1 Attachment(s)
মার্কেটে ট্রাম্পের টুইটের প্রভাব!
মার্কিন শেয়ার মার্কেটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা কার্যক্রম ও তার টুইটের কারণে কখনো কখনো উত্থানপতন দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর গত এক বছরে ২,৬০৮টি টুইট করেছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সাতটিরও বেশি। দেখা গেছে, ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি টুইট করেছেন তিনি। আর আকস্মিক টুইটের প্রভারের বিষয়টা বিনিয়োগকারীদের প্রায় সবাই কমবেশি জানেন এবং এসব আকস্মিক মন্তব্য বা টুইটকে কোনোভাবে কাজে লাগান্ যা সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানিটি ফেয়ার নামে একটি ম্যাগাজিন। ভ্যানিটি ফেয়ারের অনুসন্ধানে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের আওতাধীন ‘এসঅ্যান্ডপি ই-মিনিসের’ কিছু শেয়ার ক্রয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। শেয়ারগুলো এমন সময়ে কেনা হয়েছে, যা সন্দেহ করার পক্ষে যথেষ্ট। চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ দুই দেশের অর্থনীতিকেই ক্রমাগত অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলছে। বাণিজ্যযুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধানবিষয়ক যেকোনো ইতিবাচক খবরেই মার্কিন পুঁজিবাজারে কিছুটা উত্থান দেখা যায়। ভ্যানিটি ফেয়ার সম্প্রতি তাদের অনুসন্ধানে দেখতে পায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যস্থতা সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু বলার ঠিক আগে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের কিছু লেনদেন হয়েছে। ভ্যানিটি ফেয়ার তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইনসাইড নলেজের ভিত্তিতে এসব লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
[ATTACH=CONFIG]9383[/ATTACH]
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর লেনদেনের শেষ ১০ মিনিটে এসঅ্যান্ডপি ই-মিনিস সূচকের ৮২ হাজার শেয়ার কিনেছেন একজন ট্রেডার। অথচ এর আগ পর্যন্ত সারা দিনে লেনদেন হয়েছে সূচকটির ২ হাজার ৯৬৯টি শেয়ার। এ শেয়ার ক্রয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই চীন সরকার ঘোষণা দেয়, তারা কিছুসংখ্যক মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়াবে। এ ঘোষণার পর শেয়ারবাজারে আকস্মিক উত্থান ঘটে। একদিনের মধ্যেই সেই ভাগ্যবান শেয়ার ক্রয়কারী ১৯ কোটি ডলার মুনাফা করে ফেলেন।