1 Attachment(s)
সেলিব্রেটিদের ডকুমেন্টারি বানানো কি টাফ?
[ATTACH=CONFIG]12993[/ATTACH]
সালমান শাহ মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। হুমায়ুন ফরীদি মারা গেছেন ৮ বছর চলে। আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন দুই বছর হল। এদের কাউকে নিয়ে কোন ডকুমেন্টারি নাই। ভাল বা খারাপ তো পরের কথা, কোন একটা ডকুমেন্টারি হয় নাই আজ পর্যন্ত এদের জীবন আর কাজের ব্যাপারে। আইএমডিবিতে এদের প্রোফাইলে গেলে কান্না পায়। জহির রায়হানের একটা ভালো কোয়ালিটির স্টিল পিকচার পাবেন না গুগলে। সালমান শাহের মাত্র একটা ইন্টারভিউয়ের ২৮ সেকেন্ড আছে ইউটিউবে, আর কোন ইন্টারভিউ নেই তার! থাকলেও সেটাকে রক্ষার প্রয়োজন বোধ করেন নাই কেউ। নায়করাজ রাজ্জাক মারা গেছেন ৩ বছর চলে। চ্যানেল আই একটা ডকুমেন্টারি বানিয়েছিল তাকে নিয়ে, শাইখ সিরাজ এটার পেছনে ছিলেন। পাবলিক লাইব্রেরীতে ছুটে গিয়েছিলাম এটা দেখার জন্য নিজের শত ব্যস্ততার মাঝেও। সেটা এখনও অনলাইনে এভেইলেবল না। অনেকে হয়ত জানেনও না, এরকম কিছু একটা এই দেশে নির্মিত হয়েছে আমাদের এক কিংবদন্তীকে নিয়ে। যারা চলে গেছেন শুধু তারা নন, যারা বেঁচে আছেন তাদেরও বেশিরভাগেরই কাজের কোন যথাযথ দলিল নাই। আইএমডিবি অনুযায়ী নাটক সিনেমা মিলিয়ে মোশাররফ করিমের এখন পর্যন্ত কাজের সংখ্যা ২৫। আফরান নিশোর কাজের সংখ্যা ৫১, অপূর্বর কাজের সংখ্যা ৫! অথচ কয়শ কাজ এরা একেকজন করেছেন তা হয়ত তারা নিজেরাও একদম ঠিকঠাক বলতে পারবেন না।শুধু বিনোদন জগতের মানুষ না, যেকোনো সেক্টরে সেম অবস্থা দেখবেন। মোনেম মুন্নার মত ফুটবলারের নাম বেশিরভাগ মানুষ হয়ত জানেন না বা ভুলতে বসেছেন। ধানমন্ডিতে একটা ব্রিজের পাশে তার নামফলক আছে, অযত্নে আর অবহেলায় সেটার লেখা ঠিকঠাক বোঝা যায় না। আগাছায় প্রায় ঢেকে গেছে সেটা। কারো কোন ধরনের বিকার নাই। ইউটিউবে মোনেম মুন্নার কোন খেলার ভিডিও পাবেন না। শিল্পকে সংরক্ষণ না করা, আর্কাইভের ন্যুনতম মূল্য না বোঝা এই জাতি শুধু একটা কাজ ভালোভাবে করতে পারে। আর সেটা হচ্ছে, কোন সেক্টরের কোন বড় মানুষ মারা গেলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেই চিরচেনা লাইনটা বলা-"মাফ করবেন, আমরা আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনি। আপনার প্রতিভা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি।"উপরের এই লাইন বলা সহজ, ডকুমেন্টারি বানানো টাফ। আর কে না জানে, বাঙালি কিছুটা আরামপ্রিয় জাতি?