-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2013126462.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তবে সেগুলোর কোনোটিই খুব বেশি কার্যকর ছিল না। সমস্যা ছিল, পুরো দিনজুড়ে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ট্রেডারদের কাছে 1.3421–1.3443 জোনের ব্রেক ঘটানোর মতো পর্যাপ্ত মোমেন্টাম ছিল না—বিশেষ করে যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাঝারি মানের ফলাফল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রেক্ষাপটে। উপরন্তু, এই পেয়ার বিক্রির জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য কারণও ছিল না। ফলে, মূল্য এই জোন থেকে একাধিকবার রিবাউন্ড করেছে, কিন্তু কোনো উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়নি। শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত কার্যক্রম দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং ট্রেডারদের মধ্যে তার নীতিমালার প্রতি সংশয়ী মনোভাব বজায় রয়েছে। মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক হ্রাস—দুটি বিষয়ই মূলত ডলারের পক্ষে কাজ করার কথা। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার হ্রাস এবং ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও সেটি ডলারের জন্য সহায়ক হওয়া উচিত। অথচ আমরা উল্টো পরিস্থিতি দেখছি—মার্কেটের ট্রেডাররা ডলারের ক্ষেত্রে ৯০% ইতিবাচক বিষয় উপেক্ষা করছে। শুক্রবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে এই পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা হয়তো ডলার বিক্রির জন্য যেকোনো অজুহাত খুঁজবে বা নতুন প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করবে। প্রতিদিনের মতোই মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3537, 1.3580–1.3598 শুক্রবার যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এটি ট্রেডারদের মধ্যে চলমান "সর্বদা কিনুন" মনোভাবের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। ২৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ ক্যালেন্ডার একেবারেই ফাঁকা।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৬ মে
ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য অংশীদারদের প্রতি নমনীয় অবস্থানের ফলে বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। এর প্রভাবে ব্রিটিশ কারেন্সি সমর্থন পেয়েছে, কারণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যুক্তরাজ্যের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এর পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ মৌলিক উপাদানগুলোও পাউন্ডের শক্তিশালী হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি ও জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ছিল, যার ফলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করতে আরও সুদের হার হ্রাস করতে পারে এমন সম্ভাবনা বেড়েছে। আজ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত না থাকায় স্বল্পমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যনীতির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অনুপস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনুমাননির্ভর ট্রেডিং এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখার সুযোগ তৈরি করে, যা সাধারণত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সমর্থন যোগায়। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3651-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3596-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3651-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3567-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3596 এবং 1.3651-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3567-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3528-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3596-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3567 এবং 1.3528-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে: [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1575677767.jpg[/IMG]
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1521443363.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.3553 এর লেভেলের টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর একই লেভেল আবার টেস্ট করা হয়, যার মাধ্যমে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ পাওয়া যায়, তবে এতে এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ১৫ পিপস বৃদ্ধি পায়। আজ ব্রিটিশ রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (CBI) থেকে প্রকাশিত হবে। তবে এই প্রতিবেদনের ফলাফল ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে না। যদিও এটি উল্লেখ করা জরুরি যে পাউন্ডের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো যথেষ্ট ইতিবাচক। মুদ্রাস্ফীতির গতি কমার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ওপর সুদের হার কমানোর চাপ তৈরি করছে। এর ফলে স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে, যা এই চ্যালেঞ্জিং সময়েও পাউন্ডকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা ঘিরে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে, তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করছে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3601-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3573-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3601-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকায় পাউন্ডের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3543-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3573 এবং 1.3601-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3543-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3512-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3573-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3543 এবং 1.3512-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ২৮ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/435046414.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মতো একই কারণে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যও নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এটি বলা যাবে না যে ব্রিটিশ মুদ্রার বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে — যেকোনো মুহূর্তে আবার ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। মূল্য ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের কিজুন-সেন লাইনের কাছ থেকে রিবাউন্ড করে আবারও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। সোমবার ও মঙ্গলবার মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট কারণ ছিল, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা অবশেষে শুধুমাত্র ইউরো বা পাউন্ড নয়, বরং অন্যান্য মৌলিক প্রেক্ষাপটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। তবে মনে রাখা জরুরি, বর্তমান মুভমেন্টটিকে শুধুমাত্র একটি স্বল্পমেয়াদি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায় — এটি এর বেশি কিছু নয়। ঘণ্টাভিত্তিক চার্ট অনুযায়ী অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৪-ঘণ্টা ও দৈনিক টাইমফ্রেমেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, এমনকি বিশ্লেষণ ছাড়াও এটি স্পষ্ট। বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো মার্কেটের মূল প্রভাবক হিসেবে রয়ে গেছে, এবং ইতিবাচক সংবাদের ঘাটতি রয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছু প্রতিবেদন এলেও, সেগুলো ডলারের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক এখনো বলবৎ রয়েছে এবং অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনবে — এটি ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পেরেছে এবং এখন তারা ডলার কিনতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক। মঙ্গলবারের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো খুব দুর্বল ছিল। মূল্য ঘন ঘন দিক পরিবর্তন করেছে, যা পরোক্ষভাবে নির্দেশ করে যে ডলার শক্তিশালী হতে হিমশিম খাচ্ছে। মার্কিন সেশনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারকে কিছুটা সমর্থন দেয় — যেখানে এপ্রিল মাসে অর্ডার ৬.৩% হ্রাস পায়, যেখানে পূর্বাভাস ছিল ৭.৮% হ্রাসের। তবে এটিকে সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক প্রতিবেদন বলা কঠিন। COT রিপোর্ট
COT রিপোর্ট ব্রিটিশ পাউন্ডের COT রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে গত কয়েক বছরে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মনোভাব বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন — যা কমার্শিয়াল ও নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশন নির্দেশ করে — প্রায়ই একে অপরকে অতিক্রম করেছে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি অবস্থান করেছে। বর্তমানে সেগুলো আবার কাছাকাছি রয়েছে, যা লং ও শর্ট পজিশনের প্রায় সমতা নির্দেশ করে। তবে গত দেড় বছরে নিট পজিশনের সংখ্যায় ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে ডলার এখনো দুর্বল হতে থাকায় ব্রিটিশ পাউন্ডের প্রতি মার্কেট মেকারদের চাহিদার তেমন গুরুত্ব নেই। যদি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ধারাবাহিকতা আবার শুরু হয়, তাহলে ডলার শক্তিশালী হওয়ার একটি সুযোগ পেতে পারে — কিন্তু সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 1,400 লং কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,800 শর্ট কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে, যার ফলে নিট লং পজিশনের সংখ্যা 3,200 কমেছে। সম্প্রতি পাউন্ডের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এর একমাত্র কারণ হচ্ছে ট্রাম্পের গৃহীত নীতি। একবার এই প্রভাব নিরপেক্ষ হয়ে গেলে, ডলারের দর আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। নিজস্ব কোনো আভ্যন্তরীণ চালিকা শক্তির কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও, এই মুহূর্তে "ট্রাম্প ফ্যাক্টর" ট্রেডারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যথেষ্ট।
GBP/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, যা বর্তমানে একটি অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল দ্বারা সমর্থিত। এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করছে। মার্কেটের ট্রেডারদের সামগ্রিক মনোভাব এবং বিশেষ করে আমেরিকা ও তার প্রেসিডেন্টের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এখনো অত্যন্ত নেতিবাচক, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। ডলার নিয়মিতভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে এবং যখনই শুল্কসংক্রান্ত কোনো খবর আসে, তখন সেই দরপতন আরও তীব্র হয়। ২৮ মে আমরা নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো তুলে ধরছি: 1.2863, 1.2981–1.2987, 1.3050, 1.3125, 1.3212, 1.3288, 1.3358, 1.3439, 1.3489, 1.3537, 1.3637–1.3667, 1.3741। সেইসাথে, সেনকৌ স্প্যান বি (1.3302) এবং কিজুন-সেন (1.3489) থেকেও সিগন্যাল আসতে পারে। যদি মূল্য ২০ পিপস প্রত্যাশিত দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত — যাতে সম্ভাব্য ভুল সিগন্যাল থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। ইচিমোকু ইনডিকেটরের লাইনগুলো দিনের বেলায় অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই সিগন্যাল নির্ধারণের সময় তা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। এই বৈঠকে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং মুদ্রাস্ফীতির অনিশ্চিত পূর্বাভাস কারণে নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। যেহেতু এই তথ্য তখন ডলারকে কোনো সমর্থন দিতে পারেনি, তাই আজও এই কার্যবিবরণীর প্রভাবে তেমন কোনো মুভমেন্ট সৃষ্টির প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। চিত্রের ব্যাখা: মূল্যের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল – গাঢ় লাল লাইন; যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে। তবে এগুলো সরাসরি ট্রেডিং সিগন্যাল নয়। কিজুন সেন ও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন – শক্তিশালী ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইন, যা ৪-ঘণ্টা চার্ট থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্সট্রিম লেভেল – হালকা লাল লাইন; যেখানে পূর্বে মূল্য রিবাউন্ড করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। হলুদ লাইন – ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল প্যাটার্ন নির্দেশ করে। COT ইন্ডিকেটর 1 – চার্টে প্রতিটি গ্রুপের ট্রেডারদের নিট পজিশনের পরিমাণ প্রদর্শন করে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/748501017.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.3461 এর লেভেল টেস্ট করে — যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কোর্ট ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত বৈশ্বিক শুল্ক বাতিল করার খবরের পর, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটে, যার ফলে চলতি মাসে পাউন্ডের মূল্য যতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছিল তা পুরোপুরিভাবে মিলিয়ে যায়। এই দরপতন সেইসব বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অপ্রত্যাশিত ধাক্কা হয়ে এসেছে, যারা ব্রিটিশ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের প্রত্যাশার ভিত্তিতে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতার আশা করছিল। আদালতের রায় কার্যত যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের বাণিজ্যনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাতিল করে দিয়েছে, যা মুদ্রাবাজারে ঝুঁকি মূল্যায়নের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে। এছাড়া, মার্কিন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যনীতি সংক্রান্ত পদক্ষেপ ঘিরে অনিশ্চয়তাও পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, শুল্ক প্রত্যাহার হয়তো বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিমালায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও বিস্তৃত পরিবর্তনের সূচনা মাত্র, যা যুক্তরাজ্যের মতো বিশ্ববাজারে সংযুক্ত অর্থনীতির উপর নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা না থাকায়, ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারক কমিটির সদস্যদের বক্তব্যের দিকে মনোযোগ দেবে। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ কাঠামোতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত খোঁজার জন্য ট্রেডাররা সারাহ ব্রিডেনের বক্তব্য বিশ্লেষণ করবেন। ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা, ঋণদানের সাথে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি এবং ব্যাংকগুলোর মূলধনের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে তার মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পথনির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি কবে সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি এবং মন্দার ঝুঁকি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষক ও ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3506-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3455-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3506-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংস হিসেবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3425-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3455 এবং 1.3506-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3425-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3372 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3455-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3425 এবং 1.3372-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে: হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই। মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত। নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন। মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1050171191.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3461-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণে, আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। মূল্য 1.3491 লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ারে ক্রয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যায়। গতকালের মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায় বিশ্ববাজারে অপ্রত্যাশিত এবং দ্ব্যর্থবোধক বার্তা প্রদান করেছে। সাময়িকভাবে হলেও বাণিজ্য শুল্ক পুনর্বহালের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও চরম আকার ধারণ করতে পারে এই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা পোর্টফোলিও পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে, যার ফলে মার্কিন অ্যাসেট থেকে মূলধন অপসারণ ঘটে এবং ডলারের দরপতন শুরু হয়। এই পদক্ষেপ মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের স্বতন্ত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং নির্বাহী শাখার বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের একটি নজির তৈরি করে। নিঃসন্দেহে বাণিজ্য শুল্ক ঘিরে আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে, এবং এই দ্বন্দ্বের ফলাফল মার্কিন ও বৈশ্বিক উভয় অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। যেহেতু আজ যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই এবং আজ মে মাসের শেষ দিনের ট্রেডিং, তাই মাসিক সর্বোচ্চ লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা বা পাউন্ডের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা খুবই কম। বরং, আগে থেকে ওপেন করা লং পজিশন থেকে কিছু প্রফিট বুকিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা একটি সামান্য নিম্নমুখী কারেকশন শুরু করতে পারে। তবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো তুলনামূলকভাবে সহায়ক। যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি কমছে, যা ব্যবসা ও গৃহস্থালির জন্য ইতিবাচক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3530-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3488-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3530-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3461-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3488 এবং 1.3530-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3461-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3416 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3488-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3461 এবং 1.3416-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/334883185.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ ওপরে উঠে গিয়েছিল, তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3494-এর লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি পাউন্ড ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ছিল, যার ফলে একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং সীমাবদ্ধ থাকে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় পাউন্ডের মূল্যের উর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী মুভমেন্টের জন্য কোনো প্রভাবশালী উদ্দীপনা তৈরি হয়নি। ট্রেডাররা অপেক্ষা করার ও পর্যবেক্ষণের মনোভাব গ্রহণ করেছে এবং ফেডারেল রিজার্ভ ও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও স্পষ্ট সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ ট্রেডারদের মধ্যে অনেকটাই সতর্ক মনোভাব বিরাজ করছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলো বিশ্লেষণ করছে। হোয়াইট হাউসের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর বৈশ্বিক অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা ট্রেডিং কার্যক্রমকে নিরুৎসাহিত করছে এবং সীমিত রেঞ্জে কনসোলিডেশনে ভূমিকা রাখছে। আজ যুক্তরাজ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে: ম্যানুফ্যাকচারিং PMI, অনুমোদিত মর্টগেজ অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা এবং ব্যক্তিগত নিট ঋণের পরিমাণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো ব্রিটিশ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও মুদ্রাস্ফীতির চাপ মোকাবেলায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা মূল্যায়নের সুযোগ দেবে। ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচকটি ব্যবসায়িক মনোভাব ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা প্রতিফলিত করে। যদি এর মান ৫০-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি প্রবৃদ্ধির সংকেত, আর যদি ৫০-এর নিচে নামে, তাহলে এটি সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়। অনুমোদিত মর্টগেজ অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা হলো আবাসন বাজার পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বোঝা যায় আবাসন চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক দায়ভার গ্রহণে ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে, অন্যদিকে সূচকটি হ্রাস পেলে সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে সতর্ক মনোভাব থাকার ইঙ্গিত দেয়। সবশেষে, ব্যক্তিগত নিট ঋণপ্রদান সংক্রান্ত প্রতিবেদন ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত করে। ঋণপ্রদান বৃদ্ধি পাওয়া মানে ভোক্তারা বেশি ব্যয় করছে এবং অর্থনীতিতে উদ্দীপনার ইঙ্গিত রয়েছে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/804619970.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3575-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3528-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3575-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3483-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3528 এবং 1.3575-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3483-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3416 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3528-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3483 এবং 1.3416-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/587055049.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দুপুরে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3555 লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড কিনিনি। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে মুদ্রানীতির ব্যাপারে কোনোকিছু উল্লেখ করা হয়নি, ফলে ISM প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন ডলার সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট সংকেত না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আবারও অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে এই বাস্তবতা যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি 'ডোভিশ বা নমনীয়' মনোভাব দেখাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে এমন দৃঢ় মনোভাব না থাকার কারণে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা ডলারের প্রতি আস্থার অভাব সৃষ্টি করছে। আজ পার্লামেন্টে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সুতরাং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টির বিষয়টি একরকম অনিবার্য। পার্লামেন্ট সদস্যদের সামনে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তাদের বক্তব্য সাধারণত ট্রেডারদের অতিরিক্ত মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং কারেন্সি মার্কেটে জোরালো জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেয়। বিনিয়োগকারীরা বক্তাদের বক্তব্যে সূক্ষ্ম সংকেত খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে—বিশেষ করে সুদের হারের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে। দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পূর্বাভাসের দিকে। যদি কোনো সংকেত পাওয়া যায় যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রাস্ফীতির হ্রাসের গতি নিয়ে সন্তুষ্ট এবং তারা আরও নমনীয় মুদ্রানীতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাহলে পাউন্ডের দরপতন ঘটতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3564-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3526-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3564-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ ইতিবাচক মন্তব্য করলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3509-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3526 এবং 1.3564-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3509-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3478-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3526-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3509 এবং 1.3478-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2042880129.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস বিকেলের দিকে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3502 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত কৌশল পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছে এবং ডলারকে শক্তিশালী করেছে। ট্রাম্প হঠাৎ করেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাজারকে অস্থির করে তুলছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত বাণিজ্য নীতির প্রতিফলন ঘটায়, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের দিকে। যেকোনো নতুন বাণিজ্য উত্তেজনার ইঙ্গিতই মার্কেটে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, কারণ তা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হ্রাস ঘটায়। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে—কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনো সুদের হার কমানোর ব্যাপারে কোনো তাড়াহুড়ো করছে না। আজ দিনের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের সার্ভিসেস PMI এবং কম্পোজিট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ আরও বাড়াতে পারে। যদি PMI সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কম আসে, তাহলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের শঙ্কাকে আরও জোরালো করবে, যা পাউন্ডের চাহিদা হ্রাস করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3573-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3526-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3573-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3496-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3526 এবং 1.3573-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3496-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3458-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3526-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3496 এবং 1.3458-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।