ক্রিপ্টোকারেন্স / বিটকয়েন কি? (বিস্তারিত)
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরণের সাংকেতিক মুদ্রা। যার কোন বাস্তব রূপ নেই। এর অস্তিত শুধু ইন্টারনেট জগতেই আছে। এটি ব্যবহার করে লেনদেন শুধু অনলাইনেই সম্ভব। যার পুরো কার্যক্রম ক্রিপ্টগ্রাফি নামক একটি সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উঠতি মার্কেটি পরিণত হয়েছে।
ক্রিপ্টো মুদ্রা আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সংকেত রীতি বিদ্যা বা ক্রিপ্টোগ্রাফি থেকে যে এমন একটি মুদ্রা আবিষ্কার করা সম্ভব, সেটা গবেষকেরা জেনেছেন আশির দশকে। কিন্তু কয়েকটি সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। ২০০৮ সালে অজানা এক গবেষক সুচারুভাবে সেসব সমস্যার সমাধান দিয়ে একটি গবেষণাপত্র ইন্টারনেট ফোরামে পাঠান। বিস্ময়করভাবে তাঁর সমাধান কাজে লাগে। তাঁর সমাধানের নাম ব্লক চেইন। তার ওপরে ভিত্তি করে প্রথম ক্রিপ্ট মুদ্রা উদ্ভাবন হয়, যার নাম বিটকয়েন। এর গগনচুম্বী দাম আর ঊর্ধ্বগতির কারণে একে বর্তমানে অনেকে মুদ্রা না ভেবে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করছেন।
পরে আরও অনেক ক্রিপ্টো মুদ্রার উদ্ভাবন হয়েছে, যেমন ইথারিয়াম, রিপল, লাইট কয়েন ইত্যাদি। কিন্তু বিটকয়েন প্রথম ক্রিপ্টো মুদ্রা হওয়ায় এবং অনেক গবেষক ও বিনিয়োগকারীর মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হওয়ায় অন্য কয়েন থেকে এটি এগিয়ে আছে। তবে আরেকটি ক্রিপ্টো মুদ্রা বিটকয়েনকে সম্পূর্ণ দেউলিয়া করে দিতে পারে, সেটাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটা বড় ঝুঁকির বিষয়। কোনটা এগিয়ে যাবে, তা-ও কেউ বলতে পারে না। এখন আবার বাজারে প্রায় কয়েক শ ক্রিপ্টো মুদ্রা আছে এবং অবশ্যই আরও অনেক নতুন মুদ্রার আমদানি হবে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, এই মুদ্রা দেখতে কেমন? এই মুদ্রার বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই। এটি কম্পিউটারের একটা সফটওয়্যার। অনেক ছবিতে স্বর্ণমুদ্রায় বড় করে ইংরেজি যে বি অক্ষরটি লেখা থাকতে দেখা যায়, সেটা কাল্পনিক। এমনকি সে রকম স্মারকও পাওয়া যায়। সেটা বিটকয়েন নয়।