বাংলাদেশের সাথে ‘রূপি সোয়াপে’র প্রস্তাব ভù
মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির দর মারাত্মক হারে কমিয়ে দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন চেষ্টা করছে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সাথে রুপিতেই দ্বিপাকি বাণিজ্য শুরু করার। যে দেশগুলোকে এই ‘রুপি সোয়াপে’র জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রতিবেশী বাংলাদেশ অন্যতম। তবে এুণি না হলেও শিগগিরই বাংলাদেশের সাথে রুপিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে বলে ভারতীয় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। আঞ্চলিক বাণিজ্যে যাতে ডলারের ওঠাপড়ার আঁচ না-লাগে, সেজন্য স্থানীয় মুদ্রায় দুটো দেশের মধ্যে বাণিজ্যের এই রেওয়াজকে অর্থনীতির পরিভাষায় বলে কারেন্সি সোয়াপ অ্যারেঞ্জমেন্ট। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক- রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নতুন গভর্নর ও রকস্টার অর্থনীতিবিদ বলে পরিচিত রঘুরাম রাজন এই ব্যবস্থার প্রবল সমর্থক। তিনি বলেছেন, বিদেশে ভারতীয় বাণিজ্য প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনটা রুপিতেই হোক, ভারত সেটাই চাইবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ধারাবাহিক উদারীকরণই হবে আমাদের নীতি। সেপ্টেম্বর মাসে দায়িত্ব নিয়েই রাজন ঘোষণা করেন, সময়টা ঠিক উপযুক্ত না হলেও, তিনি চান ভারতীয় রুপির আন্তর্জাতিকীকরণ। যদিও ভারতীয় রুপির বাজার আন্তর্জাতিকভাবে নেই বললেই চলে। রুপিতে লেনদেন শুরু হলে তাদের এ সমস্যা অনেকটাই কাটবে। আর ভারতীয় রুপি নিয়ে বাংলাদেশীরা অন্য কারও সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না। ফলে তাদের আবার ব্যবসাটা ভারতের সঙ্গেই করতে হবে। এতে বাড়বে ভারতের আন্তঃবাণিজ্য। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বাংলাদেশকে এই রুপি সোয়াপের জন্য শর্টলিস্ট করেছে, কারণ ভারত থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য কেনে। এর কিছুটা অংশের দাম রুপিতে মেটানোর আগ্রহ থাকবে বলেই ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা। তারপরেও লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে রুপির আকর্ষণ বাড়ানো কঠিন হবে বলে মনে করে তারা।