-
বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম, যা দি অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ অ্যান্ড অ্যালাইসের (ওপেক প্লাস) বৈঠকে বলা হয়েছে। মূলত মে মাসে উৎপাদকরা তাদের সরবরাহ বাড়াবেন এমন আশ্বাসের বিপরীতে দাম বাড়ে। ওপেক প্লাসের এক সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী ক্রমেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওপেক প্লাসের নির্ধারিত এ বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হবে। মূলত চলতি মাসে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে ইউরোপে লকডাউন বৃদ্ধি, ভ্যাকসিনের ধীরগতির সরবরাহ, ভারত ও ব্রাজিলে কভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পাওয়া নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের ঘোষণা আসার পরই মে মাসের জন্য সরবরাহ চুক্তিতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে ৩২ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলার ৪৬ সেন্টে পৌঁছে। এর আগে মঙ্গলবার ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। এছাড়া জুনে সরবরাহ চুক্তি অনুযায়ী ব্রেন্টের দাম দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধিতে ২৫ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৪ ডলার ৪২ সেন্টে। চলতি মাসে ফেব্রুয়ারির তুলনায় বেঞ্চমার্ক কমেছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারিতে ১৮ শতাংশ বেড়েছিল। গত মাসে বাজারে অপরিশোধিত অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল ওপেক প্লাস। এমন সময় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছিল। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অনুসারে ক্রুডের সরবরাহ চুক্তি মূল্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধিতে ২৬ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০ ডলার ৮১ সেন্টে, যা আগের সেশনে ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1423395635.jpg[/IMG]
কমনওয়েলথ ব্যাংকের কমোডিটি বিশ্লেষক বিবেক ধর বলেন, সরবরাহ চুক্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখাই এখন ওপেক প্লাসের অন্যতম উদ্দেশ্য। এক্সিস সিকিউরিটিজের কারেন্সিজ অ্যান্ড কমোডিটিজ বিভাগের প্রধান সুনিল কুমার কাতকে বলেন, সবার দৃষ্টি এখন ওপেক প্লাসের বৈঠকের ওপর নিবদ্ধ হয়ে আছে। বিশেষ করে মে মাসের সরবরাহ চুক্তি ও ক্রমবর্ধমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির দরুন ইউরোপে লকডাউন পরিস্থিতির কারণে সবাই ওপেকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামকে আরো ২-৩ শতাংশ প্রভাবিত করতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে সরবরাহ কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা আগামী মে মাসে আরেকটু শিথিল করা হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ আরেকটু বাড়তে পারে।
-
আগামী মে ও জুলাইয়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধির কথা ভাবছে ওপেক ও তার মিত্ররা। এ সময়ে তারা দৈনিক জ্বালানি তেল উত্তোলন প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। করোনা মহামারী থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল উত্তোলন অনেক দিন ধরেই স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর শীর্ষ সংগঠনটি। মহামারীর কারণে জ্বালানি তেলের চাহিদা তলানিতে ঠেকায় গত বছর উত্তোলন কমিয়ে দিয়েছিল ওপেক ও তার মিত্র দেশগুলো। ধীরে ধীরে উত্তোলন বৃদ্ধি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী মে মাসে প্রতিদিন উত্তোলন বাড়াবে ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল। জুন ও জুলাইয়ে উত্তোলন বাড়াবে যথাক্রমে সাড়ে তিন লাখ ও চার লাখ ব্যারেল। এদিকে সৌদি আরব ফের প্রতিদিন যে ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বাতিল করেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/875303807.jpg[/IMG]
-
জ্বালানি তেলের বাজার ২০২৩ সালের আগে স্বাভাবিক হচ্ছে না। কভিড-১৯ মহামারীর ধকল কাটাতে বিশ্বের অনেক দেশই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো এরই মধ্যে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নজর দিয়েছে। ফলে এসব দেশের শিল্প-কারখানাগুলোতে বেড়েছে জ্বালানি তেলের চাহিদা। বিশ্বের অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানির বৈশ্বিক চাহিদাও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তা সত্ত্বেও বেশকিছু কারণেই বৈশ্বিক জ্বলানি তেলের চাহিদা এখনই আগের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে করছেন তারা।
২০২৩ সালের আগে বৈশ্বিক জ্বলানি তেলের চাহিদা করোনা মহামারীর আগের স্তরে ফিরবে না বলে মনে করছে প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। নতুন কার্যাভ্যাস ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসায় বিশ্বের জ্বলানি তেলের চাহিদা সহসাই খুব একটা বাড়ছে না বলে মনে করছে সংস্থাটি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1673248563.jpg[/IMG]
আইইএর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দৈনিক জ্বালানি তেল ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৯০ লাখ ব্যারেল। সেখান থেকে উন্নীত হয়ে ২০২৩ সালে জ্বলানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা গড়ে ১ কোটি ১০ লাখ ব্যারেলে পৌঁছবে। সংস্থাটির এক প্রতিবেদন বলছে, করোনা মহামারীতে লকডাউনের কারণে বিভিন্ন দেশের মানুষকে এক ধরনের গৃহবন্দি জীবন যাপন করতে হয়েছে। ফলে রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনশূন্য হয়ে যায়। অবস্থার ভয়াবহতা কমাতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এ সময় তাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রাখে। ফলে গত বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে যেতে দেখা যায়। তবে করোনাশেষে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদা আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা। গত বছর আইইএর এক পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি দশকের মাঝামাঝিতে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ ব্যারেল কমে আসবে। পেট্রলের ব্যবহার এরই মধ্যে সম্ভাব্য শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলেও মনে করছে সংস্থাটি। বছরের মাঝামাঝি সময়ে জ্বালানি তেলের সার্বিক অবস্থা নিয়ে প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটির সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় জ্বালানি তেলের চাহিদা সম্ভবত আর মাহমারীর আগের অবস্থায় ফিরবে না। অর্থাৎ জ্বালানি তেলের বাজার কভিড-পরবর্তী সময়ে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন কিছুটা স্থিতিশীল থাকার পর ফের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এর আগে করোনা মহামারী এবং সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে তেলযুদ্ধের কারণে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে হয়েছে দেশটিকে। বর্তমানে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের লকডাউন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মন্থর গতি তেলের বাজারে সংকট তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এ ধরনের সংকট মোকাবেলায় চলতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে (মার্চ-মে) তেল উৎপাদন বাড়াচ্ছে দেশটি। এর মাধ্যমে জ্বালানি তেলের বাজারে কিছুটা নির্ভার থাকতে চাচ্ছে মার্কিন সরকার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1257592496.jpg[/IMG]
-
যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদার পাশাপাশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ইউরোপের বাজারে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বেড়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ক্রুডের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য গতকাল ২১ সেন্ট অথবা দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলার ৬১ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার এই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮ সেন্ট বেড়ে যায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অনুসারে, ক্রুডের দাম ২৯ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলার ৭২ সেন্টসে পৌঁছেছে। এর আগে এটির দামও বৃহস্পতিবার ৮ সেন্ট বৃদ্ধি পায়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/91270900.jpg[/IMG]
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1232602245.jpg[/IMG]
আগামী ১ মে থেকে উত্তোলন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ওপেক প্লাস অটল থাকলেও গত মঙ্গলবার কিছুটা বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা যে জ্বালানি তেলের চাহিদায় তেমন প্রভাব ফেলেনি এতে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ওপেক, রাশিয়া ও তার মিত্র দেশগুলো একত্রে ওপেক প্লাস হিসেবে পরিচিত। সূত্রগুলো জানায়, গতকাল ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে গত সোমবার একটি টেকনিক্যাল বৈঠকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে জ্বালানি তেলের চাহিদা যে অপরিবর্তিত থাকবে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ওই বৈঠক শেষে রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক বলেন, ১ এপ্রিল ওপেক প্লাসের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা অপরিবর্তিত রাখতে চাচ্ছে প্যানেলটি। গতকাল অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ৪২ ডলার। ইউএস অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক শূন্য ৩ ডলার বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৯৪ ডলার।
-
1 Attachment(s)
আজ বৃহস্পতিবার এশিয়ান সেশনে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোভিড-১৯ এর পুনরুদ্ধার তেলের চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে। যা তেলের প্রাইসে প্রভাব ফেলছে।ব্রেন্ট ক্রুড তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৬৯.১৬ এবং wti বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫.৭২ এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ( ইআইএ) এর অপরিশোধিত তেল সরবরাহ সপ্তাহে ১.৯৯০ মিলিয়ন ব্যারেল নির্ধারিত করা হয়েছে। যা প্রত্যাশিত ২.৩৪৬ মিলিয়ন খুব সহজেই এসেছে। তেলের প্রাইস বৃদ্ধির এটা অন্যতম কারণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন সহ বড় অর্থনৈতিক দেশগুলো কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধার এবং জ্বালানির চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তেলের বাজার প্রত্যাবর্তন শুরু করেছে। এর ফলে জ্বালানি চাহিদা ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
[attach=config]14304[/attach]
-
সরবরাহ বন্ধ থাকায় বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল সরবরাহ নেটওয়ার্ক কলোনিয়াল পাইপলাইন। এ পাইপলাইনে সাইবার হামলার পরই বাড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গতকাল জ্বালানি পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারদরে ঊর্ধ্বগতি দেখল পণ্যটি। এদিকে শুক্রবার ঘটে যাওয়া ওই হামলার পর কলোনিয়াল পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তেল অবকাঠামোগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/225655120.jpg[/IMG]
-
তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি এশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে থেমে গিয়েছিলো। তদুপরি, বাজারের অংশগ্রহণকারীরা ইরান থেকে তেল সরবরাহের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান অব্যাহত রেখেছে, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছে যায়। একই সময়ে, বিশ্লেষকরা তেল বাজারের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তারা ভবিষ্যদ্বাণী করে যে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, ব্রেন্ট ক্রুডের গড় মূল্য ব্যারেল প্রতি $ 70 ডলার হবে। যাইহোক, গতকাল, তেলের দাম 3 সপ্তাহের নিম্নতমের চেয়ে কমে গেছে। বুধবার, জুন ডাব্লুটিআই ফিউচারগুলি ব্যারেল প্রতি ৬৩.৩৬ ডলার বাণিজ্য করতে ৩.৩% হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে জুলাইয়ের সরবরাহের জন্য ব্রেন্ট ফিউচারগুলি ব্যারেল প্রতি ৩.০% হ্রাস পেয়ে ৬৬.৬৬ ডলার হয়েছে। নিম্নমুখী মূল্য প্রবণতা মূলত ভারতে মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল, যা বিশ্বের তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ভোক্তা। সেখানে, করোনাভাইরাসের অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার থেকে তেলের চাহিদা উল্লেখযোগ্য চাপে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন যে ভারত যখন মার্কিন পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি করতে পারে, তখন করোনভাইরাস মহামারী পেট্রোলের শূন্যপদ গ্রহণ এবং জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা ইরান ইস্যুতেও মনোনিবেশ করছেন। সুতরাং, অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন প্রশাসন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে এবং ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি নরম করতে পারে। এটি দেশকে তার তেল রফতানি বাড়ানোর সুযোগ দেবে। একই সময়ে, গতকাল, মার্কিন শক্তি তথ্য প্রশাসন জানিয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুদ আগের সপ্তাহে ১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিশ্লেষকরা ২.৯ মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাসের পূর্বাভাস করেছিলেন। মঙ্গলবার, আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) তেলের মজুদে 0.6 মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে। একই সময়ে, পেট্রোল মজুদ 2 মিলিয়ন ব্যারেল সঙ্কুচিত হয়ে গেছে এবং ডিসটিলেট ২.৩ মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে। বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন যে পেট্রোল মজুদগুলিতে ০.৬ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি এবং ডিস্টিল্ট মজুদগুলিতে 0.2 মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস হবে। গত সপ্তাহে, বাণিজ্যিক মোটর পেট্রোলের সামগ্রিক সরবরাহ দিনে 9.244 মিলিয়ন ব্যারেল ছিল। এটি ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ স্তর। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে এ জাতীয় পরিসংখ্যান তেলের চাহিদা আরও বাড়ার লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। বিশ্লেষকরা আরও জোর দিয়েছিলেন যে এই সপ্তাহে তেলের বাজার প্রায় ইতিবাচক তথ্য উপেক্ষা করে চলেছে। এটি মূলত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কিত খবরের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ২০২১ সালে তেলের দাম বেশি চাহিদা এবং চাহিদা কম থাকায় বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তেলকে অর্থনীতিগুলিও সমর্থন করে, যা কোভিড -১৯ মহামারীর পরে পুনরুদ্ধার করছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/625767837.jpg[/IMG]
-
জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য টেনে ধরতে ওপেক ও ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোকে নিয়ে ওপেক প্লাস জোট গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছে সৌদি আরব ও রাশিয়া। জোটটি দীর্ঘদিন ধরে বাজারে সরবরাহ কমানোর জন্য উত্তোলন হ্রাস-বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে উত্তোলন ক্রমেই বাড়াচ্ছে জোটভুক্ত দেশগুলো। এরই অংশ হিসেবে আগামীকাল সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ে সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে উত্তোলন আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে মে-জুনে জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন সাড়ে তিন লাখ ব্যারেল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক প্লাস।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1593268206.jpg[/IMG]
উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ে দৈনিক ৮ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে জোটটির। তবে ওপেক প্লাস বলছে, এ মাসে তারা দৈনিক উত্তোলনের পরিমাণ চার লাখ ব্যারেল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেকের শীর্ষ উত্তোলক দেশ সৌদি আরব এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়ানো শুরু করেছে। দেশটি আগামী কয়েক মাস জোটের বাইরে এককভাবে দৈনিক অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমানোর কথা জানিয়েছিল। তবে তারাও এখন উত্তোলন বাড়িয়ে যাচ্ছে।