-
1 Attachment(s)
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতি চীনের প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি নেমে এসেছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীনের আমদানি-রফতানি তথ্য বলছে, গত মাসে বৈশ্বিক চাহিদায় দুর্বলতা বজায় রয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে কার্যকর হওয়া মার্কিন শুল্কও বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
[ATTACH=CONFIG]9088[/ATTACH]
চীনের কাস্টমস অফিসের তথ্যানুসারে, সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে বড় পতন। অন্যদিকে একই সময় আমদানি কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, যা মে মাসের পর সবচেয়ে বড় পতন। আর এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস দেশটির আমদানি কমল। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে চীনের মোট ট্রেড ব্যালান্স ৩ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলারে।
-
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য বিরোধে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে উঠলেও দুপক্ষের এ বিরোধ চীনের সমর্থনপুষ্ট একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন উদ্দীপনা যোগ করেছে। চুক্তিটি চূড়ান্ত না হলেও চলতি সপ্তাহে ব্যাংককে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের অনুষ্ঠেয় এক বৈঠকে চুক্তি বিষয়ে বড় ধরনের অগ্রগতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। চুক্তি চূড়ান্ত হলে বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে পরিণত হবে ১৬টি দেশের রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)। বৈশ্বিক জিডিপিতে এ দেশগুলোর অবদান এক-তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বসবাস করে এ অঞ্চলটিতেg
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/672686711.jpg[/IMG]
অ্যান্টি-ডাম্পিং আইন না মানায় ৩৬০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে চীন শুল্ক আরোপ করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।
যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, ধাতু ও খনিজসহ ১৩টি আমদানীকৃত চীনা পণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ২০১৩ সালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করে চীন এবং ২০১৬ সালে ডব্লিউটিওর একটি প্যালেন বেইজিংয়ের পক্ষে রায় দেয়। তর্কের মূলে ছিল অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহার করা পদ্ধতি নিয়ে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, এ শুল্ক হিসাব করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ‘জিরোয়িং’ পদ্ধতির ব্যবহার। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৮ মাস ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধের বেশ আগেই এ মামলা করা হয়েছিল। বাণিজ্য বিবাদের জেরে এ দুই দেশে একে অন্যের প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে। তবে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে একটি চুক্তির প্রথম পর্যায় প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দুই দেশ। ঠিক এমন সময় এ রায় বেইজিংয়ের হাতে একটি নতুন ও আইনসিদ্ধ অস্ত্র তুলে দিল। চুক্তির এ পর্যায়ে যদি ট্রাম্প প্রশাসন পিছু হটে, তবে বেইজিং এটি ব্যবহার করতে পারবে।
-
1 Attachment(s)
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান ট্রেডওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের ইতি টানতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চীন ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিরা। শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি দুটির বিরাজমান বাণিজ্যিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে আলোচনা চলছে ‘প্রথম পর্যায়ের’ বাণিজ্য চুক্তি। আর এই চুক্তি ব্যর্থ হলে চীনা পণ্যে আরো বেশি করে শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম পর্যায়ের এ চুক্তি সম্ভব হলে লাভবান হবে উভয় পক্ষ। চাঙ্গা হয়ে উঠবে দুই দেশসহ বৈশ্বিক অর্থনীতি ও মার্কেটেগুলো। যদিও এই ট্রেডওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের কারনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো কমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
[ATTACH=CONFIG]9370[/ATTACH]
এদিকে প্রথম পর্যায় বা যেকোনো বাণিজ্য চুক্তির জন্য বাণিজ্যযুদ্ধের শুরু থেকে ওয়াশিংটন কর্তৃক চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে জুড়ে দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চীনের দাবি-দাওয়া খানিকটা বিস্মিত করেছে মার্কিন কর্মকর্তাদের। তবে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশানুযায়ী বেইজিং মার্কিন কৃষিপণ্যের ক্রয়, দেশটির আর্থিক সেবা শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি এবং মেধাস্বত্ব আইন মেনে চলার গ্যারান্টির বিনিময়ে চীনের দাবি পূরণ হতে পারে। চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে নিতে ট্রাম্প প্রস্তুত। এছাড়া মধ্য ডিসেম্বর থেকে চীনা পণ্যে নতুন করে শুল্কারোপের সিদ্ধান্তও বাতিল করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বেইজিং কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের ছাড় দিলেই ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সম্ভাব্য ১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার শুল্কারোপ বাতিল করতে পারে ওয়াশিংটন।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/323223258.jpg[/IMG]
গত বৃহস্পতিবার নেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি বছর চীনকে স্বল্প সুদে ১০০ থেকে দেড়শ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এ পরিকল্পনায় আগের পাঁচ বছরের গড় ১৮০ কোটি ডলার থেকে ঋণের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু চীনকে ঋণ প্রদান বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বেইজিংকে ঋণ দেয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর পরের দিনই এ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9564[/ATTACH]
আগামী সপ্তাহের আগেই বাণিজ্য চুক্তি করতে পারে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ আগামী ১৫ ডিসেম্বর, রোববার চীনা পণ্যের ওপর আরেক দফা শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববারের আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পক্ষ থেকে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। এটা খুব সম্ভব শনিবার রাতে একেবারে শেষ মুহূর্তে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা এসে বলতে পারেন, পরস্পরের প্রতি আস্থা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে আপাতত এই শুল্কারোপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আর এমনটা হলে আর এমনটা হলে মার্কেটে একটা বড় প্রভাব পড়বে এবং শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH]9582[/ATTACH]
অবশেষে বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ আলোচনা এবং অনিশ্চয়তার পর প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে দেশ দু'টি। শুক্রবার এই সম্মতির পর মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি শুল্ক আর না বসানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর থেকে বাড়তি শুল্ক কমানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এরই জেরে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজার আট মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া নীতি শিথিল করতে পারে, এমন সম্ভাবনাও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে বাণিজ্য চুক্তির বিস্তারিত এখনো জানা না যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। ফলে শেয়ারবাজারের উল্লম্ফন সীমার মধ্যে ছিল। অন্যদিকে গত সপ্তাহে দেখতে পাওয়া চাঙ্গা ভাব গতকালও বজায় ছিল ইউরোপের শেয়ারবাজারে। প্যান-ইউরোপের ইউরোস্টক্স ৫০ ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও এফটিএসই ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। মার্কিন শেয়ারবাজারেও চাঙ্গা ভাব ছিল। বেঞ্চমার্ক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ দিন শেষ করে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9668[/ATTACH]
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধসহ আরো বেশকিছু কারণে চীনের অর্থনীতির অবস্থা মোটেই ভালো নেই। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং। এবার বেসরকারি খাতের জন্য বড় ধরনের প্রণোদনা নিয়ে হাজির হয়েছেন চীনা নীতিনির্ধারকরা। বেসরকারি কোম্পানির জন্য তেল ওগ্যাস থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগ ও রেলওয়ে পর্যন্ত বিভিন্ন খাতকে আরো উন্মুক্ত, বাজার নীতি শিথিল ও বিনিয়োগ ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH]9709[/ATTACH]
২০১৯ সালে শুল্কযুদ্ধের সমাধান হলো না, প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। বছর শেষ হলেও যুদ্ধের সমাধান মেলেনি। যদিও বছরের শেষ দিকে এসে কিছু চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। দুই পক্ষই একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার কথা জানালেও এখনো চুক্তি সই হয়নি। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিপাকে ছিল বিশ্ব অর্থনীতি।
-
1 Attachment(s)
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি ১৫ জানুয়ারি:
[ATTACH=CONFIG]9717[/ATTACH]
১৫ জানুয়ারি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প জানান, চীনের উচ্চপদস্থ এক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। পরে বাণিজ্য চুক্তির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্প বেইজিং সফর করবেন বলেও জানান।গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, তিনি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চুক্তির প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করবেন। গত ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক ধাপের এ চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে প্রবেশ করে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র যেমন শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়, তেমনি মার্কিন কৃষি, জ্বালানি ও তৈরি পণ্য আমদানি বাড়ানোর ব্যপারেও সম্মত হয় চীন। এছাড়া মেধাস্বত্ব নিয়ে বিবাদ কিছুটা মীমাংসার ব্যাপারেও উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা বলা হয়।
তবে উভয় পক্ষের মধ্যেকার চুক্তির লিখিত কোনো রূপ প্রকাশ্যে আসেনি। মার্কিন পণ্য ও সেবা আমদানির ২০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো চুক্তির সম্ভাব্য বিভিন্ন শর্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা।