-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৬ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1128823086.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732 লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিইনি। যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের কার্যকলাপের হার হ্রাস পেয়ে ISM সূচক ৫০-এর সীমারেখায় পৌঁছেছে, যা মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কিন্তু এটি ডলারের বড় ধরনের দরপতন ঘটায়নি। সম্ভবত মার্কেটের ট্রেডাররা এরকম একটি পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল। ISM সূচক যখন এতটা সংকটাপন্ন স্তরের কাছাকাছি আসে, তা যুক্তরাষ্ট্রে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের প্রবণতা নির্দেশ করে, ফলে অক্টোবর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার হ্রাস এখন সবচেয়ে সম্ভাব্য দৃশ্যপট হয়ে উঠেছে। আজ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে যা ইউরোর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রেডাররা ইউরোজোনের সেন্টিক্স বিনিয়োগকারীদের আস্থা সূচক, খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি রাখবে। সেন্টিক্স সূচক ইউরোজোন অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। যদি সূচকটির ফলাফল শূন্যের উপরে আসে, তাহলে তা ইতিবাচক আশাবাদ নির্দেশ করে; আর শূন্যের নিচের মান নিঃসন্দেহে নেতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের গ্রাহক ব্যয়ের সামর্থ্য মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তিগুলোর একটি। খুচরা বিক্রয় সূচকের হ্রাস অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের মন্থরতার সংকেত দিতে পারে এবং ইসিবির মুদ্রানীতি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে। তবে মনে রাখা উচিত, এই সূচকগুলো দুই মাস বিলম্বে প্রকাশিত হয়—ফলে এগুলো ট্রেডারদের পরিকল্পনায় ততটা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলবে না। আজকের মূল ইভেন্ট হবে লাগার্ডের বক্তব্য। তার মন্তব্য ইসিবির ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ট্রেডাররা খুব মনোযোগ দিয়ে সুদের হারের সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত খুঁজবে। তবে, তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে বলা যায়, শিগগিরই আর্থিক নীতিমালায় নতুন কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম। আজকের ট্রেডিংয়ে আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/621805290.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1746-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1721-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1746-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের বেশ ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1697-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1721 এবং 1.1746-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1697-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1674-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিয়ারিশ চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1721-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1697 এবং 1.1674-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/426374
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৭ অক্টোবর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1818400452.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি উল্লেখযোগ্যভাবে শূন্যের অনেক উপরে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1684 লেভেল টেস্ট করেছে—যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে ফেলেছিল, বিশেষ করে আগের শক্তিশালী দরপতনের পরপরই। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করিনি। গতকালের ট্রেডিং সেশনে দেখা গেছে, মার্কেটের ট্রেডাররা ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে ইউরোর মূল্যকে নিম্নমুখী করার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউরোর ক্রেতারা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান, যার ফলে সাময়িকভাবে ইউরোর মূল্যের একটি সাপোর্ট লেভেল প্রতিষ্ঠিত হয়। একাধিক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার মাধ্যমে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা এখনো ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যাচ্ছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রত্যাশা থেকেও অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাস পেলেও, ইসিবির নীতিগত অবস্থান এখনো বেশ কঠোর, যা এই বছর ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আজ দিনে প্রথমার্ধে আমরা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করছি: জার্মানির ফ্যাক্টরি অর্ডার: যদি শিল্পখাতে সাম্প্রতিক স্থবিরতার পর দৃঢ় প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাস্তবে পরিণত হয়, তাহলে এটি জার্মান অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। ফ্রান্সের ট্রেড ব্যালেন্স: এই প্রতিবেদন ফরাসি অর্থনীতির প্রতিযোগিতার সক্ষমতা যাচাইয়ের একটি সূচক হিসেবে কাজ করবে। ট্রেড সারপ্লাস বৃদ্ধি পেলে সেটি সাধারণত শক্তিশালী রফতানি সক্ষমতা এবং ইতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয়। অপরদিকে, সারপ্লাস কমে গেলে (বা ঘাটতি দেখা গেলে) তা উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। বুন্ডেসব্যাংক প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেলের বক্তব্য: এটি আজকের দিনের একটি প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে। বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রানীতি ও ইউরোজোন অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তার মন্তব্য অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। তার বক্তব্য ইসিবির পরবর্তী নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশাগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে, যার মাধ্যমে ইউরোর মূল্যের দিকনির্দেশনা নির্ধারণেও প্রভাব পড়তে পারে। আজকের ট্রেডিংয়ে আমি মূলত নিচে উল্লেখিত বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা 1 ও 2 অনুসরণ করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1226499338.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1745-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1712-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1745-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1696-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1712 এবং 1.1745-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1696-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1664-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1712-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1696 এবং 1.1664-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/426505
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৮ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/761874842.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.1658 লেভেলটি টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। দ্বিতীয়বার 1.1658 লেভেল টেস্ট করার সময়, MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল। এতে করে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর হওয়ার সুযোগ তৈরি হয় এবং এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 20-পিপস ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের মন্তব্য—যেখানে তারা সতর্ক করেছেন যে সুদের হার বেশি তাড়াতাড়ি কমানো হলে মূল্যস্ফীতি আবার বাড়তে পারে—তা ডলারের দর বৃদ্ধির পেছনে অবদান রেখেছে এবং ইউরোর যথেষ্ট পরিমাণে দরপতন ঘটিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আরও কঠোর মুদ্রানীতির প্রত্যাশা করছে এবং সে কারণে ইউরো ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিক্রি করে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ডলারের দিকে ঝুঁকছে। আজ ট্রেডারদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে জার্মানির শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য। উভয় ইভেন্টই ইউরোর মূল্যের স্বল্পমেয়াদি দিকনির্দেশনা এবং সামগ্রিকভাবে মার্কেটের পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে। জার্মানিতে প্রকাশিত আগস্ট মাসের শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল মার্কেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে এবং ইসিবি কর্তৃক আরও নমনীয় নীতিমালার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করবে, যা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, ইতিবাচক ফলাফল ইউরোজোনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে পারে এবং ইউরোর পক্ষে সহায়ক হতে পারে। লাগার্ডের বক্তব্যও বিনিয়োগকারীরা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তাঁর বক্তব্যে ইসিবির নীতিগত অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা, মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস, বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কোনো সংশোধনের ইঙ্গিত থাকলে তা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হলে তা ট্রেডারদের আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করবে, কারণ ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আজকের দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 ও পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/912905749.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1674-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1629-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1674-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1606-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1629 এবং 1.1674-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/426653