1 Attachment(s)
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ব্যবহার!
ভাইরাস দমনে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে, অন্য দেশগুলো যেখানে অবহেলা করেছে, সেখানে চীন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে হাতের কাছে সহজলভ্য চিকিত্সা ব্যবহার আর সর্বশেষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) প্রয়োগ করে ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। কিভাবে?
[ATTACH=CONFIG]10450[/ATTACH]
ক্লিনিক্যাল তথ্য-উপাত্ত এবং গবেষণাগারে প্রাপ্ত ফলাফলের মধ্যে সমম্বয় ঘটিয়ে এটি কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর বর্তমান অবস্থা ও রোগের পর্যায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে যথাযথ চিকিত্সা প্রদানে ডাক্তারদের সহায়তা করে থাকে। চীন সরকার করোনা শনাক্তে হুয়াওয়ে নামক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছে এবং এখনো করছে। সফলতাও পেয়েছে। করোনা আক্রান্তদের কভিড-১৯ নির্ণয়ে দক্ষ ‘ইমেজিং’ চিকিত্সকের অভাব ছিল চীনে।
*চীনের ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন’ হুয়াওয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সার পদ্ধতিটি ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে ‘সিটি কোয়ান্টিফিকেশন’ (CT Quantification) খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল চিত্রাকারে প্রকাশ করতে পারে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ-এর গণনা ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে খুব দ্রুত যে কোনো নমুনার ‘কোয়ান্টাইজেশন’ ফলাফল নির্ণয় করতে পারে। চীনের স্বাস্থ্য কমিশন সিটি কোয়ান্টিফিকেশনকে তাদের ‘ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে গ্রহণ করে হুবেই প্রদেশে (যেখান থেকে করোনার উত্পত্তি হয়ে প্রথমে চীনে এবং পরে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে) স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যবহার করা শুরু করে। চীনে হুয়াওয়ে ক্লাউডের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের কারণে ইমেজিং চিকিত্সকের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।