-
Gbp/usd পেয়ারের ডেইলী আপডেট/ট্রেডিং সিগন্যাল, ২০২৫
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ, ১০ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1879509139.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ বুধবার ডিসেন্ডিং চ্যানেলের ভেতরে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। তবে 4-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে একটি আরও আকর্ষণীয় পরিস্থিতি দেখা গেছে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্য একাধিকবার সেনকৌ স্প্যান B লাইন ব্রেক করার চেষ্টা করেছে—কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। এর অর্থ হলো, ইচিমোকু সূচক এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সংকেত দিচ্ছে না; বরং এটি একটি কারেকশন, যা আজ বা আগামীকালই শেষ হতে পারে। একইসাথে, 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে এই পেয়ারের কনসোলিডেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নিম্নমুখী কারেকশনের সমাপ্তির ইঙ্গিত দেবে। খুব সহজেই এই ধরনের মুভমেন্ট ঘটতে পারে। এর পাশাপাশি, গত এক সপ্তাহে ডলারের দর শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারেকশনের ভিত্তিতে বেড়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা আপাতত ডলার বিক্রির পুনরায় শুরু থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে। ট্রাম্প বেশ কয়েকটি নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার পরও বাস্তবে কোনো শুল্ক প্রয়োগ করা হয়নি বা বৃদ্ধি পায়নি। তবুও, ট্রেডাররা সবচেয়ে খারাপ কিছুর আশঙ্কা করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল মৌলিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল উপেক্ষা করছে—যেমনটি গত সপ্তাহেও দেখা গেছে। তাহলে ডলারকে কী সাহায্য করতে পারে? যদি ট্রাম্পের শুল্ক বাতিল হয়। আর সেটা কে করবে? কেউ না। 5-মিনিটের চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান B লাইন এবং 1.3615 লেভেলের মধ্যে অবস্থিত সংকীর্ণ সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করেছে। এই লোয়ার টাইমফ্রেমেও, এই পেয়ারের মূল্য একদিনে চারবার ইচিমোকু ক্লাউডের নিচের সীমা থেকে রিবাউন্ড করেছে—যা প্রত্যেকবারই বাই সিগনাল হিসেবে কাজ করেছে। এর মধ্যে কেবলমাত্র একটি ট্রেডই 1.3615 লেভেলের নিকটতম টার্গেটে পৌঁছেছে, তবে কোনো লং পজিশন থেকেই লোকসান হয়নি। 1.3615 লেভেল থেকেও মূল্য দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা ট্রেডারদের জন্য দুটি অতিরিক্ত শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ দিয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য প্রায় সেনকৌ স্প্যান B লাইনের কাছাকাছি ফিরে গেছে।
COT রিপোর্ট ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুযায়ী, কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মনোভাব গত কয়েক বছরে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন নির্দেশকারী লাল এবং নীল লাইনগুলো প্রায়শই একে অপরকে অতিক্রম করছে এবং সাধারণত শূন্য স্তরের কাছাকাছি রয়েছে। বর্তমানে এই লাইনগুলো আবারও কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা লং এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা প্রায় সমান হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তবে গত 18 মাসে সামগ্রিকভাবে নেট পজিশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতেও এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালার কারণে ডলার অব্যাহতভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে, তাই পাউন্ডের প্রতি মার্কেট মেকারদের চাহিদার বিষয়টি বর্তমানে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেভাবেই হোক, বাণিজ্য যুদ্ধ আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলবে বলে মনে হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, ডলারের চাহিদা দুর্বল থাকাটাই স্বাভাবিক। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 7,300টি লং এবং 10,300টি শর্ট পজিশন ওপেন করেছে। সুতরাং, সপ্তাহজুড়ে নেট পজিশনের সংখ্যা 3,000 কমেছে, যা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। 2025 সালে, পাউন্ড উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে, তবে এর কারণ হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি। এই প্রভাব একবার শেষ হলে, ডলার আবারও শক্তিশালী হতে পারে, তবে তা কখন হবে কেউ জানে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প কেবল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, এবং আগামী চার বছরে আরও অনেক অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
GBP/USD 1H চার্টের পেয়ারের বিশ্লেষণ 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, এখনো GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট বজায় রয়েছে, যা একটি টেকনিক্যাল কারেকশন। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের সকল ইতিবাচক ফলাফল উপেক্ষা করেছে এবং সেনকৌ স্প্যান B লাইনের উপরে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা মনে করি, পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা খুব শিগগিরই পুনরায় শুরু হবে। ইচিমোকু ক্লাউডের নিচে কনসোলিডেশন ঘটলে ডলারের মূল্য স্বল্প সময়ের জন্য বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এমন অবস্থায়ও আমরা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির আশা করছি না। ১০ জুলাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেল: 1.3212, 1.3288, 1.3358, 1.3439, 1.3489, 1.3537, 1.3615, 1.3741–1.3763, 1.3833, 1.3886 প্রাসঙ্গিক লেভেল: সেনকৌ স্প্যান B - 1.3569 এবং কিজুন-সেন - 1.3602 এই পেয়ারের মূল্য সঠিক দিকে 20 পয়েন্ট এগিয়ে গেলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। মনে রাখবেন, ইচিমোকু সূচকের লাইনসমূহ দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল নির্ধারণ করার সময় তা বিবেচনায় রাখতে হবে। বৃহস্পতিবারের দৃষ্টিভঙ্গি বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোন দেশেই কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। এই সপ্তাহে ডলারের নেতিবাচক মৌলিক প্রতিবেদন উপেক্ষিত হয়েছে করেছে, তবে বর্তমান মুভমেন্ট এখনো একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এটি খুব শিগগিরই শেষ হতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১১ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/31710412.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতিমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3598-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা সীমিত হয়েছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি এবং পুরো নিম্নমুখী মুভমেন্ট কাজে লাগাতে পারিনি। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বা মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যেসব দেশের ওপর অতিরিক্ত 35% শুল্ক আরোপের হুমকি এসেছে, তা ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে সেটা বলা যাচ্ছে না। উল্লেখযোগ্য যে, যুক্তরাজ্যের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, তাই পাউন্ডের দরপতন মূলত কারেন্সি মার্কেটে ডলারের মূল্যের বিস্তৃত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ফলাফল হিসেবেই দেখা যেতে পারে। আজ, বিশেষ করে যারা GBP/USD ট্রেড করছেন, তাদের একটি সক্রিয় সেশনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। যুক্তরাজ্য থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা পাউন্ড-ডলারের বিনিময় হারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী দিক নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে। দিনের প্রথমার্ধে তিনটি মূল অর্থনৈতিক সূচকের দিকে দৃষ্টি থাকবে: প্রথমেই যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মোট মূল্য প্রতিফলিত করে। জিডিপি প্রতিবেদনের প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ফলাফল পাউন্ডকে সমর্থন দিতে পারে, অন্যদিকে দুর্বল ফলাফল পাউন্ডের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। পরবর্তীতে শিল্প উৎপাদনের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে, যা যুক্তরাজ্যের শিল্প খাতের কার্যক্রমের পরিসংখ্যান নির্দেশ করে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তা যুক্তরাজ্যের পণ্যের চাহিদা বাড়ার ইঙ্গিত দেয় এবং পাউন্ডকে শক্তিশালী করতে পারে। সবশেষে বাণিজ্য ঘাটতির তথ্য প্রকাশিত হবে, যা রপ্তানি ও আমদানির পার্থক্য তুলে ধরে। নেতিবাচক ট্রেড ব্যালেন্স (যেখানে আমদানি রপ্তানির চেয়ে বেশি) পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে, কারণ এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে যুক্তরাজ্য রপ্তানি থেকে যা উপার্জন করছে, তার চেয়ে বেশি খরচ করছে আমদানিতে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল GBP/USD-এর ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে পারে এবং এই পেয়ারের মূল্য নতুন সাপ্তাহিক নিম্নমুখী লেভেলে পৌঁছাতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3596-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3568-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3596-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে কারেকশনের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3547-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3568 এবং 1.3596-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3547-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3518-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3568-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3547 এবং 1.3518-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৪ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/283851302.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3532 লেভেল টেস্ট করেছিল — যা পাউন্ড বিক্রি করার একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এই পেয়ারের ক্ষেত্রে 30 পিপসের বেশি দরপতনের সূচনা করেছিল। গত সপ্তাহের শেষে যুক্তরাজ্যের জিডিপি ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিনিয়োগকারীরা যখন দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির লক্ষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, তখন তারা ব্রিটিশ মুদ্রা বিক্রি অব্যাহত রাখেন, যার ফলে ডলার ও ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের মূল্য তীব্রভাবে হ্রাস পায়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি হতাশাজনক ছিল, যা মার্কিন বাণিজ্যনীতির অনিশ্চয়তার মধ্যে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে শিল্প উৎপাদনের পতনটি সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয়, কারণ এটি দেশটির রপ্তানি সক্ষমতা হ্রাস এবং ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। দুর্ভাগ্যবশত, আজ যুক্তরাজ্যে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, যার অর্থ হলো পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হতে পারে। এটি ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের এক ধরনের নিখুঁত অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। ইতিবাচক কোনো অর্থনৈতিক খবরের অনুপস্থিতি পাউন্ডকে সমর্থনহীন করে ফেলেছে, যার ফলে এটি আরও চাপের শিকার হতে পারে। মার্কেটে পাউন্ডকে ঘিরে যে বিয়ারিশ প্রবণতা ইতোমধ্যেই গঠিত হচ্ছে, তা প্রতিরোধ করার জন্য যদি কোনো ইস্যু সামনে না আসে, তবে আরও তীব্র দরপতন হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3531-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3484-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3531-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ পাউন্ডের মূল্যের যেকোন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3450-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3484 এবং 1.3531-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3450-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3403-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3484-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3450 এবং 1.3403-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1055261402.jpg[/IMG]
আজ GBP/USD পেয়ার 1.3430–1.3435 লেভেলের মধ্যে কনসোলিডেশনের মধ্যে রয়েছে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্য এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের সময় রেকর্ডকৃত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের তুলনায় সামান্য ওপরে অবস্থান করছে। এই মূহূর্তে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে মৌলিক দিক থেকে এই প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতারই সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পরবর্তীতে সম্ভাব্যভাবে এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের হতাশাজনক ফলাফল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আগস্ট মাসে আরেকবার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে আরও জোরালো করেছে। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার বিপরীতে অবস্থান করছে, যা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। যদিও সাময়িকভাবে মার্কিন ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম থেমে যাওয়ায় এই পেয়ারের দরপতন কিছুটা সীমিত হয়েছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, 4-ঘণ্টার চার্টে এই পেয়ারের মূল্য 100-পিরিয়ড সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার বিষয়টি গত সপ্তাহে বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল ছিল। তবে একই টাইমফ্রেমে রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI) ইতোমধ্যে ওভারসোল্ড স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে দৈনিক ভিত্তিতে কনসোলিডেশন অথবা একটি সামান্য রিবাউন্ড দেখা যেতে পারে। তবে, যেকোনো প্রকার রিবাউন্ডের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3475 লেভেলের আশেপাশে রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হবে, যা মূল্যকে 1.3500 সাইকোলজিক্যাল রেজিস্ট্যান্সের নিচে আটকে রাখবে। এই লেভেলের ওপরে একটি স্থিতিশীল মুভমেন্ট শর্ট কাভারিং শুরু করতে পারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে ধাপে ধাপে 1.3550 মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স, তারপর 1.3600-এর রাউন্ড লেভেল এবং 1.3620–1.3625 সাপ্লাই জোনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, বিয়াররা নতুন শর্ট পজিশন নেওয়ার আগে 1.3400-এর গুরুত্বপূর্ণ সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট লেভেলের স্পষ্টভাবে ব্রেকআউটের পর মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার অপেক্ষায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য দ্রুতগতিতে নিম্নমুখী হতে পারে এবং পরবর্তীতে মূল্য গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট 1.3355 লেভেল যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, এরপর মূল্য 1.3300-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। আরও দরপতন হলে পেয়ারটির মূল্য 100-দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) এর দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা বর্তমানে 1.3265 লেভেলের আশেপাশে অবস্থান করছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/347633638.jpg[/IMG]
বুধবার প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনে পাউন্ড নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে। প্রতিবেদন সব উপাদানই "ইতিবাচক" থাকলেও, GBP/USD পেয়ারের মূল্য মাত্র 30 পয়েন্ট বেড়ে আবার 1.33 এরিয়ার দিকে ফিরে যায়। এই প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দেয় যে, এখনো মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও এটি বিরোধপূর্ণ মৌলিক সংকেতের মধ্যে দিক নির্ধারণে লড়ছে (মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক বেড়েছে, কিন্তু উৎপাদন মূল্য সূচক কমেছে)। এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের "ইতিবাচক" ফলাফল পাউন্ডের বিরুদ্ধে কাজ করছে। কারণ, সঙ্কুচিত অর্থনীতি, দুর্বল শ্রমবাজার এবং দ্রুত বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি—এই তিনটি বিষয় একসাথে অর্থনৈতিক স্থবিরতার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। এমন এক বিপজ্জনক সমন্বয় GBP/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিকভাবেই প্রতিকূল। উপাত্ত অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) মাসিক ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে 0.3% (প্রত্যাশিত +0.2%) এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 3.6%-এ (প্রত্যাশিত 3.4%)—যা জানুয়ারি 2024-এর পর থেকে দ্রুততম বৃদ্ধি। জ্বালানি ও খাদ্য বাদ দিয়ে গণনা করা মূল ভোক্তা মূল্য সূচকও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেড়েছে: 3.7% বনাম প্রত্যাশিত 3.5%। মজুরি আলোচনা নির্ধারণে ব্যবহৃত খুচরা মূল্য সূচক (RPI) বার্ষিক ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে 4.4%, যেখানে প্রত্যাশা ছিল সূচকটি 4.2%-এ নামবে। মাসিক ভিত্তিতে, খুচরা মূল্য সূচক 0.4% বেড়েছে, যা প্রত্যাশিত ছিল 0.2%। প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুন মাসে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে 9%, বিমানের টিকিটের ব্যয় 7.9% বেড়েছে (এই বিভাগে 2018 সালের পর থেকে জুনে সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি), এবং খাদ্যের দাম 4.5% বেড়েছে, যা গরুর মাংস, মাখন ও চকলেটের দামের বৃদ্ধির কারণে হয়েছে। আবাসনের ব্যয় বেড়েছে 3.9%, যেখানে ভাড়ার হার প্রায় 7% বেড়েছে। বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেছনের অনেক কারণ অস্থায়ী নয়, বরং গঠনগত। সেবাখাতের মূল মুদ্রাস্ফীতি (ভাড়া, বীমা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত) দাঁড়িয়েছে 4.7%-এ, যা সামগ্রিক ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফলের তুলনায় অনেক বেশি। ভাড়া ও আবাসনের দামের এই ঊর্ধ্বগতি সরবরাহের গঠনগত সংকটের ইঙ্গিত দেয়, মৌসুমি অস্থিরতার নয়। একই সময়ে, বেসরকারি খাতে মজুরি জোরালো গতিতে বাড়ছে, যার ফলে কোম্পানিগুলো খরচ পণ্যের দামে যুক্ত করছে, এবং এতে মুদ্রাস্ফীতি তৈরি হচ্ছে। বিশেষভাবে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কয়েক মাস ধরেই 4.5%-এর ওপরে রয়েছে। এই সবকিছুই প্রমাণ করে যে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতির চাপ ক্ষণস্থায়ী নয়, বরং দীর্ঘস্থায়ী। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের জিডিপি টানা দ্বিতীয় মাসের মতো সঙ্কুচিত হয়েছে: মে মাসে দেশটির অর্থনীতি মাসিক ভিত্তিতে 0.1% হারে এবং আগের মাসে 0.3% হারে সংকুচিত হয়েছে। অন্য উপাদানগুলোও দুর্বল। যেমন, শিল্প উৎপাদন মাসিক ভিত্তিতে 0.9% এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 0.3% কমেছে, যেখানে ম্যানুফ্যাকচারিং আউটপুট মাসিক ভিত্তিতে কমেছে 1.0% (প্রত্যাশা ছিল -0.1%)। দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক স্থবিরতার সব লক্ষণই উপস্থিত। দেশটির শ্রমবাজার সংক্রান্ত সাম্প্রতিকপ্রতিব দন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত হবে, কিন্তু পূর্ববর্তী প্রবণতা ও পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি আশার আলো দেখাবে না। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব বেড়ে 4.6%-এ পৌঁছেছে, যা 2021 সালের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ, এবং বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে (+33,000)। প্রাথমিক পূর্বাভাস বলছে, জুনে বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা আরও 18,000 বাড়তে পারে এবং মে মাসে বেকারত্ব 4.7%-এ পৌঁছাতে পারে। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস অনুযায়ী হয়—বা আরও "নেতিবাচক" হয়—তবে তা শ্রমবাজারের দুর্বলতা নিশ্চিত করবে। এটি পাউন্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্ভাবনা আরও জোরালো করবে। তাহলে এমন দুর্বল প্রেক্ষাপটের পরেও কেন GBP/USD পেয়ারের তীব্র দরপতনে হচ্ছে না? কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদক মূল্য সূচকের ফলাফল GBP/USD পেয়ারের ক্রেতাদের রক্ষা করেছে। ভোক্তা মূল্য সূচকের বিপরীতে, দেশটির এই সূচকটির ফলাফল "নেতিবাচক" এসেছে, যার ফলে মূল উপাদানগুলোতে মন্দা প্রতিফলিত হয়েছে। নির্দিষ্টভাবে, সামগ্রিক উৎপাদক মূল্য সূচক জুনে বার্ষিক ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে 2.3%-এ, যা আগের মাসে ছিল 2.6%। মূল উৎপাদক মূল্য সূচকও বার্ষিক ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে 2.6%-এ (প্রত্যাশিত ছিল 2.7%)—এটি টানা পাঁচ মাস মূল উৎপাদক মূল্য সূচকের পতনের ধারার অংশ। এর প্রতিক্রিয়ায়, মার্কিন ডলার সূচক থেকে কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে, ফলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য দৈনিক সর্বনিম্ন লেভেল থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবুও, আমার মতে, "অর্থনৈতিক স্থবিরতার ভূত" ব্রিটিশ মুদ্রাকে তাড়া করে যাবে, যার ফলে GBP/USD পেয়ারের লং পজিশন ওপেন করা ঝুঁকিপূর্ণ, এমনকি ডলারের দুর্বলতার মধ্যেও। তবে নিম্নমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করতে হলে GBP/USD পেয়ারের বিক্রেতাদের মূল্যকে H4 চার্টে বলিঞ্জার ব্যান্ডের নিচের লেভেল 1.3350-এর ব্রেক করিয়ে নিম্নমুখী করতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা গেলে এই পেয়ারের মূল্যের D1 টাইমফ্রেমে মধ্য বলিঞ্জার ব্যান্ডের 1.3280 লক্ষ্যমাত্রার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৮ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/270439685.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3409-এর লেভেল টেস্ট করেছিল , যা পাউন্ড কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 10 পিপস পর্যন্ত বেড়েছিল। গতকাল, যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল উপেক্ষা করে ব্রিটিশ পাউন্ড নির্ধারিত রেঞ্জের মধ্যেই ট্রেড করেছে। সম্ভবত ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে স্বাভাবিক অনিশ্চয়তার কারণেও এই সাইডওয়েজ মুভমেন্ট ঘটেছে। একদিকে, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, বিশেষ করে কর্মসংস্থান খাতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর মুদ্রানীতি নমনীয় করার চাপ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে, স্থায়ী মুদ্রাস্ফীতি ও দৃঢ় ভোক্তা চাহিদা ব্যাংকটিকে তাদের বর্তমান কৌশল থেকে খুব তাড়াতাড়ি সরে আসতে বাধা দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, ট্রেডাররা অপেক্ষা করাকেই শ্রেয় মনে করছে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য একটি সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যেই কনসোলিডেট করবে। সম্ভবত এই চ্যানেল থেকে মূল্যের ব্রেকআউট ঘটাতে একটি শক্তিশালী অনুঘটক প্রয়োজন হবে—যেমন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রত্যাশা চেয়ে ইতিবাচক ফলাফল, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো সংকেত, অথবা বৈশ্বিক ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতায় বড় ধরনের পরিবর্তন। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/108535178.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3455-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3429-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3455-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3409-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3429 এবং 1.3455-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3409-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3381-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3429-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3409 এবং 1.3381-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/417584
-
২১ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/46937506.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট হয়েছে, তবে এই মুভমেন্টের বাস্তবিক প্রভাব খুবই সীমিত ছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং ট্রেডাররা অনেক মৌলিক ও অর্থনৈতিক ঘটনাকে এখনো অস্পষ্টভাবে মূল্যায়ন করে চলেছে। তাই, আমাদের মতে এই সময়ে টেকনিক্যাল দিকগুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। গত তিন সপ্তাহে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পক্ষে উল্লেখযোগ্য মৌলিক কোনো সহায়ক কারণ দেখা যায়নি। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মার্কিন ডলার কোনো "তৃতীয় বিশ্বের" কারেন্সি নয়। এটি ১৬ বছর ধরে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর টানা পাঁচ মাস ধরে দরপতনের মধ্যে ছিল। বর্তমানে যেটুকু মূল্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তা দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি ক্ষুদ্র কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদি এমন কারেকশন নাও হত, তাহলে মার্কেটের সার্বিক মুভমেন্ট দেখতে কেমন হতো? সুতরাং, বর্তমানে আমরা এই পেয়ারের মূল্যের এমন একটি মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করছি, যা সম্পূর্ণরূপে মৌলিক প্রেক্ষাপটের বিপরীত। ডলারের দরপতনের জন্য মাত্র দুটি কারণই যথেষ্ট: ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে ট্রাম্পের টানাপোড়ন এবং পুরো বিশ্বের অর্ধেক দেশের সঙ্গে তাঁর বাণিজ্য যুদ্ধ। আমাদের ধারণা, বর্তমানে যেসব সংবাদ "উপেক্ষিত" হচ্ছে, এই কারেকশন শেষ হলে সেগুলো একে একে মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1562777464.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার দুইটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে নিখুঁতভাবে রিবাউন্ড করে এবং মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় 1.3458 লেভেল পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। দিনের শেষ নাগাদ আমরা এই লেভেলটিকে 1.3466-এ আপডেট করি। যেকোনো ক্ষেত্রে, ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি এই লেভেলের কাছেই শেষ হয় এবং যখন মূল্য এই লেভেলের নিচে কনসোলিডেট করে, তখন নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার চিন্তা করতে পারতেন। দিনের শেষ নাগাদ এই পেয়ারের মূল্য আবার 1.3413–1.3421 জোনে ফিরে আসে। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মনে করি বর্তমান এই দরপতন নিছকই একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, কারণ এখনো ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ বিদ্যমান নেই। তবুও, ট্রেডাররা এখন টেকনিক্যাল কারণে ভিত্তিতে ট্রেড করছে, এবং আমরা বর্তমানে সেই প্রবণতাই দেখতে পাচ্ছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে উপরের দিকে যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার পক্ষে কোনো টেকনিক্যাল ভিত্তি নেই। সোমবার, আবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, তবে সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী প্রবণতার জন্য কোনো শক্তিশালী অনুঘটক নেই—যদি না ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন কিংবা "পাওয়েলকে বিশবারের মতো বরখাস্ত করেন"। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। সোমবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই।
-
২২ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/835482401.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট প্রায় EUR/USD পেয়ারের মতোই ছিল। এটি নির্দেশ করে যে মার্কেটে মার্কিন ডলার একটি নতুন দরপতনের ধারায় প্রবেশ করেছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই সেগুলোর ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেশন করেছে, যা নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি সংকেত দিচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই গত তিন সপ্তাহে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার পেছনে প্রধানত টেকনিক্যাল কারণ কাজ করেছে—বিশেষ করে পর্যায়ক্রমিক কারেকশনের প্রয়োজনীয়তা। এখন বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত সেই সব মৌলিক কারণের কথা মনে করতে শুরু করবে, যা ডলারের বিরুদ্ধে কাজ করছিল, কিন্তু তা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে এখনো প্রতিফলিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই, চিরকাল ধরে ডলারের দরপতন হবে না। মাঝেমধ্যে দীর্ঘমেয়াদী কারেকশন অথবা স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাবে। তবে, 2025 সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর ধরে মার্কিন কারেন্সির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। এবং আমরা জানি, বৈশ্বিক প্রবণতা যেমন পাল্টায়, স্থানীয় প্রবণতা তেমনি পাল্টায়। যদি আমরা এখন একটি নতুন প্রবণতা সূচনায় থাকি, তবে ডলারের দরপতন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং এ বিষয়ে এখনো কোনো ইতিবাচক সংবাদ আসেনি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1986127443.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার বেশ কয়েকটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের একেবারে শুরুতেই, এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং একটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত, 1.3466 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যায় এবং এমনকি একটি সেল সিগন্যালও গঠিত হয়। ফলে, লং পজিশনগুলো ক্লোজ করতে হয়, এবং শর্ট ট্রেড থেকে কোনো লাভ হয়নি। তবে একই লেভেলের কাছাকাছি থেকে আসে পরবর্তী বাই সিগন্যালটি, যার মাধ্যমে পুনরায় লং পজিশন ওপেন করা সম্ভব হয় এবং তা লাভজনক ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনটি ট্রেডের মধ্যে দুটি ট্রেড থেকে লাভ করা গেছে। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেশন করেছে, যা সামনের সপ্তাহগুলোতে সম্ভাব্য মূল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। তদুপরি, মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে। মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থেকে মূল্য 1.3525 লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার পর মূল্য কিছুটা রিট্রেস করে এবং পরে নতুন আবার প্রবণতা শুরু হয়—এটি একটি সাধারণ ঘটনা। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী আপনি ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য একমাত্র ইভেন্ট হলো জেরোম পাওয়েলের ভাষণ। তবে অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে মার্কেটে একটি নতুন "ঝড়" সৃষ্টি করতে পারেন।
-
GBP/USD: ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/821883691.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে যাওয়া শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3480-এর লেভেল টেস্ট করেছিল—যা পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য মাত্র 10 পিপস কমে যায়, তারপর আবার পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসে। মার্কিন ডলারের দরপতনের প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বাড়তে থাকে, কারণ ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে অপসারণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতিতে এই অনিশ্চয়তা ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়েছে, যেখানে ঐতিহ্যগতভাবে ব্রিটিশ মুদ্রাও অন্তর্ভুক্ত। আজও যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই আমরা বলতে পারি যে, স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, এই ধরনের মোমেন্টাম বিনিয়োগকারীদের অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে—যা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবেদন না থাকাটা ঝুঁকির অনুপস্থিতি বোঝায় না; বরং তা মনোযোগকে অন্য উপাদানের দিকে সরিয়ে দেয়, যেগুলো এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ—নির দিষ্ট রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পৌঁছানো প্রফিট-টেকিং ট্রিগার করতে পারে, যার ফলে মূল্যের পুলব্যাক দেখা যেতে পারে। এছাড়া, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্যে সামান্য পরিবর্তন হলেও তা ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময় হারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। দৈনিক কৌশলের হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2002765128.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3565-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3534-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3565-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3514-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3534 এবং 1.3565-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3514-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3477-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ সতর্কতার সাথে পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3534-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3514 এবং 1.3477-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৫ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1988529409.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নেমে যেতে শুরু করে, ঠিক তখনই GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3529-এর লেভেল টেস্ট করে—যা পাউন্ড বিক্রি করার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপসের বেশি হ্রাস পায়। গতকালের মার্কিন বেকারভাতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল এবং এর বিপরীতে যুক্তরাজ্যের পরিষেবা খাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল মিলিয়ে পাউন্ডের বিপরীতে ডলার স্পষ্টভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। প্রাথমিক বেকারভাতা আবেদনের হারের উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং মার্কিন পরিষেবা PMI-এর প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ফলাফলের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা নিয়ে আস্থা আরও জোরদার হয়। এই সূচকগুলো শক্তিশালী শ্রমবাজার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অর্থনৈতিক খাতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির প্রতিচ্ছবি—যা বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছে। এই আশাব্যঞ্জক ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত নীতিমালার সম্ভাব্য কৌশল পুনর্মূল্যায়নে প্রভাব ফেলবে, এবং দীর্ঘ সময় 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ' নীতি বজায় রাখার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলস্বরূপ, GBP/USD পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়েছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের আরও দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সকালে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন (জ্বালানি খরচ বিবেচনায় নিয়েই সমন্বিত) প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে, কারণ এটি ভোক্তাদের ব্যয়ের প্রবণতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়—যা ব্রিটিশ অর্থনীতির একটি মুখ্য চালিকাশক্তি। যদি খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনে প্রকৃতপক্ষে প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে তা কিছুটা হলেও মন্দার শঙ্কা লাঘব করতে পারে এবং পাউন্ডকে স্বল্পমেয়াদে সুবিধা দিতে পারে। তবে বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি যে, একটি মাত্র প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল পুরো অর্থনৈতিক চিত্রকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিতে পারে না—বিশেষ করে যখন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি অব্যাহত রয়েছে এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নীতিগত অবস্থান ঘিরে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে খুচরা বিক্রয়ে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির মাত্রা এবং তা সৃষ্টির পেছনের কারণগুলোর বিশ্লেষণ করা। উদাহরণস্বরূপ, যদি বিক্রয়ের এই বৃদ্ধির মূল কারণ হয় কেবলমাত্র জ্বালানি দামের ঊর্ধ্বগতি, তাহলে সেটিকে খুব বেশি ইতিবাচক বলা যাবে না—কারণ এটি প্রকৃত চাহিদা বৃদ্ধির পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী আসে, তাহলে পাউন্ড স্বল্পমেয়াদে কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে; তবে পাউন্ডের মূল্যের পরবর্তী মুভমেন্ট নির্ভর করবে আরও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর—যেমন যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবণতা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1959471397.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3547-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3510-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3547-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3485-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3510 এবং 1.3547-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3485-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলের নিচে নেমে পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3448-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3510-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3485 এবং 1.3448-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।