1 Attachment(s)
বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে লেনদেন কমেছে
বাংলাদেশের দিনদিন ব্যাংকের সংখ্যা ও শাখা বেড়েছে। ব্যাংকিং বুথ, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে সম্প্রসারিত হয়েছে ব্যাংকিং সেবা। অর্থনীতি বড় হওয়ায় ব্যাংকিং লেনদেনও বাড়ার কথা। যদিও এর বিপরীত তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান। তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকগুলোয় অর্থের লেনদেন কমে গেছে। ডিজিটালাইজেশনের নানা উদ্যোগের পরও এখনো দেশের ব্যাংকিং লেনদেনের বড় অংশই হয় চেকের মাধ্যমে। ব্যাংক লেনদেনের অন্য মাধ্যমগুলো হলো ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি), ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট, মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ, পস ও ই-কমার্সে অর্থের লেনদেন করা যায়।
[ATTACH=CONFIG]9384[/ATTACH]
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, কয়েক মাস ধরেই দেশের ব্যাংকিং খাতে সব ধরনের লেনদেন কমেছে। এর মধ্যে মে মাসের তুলনায় জুনে চেক ক্লিয়ারিং কমেছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে লেনদেন কমেছে ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, ডেবিট কার্ডে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে ২৯ দশমিক ২ শতাংশ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম লেনদেন হয়েছে। জুন অর্থবছরের শেষ মাস হওয়ায় এ মাসে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশি হয়। বেড়ে যায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন। সরকারের বড় বড় পেমেন্টও হয় বাজেট সমাপ্তির এ মাসে। জুনের পরের মাসগুলোর হালনাগাদ তথ্য এখনো তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে পরিস্থিতির যে তেমন উন্নতি হয়নি, সে আভাস পাওয়া গেছে। পরের মাসগুলোতেও লেনদেনের এ অবনমন চলছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যাংকাররা।