-
ট্রাম্প চীনের উপর চাপ কমাচ্ছেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/235915862.jpg[/IMG]
24-ঘণ্টার চার্টে #SPX এর ওয়েভ প্যাটার্ন মোটামুটি স্পষ্ট। বৈশ্বিক ফাইভ-ওয়েভ স্ট্রাকচারটি এত বিস্তৃত যে এটি টার্মিনাল স্ক্রিনের লোয়ার স্কেলেও পুরোপুরি ধরছে না। সহজ কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্টক সূচকগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল—কিন্তু আমরা জানি যে প্রবণতা সর্বদা পরিবর্তিত হয়। এই মুহূর্তে, আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইন্সট্রুমেন্টটি চারবার 6,093 লেভেল ব্রেকের চেষ্টা করেছে, যা ওয়েভ 4 থেকে 200.0% ফিবোনাচ্চি লেভেলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, তবে তা সফল হয়নি। আমার দৃষ্টিতে, আমরা শিগগিরই একটি কারেকটিভ ওয়েভ সিরিজের ধারাবাহিকতা দেখতে পারি। মার্কিন স্টক মার্কেট দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত অস্থিতিশীল ছিল, এবং ট্রাম্প একটি চেইন রিঅ্যাকশন শুরু করেছেন। 4-ঘণ্টার চার্টে (উপরের চিত্র), আমরা একটি নতুন ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্টের বিকাশ দেখতে পাচ্ছি, যা বেশ বিস্তৃত হতে পারে। স্ট্রাকচারে এখনো পঞ্চম ওয়েভ অনুপস্থিত, তাই আমি মনে করি S&P 500 সূচকের দরপতন এখনো শেষ হয়নি। এটি মনে রাখা জরুরি যে ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ করলে—অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপিত হলে—মার্কিন স্টক মার্কেটে নতুন করে বিক্রির প্রবণতা আসতে পারে। বর্তমানে, অনুমানকৃত ওয়েভ 4 এখনো গঠনের মধ্যে রয়েছে এবং এটি অভ্যন্তরীণভাবে বেশ জটিল হতে পারে। #SPX তীব্রভাবে পুনরুদ্ধার করেছে, তবে নিম্নমুখী প্রবণতার গঠন এখনো চলছে। আমরা এখন অনুমানকৃত ওয়েভ 4-এর মধ্যে একটি জটিল কারেকটিভ স্ট্রাকচারের গঠন প্রত্যক্ষ করছি। আমি এই মুহূর্তে প্রবণতার পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখছি না। S&P 500 সূচকের সাম্প্রতিক পুনরুদ্ধার মূলত ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ সম্পর্কিত অবস্থান নমনীয় করার ফলাফল। মনে করিয়ে দিই যে কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প 75টি দেশের আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কের ওপর 90 দিনের ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, তিনি চীনের উপর আরোপিত শুল্কের বোঝা কমানোর কথা বলেছেন। এটি এখনও স্পষ্ট নয় কতটা কমানো হবে, কখন বা কী শর্তে হবে, তবে চীন এবং অন্যান্য দেশের প্রতি অবস্থান স্পষ্টভাবেই নমনীয় হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝতে পেরেছে যে বাণিজ্য যুদ্ধের ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়ানো যেতে পারে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টক বিক্রির প্রবণতা বন্ধ হয়েছে। তবে বাণিজ্য উত্তেজনার পূর্ণ প্রশমন নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি, কারণ ট্রাম্প আরোপিত সকল শুল্ক প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছেন না। আমি সন্দিহান যে সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে কিনা। আমি বিশেষভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যেখানে আলোচনা করে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা এখনো অত্যন্ত কঠিন। সুতরাং, সম্প্রতি মার্কেটে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বেশ যৌক্তিক, তবে ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে হলে বাণিজ্য উত্তেজনা সম্পর্কিত ইতিবাচক খবরের দরকার হবে। এই ধরনের খবর না থাকলে, S&P 500 সূচকের বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। সারসংক্ষেপ #SPX-এর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট শেষ হয়েছে। ট্রাম্প এখনো এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং মার্কিন কর্পোরেশনগুলোর স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে (যেমন: বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক আরোপ, আমদানি নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ), যার কারণে আমরা এখন একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটে যে "বাবল" তৈরি হয়েছিল তা বহু বছর ধরে ফুলে উঠেছিল—এবং ট্রাম্প সেটিকে ফুটিয়ে দিয়েছেন। 4-ঘণ্টার চার্টেও ভবিষ্যতে আরও দরপতনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পর্যায়ে, আমরা ওয়েভ 5 এর গঠনের প্রত্যাশা করছি, যার লক্ষ্য 4,614 এর আশেপাশে। হায়ার টাইমফ্রেমে, ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও স্পষ্ট: একটি সম্পূর্ণ ফাইভ-ওয়েভ স্ট্রাকচার, যার মধ্যে ওয়েভ 5-এর মধ্যে একটি ফাইভ-ওয়েভ সাবস্ট্রাকচার রয়েছে। আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট শেষ হয়েছে। সুতরাং, আমি একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি ডাউনওয়ার্ড সেগমেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমার বিশ্লেষণের মূলনীতি ওয়েভ স্ট্রাকচার সহজ এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল প্যাটার্নে ট্রেড করা কঠিন এবং প্রায়শই অনিশ্চিত হয়ে থাকে। যদি মার্কেটে অনিশ্চয়তা বিরাজ করে, তাহলে মার্কেট থেকে দূরে থাকাই ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে কখনোই 100% নিশ্চয়তা থাকে না—সবসময় স্টপ লস অর্ডার ব্যবহার করুন। ইলিয়ট ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিং কৌশলের সাথে কাজে লাগানো যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3S3Vy3G
-
২৫ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1762003475.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলো এখন আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো 90% প্রকাশিত প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করে চলেছে। আজকের তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় (রিটেইল সেলস) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তিন মাস আগে হলে এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করত, কিন্তু এখন আর তেমনটা হচ্ছে না। বর্তমানে, সবকিছুই একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও মন্তব্যের উপর নির্ভর করছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে থাকেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে দেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের আরও দরপতনের কারণ হতে পারে, অন্যদিকে উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো সংকেত ডলারের শক্তিশালীকরণে সহায়তা দিতে পারে। এই সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করেছেন, তবে এটিকে এখনো উত্তেজনা প্রশমন হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানা মতে, আমরা অবাক হব না যদি চীনের উপর শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি আবার তা বাড়িয়ে দেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর বাণিজ্য শুল্ক 145% স্তরে রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটে স্বস্তির ঢেউ সৃষ্টি করেছে। তবে একই সময়ে, চীন জানিয়েছে যে ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনা বর্তমানে চলছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে যে আলোচনা চলছে, তবে ইউরোপীয় কমিশন এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবিগুলো বুঝতে পারছে না। সুতরাং, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান অংশীদারের সাথে আলোচনা হয়তো হচ্ছে না, অথবা আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ডলারের জন্য ইতিবাচক খবর ইতোমধ্যে মার্কেটে বিবেচিত হয়েছে, তাই এখন উভয় পেয়ারের নতুন করে বড় ধরনের দরপতনের আশা করা কঠিন। ইউরোর মূল্যের 1.1275 লেভেল পর্যন্ত নামার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আরও দরপতনের সম্ভাবনা এখন সন্দেহজনক। ব্রিটিশ পাউন্ডও ইউরোর পথ অনুসরণ করতে পারে, তবে ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে নতুন করে মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারেন।
Read more: https://ifxpr.com/3YLd806
-
২৮ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/195306966.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, তাই সোমবারও বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করার নেই। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারেন, যা আবার ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করবে, তবে স্বাভাবিকভাবেই, আমরা এটি অনুমান করতে পারি না যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কখন কি ঘোষণা দিতে পারেন।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার তেমন কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করে বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে দেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি নতুন করে ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো সংকেত ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হতে পারে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান নমনীয় করেছেন, তবে এটিকে এখনো উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া বলা যাবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে যতটুকু জানি, আমরা এতে অবাক হব না যদি চীনের উপর আরোপিত শুল্কে ছাড়ের ঘোষণা দেওয়ার পরে তিনি আবার তা বাড়িয়ে দেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক 145% এর স্তিরে রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটেই স্বস্তিজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে একই সাথে চীন জানিয়েছে যে বর্তমানে ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনা চলছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কিছু আলোচনা চলছে, তবে ইউরোপীয় কমিশন এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি বুঝতে পারছে না। সুতরাং, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান অংশীদারের সাথে হয়তো কোনো আলোচনা চলছে না, অথবা তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই, খুব শীঘ্রই ডলার শক্তিশালী হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ এখন পর্যন্ত যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা বাস্তবিক অর্থে বাণিজ্য সংঘাতের উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনা প্রতিফলিত করছে না।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, তবে ফ্ল্যাট মার্কেট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেবলমাত্র ট্রাম্পের মাধ্যমে প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। নতুবা, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা এবং সাইডওয়েজ মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4jPkCXZ
-
২৯ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1934078341.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি আমরা জার্মানির GfK ভোক্তা আস্থা সূচক বা ইউরোজোনের ভোক্তা মনোভাবের মতো সব স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন বাদ দিই, তাহলে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের JOLTS থেকে প্রকাশিতব্য জব ওপেনিংস বা চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনই রয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদন যথেষ্ট বিলম্বে প্রকাশিত হয়, এবং তাই এটি বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। সমস্ত যুক্তি অনুযায়ী, বড় পরিসরে আমদানি শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে পারে এবং বেকারত্ব বাড়তে পারে। ফলে, মার্চের JOLTS প্রতিবেদনের তুলনায় এপ্রিলের নন-ফার্ম পে-রোলস এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো অর্থ নেই। ট্রাম্প নতুন নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে চললে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। যেকোনো উত্তেজনার বৃদ্ধি ডলারের আরেক দফা দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করা শুরু করেছেন, তবে এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, এটা অবাক করার মতো হবে না যদি তিনি চীনের জন্য শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আবার তা বাড়িয়ে দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি চীনা পণ্যের ওপর 145% শুল্ক বজায় রাখার কোনো ইচ্ছা পোষণ করছেন না, যা মার্কেটে কিছুটা স্বস্তির সঞ্চার ঘটিয়েছে। তবে, মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে কোনো আশাবাদের ঢেউ দেখা যায়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো দৃশ্যমান ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে না, তাই তারা মার্কিন মুদ্রা কেনার জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। এমনকি সোমবারেও, যখন কোনো সংবাদ ছিল না এবং ট্রেডাররা সক্রিয় ছিল, তখনও মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির পথই অনুসরণ করেছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, তবে আমরা সম্ভবত ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখতে পাব — অন্তত ইউরোর ক্ষেত্রে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এখনো অনেক বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করছে, এবং এর জন্য কোনো সংবাদের প্রয়োজন হচ্ছে না। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
Read more: https://ifxpr.com/3GxjQ3C
-
মার্কিন জিডিপি এবং পিসিই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে না (সম্ভাব্যভাবে #NDX এবং #SPX-এ পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/264670905.jpg[/IMG]
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের কারণে সৃষ্টি চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বেশ ক্লান্ত। পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত অনিশ্চিত রয়ে গেছে, ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন পুরোপুরিভাবে আজ প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে — বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের দিকে। মূল দৃষ্টি থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন জিডিপি এবং পিসিই সূচকের ওপর। সম্মিলিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য মন্থর হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি 2.4% থেকে কমে মাত্র 0.2%-এ নেমে আসতে পারে — এটি এতটাই নেতিবাচক ফলাফল, যা পরিসংখ্যানগত ত্রুটির মধ্যেই পড়ে, এবং এর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যার সঙ্গে যুক্ত থাকবে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব। আজ, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের ক্লান্তিকর শুল্ক কাহিনি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মার্চ মাসের পিসিই (Personal Consumption Expenditures) মূল্য সূচকের দিকে মনোযোগ দেবে। এই সূচকটি বার্ষিক ভিত্তিতে 2.5% থেকে 2.2%-এ হ্রাস পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং মাসিক ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির 0.3% বৃদ্ধির বিপরীতে এবার 0.0% পরিবর্তনের পূর্বাভাস রয়েছে। কোর PCE সূচকটিও বার্ষিক ভিত্তিতে 2.8% থেকে 2.6%-এ নামতে পারে এবং মাসিক প্রবৃদ্ধি 0.4% থেকে কমে 0.1%-এ নেমে আসতে পারে। এর পাশাপাশি আয় ও ব্যয়ের তথ্যও গুরুত্ব পাবে। ব্যক্তিগত আয় 0.8% থেকে 0.4%-এ নামার এবং ব্যয় 0.4% থেকে 0.6% বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ট্রেডার এবং মার্কিন ডলার এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? জিডিপির পতন ঘটলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ট্রেজারি বন্ডের চাহিদা বাড়তে পারে। একই সময়ে, যদি সত্যিই PCE সূচকের পতন নিশ্চিত হয়, তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। পূর্বেই যেমন বলা হয়েছে, এর প্রধান কারণ হবে মে অথবা জুনে 0.25% হারে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার প্রতি ট্রেডারদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন স্টক মার্কেট সমর্থন পেতে পারে, কারণ সুদের হার কমার প্রত্যাশা ইক্যুইটির চাহিদা বাড়াতে পারে। তবে, ডলারের দরপতনের মাত্রা সম্ভবত সীমিত থাকবে। ডলার সূচক 99.00-এর নিচে নামলেও 98.00-এর উপরে থাকতে পারে। এর কারণ ইউরোজোনে প্রত্যাশিত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আবারও সুদের হার কমাতে বাধ্য করতে পারে, ফলে ফেডের সঙ্গে সুদের হার পার্থক্য ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে। আজকের প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি অ্যাসেটের মূল্যের উপর সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ ট্রাম্পকে ঘিরে চলমান বিশৃঙ্খলা সবকিছু ছাপিয়ে ফেলছে। অনিশ্চয়তাই এখনো মার্কেটের প্রধান চালক।
Read more: https://ifxpr.com/3GvTz5P
-
মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক হতে পারে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1678486161.jpg[/IMG]
এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাত্রা সম্ভবত ধীর হয়েছে, যদিও বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে — যা শ্রমবাজারের ইতিবাচক কিন্তু স্বল্প চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্য নীতি শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করছে। গত মাসের শুরুতে আরোপিত নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পর এটি হবে প্রথম প্রতিবেদন, যেটিতে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব প্রতিফলিত হতে শুরু করবে। এপ্রিল মাসে ননফার্ম পেরোল 138,000 পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মার্চ মাসের প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ফলাফলের পর পূর্বাভাস দেইয়া হয়েছে। বেকারত্বের হার 4.2% থাকারই পূর্বাভাস রয়েছে। উল্লেখ্য, মার্কিন শ্রম দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিতব্য এটিই প্রথম প্রতিবেদন হবে, যেটি ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক শুল্ক আরোপের পর প্রকাশিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি তৈরিতে ব্যবহৃত জরিপগুলো এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সম্পন্ন হয়েছে, যখন ট্রাম্প একদিকে কিছু শুল্ক স্থগিত করেছিলেন, অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বাড়িয়েছিলেন — যার ফলে বড় ও ছোট উভয় ধরনের ব্যবসার মধ্যে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়। অভিবাসন এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আগামী মাসগুলোতে পেরোলের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ এপ্রিলের প্রতিবেদনে এর খুব বেশি প্রভাবের প্রত্যাশা করছেন না। এছাড়াও, মৌসুমি কারণগুলোর কারণে এপ্রিল মাস সাধারণত তুলনামূলকভাবে সহায়ক হয় — বিশেষ করে পরিষেবা খাতে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়ার ফলে। শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অবনতি মে মাসে দৃশ্যমান হতে পারে। ৬ জুনে প্রকাশিতব্য মে মাসের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে লজিস্টিকস, লেজার এবং হসপিটালিটি খাতে নিয়োগের আরও তীব্র মন্থরতা দেখা যেতে পারে। সাধারণভাবে, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ঐতিহাসিকভাবে কম থাকবে — যা 4.2%-এ থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো, কোভিড-পরবর্তী শ্রমিক ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার পর কোম্পানিগুলো হয়তো খরচ কমিয়ে কর্মীদের ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পাশাপাশি, গত গ্রীষ্ম থেকে অভিবাসনের তীব্র হ্রাসের ফলে শ্রমবাজারে প্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গেছে — যা শ্রমচাহিদা দুর্বল করলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি ঠেকাতেও সাহায্য করছে। বারক্লেস পিএলসির অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, "আমরা এখনো মনে করি মধ্য-মেয়াদে বেকারত্বের হারের নিম্নমুখীতা বজায় থাকবে, যেখানে অভিবাসন নীতিমালাই শ্রম সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।" "তবে, আমরা মনে করি যে ভবিষ্যতের প্রান্তিকগুলোতে শ্রমচাহিদার পতন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এই প্রভাবকে কিছুটা ভারসাম্য এনে দেবে।" সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের অর্থনীতিবিদরাও একই মত পোষণ করেন, যারা প্রত্যাশা করছেন যে সম্মিলিত পূর্বাভাসের তুলনায় কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি কম হবে — যা প্রায় 105,000-এর মতো হতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভ শ্রমবাজার পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ উদ্বেগ বেড়েছে যে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। নীতিনির্ধারকরা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য দু'দিনব্যাপী বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ বর্তমানে, ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে 1.1337 লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই 1.1386 লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এরপর পেয়ারটির মূল্য 1.1437 লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ছাড়া মূল্যের এই লেভেল পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1487। যদি ইনস্ট্রুমেন্টটির দরপতন হয়, তাহলে আমি 1.1265 লেভেলের কাছাকাছি শক্তিশালী ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি সেখানে প্রতিক্রিয়া না দেখা যায়, তাহলে 1.1215-এর নতুন লো অথবা 1.1185 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রির কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো 1.3315 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই মূল্যের 1.3354 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে — যার উপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3394 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা 1.3280 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ব্রেক ব্রেক করে নিচের দিকে যেয়ে ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে এবং পেয়ারটির মূল্য 1.3250 এবং পরবর্তীতে 1.3205 লেভেলের দিকে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে।
https://ifxpr.com/3GvGjOG
-
৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1509178763.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI ছাড়া আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে এটি নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা আদৌ এটির প্রতি মনোযোগ দেবে কিনা। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই উপেক্ষা করেছে। মনে রাখা দরকার, সপ্তাহান্তে কারেন্সি মার্কেট বন্ধ থাকে, ফলে কোনো সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় না। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো "উইকএন্ড" নেই — তাই সোমবারে তিনি হঠাৎ করে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসতে পারে, যেটার প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই — যদিও এই যুদ্ধে আপাতত বিরতি নেয়া হয়েছে। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে ডলারের দরপতন দীর্ঘায়িত হতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আবারও মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। ট্রাম্প এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখালেও, এটিকে এখনো সত্যিকারের উত্তেজনা প্রশমন বলা যাবে না। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, যদি তিনি আবারো শুল্ক বাড়ান তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝে গেছেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনতে পারে, তাই খুব শিগগিরই নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। একইসাথে, চীনের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ক আলোচনা এখনো শুরু হয়নি, যার মানে "145% – 125%" হারে আরোপিত দণ্ডমূলক শুল্ক এখনো বলবৎ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই বুধবারে দেখেছি যে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রতি মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে, তাই 1.1275 লেভেল থেকে একটি বাউন্স হলে সেটি নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করতে পারে। এখনো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যদিও এটি টানা চার দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে। আনুমানিক 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ই প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ট্রেডিংয়ের জন্য এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে টেকনিক্যাল লেভেল — যদিও দুঃখজনকভাবে ট্রেডাররা সবসময় তা অনুসরণ করে না।
Read more: https://ifxpr.com/4d6gT6n
-
৬ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/374859143.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোজোন এবং জার্মানিতে এপ্রিল মাসের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচকের দ্বিতীয় সংশোধিত হিসাব প্রকাশিত হবে, তবে এসব প্রতিবেদন খুব একটা গুরুত্ব পাবে বলে মনে হচ্ছে না। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা একাধিক মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেও স্বাভাবিকভাবে ট্রেডিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাই ইউরোপে প্রকাশিত এই সংশোধিত পরিষেবা সংক্রান্ত সূচকগুলো বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করবে না। একই কথা যুক্তরাজ্যের একই সূচকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করা এখনো খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও এই বাণিজ্য সংঘাত বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আবারও মার্কিন ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। এই সংঘাতের নতুন করে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ডলারের আরও দরপতন ঘটতে পারে, অপরদিকে যদি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকেই অগ্রগতি হয়, তাহলে ডলার সমর্থন পেতে পারে। যদিও সম্প্রতি ট্রাম্প তার বক্তব্যে চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছেন, তবে এটিকে এখনই প্রকৃতভাবে "বাণিজ্য উত্তেজনার প্রশমন" বলা যাচ্ছে না। ট্রাম্পের অতীত পদক্ষেপ বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, তিনি যেকোনো সময় আবারও শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারেন — সেটি কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার হবে না। ট্রাম্প জানেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হলে আমেরিকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই অদূর ভবিষ্যতে তার পক্ষ থেকে খুব একটা আগ্রাসী পদক্ষেপের আশা করা যাচ্ছে না। তবে এখনো পর্যন্ত চীনের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়নি, অর্থাৎ দণ্ডমূলক 145%–125% শুল্ক এখনো কার্যকর রয়েছে। গত বুধবার আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। EUR/USD পেয়ারের সাইডওয়েজ ট্রেডিং অব্যাহত থাকতে পারে এবং 1.1275 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ড হলে নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো শক্তিশালীভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কিন্তু ইতোমধ্যে এটি টানা চার দিন ধরে দরপতনের মধ্যে রয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলে মনে হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে—যা দুর্ভাগ্যবশত অনেক সময় প্রত্যাশিত ফলাফল দিতে ব্যর্থ হয়।
Read more: https://ifxpr.com/3GBkBZF
-
৭ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/668716116.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং যেগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর প্রভাবও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের উপর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরোর মূল্য এখনো সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে—তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত ও কম দৃশ্যমান। সারাদিনে একমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি করতে পারে, তবে সেটিও কেবল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যায়? সর্বোচ্চ ২০–৩০ পিপসের মুভমেন্ট? এমনকি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া এখনো অন্য কোনো মৌলিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা স্থগিত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লে ডলারের দরপতন হতে পারে, অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এটিকে এখনই 'বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন' বলা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি, তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাম্প জানেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে নতুন করে আগ্রাসী পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা কম। গত বুধবার আমরা দেখেছি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আজ সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে কিছুটা "ডোভিশ" না নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, তবে আমাদের মতে ফেড এখনো মূলত মুদ্রাস্ফীতির দিকেই নজর রাখছে। তাই তাদের অবস্থানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না। তবুও, যদি নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তাহলে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরো এখনো সাইডওয়েজ ট্রেডিং করছে, যদিও 1.1275 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এখনো কিছুটা বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও, কার্যত এখনো রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেবল সন্ধ্যার FOMC-এর বৈঠক থেকে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটিও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হচ্ছে না।
-
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে প্রস্তুত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1351343408.jpg[/IMG]
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আজ 0.25 পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং জুনে আরও একবার সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো পরপর দুইবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কারণ মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। চার্টে দেখা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ পাউন্ড যথেষ্ট নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন যে যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা মূল সুদের হার ৪.৫০% থেকে ৪.২৫%-এ নামিয়ে আনবেন, এবং মুদ্রানীতি কমিটির নয়জন সদস্যের মধ্যে অন্তত একজন সুদের হার 0.50 পয়েন্ট কমানোর পক্ষে ভোট দিতে পারেন। ফিউচার মার্কেটেও সুদের হার 0.25 কমানোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং পরবর্তী বৈঠকে আরেকবার সুদের হার কমানোর ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মনে রাখা দরকার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু করে তিনবার সুদের হার কমিয়েছে এবং ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঝুঁকি এবং মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে তা অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে, এখন যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এখন অর্থনীতিকে সমর্থন দেওয়াই শ্রেয়, অপেক্ষা না করে ভবিষ্যতে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অনিশ্চিত প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়াই উচিত। এই সিদ্ধান্ত পাউন্ডের ওপর অবশ্যই প্রভাব ফেলবে এবং স্বল্পমেয়াদে কিছুটা ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া, এটি অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে অনুপ্রাণিত করতে পারে যাতে তারা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে তাদের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। তবে, এটা জানা জরুরি যে সুদের হার কমানো কোনো সর্বজনীন সমাধান নয়। এর কার্যকারিতা অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের আগ্রহ এবং ভোক্তাদের খরচের প্রস্তুতির উপর। যদি অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকে, তাহলে সুদের হার কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব নাও হতে পারে। যদিও আজকের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবুও কিছু সদস্য আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। এটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের প্রতি শক্তিশালী সমর্থনের সংকেত দেবে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য স্বাতী ধিংরা, অ্যালান টেইলর এবং ক্যাথরিন ম্যান এর আগে অস্বাভাবিকভাবে সুদের হার 0.50 পয়েন্ট হ্রাসের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তবে সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তী দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করেনি, যখন তারা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক এবং ধীরগতিতে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করতে বলেছিল। "সতর্কতা" শব্দটি যুক্ত করা হয়েছিল, যাতে কমিটি ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব মূল্যায়নের জন্য সময় পায়। যদি আজকের বিবৃতে থেকে সেই শব্দটি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঝুঁকি বেশি—যা আবারও ইঙ্গিত দেবে যে সুদের হার কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এই পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা সংকেত, এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে মূল্যকে 1.3365 এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা 1.3399 লেভেলের দিকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারবে, যেটি ব্রেকআউট করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়া কঠিন হতে পারে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3437 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3285 লেভেল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে 1.3260 এর নিম্ন লেভেল এবং সম্ভবত 1.3235 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3F5ouW3