-
মার্কিন শাটডাউন নিরসনের পথে একটি সফল পদক্ষেপ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/4976696.jpg[/IMG]
সপ্তাহান্তে, সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে মার্কিন সিনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যখন মধ্যপন্থী কিছু ডেমোক্র্যাট দলীয় অবস্থান থেকে সরে এসে এমন এক চুক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন, যার লক্ষ্য ছিল রেকর্ড সময় ধরে চলমান সরকারি শাটডাউন শেষ করা। রোববার সন্ধ্যায়, সিনেট বিলটি এগিয়ে নেওয়ার একটি কার্যপ্রক্রিয়াগত প্রস্তাবনায় 60–40 ভোটের মাধ্যমে সমর্থন জানায়। এরপর সিনেট সোমবার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয় এবং বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখনো ভোট নির্ধারিত হয়নি। ডেমোক্র্যাট পার্টির অভ্যন্তরীন এই বিভাজনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে মার্কিন অর্থনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থার প্রভাব নিয়ে মধ্যপন্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। শাটডাউন বহু ফেডারেল সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বাধ্য করেছে, সরকারি কর্মীদের বেতন বিলম্বিত হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোর কার্যকারিতা হুমকির মুখে পড়েছে—ফলে অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে। মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটরা এই ভোট সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আপস করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এমন বার্তাই প্রদান করেছে। তা সত্ত্বেও, সরকারি কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে পুনরায় চালু করার পথ এখনো অনিশ্চিত। সিনেট যেই সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছে, তা এখনো হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এই বিস্তৃত চুক্তির বিভিন্ন ধারার বিরোধিতা করতে পারে। প্রেসিডেন্ট নিজেও এই বিল গ্রহণযোগ্য মনে না করলে ভেটো দিতে পারেন। তবুও, সিনেটে গৃহীত ভোট এটি প্রমাণ করে যে, রাজনৈতিক বিভাজনের মাঝেও কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে—যেখানে আপোষ এবং একসাথে কাজ করার সদিচ্ছা এখনো সম্ভব। গভীর রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে এই পদক্ষেপ পারস্পরিক সমঝোতা এবং সহযোগিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে এখন দেখার বিষয় হচ্ছে উভয় দলের নেতারা দেশের স্বার্থে কোনো যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন কিনা। এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এই শাটডাউন সংকটের কত দ্রুত সমাধান হবে। এই প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে, সিনেটের প্রতিটি সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন। যেকোনো একটি বিরোধী কণ্ঠস্বর কয়েক দিনের প্রক্রিয়াগত বিলম্ব সৃষ্টি করতে পারে। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এই বিল পাসের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। ডেমোক্র্যাট নেতারা এমন কোনো চুক্তিকে সমর্থন করতে যাচ্ছেন না, যেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া ওবামাকেয়ার ভর্তুকিগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর কথা অন্তর্ভুক্ত নেই—যা এই বিদ্যমান বিলে নেই। অন্যদিকে, রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা একটি বিকল্প বিলের জন্য চাপ দিচ্ছেন, যার মাধ্যমে সামগ্রিক সরকারব্যবস্থার তহবিল আগামী বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিশ্চিত করা হবে। ডেমোক্র্যাট হাউস লিডার হাকিম জেফ্রিস রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেন, "আমরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস রিপাবলিকান পার্টির বিলের বিরুদ্ধে লড়াই করব।" ৪০ দিনের চলমান শাটডাউন অবসানের সম্ভাব্য সমাধান ২০১৩ ও ২০১৮–২০১৯ সালের অতীত অচলাবস্থার ঘটনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়—যেখানে রাজনৈতিক সুযোগ-সন্ধানী উদ্দেশ্যে সরকারি কার্যক্রম স্থগিত করার চেষ্টাগুলো ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৮–২০১৯ সালের শাটডাউনে ট্রাম্প সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের তহবিল নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং ২০১৩ সালে রিপাবলিকানরা ওবামাকেয়ার বাতিল করার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়।
EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী—ক্রেতাদে এখন এই পেয়ারের মূল্যকে নিশ্চিতভাবে 1.1570 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। শুধুমাত্র তারপরেই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1590-এর লেভেল পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে মূল্য 1.1610-এর দিকে যেতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহযোগিতা ছাড়া এটা করা বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1636 লেভেল। তবে যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে আমি কেবলমাত্র মূল্য 1.1545-এর আশপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রমের আশা করছি। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা সক্রিয় না থাকে, তাহলে 1.1520 পর্যন্ত পুনরায় দরপতনের জন্য অপেক্ষা করা যুক্তিযুক্ত হবে কিংবা 1.1490 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3150 রেজিস্ট্যান্স লেভেল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রয়োজন। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.3180-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারবে—যার ওপরে ব্রেকআউট করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে। সবচেয়ে বেশি দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে 1.3215 লেভেল। তবে যদি পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে বিক্রেতারা পুনরায় 1.3135 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে সেটি ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের উপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3095 পর্যন্ত নিম্নমুখী করতে পারে, যার পরে মূল্যের 1.3056-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3JEJzsW
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ১১ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/170558410.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে আজ বেকারত্বের হার, বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যার পরিবর্তন এবং মজুরি বৃদ্ধির হার প্রকাশিত হবে। স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ৫.১% পর্যন্ত বেকারত্ব বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, যদিও অফিসিয়াল পূর্বাভাস অনুযায়ী সেপ্টেম্বঢ়ে এই হার ৪.৯%-এ পৌঁছাতে পারে। অতএব, ব্রিটিশ পাউন্ড আজ মার্কেটের পরিস্থিতি থেকে সহায়তা পেতে কিছুটা চাপের সম্মুখীন হতে পারে, তবে আমরা এখনো মনে করি যে ট্রেডাররা মূলত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করেই চলছে। মঙ্গলবার জার্মানি এবং ইউরোজোনে ZEW ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে, যেগুলো তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের নির্ধারিত একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত এক মাস ধরে লাগার্ডে গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে ভাষণ দিয়েছেন এবং সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবির) চলতি বছরের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে, ট্রেডারদের হাতে ইতোমধ্যেই সকল প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে। ইসিবি নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা করছে না এবং প্রতিষ্ঠানটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ও মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ে সন্তুষ্ট অবস্থানে রয়েছে। তাই, আমরা লাগার্ডে ভাষণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার সম্ভাবনা দেখছি না। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD ও GBP/USD— উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই উর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পর্যাপ্ত বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোর মূল্য 1.1571-1.1584 রেঞ্জ থেকে বাউন্স করেছে, তবে মূল্য আবার কিছুটা নিম্নমুখী নামলেও তা সাময়িক হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও 1.3096-1.3107 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের 1.3203-1.3211 লেভেলের দিকে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4nRC4Nj
-
অবশেষে ট্রেডাররা মার্কিন শাটডাউনের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/322692970.jpg[/IMG]
কারেকশন এখন থেমে গেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও "বাই দ্য ডিপ" বা দরপতনের সময় ক্রয়ের কৌশল গ্রহণ করছে। ইতিহাস বলছে, 1981 সাল থেকে এখন পর্যন্ত, প্রতিটি মার্কিন শাটডাউন শেষ হওয়ার পরের এক মাসে গড়ে S&P 500 সূচক 2.3% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিসাব অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এই স্টক সূচকটি 7,000 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া বছরের শেষ প্রান্তিক সাধারণভাবে মার্কিন স্টক মার্কেটের জন্য ইতিবাচক সময় হিসেবে পরিচিত। ভেটেরান্স ডে-র পর থেকে সূচকসমূহ সাধারণভাবে গড়ে 2.3% থেকে 2.5% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে চলমান শাটডাউন শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে। ইতিহাসে এটিই দীর্ঘতম শাটডাউন হলেও এই সময়ের মধ্যেও S&P 500 সূচক 2.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস সতর্ক করেছিল যে সরকারি কার্যক্রমে এই স্থবিরতার ফলে মার্কিন জিডিপি থেকে 1.5 শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেতে পারে, তবু বিনিয়োগকারীরা এই সময়েও আশাবাদের উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। বর্তমানে মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সবচেয়ে বেশি সমর্থন জুগিয়েছে 2021 সালের শুরুর পর থেকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের প্রতিবেদনের সবচেয়ে শক্তিশালী। প্রকৃত আয়ের তথ্য বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ভালো হয়েছে। একই সময়ে বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন ধীরে ধীরে এনভিডিয়ার তৃতীয় প্রান্তিকের আয়ের উপর চলে যাচ্ছে, যে প্রতিবেদনটি ১৯ নভেম্বর প্রকাশিত হবে।
এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। S&P 500 সূচকের অন্তর্ভুক্ত সেক্টরগুলোর গতিশীলতা শাটডাউন শেষ হওয়া নিয়ে ছড়িয়ে পড়া জল্পনা কল্পনা স্টক মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সপ্তাহের শুরুতে, দীর্ঘমেয়াদে দরপতনের শিকার প্রযুক্তিভিত্তিক শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তবে এরপর দিনই প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার আবার দরপতনের শিকার হয়, যখন স্বাস্থ্যসেবা ও জ্বালানিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগকারীরা এখন তাদের পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যপূর্ণ করার কৌশলে মনোযোগ দিচ্ছেন। তবুও, তারা এখনও অনিশ্চিত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-তে এই বিপুল বিনিয়োগ বাস্তবিকভাবে লাভজনক হবে কি না। এদিকে, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এখন মার্কেটের জন্য 'ভালো সংবাদ' হয়ে উঠছে—বিশেষ করে S&P 500 সূচকের জন্য। ADP-এর তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতে নিয়োগ কমেছে এবং বর্তমানে ব্যাপক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শ্রমবাজারে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স আশা করছে যে অক্টোবর মাসে নন-ফার্ম পে-রোল 50,000 হারে হ্রাস পাবে, আর ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের জরিপে অংশ নেওয়া ৭১% আমেরিকান মনে করছেন যে আগামী বছর বেকারত্ব বাড়বে। ট্রেজারি বন্ডের ইয়িল্ডের গতিশীলতা ও ফেডের আর্থিক সম্প্রসারণের মাত্রা মার্কিন স্টক মার্কেটে দুর্বল পরিসংখ্যান উপেক্ষিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পর ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা দেখছেন। এর ফলে, ডেরিভেটিভ মার্কেটে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৬৫%-এ পৌঁছেছে এবং ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড কমছে। এই পরিস্থিতি মার্কেটের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। ঋণগ্রহণে স্বল্প ব্যয় কোম্পানিগুলোর খরচ কমাবে এবং মুনাফা বাড়াবে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন অধীর আগ্রহে শাটডাউনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছে। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসের জব ওপেনিংস প্রতিবেদন সম্ভবত ১৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে এবং ২৬ নভেম্বর মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/662637032.jpg[/IMG]
S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল চিত্র (দৈনিক চার্ট): S&P 500 সূচকের দৈনিক চার্ট অনুযায়ী ক্রেতারা এখন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য স্থির করেছেন। এর জন্য প্রাথমিক শর্ত হলো সূচকটির 6,855-এর ফেয়ার ভ্যালু লেভেল অতিক্রম করা। এই লেভেল ব্রেক করলে ট্রেডারদের জন্য আগেই ওপেন করা লং পজিশন আরও হোল্ড করার ক্ষেত্র তৈরি হবে এবং স্টক সূচকটি আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ পাবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/119905077.jpg[/IMG]
Read more: https://ifxpr.com/4nMKPrN
-
WTI-এর মূল্যের বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস। উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে তেলের দরপতন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1032690870.jpg[/IMG]
বুধবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড অয়েলের তীব্র দরপতন হয়েছে, যার ফলে আগের তিন দিন যেটুকু মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল তার সবটুকুই হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন মৌলিক কারণে এটির মূল্য নভেম্বর মাসের সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাটডাউন খুব শীঘ্রই শেষ হচ্ছে—এমন প্রত্যাশা ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এই তথ্য বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে এবং মুনাফা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে মার্কিন সরকারি ঋণ নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনা চলছে—যেখানে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস একটি আইনের ওপর ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে এবং ফেডারেল সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করতে পারবে। এই অগ্রগতি স্বল্পমেয়াদে ঝুঁকি কমিয়েছে, বিশ্ববাজারে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে এবং ডলারের মূল্য খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেলে তেলের মূল্য কমে যায়, কারণ এতে বিদেশি ক্রেতাদের জন্য এটি তুলনামূলকভাবে আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। এছাড়াও, তেলের অতিরিক্ত সরবরাহ মূল্যের পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে। ওপেকের অক্টোবর মাসের মাসিক অয়েল মার্কেট রিপোর্ট (MOMR) অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক পর্যায়ে তেলের চাহিদা প্রতিদিন 1.3 মিলিয়ন ব্যারেল (mb/d) হারে বাড়বে—এই পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মোট চাহিদা গড়ে 105.1 mb/d হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, নন-ওপেকভুক্ত দেশ যেমন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, কানাডা এবং আর্জেন্টিনায় ২০২৬ সালে তেল উৎপাদন প্রতিদিন 0.6 মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত বাড়তে পারে। একই সময়ের মধ্যে ওপেকের সদস্য দেশগুলোর নিজস্ব তেলের চাহিদার পূর্বাভাস সামান্য হ্রাস পেয়ে ৪৩ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতিদিন হবে, যা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ১ লাখ ব্যারেল কম। ট্রেডিংয়ের কার্যকর সুযোগের জন্য ট্রেডারদের যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (EIA)-এর সাপ্তাহিক তেলের মজুদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখা উচিত। ছুটির কারণে এই প্রতিবেদন বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, তেলের মজুদ ১ মিলিয়ন ব্যারেল বাড়তে পারে, যেখানে গত সপ্তাহে এটি ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়েছিল। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, দৈনিক চার্টে অসিলেটরগুলো নেগেটিভ সিগন্যাল দিচ্ছে। যদি ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড অয়েলের দর 58.75 লেভেলে ধরে রাখা না যায়, তাহলে দ্রুত 58.00-এর রাউন্ড ফিগারের দিকে দরপতন হতে পারে এবং নভেম্বরে নতুন সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে যেতে পারে। এরপর পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে 57.40 লেভেলকে বিবেচনা করা যেতে পারে, এবং সেখান থেকে মূল্য ধীরে ধীরে অক্টোবর মাসের সর্বনিম্ন লেভেল, অর্থাৎ 56.00-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে নামতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/49WgWSu
-
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৪ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2124752192.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3107 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, যেটিকে আমরা একটি শক্তিশালী সাপোর্ট লেভেল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম। এতে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়, যদিও সাথে সাথেই মূল্য আবারও কিছুটা নিম্নমুখী হয়। আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী আমরা ধারণা করছি যে নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, তবে প্রায়শই যেভাবে হয়, আগামীতে মূল্য বৃদ্ধি শুরু হওয়ার আগে কিছুটা করেকশন দেখা যেতে পারে। ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য রাতেরবেলা আবার কমে গেলেও, দিনের বেশিরভাগ সময়ই এটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কি কোনো স্থানীয় কারণ ছিল? না, ছিল না। যদি গতকাল এই পেয়ারের মূল্য ১০০ পিপস হ্রাস পেত, তাহলে তা অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ও ইভেন্টের প্রেক্ষাপটে যুক্তিযুক্ত হতো। মনে করিয়ে দিই, সকালেই ৪৩ দিন স্থায়ী মার্কিন শাটডাউনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে নেতিবাচক ছিল। সুতরাং গতকাল ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না, তবুও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যেমনটি দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটে এখনও অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, এবং আমরা ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে যুক্তিসঙ্গত, আর যেকোনো দরপতনকে এখন শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1165430715.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার অনেক কার্যকর দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3096-1.3107 এরিয়া থেকে স্পষ্টভাবে রিবাউন্ড করে এবং সারাদিন জুড়েই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। ফলে নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করে, সন্ধ্যা নাগাদ ৮০–৯০ পিপস লাভের সাথে পজিশন ক্লোজ করতে পারতেন। 1.3203-1.3211 এরিয়া থেকেও একটি রিবাউন্ডের মাধ্যমে ট্রেড করা যেত, এবং এটি থেকেও লাভবান হওয়া সম্ভব হতো; তবে, এই সিগন্যালটি তুলনামূলকভাবে দিনের একদম শেষভাগে গঠিত হয়েছিল।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই আমরা আগামি কয়েক সপ্তাহে স্থানীয় খবর বা প্রতিবেদন উপেক্ষা করে হলেও ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য বেড়ে যেতে পারে বলে আশা করছি। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পেছনে বৈশ্বিকভাবে কোনো ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশাই করছি। দৈনিক টাইমফ্রেমে যদি করেকশন/ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্য়ের ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও শুরু হতে পারে। শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3096-1.3107 এবং 1.3203-1.3211 এরিয়ায় নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে পারেন। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। শুক্রবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। ফলে আজও এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/47TLVMy
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ১৭ নভেম্বর: S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে কারেকশন শুরু হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2050356569.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফলের মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক ০.০৫% হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক ০.১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ০.৬৫% হ্রাস পেয়েছে। এশিয়ার প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্টকের মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারগুলো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের নেতৃস্থানীয় কোম্পানি এনভিডিয়া কর্পোরেশনের আয়ের ফলাফল এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যা চলতি সপ্তাহে মার্কেটের পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে। এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদনের ফলাফল, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে আশা জাগানিয়া প্রবৃদ্ধির অনুমান নিশ্চিত বা খণ্ডন করতে পারে, কোম্পানিটির সফলতা নির্ধারণ করবে এবং সামগ্রিক প্রযুক্তি খাতের পরিস্থিতি যাচাইয়ের একটি মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আয়ের প্রবৃদ্ধি হ্রাসের যেকোনো ইঙ্গিত থাকলে, এটি বিশ্বব্যাপী স্টক মার্কেটে শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা কেবলমাত্র আর্থিক ফলাফল নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে মার্কেটের কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, প্রতিযোগিতা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে মন্তব্যগুলোর অপেক্ষাও করছেন। এর পাশাপাশি, ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেবে। মুদ্রাস্ফীতি, কর্মসংস্থান এবং ভোক্তা চাহিদা সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই প্রেক্ষাপটে S&P 500 ফিউচার ০.৪% এবং নাসডাক 100 সূচকের ফিউচার ০.৬% বৃদ্ধি পায়। যেসব কোম্পানির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোং এবং এসকে হাইনিক্স ইনকর্পোরেটেড, যেগুলো দক্ষিণ কোরিয়ায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতেও ইতিবাচক পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে বিটকয়েনের মূল্য ১.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং $93,000-এর আশেপাশে অবস্থিত নিম্নমুখী লেভেল থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপীয় স্টক মার্কেটের মোটামুটি ইতিবাচক পরিস্থিতির সাথে ট্রেডিং শুরু হয়েছে। ছয় প্রান্তিক পর জাপান প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক সংকোচনের মুখোমুখি হয়ে এই খবর প্রকাশের পর দেশটির স্টক সূচকসমুহ নিম্নমুখী হয়েছে, এবং একই সাথে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন বৃদ্ধির কারণে ভ্রমণ ও খুচরা খাত সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর কমে গেছে। মার্কেটের অন্যান্য খাতে, স্বর্ণের দর টানা তৃতীয় দিনের মতো নিম্নমুখী ছিল, অপরদিকে মার্কিন ডলারের দর ০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রেজারি বন্ডের দর স্থিতিশীল ছিল কারণ বিনিয়োগকারীরা আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন—যা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সম্পর্কিত প্রক্ষেপণ সম্পর্কে ধারণা দেবে। গত সপ্তাহে, ফেডের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানো উচিত কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বা সরাসরি এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন। ট্রেডাররা ডিসেম্বর মাসে এক চতুর্থাংশ পয়েন্ট হারে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৫০%-এর নিচে নামিয়ে এনেছেন, কারণ ফেডের কয়েকজন প্রতিনিধির মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে নেয়া হবে এমন সম্ভাবনা নেই। S&P 500-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, আজকের জন্য ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির $6,769 লেভেলের রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এটি সূচকটিকে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং সম্ভাব্যভাবে নতুন লক্ষ্যমাত্রা $6,784 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে। একইভাবে, ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে সূচকটির দর $6,801 লেভেলের উপরে ধরে রাখা—যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পাওয়ার কারণে দরপতন হয়, তাহলে সূচকটির দর $6,756 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। স্টক সূচকটি এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সূচকটি দ্রুত $6,743 লেভেলে নেমে যেতে পারে এবং সেখানে থেকে $6,727 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।
Read more: https://ifxpr.com/49jVyXe
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ১৮ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1541027612.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অতএব, শুরুতেই ধরে নেওয়া যায় যে আজকের ট্রেডিংয়ে তেমন কোনো অস্থিরতা কিংবা প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাবে না। যেকোনো অবস্থাতেই, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করে চলেছে। আমাদের ধারণা, ট্রেডাররা এখনো মূলত টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই ট্রেড করছেন। ইউরো এবং ব্রিটিশ পাউন্ড—উভয় কারেন্সিই বিগত কয়েক মাস ধরে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। এখন হয়তো সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার সময় এসেছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল নির্ধারিত রয়েছে, কিন্তু উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখুন! কার্যত কোনো মুভমেন্ট নেই বললেই চলে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য একদম ফ্ল্যাট রেঞ্জের রয়েছে, এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট সারাদিনে সর্বাধিক মাত্র ৪০-৫০ পিপসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্য পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম। মনে রাখতে হবে, বর্তমান সময়ে ইসিবির কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশেষ কোনো তাৎপর্য বহন করছে না। ইসিবি ইতোমধ্যেই তাদের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ সম্পন্ন করেছে এবং আগামী এক বছরে সুদের হার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম। মুদ্রানীতির যেকোনো রকম সংশোধনের প্রত্যাশা করতে হলে মূল্যস্ফীতির হারের বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্য তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো নিশ্চিত নয় যে চলতি বছরের শেষ বৈঠকে তারা কী ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সম্ভবত মূল সুদের হার কমাতে পারে, এবং ফেড হয়তো বর্তমান সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর জন্য আজ 1.1571–1.1584 বেশ ভালো একটি ট্রেডিং রেঞ্জ। সোমবারের মতোই ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য যথারীতি দুটি প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং রেঞ্জ রয়েছে: 1.3096–1.3107 এবং 1.3203–1.3211।
Read more: https://ifxpr.com/4pkuOe3
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ১৯ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/572916840.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক ০.৮২% হ্রাস পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক ১.২১% হ্রাস পেয়েছে এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ১.০৭% হ্রাস পেয়েছে। এনভিডিয়া কর্পোরেশনের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশকে কেন্দ্র করে মার্কেটে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় স্টক সূচকগুলোতে ব্যাপক দরপতন হতে দেখা গেছে। প্রযুক্তিখাতে অতিমূল্যায়নের আশঙ্কায় শুরু হওয়া স্টক বিক্রির প্রবণতা ইতোমধ্যে মার্কেটে $1.6 ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা মার্কেটে স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে, যারা AI চিপ মার্কেটে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। যে কোম্পানিটির কাছ থেকে উচ্চ মাত্রার প্রত্যাশা রয়েছে, সেটি যদি প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হয় বা মার্কেটের চাহিদা পূরণ করতে না পারে, তাহলে নতুন করে স্টক মার্কেটে স্টক বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে—যার প্রভাব প্রযুক্তি খাত ছাড়িয়ে পুরো মার্কেটকেই প্রভাবিত করবে। বছরের শেষভাগে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি খাতের অতিমূল্যায়ন এবং সেটি স্টক মার্কেটের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলছে কি না—এ নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদন মার্কেটের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হয়ে উঠেছে।ইতিবাচক ফলাফল কিছু সময়ের জন্য মার্কেটে আস্থা ফেরাতে পারে এবং প্রযুক্তি খাতকে স্থিতিশীল হিসেবে উপস্থাপন করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে। তবে এই ধরনের ইতিবাচক পরিস্থিতিতেও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের অনিশ্চয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক থাকবে। এশিয়ার স্টক সূচকগুলো ০.২% হ্রাস পেয়েছে, যা টানা চার দিনের দরপতনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোতে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীলভাবে দৈনিক লেনদেন শুরু হয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও দরপতন অব্যাহত রয়েছে: বিটকয়েনের মূল্য এক পর্যায়ে $90,000 লেভেলের নিচে নেমে যায়, তবে এটির মূল্য দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার এই লেভেলের উপরে উঠে আসে। চলতি মাসে S&P 500 সূচক ইতোমধ্যে ৩% এর বেশি হ্রাস পেয়েছে, এবং স্টক সূচকটির অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোলাট্যালিটির ক্ষেত্রে ওয়াল স্ট্রিটের 'ফিয়ার ইনডেক্স' হিসেবে পরিচিত CBOE ভোলাট্যালিটি ইনডেক্স বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা ট্রেডারদের জন্য আশংকাজনক স্তর হিসেবে বিবেচিত ২০ পয়েন্টের স্তরকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—ফেডারেল রিজার্ভ কি আগামী মাসে সুদের হার কমাবে? বর্তমানে ট্রেডারদের মধ্যে সুদের হার আরও হ্রাস পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাস আগের চেয়ে কম। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা ৫০%-এর নিচে নেমে এসেছে বলে সোয়াপস ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ফেডের বেশ কয়েকজন সদস্য সরাসরি সুদের হার কমানোর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। যদিও ফেডের সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালার সুদের হার হ্রাসের পক্ষে তার পূর্বের অবস্থান পুনঃনিশ্চিত করেছেন। S&P 500-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের আজকের জন্য প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটিকে $6,627 লেভেলের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করানো। এটি সূচকটিকে আরও মজবুত অবস্থানে নিয়ে আসবে এবং নতুন লক্ষ্যমাত্রা $6,638 লেভেলের দিকে যাওয়ার পথ তৈরি করবে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা হবে সূচকটিকে $6,651 লেভেলের উপর ধরে রাখা—যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায় এবং সূচকটি আরও নিম্নমুখী হয়ে পড়ে, তবে সূচকটির দর $6,616 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে সূচকটি নিম্নমুখী হলে, সূচকটি দ্রুত $6,603-এ নেমে যেতে পারে এবং তারপরে $6,590-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/48091RG
-
২০ নভেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/119888320.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বৃহস্পতিবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকলেও, আজকের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ফরেক্স মার্কেটে ব্যাপক "অস্থিরতা" সৃষ্টি করতে পারে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বর মাসের নন-ফার্ম পেরোলস ও বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো বাস্তবিক অর্থে অনেকটাই পুরোনো, তবুও নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে মার্কেটের ট্রেডাররা এগুলোর ফলাফলের প্রতি দ্বিগুণ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি যে, ইউরো অথবা পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও, তা খুব অল্প সময়ের জন্যই স্থায়ী হচ্ছে এবং এই কারেন্সিগুলোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট স্পষ্টভাবে অনেকটাই অনিচ্ছা সত্ত্বে হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, যখন মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন সেটিকে খুব শক্তিশালী বৃদ্ধি বলা না গেলেও, ইউরো অথবা পাউন্ডের তুলনায় তা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী বলে প্রতীয়মান হয়। সামগ্রিকভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মার্কিন ডলারকে প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছে, যদিও বাস্তবে এর জন্য খুব বেশি কারণ নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1600410392.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) প্রতিনিধি হার্কার, গুলসবি এবং কুক বক্তব্য দেবেন। তবে আমরা ইতোমধ্যেই ১০০% নিশ্চিত যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিনির্ধারক কমিটি ডিসেম্বরে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। তবে চূড়ান্ত নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং অন্তত অক্টোবরের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর। সুতরাং, ডিসেম্বরে ফেড কী সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিয়ে এখনই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়; ডিসেম্বরের শুরুতেই তা নিরূপণ করতে পারা যাবে। উপসংহার: চলতি সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারে যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ আজকের দিনটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী হতে চলেছে। ইউরো পেয়ারের জন্য 1.1527-1.1531 রেঞ্জ একটি চমৎকার ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3043 লেভেল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও দিনের প্রথমার্ধে কার্যকর টেকনিক্যাল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি এমনও হতে পারে যেখানে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকে উপেক্ষা করে উভয় পেয়ারের মূল্য়ের সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের মুভমেন্ট শুরু হতে করে।
Read more: https://ifxpr.com/49ovYjT