-
1 Attachment(s)
[ATTACH]9391[/ATTACH]
আগামী বছর জানুয়ারি শেষে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে বড়দিনের আগেই ‘উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্ট বিল’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। গতকাল ব্রিটিশ রাজনৈতিক দলটির ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। এবারের ইশতেহারে অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে আয়কর, জাতীয় বীমায় অবদান (ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কনট্রিবিউশন) বা ভ্যাট না বাড়ানো এবং শিশুযত্নে বছরে অতিরিক্ত ২৫ কোটি পাউন্ড বরাদ্দের কথা বলেছে কনজারভেটিভ পার্টি। এছাড়া নির্বাচিত রোগী ও ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের কর্মীদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে পার্কিং চার্জ কর্তনের কথাও রয়েছে দলটির ইশতেহারে।
নির্বাচিত হলে যুক্তরাজ্যের সব সম্ভাবনা বের করে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে বক্তব্য রাখার সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9434[/ATTACH]
নতুন এক গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দ্য সোসাইটি অব মোটর ম্যানুফ্যাকচারার এন্ড ট্রেডার্স (এসএমএমটি) বলছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটে বছরপ্রতি ৩২০ কোটি পাউন্ড শুল্ক গুনতে হবে ব্রিটেনকে, যা শিল্প খাতের গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) বাজেটের সমান। আর চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে আগামী পাঁচ বছরে ব্রিটিশ কারখানাগুলোর গাড়ি উৎপাদন ১৫ লাখ কমবে। এতে ২০২৪ সালের মধ্যে ৪ হাজার কোটি পাউন্ড হারাতে পারে ব্রিটিশ গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প।
বৈশ্বিক চাহিদায় শ্লথগতি এবং বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যত্র কার্যক্রম সরিয়ে নেয়ার ফলে ব্রিটেনে বছরপ্রতি গাড়ি নির্মাণ বর্তমানের ১৩ লাখ থেকে কমে ১০ লাখে দাঁড়াবে। অথচ ব্রেক্সিট গণভোটের পূর্বে ব্রিটেনে গাড়ি নির্মাণ বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং ২০১৬ সালে তা রেকর্ড ১৭ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় গাড়ি শিল্পের পূর্বাভাস ছিল ২০২০ সালে গাড়ি নির্মাণ ২০ লাখ ইউনিটে দাঁড়াবে।
-
ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান অচলঅবস্থা কাটাণোর জন্য আগামীকাল ১২ ই ডিসেম্বর একটি নির্বাচন হবে। এই নির্বাচণে মুখোমুখি হবে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির বরিস জনসন এবং বিরোধী দল লেবার পার্টির জেরমি পাওয়েল। বরিস বলেছেন নির্বাচনে জিতলে যত দ্রুত সম্ভব তিনিব্রেক্সিট সম্পন্ন করবেন এবং পাওয়েল বলেছেন তিনি জিতলে ইউ এর সাথে আবারও চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন। তাই বরিস এর জয়লাভে ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট হবার সম্ভাবনা থাকবে এবং পাওয়েল এর জয়লাবে এটা আরো পিছিয়ে যেতে পারে। সুতরাং ফরেক্স মার্কেটে এই নির্বাচনটি গুরত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে এবং সকল ট্রেডারদের নজর রাখার জন্য অনুরোধ কথা হল।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9648[/ATTACH]
৪০ বছরের বেশি সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে থাকার পর অবশেষে সামনের বছরের ৩১শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ‘উইথড্রয়ল অ্যাগ্রিমেন্ট বিল’টি উত্থাপনের পর ৩৫৮-২৩৪ ভোটে তা পাস হয়। তবে এই বিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যে অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেটি কোনভাবেই ২০২০ সালের বেশি বাড়ানো যাবে না বলে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। সরকার বলছে, এই বিলটিকে ৩১শে জানুয়ারির আগেই তারা আইনে পরিণত করবেন।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH]9710[/ATTACH]
২০১৯ সালে আবারো পেছাল ব্রেক্সিট চুক্তি, অক্টোবরে ব্রেক্সিট চুক্তি প্রস্তুত করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু আগের ব্রেক্সিট চুক্তির মতো এটিও পার্লামেন্টে পাস হতে ব্যর্থ হয়। এ চক্র ভাঙতে জনসন নতুন সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন এবং সেখানে ভূমিধস জয় পান। এরপর ব্রেক্সিট নিয়ে ফের তোড়জোড় শুরু করেন। ৩১ জানুয়ারি ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9715[/ATTACH]
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ব্রিটেনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে।খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বরিস অঙ্গীকার করেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রেক্সিট কার্যকর হবে। ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বরিস জনসন।তিনি বলেন, যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তারাসহ সকলের প্রধানমন্ত্রী তিনি। বরিস ব্রিটেনকে আরো সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
-
দুই সপ্তাহের কম সময় বাকি রয়েছে ব্রেক্সিটের। ফলে এ মুহূর্তে ব্রেক্সিটের পরবর্তী ধাপ জোট ছাড়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে নিবিড় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইউরোপীয় কূটনীতিকরা। গত ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার এ জয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন দফা ব্রেক্সিট লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ব্রাসেলস। নির্বাচনী প্রচারণাজুড়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট সমঝোতা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যদিও এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর অনুরোধ করার সুযোগ রয়েছে লন্ডনের। ব্রাসেলস মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে একমত হলেও বরিস জনসন বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নে বিলম্ব করবেন না বলেই আশা করা হচ্ছে। ফলে ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পর একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানো ও অনুমোদনের জন্য চলতি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কেবল আট মাস সময় পাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
-
ব্রেক্সিট কেবল নামেই হয়েছে, বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না, যদিও যুক্তরাজ্যের সংসদে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়েছে। কিন্তু ব্রেক্সিট বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে স্কটল্যান্ডের সংসদ এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ করায় ব্রেক্সিট বাস্থবায়নের সংকটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এই বরিস জনসনই ছিলেন ইইউ ত্যাগের সমর্থক শিবিরের প্রধান নেতা। তাই টেরেসা মে'র জন্য ব্রেক্সিট চুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকছে। তাই ব্রেক্সিটের ভবিষ্যত কী হবে আর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নির্ভর করবে ইউরোপীয় নেতাদের উপরেই?
-
ব্রেক্সিট কেবল নামেই হয়েছে, বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না, যদিও যুক্তরাজ্যের সংসদে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হয়েছে। কিন্তু ব্রেক্সিট বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে স্কটল্যান্ডের সংসদ এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ করায় ব্রেক্সিট বাস্থবায়নের সংকটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এই বরিস জনসনই ছিলেন ইইউ ত্যাগের সমর্থক শিবিরের প্রধান নেতা। তাই টেরেসা মে'র জন্য ব্রেক্সিট চুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকছে। তাই ব্রেক্সিটের ভবিষ্যত কী হবে আর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নির্ভর করবে ইউরোপীয় নেতাদের উপরেই?
-
ব্রেক্সিটের রূপান্তরকাল শেষ হতে আর সপ্তাহ তিনেক বাকি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ইইউর সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত চুক্তিবিহীন অবস্থাতেই বিচ্ছেদ মেনে নিতে হবে যুক্তরাজ্যকে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনা ঘিরে অচলাবস্থা কাটছেই না। সর্বশেষ দফার আলোচনায়ও কোনো গঠনমূলক পরিসমাপ্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না; বরং ইইউর প্রস্তাবকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তা নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এক বিবৃতিতে একজন ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে কোনো ইতিবাচক চূড়ান্ত উপসংহারে উপনীত হওয়াটা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। কারণ ইইউ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা যুক্তরাজ্যের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের মধ্যকার দীর্ঘ আলোচনাও সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ অচলাবস্থার কোনো সুরাহা করতে পারেনি। এ আলোচনা গতকালও অব্যাহত থাকার কথা ছিল (প্রতিবেদনটি আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই লেখা)। এ আলোচনার পরই উভয় পক্ষ বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে একটি পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিশ্লেষকরা আশা করছেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1824133662.jpg[/IMG]