-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৬ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/592188610.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1329 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। গতকাল মার্কিন ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পর EUR/USD পেয়ারের যে দরপতন দেখা গেছে, সেটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের শক্তিশালী হওয়ার ফলাফল, যা ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর আর্থিক নীতিমালা বজায় রাখার প্রত্যাশার ভিত্তিতে হয়েছে। পরিষেবা খাতের কার্যক্রমের প্রতিফলনকারী ISM সূচকটির ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় ইতিবাচক আসায় এটি মার্কিন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়। অদূর ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বেশ কয়েকটি বিষয়ের দ্বারা প্রভাবিত হবে, যার মধ্যে আগামীকাল ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও রয়েছে। তাই আপাতত EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা উচিত নয়। আজ সকালের মার্কেটের ট্রেডারদের মনোযোগ ইউরোজোনের বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে থাকবে, প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে: সার্ভিসেস PMI, কম্পোজিট PMI এবং উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI)। এই সূচকগুলো সাধারণত ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের মুভমেন্ট এবং মার্কেট সেন্টিমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, কারণ এগুলো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। বিশেষ করে সার্ভিসেস PMI ইউরোপীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সূচকের বৃদ্ধি উৎপাদন ও ভোক্তা চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হতে পারে। অপরদিকে, এই সূচকের পতন অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ধীরগতির এবং ইউরোর দুর্বলতার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। কম্পোজিট PMI, যা ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিসেস উভয় খাতের প্রতিবেদন একত্রিত করে উপস্থাপন করা হয়, ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি অধিক পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে। উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব পণ্য ও পরিষেবা ক্রয় করে, সেগুলোর মূল্যের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। PPI বৃদ্ধি পেলে সেটি মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়ার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তকে বিলম্বিত করতে পারে। ফলে ইউরো শক্তিশালী হতে পারে। অন্যদিকে, PPI-র পতন ডিফ্লেশনারি ঝুঁকির বার্তা দিতে পারে এবং নীতিগতভাবে আরও নমনীয় মুদ্রানীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1 আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1375-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1335-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1375এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2 আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1312-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1335 এবং 1.1375-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1 EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1312-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1277-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোনো সময় এই পেয়ারের বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2 MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1335-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1312 এবং 1.1277-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/44p354H
-
৭ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/945568028.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং যেগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর প্রভাবও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের উপর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরোর মূল্য এখনো সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে—তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত ও কম দৃশ্যমান। সারাদিনে একমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি করতে পারে, তবে সেটিও কেবল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যায়? সর্বোচ্চ ২০–৩০ পিপসের মুভমেন্ট? এমনকি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া এখনো অন্য কোনো মৌলিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা স্থগিত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লে ডলারের দরপতন হতে পারে, অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এটিকে এখনই 'বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন' বলা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি, তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাম্প জানেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে নতুন করে আগ্রাসী পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা কম। গত বুধবার আমরা দেখেছি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আজ সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে কিছুটা "ডোভিশ" না নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, তবে আমাদের মতে ফেড এখনো মূলত মুদ্রাস্ফীতির দিকেই নজর রাখছে। তাই তাদের অবস্থানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না। তবুও, যদি নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তাহলে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরো এখনো সাইডওয়েজ ট্রেডিং করছে, যদিও 1.1275 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এখনো কিছুটা বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও, কার্যত এখনো রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেবল সন্ধ্যার FOMC-এর বৈঠক থেকে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটিও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হচ্ছে না।
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৮ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2107681495.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1348 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি যথার্থ এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1303 এর টার্গেট লেভেলের দিকে হ্রাস পেতে শুরু করে। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ৪.৫০%-এ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল এবং বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্ক মনোভাব প্রতিফলিত করে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি মাত্রায় রয়েছে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বিবৃতিতে তিনি বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা তুলে ধরে বলেন এটি মুদ্রানীতির দিকনির্দেশনায় কিছুটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। পাওয়েল উল্লেখ করেন, শুল্কের ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, এবং একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের উচ্চ ব্যয় করতে হতে পারে ও ভবিষ্যতের বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে, যা অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে মন্থর করে দিতে পারে। তার মতে, এই বিষয়গুলো ফেডের বর্তমান নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের কারণ হতে পারে, যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনই কোনো পরিবর্তনের জন্য তড়িঘড়ি করছে না। পাওয়েলের মন্তব্যে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ছিল সীমিত। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্যের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিককেই বিবেচনায় নিয়েছে। সামনের দিকে, ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপ অনেকটাই নির্ভর করবে আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতির উপর। আজ সকালে জার্মানিতে শিল্প উৎপাদন এবং বাণিজ্য ঘাটতি/উদ্বৃত্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণত এই সূচকগুলোর ফয়ালফল ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে না, তবে এগুলো জার্মানির অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু অন্তর্দৃষ্টি দেবে। যদি শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, তাহলে ইউরোর মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। বিশেষ গুরুত্ব থাকবে ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পোনেন্টের দিকে, কারণ এই খাতই জার্মান অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। ট্রেড সারপ্লাস বা বাণিজ্য উদ্বৃত্তও ভূমিকা রাখবে। এই সূচকের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলে এটি ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, আর যদি বাণিজ্য ঘাটতি বা পতন পরিলক্ষিত হলে ইউরোর ওপর চাপ তৈরি হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1376-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1339-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1376 এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1321-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1339 এবং 1.1376-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1321-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1287-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1339-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1321 এবং 1.1287-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
১২ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/747058749.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার তুলনামূলকভাবে টেকনিক্যাল এবং পূর্বাভাসযোগ্য প্যাটার্ন অনুযায়ী ট্রেড করেছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার যখন এই পেয়ারের মূল্য তিন সপ্তাহ ধরে আটকে থাকা সাইডওয়েজ চ্যানেল ব্রেকআউট করেছিল, তখন যে মোমেন্টাম দেখা গিয়েছিল, তা মার্কিন ডলার ধরে রাখতে পারেনি। মনে করিয়ে দিচ্ছি, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফলকে "হকিশ বা কঠোর" হিসেবেই গণ্য করা যায়, কারণ জেরোম পাওয়েল মার্কেটের ট্রেডারদের "ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের" প্রত্যাশা নিশ্চিত করেননি। তবে, দীর্ঘ সময় ধরে ফেড হকিশ বা কঠোর অবস্থানে থাকলেও গত তিন মাস ধরে ডলার একটানা দরপতনের শিকার হয়েছে—এমনকি দরপতন রোধের কোনো বড় ধরনের প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি। সুতরাং, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো ফরেক্স মার্কেটের প্রধান চালিকা শক্তি। নতুন খবরের অভাবেই এটি আপাতত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নেই। ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি। ফলে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কতটা লাভজনক, তা মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে৩ না। তবুও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করেন, তার কথাই যথেষ্ট: তিনি যদি বলেন এটি "লাভজনক ও চমৎকার," তাহলে সেটাই সত্য। কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখন আর ট্রাম্পকে বিশ্বাস করে না—এবং তারা ঠিক কাজটিই করে। ফলস্বরূপ, গত কয়েকদিনে ডলারের মূল্য খুব বেশি বৃদ্ধি পায়নি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট শুক্রবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, তাও সন্ধ্যার দিকে। তখন মার্কেটে ট্রেডিং সেশন শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল, তাই এই সিগন্যাল নিয়ে কাজ করা সম্ভবত যুক্তিযুক্ত ছিল না। তবে, কেউ যদি শর্ট পজিশন ওপেন করতেন, তাহলে সামান্য কিছু মুনাফা অর্জন করা যেত বা অন্তত ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করে রেখে নিশ্চিন্তে উইকেন্ডের ছুটি কাটানো যেত। এশিয়ান সেশনে মূল্য 1.1191–1.1198 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে, তবে এখানে 1.1198 একটি নতুন লেভেল—যেটি শুক্রবার চার্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় আছে, যদিও তিন সপ্তাহ সাইডওয়েজ ট্রেডিংয়ের পর একটি নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে। সামগ্রিকভাবে মার্কেটে এখনো মার্কিন ডলারের প্রতি প্রবল নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। তবে, যদি ট্রাম্প নিজেই বাণিজ্য সংঘাত প্রশমনের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। টানা তিন মাস দরপতনের পর এই উর্ধ্বমুখী কারেকশন কতটা প্রসারিত হবে, সেই পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। সোমবারের ট্রেডিং পুরোপুরি টেকনিক্যাল ভিত্তির উপর নির্ভর করবে। মনে হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু হয়েছে, তবে এই দরপতন খুব বেশি শক্তিশালী নয় এবং ট্রেডাররা এখনো ডলার কেনার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1191–1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622, 1.1666, 1.1689। সোমবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তাই, যদি ট্রাম্প আবারও কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করেন, তাহলে আমরা চলমান নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে সীমিত মুভমেন্টের প্রত্যাশাই করছি।
Read more: https://ifxpr.com/4j21RQd
-
১৩ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/80580844.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হয়েছে। ট্রেডাররা সম্ভবত এরই মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে মার্কিন ডলারের মূল্যের আর শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যাবে না, কিন্তু আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার খবর আসে যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ৯০ দিনের জন্য 115% হারে শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এটি এখনো বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি নয়, তবে এটি একটি বড় অগ্রগতি। সংক্ষেপে মনে করিয়ে দিই: এর আগে ট্রাম্প ৭৫টি দেশের উপর একটি গ্রেস পিরিয়ড চালু করেন, যার আওতায় 10% হারে শুল্ক আরোপিত হয়, এবং পরে তিনি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও এসব পদক্ষেপ এখনো পুরোপুরিভাবে বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি নির্দেশ করছে না, তবে এগুলো একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ কারণেই এই ধরনের সংবাদের প্রভাবে ডলারের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনো এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর অন্যান্য সব বিষয়ের প্রভাব অত্যন্ত সীমিত।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/81410803.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। টেকনিক্যালি এই পেয়ার সঠিকভাবে ট্রেড করেছে, যার ফলে নতুন ট্রেডারদের জন্য বেশ কার্যকর পজিশন নেওয়ার সুযোগ ছিল। দিনের বেলায় একটিও ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়নি। যদি ট্রেডাররা সবগুলো সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রেড করতেন, তাহলে মোট পাঁচটি ট্রেড থেকে প্রায় 160 পিপস লাভ করা যেত।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অবশেষে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা যেতে শুরু করেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে প্রবল নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে, তবে যেহেতু ট্রাম্প নিজেই বাণিজ্য সংঘাতের প্রশমন ঘটাচ্ছেন, তাই অদূর ভবিষ্যতে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হতে পারে। ডলারের মূল্যের এই রিবাউন্ড কতটা জোরালো হবে, তা নির্ভর করছে ট্রাম্প কতগুলো চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষর করতে পারেন তার উপর। মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য আরও কমে যেতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের খবর একটি উল্লেখযোগ্য ও প্রবণতা-পরিবর্তনকারী অগ্রগতি, যা ডলারের পক্ষে যাচ্ছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এটি উপেক্ষা করতে পারবে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1191–1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন, তবে এখন মার্কেটের ট্রেডারদের মনোযোগ সম্পূর্ণরূপে ফেডের আর্থিক নীতিমালার দিকে নয়—বরং বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত অগ্রগতির দিকেই রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4diRlmA
-
EUR/USD: আবারও ফিরেছে ডলারের দাপট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1683037663.jpg[/IMG]
মার্কিন গ্রিনব্যাকের দর আবারও ঊর্ধ্বমুখী: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তিন মাসের শুল্ক যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর সোমবার মার্কিন ডলার সূচক চার সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে। এই খবরে ডলার সব প্রধান মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যার মধ্যে EUR/USD-ও রয়েছে। এপ্রিলের শুরু থেকে EUR/USD পেয়ারের বিক্রেতারা প্রথমবারের মতো মূল্যের 1.10 জোনের টেস্ট ঘটায়, যার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই 150 পয়েন্টের বেশি দরপতন ঘটে। এবং ডলারের ক্রেতাদের মধ্যে পরিলক্ষিত সামগ্রিক উচ্ছ্বাসের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে, মার্কিন-চীন সম্পর্কের বহু প্রতীক্ষিত উষ্ণতায় ভর করে আগামী দিনে ডলার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখার চেষ্টা করবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই উচ্ছ্বাস কতদিন স্থায়ী হবে? আলোচনার শুরু নিয়ে প্রাথমিক উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত কতদূর বাস্তব আলোচনায় গড়াবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা উদ্বেগেও রূপ নিতে পারে। অতীত ইতিহাস বিবেচনা করলে এই পরিস্থিতিতে "সতর্ক আশংকা" করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জেনেভার ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে শুরু করা যাক, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর শুল্ক 145% থেকে কমিয়ে 30%-এ নামিয়ে আনে, এবং চীন আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক 125% থেকে কমিয়ে 10% করে। উভয় দেশই পারস্পরিকভাবে শুল্ক হ্রাস করেছে এবং "অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের জন্য একটি কাঠামো" তৈরিতে সম্মত হয়। অর্থাৎ, তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে—যা হতে পারে চীনে, যুক্তরাষ্ট্রে অথবা তৃতীয় কোনো দেশে (বর্তমান দৃষ্টান্তে যেমন সুইজারল্যান্ড)। জেনেভার বৈঠক একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা প্রক্রিয়ার প্রস্তাবনা হিসেবে কাজ করেছে। "সৌহার্দ্যপূর্ণ ইঙ্গিত" হিসেবে উভয় দেশ মিলে 90 দিনের জন্য মোট 115% হারে শুল্ক কমিয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে এই সময়সীমার মধ্যেই চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হবে—এখানে কোনো নির্ধারিত ডেডলাইন নেই। মনে করিয়ে দিই, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় ২০১৮ সালেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হয়েছিল এবং কিছু সমঝোতাও হয়েছিল, কিন্তু অল্প কিছুদিন পরেই উত্তেজনা আবার বেড়ে যায়। সেই আলোচনা ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলে, এবং প্রথম ধাপের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। অবশ্য এর মানে এই নয় যে বর্তমান আলোচনাও দীর্ঘমেয়াদি হবে। তবে দ্রুত যেকোনো চুক্তি হয়ে যাবে—এমন প্রত্যাশাও অযৌক্তিক। ডলার ক্রেতাদের মধ্যে (সম্ভবত অতিমাত্রায়) ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, অনেকেই ভাবছেন ইতিবাচক পরিণতি আসন্ন। এবং এখানেই ডলারের জন্য ঝুঁকি রয়েছে—কারণ সোমবারের উচ্ছ্বাসের "হ্যাংওভার" খুবই তীব্র হতে পারে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—যুক্তরাষ্ট্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেনি, যদিও বড় ধরনের শুল্ক ইতোমধ্যেই মাসখানেক আগে কার্যকর হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, যেটি এখনো বিস্তারিত চূড়ান্ত না হওয়া একটি প্রাথমিক কাঠামো মাত্র; তাছাড়া, হোয়াইট হাউস কিছু ছাড় দিলেও ব্রিটিশ পণ্যের উপর এখনো 10% শুল্ক আরোপিত রয়েছে—যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ঘাটতি নেই। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছেন, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড সারপ্লাস বা বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আছে, তাদের পণ্যের উপর "10%-এর চেয়েও বেশি" শুল্ক আরোপ করা উচিত। সম্ভবত এই কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ভিয়েতনাম ও জাপানের সঙ্গে আলোচনা (যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে বলা হচ্ছে) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনাও থমকে গেছে। এবং একই কারণে চীনের সঙ্গে "দ্রুত চুক্তি" হওয়ার সম্ভাবনাও কম। নতুন ঘোষিত 90 দিনের বাণিজ্যযুদ্ধে বিরতির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—এই "অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক ব্যবস্থা" মার্চ মাসে সমস্ত মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের উপর আরোপিত খাতভিত্তিক শুল্কে প্রযোজ্য নয়। এটি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় চীনের উপর আরোপিত বিদ্যমান শুল্কও বাতিল করছে না। তাহলে এর অর্থ কী? একদিকে সোমবারের ডলার শক্তিশালী হওয়ার পেছনে যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে, শুল্কে স্বস্তি এসেছে, এবং উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা কিছুটা কমেছে, যার ফলে ডলারের প্রতি চাহিদা বেড়েছে। স্বল্পমেয়াদে এটি ডলারের জন্য সহায়ক। তবে, একবার প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে গেলে এবং মার্কিন-চীন আলোচনাগুলো মৌলিক ইস্যুতে থমকে গেলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। উল্লেখযোগ্য যে EUR/USD বিক্রেতারা এই নিম্নমুখী প্রবণতার সময় মূল্য 1.10 জোনে রাখতে পারেনি—প্রথম প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। 1.1110 সাপোর্ট লেভেল (৪ ঘণ্টার চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের নিচের সীমা) বিক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে—মূল্য এই লেভেলের নিচে স্থায়ীভাবে থাকতে পারেনি। তাই শুধুমাত্র এই লেভেল ব্রেক করে মূল্য নিচের দিকে যাওয়ার পরই শর্ট পজিশনের কথা চিন্তা করা যেতে পারে (যদি তা ঘটে)। অন্যথায়, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা (কমপক্ষে একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট হিসেবে) মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং মূল্যকে 1.12 জোনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/458E11V
-
EUR/USD: অবশেষে জেগে উঠল মার্কেট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/628368331.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের এপ্রিল মাসের CPI প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হেডলাইন ইনফ্লেশন কমেছে এবং কোর ইনফ্লেশন স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি উপাদান প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল, কিন্তু ডলার এই প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা খুব একটা প্রভাবিত হয়নি। EUR/USD পেয়ারের মূল্য কয়েক ডজন পিপস বেড়ে 1.11 রেঞ্জে স্থির রয়েছে, আর ডলার সূচক ধীরে ধীরে 101.00 লেভেলের দিকে সরে আসছে। তবে বিষয়টি কেবল CPI প্রতিবেদনেই সীমাবদ্ধ নয়—বাস্তবতা হলো, মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের সাময়িক বিরতির খবরে যে উচ্ছ্বাস ছিল, তা এখন মিলিয়ে যাচ্ছে। সেই উচ্ছ্বাসের জায়গা নিচ্ছে "হ্যাংওভার"—কারণ তারা এখন বুঝতে পেয়েছে, এই বিরতি সাময়িক এবং মূল আলোচনা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, EUR/USD-এর বিক্রেতারা দ্রুত বিক্রি করে মুনাফা নিয়ে নিচ্ছে, যার ফলে নিম্নমুখী মুভমেন্ট থেমে গেছে। যদিও CPI প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে আগের দিনের ঘটনাগুলোই ট্রেডারদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। তবুও এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না—এটি এপ্রিল মাসের মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি তুলে ধরেছে, যখন নতুন শুল্কগুলো ইতোমধ্যেই কার্যকর ছিল। কিছু বিশ্লেষকের আশঙ্কা অনুযায়ী ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায়নি, অন্তত এপ্রিল পর্যন্ত। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব মে কিংবা জুন–জুলাই মাসে আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। CPI প্রতিবেদন প্রতি ট্রেডারদের নিস্পৃহ প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায়, এই মতামতই বর্তমানে প্রাধান্য পাচ্ছে।
প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসার: হেডলাইন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক এপ্রিল মাসে বার্ষিক ভিত্তিতে 2.3%-এ পৌঁছেছে, যা মার্চের 2.4%-এর তুলনায় কম এবং ট্রেডারদের প্রত্যাশার নিচে। মূলত CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক টানা তিন মাস ধরে হ্রাস পাচ্ছে। তুলনামূলকভাবে জানুয়ারিতে এই সূচক 3.0%-এ ছিল এবং এখন তা ফেডের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছেছে। কোর ইনফ্লেশন ইনডেক্স (খাদ্য ও জ্বালানি বাদ দিয়ে বিবেচিত) বরাবরের মতোই অপরিবর্তিত ছিল। কোর CPI এপ্রিলেও বার্ষিক ভিত্তিতে 2.8%-এ স্থির ছিল, যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে—খাদ্যদ্রব্য র দাম মার্চে 3.0% থেকে কমে 2.8%-এ নেমে এসেছে। পরিবহন সেবার মূল্যবৃদ্ধিও কমে এসেছে ( 3.1% থেকে 2.5%-এ নেমে এসেছে)। এপ্রিল মাসে জ্বালানির দাম 3.7% হ্রাস পেয়েছে (যেখানে পেট্রোলের দাম 12% কমেছে এবং মার্চে 9.8% কমেছিল)। নতুন গাড়ির দাম 0.3% বেড়েছে, এবং ব্যবহৃত গাড়ির দাম 1.5% বেড়েছে।
এর মানে কী দাঁড়ায়? যদি যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্কযুদ্ধ শুরু না করত, তাহলে CPI প্রতিবেদন ফেডের পরবর্তী সুদহার হ্রাসের প্রত্যাশাকে এগিয়ে আনতে পারত। তবে, যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, এখনকার মূল ধারণা হলো—এই শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব পরে ধরা পড়বে, বিশেষ করে এই গ্রীষ্মে, যদি তা বহাল থাকে। হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন 115% হারে পারস্পরিক শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছে, কিন্তু এখনও চীনা পণ্যের উপর 30% মার্কিন শুল্ক কার্যকর রয়েছে, যা অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই চুক্তির আওতায় মার্চে ট্রাম্পের আরোপিত খাতভিত্তিক শুল্ক বা তার প্রথম মেয়াদের শুল্ক অন্তর্ভুক্ত নয়। তাছাড়া ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত পণ্যের উপর এখনও 10% শুল্ক রয়েছে—যেখানে গাড়ি, অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর 25% পর্যন্ত শুল্ক বহাল রয়েছে। এমনকি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে "ডি ফ্যাক্টো" চুক্তির মাধ্যমেও শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়নি—10% শুল্ক এখনো বহাল আছে। এই প্রেক্ষাপটে আগামী কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নিয়ে ট্রেডারদের উদ্বেগ যুক্তিযুক্ত, এবং এর মাধ্যমেই CPI প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়।
EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস মার্কিন ডলারের বিপরীতে EUR/USD পেয়ারের নতুন করে প্রবল দরপতন শুরু হতে হলে বিক্রেতাদের জন্য নতুন কোনো কারণ প্রয়োজন—যেমন, মার্কিন-চীন আলোচনা সম্পর্কিত নির্দিষ্ট সময়সূচি বা এজেন্ডা প্রকাশ। বর্তমানে মার্কেটে তথ্যশূন্যতা বিরাজ করছে—যদিও উভয় দেশ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে, তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। আলোচনার শুরু হওয়ার খবর ইতিমধ্যেই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তাই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে EUR/USD পেয়ারের নতুন কিছু দরকার। এই তথ্যশূন্য পরিস্থিতিই ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং EUR/USD পেয়ারকে 1.11 রেঞ্জে কারেকশন করার সুযোগ দিচ্ছে। EUR/USD বিক্রি করা তখনই যৌক্তিক হবে, যদি বিক্রেতারা মূল্যকে দিয়ে 1.1120 সাপোর্ট লেভেলের (ডেইলি চার্টের নিচের বলিঙ্গার ব্যান্ড) ব্রেক ঘটায় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, তার নিচে কনসোলিডেট হয় (অর্থাৎ, 1.10 রেঞ্জে প্রবেশ করে)। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী বিয়ারিশ মুভমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1050 (H4-এর নিচের BB) এবং 1.0920 (D1-এর আপার কুমো ক্লাউড বাউন্ডারি)। যদি আলোচনা থেমে যায় বা মতপার্থক্য দেখা দেয়, তাহলে মার্কেটে আবারও মার্কিন অর্থনৈতিক স্থবিরতার আশঙ্কা ফিরে আসবে, যা ডলারের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেবে। তাই স্বল্পমেয়াদে যদি 1.1120 লেভেল ব্রেক না হয়, তাহলে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, যার প্রথম লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1230—যেখানে দৈনিক চার্টে টেনকান-সেন ও কিজুন-সেন লাইন একত্রিত হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3FaublM
-
EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস, ১৬ মে – ডলারের জন্য কঠিন পথ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1903354557.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য দুইবার 1.1181 লেভেলের 127.2% ফিবোনাচি লেভেলের দিকে নেমে যায় এবং দুইবারই সেখান থেকে রিবাউন্ড করে, যা ইউরোর দর বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে আজ 1.1265–1.1282 রেজিস্ট্যান্স জোনের দিকে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে যদি মূল্য 1.1181 লেভেলের নিচে নিশ্চিতভাবে ক্লোজ করে, তাহলে মার্কিন ডলারের পক্ষে মুভমেন্ট শুরু হতে পারে এবং মূল্য আবারও 1.1074–1.1081 সাপোর্ট জোনের দিকে নেমে যেতে পারে। বিক্রেতারা এখনো মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করছে, তবে চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে ওয়েভ স্ট্রাকচার এখনো সহজসাধ্য। সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ আগের সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, আর সর্বশেষ নিম্নমুখী ওয়েভ আগের সর্বনিম্ন লেভেল ব্রেক করেছে—যা বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রাখছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা অগ্রগতির খবর বিক্রেতারা সমর্থন দিলেও, বিজয়ী হওয়ার আগে তাদের আরও অনেক বাধা অতিক্রম করতে হবে। বৃহস্পতিবারের মৌলিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের ক্রেতা এবং বিক্রেতা— কারো জন্যই খুব একটা সহায়ক ছিল না। ইউরোজোনে মার্চ মাসে শিল্প উৎপাদন রেকর্ড 2.6% বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি 0.4% থেকে কমে 0.3% হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এপ্রিল মাসে খুচরা বিক্রয় 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছে—যা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়েছে, কিন্তু PPI বা উৎপাদক মূল্য সূচক 0.5% হ্রাস পেয়েছে। জেরোম পাওয়েলের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পূর্বাভাসের বদলে এই প্রতিবেদন বরং ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একপর্যায়ে, পাওয়েলকেও হয়তো পিছু হটতে হবে এবং চাপের মুখে ফেড হয়তো সুদের হার কমানোর পথে হাঁটতে বাধ্য হবে—যদিও গত বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, এমন পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার পুরো দিনজুড়ে মার্কেটে এই বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা গেছে, আর ট্রেডাররা ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্য চুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে—যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা অব্যাহত রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। ৪-ঘন্টার চার্টে, পেয়ারটির মূল্য এখনো 1.1213-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেলের নিচে অবস্থান করছে, যা 76.4% রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.0969 পর্যন্ত আরও দরপতনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে রেখেছে। 1.1213 থেকে একটি রিবাউন্ড ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে পারে, অন্যদিকে এই লেভেলের ওপরে ক্লোজিং হলে সেটি ইউরোর পক্ষে সহায়ক হবে এবং বুলিশ প্রবণতা আবারও ফিরতে পারে—টার্গেট হবে 127.2% ফিবোনাচি লেভেল 1.1495। CCI ইন্ডিকেটরে একটি বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা মূল্যপতনের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট: সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রফেশনাল ট্রেডাররা 2,196টি লং পজিশন ও 2,118টি শর্ট পজিশন ক্লোজ করেছে। নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মধ্যে সেন্টিমেন্ট এখনো বুলিশ, এবং এর পেছনে ট্রাম্পের ভূমিকাও রয়েছে। বর্তমানে স্পেকুলেটরদের কাছে 194,000টি লং পজিশন এবং 118,000টি শর্ট পজিশন রয়েছে। কয়েক মাস আগেও এই চিত্র উল্টো ছিল। বড় বিনিয়োগকারীরা ২০ সপ্তাহ ধরে ইউরোর পজিশন হ্রাস করলেও এখন টানা ১৩ সপ্তাহ ধরে তারা লং পজিশন বাড়াচ্ছে এবং শর্ট পজিশন কমাচ্ছে। যদিও ইসিবি এবং ফেডের আর্থিক নীতিগত ব্যবধান এখনো ডলারের পক্ষে কাজ করছে, তবে ট্রাম্পের রাজনৈতিক পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে—এবং সেটিই সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা। অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার – ১৬ মে: যুক্তরাষ্ট্র: বিল্ডিং পারমিট (12:30 UTC) হাউজিং স্টার্টস (12:30 UTC) ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজিউমার সেনটিমেন্ট ইনডেক্স (14:00 UTC) শুক্রবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর কোনোটিকেই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে, মৌলিক প্রেক্ষাপট মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর সীমিত প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। EUR/USD পূর্বাভাস এবং ট্রেডিং পরামর্শ: ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে যদি মূল্য 1.1181-এর নিচে থাকা অবস্থায় সেশন শেষ হয়, তাহলে পেয়ারটি বিক্রি করা যেতে পারে—লক্ষ্যমাত্র হবে 1.1074–1.1081 জোন। বিকল্পভাবে, ৪-ঘন্টার চার্টে 1.1213 লেভেল থেকে আরেকটি রিবাউন্ড হলেও বিক্রির সুযোগ তৈরি হতে পারে। বর্তমানে, আমি এমন কোনো স্পষ্ট প্যাটার্ন দেখছি না যা এই পেয়ার ক্রয়ের জন্য সহায়ক হতে পারে। ফিবোনাচি গ্রিড: ঘণ্টাভিত্তিক চার্ট: 1.1265 – 1.1574 ৪-ঘন্টার চার্ট: 1.1214 – 1.0179
Read more: https://ifxpr.com/3S4nvZn
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ১৯ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/739603382.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের বিশ্লেষণ শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে। যদিও ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দেখে মনে হতে পারে যে সারাদিন ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছিল, তবে প্রকৃতপক্ষে সারাদিনে মার্কিন ডলারের দর মাত্র ১৯ পিপস বেড়েছে—যা কার্যত বৃদ্ধি পেয়েছে বলার মতো পর্যাপ্ত নয়। সামগ্রিকভাবে, এখনো ধীর গতিতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় রয়েছে, যার পেছনে মৌলিক কারণ হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর ব্যাপারে অনাগ্রহ এবং বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া কাজ করছে। তবে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো ডলারের প্রতি সংশয়ী মনোভাব বিরাজ করছে, এবং কেবলমাত্র সামান্য পরিমাণে ডলারের ক্রয়-বিক্রয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডলারের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি। শুক্রবার ডলার বিক্রির পক্ষেই যুক্তি বেশি ছিল বলা যায়। ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি বা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদন—হাউজিং স্টার্টস, বিল্ডিং পারমিটস, এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স—সাধারণত মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। তবুও, এই তিনটি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল। তবুও, এই সময় ডলারের দর বেড়েছে, যা আবারও প্রমাণ করে যে বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি ও মার্কেটে পরিলক্ষিত মুভমেন্টের মধ্যে কোনো সুস্পষ্ট সম্পর্ক বিদ্যমান নেই। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে মাত্র একটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া গেছে। মার্কিন সেশনের সময়, মূল্য 1.1179–1.1185 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, এরপর নিম্নমুখী হতে থাকে এবং পরবর্তীতে মূল্য 1.1147-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়। এই লেভেলটি শর্ট পজিশন ক্লোজ করার জন্য উপযুক্ত ছিল, যার ফলে এই ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/763451445.jpg[/IMG]
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট ১৩ মে প্রকাশিত হয়েছে। উপরের চার্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশনের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিক্রেতারা অল্প সময়ের জন্য মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, তবে দ্রুত তা হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলারের দরপতন হচ্ছে। যদিও বলা যাচ্ছে না এই প্রবণতা কতদিন চলবে, তবুও COT রিপোর্ট বড় ট্রেডারদের মানসিকতা প্রতিফলিত করে—যদিও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মানসিকতা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। ইউরোর পক্ষে কোনো এমন কোনো মৌলিক কারণ নেই যা এটিকে শক্তিশালী করতে পারে, তবে ডলারের উপর রাজনৈতিক চাপ অনেক বেশি। আরও কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে, তবে গত ১৬ বছরের দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা এত সহজে বদলাবে না। একবার ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ হলে, পুনরায় ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। COT চার্টে লাল ও নীল লাইন আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা একটি নতুন বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের লং পজিশনের সংখ্যা 15,400টি বেড়েছে, আর শর্ট পজিশনের সংখ্যা বেড়েছে 6,300টি। ফলে নিট পজিশনের সংখ্যা 9,000 কন্ট্রাক্ট বেড়ে গেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/366922073.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে কমছে, যা বিস্তৃত পরিপ্রেক্ষিতে একটি কারেকশন হিসেবেই বিবেচনা করা যায়। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট এখনো বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের সঙ্গে প্রভাবে হচ্ছে। যদি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর অব্যাহত থাকে এবং মার্কিন শুল্কের মাত্রা হ্রাস পায়, তাহলে মার্কিন ডলার সেই লেভেলগুলোতে আরও পুনরুদ্ধার করতে পারে, যেখানে সর্বশেষ নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্ট কোনো টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না—বরং বৈশ্বিক বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতিই একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ১৯ মে তারিখে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.0823, 1.0886, 1.0949, 1.1006, 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1321, 1.1426, 1.1534; সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি (1.1224) এবং কিজুন-সেন (1.1165) লাইন রয়েছে। ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইনগুলো দিনভর অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল নির্ধারণের সময় তা বিবেচনায় নিতে হবে। প্রতিবার যখন মূল্য আপনার অনুকূলে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে, তখনই ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে হবে—ভুল সিগন্যাল থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য এটি একটি বাধ্যতামূলক কৌশল। সোমবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না। পুরোপুরি টেকনিক্যাল লেভেল এবং ইন্ডিকেটর লাইনের উপর ট্রেডিং নির্ভর করবে। এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে, তাই ডলার আবারও শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তবে আমরা বারবার দেখেছি, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ডলার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়, এবং তারা ডলারের পক্ষে থাকা অনেক ইতিবাচক বিষয়ই উপেক্ষা করছে।
চিত্রের ব্যাখা: মূল্যের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল – গাঢ় লাল লাইন; যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে। তবে এগুলো সরাসরি ট্রেডিং সিগন্যাল নয়। কিজুন সেন ও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন – শক্তিশালী ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইন, যা ৪-ঘণ্টা চার্ট থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানান্তর করা হয়েছে। Extremum লেভেল – হালকা লাল লাইন; যেখানে পূর্বে মূল্য রিবাউন্ড করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। হলুদ লাইন – ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল প্যাটার্ন নির্দেশ করে। COT ইন্ডিকেটর 1 – চার্টে প্রতিটি গ্রুপের ট্রেডারদের নিট পজিশনের পরিমাণ প্রদর্শন করে।
Read more: https://ifxpr.com/4dtbOFo
-
২০ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1020008279.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই আজ মৌলিক প্রেক্ষাপট উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল খুব কমই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রেডাররা ডলারের পক্ষে থাকা যেকোনো ইতিবাচক ফলাফল উপেক্ষা করেছে এবং ডলারের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রতিবেদনগুলোর প্রতিই বেশি প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, তিন মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে ইউরোর মূল্য এখনও নিম্নমুখী কারেকশনের মধ্যে রয়েছে, এবং পাউন্ডের মূল্য একটি সাইডওয়েজ রেঞ্জেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেবেন যার মধ্যে রয়েছেন: বারকিন, বস্টিক, কলিন্স, মুসালেম, কুগলার, ডেইলি এবং হ্যাম্যাক। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) থেকে ডনারি, চিপোলোনে এবং বুখ বক্তব্য দেবেন। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিলের বক্তব্যও ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, এসব বক্তব্য শুনে লাভ কী, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং দিকনির্দেশনা আগে থেকেই পুরোপুরি স্পষ্ট? আমাদের মতে, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্যযুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে প্রশমিত হলেও এখনও পুরোপুরিভাবে এর প্রভাব শেষ হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এই প্রতিবেদনগুলো ডলারের উপর খুব সামান্যই প্রভাব ফেলছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন বা যদি অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর না হয়, তাহলে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এমনকি নতুন কোনো শুল্ক ছাড়াও পুনরায় ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি ট্রেডাররা এখনও অত্যন্ত নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। আজ মৌলিক প্রেক্ষাপটের তেমন কোনো প্রভাব থাকবে না এবং কখন ট্রাম্প নতুন করে প্রভাবশালী বিবৃতি দেবেন সেই পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব। আমাদের অনুমান, আজ মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কম থাকবে এবং মুভমেন্টও সীমিত হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে নিম্নমুখী হতে পারে, এবং এক মাসব্যাপী পরিলক্ষিত নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যেই ইউরোর মূল্য়ের কারেকটিভ মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4k3qKwr