-
পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকরণ ফরেক্স ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি কমানোর একটি কৌশল। এটি বিভিন্ন মুদ্রা জোড়ায় বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ঘটে, যাতে একটি মুদ্রার সম্ভাব্য ক্ষতি অন্যটির লাভ দ্বারা পূর্ণ করা যায়। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়। বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে, ট্রেডাররা সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন এবং সামগ্রিক লাভের সম্ভাবনাও বাড়াতে পারেন।
-
সাইকোলজিক্যাল লেভেল হল এমন মূল্য পয়েন্ট যা মানসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়, যেমন 1.2000 বা 1.5000। এই লেভেলগুলির আশেপাশে দাম প্রায়শই সাময়িকভাবে থেমে যেতে পারে বা উল্টে যেতে পারে, কারণ অনেক ট্রেডার এখানে ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নেন। সাইকোলজিক্যাল লেভেল চিহ্নিত করে, ট্রেডাররা সঠিক এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ করতে পারেন। এই কৌশলটি বাজারের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবকে কাজে লাগানোর জন্য কার্যকর।
-
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নগুলি মূল্য আন্দোলনের সিগন্যাল চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। ট্রেডাররা বিভিন্ন প্যাটার্ন, যেমন মর্নিং স্টার, ইভিনিং স্টার, এবং হ্যামার ব্যবহার করে এন্ট্রি ও এক্সিট সিদ্ধান্ত নেন। এই প্যাটার্নগুলির সাহায্যে দাম উর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা শনাক্ত করা যায়। সঠিক ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন চিহ্নিত করে, ট্রেডাররা বাজারের মানসিকতা বুঝতে এবং সম্ভাব্য বিপরীতমুখী ট্রেড করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেন। এই কৌশলটির কার্যকারিতা বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল, তাই এটি ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে
-
ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্ট হল একটি প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ কৌশল যা মূল্যের সম্ভাব্য রিভার্সাল পয়েন্ট চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। ট্রেডাররা প্রধান উচ্চ এবং নিম্ন মূল্যের মধ্যে ফিবোনাচ্চি অনুপাত ব্যবহার করে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তর চিহ্নিত করেন। 23.6%, 38.2%, 50%, 61.8%, এবং 100% স্তরগুলি সাধারণত বাজারের মানসিকতার পরিবর্তন নির্দেশ করতে পারে। এই কৌশল ব্যবহার করে, ট্রেডাররা সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নির্ধারণ করে এবং রিভার্সাল সম্ভাবনায় ট্রেড করতে পারেন।
-
অর্ডার ফ্লো বিশ্লেষণ একটি কৌশল যা ট্রেডারদের মার্কেটে ট্রেডারদের ক্রয় ও বিক্রয়ের প্রবণতা বোঝাতে সহায়ক। এটি মূলত দেখায় কীভাবে বড় হেজ ফান্ড এবং প্রফেশনাল ট্রেডাররা বাজারে প্রবেশ করছে। ট্রেডাররা অর্ডার ফ্লো বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাজারের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করে এবং তাদের ট্রেডিং সিদ্ধান্ত উন্নত করতে পারেন। এই কৌশলটি বাজারের অস্থিরতা এবং প্রবণতার পরিবর্তনকে বোঝার জন্য কার্যকর।
-
রেঞ্জ ট্রেডিং একটি কৌশল যেখানে ট্রেডাররা একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ক্রয় ও বিক্রয় করে। যখন মূল্য সাপোর্ট লেভেলের কাছাকাছি আসে, তখন বাই (ক্রয়) করা হয়, এবং যখন এটি রেজিস্ট্যান্স লেভেলের কাছাকাছি আসে, তখন সেল (বিক্রয়) করা হয়। এই কৌশলটি মূলত বাজারের দিকহীন অস্থিরতার সময় কার্যকর। তবে, রেঞ্জ ব্রেকআউটের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, কারণ এটি নতুন প্রবণতার সূচনা করতে পারে।
-
সিজনাল ট্রেডিং হল একটি কৌশল যেখানে ট্রেডাররা নির্দিষ্ট সময়ে বাজারের ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন। কিছু মুদ্রার দাম মৌসুমি কারণে ওঠানামা করে, যেমন বিশেষ ইভেন্ট বা অর্থনৈতিক রিপোর্ট। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি মুদ্রাগুলি মৌসুমী চাহিদার ভিত্তিতে ওঠানামা করতে পারে। এই কৌশলটি মৌসুমি প্রবণতার বিশ্লেষণের মাধ্যমে ট্রেডিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়ক।
-
একটি সঠিক ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করা ফরেক্স ট্রেডিংয়ে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ট্রেডারদের উচিত তাদের লক্ষ্য, কৌশল, এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টের নিয়মগুলি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা। একটি পরিকল্পনা ট্রেডিংয়ের সময় মানসিক চাপ কমাতে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। ট্রেডিং প্ল্যানের মধ্যে এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট, স্টপ লস এবং টেক প্রফিট লেভেল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পরিকল্পিতভাবে ট্রেড করলে ট্রেডাররা আরও সফল হতে পারেন।
-
ব্রেকআউট ট্রেডিং একটি কৌশল যেখানে ট্রেডাররা সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স লেভেল ভেঙে ফেলার সময় ট্রেড করেন। যখন মূল্য একটি লেভেল ভেঙে যায়, তখন এটি একটি নতুন প্রবণতার শুরু নির্দেশ করতে পারে। ট্রেডাররা এই ধরনের ব্রেকআউট পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রবণতা অনুযায়ী এন্ট্রি নেন। এটি প্রধানত অস্থির বাজারে কার্যকর, যেখানে একটি শক্তিশালী আন্দোলন শুরু হতে পারে। তবে, ভুল সংকেত এড়াতে অতিরিক্ত প্রযুক্তিগত সূচক ব্যবহার করা উচিত।
-
কেরি ট্রেড একটি কৌশল যেখানে ট্রেডাররা উচ্চ সুদের হার সম্পন্ন মুদ্রা জোড়া ক্রয় করেন এবং নিম্ন সুদের হার সম্পন্ন মুদ্রা জোড়া বিক্রয় করেন। এটি ট্রেডারদের পার্থক্য থেকে লাভ করতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, ট্রেডাররা একটি উচ্চ সুদের হারের মুদ্রা ধরে রেখে দিনে দিনে সুদের মাধ্যমে লাভ করেন। এই কৌশলটি সুদের হার নির্ভর, তাই অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে।