-
মার্কিন স্টক মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1007153088.jpg[/IMG]
মার্কিন স্টক মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। পর্ব ২ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্টক সূচকগুলোর পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স -0.9%, নাসডাক +0.1%, S&P 500 সূচক -0.2%, S&P 500 সূচক: 5,062, ট্রেডিং রেঞ্জ: 4,800–5,700। সপ্তাহের প্রথম সেশনে স্টক মার্কেটে চরম অস্থিরতা দেখা গেছে এবং গড়পরতার তুলনায় ট্রেডিং ভলিউম বেশি ছিল। S&P 500 সূচক (-0.2%), যেটি বিয়ার মার্কেট জোনে (সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ থেকে 20% নিচে) ট্রেড করছিল এবং সেশনের লো লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছিল, তার দৈনিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন লেভেলের মধ্যে 400 পয়েন্টের বেশি ওঠানামা হয়েছে। মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার পর সূচকটি 4.7% পর্যন্ত নিচে নেমে যায় এবং সর্বোচ্চ পয়েন্টে 3.4% পর্যন্ত রিবাউন্ড করে। নাসডাক কম্পোজিট সূচক, যেটি দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন পয়েন্টে পৌঁছাতে 800 পয়েন্টের বেশি হারিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত 0.1% ঊর্ধ্বমুখী হয়ে লেনদেন শেষ করতে সক্ষম হয়—যা বিশাল মূলধনসম্পন্ন কোম্পানি এবং চিপমেকারদের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে হয়েছে। সেশনের সর্বনিম্ন থেকে প্রাথমিক রিবাউন্ডটি ঘটে এক ভ্রান্ত প্রতিবেদনের পর, যেখানে বলা হয়েছিল NEC ডিরেক্টর কেভিন হাসেট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীন ব্যতীত অন্য দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করার কথা ভাবছেন। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউস এই প্রতিবেদন "ভুল সংবাদ" বলে অভিহিত করে এবং জানায়, যদি চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আরোপিত 34% শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে বুধবার থেকে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত 50% শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণার পর পুনরায় মার্কেটে স্টক বিক্রির প্রবণতা শুরু হয়, যদিও প্রধান সূচকগুলো সেশনের সর্বনিম্ন লেভেলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উপরে ছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল ট্রেজারি মার্কেটে বিপরীতমুখী প্রবণতা, যা সূচকগুলোর নিম্নমুখী প্রবণতা কিছুটা কমিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মার্কেটে ইয়েল্ড বা লভ্যাংশ কমছিল, তবে ঐদিন ১০ বছরের বন্ডের লভ্যাংশ ১৭ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় 4.16%-এ, এবং ২ বছরের বন্ডের লভ্যাংশ ৬ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 3.73%-এ পৌঁছায়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত স্টক মার্কেটের পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ: -10.8% S&P 500 সূচক: -13.9% S&P মিডক্যাপ 400 সূচক: -16.1% রাসেল 2000 সূচক: -18.8% নাসডাক কম্পোজিট সূচক: -19.2% আজ খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার ক্রেডিট $0.8 বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে (সম্মিলিত পূর্বাভাস ছিল +$15.1 বিলিয়ন)। জানুয়ারিতে এটি পূর্বের $18.1 বিলিয়ন থেকে ঊর্ধ্বমুখীভাবে সংশোধিত হয়ে $8.9 বিলিয়ন হয়েছে। মূল বিষয় হলো, গত চার মাসে তৃতীয়বারের মতো ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার ক্রেডিটের পতন ঘটেছে। জ্বালানি: ব্রেন্ট ক্রুডের দর $64.90-এ পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক ইকুইটি মার্কেটে তীব্রভাবে বিক্রি প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে তেলের দামে সামান্য বৃদ্ধির পেয়েছে, যার ফলে দাম $65-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। এটি ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ শুরুর আগের দামের তুলনায় প্রায় $10 কম। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্থরতার আশঙ্কা এবং অপরিশোধিত তেলের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় তেলের বাজার এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে।
উপসংহার: ২ এপ্রিল ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এর চিত্র ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। এই যুদ্ধে মূল ফ্রন্টলাইন হলো যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন। দ্বিতীয় প্রধান পক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যারা একদিকে সীমিত পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে, অন্যদিকে আলোচনার চেষ্টা করছে। জাপান ট্রাম্পের সঙ্গে সক্রিয় আলোচনায় রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউরোপ ও জাপান তুলনামূলকভাবে কম শুল্কের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে চীনের ওপর ইতোমধ্যে 34% ও 20% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে—যা মোট 54%—এবং ৮ এপ্রিলের মধ্যে চীন যদি নিজেদের 34% পাল্টা শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে আরও 50% শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়া হয়েছে। চীন ইতোমধ্যে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত নেই। 100% শুল্ক আরোপ হলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়তে পারে—যা ১৯৭৮ সালের নিক্সন-কিসিঞ্জার যুগ থেকে চলমান গভীর বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের সমাপ্তি ঘটাবে। এখন বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই বাণিজ্য যুদ্ধের যৌক্তিক পরিণতি হিসেবে চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক উত্তেজনার বড় রকমের বৃদ্ধি ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সরাসরি সামরিক সংঘাত এবং তার বৈশ্বিক প্রভাবের ঝুঁকি বাস্তবরূপ ধারণ করেছে। মার্কিন স্টক মার্কেটে পূর্বাভাস: সাম্প্রতিক সর্বনিম্ন লেভেল এবং নিম্নমুখী লেভেল থেকে ওপেন করা লং পজিশনগুলো হোল্ড করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধজনিত উদ্বেগ সত্ত্বেও মার্কিন স্টক মার্কেটে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তিশালী পুলব্যাকগুলো নতুন করে ক্রয় করার সুযোগ এনে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3G35h7N
-
১০ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনই ট্রেডারদের জন্য এখনও কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি খুব একটা প্রভাব ফেলছে না, কারণ প্রায় সবাই আশা করছে 2025 সালে এটি দ্রুত বাড়বে। অতএব, আজ যদি মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেও, তাও ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আবার বাড়ানোর জন্য এখন সুদের হার কমাবে—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। সারাদিনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/491975540.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: এখনো ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করার তেমন কোনো অর্থ নেই। গত সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের পরও ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যেন কেবলমাত্র বৃহত্তম দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বিবৃতির দিকেই মনোযোগ দেন। ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, "অন্যায় দূর করার" লক্ষ্যে নেওয়া তার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিক্রিয়া জানালে, তার জবাবে নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করা হবে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন ব্যতীত সকল দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর 10% হারে নির্ধারিত শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ট্রাম্পের মতে, এই সময়টি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নির্ধারিত। তবে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা এখনও অত্যন্ত কম। উপসংহার: এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনো আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, ফলে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো স্পষ্ট যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। কয়েক ঘণ্টা পরপরই বাণিজ্যযুদ্ধ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, এবং আজ প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনও মার্কেটের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4jwehRj
-
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ক আরোপে বিলম্বের ঘোষণায় স্টক মার্কেটে দুর্দান্ত উত্থান
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1843085031.jpg[/IMG]
মার্কিন স্টক মার্কেট সম্প্রতি কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণার পর প্রধান স্টক সূচকগুলো রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করে। S&P 500 সূচক 9.52% বৃদ্ধি পায়, ডাও জোন্স 7.87% এবং নাসডাক 12.16% বৃদ্ধি পায়—২০০১ সালের পর এটি নাসডাকের সবচেয়ে ইতিবাচক দৈনিক পারফরম্যান্স। হোয়াইট হাউসের একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ মার্কেট এই উত্থান সৃষ্টি করে। চীনের সঙ্গে টানাপোড়েন এবং শুল্ক 125% পর্যন্ত বাড়ানো সত্ত্বেও, মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করে যে, যারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি—তাদের জন্য নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাগুলোর ওপর ৯০ দিনের বিরতি থাকবে। এই পদক্ষেপটি অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে আসে এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা হ্রাস করে। বিনিয়োগকারীরা এটি এই বার্তাই হিসেবে নিয়েছে যে, কঠোর বক্তব্য সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস এখনো সব বড় অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাত আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত নয়। নাসডাকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় নেতৃত্ব দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্টরা। টেসলার শেয়ারের দর 22.7% বেড়েছে, এনভিডিয়ার স্টকের দর 18.7% বেড়েছে, অ্যাপলের স্টকের মূল্য 15.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, মেটার স্টকের দর 14.8% এবং অ্যামাজনের স্টকের মূল্য 12% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক বিনিয়োগ মনোভাবের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং এগুলোর স্টকের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটে মূলধন ফেরত আসছে। S&P 500 এবং নাসডাক 100 সূচকের টেকনিক্যাল পরিস্থিতি S&P 500 সূচক আজকের সেশন 5,340 লেভেলে থাকা অবস্থায় শুরু করেছে—যা সম্প্রতি 5,300–5,320 এর রেজিস্ট্যান্সের সামান্য ওপরে, এবং এখন তা স্বল্পমেয়াদি সাপোর্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। আরও শক্তিশালী সাপোর্ট জোন 5,270 থেকে 5,285 এর মধ্যে গঠিত হয়েছে, যেখানে সূচকটি ব্রেকআউটের আগে কনসোলিডেট করছিল। এর নিচে 5,170 এর কাছাকাছি একটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল রয়েছে, যা গতকালের তীব্র প্রবৃদ্ধির সূচনা স্থান। যদি এই নাটকীয় মুভমেন্টের পর মার্কেটে কারেকশন শুরু হয়, তাহলে এই জোনগুলো বুলিশ প্রবণতা দৃঢ়তা যাচাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। বর্তমানে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স 5,370–5,385 জোনে রয়েছে, এবং পরবর্তী বড় টার্গেট হলো সাইকোলজিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ 5,450 লেভেল—যা সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যের কাছাকাছি। নাসডাক 100 এখন 18,700 এর কাছাকাছি ট্রেড করছে। এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পর সূচকটি টেকনিক্যালি ওভারবট অবস্থায় রয়েছে, তবে বুলিশ মোমেন্টাম এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো ব্রেক হয়ে গেছে, যেখানে 18,400 এখন নিকটতম সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। 18,100 লেভেলের আশেপাশে আরও শক্তিশালী সাপোর্ট জোন রয়ে গেছে, যেখানে ব্রেকআউটের আগে কনসোলিডেশন ও ভলিউম অ্যাকিউমুলেশন ঘটেছিল। পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স 18,850–18,900 এর মধ্যে অবস্থিত, এবং 19,000 একটি বড় সাইকোলজিক্যাল রেঞ্জ হিসেবে সামনে রয়েছে। বর্তমান টেকনিক্যাল সেটআপ এই ইঙ্গিত দেয়, স্বল্পমেয়াদি কারেকশন বা সাইডওয়েজ কনসোলিডেশনের সম্ভাবনা বেশ উচ্চ। এত তীব্র ইমপালস মুভমেন্টের পর মার্কেটের ট্রেডার সংবাদ প্রক্রিয়া করতে এবং প্রফিট লক করতে কিছুটা সময় নিতে পারে। তবে, মৌলিক বিশ্লেষণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পক্ষে রয়েছে। ঘোষিত শুল্ক বিরতির বিষয়টি শুধু একটি বিরতি নয়—বরং এটি মার্কেটে একটি শক্তিশালী বার্তা যে, মার্কিন প্রশাসন আলোচনার জন্য উন্মুক্ত এবং বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্রহী। এই বার্তাটি চীনের প্রতি তীব্র বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 125% শুল্ক বৃদ্ধির পরও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক খোলা রাখা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীল করতে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে। শক্তিশালী শ্রমবাজার প্রতিবেদন, ইতিবাচক কর্পোরেট আয় এবং বাণিজ্য যুদ্ধের আলোচনার বিরতি—এই তিনটি মিলে স্থির ও মাঝারি মেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নাজুক। হোয়াইট হাউসের একটি টুইট বা বক্তব্য মুহূর্তেই মার্কেটে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। এখন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতির দিকে যাচ্ছে।
টেসলা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে: নতুন প্রবৃদ্ধির সূচনা, নাকি বুল ট্র্যাপ? টেসলা ইনকর্পোরেটেড (TSLA) শেয়ারের দাম গত দিনের ক্লোজিংয়ের তুলনায় 22.58% বেড়েছে। আজ কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কিছুটা কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। মৌলিক বিশ্লেষণ 2025 সালে টেসলা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে বিক্রির পরিমাণ হ্রাস, বিশেষ করে চীনা গাড়ি নির্মাতাদের সাথে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, এবং সিইও ইলন মাস্কের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে উদ্ভূত রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। এই কারণগুলো মিলিয়ে বছরের শুরু থেকে টেসলার শেয়ারের মূল্য 34.6% কমেছে। তবে, কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন উদ্বেগগুলো অতিরঞ্জিত। যেমন, বেঞ্চমার্ক আগামী দ্বিতীয় প্রান্তিকে নতুন একটি মডেলের লঞ্চ এবং টেক্সাসের অস্টিনে রোবোট্যাক্সির সীমিত রোলআউটকে ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির প্রধান অনুঘটক হিসেবে উল্লেখ করেছে। এছাড়াও, টেসলার অপ্টিমাস রোবোটিক্স প্রোগ্রামের সম্ভাবনার দিকটিও গুরুত্বসহকারে আলোচনায় এসেছে—যা কোম্পানিটিকে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির সমাধানের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারে। যদিও বেঞ্চমার্ক তাদের পূর্ববর্তী প্রাইস টার্গেট $475 থেকে কমিয়ে $350 করেছে, তবুও তারা টেসলাকে তাদের শীর্ষ বিনিয়োগ আইডিয়ার তালিকায় রেখেছে। অন্যদিকে, ওয়েডবুশের বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি এবং মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তৈরি হওয়া একটি "পারফেক্ট স্টর্ম" এর কথা উল্লেখ করে তাদের ১২ মাসের প্রাইস টার্গেট 43% কমিয়ে $550 থেকে $315 করেছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ টেসলার শেয়ার বর্তমানে $263.90 এ ট্রেড করছে। সর্বোচ্চ মূল্য ছিল 18 ডিসেম্বর, 2024-এ—$488.54। টেসলার শেয়ারের প্রধান সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেলসমূহ সাপোর্ট: $225 এবং $186 রেজিস্ট্যান্স: $360 এবং $421 বিনিয়োগকারীদের এই লেভেলগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ যেকোনো দিকের ব্রেকআউট টেসলার শেয়ারের মূল্যের পরবর্তী বড় মুভমেন্টের ইঙ্গিত দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42sp5sH
-
১৫ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/389305103.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এগুলো মার্কেটে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করছে না। এই প্রতিবেদনগুলো স্বল্পমেয়াদি বা স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এটি সবাই জানে যে মার্কিন অর্থনীতি এতটা খারাপ অবস্থায় নেই যে ডলার শত শত বা হাজার হাজার পিপস দরপতনের শিকার হবে। আজ ইউরোজোনে ZEW ইকোনমিক সেনটিমেন্ট সূচক এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতার আবেদন ও বেতন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যের এই পরিসংখ্যানগুলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিগত অবস্থানে প্রভাব ফেলতে পারে—তবে এখন কে-ই বা সে অবস্থানের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে? ডলার এখনও দরপতনের শিকার হচ্ছে, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভ তুলনামূলকভাবে কঠোর অবস্থানে থাকলেও।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ বাদে অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে হয় না। অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের প্রতি পরামর্শ দেব, বিশ্বের বৃহত্তম দেশ ও অর্থনৈতিক জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের দিকে মনোযোগ দিতে। ট্রাম্প বলেছেন, "অন্যায্যতা দূর করার" লক্ষ্যে তার নেওয়া পদক্ষেপের বিপরীতে যেকোনো প্রতিক্রিয়া নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের মাধ্যমে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন বাদে সব দেশের জন্য ৯০ দিন শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে সমানভাবে ১০% আমদানি শুল্ক কার্যকর থাকবে। ট্রাম্পের মতে, এই সময়টি বাণিজ্য আলোচনা চালানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, এবং চীন থেকে আপসমূলক উদ্যোগ আসবে বলে মনে করার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টিতে বর্তমানে চীন এবং ইউরোজোনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনও আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই বর্তমানে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত খবর আসছে, এবং কখন এই ধরনের খবর আসবে বা ট্রাম্প পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেবেন, তা অনুমান করা একেবারেই অসম্ভব।
Read more: https://ifxpr.com/42eiT8U
-
-
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পূর্বাভাস – ১৮ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/993928484.jpg[/IMG]
গতকাল নিয়মিত ট্রেডিং সেশন শেষে মার্কিন স্টক মার্কেটের সূচকসমূহে মিশ্র ফলাফল দেখা গেছে। S&P 500 সূচক 0.13% বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক 0.13% হ্রাস পেয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 1.33% দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ এশিয়ার স্টক সূচকগুলো সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মূলত অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কৌশল অনুসরণ করছে—বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে চলমান শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনার অগ্রগতির জন্য। বাণিজ্যনীতির অনিশ্চয়তা মার্কেটের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেক কোম্পানি বড় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে, কারণ নতুন শুল্ক তাদের লাভজনকতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই সতর্ক মনোভাব ট্রেডিং ভলিউমেও প্রতিফলিত হচ্ছে—যা তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। অনেকেই লিকুইড অ্যাসেট ধরে রাখার পথ বেছে নিচ্ছে যাতে দ্রুত পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। জাপানের নিক্কেই-225 সূচক 0.8% বৃদ্ধির, অন্যদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সূচকসমূহ 0.4% হ্রাস পেয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনা জাহাজের মার্কিন বন্দরে প্রবেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। আজ গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে অঞ্চলটির বেশিরভাগ মার্কেট বন্ধ থাকায় অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে। তবে উপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ট্রেডাররা এখনো নির্দিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতির দিকে নজর রাখছে, যাতে বোঝা যায় ভবিষ্যতে শুল্কনীতি কীভাবে গড়ে উঠবে। ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে আলোচনাকে "গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি" হিসেবে উল্লেখ করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও তেমনই অগ্রগতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি, ফলে এটি কেবল ট্রাম্পের কথাবার্তার অংশ হিসেবেই থেকে যেতে পারে। আগের সেশনে দুর্বল হওয়ার পর শুক্রবার ইয়েনের মূল্য তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল। জাপানের প্রধান আলোচকগণ জানিয়েছেন যে বৈঠকে মুদ্রা সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি, যা মার্কিন পক্ষ থেকে উচ্চতর এক্সচেঞ্জ রেট চাওয়ার শঙ্কা কিছুটা কমিয়েছে। যদিও ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি, তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ সম্পদ চুক্তিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি আগামী সপ্তাহেই স্বাক্ষরিত হতে পারে। ফেব্রুয়ারি থেকে এমন বক্তব্য বারবার আসছে, তাই এগুলোর তথ্যগত গুরুত্ব এখন অনেকটাই কমে গেছে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি চীনের ওপর আর শুল্ক বাড়াতে চান না, কারণ এতে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে কথার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই—কারণ ঠিক এই মন্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্র চীনা জাহাজের ওপর শুল্ক আরোপ করে, যা বৈশ্বিক জাহাজ চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র করে তুলতে পারে। এর ফলে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিপিং কোম্পানি যেমন কাওয়াসাকি কিসেন কাইশা লিমিটেড এবং এইচএমএম কোং-এর শেয়ার দরপতনের শিকার হয়েছে। গতকাল ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে কটাক্ষ করে বলেন, চাইলে খুব দ্রুতই তাকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব এবং ফেডারেল রিজার্ভের উচিত ছিল ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানো। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, চাইলে তিনি পাওয়েলকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন। S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, আজ ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে মূল্যকে $5305 রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করানো। এতে সফল হলে সূচকটির আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সুযোগ তৈরি হবে এবং $5342 পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হবে। $5399 লেভেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, কারণ এটি তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। যদি মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের চাহিদা কমে যায় এবং সূচকটির দর নিম্নমুখী হয়, তাহলে ক্রেতাদের মূল্যকে $5296 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত $5226 পর্যন্ত কমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে $5195 পর্যন্ত নিম্নমুখী হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42xIpVq
-
২১ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2054644718.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। তাই, ধরুন যদি ট্রেডাররা আজ মার্কেটের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুসরণ করতে চায়ও, বাস্তবিক অর্থে আজকের জন্য তেমন কিছু নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। অন্তত এখন ইউরোর মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখা যাচ্ছে (সংবাদ প্রত্যাশায়), আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কোনো স্পষ্ট কারণ বা ভিত্তি ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ বাদে অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার তেমন প্রয়োজন নেই। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানো অব্যাহত রাখেন, তবে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যাতে বড় বড় দেশ এবং জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত মন্তব্যের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। যেকোনো রকম উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত নতুন করে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে, আবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ইঙ্গিত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা বৈশ্বিকভাবে বহু দেশকে প্রভাবিত করেছে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাত এখনও নিষ্পন্ন হয়নি এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের মূল উদ্বেগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি, ট্রাম্প আবারও সুদের হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন, এমনকি তিনি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন—যদিও তার সে ধরনের সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই। বুধবার সন্ধ্যায় ফেডের চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে বলেছেন, সুদের হার হ্রাসের জন্য স্পষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি দরকার, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। স্পষ্টতই ট্রাম্প এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমন আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আত্মবিশ্বাসের সাথে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, অথচ ইউরো এখনো ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে। আজ যদি মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো কোনো খবর আসে, তাহলে তা একমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি না এলে, বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
Read more: https://ifxpr.com/3RX4gAH
-
২২ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/587424873.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। সুতরাং, যদি মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি মনোযোগ দিতেও চাইত, আজ সেরকম কিছুই নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। উপরন্তু, সোমবার দেখা গিয়েছে যে, হোয়াইট হাউস থেকে কোনো খবর না থাকলেও ডলারের বড় ধরনের দরপতন হতে পারে। তাই, আজও মার্কিন মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকলে আমরা অবাক হব না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়াতে থাকেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব, গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের আরও দরপতন ঘটাতে পারে। অন্যদিকে, উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ—যা বর্তমানে অনুপস্থিত—ডলারকে সমর্থন দিতে পারে। তবে নতুন কোনো শিরোনাম ছাড়াও ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন, যা বৈশ্বিকভাবে অনেক দেশকেই প্রভাবিত করবে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করছে। ট্রাম্প আবারও ফেডারেল রিজার্ভের ওপর সুদের হার কমানোর চাপ প্রয়োগ করছেন এবং এমনকি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন, যদিও তার সেই ক্ষমতা নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ট্রাম্পের কার্যকলাপের প্রতি স্পষ্টভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং সেটি ডলার বিক্রি করে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমনটা আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, এবং সোমবার ইউরোর মূল্যও সেই ধারায় যোগ দিয়েছে। আজ মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টিকারী যেকোনো সংবাদ সম্ভাব্যভাবে কেবলমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। যদি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো খবর না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ধরন পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আগের মতোই, কেবলমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতেই ট্রেডিং করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4jMX0n5
-
২৩ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/806785451.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর সবকটাই পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতে এপ্রিল মাসের পারচেসিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (PMI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই সূচকগুলো ইউরোপের অনেক দেশ, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হবে। ইউরোপে ব্যবসায়িক কার্যকলাপে মন্থরতার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা সম্ভবত বুলিশ ট্রেডারদের সন্তুষ্ট করবে না। একই সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও বাজার পরিস্থিতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মূল্যের মুভমেন্টে খুব বেশি প্রতিফলিত হয় না এবং ট্রেডারদের মনোভাবেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে PMI সূচকগুলো কমে গেলে ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আগের মতোই, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন শুল্ক আরোপ করে অথবা বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করে, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এবং অর্থনৈতিক জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখুন। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা নতুন করে ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, যেকোনো ধরনের উত্তেজনা প্রশমনের সংকেত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ দেখা যায়নি, এবং নতুন কোনো ঘটনা ছাড়াই ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত 145% শুল্ক বহাল রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটেই স্বস্তির আভা দেখা গেছে। বিটকয়েন, মার্কিন ডলার, এবং মার্কিন স্টক সূচকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ট্রাম্প ব্যাখ্যা করেননি যে কখন বা কী শর্তে এই শুল্ক হ্রাস করা হবে। এবং যদি চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত না হয়, তাহলে হোয়াইট হাউজ সম্ভবত এই সংঘাত নিরসনের পথে এগোবে না। তবে, ট্রাম্পের ক্ষেত্রে, কোনকিছুই অসম্ভব নয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মঙ্গলবার আমরা মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখেছি, যা বুধবারের প্রথমার্ধেও অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য পুরোপুরি মূল্যায়ন করেনি। এছাড়াও, এপ্রিল মাসের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকগুলোর ফলাফল থেকে ইউরো এবং পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি পারে, যা ব্যবসায়িক কার্যকলাপ মন্থর হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4cNBk7Z