-
1 Attachment(s)
শাহপরীর দ্বীপ ভ্রমন
শাহপরীর দ্বীপ বাংলাদেশের টেকনাফের সর্ব দক্ষিণে ভূ-ভাগের খুবই নিকটবর্তী একটি দ্বীপ। এই দ্বীপের লোকসংখ্যা ৪০ হাজারের মতো। এদের প্রধান পেশা মাছধরা ও লবণ চাষ। শাহপরীর দ্বীপের তিনটি সৈকত রয়েছে। এখান থেকে দেখা যায় মায়ানমারের মঙডু প্রদেশ। একটু সামনে থেকে দেখা যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এখানে আছে বিজিবি চৌকি ও ওয়াচ টাওয়ার। জেলেপাড়ায় ছোট ছোট কুঁড়েঘরে জেলেদের জীবন যাপন প্রত্যক্ষ করা যায়। জেলেপাড়ার পাশেই লবণক্ষেত। দিগন্তজোড়া লবণপ্রান্তর।
[ATTACH]7600[/ATTACH]
শাহপরীর দ্বীপের নামকরণ সম্পর্কে একাধিক মতবাদ রয়েছে। কারো মতে শাহ সুজার স্ত্রী পরীবানু ও শাহ সুজার শাহ শব্দ যুক্ত হয়ে এর নামকরণ হয়েছে। আবার কারো মতে, শাহ ফরিদ আউলিয়ার নামে দ্বীপের নামকরণ হয়। অপরদিকে অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি সা’বারিদ খাঁ’র হানিফা ও কয়রাপরী কাব্যগ্রন্থের অন্যতম চরিত্র শাহপরী। রোখাম রাজ্যের রাণী কয়রাপরীর মেয়ে শাহপরীর নামে দ্বীপের নামকরণ হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। শাহপরীর দ্বীপের বাম পাশে নাফ নদী। নদীর ঐ পাড়ে বার্মা বা মায়ানমার সীমান্ত। শাহপরীর দ্বীপ সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম। পূর্বে দ্বীপটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছিল। কালক্রমে মূল ভূখণ্ডের সাথে এটি যুক্ত হয়ে যায়। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৯ মাইল। সড়কপথে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ৮৯ কিলোমিটার এবং টেকনাফ থেকে শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব ১৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার।
শাহপরীর দ্বীপে যাওয়াটা কিছুটা কষ্টকর। শাহপরীর দ্বীপ টেকনাফ মূল ভূখণ্ডের সাথে একটি কাঁচা সড়ক দিয়ে যুক্ত। শীতের দিনে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য অটোরিক্সা পাওয়া যাবে। অটোরিক্সা শাহপরীর দ্বীপের ফেরীঘাটের সামনে নামিয়ে দেবে। আর বর্ষাকালে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই সময়ের নৌকা বা ট্রলারে যেতে হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিমানে কিংবা বাসে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে এসি বাসের গ্রীন লাইন, সোহাগ পরিবহন, সিল্ক লাইন এর ভাড়া ৮৫০ থেকে ১২০০ টাকা। নন-এসি বাস এস. আলম। এছাড়া টেকনাফ শহরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটলে ভাড়া ৫০০ থেকে ১২৫০ টাকা। এছাড়াও টেকনাফ শহরে সাধারণ মানের হোটেলে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা যায়।