GbpAud পেয়ারটিতে সুবিধাজনক ট্রেডিং

GbpAud পেয়ারটি বর্তমানে 1.8692 তে অবস্থান করছে। পেয়ারটির ডেইলি এবং উইকলি চার্টে আমরা দেখতে পাচ্ছি সম্প্রতি পেয়ারটি ডাবল টপ ক্রিয়েট করে শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স এরিয়াতে বাধা পেয়েছে। কাছাকাছি শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স এরিয়া আছে 1.8720 এরিয়াতে। অতীতে বেশ কয়েকবার এই রেজিস্ট্যান্স এরিয়াতে বাধা পেয়ে পেয়ারটিকে আমরা ডাউন হতে দেখেছি।
[ATTACH]7278[/ATTACH]
ফান্ডামেন্টাললি পাউন্ড গত সপ্তাহের শেষের দিন কিছুটা রিট্রেস করলেও এখনো বেশ ওভারবট অবস্থানে আছে। সামনেই ব্রেক্সিটের মত বড় ইস্যু। তাই আশা করা যাচ্ছে পাউন্ড এখান থেকে ব্রেক্সিট ইস্যু মাথায় রেখে কিছুটা হলেও বেয়ারিশ মুড কন্টিনিউ করবে। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের গত সপ্তাহের সাম্প্রতিক রিপোর্ট ভালো আসলেও শুধুমাত্র চাইনিজ রিপোর্ট খারাপ আসার কারণে ফল করেছিলো। তাই আশা করা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ডলার এখান থেকে রিকভার করবে।
[ATTACH]7279[/ATTACH]
ওভারঅল পেয়ারটিতে বর্তমান পজিশন থেকে প্রাথমিকভাবে 1.8422, তারপর 1.8262 এবং 1.8100 এর টার্গেটে সেল মুডে থাকা যেতে পারে । তবে ডেইলি ক্যান্ডেল যদি 1.8720 এরিয়ার উপরে ক্লোজ হয় এবং সেখানে বুলিশ সাইন পাওয়া যায় তবে বর্তমান সেটাপটি ইনভ্যালিড হয়ে যাবে।।

[ATTACH]7314[/ATTACH]
গত সপ্তাহে শেয়ার করা GbpAud এনালাইসিসটি প্রথম টিপি হিট করেছে। পেয়ারটিতে 270 পিপস প্রোফিট পাওয়া গেছে। যদিও পেয়ারটি আরো ডাউন হবার সম্ভাবনা আছে । তারপরও এই 270 পিপস প্রোফিট নিয়ে বের হয়ে যাওয়াটাই সেফ মনে করছি।
কারন এই সপ্তাহে পাউন্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিউজ আছে।জিডিপি এবং তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউজ ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে ভোটাভুটি।
[ATTACH]7315[/ATTACH]
তাই এই সপ্তাহে পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে সাবধানতার সাথে ট্রৈড করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে ।।

[attach]8918[/attach]
gbp/aud পেয়ারটি আপট্রেন্ড লাইন ব্রেক আউট করে রিটেস্ট করার পর কনফারমেশন দিয়েছে।আপনার পরীক্ষিত ট্রেডিং স্ট্রাটেজী এবং আপনার জন্য সুবিধজনক আয়ত্বের মধ্যে থাকা ব্যালান্স অনুসারে যদি কোন এন্ট্রি কনফার্ম হয়েছে বলে আপনি মনে করেন তাহলে এন্ট্রি নেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন ও সুরক্ষিত রাখুন আপনার ট্রেডিং ব্যালান্স

[attach]8980[/attach]
gbpaud পেয়ারটির ডেইলী চার্টে দেখা যাচ্ছে যে একটি ট্রেন্ড লাইন এটি ব্রেক করে উপরে উঠে গিয়েছিল।মার্কেট এখন রিটেস্ট নিচ্ছে।কনফারমেশন যদি পেয়ে যান আর আপনার ধারনা আমার ধারনার সাথে মিলে গেলে লং পজিশন খুলে ফেলতে পারেন। আমি নিজেও পাইনি তবে দিয়ে রাখলাম এনালাইসিস বলে কথা। লাভঃক্ষতি- ২ঃ১। মানিম্যানেজমেন্ট ঠিক রেখে ট্রেড করবেন।

[attach]9242[/attach]
gbpaud পেয়ারটি অনেক দুর থেকে আসা ডাউন ট্রেন্ড লাইন ব্রেক আউট করে রিটেস্ট করার পর কনফারমেশন দিয়েছে। আপনার পরীক্ষিত ট্রেডিং স্ট্রাটেজী এবং আপনার জন্য সুবিধজনক আয়ত্বের মধ্যে থাকা ব্যালান্স অনুসারে যদি কোন এন্ট্রি কনফার্ম হয়েছে বলে আপনি মনে করেন তাহলে বুলিশ মুডে এন্ট্রি নেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন ও সুরক্ষিত রাখুন আপনার ট্রেডিং ব্যালান্স

[ATTACH=CONFIG]9813[/ATTACH]
GbpAud পেয়ারটি গতবছরের আগস্টে ডাউন হয়ে 1.7550 এরিয়ার কাছাকাছি আসলেও পরবর্তীতে পেয়ারটির ডেইলি চার্ট খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই পেয়ারটি একটা আপওয়ার্ড চ্যানেল মেইনটেইন করে আপ হচ্ছিলো বিশেষ করে ব্রেক্সিট বিষয়ে পজেটিভ নিউজ এবং রিজার্ভ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার দূর্বল মুদ্রানীতি এবং আমেরিকা-চায়না ট্রেড ডিলে ট্যারিফ বিষয়ক ঝামেলা সৃষ্টি হওয়া সহ আরো কিছু জিওইকোনোমিক কারনে পেয়ারটি গতবছরের ডিসেম্বরে আপ হয়ে 1.9515 এরিয়া পর্যন্ত পৌছায়। কিন্তু ব্রেক্সিট কার্যক্রমের সময়সীমা ধীরে ধীরে নিকটে আসা এবং অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গা হবার ফলে পেয়ারটি আবারো ডাউন হওয়া শুরু করে এবং এই রিপোর্ট লেখার সময় পেয়ারটি 1.8815 এরিয়ার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে পেয়ারটিতে সেলিং প্রেসার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টেকনিক্যাললি পেয়ারটি আপওয়ার্ড চ্যানেলের বটম লাইনের কাছাকাছি অবস্থান করছে। যদি পেয়ারটির ডেইলি ক্যান্ডেল এই আপওয়ার্ড চ্যানেলের বটন লাইনের নিচে ক্লোজ হয় এবং বটম লাইনকে পুনরায় রিটেস্ট করে বেয়ারিশ সাইন দেয় তবে পেয়ারটিতে সেলিং প্রেসার বেড়ে যাবে। পেয়ারটির জন্য 1.8760 – 1.8740 এরিয়াটা প্রাথমিক সাপোর্ট হিসেবে কাজ করবে এবং এই এরিয়া ব্রেকআউট হলে পরবর্তী সম্ভাব্য টার্গেট হতে পারে 1.8650 এরিয়াটা। পেয়ারটি 1.8650 এরিয়াট সাকসেসফুললি ব্রেকআউট হলে পেয়ারটিতে সেলিং প্রেসার আরো বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সম্ভাব্য টার্গেত হতে পারে 1.8430 এবং তার পরবর্তী 1.8130 ।
অপরদিকে পেয়ারটির জন্য 1.8880 – 1.8930 এরিয়াটা শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করবে। যদি পেয়ারটি পুনরায় আপওয়ার্ড চ্যানেলের বটম লাইন ব্রেক করে আপ হয় তবে সেক্ষেত্রে পেয়ারটির পরবর্তী সম্ভাব্য টার্গেট হতে পারে 1.9120 – 1.9160 পর্যন্ত ।।

[ATTACH=CONFIG]11298[/ATTACH]
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২ টায় পাউন্ডের ইনফ্ল্যাশন রিলেটেড নিউজ পাবলিশড হয়েছে। নিউজগুলো নেগেটিভ মনে হলেও বেশ কিছু নিউজ পূর্বের থেকে ভালো এসেছে। যা কিনা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের ইকোনোমিক্যাল অবস্থান বিচারে মোটামুটি ভালোই বলা যায়। যদিও নিউজ পাবলিশড হবার পরপরই মেজর পেয়ারগুলোতে পাউন্ড অলরেডি বেশ কিছুটা ড্রপ করেছে। আগামীকাল পাউন্ডের রেট ডিসিশন। ব্যাংক রেট আনচেঞ্জড ফোরকাস্ট করা হয়েছে। যেহেতু পূর্বের ব্যাংক রেট মাত্র 0.10% এবং এবারো তা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই, তাই ইনফ্ল্যাশন কিছুটা কম আসলেও তা পাউন্ডে খুব একটা প্রভাব না ফেলে রেট ডিসিশন নিউজকে সামনে রেখে চলমান আপট্রেন্ড আরো কিছুদিন বজায় থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।
[ATTACH=CONFIG]11299[/ATTACH]
অপরদিকে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ০৭টা ৩০মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের লেবার মার্কেট নিউজ পাবলিশড হবে। নতুন সৃষ্ট চাকরীর ফোরকাস্ট নেগেটিভ এবং বেকারত্বের হার বাড়ার সম্ভাবনাও আছে। এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে চাইনিজ ইকোনোমিক্যাল রিপোর্টগুলো নেগেটিভ এসেছে, সেটার নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট ও অস্ট্রেলিয়ান ডলারে পরার সম্ভাবনা আছে। যেহেতু মেজর পেয়ারগুলোতে অস্ট্রেলিয়ান ডলার অলরেডি ডাউন ট্রেন্ডে মুভ শুরু করেছে, তাই আশা করা যাচ্ছে মেজর পেয়ারগুলোতে অস্ট্রেলিয়ান ডলার আরো কিছুটা ফল করবে।।
এই রিপোর্ট লেখার সময় GbpAud পেয়ারটি 1.8200 এরিয়ার কাছাকাছি অবস্থান করছে। টেকনিক্যাললি পেয়ারটি সাপোর্ট এরিয়ার কাছাকাছি ওভারসোল্ড অবস্থানে আছে। আশা করা যাচ্ছে পেয়ারটি বর্তমান সাপোর্ট এরিয়া থেকে বাঁধা পেয়ে আপ হবে।
পেয়ারটিতে 1.8200 এর কাছাকাছি এরিয়া থেকে বাই নেওয়া যেতে পারে। 1.8150 - 1.8100 এরিয়াতে স্টপ ধরে প্রাথমিকভাবে 1.8400 - 1.8500 পর্যন্ত টার্গেট করা যেতে পারে।