জার্মানির রফতানি রেকর্ড গড়লেও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
চলতি বছরের জুনে জার্মানির রফতানি আয় রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। রফতানি আয় গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। যদিও দেশটির অর্থনীতিবিদরা সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছেন, এ সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকায় রফতানি আয়ের রেকর্ড হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তিন মাস জার্মানির রফতানি মূল্য বেড়েছে, যা দেশটির পূর্বাভাস থেকে ১ শতাংশ বেশি। এ কারণে জুনে জার্মানির মৌসুমভিত্তিক সমন্বয়কৃত বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৬৪০ কোটি ইউরো বা ৬৫১ কোটি ডলার। বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাসে উদ্বৃত্তের এ পরিমাণ বলা ছিল ২৭০ কোটি ইউরো। গত মাসে প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মে মাসে জার্মানির বাণিজ্য ঘাটতি ১০০ কোটি ইউরো। এমনটা হলে ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথম বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ত ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতিটি। কিন্তু গতকাল প্রকাশিত সংশোধিত উপাত্তে দেখা গেছে, ওই মাসে জার্মানির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৮০ কোটি ইউরো। লিচেনস্টাইনভিত্ত ক বেসরকারি ব্যাংক ভিপি ব্যাংকের টমাস গিটজেল বলেন, জার্মানিতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার ফলে প্রকৃতপক্ষে আরো বেশি পণ্য রফতানি না করে নামমাত্র রফতানির পরিমাণ বাড়তে পারে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কভিডজনিত মহামারী এবং পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে জার্মানির অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দি অ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান চেম্বারস অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স (ডিআইএইচকে) সতর্ক করে বলেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানির রফতানিনির্ভর শিল্প খাত কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়।
ডিআইএইচকের বৈদেশিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ক্যারোলিন হার্বেগ বলেন, দেশটিতে পণ্য সরবরাহ ব্যাহত এবং জ্বালানি, কাঁচামাল ও আমদানীকৃত দ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে উৎপাদন ব্যাহত করে চলেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ইউরো অঞ্চলের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের অর্থনীতির শিথিলতাও জার্মানিতে তৈরি পণ্যগুলোর চাহিদা কমিয়েছে।
জার্মানির বৃহত্তম রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। মে মাসের তুলনায় জুনে এ বাজারে রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। জুনে চীনে জার্মানির রফতানি বেড়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে জুনে জার্মানির আমদানি আগের মাস থেকে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/869302340.jpg[/IMG]