-
চার বছর পর আবারো বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো
চার বছর পর আবারো উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোরের শীর্ষ উপদেষ্টারা এ আলোচনায় অবকাঠামো, বাণিজ্য ও অভিবাসনের মতো উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো এগিয়ে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে বারাক ওবামা প্রশাসনের অধীনে বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে এ আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছিল।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এ আলোচনা শুরু করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। আলোচনায় তিনি মেক্সিকোর প্রতিনিধি দলকে ‘আমাদের বন্ধু, আমাদের অংশীদার’ উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বণিক বার্তা
-
ঝুঁকিতে যুক্তরাজ্যের সাড়ে ছয় লাখ কর্মসংস্থান
পরিবেশ রক্ষায় গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যে নামাতে বিশ্বের বহু দেশই গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট বা সবুজ বিনিয়োগের দিকে এগোচ্ছে। কথা ছিল, যুক্তরাজ্যও এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ করবে। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী অবকাঠামো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেনি তারা। বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, এর ফলে দেশটির ৬ লাখ ৬০ হাজারের বেশি চাকরি হুমকির মধ্যে পড়বে। আর মাত্র দুই মাস পর যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬। বরিস জনসনের সরকার এ সম্মেলনের আয়োজক। ঠিক এ মুহূর্তে খবর জানা গেল যে, দেশটির কর্মসংস্থানের ওপর সবুজ বিনিয়োগের প্রভাব কতটুকু।
গত জুনে টিইউসির করা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, জি৭ দেশগুলো সবুজ অর্থনীতিতে যে বিনিয়োগ করছে তার তালিকার শেষ থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। যদিও বরিস জনসনের দাবি, পৃথিবীকে উষ্ণায়ন থেকে বাঁচাতে সব ধরনের কাজের শীর্ষে রয়েছে তার দেশ।
বণিক বার্তা
-
অবকাঠামো খাতে বৃহৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের
আগামী ১০ বছরে দেশজুড়ে অবকাঠামো খাতে ৬৫ হাজার কোটি পাউন্ড (৯০ হাজার কোটি ডলার) বিনিয়োগ করতে চায় ব্রিটিশ সরকার। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির ভিত্তিতে এ বিনিয়োগ করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় অবকাঠামো ও নির্মাণ পাইপলাইনকে উচ্চাভিলাষী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার। এ প্রকল্প আগামী চার বছরে বার্ষিক ৪ লাখ ২৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদী সরকার।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্ত ক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পরিকল্পনায় আগামী ১০ বছরে সারা দেশে অবকাঠামো প্রকল্পে রেকর্ড ৬৫ হাজার কোটি পাউন্ড সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি হাজার হাজার শিক্ষানবিশ, প্রযুক্তিবিদ, স্নাতক ও দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকারের দাবি, প্রকল্পটি দেশজুড়ে সমানভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
ব্রিটিশ সরকার বলেছে, নতুন প্রকল্পে সামাজিক অবকাঠামোতে ৮ হাজার ৯০০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ে বড় পুনর্নির্মাণসহ সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তায় ১৬৫টি শিক্ষা প্রকল্পে ২৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া সরকার আগামী ১২ মাসে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে ৩ হাজার কোটি পাউন্ডের পরিকল্পিত অর্থায়নও নির্ধারণ করেছে।
সরকারের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, কভিড-১৯ মহামারীতে এখন পর্যন্ত কর্মীদের বেতন সহায়তা (ফোরলগ স্কিম) বাবদ ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৮৫০ কোটি পাউন্ড এবং ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষ এ সহায়তা পেয়েছেন। এর মধ্যে স্কটল্যান্ডে ৯ লাখ ১০ হাজার কর্মসংস্থান, ওয়েলসে ৪ লাখ ৭০ হাজার এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজার কর্মসংস্থানকে সমর্থন দেয়া হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, কর্মসংস্থান পরিকল্পনা কাজ করছে। আট মাসের মধ্যে ফ্রন্টলাইন জব সেন্টারের কর্মীদের সংখ্যা দ্বিগুণ করে ২৭ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রমের ফলে বেকারত্বের পূর্বাভাস পূর্বের আশঙ্কার চেয়ে ২০ লাখ কম হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বেকারত্ব হার এখন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালি, স্পেন ও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কম।
বণিক বার্তা
-
ব্রেক্সিটের প্রভাবে ব্যয় বেড়েছে আমদানিকারকদের
ব্রেক্সিটের যে প্রভাব ব্রিটিশ আমদানি বাণিজ্যে পড়েছে তার সবচেয়ে প্রথম শিকার বলা যেতে পারে মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের পারসি পিগ সুইটস ব্র্যান্ডকে। জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের এ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি আমদানি শুল্ক গুনতে হয়েছে ৬০ কোটি পাউন্ড। দিন দিন এ ব্যয় বাড়ছেই। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্রিটিশ আমদানিকারকদের রেকর্ড পরিমাণে ব্যয় বেড়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারসি পিগ সুইটসের পণ্য তালিকায় প্রায় দুই হাজার ধরনের খাবার রয়েছে। আর এসবের ওপরই আঘাত হেনেছে গত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ব্রেক্সিটের রুলস অব অরিজিন। যদিও পারসি পিগসের খাবারগুলো জার্মানিতে তৈরি হয়, তবু আয়ারল্যান্ডে রফতানির আগে সেগুলো যুক্তরাজ্যে নেয়া হয়। সেখান থেকেই মূলত এগুলো আয়ারল্যান্ডে যায়। এখন পারসি পিগসের এ যাত্রাই শুল্কের আওতায় পড়ে যাচ্ছে। যে বিষয়টি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
আমদানিকারকদের ওপর বহাল হওয়া জটিল কিছু নিয়মের কারণে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা বিনা মূল্যে ব্যবসার যে প্রচার চালানো হয়েছিল তা মিথ্যায় পরিণত হয়েছে। এর পর থেকেই হাজারো ব্যবসায়ীরা দেখতে পেলেন, তারা যদি চুক্তির আওতায় এমন সব পণ্য আমদানি করেন যেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে পর্যাপ্তভাবে উৎপাদন হয় না, তাহলে সেগুলোর জন্য তাদের শুল্ক দিতে হবে। বাণিজ্য সংস্থাগুলো বলছে, কিছু প্রতিষ্ঠান মনে করছে যে এ চুক্তির নিয়মগুলো ভীষণ জটিল হয়েছে। তারা বাণিজ্য সুবিধার জন্য কেবল শুল্ক বিভাগকে শুল্ক পরিশোধ করেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে চান।
অ্যাকাউন্ট্যান্স ফার্ম ইউএইচওয়াই হ্যাকার ইয়ংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার মিশেল ডেল বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে যে পরিমাণ দালিলিক কাজ করতে হচ্ছে বা দলিল প্রস্তুত করতে হচ্ছে তার জন্য যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোকে যথাযথ সময় দেয়া হয়নি। ফলে ওইসব কাজের জন্য এখন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনিতেই মহামারীর কারণে অনেক ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ওপর এখন কাগজপত্র-সংক্রান্ত ঝামেলা আর শুল্কের ঝামেলা শুরু হয়েছে। বিষয়টি বেশ সমস্যা সৃষ্টি করছে।
বণিক বার্তা
-
দক্ষিণ কোরিয়ায় বেকারত্বের হার রেকর্ড নিম্নে
দক্ষিণ কোরিয়ায় বেকারত্বের হার রেকর্ড নিম্নে পৌঁছেছে। কভিডজনিত বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় এমনটা ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও মূল উৎপাদন খাতগুলোতে এখনো শ্রমিক সংকট রয়েছে বলে প্রকাশিত এক তথ্যে দেখা যায়। খবর রয়টার্স।
আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার মৌসুম অনুযায়ী সমন্বিত বেকারত্বের হার নেমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশে। গতকাল স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়ার প্রকাশিত এক তথ্যে এমনটা দেখা যায়। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বেকারত্বের হার নির্ধারণ শুরু হওয়ার পর এটিই দেশটির জন্য সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার। আগস্টে ২ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসার ফলে টানা তিন মাসের মতো বেকারত্বের হার নিম্নগামী অবস্থায় রয়েছে। জুলাইয়ে এ হার ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
এক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে দেশটিতে চাকরিজীবীর সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজারের মতো। জুলাইয়ে বিভিন্ন খাতে ৫ লাখ ৪২ হাজার কর্মসংস্থান যুক্ত হওয়ার পর এ উন্নতি দেখা দিয়েছে। নতুন সৃষ্ট এসব কর্মসংস্থানের অধিকাংশই হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক পরিষেবা, নির্মাণ, পরিবহন এবং গুদামজাতকরণ খাতে। স্ট্যাটিসটিকস কোরিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটা দেখা যায়।
বেকারত্বের হার হ্রাস পাওয়ার পরও দক্ষিণ কোরিয়ার মূল উৎপাদন খাতগুলোতে শ্রমিক সংকট বিদ্যমান রয়েছে। বর্তমানে উৎপাদন খাতে কর্মীর সংখ্যা আট বছরের সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। এ খাতে শ্রমিকের সংখ্যা ২০২০ সালে ৭৬ হাজার থেকে কমে বর্তমানে ৪২ লাখ ৮৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
বণিক বার্তা
-
চতুর্থ প্রান্তিকে সক্ষমতার পূর্বাভাস কমিয়েছে ক্যাথে প্যাসিফিক
চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সক্ষমতার পূর্বাভাস কমিয়েছে ক্যাথে প্যাসিফিক। যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা প্রাক-কভিড স্তরের ১৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে হংকংয়ের উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি। এর আগে সংস্থাটি সক্ষমতা ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছিল। খবর রয়টার্স।
ক্যাথে প্যাসিফিক জানিয়েছে, বছরের বাকি সময়ে প্রতি মাসে ১৩ কোটি ডলারের কম নগদ অর্থ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
হংকংয়ে অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ চলাচলের বাজারের অভাব রয়েছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কভিডজনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ‘উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত গন্তব্যগুলোতে থেকে যাওয়া পূর্ণ ডোজের টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদেরও তিন সপ্তাহ হোটেল কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। শক্তিশালী এ বিধিনিষেধের প্রভাব গিয়ে পড়েছে ক্যাথে প্যাসিফিকের ওপর।
গত মাসে ক্যাথে প্যাসিফিক বলেছিল, অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা প্রাক-কভিড স্তরের ৩০ শতাংশে উন্নীত করার বিষয়টি যাত্রী ও ক্রুদের জন্য কোয়ারেন্টিন বিধির ওপর নির্ভর করছে।
আগস্টে যাত্রী সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় বেশি ছিল। কারণ চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছিল। যদিও সেটি প্রাক-কভিড ২০১৯ সালের একই মাসের তুলনায় ৯৫ দশমিক ৩ শতাংশ কম ছিল।
বণিক বার্তা
-
ইউএইতে দেড় হাজার কর্মী নেবে অ্যামাজন
চলতি বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গুদামের ধারণক্ষমতা ৬০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে অ্যামাজন। এ লক্ষ্যে দেড় হাজার কর্মী নিয়োগ দেবে সংস্থাটি। বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তার ডেলিভারি স্টেশনের এলাকা ৭০ শতাংশ বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে।
রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অধীনে অ্যামাজন ইউএইতে চারটি নতুন ডেলিভারি স্টেশন খুলবে। সংস্থাটির মতে, এ পদক্ষেপ ডেলিভারির গতি বাড়িয়ে দেবে এবং আরো গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেবে।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউএইতে সংস্থাটির গুদামের ধারণক্ষমতা ৩৭ লাখ ঘনফুটেরও বেশি অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত হবে। এটি ৪০টি অলিম্পিক আকারের সুইমিং পুলের সমান।
দুবাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মতে, ইউএইর খুচরা ই-কমার্স বাজার ৫৩ শতাংশ বেড়ে গত বছর ৩৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৫ সাল নাগাদ বাজারটি ৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বণিক বার্তা
-
এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক
পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কভিডের অতি সংক্রামক ডেল্টার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি এ পূর্বাভাস কমিয়েছে। গতকাল সংস্থাটি দরিদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি এড়াতে সহায়তা করার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে।
এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের অপ্রত্যাশিত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বাদ দিয়ে পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো এ বছর ২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে। যেখানে গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও অন্যান্য অর্থনীতিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম উন্নত হচ্ছে। তবে দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি প্রত্যাশার তুলনায় ধীর হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বণিক বার্তা
-
শক্তিশালী কাঠামো তৈরির আহ্বান আইএমএফের
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা ছবি: আইএমএফ ওয়েবসাইট
বিশ্বের এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ লেনদেনের জন্য একটি শক্তিশালী কাঠামো তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। এজন্য নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। খবর দ্য ন্যাশনাল।
চলতি সপ্তাহে ব্যাংক অব ইতালি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আন্তঃদেশীয় অর্থ লেনদেনের গতি অনেক ধীর। এ পদ্ধতি অনেক ব্যয়বহুল, অস্বচ্ছ ও কিছু মানুষের জন্য দুর্গম। বিশেষ করে দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, যাদের কাছে এ অর্থ পৌঁছানো দরকার। আমাদের অবশ্যই এক্ষেত্রে যত বাধা আছে, সেগুলোর সমাধান করতে হবে। এমন একটি পদ্ধতিতে আসতে হবে যেটা সব দেশের জন্য সুবিধাজনক হয়। সাময়িক সমাধান দেয়া হলে তা ভোক্তাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না।
বৈশ্বিক আন্তঃদেশীয় অর্থ লেনদেনের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন এর বার্ষিক হার ৫ শতাংশের মতো। আগামী বছর নাগাদ এ পরিমাণ ১৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং জানিয়েছে, মহামারীর কারণে আন্তঃদেশীয় লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড দেখিয়েছে যে কীভাবে আন্তঃদেশীয় লেনদেন ব্যবস্থাকে সহজ করা যায়। এ দুই দেশের মধ্যে অর্থ লেনদেন ব্যবস্থার চুক্তি রয়েছে। এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে কর্মরত কোনো ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে থাইল্যান্ডে নিজের পরিবারের কাছে অর্থ পাঠাতে পারে। আর মাত্র দুইদিনের মধ্যে তার পরিবারের কাছে অর্থ পৌঁছে যায়। তিনি আরো বলেন, এখন নতুন নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার হচ্ছে। এর মাধ্যমে অর্থ পাঠানো ও লেনদেন আরো সহজ করা সম্ভব।
বণিক বার্তা
-
জরুরি অবস্থা শেষে চালু হচ্ছে জাপানের অর্থনীতি
শুক্রবার থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হচ্ছে জাপানের কভিড-১৯ সংক্রান্ত জরুরি বিধিনিষেধ। এপ্রিলের পর জাপানজুড়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনো ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ ব্যতীত এটিই প্রথম দিন। এর আগে কভিড-১৯-এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে জাপানজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। রাজধানী টোকিওসহ জাপানের ১৮টি প্রদেশে এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি সাময়িক জরুরি অবস্থার অবসান ঘটেছে দেশটিতে। জাপানজুড়ে কভিড-১৯ সংক্রমণের হার হ্রাস পাওয়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী হওয়ার ফলে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর নিক্কেই এশিয়া।
সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পাশাপাশি জনগণকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফিরে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন কোনো ধরনের সংক্রমণ রোধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জাপান সরকার। এ অবস্থায় রেস্টুরেন্ট ও থিম পার্কের মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোর নির্বাহীরা আশা প্রকাশ করছে যে, তারা পুনরায় আগের মতো গ্রাহক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবেন।
জরুরি অবস্থার সময় জনগণকে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণায় বর্তমানে জাপানের পর্যটন খাত অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ও ভ্রমণকালীন বাসস্থানের জন্য বুকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ করছেন।
বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ঘোষণার পর অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ কোম্পানি আনুমানিক ৫০ হাজার বুকিং গ্রহণ করেছে, যা গত মাসের তুলনায় ১০ গুণ বেশি বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। গত বুধবার জাপান সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরের দিন এ তথ্য জানায় তারা। এ সময় টোকিওর ডিজনি থিম পার্ক এবং ইউনিভার্সাল স্টুডিওজ জাপান দৈনিক হিসাবের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শনার্থীর বুকিং রেকর্ড করেছে। আগে এসব পার্কের দৈনিক দর্শনার্থী পাঁচ হাজার থাকলেও বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর তা ১০ হাজার পর্যন্ত স্পর্শ করছে বলে জানায় তারা।
বণিক বার্তা