-
জ্বালানি তেলের দাম আবারও ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় বিশ্ববাজারে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়ার রপ্তানিতে ব্যাঘাত, প্রধান সরবরাহকারীদের উৎপাদন কমানোর সম্ভাবনা ও মার্কিন শোধনাগারের আংশিক বন্ধের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খবর রয়টার্সের। বৃহস্পতিবার ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে দেখা যায়, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক চার শতাংশ বেড়ে ১০১ দশমিক ৬৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ৩২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে ৯৫ দশমিক ২১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। উভয় অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক বুধবার তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। কারণ সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ও এর মিত্ররা দামকে সমর্থন করার জন্য উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান। মূলত এরপরই জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1389256253.jpg[/IMG]
-
ক্রড ওয়েল এর দাম কমে ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমেছে। বেঞ্চমার্ক অনুসারে ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৩৫ মার্কিন ডলার বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৯১ দশমিক ৪৮ ডলার ছিল। এই সেশনে লেনদেনের একপর্যায়ে তেলের দাম নেমে গিয়েছিল ৯১ দশমিক ৩৫ ডলারে, যা গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। এর আগে, গত মঙ্গলবার ব্রেন্টের দাম কমেছিল প্রায় তিন শতাংশ। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের তেলের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ দশমিক ৫৫ ডলার বা ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৫ দশমিক ৩৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সেশনে লেনদেনের একপর্যায়ে ডব্লিউটিআইয়ের দাম নেমে গিয়েছিল ৮৫ দশমিক ১৭ ডলারে, যা গত ২৬ জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। এর আগে, গত সোমবার রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস আগামী অক্টোবর থেকে দৈনিক এক লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের ঘোষণা দেয়। তাদের এ সিদ্ধান্তের পরপরই বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় তেলের দাম।
ফোরেক্স কোম্পানি ওএনএডিএ’র জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সামনে ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তকে ম্লান করা এতটা কঠিন ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো কিছু সার্ভিস ডেটা পাওয়া সত্ত্বেও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি মোটেও ভালো দেখাচ্ছে না। এটি অপরিশোধিত তেলের দামের জন্য সমস্যা। এর পাশাপাশি মার্কিন ডলারের শক্তিবৃদ্ধি, সুদের হার বৃদ্ধি, চীনের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি প্রভৃতি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ওপর চাপ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন সিএমসি মার্কেটসের বিশ্লেষক টিনা টেং। তার কথায়, তেলের ফিউচার মার্কেটগুলো বিশ্ব অর্থনীতিতে ‘স্ট্যাগফ্লেশন’-এ মূল্য নির্ধারণ করছে। একটি দেশের অর্থনীতিতে উচ্চ বেকারত্ব হার ও স্থবির চাহিদার পাশপাশি ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকাকে ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ বলা হয়।
চীনের কঠোর কোভিড-নীতির কারণে সম্প্রতি চেংদুসহ একাধিক শহর লকডাউন করা হয়েছে। এর ফলে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশটিতে তেলের চাহিদা কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশে দেশে আরও সুদের হার বৃদ্ধির দিকে সতর্ক নজর রেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যমানে পৌঁছেছে মার্কিন ডলার। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ডলারের বিপরীতেও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/412658065.jpg[/IMG]
-
শীতকালে জ্বালানি সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। জ্বালানি সরবরাহে উদ্বেগের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক চীনে করোনা মহামারির লকডাউনের কারণে জ্বালানি চাহিদা কমে যাওয়ার উদ্বেগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে সুদের হার বৃদ্ধির কারণেও উদ্বেগ বাড়ছে সংশ্লিষ্টদের। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৪৪ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ৫০ সেন্ট অথবা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআিই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৫২ সেন্ট অথবা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৩০ ডলার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/818193158.jpg[/IMG]
-
সরবরাহ সংকটের শঙ্কা, বিশ্বের অন্যতম আমদানিকারক দেশ চীনের চাহিদা কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় সুদহার বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৫০ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৯৪ দশমিক ৫০ ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) দশমিক ৬ শতাংশ বা ৫২ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেলের মূল্য ৮৮ দশমিক ৩০ ডলারে পৌঁছেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/897894104.jpg[/IMG]
-
বিশ্ববাজারে ধারাবাহিকভাবে পড়ছে অপরিশোধিত তেলের দর। শুক্রবার প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে সব ধরনের অপরিশোধিত তেলের দর, নেমেছে আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে নিচে। সেদিন এক সময়ে ব্রেন্ট ক্রুডের(অপরিশোধিত) দাম কমে দাঁড়ায় ৮৫ দশমিক ৫০ ডলার। ডব্লিউটিআই ৭৮ দশমিক ৯১ ডলার। গতকাল এই প্রতিবেদন লেখার সময় ডব্লিউটিআইয়ের(অপর শোধিত) দাম আরও কমে দাঁড়ায় ৭৮ দশমিক ৭৪ ডলার এবং ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়ায় ৮৬ দশমিক ১৫ ডলার। শুধু তেলের দামই নয়, বিশ্ববাজারে গ্যাসোলিনের দাম গত বুধবারের আগপর্যন্ত টানা ৯৮ দিন কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গ্যালনপ্রতি গ্যাসোলিনের দাম ৩ দশমিক ৬৯ ডলারে নেমে আসে গত শুক্রবার, ১৪ জুন যা ছিল ৫ দশমিক শূন্য ২ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাংক মূল্যবৃদ্ধি রুখতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মন্দার আশঙ্কা। ঠিক এমন সময় ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন ডলার। চলতি বছর ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুইয়ের জেরেই পতন ঘটেছে অশোধিত তেলের দরের। এর আগে দুই বছর আগে বিশ্বজুড়ে লকডাউনের সময় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম তলানিতে নেমেছিল। কিন্তু তখনো তার সুফল পায়নি মানুষ। কারণ, তখন বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রম একরকম বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন সবকিছুই স্বাভাবিক। এ সময় মানুষ তেলের পড়তি দামের সুবিধা পাওয়ার কথা, কিন্তু ডলারের উচ্চ বিনিময় মূল্যের কারণে সেটা খুব একটা হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
গত বছরের এই সময় থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে তেলের দর ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। দাম বাড়তে বাড়তে একসময় প্রতি ব্যারেল ১৩০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। সেই হিসাবে, তেলের দাম তারপর ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আশঙ্কা ছিল, রাশিয়ার তেল বাজারে আসতে না পারলে দাম আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু সব আশঙ্কার মুখে ছাই দিয়ে রাশিয়া অপরিশোধিত তেল রপ্তানি অব্যাহত রাখে। এতে তেলের বাজার একরকম স্থিতিশীল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/412658065.jpg[/IMG]
-
আবারও তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ মার্কিন ডলার ছাড়াবে। দৈনিক রেকর্ড দুই লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর মিত্ররা। সম্প্রতি ওপেক প্লাস এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানায়। এর প্রভাবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ওপেক ও এর মিত্রদের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক ক্ষোভের পাশাপাশি উদ্বেগ তৈরি করেছে। যদিও রাশিয়া এই জোটের অন্যতম প্রধান সদস্য, কিন্তু বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদক হিসেবে ওপেক প্লাসের যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রধান নিয়ন্ত্রক সৌদি আরব। এ কারণে উৎপাদন কমানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাইডেন প্রশাসনের ক্রোধের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় রিয়াদ।
ব্যাপক মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আশঙ্কার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিবাদের জেরে রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবররাহ প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। এমন অবস্থায় দুশ্চিন্তার শেষ নেই ইউরোপীয়দের। যদিও ওপেক বলেছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী নভেম্বর থেকে। কিন্তু বুধবার (৫ অক্টোবর) সিদ্ধান্ত জানানোর পার থেকেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
এমন পরিস্থিতি আটকাতে পশ্চিমা দেশগুলো কয়েক মাস যাবৎ প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। নির্বাচনী প্রচারণার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে সৌদি সরকারকে বিশ্বে অচ্ছুৎ বানিয়ে ফেলার অঙ্গীকার করেছিলেন, সেই তিনি গত ১৫ জুলাই জেদ্দায় গিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তেলের উৎপাদন বাড়াতে অনুরোধ জানান।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইউরোপীয়রাও চেষ্টা চালিয়ে গেছে যেন সৌদি আরব বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়ায়। গত জুলাইয়ের শেষে সৌদি যুবরাজকে প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে রাজকীয় সংবর্ধনা দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। একই অনুরোধ নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর রিয়াদে গিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’র জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়েছিলো। গত সাত বছরের মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম এটাই ছিল সর্বোচ্চ।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/225235541.jpg[/IMG]
-
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) মূল্য প্রতি ব্যারেলে ৫৩ সেন্ট বা দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৯২ দশমিক ১৬ ডলার হয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর প্রতি ব্যারেল এখন ৮৫ দশমিক ৯৫ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের মূল্য প্রতি ব্যারেলে ৩৪ সেন্ট বা দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম ৬ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছিল। এখন আবার বাড়ল তেলের দাম। কিছুদিন ধরে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাগ্*যুদ্ধ তেলের বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/736207214.jpg[/IMG]
যুক্তরাজ্যভিত্তি আর্থিক পরিষেবা সংস্থা, সিএমসি মার্কেটসের বিশ্লেষক টিনা টেং বলেছেন, তেলের দাম বাড়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করেছে। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি দেশটির তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপির আগের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির আভাস মিলেছে। অন্যদিকে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সোমবার জানিয়েছে, দেশটি মধ্যমেয়াদি নীতি ঋণের মেয়াদপূর্তি নিয়ে বিদ্যমান নিয়ম অপরিবর্তিত রাখবে। একই সঙ্গে করোনার কারণে বিভিন্ন আর্থিক নীতিতে যে শিথিলতা দেওয়া হয়েছে, তা বজায় রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ বিদ্যমান সুদের হারও একই থাকবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য কয়লা, তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ অধিকাংশ জ্বালানি পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
-
বর্তমানে, অপরিশোধিত তেলের বাজার 85.16 এ বন্ধ রয়েছে।শুক্রবারে দৈনিক চার্ট অনুসারে, অপরিশোধিত তেল 83.15-এ নেমে যাওয়ার পরে আবার শক্তিশালী হয়েছিল। চীনে করোনাভাইরাসের নতুন তরঙ্গের কারণে বর্তমানে অপরিশোধিত তেল বিক্রির চাপে রয়েছে।কিন্তু ইউক্রেন ও রাশিয়ার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।এ কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে।যদি অপরিশোধিত তেল 90 এর উপরে ভেঙ্গে যায়, তবে অপরিশোধিত তেল আরও শক্তিশালী হয়ে 93 বা 96-এ যেতে পারে।কিন্তু অপরিশোধিত তেল যদি 83-এর নীচের সমর্থন ভেঙে দেয়, তবে অপরিশোধিত তেল আরও 80 বা 75-এ নেমে যেতে পারে।বর্তমানে, অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রবণতায় রয়েছে।দৈনিক চার্টে এবং সিসিআই সূচক বিক্রির সংকেত দিচ্ছে।বর্তমানে অপরিশোধিত তেল দৈনিক চার্ট অনুযায়ী একটি ভাল প্রবণতা দেখাচ্ছে। কিন্তু যদি আমরা h1 চার্ট অনুযায়ী অপরিশোধিত তেলের দিকে তাকাই, অপরিশোধিত তেল 83.15-এ নেমে যাওয়ার পরে এবং ক্রমাগত মোমবাতি তৈরি করার পরে শক্তিশালী হচ্ছে। পরের সপ্তাহে h1 চার্ট অনুযায়ী অপরিশোধিত তেল আরও শক্তিশালী দেখাতে পারে।যদি h1 চার্ট অনুযায়ী, অপরিশোধিত তেল 88-এর রেজিস্ট্যান্স ভেঙে দেয়, তাহলে অপরিশোধিত তেলের পরবর্তী লক্ষ্য 90 বা 93 হতে পারে। কিন্তু যদি 83-এর নিচের সাপোর্ট ভেঙে যায়, তাহলে অপরিশোধিত তেল আরও 80-এ নেমে যেতে পারে।বর্তমানে cci সূচকটি অপরিশোধিত তেলকে স্বল্পমেয়াদী কেনার সংকেত দিচ্ছে।তবে আমি মনে করি আগামী সপ্তাহে 88 বা 90 এর কাছাকাছি অপরিশোধিত তেল বিক্রি করা ভাল হবে।কারণ এই সময়ে অপরিশোধিত তেল বিক্রির চাপ থাকে এবং ভালো সুযোগ দেখে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করাই ভালো হবে।
-
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ২ শতাংশ কমেছে। সেপ্টেম্বরে করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর কর্মসূচী নেওয়ার কারণে চীনে জ্বালানি তেলের চাহিদা কম ছিল। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। অপরিশোধিত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৭ সেন্ট বা শূণ্য দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৯২ ডলার ৮৩ সেন্টে এসে দাঁড়ায়। তাছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট-ডব্লিউটিআইয়ের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৯ সেন্ট বা ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৮৪ ডলারে ১৬ সেন্ট হয়েছে।
এদিকে চীন সেপ্টেম্বরে দৈনিক ৯৭ কোটি ৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত ক্রুড তেল আমদানি করে, যা গত বছরের তুলনায় দুই শতাংশ কম। যদিও আগস্টের চেয়ে বেশি। এএনজেড বিশ্লেষকরা জানায়, গত সেপ্টেম্বরে চীনে তেল আমদানিতে চাহিদা কমেছে। এদিকে সরকারে অনুমানের চেয়ে চীনের মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপি বেড়েছে। সোমবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চীনের অন্যান্য অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। শি জিনপিং তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের একদিন পরেই এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/600096085.jpg[/IMG]
-
এই সপ্তাহান্তে, আপনি যদি দেখেন যে অপরিশোধিত তেলের (#cl) শক্তির বাজার অবিশ্বাস্য, দাম নাটকীয়ভাবে কমে গেছে, কিন্তু এখানে দাম বেস ফিভারড দৈনিক এলাকা বিক্রি করেছে; আরেকটু নিচে গেলে ব্যবধান বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে দেখা যাচ্ছে যে তেলের আরও বেশি পতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণভাবে, গত দুই সপ্তাহে বিয়ারিশ আন্দোলনের প্রাধান্য থাকায় বাজারের এখনও নিচের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এমনকি যদি মূল্য নিকটতম সমর্থন এলাকা স্পর্শ করে থাকে, তবে সম্ভবত এটি 80.21 স্তরে পরবর্তী সমর্থন অঞ্চলের দিকে পতন অব্যাহত থাকবে।
তাই মোটকথা, প্রবণতা যেভাবেই হোক পতন অব্যাহত থাকবে; আমার দৃষ্টিতে, বিক্রয় বিকল্পগুলি সঠিক বিবেচনা হতে পারে, এবং যা বাকি আছে তা হল নিকটতম সরবরাহ বা প্রতিরোধের এলাকায় অপেক্ষা করার জন্য সংশোধনের সন্ধান করা, 84.26।
তাই প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকল্পগুলি সন্ধান করা আরও ভাল, যাতে আপনি বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রথমে নিকটতম প্রতিরোধের স্তরে সংশোধন করার জন্য পদ্ধতির দামের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। আমরা এখনই বিক্রয় অবস্থান খুলেছি।
যদি আমরা দৈনিক চার্ট খুলি, আমরা দেখতে পাব যে আগে একটি শক্তিশালী অবরোহী মূল্য চ্যানেল বা একটি অবতরণ ওয়েজ তৈরি হয়েছিল, যা, যদিও এটি একটি দক্ষিণ দিকে ভেঙে গিয়েছিল, তবে দাম আবার নিচে নেমে গেছে এবং আমি একটি উচ্চ সম্ভাবনার সাথে মনে করি যে দাম নেমে আসা চ্যানেলে ফিরে আসবে এবং বাজারের খোলা থেকে ইতিমধ্যেই 75.00 স্তরে নেমে আসবে। সাধারণভাবে, তেলের পরিপ্রেক্ষিতে, আমার কাছে মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদে শুধুমাত্র একটি পতন আছে, যার মানে হয় বর্তমান স্তর থেকে বা উত্তরে রোলব্যাকের মাধ্যমে, আপনি নিরাপদে বিক্রির জন্য প্রবেশের পয়েন্টগুলি সন্ধান করতে পারেন।
আমি যদি 4 ঘন্টা চার্ট দেখি, বিয়ারিশ পক্ষপাত বজায় থাকে। উদ্ধৃতিগুলি এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে, যখন 4-ঘণ্টার মোমবাতি 79.99 স্তরের উপরে বন্ধ হওয়া 82.92 স্তরের উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘ সংশোধনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে, যা বিয়ারিশ প্রবণতাকে কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। মাঝারি মেয়াদে, আমি 82.92 লেভেল থেকে রিবাউন্ডে বা ট্রেন্ড রিভার্সালের অর্ধেক পরে, 79.99 লেভেলের সম্ভাব্য ভাঙ্গন এবং 76.25 লেভেলে কাজ করার জন্য ক্রমাগত হ্রাস সহ নিম্নগামী আন্দোলনের ধারাবাহিকতা আশা করি।