শুল্কমুক্ত অর্থনীতি উৎসাহিত করছে সাংহাই
শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রি অনুমোদনের জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেবে সাংহাই। বিমানবন্দর, হোটেল, মল ও অন্যান্য বাণিজ্যিক স্থানে শুল্কমুক্ত দোকান স্থাপনে উৎসাহিত করবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। শুল্কযুক্ত আমদানি পণ্যে ব্যয় উৎসাহিত করতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীনের বৃহত্তম এ শহর। গতকাল প্রকাশ হওয়া ২০২১-২৫ ব্যয় পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, শুল্কমুক্ত অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আমদানীকৃত পণ্যে ব্যয় করতে উৎসাহ দেয়া হবে। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ শুল্কযুক্ত বিলাসবহুল পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বর্তমানে দেশটির দক্ষিণ দ্বীপ হাইনান প্রদেশে শুল্কমুক্ত ব্যয় ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে ব্যক্তিগত শুল্কমুক্ত ব্যয়ের বার্ষিক সীমা গত বছর ৩০ হাজার ইউয়ান থেকে ১ লাখ ইউয়ান (১৫ হাজার ৪৬৭ ডলার) করা হয়েছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/826771487.jpg[/IMG]
চীনে আমদানীকৃত ভোগ্যপণ্যের ওপর শুল্ক পরিবর্তিত হয়। কিছু বিলাসবহুল সামগ্রী যেমন পারফিউম ও ঘড়ির ওপর শুল্ক ৩০ শতাংশকেও ছাড়িয়ে যায়। তবে শুল্কমুক্ত কেনাকাটা সুবিধা থাকায় কম দামে প্রলুব্ধ হয়ে লাখ লাখ দেশীয় পর্যটক হাইনানের মলগুলোতে ভিড় করেন। এছাড়া কভিড-১৯ মহামারীর ফলে বিদেশ ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে এ সংখ্যা আরো বেড়েছে। হাইনান ছাড়াও সারা দেশে ৩০০টিরও বেশি শুল্কমুক্ত দোকান রয়েছে। দোকানগুলোতে সুগন্ধি ও প্রসাধনী থেকে শুরু করে পোশাক ও জুতা পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে চায়না ট্যুরিজম গ্রুপ করপোরেশন সবচেয়ে প্রভাবশালী ভূমিকায় রয়েছে। সংস্থাটির প্রায় ২০০টি শুল্কমুক্ত দোকান রয়েছে।