-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রশ্নে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। গবেষণা ও উন্নয়নে পরস্পরকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশ দুটি। শুক্রবার চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। হোয়াইট হাউস নিজ বিবৃতিতে একে ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
“এই ঐতিহাসিক চুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে প্রযুক্তিগত মাইলফলক অর্জন সম্পর্কিত আমাদের দু্ই রাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছে যা দূর ভবিষ্যতে আমাদের সমন্বিত আর্থিক উন্নতি ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে দৃঢ় করবে।” এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের এক বিবিসি প্রতিবেদন সাবেক গুগল প্রধান এরিক শ্মিডের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, মৌলিক গবেষণার তহবিলের বেলায় “খেই হারিয়ে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র”। শ্মিড বলেছিলেন, “চীন নতুন উদ্ভাবন এবং নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছে। গবেষণা প্রকাশের দৌড়ে চীন কিন্তু আমাদের ধরে ফেলেছে।” সাবেক গুগল প্রধানের ওই বক্তব্য যে মনগড়া নয়, তার প্রমাণ মিলেছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যে। সংস্থাটি জানিয়েছে, মৌলিক গবেষণায় ২০১৮ সালেই যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে পয়লা স্থান নিয়েছে চীন। শ্মিড দাবি করেছিলেন, দৌড়ে এখনও যুক্তরাষ্ট্রে এগিয়ে রয়েছে, তবে খুব দ্রুত ব্যবধান কমছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/879330876.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
ওপেনএআই এর তৈরি ‘ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল’ ‘জিপিটি-৩’ ব্যবহারের বিশেষ অনুমোদন নিয়েছে মাইক্রোসফট। ব্যাপারটি পছন্দ হয়নি ওপেনএআই সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের। মূলত অলাভজনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাইক্রোসফটের চুক্তি করার ব্যাপারটি নিয়েই সমালোচনা করেছেন মাস্ক। বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি লিখেছেন, “এটি দেখে উন্মুক্তের বিপরীতটি মনে হচ্ছে। ওপেনএআই মাইক্রোসফটের কাছে বন্দী হয়ে গেলো।” জিপিটি-৩ ওপেনএ্আইয়ের তৈরি এমন একটি ‘ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল’ যা রক্তমাংসের মানুষের মতোই টেক্সট মেসেজ লিখে দিতে পারে। ওই প্রযুক্তিটি ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বিশেষ লাইসেন্স নিয়েছে মাইক্রোসফট। অথচ ওপেনএআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য লেখা রয়েছে, “ডিজিটাল বুদ্ধিমত্তাকে এমন রাস্তায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাতে মানুষের মানবজাতি হিসেবে উপকার হয়, আর্থিক লাভ সৃষ্টি করার কোনো সীমাবদ্ধতা যাতে না থাকে।”
মঙ্গলবার এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কেভিন স্টক জিপিটি-৩ ব্যবহারের লাইসেন্স নেওয়ার খবর জানান। ওই ব্লগ পোস্টে তিনি লিখেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান “উন্নত এআই সমাধান তৈরি ও সরবরাহ করে তা ভোক্তাদেরকে দিতে এই কারিগরি উদ্ভাবন ব্যবহার করবে।”
স্কট আরও বলেছেন, ওপেনএআইয়ের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেইস প্ল্যাটফর্ম (এপিআই) থেকে জিপিটি-৩ এর প্রবেশাধিকার পাওয়ার ব্যাপারটি আগের মতোই থাকবে। কিন্তু মাস্ক ও অন্যান্যরা এই আশ্বাস বাণীতে ভরসা পাচ্ছেন না। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভবিষ্যত দ্বন্দ্ব এড়ানোর কথা বলে ওপেনএআইয়ের চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছিলেন মাস্ক। কারণ ওই সময়টিতেই মাস্ক নেতৃত্বাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান টেসলা এআই উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া শুরু করেছিলো। সাম্প্রতিক চুক্তির কারণে জিপিটি-৩ এর ঠিক কতোটুকু মাইক্রোসফট ব্যবহার করতে পারবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বরাবরই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে কড়া সমালোচকদের মধ্যে মাস্ক অন্যতম। এ খাতে তার নিজেরও বিনিয়োগ রয়েছে। তবুও কোনো পদক্ষেপ ভুল মনে হলে, তা নিয়ে সমালোচনা করতে দ্বিধা করেন না তিনি। ২০১৭ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে “অস্তিত্বের হুমকি” বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন মাস্ক। আর একবার ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জ্ঞানকে “সীমিত” বলেছিলেন তিনি। এআই প্রশ্নে মাস্ক দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন বিল গেটসের সঙ্গেও। মাস্কের ভাষ্যে, এআই প্রযুক্তির বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ হবে। এ ব্যাপারে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন গেটস। গেটসের ভাষ্যে, “যে ধরনের নিয়ন্ত্রণ সমস্যা নিয়ে মাস্ক উদ্বিগ্ন, তা কিন্তু এমন কিছু নয় যা খুব শীঘ্রই দেখতে পাবে মানুষ। এই জায়গাটিতেই ইলন আর আমার মতপার্থক্য। আমাদের এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, আবার একটা সময়ে যে এরকম পরিস্থিতি সামনে আসতে পারে, সে সত্যটি উদাসীনের মতো এড়িয়ে যাওয়ারও কিছু নেই।”
[ATTACH=CONFIG]12381[/ATTACH]
-
স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে ইলন মাস্ক- বিশ্বের শীর্ষ কয়েকজন বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এটি একসময় হয়তো মানব প্রজাতির জন্য একটি হুমকি হয়ে উঠতে পারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদেরকে (মানব সম্প্রদায়কে) ধ্বংস করে দিতে পারে। কিন্তু নতুন একটি বইতে বলা হচ্ছে, রোবট আসলে নিজে থেকে সচেতন হয়ে উঠছে না বা তাদের মানুষ প্রভুর বিরুদ্ধে কোন মনোভাব তৈরি করছে না, যেটি মানুষের জন্য ভয়ের কারণ হতে পারে। কিন্তু আসলে এসব যন্ত্রের জন্য নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে এগুলো এতোটাই দক্ষ হয়ে উঠছে যে, হয়তো দুর্ঘটনাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের ভুল কোন কাজে লাগানোর মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/355414673.jpg[/IMG]
-
শিক্ষকতা পেশায় থাকায় এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টার কারণে এ আই সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আমার আছে। তবে ফরেক্সে এআই এর প্রয়োগ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। কাজেই ফরেক্সে এটি প্রয়োগের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করলে আমরা নতুনরা উপকৃত হবো বলে আমার বিশ্বাস।
-
নাগরিকদের সঙ্গী খুঁজে পেতে সহায়তা করতে আরো বড় অংকের বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। এবার উদ্যোগটিকে আরো কার্যকর করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক ব্যবস্থাতে প্রায় ২ কোটি ডলার অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বছর জাপানে জন্ম নেয়া শিশুর সংখ্যা ৮ লাখ ৬৫ হাজারের কম। এটি দেশটির হিসাবে রেকর্ড নিম্ন জন্মহার। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যতম নিম্ন জন্মহারের দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে জাপান। দেশটিতে ক্রমেই অভ্যন্তরীণ শ্রমশক্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে সরকার নানাভাবে জন্মহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এআই প্রযুক্তির ব্যবহার সেই উদ্যোগের সর্বশেষ প্রচেষ্টা।
জাপানের স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্ত ক সম্বন্ধ (ম্যাচমেকিং) তৈরির একাধিক স্কিম চলমান রয়েছে। কিছু এলাকায় এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সরকার এখন এই প্রকল্পগুলোতেই ভর্তুক্তি দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বছর জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে ২ বিলিয়ন ইয়েন ( ১কোটি ৯০ লাখ ডলার) বরাদ্দ দেবে সরকার। জাপানে এর মধ্যে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচমেকিং প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এদের মধ্যে অনেকে এখন এআই সিস্টেম চালু করেছে, অনেকে চালুর পরিকল্পনা করছে। এতে করে বিদ্যমান স্ট্যান্ডার্ডাইজ ফরমগুলোর আরো সূক্ষ্ণ বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ফরমে আগ্রহীরা তাদের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে থাকেন, যার ভিত্তিতে খুঁজে দেয়া হয় সঙ্গী।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1726505632.jpg[/IMG]
বিদ্যমান ব্যবস্থায় আয় এবং বয়সকে সাধারণত যোগ্যতার মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সীমিত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই সঙ্গী খোঁজার কাজ করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সরকারের নতুন তহবিলের উদ্দেশ্য হলো কর্তৃপক্ষকে আরো ব্যয়বহুল উন্নত সিস্টেমের ব্যবহারে উৎসাহিত করা যেখানে শখ এবং মূল্যবোধের মতো বিষয়গুলো ফরমে যুক্ত করা হবে।এ ব্যাপারে জাপানের একজন মন্ত্রিপরিষদ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা বিশেষত স্থানীয় সরকারগুলোকে এআই ব্যবহার করে ম্যাচমেকিং প্রকল্পগুলো পরিচালনা বা শুরু করার জন্য অনুদান দেয়ার পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, এই সহযোগিতাটি দেশের জন্মহার হ্রাস কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।বিদ্যমান জন্মহারের হিসাবে জাপানের মোট জনসংখ্যা এ শতকের শেষ নাগাদ ৫ কোটি ৩০ লাখেরও নিচে নেমে আসবে। যেখানে ২০১৭ সালে ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ। এটি জাপানের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার হিসাব।
নিজস্ব শ্রমশক্তির ব্যাপক সংকটের কারণে জাপানের নীতি নির্ধারকরা বিভিন্ন দেশ থেকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নেয়ার উদ্যোগ শুরু করেছে। ক্রম সঙ্কোচনমান জনশক্তির জন্য সমাজকল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষার বিস্তৃত ব্যয় সঙ্কুলান করতে হিমশিম খাচ্ছে জাপান।তবে ম্যাচমেকিং প্রকল্পে টাকা ঢাললেই জাপানে জন্মহার বাড়বে এমনটি মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
জাপানের টেম্পল ইউনিভার্সিটির সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও চিকিত্সা নৃবিজ্ঞানী সাচিকো হরিগুচি মনে করেন, এআই ম্যাচমেকিংকে ভর্তুকি দেয়ার চেয়ে সরকারের পক্ষে জন্মহার বাড়ানোর আরো ভালো উপায় হলো তরুণ-তরুণীদের বেতন বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কম আয় এবং তরুণ জাপানিদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার মধ্যে একটি সংযোগ রয়েছে। ড. হরিগুচি বলেন, তরুণ-তরুণীরা যদি ডেটিংয়ে আগ্রহী না হয় তবে ম্যাচমেকিং সম্ভবত অকার্যকর হবে। যদি আমরা প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারি তবে সাশ্রয়ী মূল্যের এআই রোবটগুলো পরিবারের বা শিশুর যত্নের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। তাহলে এই উদ্যোগটা আরো কার্যকর হতে পারে।
-
অত্যাধুনিক চিপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ফাইভজিতে আগামী দিনগুলোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পথে হাঁটছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। উচ্চ প্রযুক্তির সেমিকন্ডাক্টর, অপারেটিং সিস্টেমস, কম্পিউটার প্রসেসর এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। এ খাতগুলোতে এরই মধ্যে বেশ শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ৫৬ শতাংশ এলাকা ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে বেইজিংয়ের। দেশব্যাপী গবেষণা ও উন্নয়নে (আরঅ্যান্ডডি) আগামী পাঁচ বছরে বার্ষিক ব্যয় ৭ শতাংশ করে বাড়ানো হচ্ছে। মহামারীর মধ্যে সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতির বিষয়টি মাথায় রেখে কম্পিউটার চিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি উপাদানে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাচ্ছে চীন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/317981810.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আমাদের ক্রমশ ধরে ফেলছে। এআই অ্যালগরিদম এখন আমাদের হরহামেশাই দাবা, পোকার কিংবা মাল্টিপ্লেয়ার ভিডিও গেমে হারিয়ে দিচ্ছে। মানুষের এমন সব ছবি তৈরি করছে, যা প্রকৃত ছবির সঙ্গে পার্থক্য বের করা কঠিন। সংবাদ লেখার পাশাপাশি এআই প্রোগ্রাম এখন ভালোবাসার গল্প লিখছে। অনেক তরুণ চালকের চেয়ে ভালো গাড়ি চালাতে পারছে। এআই যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তাতে মানুষের জন্য যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন উল্টোটা। তাঁদের মতে, এআইয়ের পক্ষে সাধারণ মানুষের সমকক্ষ হয়ে ওঠা এখনই সম্ভব নয়। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিখুঁত হয়ে ওঠেনি। এর উদাহরণ হিসেবে ‘ওবোট’ নামের একটি প্রোগ্রামের কথা বলা যায়।সায়েন্স টাইমসে সাংবাদিক ক্যারেন ব্রাউন ওবোট সম্পর্কে লিখেছেন, এআই চালিত স্মার্টফোন অ্যাপ ওবোটের লক্ষ্য হচ্ছে কম খরচে কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া। সংলাপ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীকে মানসিক আচরণের সাধারণ পদ্ধতিগুলো শেখাতে পারে এটি। তবে অনেক মনোবিদ সন্দিগ্ধ যে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগে যে আন্তসংযোগ ঘটে, সে ধরনের অনুভূতি কি এআই প্রোগ্রাম কখনো দিতে পারে।
[ATTACH=CONFIG]14721[/ATTACH]
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে উদ্ভাবকের স্বীকৃতি দেয়া প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠিত আইনকেই যথেষ্ট মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। মার্কিন ফেডারেল আদালতের এক রায়ে বলা হয়, এআই নিজস্ব উদ্ভাবনের জন্য পেটেন্ট দাবি করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচারক লিওনি ব্রিকেমা চলতি সপ্তাহে এক রায়ে লেখেন, বিদ্যমান আইনে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবক হিসেবে এআই কোনো পেটেন্টের আবেদন করতে পারবে না। আর্টিফিশিয়াল ইনভেন্টর প্রজেক্ট নামে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আওতায় মামলাটি উত্থাপন করেছেন স্টিফেন থ্যালার। নতুন ধরনের একটি ফ্ল্যাশিং লাইট ও পানীয়ের কন্টেইনারের উদ্ভাবক হিসেবে দাবুস নামে এক এআইয়ের নামে পেটেন্টের আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু ইউএস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস তাতে অস্বীকৃতি জানানোয় ফেডারেল সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা করেন থ্যালার। এআই সিস্টেমকে উদ্ভাবকের স্বীকৃতি দেয়া প্রসঙ্গে মার্কিন আদালতের বিচারক লিওনি ব্রিকেমা বলেন, হয়তো এমন একটা সময় আসবে যখন উদ্ভাবকের সংজ্ঞা হিসেবে সবার কাছে যেটা গ্রহণযোগ্য, সেই পর্যায়ে পৌঁছে যাবে এআই সিস্টেমগুলো। কিন্তু এখনো ওই সময় আসেনি। আর যদি ওই সময় আসে, তবে সেক্ষেত্রে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা আদৌ পেটেন্ট আইনের পরিধি বাড়াতে চায় কিনা।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1400839993.jpg[/IMG]
-
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) লড়াইয়ে চীনের কাছে হেরে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; উদীয়মান সাইবার সক্ষমতায় অগ্রগতির উপর ভর করে বৈশ্বিক আধিপত্য বিস্তারের পথে রয়েছে চীন-- এমন মন্তব্য করেছেন পেন্টাগনের এক সাবেক কর্মকর্তা। এআই প্রযুক্তি খাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীনের থেকে পিছিয়ে পড়েছে বলে ওই মন্তব্য করেছেন পেন্টাগনের সাবেক চিফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিকোলাস চিলিয়ান। সম্প্রতি অর্থনীতিবিষয়ক দৈনিক ফাইন্যানশিয়াল টাইমসের কাছে ওই মন্তব্য করেন তিনি। মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রযুক্তিগত রূপান্তরের ধীর গতির প্রতিবাদে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়া পেন্টাগনের প্রথম চিফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তিনি। ওই খাতে যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যর্থতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন চিলিয়ান। ফাইন্যানশিয়াল টাইমসকে চিলিয়ান বলেন, “১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে চীনের বিপরীতে প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ের কোনো সুযোগ নেই আমাদের। যা হওয়ার হয়ে গেছে, আমার মতে, সব শেষ ইতোমধ্যেই ।” এক্ষেত্রে “সশস্ত্র যুদ্ধ বাঁধবে কি না” সেই প্রশ্ন কম গুরত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন চিলিয়ান। ভূরাজনীতি থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম-- চীন ভবিষ্যত পৃথিবীর সবখাতেই নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এআই প্রযুক্তি খাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে গুগলের অনীহা এবং এআই নৈতিকতা প্রশ্নে লম্বা বিতর্কের সমালোচনা করেন চিলিয়ান। চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে বাধ্যগত এবং নৈতিকতার প্রশ্ন বিবেচনায় না নিয়ে এআই খাতে বিপুর পরিমাণ বিনিয়োগ করছে-- ফাইন্যানশিয়াল টাইমসের কাছে বলেছেন তিনি। এআই, কৃত্রিম জীববিজ্ঞান ও জেনেটিক্সের মতো উদীয়মান প্রযুক্তি খাতগুলোতে কম-বেশি এক দশক সময়ের মধ্যে চীন একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে-- পশ্চিমা গোয়েন্দারা এমনটা আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1500969688.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
চলতি বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) বৈশ্বিক ব্যয় ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ৪৩ হাজার ২৮০ কোটি ডলার। এ ব্যয়ের মধ্যে থাকছে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও সার্ভিসেস ব্যয়। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৩ সালে এআই খাতে ব্যয় ৫০ হাজার কোটি ডলারের সীমা অতিক্রম করবে। আইডিসির ওয়ার্ল্ডওয়াইড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) অ্যান্ড অটোমেশন রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিতু জ্যোতি বলেন, উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে দাঁড়িয়েছে এআই। মানুষের কাজ সহজসাধ্য করার ক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পরিকল্পনা ও পূর্বাভাস দেয়া সহজতর করার মাধ্যমে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নেয়া সহজতর করছে। আইডিসির পূর্বাভাসে বলা হয়, এআইয়ের তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে এআই সফটওয়্যারে চলতি বছর ব্যয় কিছুটা কমবে। অন্যদিকে এআই হার্ডওয়্যার ও সার্ভিসেস ব্যয় দ্রুত বাড়বে। ২০২৩ সালেও এ প্রবণতা বহাল থাকবে। সর্বোপরি এআই সার্ভিসেস সেগমেন্টে আগামী পাঁচ বছর ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। এ সেগমেন্টে আগামী পাঁচ বছরের সম্মিলিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার বা সিএজিআর থাকবে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে এআই হার্ডওয়্যারে একই সময়ে সিএজিআর থাকবে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ।
২০২১ সালের প্রথমার্ধে এআই সফটওয়্যার ক্যাটাগরিতে মোট ব্যয়ের ৪৭ শতাংশ ছিল এআই অ্যাপ্লিকেশনসে। তারপর এআই সিস্টেম ইনফ্রাস্ট্রাকচার সফটওয়্যারে ব্যয় হয়েছে ৩৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে আগামী পাঁচ বছরে এআই প্লাটফর্মসে সিএজিআর থাকবে সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। শ্লথগতির সেগমেন্ট হিসেবে থাকবে এআই সিস্টেম ইনফ্রাস্ট্রাকচার সফটওয়্যার। আগামী পাঁচ বছরে এ সেগমেন্টের সিএজিআর থাকবে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।
[ATTACH=CONFIG]16812[/ATTACH]
এআই সার্ভিসেস ক্যাটাগরিতে ২০২১ সালের প্রথমার্ধে সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৪ শতাংশ বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি দেখেছে এআই আইটি সার্ভিসেস। এতে বৈশ্বিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে এ খাতে ব্যয় ২২ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আইডিসির পূর্বাভাস, এআই বিজনেস সার্ভিসেস খাতে পরবর্তী পাঁচ বছরের সিএজিআর থাকবে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে এআই সার্ভিসেস ক্যাটাগরিতে ব্যয় দাঁড়াবে ৫ হাজার ২৬০ কোটি ডলার।
২০২১ সালের প্রথমার্ধে এআই হার্ডওয়্যার ক্যাটাগরির বাজার হিস্যা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২২ সালে এ সেগমেন্টের বাজার হিস্যা ৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস আইডিসির। তাতে এ সেগমেন্টে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হবে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। গত বছরের প্রথমার্ধে এআই সার্ভারের চেয়ে এআই স্টোরেজ শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে ২০২২ সালে ভিন্ন চিত্র দেখা যাবে; এআই সার্ভারে প্রবৃদ্ধি হবে ২৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং এআই স্টোরেজের প্রবৃদ্ধি হবে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এআই হার্ডওয়্যার ক্যাটাগরিতে মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ যাবে এআই সার্ভারে।