-
কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। মহামারীকালীন সময়ে এ ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। মহামারীর শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিক ঘরে অবস্থান করেই সময় কাটিয়েছেন এবং এ সময় তারা স্বাভাবিক ব্যয় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তারা সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তাও পেয়েছেন, যা সে সময় জনগণকে ক্রেডিট কার্ডের বিল সাময়িকভাবে কমিয়ে আনতে সহায়তা করেছিল। ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ওয়েবসাইট ব্যাংকরেটের নতুন গবেষণার তথ্যানুযায়ী, ৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন নাগরিক ক্রেডিট কার্ডের ঋণ নিয়েছেন। মহামারী শুরুর পর থেকে তাদের অ্যাকাউন্টে এ ঋণ যুক্ত হতে থাকে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/223233571.jpg[/IMG]
-
যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও খুচরা বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। তবে বাজার বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, সরবরাহের সীমাবদ্ধতা ও পণ্য সংকটের কারণে ছুটির মৌসুমে সামগ্রিক বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সম্প্রতি দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা বিক্রি বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত মাসে খুচরা বিক্রির হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। আগস্টে এ বৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রির হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভোক্তারা ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিক্রি বৃদ্ধির যে তথ্য প্রদান করা হয়েছে, সেটি অর্থনীতিবিদদের ধারণায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। টরন্টোভিত্তিক বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান বিএমওর প্রবীণ অর্থনীতিবিদ সাল গুয়াটিয়েরি বলেন, খুচরা বিক্রির যে প্রতিবেদন সেটি ভোক্তাদের স্থিতিস্থাপকতা ও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকেই নির্দেশ করে। বর্তমান সময়ে সরবরাহ সংকট ও মাইক্রো চিপের ঘাটতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে ক্রেতাদের পছন্দের পণ্যের পরিমাণ কমছে ও চাহিদা বাড়ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/582380713.jpg[/IMG]
-
যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে ভোক্তা ব্যয় দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। মূলত করোনা মহামারী ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ সময়ের মধ্যে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে, যা গত এক দশকের তুলনায় সর্বোচ্চ। মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে বেতন-ভাতাদি। এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ আগস্টের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়ে দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মূলত দেশটিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন করে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং কর্মীরাও বেশি বেতন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1631198395.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইনফ্রাসট্রাকচার বিলে সাইন করেছে। এখন তারা কাগজী ডলার ছাপার কাজ শুরু করবে। এর ফলে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব সারা পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পরবে। যেহেতু আমেরিকার পাশাপাশি অনেকেই নিজেদের কাগজী নোট ছাপবে, তাই অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে আমেরিকান ডলার খুব বেশি বিপাকে পরবে না। তবে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়াতে ইনভেস্টররা নিজেদেরকে মুদ্রাস্ফীতির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাতে সেফ হ্যাভেন খ্যাত গোল্ডের দিকে ঝুকবে বেশি। সেক্ষেত্রে গোল্ড মার্কেট আরো আপ হবার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে বেড়ে যাবে ।
[ATTACH=CONFIG]15959[/ATTACH]