-
কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করতে হবে, ২৩ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1610831013.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সপ্তাহের শুরুর দিকের তুলনায় বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা গেছে। এর পেছনের কারণ খুবই স্পষ্ট — এ সপ্তাহের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি সূচক প্রকাশিত হয়েছে। যদিও আমরা এখনো মনে করি যে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার কোনো ইঙ্গিত নেই, তবুও সেপ্টেম্বরে দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রত্যাশিত হারে বৃদ্ধি পায়নি। এর ফলে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন হতে দেখা দেয় এবং মার্কেটে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা আরও জোরালো হয়। তবে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, কোনো এক অজানা কারণে মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পেতে থাকে। আমরা এখনো এই ধরণের মুভমেন্টকে অযৌক্তিক বলে মনে করি এবং একে দৈনিক টাইমফ্রেমে অবস্থিত ফ্ল্যাট মার্কেট স্ট্রাকচারের ফলাফল হিসেবে দেখছি—যা মার্কেটের সামগ্রিক মুভমেন্টকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/519589641.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যদিও সেগুলোর বেশিরভাগই দুর্বল সিগন্যাল ছিল। যখন যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফলের প্রভাবে সৃষ্ট দরপতন শেষের দিকে ছিল ঠিক তখনই প্রথম সেল সিগন্যালটি গঠিত হয়। 1.3329–1.3331 জোনে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হলেও, পরবর্তীতে কার্যকর কোনো নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়নি। তবে, ওই দুটি ভুল সিগন্যালের পর একই লেভেলে একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত। এটিই দিনের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর বাই সিগন্যাল প্রথম সেল সিগন্যালটি গঠিত হয় এবং যারা এই ট্রেড করেছেন তারা ২০–২৫ পিপস পর্যন্ত মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, অবশেষে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে — যা দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরবর্তী ধাপের সূচনা হতে পারে। পূর্বেও বলেছি, বর্তমানে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী ও দীর্ঘমেয়াদি মূল্য বৃদ্ধির ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পূর্বাভাস দেয়া যায়। তবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটির মাত্রা বর্তমানে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে এবং মূল্যের মুভমেন্টের ধরনও বেশ মন্থর। বৃহস্পতিবার, আবারও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে, কারণ টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার বর্তমানে বুলিশ প্রবণতাকে সমর্থন করছে। তবে লং পজিশন ওপেন করতে হলে অবশ্যই 1.3329–1.3331 জোন থেকে নতুন করে রিবাউন্ড হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু যদি মূল্য এই এরিয়ার নিচে কনসোলিডেটেড করে, তাহলে নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলোতে মনোযোগ দিতে হবে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র—উভয় দেশের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আবারও গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই। এর ফলে মার্কেটে সীমিত ভোলাটিলিটি দেখা যেতে পারে এবং দৈনিক ভিত্তিতে প্রবণণতাভিত্তিক মুভমেন্টও তুলনামূলকভাবে দুর্বল হতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/428204
-
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ২৭ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/349276487.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের পুরোপুরি অযৌক্তিক ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। দিনের শুরু থেকেই ব্রিটিশ কারেন্সি ক্রয়ের জন্য যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল, যা বিদ্যমান টেকনিক্যাল চিত্র এবং বৈশ্বিক মৌলিক প্রেক্ষাপট দ্বারা পুরোপুরি সমর্থিত ছিল। যুক্তরাজ্যে অক্টোবর মাসের সার্ভিস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের বিজনেস অ্যাকটিভিটি ইনডেক্স এবং খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এই তিনটি প্রতিবেদনের ফলাফলই বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা ব্রিটিশ কারেন্সি ক্রয়ের জন্য দৃঢ় কারণ প্রদান করেছিল। তবুও, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর এই অপেক্ষাকৃত ইতিবাচক ফলাফলও মার্কেটে কোনো দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া, এমনকি সামান্য প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করেনি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা যুক্তিসঙ্গতভাবে ডলারের দরপতন ঘটায় — যদিও তা মাত্র ৫ মিনিটের জন্য ঘটেছে। এরপর, কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই ডলারের মূল্য বিপরীতমুখী হয়, এটির মূল্য আগের চেয়েও বেশি গতিশীলভাবে, বৃদ্ধি পায়। এতে বোঝা যায়, মার্কেটে চরম অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। একদিকে, S&P বিজনেস অ্যাকটিভিটি ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ডলারের জন্য অনুকূল হিসেবে গণ্য করা হলেও, এটি স্পষ্ট যে মুদ্রাস্ফীতি ও ভোক্তা আস্থা সূচকের তুলনায় এই প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব কম। এসব প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের ক্ষেত্রে অনুকূল ছিল না। তাই, আবারও আমরা এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল ও অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখতে পেয়েছে, যা সার্বিক পরিস্থিতির সাথে একদমই সংগতিপূর্ণ নয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/339466161.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সবগুলো সিগন্যালই ভুল প্রমাণিত হয়। আমরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক মুভমেন্ট নিয়ে আলোচনা করে চলেছি, তাই এটি কোনো চমকপ্রদ ঘটনা নয়। নতুন ট্রেডাররা এই সিগন্যালগুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করার চেষ্টা করে থাকতে পারেন, তবে তাঁদের মনে রাখা উচিত যে বর্তমানে মার্কেটে পরিলক্ষিত মুভমেন্টগুলো দুর্বল এবং অযৌক্তিক, কারণ দৈনিক টাইমফ্রেম এখনো এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার প্রবণতা বজায় রয়েছে।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছে, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার নতুন ধাপের সূচনার ইঙ্গিত হতে পারে। তবে, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই পেয়ার কেবল দরপতনের শিকার হচ্ছে। আগেও উল্লেখ করা হয়েছে, ডলারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধির জন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। বর্তমানে মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা প্রায় শূন্যে নেমে গেছে এবং এই পেয়ারের মূল্যও অত্যন্ত ধীরগতিতে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করছে। সোমবার, আবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, তবে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। লং পজিশন ওপেন করা জন্য 1.3329–1.3331 রেঞ্জ ব্রেকআউট করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া প্রয়োজন। এই এরিয়া থেকে মূল্য রিবাউন্ড করে নিম্নমুখী হলে মূল্যের 1.3259-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, যেকোনো সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড ওপেন করা গেলেও মার্কেটে খুব দুর্বল মুভমেন্ট সৃষ্টি হতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। সোমবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্টও নির্ধারিত নেই।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/428505
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/938037990.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের যথেষ্ট নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3211 লেভেল টেস্ট করেছিল, তখন, যার ফলে ফেডের বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রকাশের আগেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি তখন পাউন্ড বিক্রি করিনি এবং সম্পূর্ণ নিম্নগামী মুভমেন্টটি কাজে লাগাতে পারিনি। গতকাল, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের পর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য তীব্রভাবে হ্রাস পায়। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখন থেকে প্রকাশিতব্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। পাওয়েলের এমন বক্তব্যের ফলে মার্কেটে অবিলম্বে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, এবং পাউন্ড থেকে বিনিয়োগ বের হয়ে যায় — যেহেতু এটি ঐতিহ্যগতভাবে ও তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট হিসেবে বিবেচিত। বিনিয়োগকারীরা, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা সম্পর্কে অস্পষ্টতা এবং ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে তুলনামূলক নিরাপদ মুদ্রায় বিনিয়োগ করা শুরু করে, যেমন মার্কিন ডলার। দুঃখজনকভাবে, আজ যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান বা অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই ট্রেডারেরা নির্ভর করার মতো বিশেষ কোনো প্রতিবেদন হাতে পাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করার মতো কোনো প্রাসঙ্গিক কারণও দেখা যাচ্ছে না, ফলে পাউন্ডের ওপর চাপ বজায় থাকতে পারে। এছাড়া, আগামী বাজেট সম্পর্কে অনিশ্চয়তা এবং যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থানে সম্ভাব্য নীতিগত পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব আরো বাড়িয়ে তুলছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করলেও, তা বিনিয়োগকারীরা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। এর ফলে পাউন্ডের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে, এবং নতুন কোনো অর্থনৈতিক সংকেত না আসা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর জোর দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1912624573.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3242-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3219-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3242-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3205-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3219 এবং 1.3242-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3205-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3183-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যেকোনো সময় পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3219-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3205 এবং 1.3183-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/428959
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩১ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/503379398.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3179 লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। 1.3179-এর লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যার ফলে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করে পাউন্ড কেনার সুযোগ পাওয়া হয়; তবে যেহেতু এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, তাই লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বিষয়ে আরও সতর্ক অবস্থান নেওয়ার প্রত্যাশা মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। আমেরিকার মুদ্রার এই দ্রুত শক্তিশালী হওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ পাউন্ড কোনোরকম দৃঢ় সহায়তামূলক প্রেক্ষাপট খুঁজে পায়নি। আগের দিন ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তটি স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন মৌলিক প্রতিবেদনের প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, তারপরই তারা ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নেবে। এই নতুন মূল্যায়ন মার্কিন আর্থিক নীতিমালার ভবিষ্যৎ প্রত্যাশার পরিবর্তনে ঘটিয়েছে, যার ফলে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের ওপর চাপ বেড়েছে। আজ সকালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ন্যাশনওয়াইড হাউস প্রাইস ইনডেক্স বা আবাসন মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যা দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণকারী বিশেষজ্ঞ এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। আবাসন বাজার একটি সংবেদনশীল অর্থনৈতিক ব্যারোমিটার হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ভোক্তা মনোভাব এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রতিফলন ঘটায়। বর্তমান সময়ে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই প্রতিবেদনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যদি আবাসনখাতে মূল্য বৃদ্ধি দেখা যায়, তাহলে সেটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভোক্তা কার্যকলাপের ইঙ্গিত দেবে। অন্যদিকে, যদি সূচকটির পতনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে তা অর্থনৈতিক মন্দা এবং প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাসের সংকেত হতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফলে আবাসনখাতে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অপেক্ষা করার ও পর্যবেক্ষণের নীতিতে অটল থাকতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1907982130.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3190-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3161-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3190-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3144-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3161 এবং 1.3190-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3144-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3120-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যেকোনো সময় পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3161-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3144 এবং 1.3120-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429087
-
কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৩ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/809951558.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবারও GBP/USD পেয়ারের একটানা দরপতন অব্যাহত ছিল, তবে দিনের শেষভাগে এই পেয়ার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। স্মরণ করিয়ে দেই, ব্রিটিশ পাউন্ড এক মাস ধরে নিঃসন্দেহে কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়া ক্রমাগত দরপতনের শিকার হচ্ছে। শুক্রবার ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাত্ত্বিকভাবে ইউরোপীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস পেতেই পারে, কিন্তু পাউন্ডের দরপতনের জন্য কোনো বাস্তবসম্মত কারণ ছিল না। সেদিন যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র, কোন দেশেই উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো ইভেন্টও ছিল না। ফলে বলা যায়, এই পেয়ারের এই অযৌক্তিক দরপতন এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে, দরপতনের পর এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্নমুখী লাইন 1.3140-তে এসে পৌঁছেছে এবং গত তিনদিন ধরেই তা এই লেভেল ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, এটি একটি সম্ভাব্য নতুন দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনাবিন্দু হতে পারে, যার যথার্থ ভিত্তি দাঁড় করানোর জন্য মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট উপস্থিত আছে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে 1.3107 লেভেলটিকে একটি সাপোর্ট পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের নিচে নেমে গেলে বুঝা যাবে যে, বৈশ্বিক পর্যায়ে এই অযৌক্তিক কারেকশনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1635070192.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার একটি বাই ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল — সেসময় মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল। আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই এরিয়াগুলো থেকে শুধু ৫০-৬০ পিপসের একটি বাউন্সই নয়, বরং নতুন করে স্বল্পমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও শুরু হতে পারে। তাই, এই ধরনের ট্রেডে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করে অপেক্ষা করাই উপযুক্ত হবে, যাতে বড় মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকে।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার গঠন শুরু হয়েছিল, কিন্তু তা অল্প সময়েই নিস্প্রভ হয়ে পড়ে। বর্তমানে কোনোপ্রকার যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ব্রিটিশ পাউন্ড আবারও দরপতনের শিকার হচ্ছে। আগেও উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন ডলারের ক্রমাগত দর বৃদ্ধির জন্য এখন আর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। তাই আমরা মধ্যমেয়াদে কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্ভাবনাই দেখছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার বিষয়টি এখনও ওপর নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা এখন পরিলক্ষিত অযৌক্তিক পরিস্থিতির মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3102-1.3107 এরিয়ার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেড করতে পারেন অথবা শুক্রবারে ওপেন করা লং পজিশনগুলো ব্রেকইভেন লেভেলে স্টপ লস সেট করে হোল্ড করে রাখতে পারেন। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য উপযোগী লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590, 1.3643-1.3652। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ISM সূচকের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত, কারণ এটির ফলাফল মার্কেটে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429241
-
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৪ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1386610955.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবারও 1.3107 লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করে, যেখান থেকে মূল্য তৃতীয়বারের মতো বাউন্স করেছে। তবে ট্রেডাররা এখনো হাল ছাড়েননি এবং আজ চতুর্থবারের মতো এই পেয়ারের মূল্যকে উল্লিখিত লেভেলের নিচের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাম্প্রতিক মুভমেন্টকে "বৈপরীত্যপূর্ণ" অভিহিত করে সবচেয়ে ভালোভাবে বোঝানো যেতে পারে। আপাতত পাউন্ডের দরপতনের জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ নেই, তবুও প্রায় প্রতিদিনই এটির মূল্য কমছে। সোমবার মার্কিন ডলারের জন্য যেটুকু কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, সেটিও ভালো ফল প্রদর্শন করেনি। তাই শুধুমাত্র ঐ প্রতিবেদন বিবেচনায় নিলে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেত। আমরা লক্ষ্য করছি যে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান নিম্নমুখী প্রবণতার বিপরীতে তেমন কোনো কারেকশন হয়নি। এটি নির্দেশ করে যে পাউন্ড প্রায় প্রতিদিনই কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়াই দরপতনের শিকার হয়েছে, এবং কোনো রিবাউন্ড বা কারেকশনও ঘটছে না। আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান মুভমেন্টকে সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করছি এবং স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখন মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানায় অবস্থান করছে। এর ফলস্বরূপ, একটি বাউন্স এবং এই পেয়ারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি তুলনামূলকভাবে কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে একটি বাউন্সের ফলে গঠিত হয়েছিল। এই সিগন্যাল গঠনের পর এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 30 পিপস পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হয়, যা দিনের মোট অস্থিরতা (প্রায় 50 পিপস) বিবেচনায় বেশ ভালো। যদিও কম হলেও, এই সিগন্যাল থেকে কিছুটা মুনাফা করার সুযোগ ছিল।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছিল, কিন্তু তা খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই ব্রিটিশ পাউন্ড আবারও দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। আগেও বলা হয়েছে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য এখন আর কোনো প্রযুক্তিগত বা মৌলিক ভিত্তি নেই, তাই মাঝে-মধ্যে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে আমরা প্রত্যাশা করছি। তবে, দীর্ঘমেয়াদে মার্কেটে মূল্যের 'ফ্ল্যাট রেঞ্জে' অবস্থান করার বিষয়টি প্রভাব ফেলছে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা রয়ে গেছে—যেটি এক কথায় পুরোপুরিভাবে অযৌক্তিক পরিস্থিতি প্রতিফলন। মঙ্গলবার নতুন ট্রেডাররা স্বাচ্ছন্দ্যে 1.3102-1.3107 এরিয়ার মধ্যে ট্রেড করতে পারেন। স্মরণ করিয়ে দিই, এটি শুধুমাত্র মূল্যের একটি এরিয়া নয়, বরং দৈনিক টাইমফ্রেমে সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিচের সীমানাও। এখানে একটি উল্লেখযোগ্য বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে যদি মার্কেটে এই পেয়ার ক্রয়ের প্রবণতা না দেখা যায়, তাহলে কোনো উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টও দেখা যাবে না। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590, এবং 1.3643-1.3652। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই আজ মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা বৃদ্ধির আশা করার মতো কিছু নেই। এর অর্থ হলো, এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতাভিত্তিক উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের সম্ভাবনাও কম থাকবে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429371
-
কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৫ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/514265390.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এবার, যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভসের নতুন বক্তৃতার কারণে ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, রিভসের প্রায় প্রতিটি বক্তৃতাই ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন ঘটিয়েছে। প্রাথমিকভাবে, ট্রেডারদের এই ধরনের প্রতিক্রিয়াকে ন্যায্য বলে মনে করা যেতে পারে, কিন্তু গতকাল তা হয়নি। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যেকোনো কারণেই কমেই চলেছে। এমনকি যখন কোনো কারণ থাকে না, তখনও এটির মূল্য কমতে থাকে। অতএব, রিভসের নতুন বক্তৃতা পাউন্ডের আরও দরপতনের আরও একটি অজুহাত। রিভস গতকাল সকালে জানিয়েছেন যে যুক্তরাজ্য সরকারকে আগামী বছরের নতুন বাজেটের ক্ষেত্রে "কঠিন সিদ্ধান্ত" নিতে হবে এবং কিছু কর বৃদ্ধি করা হবে। তবে, গ্রীষ্মকাল থেকেই যুক্তরাজ্যে কর বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই খবরটি নতুন নয়। তবুও, ট্রেডাররা এখন পাউন্ড বিক্রি করার জন্য যেকোনো আনুষ্ঠানিক কারণ ব্যবহার করছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/466809720.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার দুটি কার্যকর সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3102-1.3107 এর এরিয়া ব্রেক করে, যার ফলে মার্কিন সেশনের সময় এই পেয়ারের মূল্য 1.3043-এ নেমে আসে। পরবর্তীতে মূল্য সেই লেভেলও অতিক্রম করে। সুতরাং, সকালে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিল এবং দিনের শেষে, তারা প্রায় ৭০ পিপস লাভ করতে পারত।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। যেকোনো কারণেই হোক, ব্রিটিশ পাউন্ড আবারও দরপতনের শিকার হচ্ছে। যেমনটি আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, দীর্ঘমেয়াদে ডলার দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি। তবে, দীর্ঘমেয়াদে ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা এই পেয়ারের মূল্যকে নিম্নমুখী করে চলেছে - এটি একেবারেই অযৌক্তিক পরিস্থিতি। বুধবার, নতুন ট্রেডাররা স্বাচ্ছন্দ্যে 1.2980-1.2993-এর মধ্যে অথবা 1.3043 লেভেলে ট্রেড করতে পারেন, যেখানে বর্তমানে এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, এমনকি টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকেও, এই নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। On the 5-minute timeframe, trading can currently be done at 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590. বুধবার, যুক্তরাজ্যে কোনও উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ISM উৎপাদন সূচক এবং বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত ADP থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, কিন্তু ট্রেডাররা কি তা পর্যবেক্ষণ করবে?
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429499
-
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৬ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/132331021.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য স্থির ছিল। যদি বুধবার মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকত, তাহলে সেটি অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হতো, কারণ ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী মৌলিক কারণ বিদ্যমান ছিল—যেমন ISM সার্ভিস অ্যাকটিভিটি সূচক এবং ADP থেকে প্রকাশিত শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় ইতিবাচক ছিল। তবে বর্তমানে মার্কেটে পরিলক্ষিত মুভমেন্টের খুবই সামান্য পরিমাণ যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা রয়েছে। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্টগুলোর উপর সামষ্টিক ও মৌলিক অর্থনৈতিক উপাদানের প্রভাব অত্যন্ত কম। বর্তমানে পুরোপুরিভাবে টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলছে। আমরা যে পরিস্থিতি দেখছি তা হলো: সোমবার ও মঙ্গলবার ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে কোনো কারণ ছিল না, তবুও এটির মূল্য বেড়েছে। অন্যদিকে, বুধবার ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট কারণ ছিল, তবুও তা দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং এর ফলে মার্কেটে যেকোনো রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, যা আজকের দিনটিতে এই পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1466916006.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার দিনের মধ্যে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা সবই 1.3043 লেভেলের কাছাকাছি সেল সিগন্যালই নির্দেশ করেছে। এই লেভেল থেকে মূল্য তিনবার বাউন্স করেছে এবং প্রতিবারই প্রায় ২০ পিপস কমে। এর ভিত্তিতে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন, তবে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম ছিল। তবে যেহেতু প্রতি বারে এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস করে সঠিক দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, তাই এই ট্রেডগুলোতে কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি বলেই ধরা যায়। পরে রাতের দিকে এই পেয়ারের মূল্য 1.3043 লেভেল ব্রেক করে গেছে, যা লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন একটি নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। বর্তমানে, খুব সামান্য কারণেই ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটছে। আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি, ডলারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার জন্য এখনো কোনো ভিত্তি নেই; তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই প্রত্যাশা করছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার প্রবণতা সক্রিয় রয়েছে, সেটি এই পেয়ারের মূল্যকে নিম্নমুখী রাখছে, যা একেবারেই অযৌক্তিক একটি পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা রাতের বাই সিগন্যাল কাজে লাগিয়ে লং পজিশন হোল্ড করে রাখতে পারেন অথবা 1.3043 লেভেলের আশপাশে নতুন কোনো বাই সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। এবারের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3102-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3043 লেভেলের নিচে কনসোলিডেট করে, তাহলে শর্ট পজিশনের কথা বিবেচনায় আনা যেতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.2993-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, এবং 1.3574–1.3590। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমানে কারেন্সি মার্কেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন গুলোর প্রতি খুব বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429630
-
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৭ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2036246435.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারেরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে, যা বিশ্লেষণ অনুযায়ী খুব একটা যৌক্তিক নয়। মনে করিয়ে দিই, ব্রিটিশ মুদ্রা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছিল এবং ইউরোর তুলনায় আরও দ্রুতগতিতে পাউন্ডের দরপতন ঘটছিল—প্রায়শই কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই পাউন্ডের দরপতন হয়েছে। কিন্তু গতকাল, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের পর ট্রেডারদের চমকে দিয়ে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে, তবে এই সিদ্ধান্তটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল না। বলা যেতে পারে, সিদ্ধান্তটি "চূড়ান্ত লড়াইয়ের" মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির চারজন সদস্য সুদের হার কমানোর পক্ষে এবং পাঁচজন অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ, মাত্র একটি ভোটের পার্থক্যেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমিয়ে আনতে পারত। এই ঘটনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। তাই, গতকাল পাউন্ডের আরো দরপতনের জন্য যথেষ্ট কারণ ছিল। তবে, যেমনটি আমরা আগেও বলেছি, বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের সাথে কোনো ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে না। এই কারণেই, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে বিদ্যমান নিম্নমুখী প্রবণতার মাঝেও এবং দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন/ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতার মধ্যেও আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখতে পেয়েছি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার সারাদিনে কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের কারণে একটু বিশৃঙ্খলভাবে এই পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে। তবে আগের রাতেই সবচেয়ে কার্যকর একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.3043 লেভেল ব্রেক করার পর, মার্কিন সেশনের সময় মূল্য 1.3102–1.3107 লেভেলের কাছাকাছি চলে আসে, যেখানে প্রফিট নেওয়া সম্ভব ছিল। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিগন্যাল তৈরি হয়: একটি সেল সিগন্যাল (ভুল) এবং একটি বাই সিগন্যাল (সঠিক)।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন একটি নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। আবারও যেকোনো কারণেই হোক পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দরপতন হচ্ছে। যেমনটি আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের ধারাবাহিকভাবে মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে কোনো স্পষ্ট ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা মূলত এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশাই করছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার প্রবণতা মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করে চলেছে, যা একেবারেই অযৌক্তিক। শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্য 1.3102–1.3107 জোন ব্রেক করার পর বাই পজিশন ওপেন করতে পারে, যেখান থেকে মূল্যের 1.3203 লেভেল পর্যন্ত যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি আজ এই পেয়ারের মূল্য সফলভাবে 1.3102–1.3107 এরিয়ার নিচে অবস্থান গ্রহণ করে, তাহলে শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক হবে, এই পেয়ারের মূল্যের 1.3043-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543 এবং 1.3574–1.3590। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। আর যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে—নন-ফার্ম পেরোল ও বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন নয়।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429767
-
GBP/USD: ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১১ নভেম্বর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1990172426.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3152 লেভেল টেস্ট করে। এই পরিস্থিতি এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত করে দেয়। সেই কারণে আমি ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নিইনি। অল্প কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়বার 1.3152 লেভেল টেস্ট করার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যার ফলে পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী বাই অর্ডার কার্যকর করা হয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য ৩০ পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মার্কিন সিনেট "শাটডাউন" বন্ধের উদ্দেশ্যে প্রণীত একটি বিলের অনুমোদন দিয়েছে, তবে এই খবরের প্রভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের তেমন কোনো শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিলটি এখন ভোটাভুটির জন্য বুধবার প্রতিনিধি পরিষদে যাবে। এখন যেকোনো ধরণের ইতিবাচক অর্থনৈতিক খবর ব্রিটিশ পাউন্ডকে সহায়তা করবে। দিনের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা, বর্তমান বেকারত্বের হার এবং গড় মজুরি পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ট্রেডাররা বিশেষভাবে গড় মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিকে নজর দেবেন, কারণ এটির প্রভাব মুদ্রাস্ফীতির ওপর সরাসরি পড়ে। মন্থর কিন্তু স্থিতিশীলভাবে মজুরি বৃদ্ধি চলমান থাকা তা মুদ্রাস্ফীতির চাপকে নির্দেশ করতে পারে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে কঠোর আর্থিক নীতিমালা ধরে রাখতে বাধ্য করতে পারে। এই পরিস্থিতি পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। অপরদিকে, বেকার ভাতার জন্য আবেদন হঠাৎ করে বেড়ে গেলে, বেকারত্বের হার বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গেলে, অথবা গড় মজুরি বৃদ্ধির হার হ্রাস পেলে — সেটি ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই ধরনের ফলাফল ব্রিটিশ অর্থনীতির অবনতির লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হতে পারে এবং ভবিষ্যতে উচ্চ সুদের হার কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2109019843.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3215-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3175-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3215-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3159-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3175 এবং 1.3215-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3159-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3119-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পরে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3175-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3159 এবং 1.3119-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/430094