-
1 Attachment(s)
করোনার নতুন স্ট্রেইন থামাবে 'নোভাভ্যাক্স' টিকা।
[ATTACH]13566[/ATTACH]
করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে যখন বিশ্ববাসী আতঙ্ক তখনই আশার খবর শোনাল যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক ওষুধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘নোভাভ্যাক্স’। নতুন স্ট্রেইন বা ধরন মোকাবিলায় নোভাভ্যাক্সের টিকা ৮৯ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। যুক্তরাজ্যে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়ালে সফলতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্য সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির অনুমোদন পেলে এ বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই টিকার প্রয়োগ শুরু করবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যে মানবদেহে পরীক্ষা চালানো টিকা নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা প্রতিরোধে দুর্দান্ত কাজ করছে বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানটি। কোভিডের নতুন বৈশিষ্ট্যর বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো টিকা নিয়ে বড় ধরনের সুখবর পাওয়া গেল।
নোভাভ্যাক্স উদ্ভাবিত করোনা টিকার সফলতায় সুসংবাদ বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদিকে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন অনুমোদন দিতে যুক্তরাজ্যে প্রস্তুত রয়েছে। বলেন, নোভাভ্যাক্সের টিকা নিয়ে আমরা খুবই সন্তোষজনক খবর পেয়েছি। আশা করি ভালো কিছু হবে। বিশেষ করে ওই সব দুর্দান্ত বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের অক্লান্ত চেষ্টায় আমরা দ্রুত কার্যকর টিকা পাচ্ছি।
যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ডের টিকার পর নোভাভ্যাক্সের টিকাই সবচেয়ে বড় পরিসরে ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনে মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দেখা গেছে তাদের টিকা ৮৯ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকর। ১৮ থেকে ৮৪ বছর বয়সী ১৫ হাজার মানুষের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। যুক্তরাজ্যে ছাড়াও এই টিকা দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ট্রায়াল চলছে। সেখানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকরের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ব্রিটেনে এ পর্যন্ত তিনটি টিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোতি দিয়েছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ডে-অস্ট্রোজেনেকা, ফাইজার এন্ড বায়োএনটেক এবং মডার্না'র ভ্যাকসিন নিচ্ছেন ব্রিটেনবাসী।
যুক্তরাজ্যে থেকে শনাক্ত হওয়ায় কোভিডের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে অনেকে দেশে। এটি পূর্বের থেকে ৭০ গুণ দ্রুত ছড়াতে পারে। বিজ্ঞানীরা নতুন বৈশিষ্ট্যর এই কোভিডকে ভয়ংকর অ্যাখা দিলেও এখন পর্যন্ত তেমন তাণ্ডব চালাতে পারেনি।
-
1 Attachment(s)
এখনো করোনা টিকা পায়নি ১৩০ টি দেশ।
[ATTACH]13714[/ATTACH]
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি দেশে কোভিডের টিকাদান কর্মসূচি চলছে। যদিও এখনো ১৩০টি দেশে সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। এমন উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেস।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক ভার্চুয়ালি বৈঠকে বিষয়টি জানান। অধিকাংশ দেশ ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় না আসায় সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন গুতেরেস। বলেন, টিকা সুষম বন্টনই সবচেয়ে জরুরি। যত দ্রুত সম্ভব প্রতিটি দেশ যেন ভ্যাকসিন পায় বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বৈঠকে গুতেরেস জি ২০টি সদস্যভুক্ত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর প্রতি একটি জরুরি টাস্ক ফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। এতে অর্থ সহায়তা পাওয়া গেলে দ্রুত টিকা উৎপাদন করা সম্ভব মনে করেন তিনি।
সূত্র:- বণিক বার্তা।
-
1 Attachment(s)
করোনার ভ্যাকসিন 'সীমিত সম্পদ': বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
[ATTACH]13740[/ATTACH]
চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন 'সীমিত সম্পদ' হিসেবে বিবেচিত হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এখনো করোনার ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত বিশ্বের শতাধিক দেশ। তাদের সহায়তায় ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান। এদিকে, ফাইজারের টিকা দিয়ে ইসরাইল এখন হার্ড ইমিউনিটির পথে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ইউরোপ, পশ্চিমা বিশ্ব ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশ করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করলেও এখনো এই ভ্যাকসিন সোনার হরিণ একশ'র বেশি দেশে। দেশগুলোর সরকার টিকার ব্যবস্থা করতে না পারায় করোনার সংক্রমণ ক্রমেই ব্যাপক আকার ধারণ করছে।
এ অবস্থায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তায় এগিয়ে আসতে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ করে সংস্থার উদ্যোগে গঠিত ভ্যাকসিন সহযোগিতা প্রকল্প কোভ্যাক্সে অনুদান দিয়ে দরিদ্র দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সংস্থার প্রধান। একইসঙ্গে, ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বণ্টনের ওপরও জোর দেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, শীর্ষ আয়ের বেশ কিছু দেশ টিকা নিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আগাম চুক্তি করছে। এতে করে কোভ্যাক্সের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোভ্যাক্সকে সময় মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারছে না। অন্ততপক্ষে তহবিলে অর্থ দিলেও দরিদ্র দেশগুলোর মাঝে টিকা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হতো।
এদিকে ফাইজার ও বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রি া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই নতুন তথ্য দিলো ইসরাইল। ফাইজারের টিকা প্রয়োগের পর জনগণের বড় একটি অংশের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠেছে বলে দাবি করেছে দেশটি। টিকাদানের পর করোনার সংক্রমণ কমায় ইসরাইল হার্ড ইমিউনিটির পথে হাঁটছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
-
1 Attachment(s)
অসুস্থতার ঝুঁকি ৮০% কমিয়ে আনছে করোনার টিকা।
[ATTACH]13802[/ATTACH]
ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার এক ডোজই অসুস্থতার ঝুঁকি ৮০ শতাংশের বেশি কমিয়ে আনে বলে বলে জানিয়েছে ইংল্যান্ডের একটি গবেষণা। সোমবার (১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড’-এর করা একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে ফাইজারের করোনা টিকা নেওয়ার তিন বা চার সপ্তাহ পর থেকে মানবদেহে এই কার্যকারিতা দেখা যায়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যাদের বয়স ৮০ বছরের বেশি, তারা করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই এই কার্যকারিতার ফলাফল দেখা গেছে। এর আগে গেল সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগও একই ধরনের ফলাফল পাওয়ার কথা জানায়। তারা সেসময় এই ফলাফলকে ‘দর্শনীয়’ বলেও উল্লেখ করে। সোমবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা টিকা নিয়ে সর্বশেষ গবেষণার এই ফল ‘খুবই শক্তিশালী’।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।’ ওই সম্মেলনে ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার অধ্যাপক জনাথন ভ্যান টাম বলেন, আমরা সম্ভবত আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আলাদা একটি বিশ্বে যাচ্ছি, কারণ করোনা টিকার ফলাফল এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজও গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার অংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যা দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের এক-তৃতীয়াংশের বেশি। এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব থামছে না। চলছে দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ কোটি ৪৯ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ লাখ ৪৯ হাজার।
-
ইতালিতে করোনা ভ্যাকসিন নিলে মিলবে গ্রীন পাস
ইউরোপের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। করোনা নিয়ন্ত্রণে ইতালিতে একদিকে চলছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম, অন্যদিকে অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে উত্তরণে চলছে নানা প্রয়াস। এ অবস্থায় ভ্যাকসিন নেওয়া নাগরিকদের জন্য গ্রিন পাসের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
আসন্ন গ্রীষ্মে ছুটি কাটাতে ইউরোপের ২৭টি দেশের নাগরিকদের জন্য গ্রিন পাস বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যারা করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন, কেবল তারাই এই ডিজিটাল গ্রিন পাস পাবেন বলে জানিয়েছে ইইউ। নতুন এই পরিকল্পনাটি আগামী ২৫ মার্চ ইইউ নেতাদের বৈঠকের আগে চূড়ান্ত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
গ্রিন পাসের মাধ্যমে ইউরোপের নাগরিকরা ইতালিতে ভ্রমণের সুযোগ পেলে, দেশটির পর্যটনশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। এতে খুশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের আশা, ইতালিতে বিদেশি পর্যটকরা ফিরলে কেটে যাবে ব্যবসায়িক মন্দা।
এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে ইতালিতে পুরোদমে চলছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। আগামী জুনের মধ্যে দেশটির ৫ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘী। করোনা নিয়ন্ত্রণে ইতালি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
-
1 Attachment(s)
করোনার ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন করা যাবে বিকাশ অ্যাপে।
[ATTACH]13836[/ATTACH]
এখন থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে। শনিবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকাশ অ্যাপের সাজেশন সেকশন থেকে সুরক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে গ্রাহক এক মুহূর্তেই কোভিড-১৯ টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।
সাজেশন বক্সে সুরক্ষা লোগোতে ক্লিক করলেই গ্রাহক সরাসরি পৌঁছে যাবেন সুরক্ষা পোর্টালে। গ্রাহক তার পছন্দ অনুসারে বাংলায় বা ইংরেজিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল নম্বর ও আরও কিছু তথ্য প্রয়োজন হবে।
শুরুতে পোর্টালের নিবন্ধন আইকনে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে পরিচয় যাচাই করতে হবে। অর্থাৎ যিনি নিবন্ধন করছেন তিনি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ছেন তা নির্বাচন করবেন। এবার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও সাল দিতে হবে। নিচে একটি কোড পূরণ করলে পরের ধাপে চলে যাবেন।
তথ্য যাচাই হয়ে গেলে কোন এলাকার কোন হাসপাতালে টিকা দিতে ইচ্ছুক তা নির্বাচন করতে হবে এবং অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার তথ্য পূরণ করতে হবে। সব শেষে মোবাইলে আসা ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। স্ক্রিনে নিবন্ধন অংশে গ্রাহক ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ অপশনটি দেখতে পাবেন। সেখান থেকে কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। পরবর্তীতে এসএমএসের মাধ্যমে টিকার তারিখ পেয়ে যাবেন। যাদের নিবন্ধন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে তারা পোর্টালের নিবন্ধন স্ট্যাটাস থেকে বর্তমান অবস্থার তথ্যও পেয়ে যাবেন।
-
1 Attachment(s)
ভ্যাকসিনে তাক লাগানো ভুটান।
[ATTACH]14112[/ATTACH]
মহামারি করোনা ভাইরাসে পুরো পৃথিবী যখন বিপর্যস্ত তখন নিজেদের মতন করে দেশের জনগণকে রক্ষা করেছে ভুটান। ফল টাও পেয়েছে হাতে নাতে। মাত্র একজন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ বছরের জানুয়ারিতে ভারত যখন ভুটানকে শুভেচ্ছাস্বরূপ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উপহার দেয়, ভুটান সরকার এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্যা ইকোনমিস্ট জানায়, ভুটান সরকার ঝুং দ্রাতশাং নামে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি গোষ্ঠীর কাছে পরামর্শ চায়।
ভিক্ষুরা জানান, সে সময় আকাশের তারা শুভ অবস্থানে ছিল না। তাই দুই মাস অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত হয়, তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভুটানের বর্ষ পঞ্জিকা মতে বানর বছরে জন্ম নেয়া একজন নারীর দ্বারা বানর বছরে জন্ম নেয়া কোনো নারীকেই প্রথম করোনার ভ্যাকসিন দিতে হবে।
শেষে মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করে। সেই সঙ্গে ভিক্ষুদের মতামত অনুযায়ী খুঁজে বের করা হয় বানর বছরে জন্ম গ্রহণকারী দুই নারী। তাদের একজন শেরিং জ্যাংমো, নিন্দা দেমাকে অপর এক নারীকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করেন। এর পরেই রাতারাতি যুদ্ধ প্রস্তুতিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ভুটানের ৮৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে ভ্যাকসিনের প্রথম শট দেয়া হয়, যা ভ্যাকসিন প্রদানের হারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি।
এই সাফল্যের ভাগীদার ভুটানের রাজণৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে পুরো দেশের মানুষের । ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ‘শান্তির প্রহরী’ নামে কমলা জাম্পস্যুট পরিহিত একটি জাতীয় বাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনী সারা দেশজুড়ে ১ হাজার ২০০টি ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্র স্থাপন ও কর্মী নিয়োগে সহায়তা করে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং নিজে একজন চিকিৎসক এবং দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাই।
তাদের করোনা নীতি অনুযায়ী দেশটিতে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম বেশ কঠোরভাবে পালন করা হয়েছে। মার্চে দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ সফর শেষে রাজধানী থিম্পুতে ফিরে স্বয়ং রাজা নিজেকে এক সপ্তাহের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে ২১ দিনের আইসোলেশনে থেকেছেন।
-
1 Attachment(s)
নিজেদের তৈরি টিকা নিয়ে হতাশ চীন।
করোনা সংক্রমণ রোধে চীনের আত্মবিশ্বাস অজানা নয়। তারা চেয়েছিল খুব দ্রুতই দেশটির বিপুল জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবে। কিন্তু তাদের সে ভাবনা গুঁড়েবালি। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, তাদের টিকা ওতোটা কার্যকরী নয়। তারা আরও উপযোগী টিকা খুঁজছে।
গত বছর ডিসেম্বরে ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেয়েছিল ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন। এরপরে এক এক করে বাজারে আসতে থাকে মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসনসহ বিভিন্ন সংস্থার টিকা। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সেই সব টিকা যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন স্ট্রেনের সামনে পড়ে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বাজারে আসা টিকাগুলো। দক্ষিণ আফ্রিকা তো জানিয়ে দিয়েছে, করোনার নতুন স্ট্রেন মোকাবেলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা কাজ করছে না।
এই পরিস্থিতিতে চীনের শীর্ষস্থানীয় এক বিশেষজ্ঞ একটি প্রস্তাব দিয়েছে। বাজারে প্রাপ্য ভ্যাকসিনগুলো মিশিয়ে এমন একটি নতুন প্রতিষেধক তারা তৈরি করতে চায় যার ক্ষমতা চলতি টিকাগুলোর চেয়ে অনেকটাই কার্যকরী। চীনের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম বলে স্বীকার করে দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিচালক গাও ফু জানান, কার্যকারিতা বাড়াতে ভ্যাকসিনে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে চীন সরকার।
এরআগে তিনি বলেছিলেন, টিকাকরণেরে মাধ্যমে কোভিডকে পরাস্ত করা সম্ভব। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এ বছরের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে চীন।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস, জি নিউজ।
-
1 Attachment(s)
করোনা নেগেটিভ হওয়ার কতো দিন পরে টিকা নিতে পারবেন।
করোনা থেকে নেগেটিভ হওয়ার ২৮ দিন পর করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারও করোনা হলে অতিরিক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রি ায় যেন সমস্যা না হয়, সে সাবধানতার জন্য ২৮ দিন পর, অর্থাৎ চার সপ্তাহ পর টিকা নেওয়া যায়। এই নিয়ম প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া সবার জন্যই প্রযোজ্য।
টিকার সার্টিফিকেট কবে নাগাদ পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সার্টিফিকেট নিয়ে কাজ করছে তথ্য ও প্রযুক্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আরও এক সপ্তাহ পরে সিস্টেমে এটা অনবোর্ড হবে। তখন সবাইকে জানানো হলে তারা টিকা সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, ‘অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন রোজা রেখে টিকা নিতে পারবেন কিনা। আমি সবাইকে বলতে চাই, রোজা রেখে টিকা নেওয়া যাবে। এ নিয়ে আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, রোজা রেখে টিকা নেওয়াতে কোনো বাধা নেই। এছাড়া সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশেও টিকাদান কর্মসূচি চলছে।’
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে জাতীয়ভাবে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। টিকার দ্বিতীয় ডোজ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু লকডাউনের কারণে অনেকেই ঢাকাতে এসে আটকা পড়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা তারা কীভাবে কোথা থেকে নিতে পারবেন এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে জনমনে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে জাতীয়ভাবে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। টিকার দ্বিতীয় ডোজ কর্মসূচি শুরু হয়েছে ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু লকডাউনের কারণে অনেকেই ঢাকাতে এসে আটকা পড়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা তারা কীভাবে কোথা থেকে নিতে পারবেন এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে জনমনে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বর্তমানে টিকা কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এতে করে চাপ বাড়বে। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ৮-১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তাই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
-
1 Attachment(s)
করোনা ভ্যাকসিন: নিতে হবে তৃতীয় ডোজ।
[ATTACH]14159[/ATTACH]
করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বুরলো বলেছেন, তাদের কোম্পানির তৈরি করা ভ্যাকসিনের ডোজ নেয়ার ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেয়া লাগতে পারে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। এ সময় সিইও বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতি বছর ভ্যাকসিন নেয়া লাগতে পারে।
করোনার নতুন নতুন ধরন ‘মূল ভূমিকা’ পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত তৃতীয় ডোজ প্রয়োজন হবে, কোথাও ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে এবং পরে প্রতি বছরে ভ্যাকসিন দেয়া লাগতে পারে, তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া দরকার।’ ভ্যাকসিন নিলে সেটি শরীরে কতদিন পর্যন্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে গবেষকরা বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ফাইজার এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করে, তাদের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯১ শতাংশেরও বেশি কার্যকর এবং দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। তবে গবেষকরা বলেছেন যে, ছয় মাস পরে সুরক্ষা স্থায়ী হয় কিনা তা নির্ধারণের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন।
জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করে ফাইজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলোতে এই ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট বায়োএনটেক ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করে যে, করোনার নতুন নতুন ধরনের বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে লড়াই করার জন্য এটি তার ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ পরীক্ষা করছে।
বুরলো বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাদের কোম্পানি নতুন সূত্রে কাজ করছে যাতে তাদের ভ্যাকসিনকে সাধারণ তাপমাত্রায় ৪ থেকে ৬ মাস ধরে সংরক্ষণ করা যায়।