-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10399[/ATTACH]
সারা বিশ্বেই ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে, অর্থনীতির ক্ষতি কত হবে, তার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান মিলবে আরও পরে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এরই মধ্যে বলে দিয়েছে, বিশ্বের আড়াই কোটি মানুষ চাকরি হারাবে। চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমেছে। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির উপাত্ত প্রকাশ করেছে। যেমন গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—এই দুই মাসে চীনের উৎপাদন কমেছে সাড়ে ১৩ শতাংশ, খুচরা বিক্রি কমেছে সাড়ে ২০ শতাংশ আর নির্মাণকাজ কমেছে সাড়ে ২৪ শতাংশ। এই অবস্থায় অর্থনীতি আগের অবস্থায় দ্রুত ও সহজে ফিরিয়ে যে আনা যাবে না, তা পরিষ্কার। বিশ্বের সব সব দেশই এখন চিন্তিত অর্থনীতি নিয়ে। কারণ, এয়ারলাইনস খাত একপ্রকার বসেই আছে। সারা বিশ্ব পর্যটকশূন্য। খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। দেশগুলোর মধ্যেও যাতায়াত কমে যাওয়ায় অনেক পরিবহন ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। রাস্তাঘাট মানুষশূন্য, রেস্তোরাঁরও একই অবস্থা।*
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10412[/ATTACH]
নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় তিন মাস ধরে থমকে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি ও ভাইরাসটি বিস্তারের কেন্দ্র চীন। বাকি বিশ্ব করোনায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি বাড়লেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করার সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে চীন সরকার।
-
চীনে দুই মাসে দুই কোটি মোবাইল গ্রাহক কোথায় গেল?
নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে। মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। তবে মৃত্যুর ভয়াবহ বিভীষিকাটা চীনারাই দেখেছে আগে। সরকারি হিসেবে সেখানে এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন হাজার ১৩৬ জন মানুষ। তবে দেশটির মোবাইল ফোন অপারেটরদের একটি পরিসংখ্যানের আপনার মনে প্রশ্নের উদ্রেগ জাগাতে পারে। সেখানে গেল দুই মাসে তিনটি অপারেটর থেকে প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ গ্রাহক ‘নাই’ হয়ে গেছে।
চীনা মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রতিমাসেই তাদের তথ্য প্রকাশ করে। গ্রাফে দেখা যায়, গত বছরও ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। তবে এ বছর জানুয়ারি মাসে তা ব্যাপক হারে কমতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা কমতে কমতে দুই কোটি গ্রাহক ‘নাই’ হয়ে যায়। অবশ্য, এই বিশাল পরিমাণ গ্রাহক কমার পরও দেশটির শীর্ষ তিন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা এখনো ১৬০ কোটির মতো।
মোবাইল অপারেটরগুলোর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে চায়না মোবাইল লিমিটেড হারিয়েছে সবচেয়ে বেশি ৮০ লাখ গ্রাহক, চীনা ইউনিকম হংকং লিমিটেড হারিয়েছে ৭৮ লাখ এবং চীনা টেলিকম করপোরেশন হারিয়ে ৫৬ লাখ গ্রাহক।
এতসংখ্যক গ্রাহক কমার প্রভাব পড়েছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরেও। গতকাল সোমবার এই তিন মোবাইল অপারেটরের শেয়ারেও পতন হয়েছে। হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে চায়না মোবাইল লিমিটেড শেয়ারদর হারিয়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, যেখানে এক্সচেঞ্জটির মূল সূচক হ্যাং সেং পয়েন্ট হারিয়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া অন্য দুই অপারেটর চায়না টেলিকম হারিয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং চায়না ইউনিকম হংকং লিমিটেড হারিয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এত সংখ্যক গ্রাহক কোথায় গেল- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চীনের মানবাধিকার কর্মী ও লেখক জেনিফার জেং। তিনি লিখেছেন, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের বড় তিনটি মোবাইল অপারেটর একত্রে দেড় কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। তারা এখন কোথায়?’
অবশ্য এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন ব্রোকারেজ হাউজ ‘সানফোর্ড সি বার্নস্টেইন অ্যান্ড কোম্পানি’-র বিশ্লেষক ক্রিস লেন। তিনি বলছেন, ‘গ্রাহক পতনের বড় কারণ হতে পারে দেশটির স্থানীয় ও বিদেশী কর্মজীবী মানুষ। বিদেশীদের বেশিরভাগই নিজ দেশে ফিরে গেছেন। আবার চীনের অনেকেই এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে কাজ করেন এবং অফিস থেকে তাদের ফোন নম্বর সরবরাহ করা হয়। করোনার প্রকোপ শুরু হলে অনেকেই নিজ নিজ অঞ্চলে ফিরে গেছেন। ফলে তাদের মোবাইল নম্বরগুলো অকার্যকর হয়ে গেছে।
বণিক বার্তা
-
আসলে বৈশ্বিক এই মহামারী পুরো পৃথীবীকে ধ্বংসযোগ্য বানিয়ে ফেলেছে। সব মানুষ এখন আতন্কিত কখন কে আক্রান্ত হয়ে যায়। আসলে এই অবস্হায় মানুষ ঘর থেকেও বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আর অর্থনৈতিক দিক দেখতে গেলে পুরো বিশ্বের অর্থনিিতিই ক্ষতিগ্রস্ত। কবে যে এই পরিস্হিতি স্বাভাবিক হবে এখন শুধু সেটাই দেখার।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1121911229.jpg[/IMG]
বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর করোনা সংকট গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে, কেনানা চীন ছাড়িয়ে পুরো বিশ্ব এখন নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্ত। ধনী-দরিদ্র, উন্নত-উন্নয়নশীল, উত্তর-দক্ষিণ কোনো বাধাই মানছে না প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। বিশ্ববাসী আতঙ্কিত। ১০০ কোটির বেশি মানুষ কার্যত ঘরবন্দি। স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। মহামন্দার ঘণ্টাধ্বনি বাজছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। পরিস্থিতি হয়তো সহসাই বদলাবে না। বরং নভেল করোনাভাইরাসের এ বৈশ্বিক সংকট সামনের বছরগুলোতে অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে থাকবে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1862120856.jpg[/IMG]
গোটা বিশ্বকেই অভূতপূর্ব এক দুর্যোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়েছে ভাইরাসটির সংক্রমণজনিত রোগ কভিড-১৯। শুধু স্বাস্থ্য খাত নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও মহাবিপদের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। থমকে দাঁড়িয়েছে বৈশ্বিক উৎপাদন ও সেবা খাত। নানা প্রণোদনা দিয়েও এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি সরকার তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এরই মধ্যে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গেছে বৈশ্বিক পর্যটন খাত। এয়ারলাইনসগুলোও এখন দেউলিয়াত্বের শঙ্কায়। সামনের দিনগুলোয় এ পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের। চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। বিশ্বব্যাপী সর্বশেষ বড় আকারের মন্দা দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালে। ওই সময়কার বাজার পারিপার্শ্বিকতার বেশকিছু উপাদান চলতি বছরের শুরুতেও পরিলক্ষিত হচ্ছিল।
-
শুক্রবার ইউএস হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ on 2.2 ট্রিলিয়ন ডলারের করোনভাইরাস উন্নতির বান্ডিলকে সমর্থন করেছে। বিলটি বর্তমানে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে চিহ্নিত করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
দিনের আগের দিন, রিপাবলিকান বিধায়ক টমাস ম্যাসি তার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধের কথা বলার পরে বাজারগুলি বিলটিতে প্রবেশের জন্য উদ্বিগ্ন ছিল। ওয়াল স্ট্রিটের প্রাথমিক তালিকাগুলি গত তিন দিন শক্তভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পরে প্রতিদিনের দুর্ভাগ্য পোস্ট করার লক্ষ্যে বিনীতভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ে। রচনা করার সময়, ডও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল গড় গড়ে ২.৪% হ্রাস পেয়েছিল এবং এসএন্ডপি 500 এবং নাসডাক সংমিশ্রণ উভয়ই ২.১% নির্মূল করছিলেন ।কোনাভিরাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডেকেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থির রয়েছেন "অনেক আগে" কাজ করার জন্য জাতিকে পুনরুদ্ধার করতে। রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশিত সংখ্যাগুলি যথাযথ হিসাবে গ্রহণ করেন না, যেমন তা হতে পারে, তার নিজস্ব টাস্কফোর্সের সহকর্মী অ্যান্টনি এস ফৌসি রবিবার বলেছিলেন যে দেশটি 100,000 থেকে 200,000 উত্তরণ এবং বিপুল সংখ্যক রোগের রেকর্ড করতে পারে, যেমন অগ্রগতির মাধ্যমে নির্দেশিত অনুমান।
দলের অন্য ব্যক্তি দেবোরা বার্সস অনুরূপভাবে বিরক্তিকর মূল্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন: "কোনও এক্সপ্রেস, কোনও মেট্রো অঞ্চল সংরক্ষণ করা হবে না।" যেমনটি রয়ে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২,২০০ টিরও বেশি করোনভাইরাস-সম্পর্কিত পাসিংস এবং ১৩০,০০০ স্বীকৃত মামলা রয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের নির্দেশ অনুসারে বিশ্বের অন্য কোথাও, চীনা গবেষকরা COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরেকটি অস্ত্র তৈরি করেছেন। "তারা বলেছে যে তারা একটি ন্যানোম্যাটরিয়া আবিষ্কার করেছে যা 96.5-99.9% উত্পাদনশীলতার সাথে সংক্রমণকে একীভূত করতে এবং নিষ্ক্রিয় করতে পারে।"
-
করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় প্রবেশ করেছে। যা ২০০৯ সালের আর্থিক মন্দা থেকে ভয়াবহ হবে বলে সতর্কতা দিয়েছে আইএমএফ। শুক্রবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সংস্থার প্রধান ক্রিস্টালিনা জার্জিয়েভা। বলেন, এতে সবচে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলো। যা সামাল দিতে এসব দেশের আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তার প্রয়োজন পড়বে..
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10538[/ATTACH]
করোনাভাইরাস যা বর্তমানে কোভিড-১৯ নামে পরিচিত তার বহুল প্রসারের দরুন বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এখন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। করোনার মহামারী যেহেতু প্রায় ১৮০ টি দেশকে এ মুহূর্তে আক্রমণ করেছে তার প্রভাব বিশ্বের সেই দেশগুলোর অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। আর প্রতিটি দেশই তাদের দেশের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়া, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়া ঠেকাতে আর্থিক নীতি শিথিল করছে এবং বিভিন্ন প্রনোদনা প্রদান করছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এখনো পর্যন্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া এই মরণব্যাধি গোটা বিশ্বের অর্থনীতি বদলে দিতে পারে, যদি দ্রুত করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়, তাহলে এই আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। অন্যথায় বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক মন্দার আশঙ্কাও থেকেই যাবে।
-
চলমান বৈশ্বিক সংকটের এ মুহূর্তে ধীরে ধীরে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলো অতিরিক্ত ঋণভার বহন করতে অনিচ্ছুক বা অপারগ। ১৯৩০-এর দশকের পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে ব্রিটিশ অর্থনীতি। এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে শতকোটি পাউন্ডের ঋণ সরবরাহের চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন সরকার। ব্রিটিশ অর্থনীতির সংকট জোগানে নয়, বরং চাহিদায়।