-
যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদক মূল্যসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক বাজারে শুক্রবার স্বর্ণের দাম বেড়েছে। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার কমাতে পারে এমন প্রত্যাশা বাড়ায় ডলারের বিনিময় মূল্য কমেছে। মার্কিন মুদ্রার এ অবনমন স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম শুক্রবার দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ২ হাজার ৬৪৭ ডলার ৫৫ সেন্টে বিক্রি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে মূল্যবান ধাতুটির দাম ১ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৬৬৫ ডলারে পৌঁছেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/509735878.jpg[/IMG]
সেপ্টেম্বরে মার্কিন উৎপাদক মূল্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর অর্থ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। ফলে ফেড নভেম্বরে আবারো সুদহার কমাতে পারে। প্রসঙ্গত, সুদহার কমানো হলে সাধারণত স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়।
সুইস বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএসের বিশ্লেষক জিওভানি স্টাউভানো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসের কিছুটা বেশি। এ অবস্থায় ফেড পরবর্তী কয়েক মাসে কতবার সুদহার কমাবে, তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা দ্বিধান্বিত।’
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক সামান্য বেশি বেড়েছিল। তবে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। অবনতির ঝুঁকি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান বাজার যথেষ্ট ইতিবাচক। এ অবস্থায় ফেডের সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার আগামী মাসগুলোয় সুদহার আরো কমানোর ইঙ্গিত দেন।
সিএমই ফেডওয়াচ টুল দেখিয়েছে, নভেম্বরে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমানোর ৮৪ দশমিক ৪ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে, সুদহার অপরিবর্তিত থাকবে।
স্টাউভানো বলেন, ‘স্বর্ণের বাজার স্বল্প সময়ের জন্য অস্থির থাকতে পারে। তবে ফেড সুদহার আরো কমাবে, এমন প্রত্যাশায় স্বর্ণের দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত মাসে স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ৬৮৫ ডলার ৪২ সেন্টে পৌঁছনোর পর টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ পতনের মুখে রয়েছে।’
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/339627470.jpg[/IMG]
ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে, গোল্ড (XAU/USD) প্রায় 2,669 লেভেলে সামান্য টেকনিক্যাল কারেকশনের মধ্যে ট্রেড করছিল। গত সপ্তাহে, গোল্ডের মূল্য 2,644 এর নিম্ন লেভেল থেকে 2,710 এর উচ্চতায় পৌঁছেছিল। 2,710 এর সর্বোচ্চ লেভেল থেকে, গোল্ডের মূল্য 61.8% ফিবোনাচি পর্যন্ত রিট্রেস করেছে। যদি এই ইন্সট্রুমেন্টটি পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় 2,662 এর উপরে কনসলিডেট করে, তাহলে আমরা আশা করতে পারি বুলিশ সাইকেল পুনরায় শুরু হতে পারে। গোল্ডের মূল্য 2,684 (200 EMA) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ডাউনট্রেন্ড চ্যানেল ব্রেক করলে এবং 21 SMA এর উপরে কনসলিডেশন হলে একটি নতুন বুলিশ র্যালি শুরু হতে পারে। ফলে, গোল্ডের মূল্য 6/8 মারে-এর কাছাকাছি 2,738 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে, যদি গোল্ডের মূল্য 2,660 এর নিচে নেমে যায়, আমরা আশা করতে পারি যে বিয়ারিশ সাইকেল অব্যাহত থাকতে পারে। ধাতুটির মূল্য 4/8 মারে 2,656 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এবং এমনকি 2,644 এর কাছাকাছি একটি ডাবল বটম প্যাটার্ন গঠন করতে পারে। যদি গোল্ডের মূল্য পরবর্তী কয়েক দিনে 4/8 মারে-এর নিচে কনসলিডেট করে তাহলে গোল্ডের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে, যার ফলে মূল্য স্বল্পমেয়াদে $2,500 এর সাইকোলজিক্যাল লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। অন্যদিকে, 2,686 এর উপরে কনসলিডেশন এবং ক্লোজিং হলে গোল্ডের পরিস্থিতি ইতিবাচক হতে পারে। সুতরাং, স্বল্পমেয়াদে এটির মূল্য 2,734 (6/8) এবং এমনকি 7/8 মারে-এর কাছাকাছি 2,773 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1164836253.jpg[/IMG]
ডলারের মান শক্তিশালী হতে থাকায় কমতে শুরু করেছে স্বর্ণের দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে স্বর্ণের কেনা-বেচা হচ্ছে, তা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি আউন্স (এক আউন্স = ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৯১ ডলার বা ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০৯ টাকায়। স্বর্ণের বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শতকরা হিসেবে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৯ শতাংশ এবং গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর আজ মঙ্গলবার প্রথম এই দরে বিক্রি হচ্ছে মূল্যবান এই ধাতুটি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা কেসিএম ট্রেডের শীর্ষ বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটেরার রয়টার্সকে বলেন, “সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং তার ফলাফল ডলারের মানের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। স্বর্ণের দাম কমার মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ার মধ্যে।”
ডলারের মান বৃদ্ধি অবশ্য এমনি এমনিই ঘটেনি; বরং এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে বা বিটকয়েনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহারের পক্ষে থাকায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে বিটকয়েনের ব্যবহার। ফলে ডলারের মানও বাড়ছে।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষণকারী অপর মার্কিন সংস্থা বেরেনবার্গ জানিয়েছে, বিটকয়েনের ব্যবহার বৃদ্ধির এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ২০২৫ সালে স্বর্ণের দর কম-বেশি স্থিতিশীল থাকবে, তবে চাহিদার তেমন হেরফের হবে না। ফলে দামও খুব বেশি হ্রাস পাবে না।
রয়টার্সকে বেরেনবার্গের এক বিশ্লেষক বলেন, “স্বর্ণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অনন্য দিক হলো, এটি মূল্যস্ফীতির সময় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। ডলারের মান শক্তিশালী হচ্ছে— এটা আন্তর্জাতিক অর্থনীতির জন্য বেশ ইতিবাচক। তবে শেষপর্যন্ত মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি থেকেই যাবে এবং সেই ঝুঁকি এড়াতে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থের একটি অংশ স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য আলাদা করে রাখবেন।”
“ফলে সামনের দিনগুলোতে স্বর্ণের দাম খুব একটা হ্রাস পাওয়ার চেয়ে স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনাই বেশি।”
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/811397810.jpg[/IMG]
ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে গোল্ড (XAU/USD) প্রায় 2,563 লেভেলে ট্রেড করছিল যা 2/8 মারে-এর নিচে এবং ২৯ অক্টোবর থেকে গঠিত ডাউনট্রেন্ড চ্যানেলের মাঝামাঝি অবস্থিত। H4 চার্টে দেখা যায় যে গতকালের মার্কিন সেশনের সময়, গোল্ডেরমূল্য 3/8 মারে এবং 21 SMA এর এরিয়ায় পৌঁছেছিল, যা যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষাপটে শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করেছিল। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, আমরা মনে করি গোল্ডের মূল্যের রিকোভারি হতে পারে, কারণ প্রযুক্তিগতভাবে আমরা একটি ওভারসোল্ড সিগন্যাল লক্ষ্য করছি। আমরা মনে করি 2,653 এ অবস্থিত S_1 সাপোর্টের আশেপাশে বা 2,550 লেভেলে অবস্থিত ডাউনট্রেন্ড চ্যানেলের নিচে একটি প্রযুক্তিগত বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্য এই এরিয়ার উপরে গেলে, আমরা গোল্ড ক্রয়ের একটি সুযোগ পাব। এছাড়াও, যদি 2,578 এ অবস্থিত 2/8 মারে-এর উপরে গোল্ডের মূল্য়ের কনসলিডেশন হয়, তাহলে এটি একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে গণ্য হবে এবং আমরা মূল্য 2,619 এবং 2,621 এ যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে গোল্ড কিনতে পারি। যদি গোল্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে প্রায় 2,539 (1/8 মারে) এর আশেপাশে অবস্থিত লেভেল তাৎক্ষণিক সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবে। ঈগল সূচকটি এক্সট্রিম ওভারসোল্ড জোনে পৌঁছাচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি যে পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যে প্রযুক্তিগতভাবে গোল্ডের মূল্যের রিবাউন্ড হতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1279447686.jpg[/IMG]
মার্কিন সেশনে, XAU/USD পেয়ার প্রায় 2,626-এ ট্রেড করছে, যেখানে ইউরোপীয় সেশনে এই পেয়ারের মূল্য 2,619-এ পৌঁছানোর পরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। স্বর্ণের মূল্য বর্তমানে 3/8 মারে-এর উপরে এবং ১২ নভেম্বর থেকে গঠিত আপট্রেন্ড চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে। H4 চার্টে দেখা যাচ্ছে যে স্বর্ণের মূল্য 2,641-এ পৌঁছানোর পরে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন সম্পন্ন করেছে। তাই, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি টেকনিক্যাল রিবাউন্ড ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মূল্য আবার 2,639 এর দিকে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের মূল্য 3/8 মারে-এর নিচে নেমে যায়, তাহলে বিয়ারিশ মুভমেন্টের গতি বাড়তে পারে এবং স্বর্ণের মূল্য 21 SMA-এর দিকে পৌঁছাতে পারে যা প্রায় 2,603-এ অবস্থিত। এই এরিয়ার নিচে, স্বর্ণ আরও দরপতনের শিকার হয়ে 2/8 মারে-তে পৌঁছাতে পারে, যা 2,578-এ অবস্থিত এবং শেষ পর্যন্ত 2,662-এ থাকা গ্যাপ পূরণ করতে পারে। যদি স্বর্ণের মূল্য আবার 2,640-এ পৌঁছায়, তাহলে এটি স্বর্ণ বিক্রয়ের সুযোগ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে, কারণ স্বর্ণ টেকনিক্যালি ওভারবট জোনে রয়েছে। তবে, যদি স্বর্ণের মূল্য এই এরিয়াটি ব্রেক করে, স্বর্ণের মূল্য 4/8 মারে-তে পৌঁছাতে পারে যা 2,653-এ অবস্থিত। এটি একটি শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স জোন এবং এখান থেকে একটি শক্তিশালী টেকনিক্যাল কারেকশন আসন্ন। যতক্ষণ স্বর্ণের মূল্য 3/8 মারে-এর উপরে কনসলিডেশন করে, আমরা 2,632 এবং 2,640-এর লক্ষ্যমাত্রায় স্বর্ণ কেনার সুযোগ খুঁজব। ঈগল ইনডিকেটর একটি পজিটিভ সিগন্যাল দেখাচ্ছে, যা আমাদের বুলিশ কৌশলকে সমর্থন করে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/780735417.jpg[/IMG]
বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। বড় উত্থানের পর যেমন বড় দরপতন হয়েছে, তেমনি বড় দরপতনের পর বড় উত্থানের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববাজারে সোনার দামের অস্থিরতার মধ্যে দেশের বাজারেও দামি এই ধাতুটির দামে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। হুটহাট দাম বাড়া বা কমার ঘটনা ঘটছে। চলতি নভেম্বর মাসে ৬ বার দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো বা কমানো হয়েছে।
বিশ্ববাজারে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে সোনার দামে বড় পতন হয়। পাঁচ কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ১২২ ডলার কমে যায়। এমন পতনের পর গত সপ্তাহে সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৫৩ ডলারের বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ সাড়ে ১৮ হাজার টাকার ওপরে।
-
বাজারে এর আগে টানা পাঁচদিন বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এ সময় অনেক বিনিয়োগকারী তাদের মুনাফা নিশ্চিতে মূল্যবান ধাতুটির বিক্রি বাড়িয়েছেন। এতে বিশ্ববাজারে গতকাল ধাতুটির মূল্য প্রায় ২ শতাংশ কমেছে। স্পট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম কমেছে আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ২ হাজার ৬৬৪ ডলার ৫৩ সেন্টে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম কমেছে আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ। আউন্সপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৬৬৬ ডলার ৪০ সেন্টে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1814096629.jpg[/IMG]
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্কট বেসেন্টকে পরবর্তী মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে কমেছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ট্রেজারি সেক্রেটারি শুল্কনীতি সহজ করতে পারে। আইজির মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট ইয়েপ জুন রং বলেন, ‘টানা পাঁচদিন বাড়ার পর গতকাল স্বর্ণের দাম কিছুটা কমে এসেছে। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে বেসেন্টকে পছন্দ করার ঘোষণা মার্কিন-চীন বাণিজ্য অনিশ্চয়তাকে হ্রাস করার ইঙ্গিত দিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, যেকোনো অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় স্বর্ণ একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট সুদহার কমাতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে ৫৬ শতাংশ, গত সপ্তাহে যা ছিল ৬২ শতাংশ।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1794983466.jpg[/IMG]
সম্প্রতি মার্কিন ডলারের মূল্য প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে এসেছিল, এখন দৃঢ়ভাবে পুনরুদ্ধার করছে এবং মার্কিন ট্রেজারি ইয়েল্ডের শক্তিশালী বৃদ্ধির মাধ্যমে সমর্থন পাচ্ছে। ডলারের এই পুনরুদ্ধার এখন মূল্যবান ধাতুর স্বর্ণের উপর চাপ সৃষ্টির প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা এবং সম্প্রসারণমূলক নীতিগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার কমানো থেকে বিরত রাখার পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা স্বর্ণের মূল্যের সম্ভাব্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও হ্রাস করছে। তবে, সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সম্পর্কে উদ্বেগ নিরাপদ বিনিয়োগ স্বর্ণের দরপতন সীমিত করতে সহায়তা করতে পারে। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, দৈনিক এবং ৪-ঘণ্টার চার্টের অসসিলেটরগুলো নেতিবাচক গতিশীলতা প্রদর্শন শুরু করেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে স্বর্ণের মূল্যের সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রবণতা হচ্ছে নিম্নমুখী। ফলস্বরূপ, গত সপ্তাহের $2605-এর সুইং লোয়ের দিকে আরও দরপতন সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। স্বর্ণের মূল্য $2600-এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলে ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে 100-দিনের SMA-এর যাওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে, যা বর্তমানে প্রায় $2575-এ অবস্থান করছে। অন্যদিকে, $2650 এর লেভেল একটি তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স হিসাবে কাজ করতে পারে, তার পরে গত শুক্রবারের সুইং হাই $2665 রয়েছে। স্বর্ণের মূল্য এই এরিয়ার উপরে গেলে মূল্য $2700-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলে পুনরুদ্ধার হতে পারে এবং $2721–2722 এর সাপ্লাই জোনের দিকে আরও বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে পারে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে কাজ করবে। স্বর্ণের মূল্য এই এরিয়ার ব্রেক করে উপরের দিকে গেলে সেটি এই ইঙ্গিত দেবে যে অক্টোবরের সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেলে থেকে স্বর্ণের মূল্য সাম্প্রতিক কারেকটিভ দরপতন শেষ হয়েছে এবং স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1253081793.jpg[/IMG]
দাম বাড়ছে স্বর্ণের। এর ধারাবাহিকতায় ভারতের বাজারে কমছে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা। বড় ছাড় ঘোষণা করেও ক্রেতা পাচ্ছেন না দেশটির গহনা ব্যবসায়ীরা। একই পরিস্থিতি ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীনে। প্রতি বছর এ সময় দেশটিতে পণ্যটির চাহিদা থাকে সবচেয়ে কম। এবারো তার ব্যত্যয় হয়নি। বৃহত্তম এ দুই বাজারের চাহিদা মন্দা সার্বিকভাবেই চাপে ফেলে দিয়েছে এশিয়ার স্বর্ণ খাতসংশ্লিষ্টদের। ভারতে অভ্যন্তরীণভাবে স্বর্ণের দাম শুক্রবার প্রতি ১০ গ্রামে ছিল ৭৬ হাজার ৮০০ রুপি, এ সপ্তাহে যা ছিল ৭৪ হাজার ৮৫২ রুপি। ইনপ্রোভডের মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী হুগো প্যাসকেল বলেন, ‘*ডিসেম্বরে সাধারণত স্বর্ণের চাহিদা কম থাকে। জানুয়ারিতে আবার এর চাহিদা বাড়তে থাকে।’
চলতি সপ্তাহে চীনের ডিলাররা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দামের ওপর আউন্সপ্রতি ১১-১৫ ডলার ছাড় দিয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ছাড়ের পরিমাণ ছিল আউন্সে ১৯-২১ ডলার।
এমকেএস পাম্পের গ্রেটার চায়নার আঞ্চলিক পরিচালক বার্নার্ড সিন বলেন, ‘এটি প্রচুর সরবরাহ ও দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া রেনমিনবিতে স্বর্ণের উচ্চ মূল্যও এ প্রবণতায় ভূমিকা রাখতে পারে।’
সিঙ্গাপুরে ডিলাররা প্রতি আউন্স স্বর্ণে ১ ডলার ২০ সেন্ট থেকে ২ ডলার ২৫ সেন্ট সংযোজন করেছেন। অন্যদিকে হংকংয়ে এটি ছিল ১ ডলার ৪০ সেন্ট থেকে ২ ডলার ৫০ সেন্ট।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/935215940.jpg[/IMG]
আন্তর্জাতিক বাজারে এখনো ঊর্ধ্বমুখী স্বর্ণের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার কমাতে পারে, এমন সম্ভাবনা মূল্যবান ধাতুটির বাজারদর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। স্পট মার্কেটে সাপ্তাহিক লেনদেনের শেষদিনে স্বর্ণের দাম আউন্সে দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি আউন্সের মূল্য পৌঁছেছে ২ হাজার ৬৩৬ ডলার ৩১ সেন্টে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে শুক্রবার স্বর্ণের দাম বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ। আউন্সপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৬৫৯ ডলার ৬০ সেন্টে। এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়লেও স্পট মার্কেটে অন্যান্য ধাতুর বাজারদর শুক্রবার কমেছে। এর মধ্যে রুপার দাম কমেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ৩১ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৯২৫ ডলার ৭৮ সেন্ট হয়েছে। প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে ৯৫৭ ডলার ৮৩ সেন্টে।