-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ মে (মার্কিন সেশন)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1520261959.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের প্রথমার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3294 এর লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি। সামনে মার্কিন ননফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার এবং গড় ঘণ্টাভিত্তিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচকগুলো ঐতিহ্যগতভাবে বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের ঘনিষ্ঠ মনোযোগ আকর্ষণ করে, কারণ এগুলো মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির সম্ভাব্য দিক নির্দেশনার মূল সূচক হিসেবে কাজ করে। কৃষি খাত ছাড়া মার্কিন অর্থনীতিতে মোট কতগুলো নতুন চাকরি সৃষ্টি বা হ্রাস পেয়েছে সেটি ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ, ভোক্তা ব্যয়ের বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। তবে, অনেক অর্থনীতিবিদই এই সূচকের পতনের প্রত্যাশা করছেন — যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির ইঙ্গিত এবং উদ্দীপনামূলক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করতে পারে। বেকারত্বের হার — যা কাজ না থাকা ও সক্রিয়ভাবে চাকরি খুঁজছে এমন শ্রমশক্তির শতাংশ নির্দেশ করে — আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যেহেতু এই হার এখনো ঐতিহাসিকভাবে নিম্নমুখী স্তরে রয়েছে, তাই এটি স্থিতিশীল থাকলে অন্যান্য প্রতিবেদনের প্রভাবে অস্থিরতা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেলেও পরবর্তী সময়ে মার্কেটকে কিছুটা স্থিতিশীল করতে সহায়তা করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবো। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3384-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3326-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3384-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3281-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3326 এবং 1.3384-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3281-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3221-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3326-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3281 এবং 1.3221-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
৫ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার অত্যন্ত বিশৃঙ্খলভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এমন মুভমেন্টের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছিল না। শুক্রবার এবং পুরো সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যার কারণে সম্ভবত ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দেখা গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, মার্কিন পরিসংখ্যানের কিছুটা শক্তিশালী ফলাফলই এখন একটি বড় অর্জন হিসেবে ধরা হচ্ছে। বেকারত্বের হার না বাড়ায় এবং ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যাওয়ায় ডলার শক্তিশালী হয়েছে। তবে, সামগ্রিকভাবে মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর এই ধরনের ফলাফলকে "অত্যন্ত ইতিবাচক" বলা যায় না, তাই ডলারের মূল্যের উত্থান ছিল অনেকটা টেকনিক্যাল কারণে প্রতিক্রিয়ার ফলাফল। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এর চেয়েও বেশি শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছিল, যদিও তখনকার সব মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফ স্পষ্টতই দুর্বল ছিল। তাই বলা যায়, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারকে সহায়তা করছে না — অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মার্কেট ট্রেডারদের দ্বারা উপেক্ষিত হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/555180559.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে শুক্রবার কোনো নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে নতুন ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির সুযোগ ছিল, কিন্তু শুক্রবার সেরকম কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয় সেশনের সময় স্পষ্ট হয়ে যায় যে 1.3289–1.3297 জোনটি মূল্যের জন্য বাস্তবিক অর্থে কোনো রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করছে না। মার্কিন সেশনে ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা আবার নতুন করে একাধিক দিকে মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারত — এবং বাস্তবেও তাই হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1495486182.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে, যার ফলে পাউন্ডের মূল্য এখনো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো সম্পূর্ণভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে — অন্য কিছু নয়। হয়তো ভবিষ্যতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাব প্রতি বদলাবে, তবে এখনো সে রকম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সোমবার নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, এবং ভবিষ্যতে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আরও ভালো হবে এমন আশা করার কোনো কারণ নেই। ডলারের জন্য আপাতত শুধুই টেকনিক্যাল রিবাউন্ডের সুযোগ রয়েছে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবার যুক্তরাজ্যে আবারো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটিকেও খুব সহজেই উপেক্ষা করতে পারে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
-
GBP/USD: পাউন্ড এবং রাজনীতি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1717087383.jpg[/IMG]
গত সপ্তাহে টানা তিন দিনের দরপতনের পর সোমবার পাউন্ডের মূল্যের রিবাউন্ড দেখা যায়। স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে পাউন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে, যেখানে নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টি কনজারভেটিভ ও লেবার উভয় দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে, মার্কিন ডলারের সামগ্রিক শক্তিশালী মুভমেন্টের মধ্যে GBP/USD পেয়ারেরও দরপতন ঘটে, যেখানে অর্থনৈতিক মন্দার ইঙ্গিত উপেক্ষা করে ডলার ঊর্ধ্বমুখী হয়। এপ্রিলের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং চীনের প্রতি ট্রাম্পের অবস্থান নমনীয় করার ফলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা তৈরি হয় এবং মূল্য সাপ্তাহিক সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছায়। তবে সোমবার এই পেয়ারের ক্রেতারা পুনরায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং মূল্য 1.33 রেঞ্জের মধ্যে ফিরে আসে। এই সপ্তাহে ট্রেডারদের দৃষ্টি ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক (যা ৭ মে শেষ হবে ) এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের (পরদিন সিদ্ধান্ত জানা যাবে) দিকেই থাকবে। বাইরের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রভাবেও মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—বিশেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা পুনরায় আলোচনার টেবিলে বসেন। দেখা যাচ্ছে, নাইজেল ফারাজের রাজনৈতিক সাফল্যের প্রভাব থেকে মার্কেট দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে। যদিও তিনি অনেক আসনে জয়ী হয়েছেন এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে শতাব্দীপ্রাচীন দুই দলের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, তবুও ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ছিল সীমিত। রিফর্ম ইউকে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন অর্জন করেছে। এই অপ্রত্যাশিত ফলাফল অনেক প্রভাবশালী গণ্যমাধ্যমের (যেমন পলিটিকো ও দ্য ইকোনোমিস্ট) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তারা বলেছে, ফারাজ ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন—এখন এই সম্ভাবনাকে আর রাজনৈতিক কল্পকাহিনি হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এইরকম শিরোনামের মাঝেও GBP/USD পেয়ার মাত্র কয়েক ডজন পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি—এবং সেটিই যথার্থই ছিল। প্রথমত, রিফর্ম ইউকে গত সপ্তাহে ছয়টি মেয়র নির্বাচনের মধ্যে মাত্র দুটি জিতেছে। দ্বিতীয়ত, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৯ সালের আগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নেই, তাই ফারাজের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা এখনো অনেক দূরের এবং অনুমাননির্ভর বিষয়। তৃতীয়ত, রিফর্ম ইউকে বাস্তব প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত; তাদের নেতারা যদি নতুন দায়িত্বে ব্যর্থ হন, তাহলে পুরো আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। অর্থাৎ, ফারাজের সাফল্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে—বিশেষ করে বৈশ্বিকভাবে ডানপন্থী পপুলিজমের উত্থানকে (যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প, ফ্রান্সে লে পেন, অস্ট্রিয়ায় ফ্রিডম পার্টি, জার্মানিতে AfD) বিবেচনায় নিলে। তবে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে—বিশেষ করে সংসদীয় স্তরে—বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এই কারণেই সোমবার পাউন্ড কিছুটা সমর্থন খুঁজে পায়, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের দুর্বলতার মধ্যে। ডলার সূচক কমে 99.00 লেভেলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এবং বুধবারের ফেড সভার আগে ট্রেডারদের অপেক্ষার মনোভাবকে প্রতিফলিত করছে। ফেডের আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা বেশি, এবং তারা হয়তো বর্ধিত মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা (যা ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের মতে 6.5%—যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ) তুলে ধরবে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বৃহস্পতিবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়ে নমনীয় নীতিমালার পথে আরও এক ধাপ এগোতে পারে। এই দুটি পরিস্থিতিই মার্কেটে অনেকটাই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তাই এখন ট্রেডাররা মূলত আগাম দিকনির্দেশনার দিকেই মনোযোগী। রয়টার্স পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ফেড সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ২৫ পয়েন্টের হারে দুইবার সুদের হার কমাতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ব্যাপারেও একই প্রত্যাশা করা হচ্ছে—এই মাসেই আরও একবার সুদের হার কমানো হতে পারে। এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকগুলোর আগমুহূর্তে GBP/USD ট্রেডাররা পাউন্ড বা ডলারের পক্ষে বড় পজিশন নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। ফারাজের রাজনৈতিক ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.32-এর মাঝামাঝি লেভেলে নামিয়ে এনেছে, তবে 1.3250–1.3350 রেঞ্জের নিচের সীমার কাছাকাছি লাভ নেওয়া হয়েছে। সোমবার ক্রেতারা পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যকে এই রেঞ্জের উপরের সীমা টেস্ট করার দিকে নিয়ে গেছে, কিন্তু মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ISM পরিষেবা সূচক 50.2 এর পূর্বাভাস ছাপিয়ে 51.6-এ পৌঁছানোর পর। আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, চলমান অনিশ্চয়তা (ফেড ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য আলোচনা) বিবেচনায় GBP/USD পেয়ারটি এই রেঞ্জের মধ্যেই ট্রেড করতে থাকবে। গত তিন সপ্তাহে ক্রেতারা বহুবার এই পেয়ারের মূল্যকে 1.34 লেভেলে নিতে চেয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই মূল্য 1.3250–1.3350 করিডোরে ফিরে এসেছে—যা এই সপ্তাহের বড় ইভেন্টগুলোর আগে এক ধরনের "হোল্ডিং জোন" হিসেবে কাজ করছে।
-
GBP/USD. পাউন্ডের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1242872864.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার ব্যাপক শক্তিশালী হওয়ার কারণে GBP/USD পেয়ারটি আবারও চাপের মুখে পড়েছে। গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মে মাসের বৈঠকের ফলাফল এবং ওয়াশিংটন ও লন্ডনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার পর পাউন্ডের মূল্য 1.34 জোনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় — 1.3401 পর্যন্ত পৌঁছানোর পর পেয়ারটির মূল্য 1.3230–1.3320 রেঞ্জে ফিরে আসে এবং সাইডওয়েজ মুভমেন্টে শুরু যায়। আজ খবর এসেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তিন মাসের জন্য বাণিজ্য যুদ্ধে বিরতি নিতে সম্মত হয়েছে (যেখানে চীন শুল্ক 125% থেকে কমিয়ে 10% এবং যুক্তরাষ্ট্র 145% থেকে কমিয়ে 30% করেছে), যার ফলে মার্কেটে মার্কিন ডলার ব্যাপকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধে বিরতির বাইরেও আরও কিছু কারণ পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও মৌলিকভাবে কিছু ইতিবাচক উপাদান পাউন্ডকে সহায়তা করেছে, তবে সেগুলোর ঘাটতি ছিল, যা ক্রেতাদেরকে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি স্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনে বাধা দিয়েছে। যেমন, মার্কেটের ট্রেডাররা শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তির খবরে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরে জানা যায় যে চুক্তিটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর হয়নি—বিস্তারিত বিষয়াবলী এখনো আলোচনাাধীন এবং এটি চূড়ান্ত হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে। তদুপরি, এটি প্রকাশ পেয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ পণ্যের ওপর শুল্ক 10% এর নিচে নামাতে আগ্রহী নয়। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে গাড়ি আমদানিতে শুল্ক 27% থেকে কমিয়ে 10% করা হতে পারে, তার বেশি নয়। অর্থাৎ, প্রাথমিকভাবে চুক্তিটি যতটা চমকপ্রদভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, বাস্তবে বিষয়টি সেরকম নয়; এটি ছিল কেবল একটি খসড়া মতৈক্য। এই কারণেই GBP/USD পেয়ারের ক্রেতারা মূল্যকে 1.3400 এর ওপরে ধরে রাখতে পারেনি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও মিশ্র বার্তা দিয়েছে—একদিকে তারা ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়েছে, অন্যদিকে তারা পরিষ্কার করে জানি দিয়েছে যে মুদ্রানীতি দ্রুত নমনীয় করা হবে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেন, সুদের হার "স্বয়ংক্রিয়ভাবে" নির্ধারিত হয় না। তদ্ব্যতীত, এই বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস 0.75% (ফেব্রুয়ারির পূর্বানুমান) থেকে বাড়িয়ে 1.0% করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল GBP/USD পেয়ারের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোতে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রদর্শিত হয়, তাহলে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের সমাপ্তি হওয়ার প্রেক্ষিতে পাউন্ড সমর্থন পেতে পারে। অন্যদিকে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এই পেয়ারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে। আগামীকাল, ১৩ মে, যুক্তরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির বেকারত্বের হার 4.5%-এ বেড়ে যেতে পারে। এটি গত চার মাস ধরে 4.4% ছিল, তাই বেকারত্ব সামান্য বৃদ্ধি পেলেও পাউন্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তদুপরি, বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা—এই প্রতিবেদনের আরেকটি উপাদান—পাউন্ডের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই সংখ্যা জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে (জানুয়ারিতে 2.8K, ফেব্রুয়ারিতে 16.5K, মার্চে প্রায় 19K)। বিশ্লেষকরা এপ্রিল মাসে 22.3K-তে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছেন। এতে একটি নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি হতে পারে। এদিকে, মজুরি প্রবৃদ্ধি 5.6% থেকে কমে 5.2%-এ নামতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি আসন্ন প্রতিবেদন সকল উপাদানের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না আসে বা "নেতিবাচক অঞ্চলে" প্রবেশ করে, তাহলে এটি শ্রমবাজারে অস্থিতিশীলতা ও ট্রেডারদের মধ্যে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা আরও বাড়াবে। এর ফলে ব্রিটিশ মুদ্রার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। তবে সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হচ্ছে বৃহস্পতিবার, ১৫ মে প্রকাশিতব্য মার্চ মাসের জিডিপি প্রবৃদ্ধির সংক্রান্ত প্রতিবেদন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, মার্চ মাসে কোনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়নি (ফেব্রুয়ারির 0.5% বৃদ্ধির তুলনায়)। পাশাপাশি প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, 2025-এর প্রথম প্রান্তিক দেশটির জিডিপি 0.6% বাড়বে (2024-এর চতুর্থ প্রান্তিকে 0.1% ছিল), এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 1.6% হবে (পূর্ববর্তী ছিল 1.5%)। আবারও বলছি, মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে আসন্ন প্রতিবেদনের "ফলাফল"-এর উপর (বিশেষত প্রান্তিকভিত্তিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে)। যদি শ্রমবাজার ও জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হয়, তাহলে GBP/USD বিক্রেতারা 1.30 জোনের দিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করতে পারে, বিশেষ করে যখন ডলার আরও শক্তিশালী হচ্ছে। তবে যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ক্রেতারা একটি শক্তিশালী কারেকশন শুরু করতে পারে (1.32 এরিয়ার দিকে), বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক উদ্দীপনা ম্লান হতে শুরু করবে। কারণ, ৯০ দিনের যুদ্ধবিরতি যুদ্ধের সমাপ্তি নয়, এবং আলোচনা সফল বা ব্যর্থ—উভয় দিকেই যেতে পারে। তাই উচ্চস্বরে প্রচারিত ভূরাজনৈতিক শিরোনামগুলো সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রভাব ছাপিয়ে গেলেও, সামষ্টিক প্রতিবেদনগুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ, এবং "ইতিবাচক ফলাফল" প্রকাশিত হলে এই প্রতিবেদনগুলো যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখন পুরোপুরি ঊর্ধ্বমুখী ডলারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা বর্তমানে বাজার পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। বিক্রেতারা এখন D1 টাইমফ্রেমে বলিঞ্জার ব্যান্ডের নিচের লাইন 1.3270 সাপোর্ট লেভেলের টেস্ট ঘটাচ্ছে। যদি বিক্রেতারা মূল্যকে দিয়ে এই লেভেলের ব্রেক ঘটায়, তাহলে পরবর্তী টার্গেট হবে 1.3070 (দৈনিক চার্টে কিজুন-সেন লাইন)।
-
-
GBP/USD পেয়ারের পূর্বাভাস: ১৬ মে, ২০২৫[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1837289293.jpg[/IMG]
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবারও বৃদ্ধি পায় এবং 1.3344–1.3357 রেজিস্ট্যান্স জোনের দিকে নতুন করে মুভমেন্ট শুরু করে। এই জোন থেকে একটি রিবাউন্ড হলে সেটি মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করতে পারে এবং মূল্য আবারও কমে 1.3205-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেলের দিকে যেতে পারে। তবে যদি 1.3344–1.3357 এরিয়া ব্রেকআউট করে মূল্য উপরের দিকে যায়, তাহলে পরবর্তী 1.3425 লেভেলের দিকে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সাম্প্রতিক বুলিশ প্রবণতার কারণে এই পেয়ারের মূল্যের ওয়েভের গঠন আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ সম্পন্ন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ আগের সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করেছে, আবার সর্বশেষ নিম্নমুখী ওয়েভও আগের সর্বনিম্ন লেভেল ব্রেক করেছে—যা বিয়ারিশ থেকে বুলিশ প্রবণতায় সম্ভাব্য রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়। তবে ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণা না করলে বা সম্প্রসারিত বাণিজ্য চুক্তির খবর না থাকলে ক্রেতাদের জন্য মূল্যকে 1.3425 লেভেলের ওপরে নিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে। যদিও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এটি প্রমাণিত যে—বিক্রেতাদের জন্যও এটি করা সহজ নয়। আমার দৃষ্টিতে, সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভটি ছিল একটি ব্যতিক্রম; ক্রেতাদের প্রকৃত শক্তি 1.3344–1.3357 জোনে প্রকাশ পাবে। বৃহস্পতিবারের সংবাদভিত্তিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের ক্রেতাদের কিছুটা সমর্থন যুগিয়েছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যার ফলে পাউন্ডের ক্রেতারা একটি নতুন—যদিও দুর্বল—আক্রমণ চালাতে পেরেছে, যা শিল্প উৎপাদনের দুর্বল প্রতিবেদন দ্বারা আংশিকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এপ্রিল মাসে উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) মাসিক ভিত্তিতে 0.5% হ্রাস পেয়েছে। তবে আমরা আগেই জানি যে দেশটির CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচকও 2.4% থেকে 2.3%-এ নেমে এসেছে। এর ফলে ফেড এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যেখানে চাপ উপেক্ষা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ট্রেডাররা সুদের হার হ্রাসের দাবি করছে, ট্রাম্প মুদ্রানীতির নমনীয়করণের জন্য চাপ দিচ্ছেন, এবং কেবল জেরোম পাওয়েলই এখনো তার অবস্থানে অটল রয়েছেন— তিনি মনে করে মূল্যস্ফীতি আবার বাড়তে পারে বলে। তবে সামষ্টিক প্রতিবেদনের সমর্থন ছাড়া পাওয়েল বেশিদিন নিজের অবস্থানে থাকতে পারবেন না। তাই, এই পেয়ারের বিক্রেতাদের এখন দ্রুত ভালো খবর দরকার—যেমন, শুল্ক হ্রাস, বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর, বা অন্য কোনো ইতিবাচক খবর। নাহলে ক্রেতারা আবারও মুদ্রানীতির নমনীয়করণের প্রত্যাশায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পারে। ৪-ঘন্টার চার্টে, পেয়ারটির মূল্য 1.3435-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেল থেকে রিবাউন্ড করেছে, মার্কিন ডলারের পক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এখন 76.4% রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.3118-এর দিকে মূল্য নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। আজ কোনো ইন্ডিকেটরে ডাইভারজেন্স গঠিত হচ্ছে না। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড চ্যানেল এখনো একটি বুলিশ প্রবণতা নির্দেশ করছে। কেবলমাত্র এই চ্যানেল নিশ্চিতভাবে ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে দীর্ঘমেয়াদী বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হতে পারে।
-
১৯ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1066511829.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও কমেছে, যদিও এর পেছনে বাস্তবিক অর্থে কোনো কারণ ছিল না। যেখানে ইউরোর মূল্যের স্পষ্ট নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, সেখানে পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট বরং ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ছিল। তাই এটিকে বিদ্যমান প্রবণতার অংশ হিসেবে গণ্য করা যায় না। বরং এটি ছিল একটি এলোমেলো মুভমেন্ট, যার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট ইভেন্ট বা খবরের প্রয়োজন ছিল না। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে প্রকাশিত কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাবে সূচক, যেটির ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল এবং আগের ফলাফল থেকেও দুর্বল ছিল। বিল্ডিং পারমিট বা নির্মাণ অনুমোদন ও হাউজিং স্টার্ট বা আবাসন নির্মাণের সূচনা সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল তুলে ধরে কী লাভ, যদি ট্রেডাররা সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করে?
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট শুক্রবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর প্রভাবে এই পেয়ারের মূল্যের পেয়ারের মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3329 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে এবং ধীরে ধীরে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.3259 পর্যন্ত নেমে আসে। তাই নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করে প্রায় ৫০ পিপস লাভ করতে পারতেন। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের উপর নির্ভর করছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো গৃহীত নীতিমালার প্রতি সংশয় প্রদর্শন করছে। মনে রাখতে হবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সেটি ডলারের জন্য ইতিবাচক, পাউন্ডের জন্য নয়—কারণ এর আগে প্রতিটি শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত খবরে ডলারের দরপতন ঘটেছে। এখন, বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের খবরের প্রভাবে যেকোনো ডলারের শক্তিশালী হওয়া স্বাভাবিক। তবুও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো মার্কিন ডলারের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টও প্রধানত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর দ্বারা প্রভাবিত হবে। সন্দেহ নেই, মার্কেটের ট্রেডাররা আবারো যেকোনো সুযোগে ডলার বিক্রি করার চেষ্টা করবে অথবা নতুন কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করবে। দিন দিন বাজার পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই থাকছে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই সম্ভবত আমরা আবার একটি সীমিত রেঞ্জের ট্রেডিং কার্যক্রম দেখতে পারি। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো সংবাদ শিরোনামে চলে আসতে পারেন, কিংবা যেকোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে—কিন্তু এসব ঘটনা আগে থেকে অনুমান করা একেবারেই অসম্ভব।
-
২০ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1551102178.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার জুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল এবং আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হতে পারে, 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এটাই সত্য, কারণ পুরোনো ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট এবং নতুন একটি ট্রেন্ডলাইনের গঠন সেই বিষয়টির প্রমাণ। তবে, যদি আপনি টাইমফ্রেম বড় করেন বা দূর থেকে চার্টটি দেখেন, তাহলে স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে যে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই পেয়ারের মূল্য একটি সাইডওয়ে রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। এই পুরো সময়ে মাত্র একবার মূল্য 1.3203–1.3440 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের বাইরে বেরিয়েছিল, তাও খুব স্বল্প সময়ের জন্য। এখন যেহেতু এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত রেঞ্জের উপরের সীমানার কাছাকাছি চলে এসেছে, তাই যুক্তিসঙ্গতভাবে একটি বিপরীতমুখী মুভমেন্ট এবং এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই ব্রিটিশ মুদ্রার আরেকটি দরপতনের সম্ভাবনা আছে। তবে এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ — বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় যেকোনো পরিস্থিতিতেই ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত, যেমনটা সোমবার দেখা গেছে। এই পেয়ারের মূল্য এক মাস ধরে স্থবির ছিল এবং সঠিকভাবে কোনো কারেকশনও ঘটেনি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ট্রেডাররা আবার তিন মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করার জন্য প্রস্তুত। এমনকি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হলেও তা দুর্বল ডলারের কোনো উপকারে আসেনি। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছে, যদিও সেগুলোর সবগুলোই প্রকৃতপক্ষে ইউরোর সিগন্যালের তুলনায় দুর্বল সিগন্যাল ছিল। প্রথমে পেয়ারটির মূল্য 1.3329 লেভেল ব্রেক করে, কিন্তু 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি একটি ভুল সেল সিগনাল গঠিত হয়, যা ট্রেডিং সেটআপটিকে নষ্ট করে দেয়। 1.3365 এর ব্রেকআউটও কৃত্রিম ছিল। এই লেভেলের নিচে কনসোলিডেশন হলেও তা কোনো নতুন মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে শুধুমাত্র প্রথম বাই সিগনালটি লাভজনক ছিল। দ্বিতীয় ট্রেডটি লোকসানের সাথে ক্লোজ হয়েছে, এবং তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেডটি ব্রেকইভেনে স্টপ লসের সাথে ক্লোজ হয়েছে। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত, এবং এখনও ট্রেডারদের মধ্যে তার নীতিমালা নিয়ে প্রবল সংশয় বজায় রয়েছে। মনে রাখা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সেটি মূলত ডলারের জন্যই ইতিবাচক — কারণ প্রতিবারই শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণার পর ডলারের দরপতন হয়েছে। এখন, বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনের যেকোনো খবরের প্রভাবেই ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ট্রেডাররা এখনও মার্কিন ডলারের উপর আস্থা রাখতে ইচ্ছুক নয়। মঙ্গলবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে মার্কেটের ট্রেডাররা আবার ডলার বিক্রি করার নতুন অজুহাত খুঁজবে বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ খবরের অপেক্ষা করবে। প্রতিদিনের মতো আজও কারেন্সি মার্কেটের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে: 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421-1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580-1.3598। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই সম্ভবত আবারও নির্দিষ্ট রেঞ্জ-ভিত্তিক ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো সময় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতে পারেন বা কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির খবর আসতে পারে। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি আগেভাগে অনুমান করা সম্ভব নয়। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/430499785.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3344–1.3357 সাপোর্ট জোন থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যার ফলে রিভার্সাল ঘটে এবং পাউন্ডের মূল্য 1.3425 লেভেলের ওপরে উঠে যায়। এর ফলে, আজ 161.8% ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.3520 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য 1.3425-এর নিচে কনসোলিডেট করে, তাহলে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে এবং এই পেয়ারের মূল্য আবার 1.3344–1.3357 এর সাপোর্ট জোনের দিকে নেমে যেতে পারে। সাম্প্রতিক বুলিশ মুভমেন্টের ফলে ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ আপওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী হাই লেভেল ব্রেক করেছে, কিন্তু শেষ ডাউনওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী লো ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে, আগের "বিয়ারিশ" প্রবণতা এখন "বুলিশ"-এ রূপান্তরিত হয়েছে। তবে 1.3425-এর উপরে আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য নতুন কোনো ঘোষণার প্রয়োজন হতে পারে—বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন শুল্ক বা আমদানি শুল্ক আরোপের খবর। এখন পর্যন্ত, বিক্রেতারা শুধুমাত্র দুর্বল হয়েছে ও নিষ্ক্রিয় ছিল। মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য সংবাদ ছিল না, তবে বুধবার সকালে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শুরুতেই উল্লেখ করা দরকার যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মাত্র এক সপ্তাহ আগে সুদের হার কমিয়েছিল, কারণ মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছিল বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল। অথচ আজ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, হেডলাইন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স এপ্রিল মাসে 2.6% থেকে বেড়ে 3.5%-এ পৌঁছেছে। এটি স্পষ্টত ট্রাম্পের শুল্কের প্রতি দেশটির অর্থনীতির প্রতিক্রিয়া। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি আগেই সতর্ক করেছিলেন যে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে—এবং বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে: যদি মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা থাকত, তাহলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেন সুদের হার কমিয়েছে? কোর CPI-ও 3.4% থেকে বেড়ে 3.8% হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই ফলাফল ট্রেডারদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। পাউন্ডের মূল্য রাত থেকেই ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে, যেন অনেক প্রফেশনাল ট্রেডার আগেই জানতেন মূল্যস্ফীতি বাড়তে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক, ক্রেতারা এখন আবার আক্রমণাত্মক অবস্থানে এসেছে, এবার দৃঢ় মৌলিক ভিত্তিও রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেড হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে—ফলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে শিগগিরই আরও নীতিমালার নমনীয়করণ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম। ৪-ঘণ্টার চার্টে, পেয়ারটির মূল্য 100.0% ফিবোনাচি লেভেল 1.3435-এ ফিরে এসেছে। এই লেভেল থেকে যদি নতুন রিবাউন্ড ঘটে, তাহলে মার্কিন ডলারের পক্ষে মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং মূল্য 1.3118-এর দিকে নামতে পারে। অন্যদিকে, 1.3435-এর ওপরে কনসোলিডেশন ঘটলে পরবর্তী ফিবোনাচি লেভেল 127.2% – 1.3794 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভ চালিয়ে যেতে পারে। আজ কোনো ইনডিকেটরে ডাইভারজেন্সের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1703937350.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল, তবে এর কোনোটিই খুব বেশি শক্তিশালী ছিল না। শুরুতে, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর পেয়ারটির মূল্য 1.3421–1.3440 এরিয়ার ওপরে কনসোলিডেট করে। সে সময় নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন, তবে ট্রেডাররা পাউন্ডের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দীর্ঘায়িত করতে ব্যর্থ হয়। পরে, একই এরিয়ার কাছাকাছি দুটি সেল সিগনাল গঠিত হয়, কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই কোনো কার্যকর ফলাফল আসেনি। দ্বিতীয় ট্রেডটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়, আর তৃতীয়টি ভুল সিগনালের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউট করাই যুক্তিযুক্ত ছিল না। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং ট্রেডাররা তার নীতিমালার প্রতি প্রবল সংশয় প্রদর্শন করছে।। মনে রাখা দরকার: যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক হ্রাস মূলত ডলারের পক্ষেই কাজ করা উচিত ছিল, পাউন্ডের পক্ষে নয়। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমিয়েছে এবং ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে—তাতেও পরিস্থিতি ডলারের পক্ষেই থাকার কথা। অথচ, আমরা ঠিক উল্টো প্রতিক্রিয়া ও মূল্যের মুভমেন্ট দেখছি। বৃহস্পতিবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং নির্ভর করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো যেকোনো অজুহাতে ডলার বিক্রির সুযোগ খুঁজে বেড়াবে অথবা নতুন খবরের জন্য অপেক্ষা করবে। দিন যায়, দিন আসে—কিন্তু মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ৫-মিনিট চার্টে প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3537, 1.3580–1.3598। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র—উভয দেশেরই সার্ভিস ও ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলো ট্রেডারদের মধ্যে থাকা বুলিশ সেন্টিমেন্টে বিঘ্ন ঘটানোর সম্ভাবনা কম। বরং এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সেই বুলিশ সেন্টিমেন্টকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।