-
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে ব্রেক্সিট বিল এর পক্ষ/বিপক্ষে যুক্তি তর্ক শেষ হয়েছে। ভোট এর ফলাফলে পক্ষে ভোট পড়েছেঃ ২০২ #বিপক্ষে ভোট পড়েছেঃ ৪৩২ টি। ফলে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এর উত্থাপিত ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে, প্রস্তাবিত এই চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় ইউ এর সদস্যতাপদ বাতিল করছে না। এমতবস্থায় বেশ অনেকগুলো বিষয় ইতিমধ্যেই আরও জটিল হয়ে উঠেছে, এদিকে লিভারেল পার্টি, নতুন করে থেরেসা মে এর উপর অনাস্থা ভোট এর আহ্বান করেছে যার ফলাফল হিসাবে থেরেসা মে এর মন্ত্রিত্ব নিয়ে নতুন করে সন্দেহের উদ্ভব হল। যেমন
* থেরেসা মে, কি তাহলে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ক্ষমতায় থাকছেন?
* ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় কি পুনরায় গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে?
* আগামি মার্চ ২৯ এর মধ্যে কি তাহলে ব্রেক্সিট সম্পন্ন হচ্ছে না?
* ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, চুক্তি বাতিল এর এই সিধান্তকে কিভাবে মেনে নিবে?
প্রশ্নগুলোর উত্তর এখন পর্যন্ত পরিস্কার নয় এবং এই বিষয়গুলোর প্রভাব, আমরা সরাসরি ফরেক্স ট্রেডে দেখতে পাবো। আসছে কয়েকদিন #gbp এবং #eur পেয়ারে অস্বাভাবিক মুভমেন্ট হতে পারে। তাই #gbp এবং #eur পেয়ারের অস্বাভাবিক মুভমেন্ট এর জন্য তৈরি থাকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
-
নো -ডিল ব্রেক্সিটের সম্ভবনা বেশী। আর নো ডিল ব্রেক্সিট হলে ইউরো এবং পাউন্ড নদীর এই কুলে আমি আর অই কুলে তুমি মাঝ খানে শুধু ডলার বেইজ মুভ হবে। আগে যেমন ইউরো পরলে পাউন্ড ও পরতো এমন পজিটিভ কো-রিলেশন থাকবে না। দুটি দেশ, দুটি আলাদা ইস্যুতে মুভ করবে। এবং ব্রেক্সিটের পর বেশ কয়েক মাস টেকনিক্যাল এনালাইসিস বেশী ফলো করবে ফরেন পলিসি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত। আর এখন থেকেই এর একটু একটু প্রভাব শুরু হয়েছে।
যদি সফট ব্রেক্সিট হয় বা কানাডিয়ান স্টাইল বা নরওয়েন স্টাইলে হয়। অর্থাৎ ইউরো জোনে না থেকেও ইউরো জোনেফ সাথে ফ্রি ট্রেড ডিলিং সুবিধা ইংল্যান্ড পায় সেক্ষেত্রে আবার পজিটিভ রিলেশন কাজ করবে। ইউরো শক্তিশালী হলে পাউন্ড ও হবে। পাউন্ড শক্তিশালী হলে ইউরো শক্তিশালী হবে৷ আর হার্ড ব্রেক্সিট হলে বা নো ডিল ব্রেক্সিট হলে " আজ দুজনার দুটি পথ গেছে দুদিকে চল" এমন হবে৷ সেক্ষেত্রে ডলার বেইজ মুভ হবে।
-
ব্রেক্সিট নিয়ে জটিলতা নিরসনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নতুন প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ফলে এর মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার নির্ধারিত সময়ে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে পারবে বলে আশা ব্রিটেনের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রীর। তবে নতুন প্রস্তাবনা নয়, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে বলে মত দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার। এদিকে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিরোধীদল লেবার পার্টি
-
চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে আশঙ্কায় দিন গুনছে ব্রিটেনে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান করা গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো। ২২ দিনের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে প্রস্থান করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। অনেকটা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠায় বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের ৮ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর জন্য উত্কণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। জেনেভা মোটর শোতে জার্মান গাড়ি নির্মাতা জায়ান্ট বিএমডব্লিউ জানায়, তারা অক্সফোর্ডের নিকটবর্তী কাউলি কারখানায় মিনি গাড়ি নির্মাণ বন্ধ করার কথা ভাবছে। এতে শত বছর ধরে গাড়ি নির্মাণ করা এ কোম্পানিটির ৪ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।
-
আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে। অথচ এখনো যুক্তরাজ্য কোনো ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেনি। উল্লেক্ষ্য যে গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র প্রস্তাবিত চুক্তি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়। তাই আজ মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তি গ্রহণ করা হবে কি হবে না এ বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এখন হাউজ অব কমন্সকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
-
ব্রেক্সিট ইস্যু ও পাউন্ডের স্ট্রং হওয়া নিউজের পরেইঃ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিটের পক্ষে। এর অর্থ সে চায় বৃটেন ইউরোপীয় জোন থেকে বেরিয়ে আসুক। আমরা জানি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কমিউনিটির নাম। এই কমিউনিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া মানে বিশাল এক অর্থনৈতিক ব্যাকআপ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা। থেরেসা মে পন্থিরা স্বাধীনচেতায় বিশ্বাসী। তারা কোন ইউনিয়নের অধিনে থাকতে চাননা। তা সে যত শক্তিশালী কমিউনিটিই হোক না কেন!
কিন্ত এই ব্রেক্সিটের বিপক্ষেও জনমত কম নয়। বেশ কিছুদিন আগে ব্রেক্সিটের পক্ষে ও বিপক্ষে গণভোটে পক্ষের জয় হলেও বিপক্ষের ভোটও একেবারেই কাছাকাছি ছিল। সামান্য ব্যবধান ছিল দু পক্ষের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে জয় হওয়াতে সেই ভোটের পরেই বৃটিশ পাউন্ড নামতে নামতে একেবারে তলানীতে এসে পড়েছিল প্রায়।
এবার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সেই ভোটের রায় কার্যকর করতে পার্লামেন্টে বিল উথাপন করেন ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে। কিন্ত সেই বিলের পক্ষে হওয়া পার্লামেন্টারি ভোটে থেরেসা মে পক্ষ হেরে যান। তিনি পান ৩০৭ ভোট। আর বিপক্ষ জয় পায় ৩১২ ভোট পেয়ে।
তাতে ব্রেক্সিট ইস্যু কিছুটা হলেও দীর্ঘায়িত হয় আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে থাকাটাও আরেকটু লম্বায়িত হল বৃটেনের ফলে এই শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোনের সাথে আরও কিছুদিন থাকতে পারার সুবাদে বৃটিশ পাউন্ড (gbp) কিছুটা স্ট্রং আচরন দেখায়।
যার ফলে প্রায় সকল পেয়ারেই জিবিপি মুল্য উপরের দিকেই উঠতে থাকে নিউজের পর পরই
-
৪.১ মিলিয়ন লোক সাক্ষর করেছে যাতে ব্রেক্সিট নিয়ে আবার পার্লামেন্টে ডিবেট হয়, ৪.২ মিলিয়ন হলে ব্রেক্সিট নিয়ে আবার পার্লামেন্টে ডিবেট হবে যাতে নো ডিল ব্রেক্সিটের পক্ষে হাটতে না হয়। আর ০.১ মিলিয়ন লোক সাক্ষর করলেই হবে। নো-ডিল ব্রেক্সিট হলে মার্ক কার্নির( ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর) কথা অনুযায়ী ইংল্যান্ডের ইকোনোমি কলাপ্স করবে ২৫% এর মত। পাউন্ড কত পিপ্স ড্রপ করবে এটা সহজেই অনুমেয়।
৩য় ভোটের পর থেরেসা মে আর্জি করেছিলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে ২ বছর সময়ের জন্য, এটা সাময়িক পাউন্ডের জন্য পজিটিভ ছিলো। সেটা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ডিনাই করা হয়। এর পর আবেদন করা হয় ৩০ শে জুন পর্যন্ত, সেটার কারন দেখাতে বলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। শেষ পর্যন্ত এপ্রিল এর ১২ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় এবং ২২ তারিখের মাঝেই একটা সিদ্ধান্তে পৌছে যাবে ব্রেক্সিট ডিল। এর মাঝেই ব্রেক্সিট ডিল নিয়ে পিটিশনের আয়োজন করা হয়েছে। লেটস সি।
পার্লামেন্টের নিজস্ব অয়েব সাইটে এই পিটিশন এর আয়োজন করা হয়েছে। https://petition.parliament.uk/petitions/241584
-
বিদায় নিচ্ছেন থেরেসা মে!
[IMG]https://www.dailyinqilab.com/news_original/1553487692_theresa-may-u-k-139062.jpg[/IMG]
মন্ত্রিসভার একটি পূর্ণাঙ্গ অভ্যুত্থান চক্রান্তের সম্মুখীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তার মন্ত্রিসভার ১১ জন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তারা তার পদত্যাগ চান। টিম শিপম্যান রোববার বলেন, ‘আজ রাত থেকে থেকে উৎখাত করতে তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ অভ্যুত্থান চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাকে ১০ দিনের মধ্যে তাকে বিদায় নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মের ডি-ফ্যাক্টো সহকারী ডেভিড লাইডিংটন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে অন্যরা পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গভ অথবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমি হান্টকে এ দায়িত্ব দেয়ার পক্ষে।’
জানা গেছে, থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেই ব্রেক্সিট চুক্তি পাসে প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের সিনিয়র নেতারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে পরবর্তী দফা আলোচনার নেতৃত্বে থেরেসা থাকছেন না বলে জানালে অনিচ্ছা সত্ত্বেও টোরি এমপিরা ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন, যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমগুলোতে এমন খবরের মধ্যেই রক্ষণশীল দলের সংসদ সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের এ মনোভাবের কথা জানা গেল।
তবে থেরেসা মেকে সরে দাঁড়াতে প্ররোচিত করা হচ্ছে বলে যেসব খবর প্রচারিত হচ্ছে সেগুলো উড়িয়ে দিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট। ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়াবিষয়ক আর্টিকেল-৫০ এর মেয়াদ বাড়াতে বাধ্য হওয়া মে সপ্তাহখানেক ধরেই পদত্যাগের চাপের মুখে আছেন। ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় তার সমালোচনাও করছেন এমপিরা। ইইউ নেতাদের সাথে হওয়া সমঝোতা চুক্তিটি থেরেসা আগামী সপ্তাহে ফের পার্লামেন্টে ভোটে তুলবেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী থেরেসা এমপিদের কাছে লেখা এক চিঠিতে ‘প্রয়োজনীয় সমর্থন’ পেলেই কেবল চুক্তিটি ফের উত্থাপন করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
-
ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে ঝামেলা যেন কাটছেই না, পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট বিষয়ক আলোচ্যসূচি হাতে নিতে সাংসদদের আনা একটি অভূতপূর্ব সংশোধনী প্রস্তাবে টেরিজা মে-র সরকার ৩২৯-৩০২ ভোটে হেরেছে, যদিও বিভিন্ন দলের সাংসদদের সমর্থনপুষ্ট ওই সংশোধনী অনুযায়ী বুধবার ব্রেক্সিট নিয়ে সিরিজ ভোট হবে; সেখানেই কোন পদ্ধতির বিচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি সাংসদের সমর্থন আছে তা জানা যাবে। অথচ ১ সপ্তাহ আগে থেকে নোডিল ব্রেক্সিট এর পক্ষে বিপক্ষে চলমান ভোটকে কেন্দ্র করে মার্কেট এমনিতেই উত্তাল ছিলো, তার উপরে পার্লামেন্টে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ আরো বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। যদিও গত সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যক্রম পেছানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আরো কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছিলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কিছুটা সময় দেওয়াও হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি গোদের উপর বিষ ফোড়ার মত ব্রেক্সিট এর বিপক্ষে আন্দোলন করা শুরু করেছে লাখ লাখ লোক, এদের মধ্যে আবার বাম দলের নেতারাও আছে।
[IMG]https://d30fl32nd2baj9.cloudfront.net/media/2019/03/26/may.jpg/ALTERNATES/w640/may.jpg[/IMG]
যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের পুনরায় ইউনিয়ন ভুক্ত থাকার এবং ব্রেক্সিট বাতিলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি যত আন্দোলন ই হোক না কেনো ব্রেক্সিট বন্ধ হবেনা। তবে এইভাবে বিভিন্ন মহলের মাঝে মতবিরোধ চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে ব্রিটেনের অর্থনীতির উপর ক্ষতিকর প্রভাব পরবে। এবং চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে কোনও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত না আসে তবে চলতি সপ্তাহেই পাউন্ডের উপর এর ছোটখাটো ইফেক্ট আসতে পারে এমনকি মার্কেট গ্যাপ দিয়ে শুরু হবার সম্ভাবনাও আছে। আর পাউন্ড নিয়ে যদি এভাবে ধোঁয়াশা বাড়তেই থাকে তবে পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে ভোলাটালিটি অনেক বেড়ে যেতে পারে এমনকি হুটহাট করে যেকোনো সময় কোনও ইভেন্ট ছাড়াই বড় মুভমেন্ট হতে পারে, কারন এই সময়ে বড় বড় ব্যাংক এবং বিগ ইনভেস্টরদের পাশাপাশি গ্যাম্বলাররা অনেক বেশি সক্রিয় থাকে।
দিন শেষে ফরেক্স মার্কেট তার আপন গতিতেই চলবে। তাই অবশ্যই স্টপ লস ব্যবহার করে ট্রেড করা উচিৎ এবং ভালো সেটাপ এবং ভালো ট্রেড কনফার্মেশন এর জন্য ধৈর্য ধারণ করে অপেক্ষা করা উচিৎ।
অল্প লটে এবং অবশ্যই স্টপ লস সেট করে ট্রেড করুন, নিজের ব্যালেন্স কে সুরক্ষিত রাখুন ।
-
তৃতীয় বারের মতো ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার পর ব্রিটেনকে হয়তো কোন চুক্তি ছাড়াই ১২ এপ্রিল ইইউ ত্যাগ করতে হবে। ফলে দেশটির পার্লামেন্টে কার্যত এক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আরেক দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে? অনেকেই মনে করছে এর ফলে ব্রিটেনের অর্থনীতির গুরুতর ক্ষতি হবে। অন্যদিকে ব্রেক্সিট সমর্থকদের একাংশ বলছেন, মে-র চুক্তিতে যে ব্যাকস্টপ পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তাতে উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ব্রিটেনের বাকি অংশ- এ দুয়ের জন্য দুই নিয়ম চালু হবে। তাদের মতে, এক দেশে দুই নিয়ম থাকতে পারে না এবং এর ফলে উত্তর আয়ারল্যান্ড কার্যত যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, ব্রিটেন আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে কখনোই ইইউ থেকে বেরুতে পারবে না।