-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৬ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/830082197.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের উপরে উঠা শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3238 এর লেভেল টেস্ট করে — যা চলমান প্রবণতা অনুযায়ী পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকেনি এবং এর ফলে লোকসানের সাথে ট্রেডটি ক্লোজ হয়। গতকালের যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেকারভাতার আবেদন প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে গড় মজুরিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এই পরস্পরবিরোধী ফলাফল শুরুতে ট্রেডারদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করলেও, পরে তারা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ডোভিশ বা নমনীয় আর্থিক নীতিমালার দিকেই মনোযোগ দেয়— ব্যাংকটির কর্মকর্তাগণ একই অবস্থান বজায় রাখতে চায়, কারণ দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। আজ যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং কোর ইনফ্লেশন সম্পর্কিত নতুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এখন মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ী হওয়ার যেকোনো সংকেত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের পরবর্তী বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে পারে। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মিশ্র বা হতাশাজনক হয়, তাহলে পাউন্ডের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্পস্থায়ী হতে পারে। কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তনের ইঙ্গিতেও সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া জানায়। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3355-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3297-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3355-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3252-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3297 এবং 1.3355-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3252-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3196-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3297-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3252 এবং 1.3196-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৭ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1047528393.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3257 এর লেভেল টেস্ট করেছিল—যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। কিছুক্ষণ পরেই 1.3257 লেভেলের আবারও টেস্ট হয়, এবং সেই সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যার ফলে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের বড় ধরনের কোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়নি। গতকাল জেরোম পাওয়েল মন্তব্য করেছেন যে ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিমালার পরিণাম ফেডের লক্ষ্য অর্জনে বিলম্ব সৃষ্টি করতে পারে—যা পাউন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ডলারের প্রতি আগ্রহ আবারও বৃদ্ধি পায়। তিনি আরও বলেছেন, এই বছর আবারও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা খুব একটা নেই এবং ভবিষ্যতে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তিনি একেবারে উড়িয়ে দেননি। তবে, কিছু অর্থনীতিবিদ মনে করছেন ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা স্বল্পমেয়াদে কিছু ঝুঁকি তৈরি করলেও দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও বর্তমানে যে অনিশ্চয়তা ও জটিলতা বিরাজ করছে, সেই প্রেক্ষাপটে ফেড আরও নমনীয় নীতিমালা গ্রহণ করতে পারবে না—যা আপাতত ব্রিটিশ পাউন্ডের পক্ষে কাজ করছে। যেহেতু আজ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, সেক্ষেত্রে যদি এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী কারেকশন হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মার্কেটে বড় ক্রেতারা আবারও সক্রিয় হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3271-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3230-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3271-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3203-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3230 এবং 1.3271-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3203-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3171-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3203-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3230 এবং 1.3171-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৮ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1433128561.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ ওপরে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3249 লেভেল টেস্ট করে—যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড ক্রয় করিনি। দীর্ঘ একটি বিরতির পর আবারও 1.3249 লেভেল টেস্ট হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে যাওয়া শুরু করছিল, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস বা বেকারভাতার আবেদনের সংখ্যা প্রত্যাশার তুলনায় ধীরগতিতে বেড়েছে এবং বিল্ডিং পারমিট বা নির্মাণ অনুমোদনের শক্তিশালী পরিসংখ্যানও GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল এবং মূল্য আবারও মাসিক সর্বোচ্চ লেভেলে ফিরে আসে। এটি ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের স্পষ্ট বুলিশ প্রবণতা নির্দেশ করে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক থেকে উদ্ভূত ভূরাজনৈতিক ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে পাউন্ডকে একটি অপেক্ষাকৃত আকর্ষণীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তাই পাউন্ডের ক্রেতাদের সামনে সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেল আপডেট করার সুযোগ থাকতে পারে। যদিও টেকনিক্যাল চিত্র এই সম্ভাবনাকে সমর্থন করছে, তবুও সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেলে উল্লেখযোগ্য রেজিস্ট্যান্স রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কিছুটা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এই লেভেল ব্রেক করতে হলে একটি শক্তিশালী মৌলিক অনুঘটকের প্রয়োজন হবে, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3326-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3279-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3326-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3254-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3279 এবং 1.3326-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3254-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3209-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3279-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3254 এবং 1.3209-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২১ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/143183034.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ ওপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3268 এর লেভেল টেস্ট ঘটেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণেই আমি পাউন্ড কিনিনি। আজ মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়েছে, এর পেছনে দুটি মূল কারণ রয়েছে—চীনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোন ধরনের ছাড় না দেওয়ার খবর এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অসন্তোষের কারণে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে পদচ্যুত করার সম্ভাবনা। ফেডের নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। পাওয়েলের সম্ভাব্য পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন ফেডের স্বাধীনতা ও স্থিতিশীল আর্থিক নীতিনির্ধারণ করার সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই দুইটি বিষয় মার্কিন মুদ্রার জন্য নেতিবাচক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, যার ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহে ডলারের আরও দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—বিশেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে এবং ফেড নেতৃত্বের বিষয়টি অমীমাংসিত থাকে। যেহেতু আজ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই, তাই বর্তমানে মার্কেটে ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করে তেমন কোনো লাভ করা যাবে না। মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাজ্য থেকে প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন ছাড়া বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিরুদ্ধে ট্রেড করতে চাইবে না, ফলে বিক্রেতারা মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। উপরন্তু, যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনো নেতিবাচক ফলাফল না থাকায়, এটি পরোক্ষভাবে পাউন্ডের মূল্যের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করতে পারে। স্পষ্ট কোনো হতাশার কারণ না থাকায়, বিনিয়োগকারীরা পাউন্ড বিক্রি করতে চাইছে না, যাতে ভবিষ্যতের ইতিবাচক কোনো খবরে লাভের সুযোগ না হারিয়ে যায়। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3446-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3399-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3446-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3356-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3399 এবং 1.3446-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3356-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3304-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3399-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3356 এবং 1.3304-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২২ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1795977515.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার পুরো দিনজুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় ছিল। সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোন দেশ থেকেই উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও নতুন করে কোনো শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত ছিলেন। তবুও, বিশ্ববাজারে সামগ্রিকভাবে এখনও মার্কিন ডলারের প্রতি তীব্র নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। ফলে, আমরা মার্কেটে ট্রেডিং শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ডলারের আরেকটি দরপতনের আশা করিনি, তবে আবারও বলি, এখন এই ধরনের পরিস্থিতি আর অবাক করার মতো কোন বিষয় নয়। মার্কিন ডলার টানা দুই মাস ধরে (মোট তিন মাস) অবিরাম দরপতনের শিকার হচ্ছে। নতুন দিন শুরু হয়েছে ডলারের আরেকটি দরপতনের মাধ্যমে—আবারও রাতে দরপতন হয়েছে। এই মুহূর্তে, মার্কিন মুদ্রার কোনো সুযোগই নেই। এটির দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেরা সিগন্যালটি রাতের বেলা দেখা যায়। মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার সাথে সাথে 1.3272 লেভেল থেকে মূল্য বাউন্স করে কমপক্ষে 140 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে এই সিগন্যাল থেকে লাভ নেওয়া কঠিন ছিল, কারণ এটি রাতের বেলা পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় বাই সিগন্যালটি 1.3365 লেভেলের কাছে গঠিত হয়, যা নিয়ে কাজ করা তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল, যদিও এর পরে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যায়নি। তৃতীয় সিগন্যালটি আবারও একই 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি তৈরি হয় রাতের শেষ দিকে। তারপর, মূল্য আবারও 1.3365 থেকে বাউন্স করে এবং রাতে ভালো রকমের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখায়।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও পুরোপুরিভাবে ট্রাম্পের পদক্ষেপের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আছে। ফলে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকছে। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনও সম্পূর্ণভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল—আর কিছুই নয়। মঙ্গলবার আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে, যদিও এর পেছনে কোনো স্থানীয় কারণ নেই। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপে তাড়াহুড়া করছেন না, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমছে, এবং ব্রিটিশ অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তবুও, ট্রেডাররা আপাতত এসব কিছুই গুরুত্ব দিচ্ছে না। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলো ব্যবহার করে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3272, 1.3365, 1.3428–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। তবুও, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ এপ্রিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1147443738.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3356 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 30 পিপসের বেশি কমেছে। গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কমাতে প্রস্তুত এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। এই ঘোষণার ফলে ডলারের তীব্র দর বৃদ্ধি এবং পাউন্ডের দরপতন দেখা গেছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্কে একটি অপ্রত্যাশিত মোড়ের সংকেত দিচ্ছে। তিনি পূর্বে আরোপিত শুল্ক কমানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা বেইজিংয়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব নমনীয় হতে পারে এমন ইঙ্গিত দেয়। পাওয়েল প্রসঙ্গে তার দ্বিতীয় মন্তব্যও মার্কেটের গতিশীলতায় প্রভাব ফেলেছে। ফেডের চেয়ারম্যানকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর রাজনৈতিক চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছে। আজ যুক্তরাজ্যের উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতের PMI সূচকগুলোর মিশ্র ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত পরিষেবা খাতের ফলাফলের দিকেই ট্রেডাররা দৃষ্টি দেবে। এই খাতে উল্লেখযোগ্য অবনতি হলে পাউন্ডের আরও দরপতন ঘটতে পারে। এর পাশাপাশি, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্যটি মার্কেটের ট্রেডাররা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা সতর্কভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে যেকোনো সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে পরিষেবা খাতের পরিস্থিতির ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত দিকনির্দেশনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে। পরিষেবা খাতের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, যা পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3360-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3325-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3360-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র PMI সূচকের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3295-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3325 এবং 1.3360-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3295-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3239-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3325-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3295 এবং 1.3239-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৫ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/450728311.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ ওপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3322 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি পাউন্ড ক্রয় করিনি। মূল্য 1.3295 এর লেভেল ব্রেক করে নিচে নামার পরে এই পেয়ার বিক্রির জন্য অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গতকাল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি ঘটাতে পারেনি। বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত ইতোমধ্যে এই ইতিবাচক সংকেত মূল্যায়ন করেছে এবং এখন ফেডারেল রিজার্ভের আরও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি ফেড নমনীয় নীতিমালার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রস্তুতি নিশ্চিত করে, তাহলে ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে, তাই ইতিবাচক ফলাফল সত্ত্বেও ডলার দুর্বল হওয়ার বিষয়টি বিস্ময়কর নয়। আজ যুক্তরাজ্যে মার্চ মাসের খুচরা বিক্রয় (রিটেইল সেলস) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটিতে জ্বালানি ব্যয় সমন্বয় করা হয়। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আসে, তাহলে আবারও GBP/USD পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে। খুচরা বিক্রয় ভোক্তা চাহিদা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। খুচরা বিক্রয়ের পতন অর্থনৈতিক দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয় এবং এর ফলে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর গতি ত্বরান্বিত হতে পারে—যা ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য নেতিবাচক। GBP/USD পেয়ারের ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে। খুচরা বিক্রয়ের প্রতিবেদনের ফলাফল বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির প্রত্যাশা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করতে পারে, যা পাউন্ডের চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা তৈরি করতে পারে, ফলে GBP/USD পেয়ারের দরপতন ঘটতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3329-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3292-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3329-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3271-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3292 এবং 1.3329-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3271-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3240-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ার বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3292-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3271 এবং 1.3240-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1396856274.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ইউরোর মতোই, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও বেশ ছোট একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়ে গেছে। তবে, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের এখনো সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। পাউন্ডের মূল্য ডলারের বিপরীতে চমৎকার স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে এবং খুব কমই মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়েছে। গত সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়জুড়ে আমরা এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখেতে পেয়েছি। ট্রাম্প এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত ছিলেন, এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বা টেকসই পণ্যের অর্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটে তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। তাই, পরবর্তী মুভমেন্ট তখনই প্রত্যাশিত হতে পারে, যখন ট্রাম্প মার্কেটে নতুন কোনো বোমা ফেলবেন। সম্প্রতি, ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান নমনীয় করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক চমৎকার হবে এবং অবশ্যই একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হবে। তবে, একই সাথে চীন জানিয়েছে যে তারা ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনায় এখনও যোগ দেয়নি।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবল ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে, তাই পাউন্ডের মূল্য স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। তাই, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। ভবিষ্যতে হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট পরিবর্তিত হতে পারে, তবে বর্তমানে এমন কোনো লক্ষণ নেই। সোমবারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও এই প্রবণতা দেখিয়েছে যে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ডলার কিনতে প্রস্তুত নয়। তাই, এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ বা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য উপযুক্ত লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবারে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তাই, আজ প্রবণতাভিত্তিক শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করা উচিত হবে না। তবে, মনে রাখতে হবে যে ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে মার্কেটে মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেন।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/295849922.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3352 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়েছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। 1.3404 লেভেলে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রি করে প্রায় 15 পিপস লাভ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার আরও কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই, যা পাউন্ড স্টার্লিংকে সমর্থন করছে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে এর মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। ভূরাজনৈতিক প্রভাবকেও অবমূল্যায়ন করা কঠিন, এবং বাণিজ্য সংঘাতের সমাধানের দিকে যেকোনো ইতিবাচক অগ্রগতি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের প্রতি আগ্রহকে আরও উদ্দীপিত করতে থাকবে, যার মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডও রয়েছে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই এখন ট্রেডারদের দৃষ্টি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মার্কেটস এবং ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি গভর্নর স্যার ডেভিড র্যামসডেনের বক্তব্যের দিকে থাকবে। তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ মনোভাব—বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার বিষয়ে—কিছুটা আলোকপাত করা হতে পারে। যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি সক্রিয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তাই সুদের হার কমানোর কারণগুলোও ধীরে ধীরে কমে আসছে। ফলে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখন র্যামসডেনের বক্তব্যের মধ্যে আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের যেকোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিতের সন্ধান করবে। বিনিয়োগকারীরা লক্ষ্য রাখবে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার ঝুঁকিকে কতটা গুরুতরভাবে দেখছে এবং অর্থনীতিকে সমর্থন করতে আর্থিক চাপ কমাতে প্রস্তুত কিনা।র্যামসডেনের কাছ থেকে ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা সংক্রান্ত যেকোনো মন্তব্যের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া হবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3486-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3424-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3486-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র র্যামসডেন সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3383-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3424 এবং 1.3486-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3383-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3334-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। শুধুমাত্র র্যামসডেন ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করলে এই পেয়ার বিক্রি করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3424-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3383 এবং 1.3334-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
৩০ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1519565590.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবারের আরেকটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য কারেকশন করে নিম্নমুখী হয়েছে। সোমবার বা মঙ্গলবার — কোনো দিনেই এই ধরনের মুভমেন্টকে সমর্থন দেয়ার মতো কোনো মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও উল্লেখযোগ্য কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে এখানে মনে রাখার বিষয় হচ্ছে, ডলার বিক্রির যৌক্তিকতা দিতে মার্কেটের ট্রেডারদের এখন আর কোনো খবরের প্রয়োজন হচ্ছে না। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং সদ্য পুনর্নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য নীতিমালাই মার্কিন ডলারের ধারাবাহিক দরপতনের জন্য যথেষ্ট কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেডাররা এখন আর নিয়মিত সামষ্টিক প্রেক্ষাপটের দিকেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। মৌলিক অনুঘটক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালাও উপেক্ষিত হচ্ছে। এইবার, 1.3440 লেভেল এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা থামিয়ে দিয়েছে, তবে এখন কেউ কি সত্যিই শক্তিশালী ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে বাজি ধরবেন?
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট মঙ্গলবার, ইউরোর মতোই 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে পাউন্ডের চারটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। পাউন্ডের মূল্য 1.3421–1.3440 এরিয়া থেকে চারবার বাউন্স করলেও কখনোই নিকটতম টার্গেট লেভেল 1.3365 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। ফলে, নতুন ট্রেডাররা সারাদিন জুড়ে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়েও শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। তবে, শুধুমাত্র ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করার মাধ্যমে মুনাফা করা গেছে। বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে। এর ফলে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। অর্থাৎ, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে — এবং অন্য কিছু এতে প্রভাব ফেলছে না। ভবিষ্যতে হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাব পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এখনো এর কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য কিছুটা রিট্রেস করে নিম্নমুখী হতে পারে, তবে যদি পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি অকারণ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়, তাহলেও তা অবাক করার মতো কিছু হবে না। এখন পুরোপুরিভাবে টেকনিক্যাল ভিত্তিতে ও গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলোর ওপর নির্ভর করে ট্রেডিং করা হচ্ছে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ জিডিপি এবং ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবুও, এই প্রতিবেদনগুলো যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রায় ৯০% উপেক্ষা করছে। প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে — যা ডলার বিক্রির আরেকটি কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।