-
ইউরোর মূল্য কি তলানিতে নেমে গিয়েছে?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/690975292.jpg[/IMG]
সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট ৫ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পেয়ারের বিক্রেতাদের আধিপত্য বিস্তার করার সর্বশেষ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। যাইহোক, এক মাস আগে, প্রফেশনাল ট্রেডারদের শর্ট পজিশনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেট পজিশনের সংখ্যা হ্রাস করেছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে এখন ইউরো ক্রয়ের চেয়ে বেশি বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা এখনও ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী হওয়ার জন্য কোন মৌলিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না, যখন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ একটি কনসলিডেশনের (ফ্ল্যাট মার্কেট) ইঙ্গিত দেয়। সাপ্তাহিক টাইম ফ্রেমে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে এই পেয়ার 1.0448 এবং 1.1274 রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করছে। ফলে এই পেয়ারের মূল্য কার্যত ৭-মাস ধরে অবস্থান করা রেঞ্জ থেকে ২০-মাসের রেঞ্জে স্থানান্তরিত হয়েছে। ফলে, 1.0448-এর দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়ে গেছে, যেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য খুব বেশি দূরে নেই। গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপের লং পজিশনের সংখ্যা 100 বেড়েছে, যেখানে শর্ট পজিশনের সংখ্যা 14,100 কমেছে, যার ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 14,200 বেড়েছে। এখনও ইউরোর বেশ উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more:*https://ifxpr.com/4exV3HT
-
কেন মার্কিন ডলারের নিম্নমুখী প্রবণতা থেমে গেল?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/103511418.jpg[/IMG]
রাজনৈতিক ও মৌলিক পটভূমি সাধারণত সীমিত সময়কাল ধরে প্রভাব বিস্তার করে—এগুলোর প্রভাবের মাত্রা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, বরং প্রভাবের স্থায়িত্ব খুব বেশি হয় না। মার্কেটের ট্রেডাররা রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর প্রতি তীব্র এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেগুলো দ্রুত বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যে প্রতিফলিত হয়। এ ধরনের ঘটনা যত ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে তত দ্রুতই এই প্রভাব ম্লান হয়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। তবে, এক্ষেত্রে, সংবাদটির প্রভাব এত তীব্র ছিল যে এর পরবর্তী প্রভাব প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান ছিল, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রশাসনে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো মার্কেটে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তবে, সেই দুই সপ্তাহ শেষ হয়েছে এবং মার্কেটে এই প্রভাব ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের প্রভাব ফিকে হয়ে গেছে, যার ফলে মার্কিন ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে, যা ডলারের চাহিদার পতনকে প্রতিফলিত করে। ডলারের প্রধান পেয়ারগুলোর মূল্য সেই অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা উল্লেখযোগ্যভাবে ১০০-পয়েন্টের কারেকশন ঘটিয়েছে। এখানে "কারেকশন" শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান মৌলিক পটভূমি এখনও এই পেয়ারের মূল্যের স্থায়ী বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করে না—শুধু ট্রাম্পের আবার খবরের শিরোনামে আসার সম্ভাবনা থাকার জন্য নয় বা ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর অবস্থানের কারণে নয়, বরং ইউরোর সম্ভাব্য দুর্বলতার কারণে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর বিজয়ের পরে, ডিসেম্বরের সভায় ইসিবির সুদের হার ৫০-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর সম্ভাবনা কমে গিয়েছিল, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকির দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছিল। তবে, এখন ট্রেডারদের দৃষ্টি মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগ থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবুও, সুদের হার ৫০-বেসিস-পয়েন্ট কমানোর সম্ভাবনা এখনও আলোচনায় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইসিবির সদস্য গ্যাব্রিয়েল মাখলুফ (আয়ারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর) সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন যে এমন একটি পদক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য "জোরালো কারণের" প্রয়োজন হবে। আমার মতে, PMI সূচকের দুর্বল ফলাফল এখানে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই প্রতিবেদন এই শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রকাশিত হবে, যার মাত্র তিন সপ্তাহ পরে ইসিবির ডিসেম্বরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনটির ফলাফল নেতিবাচক হয়, তাহলে ইসিবির সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে, যা ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের ওপরও ট্রেডারদের বিশেষ নজর থাকবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বরে জার্মানির উৎপাদন সংক্রান্ত PMI সূচক সামান্য নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা অক্টোবরের স্তরের কাছাকাছি অবস্থান করবে (অক্টোবরে ৪৩.১ এর বিপরীতে ৪৩.০)। দেশটির পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচক ৫০-পয়েন্টের ওপরে সামান্য বৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে (আগের মাসে ৫১.৬ বিপরীতে ৫১.৮ হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে)। এটি সাধারণ পূর্বাভাস, তবে সব বিশ্লেষক এ ব্যাপারে একমত নন। উদাহরণস্বরূপ, ING-এর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে জার্মানির প্রতিবেদনের ফলাফল এই পূর্বাভাসের চেয়ে কম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে, ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে নয় বরং ইউরোর দুর্বলতার কারণে EUR/USD-এর দরপতন ঘটবে।
এদিকে, ফেডারেল রিজার্ভের ডিসেম্বরে বৈঠকে সুদের হার হ্রাসে বিরতির বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। CME FedWatch টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বরে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা ৪০%-এ পৌঁছেছে। কিছু মুদ্রা কৌশলবিদ ইতোমধ্যে নিশ্চিত যে ফেডারেল রিজার্ভ পরবর্তী বৈঠকে সুদের হারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে। উদাহরণস্বরূপ, Nomura-র বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে ফেড অন্তত মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (এবং তারা মার্চ এবং জুনে মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছেন)। তবে আরেকটি পূর্বাভাস রয়েছে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা ডিসেম্বরে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছেন, যার পরে মার্চ এবং জুনে আরও দুইবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে সুদের হার কমানো হবে বলে তারা ধারণা করছেন, তারপর ফেড ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণ করবে। যদিও মার্কেটে ফেডের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে, একটি বিষয় স্পষ্ট: ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করেন যে ফেড সুদের হার হ্রাসে বিরতি নেবে বা সুদের হার হ্রাস বন্ধ করবে, শুধুমাত্র এই সিদ্ধান্তের সময়কাল নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক চলমান রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কি EUR/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বজায় থাকবে? আমার মতে, না। তাই এখনই প্রবণতার পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা করাটা ঠিক হবে না। একই সময়ে, EUR/USD-এর মূল্যের 1.1000 এর লেভেলের ব্রেকের জন্য কোনো মৌলিক প্রভাবকও নেই। অতিরিক্ত অনুঘটক প্রয়োজন—যেমন নিশ্চিতভাবে ইসিবির সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্টের হ্রাস (যা PMI প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফলের কারণে হতে পারে) বা ফেডের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি। এই সপ্তাহে ফেডের নীতিনির্ধারকরা EUR/USD পেয়ারের বিক্রেতাদের জন্য সমর্থন যোগাতে পারেন, যেখানে মিশেল বোম্যানের বক্তব্যের (২০ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য) ওপর বিশেষ নজর থাকবে, যিনি সেপ্টেম্বরে সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্টের হ্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু অক্টোবরে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্টের হ্রাসের পক্ষে সমর্থন যুগিয়েছিলেন। তার মন্তব্য EUR/USD পেয়ারের মূল্যের আরও বেশি অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। EUR/USD-এর ট্রেডিং কৌশল যদি বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.0560 এর সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করিয়ে নিচের দিকে নিয়ে যেতে পারে (H4 টাইমফ্রেমের মধ্যবর্তী বোলিঞ্জার ব্যান্ড লাইনে)তাহলে EUR/USD-এর শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ইনস্ট্রুমেন্টটির মূল্য মধ্যবর্তী এবং নিম্ন বোলিঞ্জার ব্যান্ড লাইনের মধ্যে এবং সমস্ত ইচিমোকু সূচক লাইনের নিচে নেমে যাবে, একটি বিয়ারিশ "লাইন প্যারেড" সিগন্যাল গঠন করবে। নিম্নমুখী মুভমেন্টের ক্ষেত্রে মূল্যের প্রধান লক্ষ্য হল 1.0500 (চার ঘণ্টার চার্টে বোলিঞ্জার ব্যান্ডের নিম্ন লাইন)। 1.0400 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা এখন ঝুঁকিপূর্ণ কারণ অস্পষ্ট মৌলিক পটভূমির কারণে বিক্রেতাদের জন্য এই পেয়ারের মূল্যকে 1.0500 লেভেলের নিচে রাখা কঠিন হবে।
Read more:*https://ifxpr.com/3Zg4OX5
-
যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু পাউন্ড চাপের মধ্যে রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/826362164.jpg[/IMG]
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছিল, কিন্তু মূল্য 1.27 রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন পাউন্ডকে কেবল সাময়িকভাবে সমর্থন প্রদান করেছিল, যদিও এই প্রতিবেদনের প্রায় সব উপাদানই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু ডলার আবারও শক্তিশালী হয়েছে—তাই এই পেয়ারের মূল্য 1.2713 পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরে 1.26 রেঞ্জে ফিরে এসেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, GBP/USD পেয়ারের ট্রেডাররা টানা দুই দিন পাউন্ডের জন্য ইতিবাচক মৌলিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছেন। মঙ্গলবার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তারা মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বুধবারের প্রতিবেদনে অক্টোবর মাসে মুদ্রাস্ফীতির চাপ আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্বেগের যথার্থতা প্রমাণ করছে। তবে, তা সত্ত্বেও এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও মূল্য 1.27 রেঞ্জে পৌঁছেছিল।
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। প্রথমত, এই প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল ট্রেডারদের চমকে দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্যের মাসিক কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 0.6%-এ পৌঁছেছে (প্রত্যাশা ছিল 0.4%), যা মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার। বার্ষিক ভিত্তিতে এই সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 2.3%-এ পৌঁছেছে (প্রত্যাশা ছিল 2.2%)। সূচকটির ফলাফল ইতিবাচক ছিল, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে বেশ কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে (এপ্রিলের পর থেকে অক্টোবর মাসে সবচেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে)। কোর CPI বা মূল ভোক্তা মূল্য সূচক, যা খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য বাদ দিয়ে বিবেচনা করা হয়, পাউন্ডকে সমর্থন যুগিয়েছিল, এই সূচকটি বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে (পূর্বাভাস ছিল 3.1%)। বেতন সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রিটেইল প্রাইস ইনডেক্স বা খুচরা বিক্রয় সূচকের (RPI) ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকলেও এটি এখনও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করেছে। মাসিক ভিত্তিতে, RPI 0.5%-এর ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি অক্টোবর মাসে বেড়ে 3.4%-এ পৌঁছেছে, যা সেপ্টেম্বরে 2.7% ছিল। মাসিক প্রডিউসার পারচেজ প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক ক্রয় মূল্য সূচক এই বছরের এপ্রিলের পর থেকে প্রথমবারের মতো ঋণাত্নক মান থেকে বেড়ে 0.1%-এ পৌঁছেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি -2.3%-এ পৌঁছেছে (-3.0%-এ পতনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল)। প্রডিউসার সেলিং প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক বিক্রয় মূল্য সূচকও ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে: মাসিক ভিত্তিতে সূচক 0.0% (প্রত্যাশা ছিল -0.1%) এবং বার্ষিক ভিত্তিতে সূচকটি -0.8% (প্রত্যাশা ছিল -1.0%) ছিল। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল এটি নিশ্চিত করে যে আগামী বৈঠকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE) সম্ভবত বর্তমান মুদ্রানীতি বজায় রাখবে। সম্প্রতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের (ক্লেয়ার লম্বারডেলি, ক্যাথরিন ম্যান, অ্যালান টেলর) বক্তব্যে মাঝারিভাবে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তারা মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তবে আসন্ন বৈঠকে সুদের হার বৃদ্ধির কোনো সংকেত দেয়নি। সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে বিরতি দেওয়ার সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করেছে, কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রাস্ফীতির স্থায়ীত্বের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করছে। যুক্তরাজ্যে অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির প্রতিবেদনটি এই বক্তব্যগুলোর আলোকে দেখা উচিত: এতে কোনো সন্দেহ নেই যে যদি প্রতিবেদনটি সংসদীয় শুনানির আগের দিন প্রকাশিত হতো, তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তারা আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতো। তবে এখানে সহজেই বিষয়টি অনুধাবন করা যায় এবং এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে বিরতি দেবে।
Read more:*https://ifxpr.com/3Z2OyqS
-
ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন কি থামতে পারে?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/837511415.jpg[/IMG]
শুক্রবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। চার্টে যা দেখা যাচ্ছে যে এটি ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য তুলনামূলকভাবে আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি। উল্লেখযোগ্য যে, অস্থিরতার মাত্রার কারণে পাউন্ডের দরপতন তীব্রতা ইউরোর তুলনায় কম। গত দুই মাসে, ইউরোর মূল্য ৭০০–৮০০ পিপস হ্রাস পেয়েছে, যখন পাউন্ডের মূল্য ৮০০–৯০০ পিপস কমেছে। তবে সাধারণত, পাউন্ডের মূল্যের অস্থিরতা ইউরোর চেয়ে প্রায় ১.৫ গুণ বেশি। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, এই সময়ের মধ্যে পাউন্ডের মূল্য ১,১০০–১,২০০ পিপস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারত। যাইহোক, মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের ক্ষেত্রে পাউন্ড তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিরোধ দেখাচ্ছে। এই প্রতিরোধের পেছনে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (BoE) আর্থিক নীতিমালা আংশিকভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, যা পাউন্ডের দরপতন কিছুটা ধীর করছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল সুদের হার কমাতে তাড়াহুড়া করছে না। তবে এটি প্রায় নিশ্চিত যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ভবিষ্যতে সুদের হার কমানো অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি গত দুই বছর ধরে স্থবির অবস্থায় রয়েছে, যেখানে উচ্চ সুদের হার বজায় রাখা টেকসই কোন পদক্ষেপ নয়। সুতরাং, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সুদের হার কমানো প্রয়োজন। এর মধ্যে মার্কেটের ট্রেডাররা গত দুই বছর ধরে কেবল ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর বিষয়টি মূল্যায়ন করে এসেছে। ফলে, পাউন্ডের আরও উল্লেখযোগ্য দরপতনের সুযোগ রয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের ক্যালেন্ডারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা বক্তব্য প্রদান অনুষ্ঠান নেই। তবে এর অর্থ এই নয় যে পাউন্ডের দরপতন থেমে যাবে। গত সপ্তাহ জুড়ে পাউন্ডের দরপতনের জন্য খুব বেশি কারণ ছিল না, তবুও সামষ্টিক বা মৌলিক পটভূমির কোন প্রভাব না থাকা সত্তেও পাউন্ডের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে PCE প্রাইস ইনডেক্স, তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান, এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়। সাধারণত, মার্কেটের ট্রেডাররা জিডিপি প্রতিবেদনের প্রতি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে না। যদিও ফেডের জন্য PCE ইনডেক্স গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটির ফলাফল পূর্বাভাসের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন না হলে মার্কেটে কম প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এদিকে, ডিউরেবল গুডস অর্ডার্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল আকর্ষণীয় হলেও এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি বৈশ্বিক কারণ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এবং সাধারণভাবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমি এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। গত দুই মাসে, ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের মধ্যেও ডলারের মূল্য বেড়েছে—যা একটি পরস্পরবিরোধী ঘটনা। তবে আমরা আগেও ব্যাখ্যা করেছি যে, ফেডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশায় দুই বছর ধরে ডলারের হ্রাস পেয়েছিল। সুতরাং, নীতিমালার নমনীয়করণের প্রভাবে বেশিরভাগ অংশ ইতোমধ্যেই মূল্যায়িত হয়েছে, এবং মার্কেটে এখন ডলারের ন্যায্য মূল্যের সমন্বয় করা হচ্ছে এবং পূর্বে উপেক্ষিত বিষয়গুলো আমলে নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ, ব্রিটিশ অর্থনীতির দুর্বলতা, এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন। সুতরাং, আমরা মনে করি উল্লেখযোগ্য বাধা ছাড়াই পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 86 পিপস, যা "মাঝারি" হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সোমবার, ২৫ নভেম্বর, আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2444 এবং 1.2616 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিম্নমুখী, যা স্থায়ীভাবে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা নির্দেশ করে। CCI সূচকটি একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স তৈরি করেছে এবং কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের সম্ভাবনা এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1: 1.2451 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1: 1.2573 R2: 1.2695 R3: 1.2817 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা এখনও মনে করছি যে লং পজিশন থেকে খুব বেশি লাভের সম্ভাবনা নেই, কারণ আমরা মনে করি পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাব্য সমস্ত কারণ ইতোমধ্যে একাধিকবার মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করেছে। যারা "শুধুমাত্র টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের" ভিত্তিতে ট্রেড করেন, তারা লং পজিশন ওপেন করতে পারেন, তবে সেসময় এই পেয়ারের মূল্যকে মুভিং অ্যাভারেজের উপরে থাকতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2817 এবং 1.2878। তবে, শর্ট পজিশন আরও বেশি লাভজনক হতে পারে, এবং মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকতে হবে, এক্ষেত্রে মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.2451 এর লেভেল।
Read more: https://ifxpr.com/4fZdM0c
-
পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও তা সফল হয়নি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1900694544.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ সোমবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ার কারেকশনের চেষ্টা করেছিল, তবে মূল্য ক্রিটিকাল লাইন বা ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে স্থির হতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। বাস্তবে, এটি ইতোমধ্যেই পুনরায় শুরু হয়েছে, কারণ সোমবার দিনে দ্বিতীয়ার্ধে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের তুলনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন হতে দেখা গেছে। ফলে, সর্বশেষ কারেকশন সঠিকভাবে শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে। এটি অবাক হওয়ার মতো কোন বিষয় নয়, কারণ আমরা এখনো মনে করি যে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনই যুক্তিসঙ্গত। সম্প্রতি এমন কোনো খবর বা ইভেন্ট ছিল না যা বৈশ্বিক মৌলিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যদি তাই হয়, তবে পাউন্ডের মূল্য হঠাৎ করে কীসের ভিত্তিতে বাড়তে শুরু করবে? আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2429–1.2445 এরিয়া। যদি এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেল, কিজুন-সেন লাইন এবং 1.2605–1.2620 এর উপরে স্থির হয়, তাহলে আমরা কিছুটা শক্তিশালী কারেকশনের আলোচনা করতে পারি। তবে, আপাতত এটি ঘটছে না। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশিত হয়নি, যার ফলে দিনজুড়ে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো তেমন কিছু ছিল না। তবুও, সোমবারের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো বেশ আকর্ষণীয় ছিল। মূল্য 1.2599–1.2620 এরিয়া থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা উভয় ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ প্রদান করেছে। যদিও মূল্য উভয় ক্ষেত্রেই নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.2516-এ পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে আজও এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ সব প্রধান সূচক এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করছে। সম্ভাব্য লোকসান থেকে সুরক্ষা পেতে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা যেতে পারে।
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট অত্যন্ত অস্থির হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন প্রতিফলিত করে, প্রায়ই পরস্পরকে অতিক্রম করছে এবং শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। লাল লাইনটি শূন্যের নিচে থাকা অবস্থায় এই পেয়ারের মূল্যের সর্বশেষ নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে লাল লাইনটি শূন্যের উপরে রয়েছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য গুরুত্বপূর্ণ 1.3154 এর লেভেল অতিক্রম করেছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 18,300টি বাই কন্ট্রাক্ট এবং 2,500টি সেল কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে, যার সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নেট পজিশনের সংখ্যা 15,800 হ্রাস পেয়েছে। মৌলিক পটভূমি এখনও দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড ক্রয়ের জন্য কোন ভিত্তি প্রদান করছে না, এবং বিশ্বব্যাপী পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে একটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন রয়েছে, যার মানে দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা এখনও নিশ্চিত করা যায় না। যাইহোক, পাউন্ড এই ট্রেন্ডলাইনটি টেস্ট করার সময়, মূল্য এখনও এটি ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে পারেনি। দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের একটি রিবাউন্ড এবং কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আমরা আশা করি যে মূক্ত এই ট্রেন্ডলাইনটি অতিক্রম করবে, যার ফলে আরও দরপতন ঘটতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4fAxeRb
-
গ্যারি গেন্সলারকে বরখাস্তের প্রতিশ্রুতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের!
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1913556073.jpg[/IMG]
জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব শুরু হবে। গ্যারি গেন্সলার দীর্ঘদিন ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে জোরালোভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন। তার কার্যক্রম ক্রিপ্টো কমিউনিটিতে সমালোচনা ঝড় তুলে দিয়েছিল ও এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। বিশেষত তিনি যখন কয়েনবেস, বাইন্যান্স এবং ক্র্যাকেন-এর মতো বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তখন তার বিরুদ্ধে "নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বলপ্রয়োগ" এর অভিযোগ উঠেছিল। গেন্সলার ১৭ এপ্রিল, ২০২১-এ SEC-এ তার মেয়াদ শুরু করেছিলেন, যা আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে। তিনি ট্রেজারি বন্ড মার্কেটে সেন্ট্রালাইজড ক্লিয়ারিং কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং নির্বাহী ক্ষতিপূরণ ও কর্মক্ষমতার মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন কার্যকর করেছেন। এছাড়া, তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য তার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তবে, তার মতে অধিকাংশ ক্রিপ্টোকারেন্সি সিকিউরিটিজ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত, ফলে তিনি কমোডিটি ফিউচারস ট্রেডিং কমিশন (CFTC)-এর মতো অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থানে পড়ে যান। তার পদত্যাগের ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ের সঙ্গে মিলে যায়। একই সময়ে, হোয়াইট হাউসে ক্রিপ্টোকারেন্সি-সংক্রান্ত একটি নতুন পদ সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পদটির প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করতে এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচন করতে ট্রাম্পের টিম ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করছে। যদি ট্রাম্প এই এজেন্সি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যান, তবে এটি হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি-ভিত্তিক প্রথম হোয়াইট হাউস পজিশন। এই নতুন পদের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কয়েনবেসের সিইও ব্রায়ান আর্মস্ট্রং, কয়েনবেস এবং বাইন্যান্সের সাবেক নির্বাহী ব্রায়ান ব্রুকস এবং CFTC এর সাবেক চেয়ারম্যান ক্রিস জিয়ানকার্লো, যিনি কমিউনিটিতে "ক্রিপ্টো ড্যাড" নামে পরিচিত। ম্যানেজমেন্টে এই ধরনের পরিবর্তন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নীতিমালা ঘিরে আলোচনার কারণে বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে এটির মূল্য ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে।
Read more: https://ifxpr.com/3CPzhSX
-
বাংলাদেশ ফরেক্স ফোরামে সদস্যদের কি আর বোনাস দেয়া হবে না???
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1115946182.jpg[/IMG]
ISM সূচক, পাওয়েলের বক্তব্য এবং নভেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের সাথে ডিসেম্বরের গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহের সূচনা
এবারের ডিসেম্বরকে দুটি অসম অংশে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথম অংশে (প্রথম তিন সপ্তাহ) বৈশ্বিক ফরেক্স মার্কেটে উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কারণ ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ মাসিক প্রতিবেদন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বছরের শেষ বৈঠকের ফলাফল প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে। দ্বিতীয় অংশ হলো ছুটির আগে এবং পরের সময়কাল। EUR/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, সাধারণত ফেডারেল রিজার্ভ বছরের শেষ সিদ্ধান্ত প্রদান করে, যা ডিসেম্বরে (এই বছর ১৮ তারিখে) অনুষ্ঠিত হবে। এর কয়েক দিন আগে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে (এই বছর ১২ ডিসেম্বর ইসিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে)। এর মধ্যে, নভেম্বর এবং অক্টোবর মাসের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বৈঠকে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রেক্ষাপটে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সোমবার আজ ইউরোপীয় সেশনের সময় নভেম্বরের PMI সূচকের চূড়ান্ত অনুমান প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চূড়ান্ত অনুমানের ফলাফল প্রাথমিক পরিসংখ্যানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। এর আগে এই সূচকের প্রাথমিক অনুমান ইউরোর উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছিল, কারণ এই সূচকের বেশিরভাগই উপাদানই প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যা ইউরোপীয় ব্যবসায়িক খাতে বাড়তে থাকা নিরাশার প্রতিফলন ঘটায়। যদি সূচকটির ফলাফল নিম্নমুখী হয়, তবে ইউরো আরও চাপের মুখে পড়তে পারে। তবে, EUR/USD-এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি মার্কিন সেশনে প্রকাশিত হবে এবং সেটি নভেম্বরের মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স। এপ্রিল থেকে এই সূচকটি সংকোচন অঞ্চলে রয়েছে এবং অক্টোবর মাসে এটি 46.5-এ নেমে আসে। নভেম্বরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি সামান্য পুনরুদ্ধার করে 47.7-এ পৌঁছানোর কথা রয়েছে। যদি এই সূচকটি অপ্রত্যাশিতভাবে ৫০ পয়েন্টের সীমা অতিক্রম করে সম্প্রসারণ অঞ্চলে প্রবেশ করে, তবে এটি ডলারকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করতে পারে, যদিও এমনটি ঘটার সম্ভাবনা কম। যদি সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, তবে মার্কেটে মৃদু প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, তবে পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফলের যেকোনো ভিন্নতা মার্কেটে উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, সোমবার ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার বক্তব্য দেবেন। তিনি সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে বক্তব্য দিয়েছিলেন, যখন তিনি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল নেতিবাচক হলে আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় এবং বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির আলোকে তার অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার মঙ্গলবাঃর মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে ট্রেডারদের মনোযোগ থাকবে, কারণ JOLTS জব ওপেনিংস রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদন নির্দিষ্ট মাসের শেষে বেসরকারি খাতে চাকরির শূন্যপদগুলোর সংখ্যা প্রতিফলিত করে, যা মৌসুমীভিত্তিক সমন্বয় করা হয়েছে। জুন এবং জুলাই মাসে এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিম্নমুখী হওয়ার পর, সূচকটি আগস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে সেপ্টেম্বরে (7.443 মিলিয়ন) আবারও হ্রাস পায়। অক্টোবরের জন্য পূর্বাভাস রয়েছে 7.490 মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তবে এটি মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তাদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক ফেড প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামস, শিকাগো ফেড প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি, এবং ফেড গভর্নর অ্যাড্রিয়ানা কুগলারের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বুধবার মার্কিন সেশন শুরু হবে ADP এমপ্লয়মেন্ট সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনা দিয়ে, যা মার্কিন শ্রমবাজারের সম্ভাব্য পরিবর্তনের একটি প্রাথমিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ এটি অফিসিয়াল ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশের দুই দিন আগে প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের প্রাথমিক পূর্বাভাস ডলারের জন্য প্রতিকূল, যেখানে বেসরকারি খাতে মাত্র 166,000 নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, নভেম্বরের ISM সার্ভিসেস ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞরা অক্টোবরের এই সূচকের 55.5 (পূর্বের মান: 56.0) এর কাছাকাছি একটি ফলাফল প্রত্যাশা করছেন। ডলারের ক্রেতাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে এই সূচকটি যাতে ৫০ পয়েন্টের উপরে থাকে, এছাড়া ডলার ক্রয় করা উচিত হবে না। এছাড়া বুধবার ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল-এরও বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বরের শুরুর দিকে তার মন্তব্য EUR/USD-এর মূল্যের উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল, যখন তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ফেড সুদের হার কমানোর ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবে না। এরপর থেকে, CME FedWatch অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ২৯%-এ নেমে এসেছে। পাওয়েলের মন্তব্য, বিশেষত কোর PCE ইনডেক্স (যা ২.৮%-এ পৌঁছেছে) সম্পর্কে তার মন্তব্য মার্কেট সেন্টিমেন্টকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে ৪.২% বৃদ্ধির পর, অক্টোবর মাসে এটি ২.১% হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত সপ্তাহে বেকার ভাতার জন্য আবেদনের সংখ্যা ছিল 213,000, যা মে মাসের পর সর্বনিম্ন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে 215,000-এ পৌঁছাতে পারে। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল তেমন গুরুত্ব না দেওয়া হতে পারে, কারণ ট্রেডাররা শুক্রবারের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি বেশি মনোযোগী।
শুক্রবার শুক্রবারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে নভেম্বরের ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন। গত মাসে মার্কিন শ্রমবাজার মাত্র ১২,০০০ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ট্রেডারদের চমকে দিয়েছিল। তবে, এই সংখ্যা ধর্মঘট এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এসেছিল। নভেম্বরে এমন কোনো ব্যাঘাত না থাকায়, ট্রেডাররা আরও সঠিক প্রতিবেদনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বেকারত্বের হার সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪.২%-এ পৌঁছাতে পারে, যা গত দুই মাস ধরে ৪.১%-এ ছিল। ২০৫,০০০ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০০,০০০ এর উপরের যেকোনো সংখ্যা ডলারকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করবে। মজুরি বৃদ্ধির সূচক, যা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপে সহায়ক সূচক, ৪.০%-এ স্থির থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ডলারের ক্রেতাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই সূচকটি যাতে ৪%-এর নিচে না নামে।
উপসংহার এই সপ্তাহে বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা যাবে বলে মনে হচ্ছে। যদি ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক হয়, নভেম্বর ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল পরিলক্ষিত হয়, এবং পাওয়েল সতর্ক অবস্থান বজায় রাখেন, তবে মার্কেটে ডিসেম্বরে সুদের হার হ্রাসে বিরতির বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যকে পুনরায় 1.04 রেঞ্জে নামিয়ে আনতে পারে। বিপরীতে, মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0630 লেভেলের উপরে চলে যেতে পারে, যা ডেইলি চার্টে মিডল বোলিঙ্গার ব্যান্ড এবং কিজুন-সেন লাইন-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
Read more: https://ifxpr.com/3Zde5O9
-
ডলারের জন্য সপ্তাহটি ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2000564361.jpg[/IMG]
সোমবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে কনসলিডেট করেছে। মার্কিন ডলারের জন্য সপ্তাহটি ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে। কোনো স্পষ্ট অনুঘটক ছাড়াই মার্কিন মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, যদিও রাতের বেলায় তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত ছিল না। আমাদের মতে, এই গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহের শুরুতেই মার্কেটের ট্রেডাররা দেখিয়েছে যে তারা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে প্রস্তুত। তবে, এ ব্যাপারে ট্রেডারদের বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। যদি এই সপ্তাহের বেশিরভাগ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল হয়, তাহলে মার্কেট সেন্টিমেন্ট (অন্তত স্বল্পমেয়াদে) দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। এ সপ্তাহের মাত্র এক দিন পার হয়েছে, তাই কোন উপসংহার টানার সময় এখনো আসেনি। মূলত, আমরা যা উল্লেখ করেছিলাম তার সঙ্গে যোগ করার মতো কিছু নেই। আমরা এখনো মনে করি যে গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল। যদি তাই হয়, তাহলে এই সপ্তাহে পুনরায় এই পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে, যা ইউরোর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। ইউরোর মূল্য এখনো সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমের হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকার সুযোগ পেতে পারে, বিশেষ করে 1.0450-এর নিচে দরপতন এড়াতে পারলে। তবে, মূল্য এই লেভেল ব্রেক করলে, পেয়ারটির মূল্য প্রায় নিশ্চিতভাবেই 1.00–1.02 রেঞ্জের দিকে চলে যাবে। এই রেঞ্জের মধ্যে 16 বছর ধরে চলমান নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকা যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের 0.9500-এর সর্বশেষ নিম্ন লেভেলের পুনরায় টেস্ট হওয়ার প্রত্যাশা করতে পারি। বর্তমান প্রযুক্তিগত চিত্র শুধুমাত্র ইউরোর দরপতনের দিকেই ইঙ্গিত করে না, বরং উল্লেখযোগ্যভাবে বড় দরপতনের সম্ভাবনাও নির্দেশ করছে। অবশ্য, এই সপ্তাহে ইউরোর পরিবর্তে ডলার দুর্বল হতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মার্কিন শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে, তবে আমরা মনে করি এই প্রতিবেদনগুলো এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফেডারেল রিজার্ভ এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব নিয়ে বেশি চিন্তিত। গত কয়েক মাসে অনেকেই অনুমান করেছেন যে ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বেশি বাড়তে পারে। এটি ফেডকে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য করতে পারে, অথবা আগের প্রত্যাশার তুলনায় কম আক্রমণাত্নকভাবে সুদের হার কমাতে পারে। প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের প্রত্যাশিত মুদ্রানীতির নমনীয়করণের বিষয়টি মূল্যায়ন করেছে, যেখানে ২০২৪-এর জন্য 0.25% হারে ৬–৭ বার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করা হয়েছিল। তবে, এখন এটি স্পষ্ট যে ৬–৭ বার সুদের হার কমানো হবে না এবং অনেক স্বল্প মাত্রায় সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। উপরন্তু, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের বিষয়টি এখনও পুরোপুরিভাবে মূল্যায়িত হয়নি, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অর্থনীতির তুলনামূলক অবস্থাও যথাযথভাবে বিবেচিত হয়নি। এখন যখন ইসিবি তাদের অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থার কথা স্বীকার করেছে, তখন মার্কেটের ট্রেডাররা গত দুই বছরে ইউরোজোনের GDP প্রবৃদ্ধির অভাবকে "আমলে" নিয়েছে। আমরা মনে করি, এখনও ডলারের আরও মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত, গত পাঁচ দিনে ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 91 পিপস, যা "গড়পরতা" হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মঙ্গলবার, আমরা 1.0402 এবং 1.0584 লেভেলের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখতে পারি। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। CCI সূচকটি কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সূচনা করেছে।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল S1 – 1.0498 S2 – 1.0376 S3 – 1.0254 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল R1 – 1.0620 R2 – 1.0742 R3 – 1.0864 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: পুনরায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, আমরা নিয়মিতভাবে মধ্য-মেয়াদে ইউরোর দরপতনের প্রত্যাশা তুলে ধরেছি এবং সামগ্রিক বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছি। খুব সম্ভবত, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ফেডের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর সমস্ত বা প্রায় সমস্ত সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে ফেলেছে। যদি তাই হয়, তাহলে মধ্য-মেয়াদে ডলারের দরপতনের কোনো মৌলিক কারণ নেই—যদিও পূর্বেও খুব বেশি কারণ ছিল না। যদি মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকে, তবে শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0376 এবং 1.0254। যারা "শুধুমাত্র" টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তারা এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের উপরে থাকলে 1.0620 এবং 1.0695 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। তবে, বর্তমানে আমরা লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না।
Read more: https://ifxpr.com/49iml44
-
নতুন করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1473286204.jpg[/IMG]
আমরা সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচনা করেছি, যা নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সেদিন, ফেডারেল রিজার্ভ প্রথমবারের মতো তাদের মূল সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা ট্রেডারদের সংকেত দেয় যে সুদের হার কমানোর চক্র শুরু হয়েছে। এই সংকেত ট্রেডারদের একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে ভবিষ্যতে কখন বা কতটুকু হার কমানো হবে তা নিয়ে জল্পনার আর প্রয়োজন নেই। এটি ঘটছিল, এবং এই সংকেত বিনিয়োগকারীদের তাদের আগের পজিশন থেকে মুনাফা গ্রহণ করতে প্ররোচিত করেছিল। সুদের হার কমানোর এই চক্র প্রায় দুই বছর ধরে চলেছে। মনে করিয়ে দিয়ে চাই যে ২০২২ সালের শরতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেতে শুরু করে, যখন সুদের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই সময় থেকে, মার্কেট-মেকাররা আক্রমণাত্মকভাবে ইউরোর মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করছিল এবং ডলার বিক্রি করছিল। স্বাভাবিকভাবেই, এই মুভমেন্টটি অযৌক্তিক ছিল, কারণ তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদের হার কমানোর কথা ভাবছিল। বর্তমানে, ইসিবি ফেডের তুলনায় আরও দ্রুত সুদের হার কমাচ্ছে। সুতরাং, ইউরোর মূল্য দুই বছর ধরে অযৌক্তিকভাবে বাড়ছিল, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত ফেডের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি নমনীয়করণের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল। আমরা এখনও মনে করি ইউরো উল্লেখযোগ্যভাবে অতিমূল্যায়িত রয়ে গেছে। এছাড়াও, ১৬ বছরের বিশ্বব্যাপী নিম্নমুখী প্রবণতা এই সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করে যে ইউরোর আরও দরপতন ছাড়া খুব কমই অন্য কোনো বিকল্প রয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচকের শক্তিশালী ফলাফল ডলারকে অতিরিক্ত সমর্থন প্রদান করেছে। গত দুই মাসের ইউরোর দরপতনের বিপরীতে সামগ্রিক কারেকশনের মাত্রা এখনও খুবই সীমিত এবং এটি দীর্ঘায়িত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাত্ত্বিকভাবে, যেকোনো মুহূর্তে পুনরায় ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। আমরা এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের 1.00–1.02 রেঞ্জে পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছি। এই সপ্তাহে, সবকিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে, যেগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক হতে পারে। তা সত্ত্বেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট কারেকশন ছাড়া আর কিছুই নয়। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতা হচ্ছে ৭৬ পিপস, যা "গড়পড়তা" হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা আশা করছি বুধবার এই পেয়ারের মূল্য 1.0457 এবং 1.0609 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিচের দিকে নির্দেশ করছে, যা বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতাকে স্থিতিশীল রাখছে। CCI সূচকটি বেশ কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যার ফলে একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে, যা এখনও চলমান রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/49oClSo
-
-
পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানো হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/873133288.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যদিও দিনের শেষ নাগাদ মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছে। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখন এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা কারেকটিভ মুভমেন্টের অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মূল্য এই ট্রেন্ডলাইনের নিচে স্থির না হয়, দুই-দেড় মাস আগে শুরু হওয়া বিয়ারিশ প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়া নিয়ে আলোচনা করার খুব বেশি অর্থ নেই, কারণ এটি অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি। এর কারণগুলো আমরা পূর্বেও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি এবং সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট প্রতিবেদন বা ইভেন্ট মাঝে মাঝে পাউন্ডকে সমর্থন দিতে পারে এবং কারেকটিভ মুভমেন্টের সূচনা ঘটাতে পারে, মোটাদাগে এই পেয়ারের জন্য মৌলিক প্রেক্ষাপট অপরিবর্তিতভাবে নেতিবাচক রয়ে গেছে। শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তবে, গত সপ্তাহে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বেশিরভাগ সময় উর্ধ্বমুখী হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল এতটা দুর্বল ছিল না যে এটি পুরো সপ্তাহব্যাপী ডলারের দরপতনকে বৈধতা দিতে পারে। সুতরাং, আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি মূলত একটি টেকনিক্যাল কারেকশন ছিল, যা নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ঘটেছে। শুক্রবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন প্রকাশের সময়সূচির সাথে মিলে যাওয়ায় এটি কার্যকর করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রকাশিত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফলের কারণে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2796–1.2816 লেভেল থেকে পুনরায় বাউন্স করবে কিনা তা অনুমান করা কঠিন ছিল। তবুও, মূল্য উক্ত লেভেল থেকে বাউন্স করেছে এবং পরবর্তী বড় দরপতন দেখিয়েছে, যা এই সপ্তাহেও চলমান থাকতে পারে। এমনকি যদি শুক্রবার এই ট্রেড ক্লোজ করা হয়ে থাকে, তাহলে এই ট্রেড থেকে প্রায় ৫০ পিপস লাভ করা সম্ভব ছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/96896525.jpg[/IMG]
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্টস অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ পাউন্ডের কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন প্রতিফলিত করে, প্রায়ই পরস্পরকে অতিক্রম করছে এবং শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 এর লেভেল ব্রেক করেছে এবং পরবর্তীতে ট্রেন্ডলাইনে পৌঁছেছে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা দেখা যাবে, এবং ট্রেন্ডলাইনের নিচে আরও কনসলিডেশনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুসারে, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 400টি বাই কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,900টি সেল কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে৷ ফলস্বরূপ, সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা 2,300 কন্ট্রাক্ট কমেছে। মৌলিক পটভূমি অনুযায়ী মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্রয়ের সম্ভাবনা নেই। পাউন্ডের মূল্যের ব্যাপক মাত্রায় নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রকৃত সুযোগ রয়েছে। যদিও ট্রেন্ডলাইনটি এইভাবে আরও দরপতন রোধ করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্য এটি অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলে সেটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দিকে নিয়ে যেতে পারে, ফলে পাউন্ডের মূল্য 1.3500 এর উপরে চলে যেতে পারে। যাইহোক, এই মুহূর্তে কি পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোন মৌলিক ভিত্তি বিদ্যমান রয়েছে?
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা বজায় রয়েছে, যদিও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হচ্ছে। টেকনিক্যাল কারেকশনের বাইরে, আমরা এখনো দৃঢ়ভাবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো ভিত্তি দেখছি না। তবুও, পাউন্ডের মূল্যের অসাধারণ স্থিতিশীলতা এখনও বেশ স্পষ্ট, কারণ ইউরোর মূল্য স্থবির থাকলেও বা পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা না থাকলেও পাউন্ডের মূল্য বাড়ছে। ৯ ডিসেম্বর, আমরা নিম্নলিখিত লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি: 1.2429-1.2445, 1.2516, 1.2605-1.2620, 1.2796-1.2816, 1.2863, 1.2981-1.2987, 1.3050.। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.2616) এবং কিজুন-সেন (1.2716) লাইনগুলোও সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত। সোমবার, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। এর ফলে, আমরা অপেক্ষাকৃত ঝামেলাহীনভাবে এ সপ্তাহের ট্রেডিংয়ের সূচনার আশা করছি। তবে, শুক্রবার মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরে এবং বুধবার মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চলমান থাকতে পারে। এদিকে, ট্রেন্ডলাইনের কারণে এই পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের খুব বেশি সুযোগ নেই।
Read more: https://ifxpr.com/3Bn6BjR
-
পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1288053587.jpg[/IMG]
সোমবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উভয় দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, যেন মার্কেট ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রেডারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। গত সপ্তাহে খুব কম কারণ থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকটি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল এবং অ্যান্ড্রু বেইলি আগামী বছরে চারবার সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে, এই সুদের হার কমানোর ঘোষণা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের প্রতিফলন, যা সাধারণভাবে পাউন্ডের দরপতন ঘটানো উচিত ছিল। একই সময়ে, জেরোম পাওয়েল পুনরায় উল্লেখ করেছেন যে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করছে না এবং মার্কিন অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতির কারণে তারা প্রয়োজনীয় সময় নিচ্ছে। শুক্রবারের নন ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পাওয়েলের বক্তব্যের যৌক্তিকত তুলে ধরেছে। সুতরাং, আমাদের মতে, গত সপ্তাহে পাউন্ডের তুলনায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির আরও বেশি কারণ ছিল। ইউরোর মতোই প্রযুক্তিগত কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পরপর দুই মাস ধরে এই পেয়ার দরপতনের শিকার হয়েছে, তাই অন্তত একটি ছোটখাট কারেকশনের প্রয়োজন ছিল। এটি বুঝতে পারলে একই ধরনের অনুমান করা যায় যা ইউরোর ক্ষেত্রে ঘটেছিল: এই সপ্তাহে পাউন্ডের মূল্য পুনরায় নিম্নমুখী হতে পারে। অবশ্যই, কেউ আগাম বলতে পারে না বুধবার প্রকাশিতব্য মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল কী হবে, যা এই সপ্তাহের প্রধান ইভেন্ট (ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক বাদে)। যদি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি না পায় বা হ্রাস পায়, তাহলে এটি আরও ডলার বিক্রির বৈধতা প্রদান করতে পারে। তবে, কারেকশন যতই শক্তিশালী হোক না কেন, এটি একটি কারেকশন হিসেবেই বিবেচিত হবে। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে শেষ কারেকটিভ ওয়েভটি 76.4%-এ পৌঁছেছে, যেখানে মূল্য দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারেকশন প্রদর্শন করেছে। একই সময়ে, এটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণভিত্তিক পর্যবেক্ষণ। এমনকি যদি গত দুই বছর ধরে আমরা যে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি হতে দেখেছি তা নতুন করে বহু-বছরের প্রবণতার সূচনা নির্দেশ করে (যার জন্য বর্তমানে কোনো নির্দিষ্ট ভিত্তি নেই), তারপরও পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন হওয়া প্রয়োজন, যা পাউন্ডের মূল্যকে অন্তত 1.18 লেভেলের ফিরিয়ে আনবে। 16 বছরের নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি বিবেচনা করতে, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যকে 1.4230 লেভেলের উপরে উঠতে হবে। পাউন্ডের মূল্য ইতোমধ্যে 2,000 পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পরেও এত শক্তিশালী বৃদ্ধির জন্য আরও কী কারণ থাকতে পারে? এবারও আমরা আগের মতোই উপসংহার পৌঁছেছি। পাউন্ডের মূল্য কিছু সময়ের জন্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের বিষয়টি উপেক্ষা করতে পারে, যা যেকোনো পরিস্থিতিতেই শুরু হবে বা আরও দ্রুততর হবে। একইভাবে, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের বিষয়টি ভুলভাবে বিচার করেও সেটি উপেক্ষা করতে পারে। এর পাশাপাশি, বড় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাউন্ডের মূল্য বাড়িয়ে তুলতে পারে, যদিও এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নাও থাকতে পারে। তবে, এর কোনোটিই সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না। পাউন্ডের মূল্যের যেকোনো বৃদ্ধি একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হবে। এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো শক্তিশালী বৃদ্ধি একটি অননুমেয় মুভমেন্ট, যা শুধুমাত্র পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করে কারণগুলো ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যেখানে ইতিবাচক কারণগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নেতিবাচক কারণগুলোকে উপেক্ষা করা হয়। গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি 78 পিপসে পৌঁছেছে, যা এই পেয়ারের জন্য "মাঝারি" হিসাবে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর এই পেয়ারের মূল্য 1.2684 থেকে 1.2840 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। CCI ইনডিকেটর একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে এবং একাধিকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। যদিও একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট শুরু হয়েছে, এর স্থায়িত্ব সম্পর্কে পূর্বানুমান করা কঠিন।
Read more: https://ifxpr.com/3VygF0l
-
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/977007625.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ মঙ্গলবার ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় EUR/USD পেয়ারের দরপতন শুরু হয়। দিনের একমাত্র অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশিত হয়েছে, তবে এটি ইউরোর দরপতনের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না, কারণ এটি পূর্বাভাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দ্বিতীয় অনুমান মাত্র। সাধারণত, মুদ্রাস্ফীতির গতি বাড়লে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা ইউরোকে শক্তিশালী করা উচিত, দুর্বল নয়। ফলে, গতকাল মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য দুটি ব্যাখ্যা রয়েছে। প্রথমটি প্রযুক্তিগত। নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার বিপরীতে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছিল এবং এখন মূল্য পুনরায় নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। দ্বিতীয়টি সামষ্টিক অর্থনৈতিক। আজকের মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, যা ইঙ্গিত দেবে যে ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরের বৈঠকে মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে পারে। সাধারণভাবে, আমরা মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রত্যাশা করছি। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের সুনির্দিষ্ট ফলাফল অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে কি না সেটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এমনকি যদি নভেম্বর মাসে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি না পায়, তবুও এটি কেবল এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনকে সাময়িকভাবে দীর্ঘায়িত করবে। নিকটবর্তী মেয়াদে ডলারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের নিচে নেমে যেতে হবে, যা নিম্নমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার একটি প্রযুক্তিগত নিশ্চিতকরণ প্রদান করবে। গতকাল 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.0533 লেভেল এবং কিজুন সেন লাইন 1.0550 লেভেল ব্রেক করেছে। যদিও কোন উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা যায়নি, তবে নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হলে একটি সেল পজিশন দীর্ঘ সময়ের জন্য হোল্ড করে রাখা যেতে পারে। আজকের মার্কেটের মুভমেন্ট মূলত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে, যা মূল্যের কারেকশনকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাকেই নির্দেশ করছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/733480364.jpg[/IMG]
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্ট অফ ট্রেডার্স (COT) রিপোর্টটি ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। চার্টে দেখা গেছে যে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন "বুলিশ" রয়ে গেছে, যদিও বিক্রেতারা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ অর্জন করছে। প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে, কমার্শিয়াল ট্রেডারদের শর্ট পজিশনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, ফলে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেট পজিশনের সংখ্যা নেতিবাচক মানে পরিণত হয়েছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে এখন ইউরো কেনার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। মৌলিকভাবে, ইউরো মূল্যবৃদ্ধির কোন সুস্পষ্ট কারণ নেই। প্রযুক্তিগতভাবে, এই পেয়ারের মূল্য একটি কনসলিডেশন জোন বা একটি ফ্ল্যাট প্রবণতায় রয়ে গেছে। সাপ্তাহিক চার্টে, EUR/USD পেয়ার ডিসেম্বর 2022 সাল থেকে 1.0448 এবং 1.1274 এর মধ্যে ট্রেড করছে, যা আরও দরপতনের সম্ভাবনা তুলে ধরে। এই পেয়ারের মূল্য 1.0448 এর লেভেল ব্রেকআউট করে নিচের দিকে গেলে সেটি নতুন করে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে। লাল এবং নীল লাইন একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা মার্কেটে বিয়ারিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপের লং পজিশনের সংখ্যা 11,400 বেড়েছে, যেখানে শর্ট পজিশনের সংখ্যা 12,800 বেড়েছে। এর ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 1,400 হ্রাস পেয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1329316812.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে এবং মূল্য দৃশ্যমান একটি হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করছে। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই কারেকশন জটিল এবং ধীর গতির বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা এখনও মনে করি যে ইউরোর মূল্যের উল্লেখযোগ্য শক্তিশালী হওয়ার মতো কোনো ভিত্তি নেই, তাই আমরা কারেকশন শেষ হওয়া এবং প্যারিটি লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতন শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করব। উদাহরণস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের নিচে নেমে গেলে সেটি সম্ভাব্য নিম্নমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। ১১ ডিসেম্বর, আমরা নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছি - 1.0269, 1.0340-1.0366, 1.0485, 1.0585, 1.0658-1.0669, 1.0757, 1.0797, 1.0843, 1.0889, 1.0935, সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি (1.0464) এবং কিজুন-সেন লাইন (1.0551) লাইনগুলোর উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। ইচিমোকু সূচক লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় এই সূচকের প্রকৃত অবস্থান বিবেচনা করা উচিত। যদি এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 15 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করে তবে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে ভুলবেন না। যদি সিগন্যালটি ভুল বলে প্রমাণিত হয় তবে এটি আপনাকে সম্ভাব্য লোকসানের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করবে। বুধবার ইউরোজোন ক্যালেন্ডারে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, "এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন" হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এই প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ফেডের আগামী সপ্তাহের বৈঠকের সিদ্ধান্তকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ফেডের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ার চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।
Read more:https://ifxpr.com/3VWhcth
-
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের উপর কোনই প্রভাব ফেলেনি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2005127845.jpg[/IMG]
বুধবার সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের ধারাবাহিকতা বা নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতার শুরু হওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাব এতটাই দুর্বল ছিল যে মার্কেটে উল্লেখ করার মতো কোন মুভমেন্ট সৃষ্টি হয়নি। মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে 2.7% হওয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ হয়তো সন্তুষ্ট হয়েছে, কিন্তু ট্রেডাররা পরপর তিন দিন স্থবির হয়ে থাকার পর মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছিল। অবশ্যই, সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার এই পেয়ারের মূল্য সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করেছে। সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট না থাকায় এই পেয়ারের মূল্যের স্থবির মুভমেন্টটি যুক্তিসঙ্গত ছিল, তবে বুধবার এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতা-ভিত্তিক মুভমেন্টের সম্ভাবনা ছিল। তা সত্ত্বেও, এমন কোনো মুভমেন্ট দেখা যায়নি। প্রযুক্তিগত চিত্র এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে, মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের ঠিক উপরে অবস্থান করছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের দীর্ঘস্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। তবে, 4-ঘণ্টার টাইমফ্রেমেও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে এটি কেবল একটি কারেকশন। মাঝারি মেয়াদে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মৌলিক কোনো ভিত্তি নেই, যা আরও দরপতনের সম্ভাবনা বাড়ায়। একই বিষয় বারবার উল্লেখ করার কারণটি অন্তর্দৃষ্টির অভাব নয় বরং বৈশ্বিক কারণগুলো ধীর গতিতে বিকাশিত হচ্ছে। গত দুই বছরে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে—16-বছর দীর্ঘ নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে একটি কারেকশন হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন মূলত ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের প্রত্যাশা দ্বারা চালিত হয়েছিল, যা 2022 সালের শুরুর দিকে মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে যখন মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়া শুরু করে। ডলারের পুনরুদ্ধার প্রায় অনিবার্য মনে হচ্ছে কারণ এই কারণটি প্রায় সম্পূর্ণভাবে মার্কেটে মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের দুই বছরের বৃদ্ধির দিকে তাকালে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যের লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসার প্রত্যাশা করা বাস্তবসম্মত নয়। লক্ষ্যমাত্রা প্রায় 1.18 এ অবস্থিত, এবং সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ লেভেল থেকে পাউন্ডের প্রায় 1,600 পিপস পতন বাকি রয়েছে—যা ঘটতে এক বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে। তবে ট্রেডারদের দুটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে। প্রথমত, মার্কেটে মূলত কারেকশন, কনসলিডেশন, বা ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি কারেকশন একটি পজিশন সমন্বয় করার সুযোগ প্রদান করে, যা মূল প্রবণতায় প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা তৈরি করে। অন্তত, বড় ট্রেডাররা এভাবেই কাজ করে। দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য, বৈশ্বিক প্রবণতা তেমন প্রাসঙ্গিক নয়। স্বল্পমেয়াদী লাভের জন্য স্থানীয় লেভেল এবং প্রযুক্তিগত প্যাটার্ন যথেষ্ট। তবে, দুর্বল মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির কারণে এই সপ্তাহে এই ধরনের সুযোগ সীমিত ছিল। গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 69 পিপস, যা এই পেয়ারের জন্য "গড়" হিসেবে বিবেচিত হয়। বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বরে 1.2677–1.2815 রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এইপ এয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার ধারাবাহিকতার সংকেত দেয়। CCI সূচকটি একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে এবং কয়েকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। কারেকশন এখনও অব্যাহত রয়েছে, তবে এর স্থায়িত্ব অনুমান করা বেশ কঠিন।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1: 1.2695 S2: 1.2573 S3: 1.2451 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1: 1.2817 R2: 1.2939 R3: 1.3062 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। আমরা এখনও লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির সহায়ক উপাদানগুলো ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে। যারা "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তারা মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে স্থিতিশীল হলে 1.2817 এবং 1.2939 লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শর্ট পজিশন বেশি প্রাসঙ্গিক, যেখানে মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের নিচে কনসলিডেট হলে 1.2573 লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন নেওয়া যেতে পারে।
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। আমরা এখনও লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির সহায়ক উপাদানগুলো ইতোমধ্যেই মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে। যারা "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তারা মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে স্থিতিশীল হলে 1.2817 এবং 1.2939 লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শর্ট পজিশন বেশি প্রাসঙ্গিক, যেখানে মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের নিচে কনসলিডেট হলে 1.2573 লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন নেওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/49zAOZC
-
বিটকয়েন: প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির একটি নতুন যুগ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/27911648.jpg[/IMG]
2024 সালে বিটকয়েন একটি নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্পট বিটকয়েন ETF-এ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়, এবং বিটকয়েনের মূল্য প্রথমবারের মতো $100,000 এর সাইকোলজিক্যাল লেভেল অতিক্রম করে। এই অর্জনগুলো এই ক্রিপ্টোকারেন্সি গুরুত্বকে আরও জোরদার করেছে এবং এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেট ক্লাসে পরিণত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কেন ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে বৃহত্তম ট্রেডাররা বিটকয়েন বেছে নিচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে বিটকয়েনে বিনিয়োগকারীদের জন্য কী কী ঝুঁকি এবং সুযোগ অপেক্ষা করছে? এই পর্যালোচনায় আমরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজব।
স্পট ETF-এ রেকর্ড মূলধন প্রবাহ: 500,000 BTC-এর বেশি অ্যাসেট মার্কিন স্পট বিটকয়েন ETF একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে: এটি চালু হওয়ার পর এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মোট মূলধন প্রবাহ 500,000 BTC অতিক্রম করেছে। এটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে এই প্রোডাক্টের উল্লেখযোগ্য প্রভাবকে নির্দেশ করে। 2024 সালের 11 জানুয়ারি চালুর পর থেকে, 12টি মার্কিন স্পট ETF মোট প্রায় 2.5% প্রচলিত বিটকয়েন সাপ্লাই অ্যাবজর্ব করেছে, যা বর্তমানে 19.8 মিলিয়ন BTC। K33-এর গবেষণা প্রধান ভেটলে লুন্ডের মতে, এই তহবিলগুলোর নেট প্রবাহ 500,925 BTC ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে বুধবার একদিনেই $223.1 মিলিয়ন বিনিয়োগ করা হয়েছে, যার মধ্যে $121.9 মিলিয়ন গেছে ফিডেলিটির FBTC ফান্ডে।
মার্কেটের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহের তাৎপর্য মার্কিন স্পট ETF গুলোর মধ্যে, ব্ল্যাকরকের IBIT ETF শীর্ষে রয়েছে, যা 520,000 এর বেশি BTC পরিচালনা করছে, যা আইশেয়ার্স গোল্ড ট্রাস্ট (IAU) কে ছাড়িয়ে গেছে, যেটির অ্যাসেটের পরিমাণ $50 বিলিয়ন। ফিডেলিটির FBTC ETF, 247,000 এরও বেশি BTC পরিচালনা করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গ্রেস্কেলের GBTC তহবিল, যা পূর্বে 619,000 BTC পরিচালনা করত, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য আউটফ্লো-এর কারণে মাত্র 210,000 BTC পরিচালনা করছে। মার্কিন স্পট ETF-এর মোট অ্যাসেটের পরিমাণ বর্তমানে 1.1 মিলিয়ন BTC অতিক্রম করেছে - এটি বিটকয়েনের সৃষ্টিকর্তা সাতোশি নাকামোটোর অ্যাসেটের সাথে তুলনীয়। এটি প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণের পরিসর এবং পূর্বে উচ্চ ভোলাটিলিটি এবং তুলনামূলক স্বল্প প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকায় মার্কেটের উপর ETF গুলোর প্রভাব প্রদর্শন করে।
মনস্তাত্ত্বিকভাব $100,000 এর মাইলফলক: কারণ এবং প্রভাব ১১ ডিসেম্বরে, বিটকয়েনের মূল্য আবার $100,000 এর লেভেল অতিক্রম করে প্রায় 4% বৃদ্ধি পায়। এই উত্থানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিবাচক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকেত দ্বারা পরিচালিত হয়, যার মধ্যে নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, যা ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রত্যাশা জোরদার করে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসের বৃদ্ধি এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্টেবলকয়েনের মূলধন $200 বিলিয়ন-এ পৌঁছেছে, যা মার্কেটে সামগ্রিক লিকুইডিটি বাড়িয়েছে। একই সাথে, মার্কেটে বিটকয়েনের আধিপত্য 54%-এ পৌঁছেছে, যা 2021 সালের শুরুর পর সর্বোচ্চ স্তর। বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে অনুকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে, যদিও তারা সম্ভাব্য ভোলাটিলিটি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
পূর্বাভাস: পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা $105,000 বিশ্লেষকরা বিটকয়েনের মূল্য $105,000-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছেন। এই লেভেলটি ব্রেক করা হলে $2 বিলিয়নেরও বেশি শর্ট পজিশনের লিকুইডেশন হতে পারে, যা বিটকয়েনের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও শক্তিশালী করবে। কয়েনগ্লাস-এর তথ্য অনুসারে, মার্কেটে উল্লেখযোগ্য লিভারেজ পজিশন জমা হচ্ছে, যা বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির অনুঘটক এবং পরবর্তী ভোলাটিলিটির কারণ হতে পারে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ: উদাহরণ হিসেবে AMP অস্ট্রেলিয়ান কর্পোরেশন AMP তাদের পেনশন ফান্ডের মাধ্যমে বিটকয়েনে $27 মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের একটি উদাহরণ। AMP অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটকয়েনকে এর পেনশন অ্যাসেট পোর্টফোলিওতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। কোম্পানির প্রতিনিধিরা ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাসেটের গুরুত্ব এবং এর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে এই সিদ্ধান্তের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। AMP-এর সিনিয়র পোর্টফোলিও ম্যানেজার স্টিভ ফ্লেগ বলেন, "বিটকয়েনের ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি থেকে বোঝা যায় যে এটি উপেক্ষা করার মতো অ্যাসেট নয়।" তবে, অন্যান্য অস্ট্রেলিয়ান পেনশন ফান্ডগুলো এর উচ্চ ভোলাটিলিটির কারণে ক্রিপ্টো বিনিয়োগ থেকে দূরে রয়েছে।
টেকনিক্যাল লেভেল এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি আশাবাদ থাকা সত্ত্বেও, বিটকয়েনের মূল্য $104,000 এর লেভেল গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্সের সম্মুখীন হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, এই লেভেলটি লাভ তুলে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা মার্কেটে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিটকয়েনের মূল্য এই রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করতে ব্যর্থ হলে প্রবণতার বিপরীতমুখী পরিবর্তন এবং $60,000-$70,000 লেভেলে কারেকশন হতে পারে। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, শরতের সক্রিয় প্রবৃদ্ধির পরে জানুয়ারিতে প্রায়ই বিটকয়েনের মূল্য হ্রাস পেতে দেখা যায়।
উপসংহার: বিটকয়েনের ব্যাপারে কী আশা করা যায়? বিটকয়েন ক্রমাগত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আকর্ষণ করছে, যা এটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ হিসেবে শক্তিশালী করছে। বিটকয়েনের মূল্য $104,000 এর লেভেল অতিক্রম করলে নতুন সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে, তবে লাভ তুলে নেওয়ার কারণে কারেকশনের সম্ভাবনা থেকে যায়। আগামী মাসগুলিতে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ এবং বড় ট্রেডারদের, বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পদক্ষেপ বিটকয়েনের মূল্যের গতিপথ নির্ধারণ করবে। যাই হোক না কেন, 2024 ইতোমধ্যেই বিটকয়েনের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর হয়ে উঠেছে, যা আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থায় এর গুরুত্বকে সুসংহত করেছে।
Read more: https://ifxpr.com/49OemMr
-
১৮ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1719760371.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত থাকলেও, এর মধ্যে কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুরু করছি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দিয়ে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি আবার সংকুচিত হচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে। এর ফলে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড তাদের বছরের শেষ বৈঠকে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে না বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, আজকের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনটি এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে। যদি দেশটির মুদ্রাস্ফীতি নভেম্বরের জন্য পূর্বাভাসকৃত 2.6% এর তুলনায় কম বৃদ্ধি পায়, তাহলে আগামীকালের বৈঠকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতন ঘটাতে পারে। অন্যদিকে, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশি এবং এটি পাউন্ডকে সমর্থন যোগাতে পারে। ইউরোজোনে, নভেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, তবে এটি গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত। যুক্তরাষ্ট্রে, বিল্ডিং পারমিট এবং হাউজিং স্টার্ট সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো FOMC-এর বৈঠক। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো মার্কেটে হালনাগাদকৃত ডট-প্লট প্রকাশিত হবে, যা আগামী দুই বছরে সুদের হার পরিবর্তনের বিষয়ে মুদ্রানীতি কমিটির সদস্যদের প্রত্যাশা প্রতিফলিত করবে। সহজ কথায়, ডট-প্লট চার্ট ফেড কমিটির দৃষ্টিভঙ্গি চিত্রিত করবে। এছাড়াও, জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা ফেডের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে আরও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে।
উপসংহার: বুধবারে তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের শুরু থেকেই যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। তবে ইউরোর মূল্য তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের পরে ইউরোর মূল্যের অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে। আজ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ গৌণ ভূমিকা পালন করবে, যেখানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে।
Read more: https://ifxpr.com/3Bz6sdb
-
২৩ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1604023894.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিবেদন হচ্ছে যুক্তরাজ্যের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন (তৃতীয় অনুমান)। তবে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সম্ভবত শুক্রবারে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ কারেকশন হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে ব্রিটিশ পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাওয়া কঠিন হবে। সোমবার জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না। তবে, ট্রেডারদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কিত অতিরিক্ত মন্তব্য বা বক্তব্যের প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যেই তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এই অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে। আমরা মনে করি, এই বৈঠকগুলো থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাওয়া গিয়েছে যে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। তবে, সোমবার মূলত টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/173845048.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। তবে, সোমবার মূলত টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/49ONBHC
-
কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক, ডিউরেবল গুডস অর্ডার, এবং ট্রাম্পের সাহসী বিবৃতি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/273579533.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের মূল্য আবারও 1.03 রেঞ্জে ফিরে এসেছে। EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা 1.0450-এর মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করেছিল, যা D1 টাইমফ্রেমে টেনকান-সেন লাইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, তবে তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিক্রেতারা বর্তমানে আধিপত্য বিস্তার করছে; তবে তারা এখনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করতে, বিক্রেতাদের মূল্যকে 1.0360 এর সাপোর্ট লেভেলের নিচে ধরে রাখতে হবে, যা একই টাইমফ্রেমে বলিংগার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইনের প্রতিনিধিত্ব করে। এখন পর্যন্ত, তাদের এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। মূলত "উচ্চবিত্ত পারে না, নিম্নবিত্ত চায় না" এই উক্তিটির এখন নতুন অর্থে প্রকাশ পাচ্ছে, যা EUR/USD পেয়ারের বর্তমান পরিস্থিতিকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে। শুক্রবার, মার্কিন ডলার সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে 108.28 থেকে 107.30-এ নেমে এসেছে। এই বিয়ারিশ রিভার্সাল মূলত কোর PCE সূচকের প্রকাশের কারণে ঘটে, যা নভেম্বর মাসে 2.8%-এ নেমে এসেছে, যা 2.9%-এর পূর্বাভাসের সামান্য কম। যদিও এই ফলাফল মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির কোনো ধীরগতির ইঙ্গিত দেয় না, ডলারের ক্রেতারা এই প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই প্রতিক্রিয়া যৌক্তিকতার চেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ বলে মনে হচ্ছে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি সূচকটি 2.8%-এ স্থিতিশীল রয়েছে, যা দুই মাস ধরে 2.7%-এ ছিল। সোমবারের মধ্যে, ডলার সূচক 108 রেঞ্জে ফিরে আসে এবং পূর্ববর্তী প্রায় সব দরপতন পুনরুদ্ধার করে।
ডলার আংশিকভাবে পুনরায় গতি লাভ করেছে, যার পেছনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের ভূমিকা রয়েছে। যদিও তিনি আগামী 28 দিন পর 47তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, তার মন্তব্য ইতোমধ্যেই অর্থবাজারে প্রভাব ফেলেছে। চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মেক্সিকো, পানামা এবং ডেনমার্ক (বিশেষত গ্রিনল্যান্ড) ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক বিবাদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। সম্প্রতি, তিনি ঘোষণা করেন যে, গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা ডেনমার্কের মালিকানাধীন একটি অঞ্চল। এই ঘোষণাটি ডেনমার্কের জন্য তার একজন রাষ্ট্রদূতের মনোনয়নের সঙ্গে মিলে যায়। অতীতে, তিনি পানামা থেকে পানামা খাল পুনরুদ্ধারের হুমকিও দিয়েছিলেন, দেশটিকে চীনের সঙ্গে অতিরিক্ত সহযোগিতা করার এবং মার্কিন জাহাজের উপর উচ্চ টোল আরোপ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। কিছু বিশ্লেষক ট্রাম্পের মন্তব্যকে কেবলমাত্র রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেখছেনন, যা তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের সময়ের বক্তৃতার কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে, যেহেতু নির্বাচন অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার অবস্থান নিশ্চিত করেছেন, তার মন্তব্যগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। এগুলো তার প্রশাসনের অধীনে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রধান দিক নির্দেশনার প্রতিফলন ঘটায়।
সোমবার EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেটের পতন এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের হুমকিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল সত্ত্বেও, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। মোট অর্ডার 1.1% কমেছে, যা জুন মাসের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তর এবং বিশ্লেষকরা 0.3% কমার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। পরিবহন ব্যতীত অর্ডার 0.1% হ্রাস পেয়েছে, যা জুলাই মাসের পর থেকে সর্বনিম্ন, এবং এটি 0.3%-এর বৃদ্ধির পূর্বাভাসের বিপরীতমুখী ফলাফল। ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনের পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচককেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করেছেন, সেটি হচ্ছে কনফারেন্স বোর্ডের মার্কিন কনজিউমার কনফিডেন্স ইনডেক্স। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই সূচকটি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—99.2 থেকে 109.6 এবং তারপর 111.7-এ পৌঁছেছে। ডিসেম্বরে এটি 112.9-এ বাড়ার প্রত্যাশা ছিল। তবে, এটি কমে 104.7-এ নেমে এসেছে, যদিও নভেম্বরের পরিসংখ্যানটি 112.8-এ আপডেট করা হয়েছে। মিশ্র অর্থনৈতিক ফলাফলের পরেও, ডলারের চাহিদা শক্তিশালী রয়েছে। এটি মার্কেটে বিদ্যমান "ঝুঁকি না গ্রহণ করার" মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে, যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্বকে গৌণ করে তুলেছে।
এই পরিবর্তনের অংশবিশেষ হিসেবে ফেডের জানুয়ারি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ইতোমধ্যেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। CME FedWatch টুলের তথ্য অনুযায়ী, ফেডের বর্তমান নীতি অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা 95%। এরপরের বৈঠক মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে, এবং এর ফলাফল মুদ্রাস্ফীতি প্রবণতা এবং মার্কিন শ্রমবাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করবে। ফলে, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে, কারণ এগুলো জানুয়ারি বা এমনকি মার্চের সিদ্ধান্তে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বিয়ারিশ প্রবণতা প্রদর্শন করছে। বর্তমানে, এটি বলিঙ্গার ব্যান্ডসের মাঝারি এবং নিম্ন লাইনের মধ্যে ট্রেড করছে এবং সমস্ত ইচিমোকু সূচকের নিচে অবস্থান করছে, যা একটি চলমান বিয়ারিশ "প্যারেড অব লাইন" প্যাটার্ন নির্দেশ করে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0370 এর লেভেল, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0330 এর লেভেল, যা সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিম্ন লাইনের সঙ্গতিপূর্ণ।
Read more: https://ifxpr.com/3BJRbGs
-
যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন বৃদ্ধিতে রেকর্ড
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/122466878.jpg[/IMG]
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন মানুষের বৃদ্ধি ১৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এ সংখ্যা প্রকৃত অবস্থার তুলনায় কম হতে পারে। কারণ এতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অস্থায়ীভাবে থাকা ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত নয়। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এ সংকটের কারণ উচ্চ আবাসন খরচ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বড় শহরে অভিবাসন। জানুয়ারির এক রাতে ডিপার্টমেন্ট অব হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) করা জরিপ অনুসারে, ওইদিন ৭ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র, অস্থায়ী বাসস্থান বা কোনো আশ্রয় ছাড়াই ছিল। এর আগে ২০২৩ সালে গৃহহীন মার্কিনের সংখ্যা বেড়েছিল ১২ শতাংশ।
পর্যালোচনা: https://ifxpr.com/3azJlBa
-