ্ধ: তেল, গ্যাস এবং নিষেধাজ্ঞার প্রতিযোগিতার ভূ-রাজনৈতিক খেলা
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/501493805.jpg[/IMG]
অর্থবাজারে প্রতিটি দিন যেন বাজারের আধিপত্য নিয়ে এক যুদ্ধ। যেদিন ট্রেডাররা মূল্যের উত্থান উদ্যাপন করে, পরদিনই পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারে। শুক্রবার, ন্যাচারাল গ্যাস ফিউচারের দর হঠাৎই বেড়ে যায়, যা বুলিশ ট্রেডারদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে ক্রুড অয়েল একই রকম পারফরম্যান্স করতে পারেনি। একবার আবারও নিউ ইয়র্ক মারকেন্টাইল এক্সচেঞ্জ (NYMEX) হয়ে ওঠে বড় মুভমেন্টের মঞ্চ। এপ্রিলে ডেলিভারির জন্য ন্যাচারাল গ্যাস ফিউচারের দর 0.48% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি মিলিয়ন BTU-তে $3.99 এ পৌঁছায়। যদিও সেশনের সর্বোচ্চ মূল্য প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল, তবে $3.866 এর সাপোর্ট এবং $4.259 এর রেজিস্ট্যান্স মার্কেটে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে এবং ধারণা দেয় যে এই মুভমেন্ট এখানেই শেষ নয়। অন্যদিকে, মার্কিন ডলার সূচক — যা ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর নির্ধারণ করে — শুক্রবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সূচকটি 0.28% বৃদ্ধি পেয়ে 103.79 এ পৌঁছেছিল। বহু ট্রেডারের জন্য, ডলার সূচকের মুভমেন্ট একটি নির্ভরযোগ্য সংকেত হিসেবে কাজ করে: ডলারের দর বাড়লে, সাধারণত তেল ও গ্যাসের মতো কমোডিটির ওপর চাপ পড়ে। তবে এই পরিস্থিতিতেই অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডাররা কৌশলগত এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজে পায়।
তেলের বাজারে ভিন্ন চিত্র WTI ক্রুড অয়েলের মার্কেট ততটা গতিশীলতা সৃষ্টি হয়নি। NYMEX-এ মে মাসের ডেলিভারির জন্য WTI ফিউচারের দর 0.40% কমে প্রতি ব্যারেল $68.34-এ নেমে আসে। ইউরোপিয়ান সেশনে প্রবণতা আরও নিম্নমুখী হয়, যেখানে দর আরও 0.07% কমে $68.02-এ পৌঁছায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স যথাক্রমে $66.09 এবং $68.61-এ অবস্থান করছে। ICE-এ ট্রেড করা ব্রেন্ট ফিউচারেও চাপ সৃষ্টি হতে দেখা গেছে, যা 0.19% কমে প্রতি ব্যারেল $71.86-এ ট্রেড করা হয়েছে।
চীনে ইরানি তেলের রপ্তানি নিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্র চীনের উদ্দেশে পাঠানো ইরানি তেলের চালানকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার ফলে মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ে। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় স্বাধীন রিফাইনারি শোগোয়াং লুকিং পেট্রোকেমিকেল এবং একাধিক ট্যাঙ্কার রয়েছে যেগুলো চীনে ইরানি তেল সরবরাহ করে। ফেব্রুয়ারি থেকে এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ নিষেধাজ্ঞা — যা ইঙ্গিত দেয় যে, ওয়াশিংটন আবারও তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে। নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি তেল এখন চীনে আরও জটিল এবং ব্যয়বহুল রুটে পাঠানো হচ্ছে। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, চীনা কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ পুনর্বিন্যাস করছে এবং আমদানি অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসে চীনে ইরানি তেল আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক 1.43 মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছায়, যা জানুয়ারিতে ছিল 898,000 ব্যারেল। এর একটি বড় অংশকে আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ার তেল হিসেবে লেবেল করা হয় — যা বৈশ্বিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সৃজনশীলতাকে নির্দেশ করে।
রাশিয়া এবং ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং উৎপাদন পরিস্থিতি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে, বিশেষত জ্বালানি রপ্তানি লক্ষ্য করে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সরবরাহ সীমিত করা হলেও এটি মার্কেটে কিছু ট্রেডিংয়ের সুযোগও তৈরি করছে। ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একট নির্বাহী আদেশে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেন। মাত্র তিন সপ্তাহ পর, ২৪ ফেব্রুয়ারি, আরও এক নিষেধাজ্ঞায় ঘোষণা করা হয় যেখানে ইরানি তেল খাতের সঙ্গে যুক্ত ৩০ ব্যক্তি ও ট্যাঙ্কারকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ, আরও ১৩টি ট্যাঙ্কার এবং ১৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হয়। তবুও, ইরানের তেল উৎপাদন স্থিতিশীল রয়েছে। দেশটিতে ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদন ছিল দৈনিক ৪.৮ মিলিয়ন ব্যারেল, যা জানুয়ারির সমান। এটি জানুয়ারি ২০২৩ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য, কারণ তখন উৎপাদন ছিল মাত্র ৩.৭ মিলিয়ন ব্যারেল — যা এই ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর কৌশল রপ্ত করেছে। রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। ১২ মার্চ পর্যন্ত বিদেশি কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর (সবারব্যাংক, ভিটিবি, আলফা-ব্যাংক, সভকমব্যাংক) মাধ্যমে রাশিয়ান তেল ও গ্যাস কিনতে পারত। এই লেনদেন একটি নবায়নযোগ্য জেনারেল লাইসেন্সের মাধ্যমে সম্ভব হতো, যা প্রতি দুই মাসর পরপর নবায়ন করা হতো। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র লাইসেন্সটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। CBS সহ অন্যান্য বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরান বা রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে বড় প্রভাব ফেলবে না। তবে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক চাপ তেলের দামে সহায়ক হতে পারে। CBS অনুমান করেছে, এই লাইসেন্স বাতিল করলে তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে $5 পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবুও, মার্চ ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে ব্রেন্টের দর কেবল $70.9 থেকে $71.1 পর্যন্ত বেড়েছে — যা তুলনামূলকভাবে সীমিত বৃদ্ধি। যদি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার আর্থিক খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা হ্রাস করে, তাহলে তেলের পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা দূর হতে পারে। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। উপসংহার উৎপাদন পরিসংখ্যান স্থিতিশীল দেখালেও, জ্বালানি বাজার ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এমনকি মূল্যের সামান্য পরিবর্তনও দীর্ঘমেয়াদি ট্রেডিং কৌশলের সুযোগ এনে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4kZgNB0
-
২৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/616811613.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে, এবং এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত প্রতিবেদনের সংখ্যা আরও কম। একমাত্র যেটি কিছুটা গুরুত্ব রাখে তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। মার্কেটে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি 2.3% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল এর চেয়ে কম হয়, তাহলে ডলার বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি তৈরি হতে পারে, যদিও তা খুব বেশি হবে না, কারণ বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মূল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাপ্তাহিক বেকার ভাতার আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে এই প্রতিবেদন খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং সাধারণত মূল ফলাফলে পূর্বাভাস থেকে তেমন বিচ্যুতি দেখা না। আজ জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একেবারেই কোন প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির বক্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য। তবে মনে রাখা দরকার যে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি তাদের নীতিগত বৈঠক সম্পন্ন করেছে, তাই মাত্র এক বা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে এমন সম্ভাবনা খুব কম। আবার, লাগার্দের বক্তব্য সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তাই দিনের বেলায় ট্রেডিং চলাকালীন সময়ে এটি কোনো প্রভাব ফেলবে না — এমনকি তাত্ত্বিকভাবেও নয়। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শুরু হওয়া দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যই নিজ নিজ অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসোলিডেট করেছে, এবং ফেডের বর্তমান অবস্থান ডলারের পূর্বের দরপতন কিছুটা পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দিচ্ছে। অবশ্য, কেউই জানে না ট্রাম্প কখন নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক ঘোষণা করবেন বা সেগুলোর ধরণ কেমন হবে, তবে এই বিষয়টি বারবার ডলারের দরপতন ঘটানোর একমাত্র চালিকা শক্তি হতে পারে না। বর্তমানে নিম্নমুখী কারেকশনের চেয়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
Read more: https://ifxpr.com/4l5RNYR
-
মার্কিন স্টক মার্কেট দরপতনের সম্মুখীন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1808943946.jpg[/IMG]
S&P 500 মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ২৭ মার্চ নতুন করে শুল্ক আরোপের আশঙ্কা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার মধ্যে মার্কিন স্টক মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। বুধবারের প্রধান মার্কিন স্টক সূচকসমূহের ফলাফল: ডাও জোন্স সূচক: -0.3%, নাসডাক সয়চক: -2.0%, S&P 500 সূচক: -1.1%, S&P 500 সূচক: 5,712, ট্রেডিং রেঞ্জ: 5,500–6,000। প্রধান সূচকগুলোতে দিনের শেষে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 0.3% হ্রাস পেয়েছে, S&P 500 সূচক 1.1% হ্রাস পেয়েছে এবং নাসডাক কম্পোজিট সূচক 2.0% হ্রাস পেয়েছে। আজকের দরপতনের ফলে S&P 500 সূচক আবার 200-দিনের মুভিং অ্যাভারেজ (5,756)-এর নিচে নেমে গেছে। ডাও সূচক, যা একদিন আগেই এই বছর প্রথমবারের মতো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন, তা আবার দরপতনের শিকার হয়েছে। শুরুর দিকে কিছুটা ক্রয়ের আগ্রহ দেখা গেলেও বৃহৎ মূলধনসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর স্টকগুলোর ক্রমাগত পতনের কারণে সূচকগুলোর ওপর চাপ তৈরি হয়। ট্রেডিং সেশনের পরে মার্কেটজুড়ে বিক্রির প্রবণতা আরও বাড়ে, যখন খবর আসে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমদানিকৃত গাড়ির ওপর 25% শুল্ক আরোপ করবেন। এই পদক্ষেপটি গাড়ির মূল্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারদের প্রভাবিত করতে পারে। টেসলা (TSLA 272.06, -16.08, -5.6%) দরপতনের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় ছিল, যদিও বছরের শুরুতে দুর্বল পারফরম্যান্স থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পর এই সপ্তাহে এখনও এটির স্টকের মূল্য 9.4% উপরে রয়েছে। তবে বার্ষিক ভিত্তিতে এখনো 32.6% নিচে রয়েছে। এনভিডিয়া (NVDA 113.76, -6.93, -5.7%) এবং অন্যান্য চিপ নির্মাতাদের স্টকেরও উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ৫০টিরও বেশি চীনা কোম্পানিকে অ্যাডভান্সড চিপ রপ্তানির ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং FT জানিয়েছে যে চীনের উপর নতুন বিধিনিষেধ এনভিডিয়ার আঞ্চলিক বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। PHLX সেমিকন্ডাক্টর ইনডেক্স (SOX) 3.3% হ্রাস পেয়ে ট্রেডিং শেষ করে। এই স্টক বিক্রির প্রবণতা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তীব্র প্রভাব ফেলেছে, যা সেশনের সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। এরপরের ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলো ছিল যোগাযোগ পরিষেবা (-2.0%) এবং কনজিউমার ডিসক্রেশনারি (-1.7%)। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামূলক খাত হিসেবে বিবেচিত কনজিউমার স্ট্যাপলস (+1.4%) এবং ইউটিলিটি (+0.7%) খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্টকের মূল্য সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা প্রতিফলিত করে। বন্ড মার্কেটে মাঝারি ধরনের ক্ষতি দেখা গেছে। ১০ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ৩ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 4.34%-এ পৌঁছেছে, এবং ২ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 4.01% হয়। এই প্রেক্ষাপটে, আজ ৫-বছরের ট্রেজারি নোটের $70 বিলিয়নের অকশন তুলনামূলকভাবে দুর্বল চাহিদা দেখিয়েছে, তবে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল। চলতি বছরের পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ: -0.2%, S&P 500 সূচক: -2.9%, S&P মিডক্যাপ 400: -4.2%, নাসডাক কম্পোজিট সূচক: -7.3%, রাসেল 2000 সূচক: -7.0% অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সংক্ষেপ: MBA সাপ্তাহিক মর্টগেজ অ্যাপ্লিকেশন বা বন্ধকী আবেদন সূচক: -2.0% (পূর্ববর্তী: -6.2%) ফেব্রুয়ারির টেকসই পণ্যের অর্ডার: +0.9% (প্রত্যাশা: -1.2%); পূর্ববর্তী ফলাফল সংশোধিত হয়ে +3.1% থেকে +3.3% হয়েছে টেকসই পণ্যের অর্ডার (পরিবহন বাদে): +0.7% (প্রত্যাশা: +0.1%); পূর্ববর্তী ফলাফল সংশোধিত হয়ে 0.0% থেকে +0.1% হয়েছে। প্রধান বার্তাটি হলো, টেকসই পণ্যের অর্ডারের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এসেছে। তবে এই ইতিবাচক তথ্যকে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পতন কিছুটা ভারসাম্যহীন করেছে, যা নন-ডিফেন্স ক্যাপিটাল গুডস (এয়ারক্রাফট বাদে) অর্ডারে 0.3% হ্রাসের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের দিকনির্দেশনা: সকাল ৮:৩০ (ET): চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি (তৃতীয় অনুমান; পূর্বাভাস: 2.3%, পূর্ববর্তী: 2.3%) চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি ডেফ্লেটর (তৃতীয় অনুমান; পূর্বাভাস: 2.4%, পূর্ববর্তী: 2.4%) সাপ্তাহিক প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতা আবেদনের তথ্য (পূর্বাভাস: 225,000; পূর্ববর্তী: 223,000) চলমান জবলেস ক্লেইমস বেকার ভাতার আবেদন (পূর্ববর্তী: 1.892 মিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির অগ্রিম গুডস ট্রেড ব্যালান্স (পূর্ববর্তী: -$153.3 বিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির প্রাথমিক রিটেইল ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: -0.1%) ফেব্রুয়ারির প্রাথমিক হোলসেল ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: +0.7%) সকাল ১০:০০ (ET): ফেব্রুয়ারির পেন্ডিং হোম সেলস (প্রত্যাশা: +2.9%; পূর্ববর্তী: -4.6%) সকাল ১০:৩০ (ET): সাপ্তাহিক ন্যাচারাল গ্যাস ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: +9 বিলিয়ন কিউবিক ফিট) এনার্জি মার্কেট: ব্রেন্ট ক্রুড: $73.70 — যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুর্বল হওয়া ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও তেলের দাম এক মাসের সর্বোচ্চ লেভেলে রয়েছে। উপসংহার: গতকালের বড় দরপতন সত্ত্বেও, মার্কিন স্টক মার্কেটের বুলিশ প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। দরপতনের ক্ষেত্রে লং পজিশন ধরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি এখনো S&P 500 সূচকে বিনিয়োগ না করে থাকেন, তাহলে জানিয়ে দিতে চাই যে মূল্য বর্তমান লেভেলে থাকা অবস্থায় SPX ইনস্ট্রুমেন্ট কেনার উপযুক্ত সময়।
Read more: https://ifxpr.com/3Y770il