করোনা সংকটেও এপ্রিল মাস ওয়াল স্ট্রিটের ইতিহাসে সেরা মাসগুলোর মধ্যে অন্যতম১
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1636269993.gif[/IMG]
অনেক সময় বাস্তব অর্থনীতি এবং শেয়ারবাজারের মাঝে লক্ষণীয় এক বৈপরীত্যের দেখা মেলে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গত এপ্রিল ছিল ১৯৮৭ সালের পর সবচেয়ে সেরা একটি মাস। যখন একই সময়ে বাস্তব অর্থনীতির সূচক যেমন কর্মসংস্থান, উৎপাদন, পরিষেবা, বাণিজ্য, পণ্য ও জিডিপি বেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। কেউ কেউ বলছিলেন বিনিয়োগকারীদের অনুভূতি বাস্তব অর্থনীতির যেকোনো প্রভাব থেকে মুক্ত। এটা হয়তো এমন কিছুই হবে অথবা এই প্রচণ্ড প্রবাহ একটি আত্মপরিপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে। আমি বিরোধ করে বলেছিলাম, এপ্রিলের মার্কেটের চিন্তায়, অনুভূতিতে শক্তি ও স্বচ্ছতাকে অগ্রাহ্য করে করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকোচনের সময় বেকারত্বের অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধিতে শেয়ারের দাম সাধারণ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়। গবেষকরা দেখান যে বেকারত্বের বৃদ্ধি কোম্পানির আয়কে হ্রাস করে এবং লভ্যাংশ বৃদ্ধি করে। এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয় অর্থনৈতিক বৈপরীত্যের সময়ে। তাই যখন বেকারত্ব অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়ে শেয়ার দর সাধারণত কমে যায়। তার পরও বিশাল এ পরিবর্তন মার্চের ২১ তারিখে প্রাথমিক বেকারত্বের সংখ্যাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে, যা মিলিত হয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের নেয়া অনন্যসাধারণ নাটকীয় পদক্ষেপের সঙ্গে। এরপর শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন শুরু হয় পরের সোমবার থেকে। যা কিনা গোটা এপ্রিলজুড়েই দেখা গেছে। এমনকি বেকারত্ব বীমা দাবি করা লোকের সংখ্যা আকাশছোঁয়ার পরও এটি অব্যাহত ছিল। বর্তমানে বেকারত্ব বীমা দাবি করা লোকের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ছাড়িয়েছে।
এর পেছনে একটি কারণ হচ্ছে অনুপস্থিতির জন্য ছুটি এবং খরচ কমানোর জন্য কর্মচারীদের ছাঁটাই। পাশাপাশি অবশ্যই, বৃহত্তর অর্থনীতি তাদের ব্যয় থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বেকারত্ব এবং খরচের রেখা দৃঢ়ভাবে স্থির হয়ে যায় ও বাজারে অংশগ্রহণকারীদের কাছেও তা জানা হয়ে যায়।
ঠিক ওই সময় থেকে বেকারত্বের পরবর্তী উত্থান এবং খরচের যে পতন তা আর অপ্রত্যাশিত ছিল না। ছুটি ও ছাঁটাইয়ের এ ধারা অবশ্য বেশ অনুমেয় ছিল এবং এই তথ্যটি একই সময়ে সংবেদন ও শেয়ারের দাম, উভয়ের মাঝেই নির্মিত ছিল। যে কারণে বাস্তব অর্থনীতির মারাত্মক যে পরিসংখ্যানগুলো তা বাজারকে বড় দিকে এগিয়ে নেয়নি।