-
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে টালমাটাল অবস্থার ভেতর দিয়ে সময় পার করছে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার। রেকর্ড দরপতনের ধাক্কা সামলে গত বছরের শেষভাগ থেকে বাড়তির পথে রয়েছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) গড় দাম ৫৬ ডলারে উঠতে পারে। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের (ইআইএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর অয়েলপ্রাইসডটকম। প্রতিষ্ঠানটির শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত ডিসেম্বরে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই গড়ে ৫০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এর পর থেকে ধারাবাহিক উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। তবে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে জ্বালানি পণ্যটির গড় দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫৬ ডলারে উন্নীত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে ডব্লিউটিআইয়ের গড় দাম বাড়তে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬ ডলার।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা থাকার পরও বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা করোনা-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরে এসেছে। দাম তুলনামূলক সস্তা থাকায় চীনসহ অনেক দেশ আমদানি বাড়িয়েছে। মূলত এসব কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ডব্লিউটিআইয়ের চাহিদা আগের তুলনায় বাড়বে, যা জ্বালানি পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে ইআইএ।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2010141507.jpg[/IMG]
-
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। দেশে দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়তির পথে রয়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার চিন্তাভাবনা করছে। চীনেও করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পরও চলতি বছরের জন্য জ্বালানি পণ্যটির গড় দামের প্রাক্কলন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ বিনিয়োগ ব্যাংক বার্কলেস পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনার চ্যালেঞ্জ ছাপিয়ে চলতি শীত মৌসুমে বাড়তি চাহিদা ও উত্তোলন সীমিত রাখা ২০২১ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম বাড়াতে পারে। ব্রেন্টের ব্যারেল দাঁড়াবে ৫৫ ডলারে ডব্লিউটিআইয়ের ৫২ ডলারে!
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1390433486.jpg[/IMG]
খবর অয়েলপ্রাইসডটকম ও নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।
-
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে ২০২০ সালের শুরুর দিক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একের পর এক লকডাউনে চলে যায়। মানুষ ঘরবন্দি থাকায় কার্যত স্থবির হয়ে আসে পরিবহন খাত। কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসে শিল্প, পর্যটনসহ নানা খাতের। এমন পরিস্থিতিতে কমতে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা। বছর শেষে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (ইআইএ) বলছে, করোনা মহামারী ও লকডাউনের কারণে গত বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ কমেছে। তবে চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা মন্দা ভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ইআইএর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ৭৮ লাখ ব্যারেলে, যা আগের বছরের তুলনায় দৈনিক গড়ে ৫৬ লাখ ব্যারেল বা ৬ শতাংশ বেশি। যদিও ২০১৯ সালে মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থানের তুলনায় যা প্রায় ৩ শতাংশ কম। ইআইএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক গড় চাহিদা ১৪ লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে। অন্যদিকে ২০২২ সালে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় চাহিদা চলতি বছরের তুলনায় আরো ৩৩ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক গড় চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক ৯ কোটি ৫৯ লাখ ব্যারেলে। ২০১৯ সালে মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থানের তুলনায় যা দৈনিক গড়ে ৫০ লাখ ব্যারেল কম।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1407923862.jpg[/IMG]
-
তেলের মুল্য বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে, মঙ্গলবার অপরিশোধিত তেলের মুল্য বেড়েছে। অত্যন্ত সীমিত চাহিদা মধ্যে পুনরুদ্ধারের ইতিবাচক সম্ভাবনার কারণে বড় ব্র্যান্ডের মুল্য বেড়েছে। সৌদি আরব তেল খাতের প্রতিনিধিদের মতে, চাহিদা এখনও তার পূর্ববর্তী সূচকগুলোতে দ্রুত ফিরে আসতে সক্ষম হবে না, কারণ এখনও অনেক বাহ্যিক চাপ রয়েছে। সেরা ক্ষেত্রে, চাহিদাটি কেবল এই বছরের শেষের দিকে ফিরে আসতে পারে, তবে শর্ত রয়েছে যে কোনও গুরুতর সমস্যা নেই। তবুও, যথেষ্ট ইতিবাচক রয়েছে। বিশেষত, অনেক বিশ্লেষক মনে করেন যে বিশ্বের মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলো এখনও অনেক রয়েছে, যার অর্থ হল ধীরে ধীরে করোনভাইরাস কমতে শুরু করবে, যা অপরিশোধিত তেলের চাহিদা পূর্বাভাসকেও উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে। কালো সোনার বাজার মার্কিন ডলারের দুর্বল থেকে অতিরিক্ত সমর্থন পেয়েছে। একটি দুর্বল ডলার পণ্যগুলোকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। মঙ্গলবার, ডলার সূচকটি বিশ্বের মূল মুদ্রার সাথে সম্পর্কিত 0.1% হ্রাস পেয়েছে, যদিও এই মুহুর্ত পর্যন্ত এটি তার সর্বনিম্ন সূচকগুলোতে পৌঁছেছে। কালো সোনার বাজারে এখন খুব তীব্র বিপর্যয় দেখা দিয়েছে: অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা প্রায় ইউ-আকারের একটি পরিবর্তন দেখিয়েছে। ইতিবাচক এত দ্রুত বৃদ্ধির কারণটি করোনাভাইরাস মহামারীটির অধিক স্থায়িত্বের আশা। গণ টিকা ধীরে ধীরে সব অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠেছে এবং গতি অর্জন করছে, যা আমাদের বলতে দিচ্ছে যে মাত্র দু'মাসের মধ্যে সবকিছুই উন্নতির দিকে পরিবর্তিত হতে পারে। এটিই তেলের বাজারের অংশগ্রহণকারীরা গণনা করছেন। এই মুহুর্তে যখন ঘটনার হারে অবিচ্ছিন্ন হ্রাস অর্জন সম্ভব হবে তখন কালো সোনার ব্যবসাও চড়াই উতরাই হবে। তেল বাজারও ওপেক দ্বারা সমর্থিত। স্বেচ্ছাসেবী উৎপাদন কমানোর বিষয়ে চুক্তিটি অনুমোদনকারী বেশ কয়েকটি দেশ ঘোষণা করেছে যে তারা এ বছরের দ্বিতীয় মাসে হাইড্রোকার্বন উৎপাদন আরও হ্রাস করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। এর মধ্যে সৌদি আরবও ছিল। সাধারণভাবে, হ্রাসটি প্রতিদিন প্রায় 1.5 মিলিয়ন ব্যারেল হিসাবে হওয়া উচিত, যা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদার মোট লেভেলের 1.5%। অধিকন্তু, প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে, এই বছরের জানুয়ারিতে উৎপাদনের পরিকল্পিত হ্রাসও সেই রাজ্যগুলির দ্বারা 99% দ্বারা পূরণ করা হয়েছিল যা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, এখন পর্যন্ত এটি কেবলমাত্র প্রাথমিক গণনা, যা নির্দিষ্ট করা হবে। এদিকে, গত বছরের তুলনায় যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তা বৃহত্তর পরিমাণে সম্পন্ন হয়েছিল সেটি মার্কেটের অংশগ্রহণকারীদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের, যারা তাদের কাজকে আরও তীব্র করার জন্য অতিরিক্ত গতি অর্জন করে। লন্ডনে ট্রেডিং ফ্লোরে এপ্রিল মাসে ডেলিভারির জন্য ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল-এর ফিউচার কন্ট্রাক্টের মুল্য প্রতি ব্যারেল 0.98% বা $0.55 থেকে $56.9 ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং চুক্তিতে 2.4% বা $1.31 ডলার বৃদ্ধি পেয়ে শেষ হয়েছিল, যা ব্যারেল এর মুল্য $56.35 ডলারে পাঠিয়েছে। নিউইয়র্কের ইলেকট্রিক ট্রেডিং ফ্লোর মার্চ মাসে WTI অপরিশোধিত তেলের জন্য ফিউচার চুক্তির মুল্য ব্যারেল প্রতি 1.03% বা $0.55 ডলার থেকে প্রতি ব্যারেল $54.1 ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং গ্রিন জোনে ট্রেডিং ক্লোজ হয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে 2.6% বা $1.35 , যা প্রতি ব্যারেলকে চূড়ান্ত মূল্য $ 53.55 এ প্রেরণ করেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/909566917.jpg[/IMG]
-
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়তির পথে রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জ্বালানি পণ্যটির দাম আরো বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৫ ডলারে উঠতে পারে। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক জ্বালানি তেল খাতে করোনাকালীন লোকসান অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1824820373.jpg[/IMG]
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬৫ ডলারের ওপরে অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতিতে গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বর্তমানের তুলনায় আরো ১০ ডলার বেড়ে ৭৫ ডলারে পৌঁছতে পারে। দ্রুত বাজারে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রত্যাশার তুলনায় কম জ্বালানি তেল উত্তোলনের জের ধরে তৃতীয় প্রান্তিক নাগাদ জ্বালানি পণ্যটির এমন মূল্যবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
-
যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল মজুদের ফলে কমেছে রিফাইনারিগুলোর চাহিদা। গতকাল এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পরই হঠাৎ করে নেমে গেছে তেলের বাজারদর। মঙ্গলবার আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) জানায়, গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল মজুদের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। রয়টার্সের জরিপে ৫২ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এপিআইয়ের উপাত্তে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, শোধনাগারগুলোতে দিনপ্রতি অপরিশোধিত তেল শোধন ২২ লাখ ব্যারেল কমেছে। গতকাল জ্বালানি তেলের বাজারদর ব্যারেলপ্রতি ৬০ দশমিক ৯৭ ডলারে নেমে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম নির্ধারণকারী সংস্থা ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম আগের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ৩৮ ডলার নির্ধারণ করেছে। রয়টার্সের বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম পুনরায় ৬৬ দশমিক ৪৫ থেকে ৬৬ দশমিক ৩১ ডলারে পৌঁছতে পারে। কমনওয়েলথ ব্যাংকের বিশ্লেষক বিবেক ধর বলেন, রিফাইনারিগুলোর চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ সংগ্রহ করা হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1190942220.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
মার্কিন প্রণোদনা বিল পাসে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বড় অংকের প্রণোদনা বিল পাসের ফলে গতকাল জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। গতকাল ব্যারেলপ্রতি ১ ডলারের বেশি বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। মে মাসের সরবরাহ চুক্তিতে অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ বা ১ দশমিক ২৪ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ৬৬ ডলারে। গত শুক্রবার এপ্রিলে সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ বা ১ দশমিক ১৮ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৬৮ ডলারে।
[ATTACH]13804[/ATTACH]
-
বিভিন্ন কারণে তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোর উপর হামলার পর তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রত্যাশার মধ্যে তেলের দাম বেড়েছে।আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ব্রেন্টের মে ফিউচারের ব্যয় 0.89% বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারেল প্রতি 68.85 ডলারে পৌঁছেছে, অন্যদিকে ডব্লিউটিআইয়ের এপ্রিল ফিউচারগুলি 0.78% বেড়েছে এবং ব্যারেল প্রতি 65.56 ডলারে পৌঁছেছে। সোমবার, ডব্লিউটিআই তেলের জন্য এপ্রিল ফিউচারগুলি নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (NYMEX) প্রতি ব্যারেল প্রতি 1.48% হ্রাস পেয়ে 65.11 ডলারে লেনদেন করেছে। অন্যদিকে ব্রেন্টের জন্য মে ফিউচারগুলি 1.53% হ্রাস পেয়ে ব্যারেল প্রতি 68.30 ডলারে ট্রেডিং ক্লোজ হয়েছে। ব্রেন্ট এবং ডাব্লুটিআইয়ের মধ্যে পার্থক্য প্রতি ব্যারেল $ 3.19 ছিল। আজ ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, তেল অবিচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছিল, ব্রেন্টের প্রতি ব্যারেল $ 71 এবং ডব্লিউটিআইয়ের জন্য $ 68 ডলার পর্যন্ত বেড়েছে। তবে সেশনের শেষে, বৃদ্ধির বেশ কয়েক দিন পরে সংশোধনের অংশ হিসাবে দাম হ্রাস পেয়েছে। তবুও, বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন যে তেলের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক, যদিও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অস্থির এবং পরিবর্তনীয় হবে। চাহিদা প্রত্যাশাগুলিও মোটামুটি ইতিবাচক রয়েছে, জনসংখ্যার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের উচ্চ হারের পাশাপাশি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দেশীয় সংবাদগুলির কারণে। এর সাথে গত সপ্তাহান্তে, মার্কিন সিনেট দীর্ঘ প্রতীক্ষিত $ 1.9 ট্রিলিয়ন ডলার ব্যালআউট বিলটি অনুমোদন করেছে, যা অনেকের আশা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণ হতে পারে। তেল বাজারকে প্রভাবিতকারী আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সৌদি আরবের বার্তা ছিল। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশাল ধর্মঘট শুরু করেছে। সশস্ত্র হামলার ফলস্বরূপ, সৌদি আরামকোর তেল ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1341659080.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অন্যতম সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দেশটির উত্তোলন, মজুদ ও সরবরাহ হ্রাস-বৃদ্ধির ওপর দাম ওঠা-নামা করে। একই কারণে গতকাল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বা ৭৪ সেন্ট কমেছে। ফলে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৭ ডলার ২৬ সেন্ট। এর আগে বুধবার ব্রেন্টের দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম সর্বশেষ ৬৫ সেন্ট বা ১ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৩ ডলার ৯৫ সেন্ট, যেখানে আগের সেশনে ব্যারেলপ্রতি দাম কমেছিল দশমিক ৩ শতাংশ।
[ATTACH]13928[/ATTACH]
-
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি হারে কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ইউরোপে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং টিকাদান কার্যক্রমের ধীরগতির প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। তবে বিপরীতে বেড়েছে ডলারের দাম। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২.২ ডলার অথবা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬২.৪২ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক তেলের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ২ ডলার ১০ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৫৯.৪৬ ডলার। গত সপ্তাহের তুলনায় দুটির দামই ৬ শতাংশ কমেছে।
জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলো করোনা মহামারীর প্রভাবে তেল উৎপাদন কমিয়ে এনেছিল, যাতে বিশ্ববাজারে কিছুটা ভারসাম্য বজায় থাকে। অন্যদিকে মার্কিন জ্বালানি তেল উত্তোলক প্রতিষ্ঠানগুলো সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে শুরু করেছে। জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়ে দিয়েছে তারা, যাতে চাহিদা বাড়লে যোগান দিতে সমস্যা না হয় এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। বলা হয়, গ্যাস ও তেল উত্তোলক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজর রাখলে বাজারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয় যায়। দেখা গেছে, জ্বালানি তেল উত্তোলনের হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়েছে তারা। এদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা করছে জার্মান, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বড় বড় অথনৈতিক দেশগুলো। এসব কারণে জ্বালানি তেলের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1877958289.jpg[/IMG]