নারিকেল জিঞ্জিরা দারুচিনি দ্বীপ ভ্রমন

আমাদের দেশের শেষ প্রান্ত নারিকেল জিঞ্জিরা দারুচিনি দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরের বুকে ফুলে থাকা ছোট্ট প্রবাল দ্বীপে আজ থেকে প্রায় দেড় শ বছর আগে শুরু হয় জন বসতি৷ দ্বীপে শুধু নারিকেল বাগান আর নারিকেল বাগান তাই স্থানীয়রা সবাই এক নারিকেল জিঞ্জিরা বলে। তবে আমাদের মত শহুরে লোকদের এই বাংলা নামটা জানা না থাকলেও সেন্ট মার্টিন নামেই আমরা প্রায় সবাই এক জানি৷ মুলত ব্রিট্রিশ প্রোভিনশিয়াল সার্ভেয়ারের দেয়া নামানুসারে এর নাম হয় ‘সেইন্ট মার্টিন’স আইলেন্ড"৷ এটি দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ বা একমাত্র প্রাকৃতিক শহর৷ এই প্রবাল দ্বীপটিতে সর্ব দক্ষিনের গ্রামে জনবসতি বেশি এবং প্রকৃতি প্রেমির ভাল লাগার স্থান৷
ঢাকা বা কক্কবাজার থেকে সরাসরি যেতে হয় টেকনাফে৷ তারপর নাফ নদী দেশি নৌকা ,লঞ্চ, জাহাজ এর মাধ্যমে পার হয়ে পৌছানো যায় বঙ্গোপসাগরের বুকে এই মায়াবী দ্বীপে।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি।সেই দেশের সবচেয়ে আকর্ষনীয় স্থান হলো নারিকেল জিন্জিরা দারুচিনি দ্বীপ যার অপর নাম সেন্টমার্টিন ।আমার জীবনে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তবে আল্লাহ নসীবে রাখলে অবশ্যই ভ্রমনে যাব।ইনশা-আল্লাহ।

[ATTACH=CONFIG]9914[/ATTACH]
সকালে নয়টি বড় জাহাজ ও ৩০টির বেশি কাঠের নৌকায় করে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পা রাখে। বিকালে একইভাবে সমসংখ্যক পর্যটক যার যার গন্তব্যে ফিরে যায়। পর্যটন মৌসুমে এই বিপুলসংখ্যক পর্যটক প্লাস্টিক, পলিথিনসহ হাজারো অজৈব বর্জ্য ফেলে যায় সেন্ট মার্টিনে। অপচনশীল এসব বর্জ্য, এখানকার ১০৬টি হোটেল-কটেজের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে সমুদ্রের নীল জল। সৈকতে ডিম পাড়তে পারছে না মা কচ্ছপ। নিত্য দূষণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে সেন্টমার্টিন। এমনকি ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ খ্যাত এই দ্বীপের সুলভ ডাব এখন প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। তাই সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় পর্যটক নিয়ন্ত্রণ ও দূষণ রোধের দাবি পরিবেশ সংগঠনগুলোর। উদ্বিগ্ন সরকার ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে। লোক সমাগমের কারণে গভীর সমুদ্র থেকে ডিম পাড়তে আসা ক্লান্ত ও দুর্বল মা কচ্ছপগুলো সৈকতে উঠতে পারছে না। চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতে সেন্ট মার্টিনের দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ১২০ কেজি (৩ মণ) প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসব প্লাস্টিক বর্জ্যরে বেশির ভাগই ছিল একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ, প্লেট, চিপসের খালি প্যাকেট। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য মতে, ৫৯০ হেক্টর আয়তনের ৭ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটারের এই প্রবালদ্বীপে অতিরিক্ত মানুষের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে দ্বীপের পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ছে।