1 Attachment(s)
ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন
চীন, ভারত, ভিয়েতনামের মতো বেশ কয়েকটি দেশের মুদ্রা দর হারাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। বিশ্লেষকরা বলছেন বাণিজ্য প্রতিযোগী এসব দেশের মুদ্রার বড় ধরণের অবমূল্যায়নে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে ডলারের দর সমন্বয়ের পরামর্শ তাদের। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক অবমূল্যায়ন হলে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার অবমূল্যায়ন ঘটালেও লাগাম নিজের হাতে রেখেছে। এজন্য ধীরলয়ে ৫ পয়সা করে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
[ATTACH]9488[/ATTACH]
সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যের সঙ্গে খুচরা বাজারে ডলারের দর এক-দেড় টাকা পর্যন্ত ব্যবধান থাকে। বর্তমানে এ ব্যবধান ৩ টাকা ছাড়িয়েছে। ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর থেকে কার্ব মার্কেটে ডলারের চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ টাকার পরিবর্তে ডলার সংরক্ষণের প্রবণতা বৃদ্ধি ও দেশ থেকে নগদ ডলার পাচারের কারণেই এ তারতম্য তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময়মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। যদিও এ দামে দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানেই ডলার পাওয়া যায়নি। আন্তঃব্যাংক লেনদেনেই ডলারের দর উঠেছে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা। এ দামেই রেমিট্যান্স হাউজ মানিগ্রাম ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে ডলার কিনেছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।