1 Attachment(s)
মার্কিন ধনকুবেরদের ওপর নতুন করারোপের প্রস্তাব
নতুন করে ন্যূনতম করের আওতায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের অতিধনীরা। ২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ করের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। বার্ষিক ১০ কোটি ডলারের অধিক আয় করা পরিবারগুলোর ওপর ২০ শতাংশ ন্যূনতম কর প্রস্তাব করা হবে। দেশটির সাত শতাধিক বিলিয়নেয়ারকে লক্ষ্য করে এ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আগামী দশকে বাজেট ঘাটতি ১ লাখ কোটি ডলারের বেশি কমিয়ে আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ধনী মার্কিনদের ওপর ন্যূনতম কর প্রবর্তনের মাধ্যমে ট্যাক্স কোডের একটি উল্লেখযোগ্য পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশটির অতি ধনীরা তাদের সম্পদের বিপরীতে খুব বেশি কর দেয় না। এবার তারা করের মখোমুখী হতে যাচ্ছেন। এ উদ্যোগ থেকে আসা রাজস্ব জো বাইডেনের অভ্যন্তরীণ ব্যয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং পর্বতসম বাজের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
আজ ২০২৩ সালের বাজেট প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবেন জো বাইডেন। এ প্রস্তাব মহামারীর বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চিত্রকেও প্রতিফলিত করে। এ উদ্যোগে মহামারী মোকাবেলায় ব্যয়ের ঐতিহাসিক উল্লম্ফনের পরে সরকারের ব্যালান্স শিট উন্নত করবে। মহামারীর প্রভাব ম্লান ও অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত হওয়ায় এরই মধ্যে সরকারের বাজেট ঘাটতি কমতে শুরু করেছে। ২০২০ অর্থবছরে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার থেকে বাজেট ঘাটতি ২০২১ অর্থবছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলারে নেমেছে। চলতি অর্থবছরে এটি ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
মহামারীর বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে প্রণোদনাসহ বিপুল পরিমাণ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যয়ের ওপর ভর করে গত বছর দেশটির অর্থনীতি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রসারিত হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি। তবে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এমন প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। চার দশকের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি জো বাইডেনের জনপ্রিয়তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
[ATTACH=CONFIG]17195[/ATTACH]