-
EUR/USD পেয়ারের সাপ্তাহিক পূর্বাভাস: ISM সূচক, ADP প্রতিবেদন এবং "ব্ল্যাক সোয়ান"-এর সম্ভাবনা
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/473204913.jpg[/IMG]
গত তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো গত শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1560 লক্ষ্যমাত্রার নিচে পৌঁছানোর পর ট্রেডিং সেশন শেষ হয়, অর্থাৎ এই পেয়ারের মূল্য 1.1560–1.1730-এর প্রতিষ্ঠিত রেঞ্জ থেকে নিম্নমুখী হয়েছে। এখন মূল প্রশ্নটি হচ্ছে: এই পেয়ারের মূল্য কি এই সাপোর্ট লেভেলের নিচে থাকবে, নাকি আগের লেভেলে ফিরে যাবে? পুরো অক্টোবরজুড়েই EUR/USD পেয়ারের বিক্রেতারা মূল্যকে একাধিকবার এই রেঞ্জের নিম্ন সীমানায় নিয়ে এসেছে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.15 ফিগারের বেসের দিকে নেমেছিল। তবে প্রতিবারই নিম্নমুখী মোমেন্টাম দুর্বল হয়ে গেছে এবং ক্রেতারা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। গত সপ্তাহে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ ছিল ফেডারেল রিজার্ভ ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর ব্যাপারে আরও সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন: ফেডারেল রিজার্ভের সতর্ক অবস্থান মূলত কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের কারণে নয়, বরং চলমান শাটডাউনের ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের অনুপস্থিতির কারণে গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং, যদি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেবলমাত্র সরকারি পরিসংখ্যান দ্বারা নির্ধারিত হয় না। এই প্রেক্ষাপটে, আগামী সপ্তাহটি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এসব সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের "ফলাফলগুলো" মার্কিন ডলারকে সহায়তা করবে কিংবা চাপের মুখে ফেলতে পারে। সোমবার, ৩ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক প্রকাশিত হবে, যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে অন্যতম প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সূচক ফেডের জন্য একটি বেঞ্চমার্ক হিসেবে কাজ করে, যা অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মুদ্রাস্ফীতি ঝুঁকি বিবেচনার ক্ষেত্রে সহায়ক সূচক। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এই সূচক ৫০ পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে, যা উৎপাদন খাত সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়। তবে গত দুই মাসে সূচকটির ফলাফল কিছুটা ইতিবাচক ছিল, যেমন সেপ্টেম্বর মাসে এটি বেড়ে 49.1-এ পৌঁছায়। অক্টোবরে সূচকটি টানা তিন মাস ধরে বাড়তে পারে, প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী সূচকটি 49.4 হতে পারে। এই পূর্বাভাসের ভিত্তিতে মার্কেটে বড় ধরনের ভোলাটিলিটি সৃষ্টি হবে না, তবে যদি সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশা অতিক্রম করে এবং ৫০-এর ওপরে (পজিটিভ জোনে) পৌঁছে যায়, তাহলে মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এই ফলাফল ফেডের ডিসেম্বরের বৈঠকে বর্তমান সতর্ক অবস্থান বজায় রাখার পক্ষে সমর্থন জোগাবে। তবে যদি সূচকটি নিম্নমুখী হয় এবং ফলাফল "রেড জোন"-এ থাকে, তাহলে এটি ডলারের জন্য নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আমার দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, এই দুর্বল ফলাফল মার্কেটে বেশি ভোলাটিলিটি সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে যেহেতু অক্টোবর মাসে ফেড "মাঝারি মাত্রায় হকিশ বা কঠোর" অবস্থান গ্রহণ করেছিল।
বুধবার, ৫ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতের শ্রমবাজার সংক্রান্ত অনানুষ্ঠানিক ADP প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও সম্পূর্ণ নন-ফার্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারি শ্রমবাজারের সূচক এই প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে এটি বর্তমানে মার্কিন শ্রমবাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার একমাত্র উৎস। মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি যে, এক মাস আগে ADP থেকে প্রকাশিত সূচকটি চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান ৩২,০০০ কমেছে—যা ডিসেম্বর ২০২০-এর পর থেকে সর্বনিম্ন ফলাফল। এছাড়া আগস্টের ফলাফল 54,000 থেকে 3,000 কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, অক্টোবরের ADP প্রতিবেদনে বেসরকারি খাতে 28,000 নতুন কর্মসংস্থানের ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। যদিও এটি দুর্বল ফলাফল, তবে যদি এটি প্রত্যাশার বাইরে আবার নেতিবাচক ফলাফল হবে, যার ফলে ডলারের ওপর তীব্র চাপ তৈরি হবে। মনে রাখা উচিত, ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সম্প্রতি যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বলেন যে, মূল ঝুঁকি এখন মুদ্রাস্ফীতি নয় বরং কর্মসংস্থান খাত এবং তাঁরা নিবিড়ভাবে নতুন প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করবে। আপাতত এই খাতে শুধুমাত্র ADP প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল নেতিবাচক হয়, তাহলে আবারও ডিসেম্বরের বৈঠকে সুদের হার কমানো হতে পারে—এই সম্ভাবনা মার্কেটে জোরালোভাবে বেড়ে যাবে।
এই একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে, অক্টোবর মাসের ISM সার্ভিসেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স বা পরিষেবা খাতের কার্যক্রম সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সূচকটি খুবই সামান্য বৃদ্ধি প্রদর্শন করে—৫০.০ থেকে ৫০.৮ পর্যন্ত। তবে, যদি এটি প্রথমবারের মতো সংকোচন স্তরে (৫০-এর নিচে) প্রবেশ করেঃ যেমনটি এই বছর সর্বশেষ মে মাসে হয়েছিল—তাহলে ডলার অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি উৎপাদন সূচকের ফলাফলও দুর্বল থাকে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক শুক্রবার, ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হবে। সেদিন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজিউমার সেনটিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। গত তিন মাসে সূচকটি ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়ে অক্টোবরে 53.6-এ পৌঁছে যায় — যা এই বছরের মে মাসের পর সর্বনিম্ন মান। নভেম্বরেও এই নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেখানে প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে সূচকটি 53.0-এ নামতে পারে। সেক্ষেত্রে একটি ধারাবাহিক নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের দৃঢ় কারণ নিশ্চিত হবে। ISM সূচক, ADP প্রতিবেদন, এবং মিশিগান ইউনিভার্সিটির জরিপ আগামী সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ (নির্ধারিত) প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে চলমান শাটডাউনের প্রতিটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে "ব্ল্যাক সোয়ান" ইভেন্টের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে — যার মাধ্যমে হঠাৎ করে অচলাবস্থা শেষ হতে পারে এবং সেই সঙ্গে নন ফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট নন-ফার্ম পে-রোলস প্রতিবেদনের ফলাফলের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে, যেখানে অন্য সব সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন পেছনের সারিতে চলে যাবে। এই শাটডাউন কবে শেষ হবে? দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এর কোনো নির্দিষ্ট উত্তর নেই। গত শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প "ফিলিবাস্টার বাতিল" করার আহ্বান জানান, যার মানে ৬০ জন সমর্থনকারী ভোটের শর্ত না রেখে "নিউক্লিয়ার অপশন" প্রয়োগ করে শুধু সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া। কিন্তু বেশিরভাগ কংগ্রেস সদস্য, এমনকি রিপাবলিকানরাও তাঁর এই ধারণার পক্ষে নন, কারণ তারাও যখন বিরোধী দলে থাকেন, তখন ফিলিবাস্টার ব্যবহার করেন। তবুও, সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, উভয় দলের অনেক কংগ্রেস সদস্য গোপনে স্বীকার করেছেন যে আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি আপসমূলক সমাধানে পৌঁছাতে হবে — নাহলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে, নভেম্বর মাসে ৪ কোটি মার্কিন নাগরিক তাদের ফুড স্ট্যাম্প সুবিধা পুরোপুরি হারাতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি আটজনের একজন এই খাদ্য সহায়তার আওতায় খাদ্য গ্রহণ করেন। যেমনটা বলা হচ্ছে, "এটি কপালে চিন্তার ভাজ ফেলছে।" তবে শাটডাউন শেষ হলেও, "কারণ ও ফলাফল"-ভিত্তিক বিশ্লেষণ অপরিবর্তিত থাকবে: যদি প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ফলাফল নেতিবাচক হয়, তাহলে ডিসেম্বরের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও জোরালো হবে। এর ফলে ডলার আবার চাপের মুখে পড়বে, এবং EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা মূল্যকে 1.1560–1.1730 রেঞ্জে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। অন্যথায়, এই পেয়ারের মূল্য 1.15 ফিগারের বেস পর্যন্তই নেমে যাবে না, বরং 1.1480-এর সাপোর্ট লেভেলেও (W1 টাইমফ্রেমে কিজুন-সেন লাইনের সঙ্গতিপূর্ণ লেভেল) পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429213
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ১০ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/821730330.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবারেও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। প্রথম যে কথা মনে আসে তা হলো—ডলারের মূল্যের মোমেন্টাম থেমে গেছে। গত দেড় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে শক্তিশালী কোনো কারণ ছিল না। আমরা বলছি না যে, ডলারের মূল্য অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, এবং দৈনিক টাইমফ্রেমেও এমন কোনো প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে না। তবে মার্কিন মুদ্রার মূল্য এমন সময় বেড়েছে, যখন এর দরপতন ঘটলেও মার্কেটে কোনো প্রশ্ন উঠত না। গত দেড় মাস ধরে ট্রেডাররা প্রায় সবকিছুই উপেক্ষা করেছে: ফেডারেল রিজার্ভের নমনীয় অবস্থান, পহেলা অক্টোবর শুরু হওয়া এবং এখনো চলমান মার্কিন সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থা, ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত নতুন শুল্ক, এবং শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানের অনুপস্থিতি। এখন হয়তো ট্রেডাররা এই দিকগুলো নানা দিক দিয়ে মূল্যায়ন শুরু করতে পারে। 2025 সালে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যাশিত, তা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে এবং দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য 1.1400–1.1830 রেঞ্জের নিম্নসীমার কাছাকাছি নেমে এসেছে। অর্থাৎ, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে যা দেখেছি, তা মূলত টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণেই ঘটেছে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো কোনো ট্রেন্ডলাইনের অস্তিত্ব নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সমাপ্তি ঘটেছে—এমন কোনো স্পষ্ট নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1934319196.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেটি ফরেক্স মার্কেটের কার্যসপ্তাহের একেবারে শেষের দিকে গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.1571–1.1584 এরিয়ার কাছ থেকে বাউন্স করে, যার ফলে শর্ট পজিশন ওপেন করা সম্ভব হয়। তবে আমাদের দৃষ্টিতে, উইকেন্ডে মার্কেটে ট্রেডিং সেশন শেষ ঠিক আগে এ ধরনের ট্রেড ওপেন করা যুক্তিসঙ্গত ছিল না। যদি কোনো নতুন ট্রেডার এই সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড করে থাকে, তবে বর্তমানে তারা মুনাফার মধ্যে থাকতে পারে এবং চাইলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে পারে।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে সেটি শিগগিরই শেষ হতে পারে। মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অত্যন্ত নেতিবাচক রয়েছে। তাই একমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই ইউরোর দরপতন ঘটতে পারে—তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। আমরা আশা করছি, এই পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটবে এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে। সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1527–1.1531 এবং 1.1571–1.1584 এরিয়ায় মধ্যে ট্রেড করার সুযোগ পেতে পারে। আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায়, এই পেয়ারের মূল্যের অনেকটাই দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য মূল লেভেলগুলো হলো 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোন—এই দুই অঞ্চলে কোনো আকর্ষণীয় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। সেই কারণেই, আজ শক্তিশালী বা আকর্ষণীয় কোনো মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/429930
-
চাপের মুখে EUR/USD — মার্কিন শাটডাউনের ইতি টানতে সমঝোতায় অগ্রগতি হলেও ডলারের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1136900946.jpg[/IMG]
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী শাটডাউন অবসানের জন্য সিনেটররা একমত হলেও EUR/USD পেয়ারের তুলনামূলকভাবে শান্ত প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কেটে ট্রেডিং শুরুর সময় এই পেয়ারের মাত্র ২০ পিপস দরপতন হয় — বিক্রেতারা এই নিম্নমুখী মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি। স্বল্পমেয়াদী "নিম্নমুখী" মোমেন্টাম স্তিমিত হয়ে যায় এবং এই পেয়ারের নিয়ন্ত্রণ ক্রেতাদের হাতে চলে যায়, যদিও তারাও এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও সফলতা অর্জন করতে পারেনি। এই পেয়ারের মূল্য 1.1590 রেজিস্টেন্স লেভেল (D1 টাইমফ্রেমে টেনকান-সেন লাইন) অতিক্রম করার চেষ্টা করছে — তবে বেশ নিস্প্রাণভাবে, যেন কোনো গতি নেই। আমার মতে, এই সতর্কতার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শাটডাউন শেষ হয়নি। সিনেটররা এটির সমাপ্তি ঘটানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন — দ্বিদলীয় চুক্তিতে পৌঁছেছেন — তবে সেটাই যথেষ্ট নয়। দ্বিতীয়ত, আমরা একটি অস্থায়ী বাজেটের ব্যাপারে (৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত) কথা বলছি। এবং তৃতীয়ত, শাটডাউন শেষ হওয়ার মানে হলো, শীঘ্রই শ্রমবাজার পরিসংখ্যান ব্যুরো সেপ্টেম্বর এবং সম্ভবত অক্টোবরের সরকারি শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। অর্থাৎ, সরকারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়া ডলারের জন্য একটি মৌলিক ইতিবাচক ঘটনা — তবে পরবর্তী ঘটনাবলী আমেরিকান মুদ্রার পক্ষে নাও যেতে পারে। তাহলে, উইকেন্ডে কী ঘটেছে? মাত্র গত শুক্রবার, রিপাবলিকান পার্টির এক প্রতিনিধি ঘোষণা দেন যে ডেমোক্র্যাটদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, আটজন ডেমোক্র্যাট রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত আপসের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। স্মরণ করিয়ে দেই, এখানে মূল বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির অর্থায়ন। ডেমোক্র্যাটরা ওবামাকেয়ারের আওতায় প্রদত্ত ভর্তুকি অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্প্রসারণ করতে চাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সহায়তা পরিষেবা বাতিল করার বিরোধিতা করেছে (এবং এখনও করছে) । রিপাবলিকানরা চাচ্ছে একটি "স্পষ্ট" বিলে, যার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক মুখাপেক্ষী সংশোধনী থাকবে না। রিপাবলিকানরা শুরু থেকেই আশা করছিল যে কিছু "বিপরীতধর্মী" ডেমোক্র্যাট সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বাজেটের পক্ষে ভোট দেবে। শেষ পর্যন্ত তাদের এই হিসাব মিলে গেছে, যদিও এজন্য বেশ কিছু ছাড়ও দিতে হয়েছে। মূলত, ওই আটজন ডেমোক্র্যাট অস্থায়ী বাজেট অনুমোদনের বিনিময়ে রিপাবলিকান নেতাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্য বীমা ভর্তুকি সাময়িকভাবে সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। যদি তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়, তবে ১ ফেব্রুয়ারি আবারও নতুন করে শাটডাউন ঘটতে পারে। তবে আমি আবারও বলছি — বর্তমান শাটডাউন ঘিরে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার সময় আসেনি। সিনেটররা কেবল একটি "ভোট" দিয়েছেন: মূল ভোটটি আগামী কিছু দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর পরে সংশোধিত বিলটি পুনরায় ভোটের জন্য প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো হবে, কারণ এই বিলের মূল সংস্করণে পরিবর্তন এসেছে। নিম্ন কক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হলেই চলবে, তবে কিছু রিপাবলিকান আগেই বলেছেন, তারা এমন কোনও "আপোষমূলক বাজেট" সমর্থন করবেন না যেখানে ডেমোক্র্যাটদের দাবি মানা হবে না রাখা। তারা অবস্থান পরিবর্তন করেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। একই সঙ্গে নতুন অর্থবছরের সম্পূর্ণ বাজেট কখন পাস হবে, তাও অজানা। তবে ধরুন, শীঘ্রই এই শাটডাউন শেষ হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে কি ডলার শক্তিশালী হবে? তাৎক্ষণিকভাবে ডলার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে — এটা অসম্ভব নয়। তবে, এরপরের ঘটনাপ্রবাহ মার্কিন মুদ্রার জন্য স্পষ্টভাবে নেতিবাচক হতে চলেছে। বর্তমানে CME ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা ৬৫%। যদি সেপ্টেম্বর/অক্টোবরের নন ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হয় এবং মার্কিন শ্রমবাজারের পরিস্থিতি আরও দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা নির্দেশ করে, তাহলে এই সম্ভাবনা ৯০-৯৯% পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। জানুয়ারির বৈঠকে অতিরিক্ত সুদের হার হার কর্তনের সম্ভাবনাও (বর্তমানে যা ২৫%) বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলার চাপের মুখে থাকবে এবং EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা শুধুমাত্র মূল্যের 1.1590 (D1-র বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিডিয়ান লাইন) রেজিস্টেন্স লেভেল ব্রেক করাতেই করতে পারবে না, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ 1.1650-এর রেজিস্ট্যান্স পেরিয়ে 1.17-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারবে (একই টাইমফ্রেমে কুমো ক্লাউডের লোয়ার বাউন্ডারি)। এই ধরনের পরিস্থিতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ সম্প্রতি প্রকাশিত ADP প্রতিবেদনের ফলাফল (বেসরকারি খাতে মাত্র +৪০,০০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে) দুর্বল ছিল, এবং চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাস ইনকর্পোরেটেডের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গিয়েছে ১.৫৩ লাখ চাকরি হ্রাস পেয়েছে। অবশ্য, এসব প্রতিবেদনের ফলাফল সরাসরি নন-ফার্ম পে-রোলসের সঙ্গে তুলনীয় নয় (ভিন্ন পদ্ধতি ও উৎস), তবে সতর্কবার্তা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এই কারণেই মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো সতর্ক অবস্থান নিয়েছে: EUR/USD পেয়ারের ট্রেডাররা বড় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না — না ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার উপর ভিত্তি করে (শাটডাউন সমাপ্তির প্রত্যাশায়), না নিম্নমুখী প্রবণতার উপর ভিত্তি করে (নন ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের প্রত্যাশায়)। টেকনিক্যাল চিত্রেও চলমান অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1540 লেভেল (H4 টাইমফ্রেমে কুমো ক্লাউডের লোয়ার বাউন্ডারি) ব্রেক করতে পারেনি, আবার ক্রেতারাও এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1590-এর ইন্টারমিডিয়েট রেজিস্টেন্স (D1 টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিড লাইন) অতিক্রম করাতে পারেনি। বর্তমান মৌলিক চিত্র EUR/USD পেয়ারের মূল্যে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে, তবে ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1590 লেভেলের ওপরে অবস্থান নিশ্চিত করার পরই লং পজিশন ওপেন করার বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্যের পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রাগুলো হচ্ছে — 1.1650 (D1 টাইমফ্রেমে কুমো ক্লাউডের লোয়ার বাউন্ডারি) এবং 1.1700 (একই টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ড-এর আপার লাইন)।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/430020
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৩ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/915916807.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ার গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। মনে করিয়ে দিই, গত কয়েক মাস ধরে ইউরোর মূল্য সম্পূর্ণভাবে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, যা দৈনিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। তাই, লোয়ার টাইমফ্রেমগুলোতে আমরা প্রায়ই পরিবর্তিত প্রবণতা, অযৌক্তিক মুভমেন্ট, স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পর্যবেক্ষণ করছি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ও ইভেন্টের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের উপর প্রভাব ফেলছে না। গতকালের পরিস্থিতি এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গেই পুরোপুরিভাবে মিলে গেছে। ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূলত তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের প্রায় ৪০ পিপসের আশেপাশে অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমরা মনে করি, দৈনিক টাইমফ্রেমে ফ্ল্যাট রেঞ্জই EUR/USD পেয়ারের বিশ্লেষণে অগ্রাধিকারের মূল দিক হওয়া উচিত। যদি মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বজায় থাকে, তবে কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট কিংবা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট বা উচ্চ অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারবে না। আমরা এই ফ্ল্যাট মুভমেন্টকে ঝড়ের আগে শান্ত অবস্থা হিসেবে দেখছি, যা নির্দেশ করছে যে মার্কেটে একটি নতুন প্রবণতা সৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1853476631.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এই পেয়ার প্রায় সারাদিন ধরে 1.1571-1.1584 এরিয়ার সাইডওয়েজ রেঞ্জে ট্রেডিং করেছে। সুতরাং, আমরা ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমেও সম্পূর্ণভাবে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করেছি। এই পেয়ারের মূল্য একাধিকবার এই রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল, তবে এটা বোঝা উচিত যে গতকালের সকল মুভমেন্ট কেবলমাত্র "মার্কেট নয়েজ" ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত এরিয়ার উপরে স্থিতিশীলভাবে অবস্থান গ্রহণ করতে পেরেছিল, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করেছিল, এবং যেহেতু মূল্য তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, সেই পজিশন এখনও হোল্ড করে রাখা যেতে পারে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে এটি শীঘ্রই শেষ হতে পারে। সামগ্রিকভাবে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য এখনও বেশ নেতিবাচক। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইউরোপীয় মুদ্রার কিছুটা দরপতন হলেও—দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা বজায় রয়েছে—আমরা এই মন্থর মুভমেন্ট শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করছি, এমনকি এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে মূল্য রিবাউন্ড করলে বর্তমান লং পজিশন হোল্ড করে রাখা বা নতুন লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ থাকবে, যেখানে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়ার নিচে স্থিতিশীলভাবে অবস্থান গ্রহণ করে, তাহলে শর্ট পজিশন ওপেন করা যুক্তিযুক্ত হবে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1527-1.1531-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। বৃহস্পতিবার ইউরোজোনে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যা আজকের দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। যদিও এই প্রতিবেদনটির ফলাফল পূর্বাভাস তুলনায় ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে, তবুও এটি মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এমন সম্ভাবনা কম। এছাড়া, মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলেও তা এই ফ্ল্যাট মুভমেন্টের অবসানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলেও মনে হচ্ছে না।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/430353
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং ১৭ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1845889291.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবার মূলত সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে। সেদিন তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। মূলত একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের জিডিপি প্রকাশিত হয়েছে, যেটির ফলাফল ট্রেডারদের সন্তুষ্ট করেনি, আবার হতাশও করেনি। ট্রেডাররা এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের অভাব বোধ করছেন। মাঝে মাঝে দেশটিতে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, কিন্তু সেগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। "শাটডাউন"-এর কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো এখনও প্রকাশ করা হয়নি। গত সপ্তাহে মার্কিন সরকার এবং ফেডারেল প্রতিষ্ঠানগুলো আবার কার্যক্রম শুরু করেছে; তবে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণে এখনও যথেষ্ট সময় লাগবে। উদাহরণস্বরূপ, এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা মূল প্রতিবেদন নেই। মূল ভিত্তিগত কারণগুলো এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, অথচ মার্কেটের ট্রেডাররা স্থানীয় কারণগুলো উপেক্ষা করছে। যেমন, গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে "শাটডাউন" শেষ হওয়া সত্ত্বেও তা ডলারকে তেমন কোনো সহায়তা দিতে পারেনি। এর আগে যখন মার্কিন সরকারি কার্যক্রম বন্ধ ছিল তখন দেড় মাস ধরে ডলারের দর বেশ ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2143467459.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট শুক্রবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সারাদিনে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655 লেভেল থেকে বাউন্স করে প্রায় ৩০ পিপস কমে যায়, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য একটি সহজ সিগন্যাল কাজে লাগিয়ে মুনাফা করার সুযোগ দেয়। সার্বিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা প্রায় ৫০ পিপস হলে, ৩০-পিপসের মুনাফা বেশ চমৎকার ফলাফল হিসেবে গণ্য করা যায়।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্থানীয় পর্যায়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য ১৫০-২০০ পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক। ফলে, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কাঠামোর ভিত্তিতে ইউরোর দরপতন হতে পারে – দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। তবে, আমরা আশা করছি এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে চলমান মুভমেন্ট শীঘ্রই শেষ হবে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে, এমনকি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1571–1.1584 এরিয়াতে ট্রেড করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে এই পেয়ারের মূল্য বাউন্স করলে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1571–1.1584-এর নিচে স্থিতিশীলভাবে কনসোলিডেট করে, তবে শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক হবে, যেখানে মূল্যের 1.1534-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জনয় নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527–1.1531, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। সোমবার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র—কোন দিক থেকেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। তাই, আজ এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট এবং স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/430643
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৮ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/966403763.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অপেক্ষাকৃত দুর্বল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিনে কোনো ধরনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত ছিল না, তাই স্বাভাবিকভাবেই এই পেয়ারের মূল্যের খুব সীমিত মাত্রার অস্থিরতাই প্রত্যাশিত ছিল। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ এবং মাস ধরেই মার্কেটে অত্যন্ত ধীরগতির মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে চলছে, এবং (আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি) দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বজায় রয়েছে, যা EUR/USD পেয়ারের বিশ্লেষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা বুঝতে পারছি যে ট্রেডাররা (বিশেষ করে নতুন ট্রেডাররা) প্রতিদিন ট্রেড করে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করেন। কিন্তু মার্কেটে এমন সময় আসে, যখন ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায় এবং কোনো উল্লেখযোগ্য খবর বা প্রতিবেদন থাকে না। অবশ্য, এই ধরনের সময়ে কোন ট্রেডার কীভাবে ট্রেড করবেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ফ্ল্যাট মার্কেটেও ট্রেড করে মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকে। তবে, এটা জেনে রাখা জরুরি যে এখন প্রতিদিন অন্তত ৬০ পিপসের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করাও অত্যন্ত কঠিন। গড়ে, এই পেয়ারের ট্রেডিং রেঞ্জ ৪০-৫০ পিপসের মতো, যার মধ্যে আদর্শ এন্ট্রির ভিত্তিতে একজন ট্রেডার সর্বাধিক প্রায় ২০ পিপসের মুনাফার সুযোগ পেতে পারেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2136641257.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। দিনের শেষভাগে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1584 লেভেলে পৌঁছায় এবং এই লেভেল থেকে দুইবার বাউন্স করে—যদিও এই "বাউন্স" শব্দটি ব্যবহার করাটা একটু বেশি মনে হতে পারে। তবুও, আজ এই পেয়ারের মূল্য আবারও এই লেভেল বা পুরো 1.1571–1.1584 এরিয়া থেকে বাউন্স করে প্রায় ৩০-৪০ পিপস পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন স্বল্প-মেয়াদী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত, যার ফলে মূল্য আরও ১৫০–২০০ পিপস বৃদ্ধি পেতে পারে। সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারের জন্য মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক রয়ে গেছে। ফলে, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারণে ইউরোর দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে—তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। তবুও, আমরা আশা করছি এই ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শীঘ্রই শেষ হবে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত প্রবল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার দেখা যাবে। এমনকি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1571–1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে এই পেয়ারের মূল্য তৃতীয়বার বাউন্স করলে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু যদি মূল্য এই এরিয়ার নিচে স্থিতিশীলভাবে কনসোলিডেট করে, তবে শর্ট পজিশন প্রাসঙ্গিক হবে, যেখানে মূল্যের 1.1534-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। মঙ্গলবার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র—কোথ ও কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো আলোচিত ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। তাই, আজও এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/430777
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ১৯ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/406420012.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1597-এ লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো ক্রয় করিনি, এবং এটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে টেকসই পণ্যের অর্ডার বৃদ্ধি এবং ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের সতর্ক মন্তব্য দিনের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিন ডলারকে সহায়তা প্রদান করে। উৎপাদন সংক্রান্ত অর্ডারের বৃদ্ধি শিল্প খাতের পুনরুদ্ধার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে, ফেডের সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। ফেডের সংযত মনোভাব, যেখানে আগত অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আসন্ন বৈঠকের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলে জোর দেয়া হয়েছে, এটিও ডলারের শক্তিশালী অবস্থান বজায় রাখতে সহায়তা করে। মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে এমন একটি সংকেত হিসেবে দেখছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিগগিরই নমনীয় মুদ্রানীতির পথে অগ্রসর হবে না, যা মার্কিন মুদ্রায় বিনিয়োগের আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি করেছে। আজ ইউরোজোনের অক্টোবর মাসের সামগ্রিক ও মূল ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) ফলাফল মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যায়, তবে এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হারের বিষয়ে আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান গ্রহণে প্ররোচিত করতে পারে। অপরপক্ষে, যদি মুদ্রাস্ফীতি ২.০%-এর লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশেই থাকে, তাহলে ইসিবি অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের নীতিই অনুসরণ করবে; যদিও এই পরিস্থিতিতে ইউরোর মূল্য হ্রাস পেতে পারে। দৈনিক কৌশলের হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1065699308.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1625-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1597-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1625-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1578-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1597 এবং 1.1625-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1578-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1546-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1597-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1578 এবং 1.1546-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/430935
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ২০ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1558285163.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি উল্লেখযোগ্যভাবে শূন্যের নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1565-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি এবং এর ফলে এই পেয়ারের বেশ কার্যকর একটি নিম্নমুখী মুভমেন্ট কাজে লাগাতে পারিনি। গতকাল ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) অক্টোবর মাসের বৈঠকের বিবরণ প্রকাশিত হয়, যেখানে দেখা যায় যে ফেডারেল রিজার্ভের বেশিরভাগ কর্মকর্তারা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষেই রয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, ফেডের অভ্যন্তরে মতবিরোধ স্পষ্টভাবে ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়। আসন্ন নতুন প্রতিবেদনের ফলাফল এবং ফেডের প্রতিনিধিদের সাম্প্রতিক বিবৃতির দিকে নজর রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে, যেন ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা যায় এবং মার্কেটে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে সিদ্ধান্তসমূহ সমন্বয় করা যায়। তবে, ডলারের আরও দর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা এখনও বিদ্যমান রয়েছে, বিশেষ করে যদি ফেড কঠোর অবস্থান বজায় রাখে। আজ এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে যা সম্ভাব্যভাবে মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন জার্মানির উৎপাদন মূল্য সূচক, বুন্দেসব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদন, এবং ইউরোজোনের ভোক্তা আস্থা সূচক। জার্মানির উৎপাদন মূল্য সূচকের ফলাফল উৎপাদন খাতে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা প্রতিফলিত করে। এই সূচক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে বর্তমানে কোম্পানিগুলো মুনাফা করতে কতটা চাপের মধ্যে রয়েছে এবং তা পণ্যের দাম ও জনসাধারণের পরিষেবার মূল্যের ওপর কী ধরনেরর প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ট্রেডাররা ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা পূর্বানুমান করতে এই সূচকগুলোর ফলাফল ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে। বুন্দেসব্যাংকের নিয়মিত মাসিক প্রতিবেদনটিতে সাধারণত জার্মানির চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির গভীর বিশ্লেষণ, মূল পূর্বাভাস এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসূত্র, যা ইউরোজোনের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা, মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলো বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। ইউরোজোনের ভোক্তা আস্থা সূচক একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে যা ভোক্তাদের মনোভাব প্রতিফলিত করে। এটি ভোক্তাদের ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক অবস্থা, কর্মসংস্থান এবং নিজস্ব আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রত্যাশা তুলে ধরে। এই সূচক বৃদ্ধি পেলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে, অন্যদিকে দুর্বল ফলাফল EUR/USD পেয়ারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/683766113.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল: পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1625-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1597-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1625-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1578-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1597 এবং 1.1625-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল: পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1578-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1546-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1597-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1578 এবং 1.1546-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/431069
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ২৬ নভেম্বর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1432926764.jpg[/IMG]
ইউরো ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1547 লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি সেই সময় ইউরো ক্রয় করা থেকে বিরত ছিলাম। অপরদিকে, মূল্য 1.1528 লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রয় করার ফলে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল স্পষ্টভাবে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যার ফলে এটি আকর্ষণীয় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে অবস্থান হারাতে বসেছে। ট্রেডাররা আশঙ্কা করছেন যে ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর আর্থিক নীতিমালা এবং সাম্প্রতিক সরকারি শাটডাউনের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে মন্থর হয়ে যেতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি সত্ত্বেও ডলারকে একেবারে বাতিল হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। মার্কিন অর্থনীতি এখনো বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক স্থিতিশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। পাশাপাশি, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেট স্থিতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগত সরঞ্জামও বিদ্যমান। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) পক্ষ থেকে একটি আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার পর ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড-এর বক্তব্য নির্ধারিত রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ইউরোজোনভুক্ত দেশগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এমন মূল ঝুঁকিসমূহের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে—যার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির সম্ভাব্য নতুন ঝুঁকি, বাণিজ্য শুল্ক, ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর লাগার্ডের বক্তব্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হবে, যার মাধ্যমে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত অবস্থান সম্পর্কে আরও বেশি ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তিনি বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস এবং ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইসিবি আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারে কিনা বা এর বিপরীতে নীতিমালা কিছুটা নমনীয় করতে প্রস্তুত কি না সে ব্যাপারে ধারণা পেতে ট্রেডাররা ঘনিষ্ঠভাবে এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি রাখবে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা ১ এবং ২ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1196031214.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1632-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1600-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1632-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1583-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1600 এবং 1.1632-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1583-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1554-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1600-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1583 এবং 1.1554-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/431670
-
EUR/USD: বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাস
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1187514443.jpg[/IMG]
সপ্তাহের শুরুতেই EUR/USD পেয়ারের পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত পাওয়া যায় এবং এই পেয়ারের মূল্য গুরুত্বপূর্ণ রাউন্ড লেভেল 1.1600-এর ওপরে উঠে যায়। ইউরো এখনো সহায়তা পাচ্ছে এই আশায় যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) সুদের হার হ্রাসের পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত ইসিবির সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণীতে দেখা গেছে, সর্বসম্মতিক্রমে মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং গভর্নিং কাউন্সিল এই অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেছে। ট্রেডাররা ইতোমধ্যে প্রায় পুরোপুরি ভাবেই ২০২৫ সালে সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করে ফেলেছে এবং ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ এমন একটি পরিস্থিতির সম্ভাব্যতা এখন প্রায় ৪০% হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়গুলো EUR/USD পেয়ারের মূল্যকে স্থিতিশীল রাখতে এবং বৃদ্ধি পেয়ে সাহায্য করছে, যা ভবিষ্যৎ মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৫০-দিনের SMA সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে এই বুলিশ মোমেন্টাম নিশ্চিত হবে এবং নতুন সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টি মাসের শুরুতেই প্রকাশিতব্য মূল মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে রয়েছে—বিশেষ করে আজ ISM উৎপাদন খাতের কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হতে চলেছে। মার্কিন ডলার সূচক (DXY), যা অন্যান্য বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর নির্ধারণ করে, বর্তমানে দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনার কারণে সমর্থন পেয়েছে। উপরন্তু, সাম্প্রতিককালে কয়েকজন কর্মকর্তার মন্তব্যের ভিত্তিতে বিশ্লেষকরা ডিসেম্বরে আবার সুদের হার কমানোর সম্ভাব্যতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি, এবং অর্থবাজারে কার্যকর ইতিবাচক মনোভাব, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে মার্কিন ডলারের অবস্থানকে দুর্বল করে EUR/USD পেয়ারের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে, দৈনিক চার্টের অসিলেটরগুলো মিশ্র সংকেত দিচ্ছে, তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—রিলেটিভ স্ট্রেন্থ সূচক (RSI) পজিটিভ জোনে প্রবেশ করেছে, যা মার্কেটের ইতিবাচক পরিস্থিতি নিশ্চিত করে। ক্রেতাদেরকে এই পেয়ারের মূল্যকে ৫০-দিনের SMA ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী করতে হবে এবং সেই লেভেলে মূল্যকে ধরে রাখতে হবে, যা ভবিষ্যতে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির জন্য আরও ইতিবাচক পরিস্থিতি নিশ্চিত করবে। ১০০-দিনের SMA-এর ওপরে অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1700–এর রাউন্ড লেভেলে পৌঁছানোর করার সম্ভাবনা আরও বাড়বে। অন্যদিকে, সবচেয়ে নিকটতম সাপোর্ট 1.1600-এর রাউন্ড লেভেলে রয়েছে, এরপর রয়েছে 1.1585 — ৯-দিনের EMA, এবং তার নিচে 1.1570 — ২০-দিনের SMA। এই পেয়ারের মূল্য এই সকল লেভেল ব্রেক করে গেলে মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা বেড়ে গিয়ে মূল্য 1.1500–এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। নিচে গত সাত দিনে প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের শতাংশভিত্তিক প্রবৃদ্ধি দেখানো হলো। জাপানি ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলারের সবচেয়ে শক্তিশালী ফলাফল দেখা গেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/66797795.jpg[/IMG]
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/432087