-
টেক নিউজ
বিশেষ পদক্ষেপ ফেসবুক টুইটার ও লিঙ্কডইনের
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে অনলাইন-অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন আফগানরা। এমন পরিস্থিতিতে অন্তত নিজস্ব প্লাটফর্মে আফগানদের নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও লিঙ্কডইনের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। খবর রয়টার্স।
সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক বলছে, তালেবান রোষ থেকে অনলাইনে আফগানদের বাঁচাতে দেশটিতে অ্যাকাউন্টের বন্ধু তালিকা দেখা এবং সার্চ করার ফিচার বন্ধ করা হয়েছে।
ফেসবুকের নিরাপত্তা নীতিমালা বিষয়ক প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইশার গত বৃহস্পতিবার জানান, আফগানিস্তানের ব্যবহারকারীরা যেন দ্রুত তাদের অ্যাকাউন্ট লক করে ফেলতে পারেন, সেজন্য ওয়ান-ক্লিক টুল চালু করেছি আমরা। প্রোফাইল যখন লক থাকবে, বন্ধু নন এমন কেউ ওই অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচার ডাউনলোড বা শেয়ার করতে পারবে না এবং ওই অ্যাকাউন্টের টাইমলাইনের পোস্ট দেখতে পারবে না।
প্রায় একই রকমের পদক্ষেপ দিয়েছে পেশাজীবীদের নেটওয়ার্কিং সাইট লিঙ্কডইন। আফগানিস্তানের ব্যবহারকারীদের সব ‘কানেকশন’ লুকিয়ে ফেলেছে সাইটটি।
অন্যদিকে, মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার বলছে, আফগানিস্তান পরিস্থিতির খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সাহায্য-সহযোগিতা চাইতেও দেশটির মানুষদের টুইটার ব্যবহার করতে দেখছি আমরা।
বণিক বার্তা
-
গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ
সম্প্রতি মাইক্রোসফট করপোরেশনের আজুরে ক্লাউড প্লাটফর্মের প্রধান ডাটাবেজে একটি বড় ত্রুটির সন্ধান পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উইজের গবেষকরা। এ ত্রুটির ফলে ঝুঁকিতে থাকা গ্রাহকদের দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম এ ত্রুটির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, উইজ নামের একটি ক্লাউড সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা চলতি মাসে এ ত্রুটির সন্ধান পান। যেখানে তারা সহজেই কসমস ডিবি ডাটাবেজ সিস্টেমে থাকা ব্যবহারকারীদের প্রাথমিক ডিজিটাল কিগুলোতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিলেন। এর মাধ্যমে তারা লাখ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি ও পরিবর্তন করতে পারতেন।
উইজের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ার পর মাইক্রোসফট দ্রুত এ ত্রুটি সংশোধন করে। এ ত্রুটির ফলে যেকোনো কসমস ব্যবহারকারী অন্যদের সংরক্ষিত তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের সুযোগ পেতেন। এরপর মাইক্রোসফট তাদের ৩ হাজার ৩০০ ব্যবহারকারীকে ডিজিটাল কি পরিবর্তনের জন্য অবহিত করেন।
সম্প্রতি এক ব্লগপোস্টে মাইক্রোসফট জানায়, সপ্তাহব্যাপী গবেষণা পরিচালনার সময় যেসব ব্যবহারকারী কসমস ক্লাউড সার্ভারে প্রবেশ করেছেন, তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকদের তথ্য চুরিতে প্রতিষ্ঠানটি হামলাকারীদের এ ত্রুটি ব্যবহার-সংক্রান্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি বলেও জানিয়েছে।
মাইক্রোসফট আরো জানায়, তদন্তের মাধ্যমে আমরা সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের গবেষক ব্যতীত অন্য কারোর অনুপ্রবেশের প্রমাণ পাইনি। পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রমের কারণে যেসব গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ত্রুটি শনাক্তের বিষয়টি উইজের কৌশল হতে পারে বলেও জানায় মার্কিন এ প্রযুক্তি জায়ান্ট।
বণিক বার্তা
-
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারে নিরাপত্তা ঝুঁকি
যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তারা ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার পান। ব্রাউজারটি পুরনো ও আউটডেটেড হওয়ায় তা ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীর ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে হ্যাকাররা। এ পরিস্থিতি আমলে নিয়ে মাইক্রোসফট নিজেই জানাচ্ছে, ব্যবহারকারীরা যেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ডিলিট করে গুগল ক্রোম বা মাইক্রোসফট এজ ব্যবহার করে।
২৫ বছর সচল থাকার পর সম্প্রতি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বন্ধ ঘোষণা করে মাইক্রোসফট। সংস্থার নতুন ব্রাউজার ‘এজ’ এরই মধ্যে সে জায়গা নিয়ে নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যে অন্যতম ছিল এক্সপ্লোরার। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যবহারকারীর সংখ্যার বিচারে তলানিতে ছিল ব্রাউজারটি। মজা করে বলা হতো, ক্রোম-ফায়ারফক্স ডাউনলোড করা ছাড়া এক্সপ্লোরারের আর কোনো কাজ নেই। গুগল ক্রোম, ইউসি ব্রাউজার, ফায়ারফক্স, অপেরার মতো দ্রুত ব্রাউজারগুলোর সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে পুরনো এ ব্রাউজার।
বণিক বার্তা
-
প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারে অবস্থান সংকুচিত হয়েছে স্যামসাংয়ের
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের বাজার সংকুচিত হয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের। বিপরীতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। খবর ইয়োনহাপ নিউজ।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৪০০ ডলারের অধিক দামের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের শেয়ার ১৭ শতাংশ। তার আগের বছর যেখানে স্যামসাংয়ের অংশগ্রহণ ছিল ২২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিমিয়াম স্মার্টফোন সেগমেন্টে যদিও ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তবু স্যামসাংয়ের বাজার শেয়ার কমেছে। ভিয়েতনামে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে স্যামসাংয়ের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। প্রথমার্ধে স্যামসাংয়ের শীর্ষস্থান হুমকিতে পড়লেও জি ফোল্ড৩ ও জি ফ্লিপ৩ মডেলের মাধ্যমে দ্বিতীয়ার্ধে অবস্থান পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের অবস্থান যেখানে সংকুচিত হয়েছে, সেখানে ৫৭ শতাংশ বাজার শেয়ারের মাধ্যমে অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে অ্যাপল। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অ্যাপলের অংশগ্রহণ ছিল যেখানে ৪৮ শতাংশ। প্রিমিয়াম সেগমেন্টে অ্যাপলের বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৪ শতাংশ। ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আইফোন ১২ সিরিজ উন্মোচনের পর থেকেই প্রিমিয়াম সেগমেন্টে ৫০ শতাংশের অধিক শেয়ার নিজেদের করে রাখছে অ্যাপল। বৈশ্বিক উপকরণ স্বল্পতা সত্ত্বেও অ্যাপল তাদের সাপ্লাই চেইন সবল রাখতে সক্ষম হয়েছে। চীন ও ইউরোপের মতো বাজারে হুয়াওয়ের বাজার দুর্বল হওয়ার সুযোগটা গ্রহণ করেছে অ্যাপল।
বণিক বার্তা
-
গুগলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ
ভারতে গুগলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অপারেটিং সিস্টেমের দিক থেকে বাজারের শীর্ষে থাকা গুগল বিপুল অর্থ ব্যবহারের মাধ্যমে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদে অবৈধভাবে আঘাত করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে। দুই বছর ধরে এ তদন্ত চলে আসছিল। খবর রয়টার্স।
কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) তদন্ত বিভাগের জুনের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের অনেক স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড্রয়েডের পুরনো ভার্সন ব্যবহার করে ফোন বিক্রি করত। কিন্তু গুগল প্রতিষ্ঠানগুলোকে এভাবে হ্যান্ডসেট বিক্রির সুযোগে বাধা দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন এ প্রযুক্তি জায়ান্ট জানায়, অ্যান্ড্রয়েড কীভাবে বাজার ব্যবস্থায় আরো প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবনের দ্বার উন্মোচন করেছে সে বিষয়ে তারা সিসিআইয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তবে গুগল এখনো এ তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায়নি বলে এ বিষয়ে অবগত সূত্রে জানা গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে সিসিআই কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে অবগত আরেকটি সূত্র জানায়, চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুনরায় প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করবেন এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে গুগলকে আরেকটি সুযোগ দেবেন। সবকিছু যাচাই-বাছাই শেষে গুগলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। তবে যেকোনো রায়ের বিপরীতে গুগল ভারতের আদালতে আপিল করতে পারবে বলেও জানা গেছে।
ভারত ছাড়াও ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টমাইজড ভার্সন বন্ধের অভিযোগে গুগলকে ১৮ কোটি ডলার জরিমানা করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যান্টিট্রাস্ট রেগুলেটর।
বণিক বার্তা
-
উদীয়মান বাজারে ফাইভজি স্মার্টফোন বিক্রি বেড়েছে ৬.৫%
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে উদীয়মান বাজারগুলোতে ফাইভজি স্মার্টফোন বিক্রি প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ফাইভজি স্মার্টফোন বিক্রি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে অ্যাপলের প্রথম ফাইভজি ফোন আইফোন ১২। এছাড়া অপো, ভিভো, শাওমি ও রিয়েলমির মতো কোম্পানির ফাইভজি ডিভাইস উন্মোচন ভূমিকা রেখেছে। উদীয়মান অর্থনীতি বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ফাইভজি অবকাঠামো শক্তিশালী হওয়ায় সাশ্রয়ী ফাইভজি ফোনের চাহিদা বেড়েছে।
উদীয়মান বাজারে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো তাদের পোর্টফোলিওতে ফাইভজি পণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ প্রথম প্রান্তিকে উদীয়মান বাজারগুলোতে রিয়েলমির বাজার শেয়ার ছিল ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। কিন্তু দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশে। বছরওয়ারি ১৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রান্তিকে রিয়েলমির স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে দেড় কোটি ইউনিট। প্রথমবারের মতো চীনা এ কোম্পানিটি ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত বিশ্বে ফাইভজি যেখানে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর জন্য তা পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ বেশির ভাগ দেশেই এখনো ফোরজি রয়েছে। তবে এ কারণেই আবার এ বাজারগুলোতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। সেজন্য উদীয়মান অর্থনীতিগুলোকে কেন্দ্র করে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফাইভজি নিয়ে প্রতিযোগিতা জোরদার হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ ভারত, যেখানে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফাইভজি স্মার্টফোন বিক্রি প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে বেড়েছে ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বছরের বাকি প্রান্তিকগুলোতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে মনে করছে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও ফাইভজি সম্প্রসারণ বহাল থাকবে। বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি চালু হওয়ার কারণে ২০২২ সালে ফাইভজির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে দেখা দেবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। সাশ্রয়ী ফাইভজি স্মার্টফোন আনার মাধ্যমে বাজার শেয়ার বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো। কোনো কোম্পানিই এ দৌড়ে পিছিয়ে থাকতে আগ্রহী হবে না। শুধু ফোরজি ফোনের বাজারই ধীরে ধীরে সংকুচিত হবে।
বণিক বার্তা
-
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে থ্রিজি নেটওয়ার্ক
এটিঅ্যান্ডটি, ভেরাইজন থেকে শুরু করে টি-মোবাইল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সেলফোন কোম্পানিগুলো তাদের থ্রিজি নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে যাচ্ছে। ২০২২ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কাজ করবে না তাদের থ্রিজি ফোন। আগামী বছর থেকে পুরনো থ্রিজি ফোন থেকে টেক্সট মেসেজ পাঠানো, কল করা এমনকি ৯১১ নম্বরেও জরুরি কল দেয়া যাবে না। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।
পুরনো ফোন বাতিল হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে পারেন বয়স্ক আমেরিকানরা, যারা একই ফোন দীর্ঘ সময় ব্যবহার করে থাকেন। এমনই একজন হচ্ছে কামি গ্রিফিথস, যিনি ২০১৬ সাল থেকে স্যামসাং গ্যালাক্সির একটি থ্রিজি ফোন ব্যবহার করে আসছেন। কমিউনিটি টেক নেটওয়ার্ক নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক তিনি। কয়েকশ ডলার ব্যয় করে তিনি হয়তো নতুন ফাইভজি ফোন ক্রয় করতে পারবেন কিন্তু তিনি তার গ্রাহকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। সানফ্রান্সিসকোর নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ডিজিটাল লিটারেসির বিকাশে কাজ করছে কমিউনিটি টেক নেটওয়ার্ক। প্রতিষ্ঠানটির বয়স্ক কিংবা নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর পক্ষে নতুন ফোন কেনা এবং ফাইভজি ফোন ব্যবহার করা কঠিন ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রিফিথস।
তিনি বলেন, আমাদের সদস্যদের জন্য ফোন পরিবর্তন করা খুবই কঠিন। থ্রিজি ফোন বাতিলের সিদ্ধান্তে তারা খুশি হওয়ার কথা নয়। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর পক্ষে নতুন ফোনে অভ্যস্ত হওয়া কষ্টকর ঠেকে। কোনো ফোন যদি ঠিকমতো কাজ করে, তাহলে তারা সেটা পরিবর্তনে আগ্রহী নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই দশক ধরে সচল থ্রিজি প্রযুক্তি। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে থ্রিজি সেবা চালু করেছিল ভেরাইজন। ২০১০ সালে তারা ফোরজি চালু করে। ২০১৯ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফাইভজি নেটওয়ার্কে প্রবেশ শুরু করে। ফাইভজি নেটওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং পুরনো নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায় অর্থ ব্যয় কমানোর নীতি গ্রহণ করেছে তারা। এ ধারাবাহিকতায় থ্রিজি সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো।
বণিক বার্তা
-
যৌথ চিপ কারখানা স্থাপনে আগ্রহী টিএসএমসি ও সনি
জাপানে একটি চিপ নির্মাণ কারখানা স্থাপনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে টিএসএমসি ও সনি গ্রুপ। এমনকি ৮০ হাজার কোটি ইয়েন বা ৭১৫ কোটি ডলারের বৃহৎ বিনিয়োগ প্রকল্পে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জাপান সরকার। খবর নিক্কেই এশিয়া।
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কুমামাতোতে কারখানাটি স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। সেখানে গাড়ির জন্য সেমিকন্ডাক্টর, ক্যামেরা ইমেজ সেন্সর ও অন্যান্য পণ্য তৈরির কথা রয়েছে। গত বছর থেকে শুরু করোনা মহামারীতে বৈশ্বিক চিপ সংকট তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে গাড়ি শিল্প, স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী থেকে শুরু করে পুরো শিল্প খাতে। মহামারীর তিক্ত অভিজ্ঞতা হজম করে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলো চিপ নির্মাণে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে। কেবল তাইওয়ান বা দক্ষিণ কোরিয়ানির্ভরতা কমিয়ে অনেক দেশই নিজ নিজ দেশে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে।
চিপ নির্মাণ সামগ্রী তৈরিতে জাপানের অংশগ্রহণ থাকলেও বৈশ্বিক চিপ সরবরাহে তাইওয়ানভিত্তিক টিএসএমসি কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক স্যামসাংয়ের কাছে নেতৃত্ব হারিয়েছে। অটো চিপ স্বল্পতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর মতো জাপানের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোও ধুঁকছে। টিএসএমসির সঙ্গে অংশীদারিত্ব তাদের প্রধান এ শিল্প খাতের জন্য উপকার হবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন চিপ কারখানাটিতে উৎপাদন কাজ চালু করতে চায় জোটটি।
এ বিষয়ে সনি ও টিএসএমসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশ্য গত জুলাইয়ে তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি জানিয়েছিল, তারা জাপানে একটি চিপ কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে।
বণিক বার্তা
-
আইফোন ১৩ উৎপাদন কমাচ্ছে অ্যাপল
বিশ্বজুড়ে চলমান চিপ সংকটের কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছিল, তাদের মধ্যে অ্যাপল অন্যতম। চলতি বছরের বাকি দিনগুলোতে নয় কোটি ইউনিট আইফোন ১৩ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার কুপার্টিনোভিত্তি প্রযুক্তি জায়ান্টটি। কিন্তু বিষয় সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র জানায়, চলমান সেমিকন্ডাক্টর-স্বল্পতায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক কোটি ইউনিট কম উৎপাদন করবে অ্যাপল। খবর টেক টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি আইফোন ১৩-এর নয় কোটি ইউনিট ডিভাইস উৎপাদন করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে চিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্রডকম ও টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টের মতো প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে যন্ত্রাংশ সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় অ্যাপল তাদের ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদন কমে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
জুলাইয়ে অ্যাপল তাদের আয় হ্রাসের বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়েছিল। পাশাপাশি চিপ সংকটের কারণে ম্যাকবুক, আইপ্যাডের পাশাপাশি আইফোনের উৎপাদনেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। সে মাসে টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টসও আয় হ্রাসের বিষয়ে জানিয়েছিল। পাশাপাশি বছরের বাকি সময় চিপ সংকট থাকার বিষয়েও পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বণিক বার্তা
-
২০২১ সালের প্রথমার্ধে হ্যাকারদের ৫৯ কোটি ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
২০২১ সালের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় র*্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে আদায়ের পরিমাণও বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে হ্যাকারদের ৫৯ কোটি ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পুরো ২০২০ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে র*্যানসমওয়্যার লেনদেন বেড়েছে ৪২ শতাংশ। গত ১২ বছরের হিসাবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড বলেও জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর এর পরিমাণ শতকোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ট্রেজারি বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক জানায়, বর্তমানে যে ধারা অব্যাহত রয়েছে, সেটি যদি চলমান থাকে, তাহলে ২০২১ সালে র*্যানসমওয়্যার লেনদেনের পরিমাণ গত ১০ বছরের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। সাইবার হামলায় আক্রমণকারীরা কোম্পানি বা ইনস্টিটিউটের নিরাপত্তা বা কম্পিউটার ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়। এরপর সেই তথ্য বা সামগ্রিক ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার জন্য নির্ধারিত অর্থ দাবি করে থাকে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল কির প্রয়োজন হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি মাধ্যমে হ্যাকাররা এ মুক্তিপণ আদায় করে থাকে।
সাইবার হামলার এ তীব্রতা দমনে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে অনলাইনে অর্থের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল সরবরাহকারী, মাংস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও মাইক্রোসফটের এক্সচেঞ্জ সার্ভারে সাইবার হামলা যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন অবকাঠামোর দুর্বল দিকগুলোকে হ্যাকারদের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ফলে হামলাকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে বিপুল অর্থ আদায়ের সুযোগ পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, তদন্তকারীরা ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য অনলাইনে ১৫০টির বেশি ওয়ালেটের সন্ধান পেয়েছে। সেগুলোতে অনুসন্ধানের মাধ্যমে ৫২০ কোটি ডলারের বেশি লেনদেনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিপুল লেনদেন র*্যানসমওয়্যার পেমেন্টের সঙ্গে যুক্ত।
বণিক বার্তা