-
নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্কে সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে বড় পতন দেখেছিল দেশের শেয়ারবাজার। এর মধ্যে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয় রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এর মাত্র একদিন পরই গতকাল শেয়ার সূচকে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। এদিন ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অবশ্য গতকাল সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই।
-
দর কমেই যাচ্ছে শেয়ারবাজারে। আজ রোববার লেনদেনের শুরুতেই সূচক পড়তে থাকে। ৩ মিনিটের মধ্যে সূচক কমে ডিএসইএক্স নেমে আসে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে। পরে বেলা ১১টায় সূচকটি ১৭৬ পয়েন্ট হারায়। এক টানা দর পতন চলতে থাকে। বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে উধাও হয় ২০০ পয়েন্ট। এবং দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ২৩২ পয়েন্ট হারায় ডিএসইএক্স। এর আগে ২০১৫ সালের ৪ মে ডিএসইএক্স সূচকটি কমে ৩ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। গত কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার) লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক কমে ১০১ পয়েন্ট। অপরদিকে সিএসইতে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯৬টির দর কমেছে। ৯টির বেড়েছে। অপরিবর্তিত আছে ৩টির দর।
-
অনেকটাই ভোজবাজির মতো উল্টে গেছে দেশের শেয়ারবাজারের চিত্র। সোমবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজার বড় উত্থানের আভাস দিলেও ঘণ্টা না পেরুতেই তা বড় পতনে রূপ নিয়েছে। এদিন লেনদেনের প্রথম পাঁচ মিনিটেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেন অংশ নেয়া ২০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমে ১২টির। তবে শেয়ারবাজারের এই চিত্র বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই টপাটপ পড়তে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দাম। ফলে সূচক নামতে থাকে নিচের দিকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এই পতনের প্রবণতা।
-
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় সশরীরে উপস্থিত হয়ে লেনদেন করা বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। গতকাল হাতেগোনা কিছু বিনিয়োগকারী হাউজগুলোয় উপস্থিত থেকে লেনদেন করেছেন। এমনিতেই গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন অনেক কম হয়েছে। তার ওপর করোনা আতঙ্কের কারণে হাউজগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। যেসব বিনিয়োগকারী গতকাল লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের অনেকেই টেলিফোনে, অনলাইনে কিংবা অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচার আদেশ দিয়েছেন। আর সংক্রমণ প্রতিরোধে হাউজগুলো থেকেও বিনিয়োগকারীদের সশরীরে উপস্থিতিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকেও অনলাইন, অ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2108615025.jpg[/IMG]
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আতঙ্কের মধ্যে’ চার দিন দরপতনের পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়মের পরিবর্তন আনায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক এক লাফে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছিল। তবে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর সংশোধন করায় গতকাল কিছুটা পতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক ৩৭ শতাংশ।
-
করোনাভাইরাস আতঙ্কে যখন বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজার ধসে পড়ছে, কোনো প্রণোদনাই কাজ করছে না এবং বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যখন ক্রমে দরপতন হচ্ছে, বাজারে যখন শেয়ারের দাম ফ্রি-ফল হচ্ছে, লাখো বিনিয়োগকারী যখন দিশেহারা, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে, বাজারে শেয়ারের দামের ফ্রি-ফল বন্ধ হয়েছে এবং লাখো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী স্বস্তিতে আছেন। তা হলো, শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ঠিক করে দেয়া অর্থাৎ একটি শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট দামের নিচে নামতে পারবে না। আপনার এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং সঠিক। পুঁজিবাজারে যখনই কোনো বড় ধরনের সংকট হয়েছে, আমরা দেখতে পেয়েছি আপনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে এমন একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা প্রথমে সবাই সমালোচনা করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করে যে আপনার সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল। যেমন গত বাজেটে প্রত্যেক লিস্টেড কোম্পানিকে তার রিটেইনেড আর্নিংস ও রিজার্ভ থেকে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে আইনের মাধ্যমে বাধ্য করেছেন। আপনি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন ম্যাক্সিমাম লিস্টেড কোম্পানি বিশেষ করে ব্যাংকের স্পন্সর পরিচালকরা নিজেদের স্বার্থে এ প্রস্তাবের চরম বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ এসব পরিচালক সবসময়ই বোনাস শেয়ার দিতে পছন্দ করেন তাদের নিজেদের স্বার্থে। এতে তারা নিজেরা লাভবান হন এবং বিনিয়োগকারী সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত হন। আপনি ব্যাংক পরিচালকদের বলেছিলেন, ‘শুধু আপনাদের স্বার্থ দেখলে আমার হবে না, আমাকে লাখো বিনিয়োগকারীর স্বার্থ দেখতে হবে।’ আপনার সিদ্ধান্তের সুফল পেতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ পর্যন্ত যে কয়টি ব্যাংক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, তাদের সবাই ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছেন। আপনার প্রতি লাখো বিনিয়োগকারী কৃতজ্ঞ।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10434[/ATTACH]
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পুঁজিবাজারে টানা পতন অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়ার কারণে গত সপ্তাহে (২২-২৫ মার্চ) সূচক বেড়েছে। সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবস সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে করোনাভাইরাসের মহামারী প্রতিরোধ করার কারনে এই সপ্তাহে বাংলাদেশে দুটি স্টক মার্কেটই বন্ধ আছে। যদিও টানা তিন সপ্তাহ কমেছিল শেয়ার সূচক কিন্তু শেষ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক মার্কেট এর সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৪ হাজার ৮ দশমিক ২৮ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।
-
করোনা ভাইরাসের কারণে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শেয়ার বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৃহস্পতিবার ডিএসই’র উপমহাব্যবস্থাপক (প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে৷ এছাড়া, ১০ ও ১১ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার৷
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10741[/ATTACH]
করোনার এই অচল অবস্থার মধ্যেও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটি বাংলাদেশ) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত বুধবার শেয়ারপ্রতি ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। এছাড়াও উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বিদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য শেয়ারহোল্ডার ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে যোগ দেন। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর বাকি ৪টি সিদ্ধান্ত হলো আর্থিক বিবরণী ২০১৯, পরিচালকদের নির্বাচন, বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক নিয়োগ, করপোরেট গভর্ন্যান্স নিরীক্ষক নিয়োগ।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/494378523.jpg[/IMG]
ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য কোনো ব্যাংকই ১৫ শতাংশের বেশি নগদ এবং নগদ ও বোনাস শেয়ার মিলিয়ে ৩০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের জন্য আত্মঘাতী। কেননা ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়ায় শেয়ারবাজারে অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া কয়েকটি ব্যাংক ইতোমধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, এটা এখন সমন্বয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও এক এক ব্যাংকের সক্ষমতা এক এক রকম। ব্যাংক তার সক্ষমতা অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। এ লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সেক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক অনিয়ম করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাই আর এক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে।