-
1 Attachment(s)
ট্রেডার ভাইয়েরা সবাই কেমন আছেন!
পাউন্ড গতকালের ট্র্যাজেক্টরির পুনরাবৃত্তি করতে পারে: আবার মেন্ডাটরি জোন এবং বর্তমানের লিকুইডি লেভেলের রেশিও এর মধ্যে রয়েছে, আবার আজকের দিনের ব্যালেন্স রয়েছে এবং মেন্ডাটরি জোনটি সাপোর্ট লেভেল হিসাবে কাজ করছে।রিভার্সেল ট্রেন্ডটি 2330-এর খুব কাছাকাছি হতে পারে। শুধুমাত্র খারাপ ব্যাপারটি হল যে এই লেভেল অপশন চ্যানেলের একটি সর্বোচ্চ সীমানা রয়েছে, সুতরাং এই লেভেলটি ব্রেক করে উপরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দামটি আরও ভাল হবে।
[ATTACH]9022[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে যখন পাউন্ড বেশ টালমাটাল অবস্থায়, হাওয়া একবার এদিক তো আরেকবার ওদিক দোল দিয়েই যাচ্ছে, অনিশ্চয়তা সব জায়গায় দানা বাধছে, এমন সময় যেন ডিনামাইটের সলতেয় আগুন পেল পাউন্ড। এক লাফে গতকালই ডলারের বিপরীতে ২.১% ও ইউরোর বিপরীতে ১.৮% উপরে উঠে গেল এই কারেন্সীটির মার্কেট ভ্যালু!
[ATTACH=CONFIG]9069[/ATTACH]
শুধু তাই নয়, গতকাল এক দিনেই পাউন্ড প্রায় প্রতিটি পেয়ারে এভারেজ ৩০০+ পিপ্স করে মুভ করেছে। একটি পেয়ারে তো ৪০০+ পিপ্সই মুভ করেছে! অকষাৎ এমন মুভ করার কারন কি? আগামীতে কি হতে পারে?
শুধুমাত্র ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়েই গণতন্ত্র চর্চার উর্বর ভুমি হিসেবে পরিচিত খোদ ইংল্যান্ডেই পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন দিতে হয়েছে। তবে তাতেও সমস্যার কোন সুরাহা হয় নি। আদৌ ব্রেক্সিট কি হবে? নাকি যেমন আছে ইউরোপীয় কমিউনিটিতে, তেমনই থাকবে আগামীতেও, এটি নিয়েও টালমাটাল চলছে যখন গোটা পরিস্থিতি, তখন এক ব্রেক্সিট পন্থি হিসেবে পরিচিত থেরেসা মে পদত্যাদ করলেও পুনঃ জয়ী হোন আরেক ব্রেক্সিটপন্থি নেতা বরিস জনসন! ক্ষমতা হাতে নিয়েই জনসন সাহেব প্রকাশ্যে ঘোষনা করেছিলেন, তিনি ব্রেক্সিট ঘটিয়েই ছাড়বেন। যার প্রেক্ষিতে পাউন্ডের বেশ ভাল দরপতন ঘটেছিল। গতকাল হঠাৎ যেন কুম্ভকর্ণের ঘুম থেকে জেগে উঠে পাউন্ড। ধাপ করে একটানা উপরে নিয়ে যায় নিজের প্রাইস ভ্যালু। প্রায় প্রতিটি পেয়ারে পাউন্ড স্ট্রংং পজিশনে ছিল পুরো দিনই। এসবের পিছনে অনেকেই অনেক অভিযোগ করেছেন, কোন নিউজ নেই, তবু কেন এতো মুভ করছে? ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে কিভাবে কি করা যাবে সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে গত শুক্রবার বৃটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যেকার একটি সমঝোতামুলক আলোচনা হয়েছে, যেখানে উভয়ের মাঝে বাণিজ্যিক লেনদেনের সুবিধার জন্য একটি যুগান্তকারী “টানেল” ব্যবস্থার কথায় আলোকপাত করা হয়েছে। যা পাউন্ডকে এক লাফে বেশ ভাল অবস্থায় নিয়ে দাড়িয়েছে। আর তাই পাউন্ড এর পেয়ারগুলো বেশ উপরে উঠতে শুরু করেছে। যদিও এটি ঠিক কতদুরে উঠতে পারে তা নিয়ে এনালিস্টদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।
ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এই বিষয়টিকে অকাজের নয়তো অবাস্তব বলে সাবধান করেছেন। অন্যদিকে Markets.com এর চীফ মার্কেট এনালিস্ট নেইল উইলসন বলেছেন, “পাউন্ডের এই উর্ধ্বগমন এখানেই কিন্ত শেষ নয়। এটি আরও উপরে উঠতে পারে! এখন আমাদের দেখতে হবে যে, এই “টানেল” কি আলোচনার পথকে আরও প্রশস্ত করে দেয়, নাকি আরও সংকুচিত করে ফেলে” ট্রেড আইডিয়াঃ যেহেতু ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমোঝোতা ভিত্তিক আলোচনার পথ তৈরি হয়েছে, সেহেতু পাউন্ড আপ মুডে থাকবে বলেই আমরা ধরে নিতে পারি। আপট্রেন্ডে যদি বাই এন্ট্রি প্লেস করার মত কোন সম্ভাবনা পাওয়া যায়, তবে এন্ট্রি নিতেই পারেন।
সকলের জন্য শুভকামনা রইল 🙏🙏🙏
-
2 Attachment(s)
হ্যালো প্রিয় ডে-ট্রেডার ভাইয়েরা,
আসুন সংক্ষিপ্তভাবে পাউন্ডের বর্তমান পরিস্থিতিটি বিচার-বিশ্লেষন করি। তাই প্রথমত আমাদের লন্ডন সেশন দিয়ে শুরু করা উচিত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠকের আগে একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে একমত হওয়া সম্ভব হবে না বলার পরে, একটি সম্ভাব্য চুক্তি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। “আমি মনে করি ইইউ কাউন্সিল সভার আগে একটি চুক্তি সন্ধান করার জন্য ব্যবহারিক বা আইনী উপায়ে সময় নেই, তাই আমাদের আরও সময় প্রয়োজন ”, - ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আন্তি রিন বলেছেন। এছাড়াও তিনি যোগ করেছেন যে বৃহস্পতিবারের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ব্রাসেলস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আলোচনা চলতে পারে।
সাধারণভাবে, ব্রেক্সিটকে ঘিরে পরিস্থিতি এখনও মার্কেটে কিছুটা চাপে আছে। আসলে, ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের পরে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।অতএব, আমি খুব বেশি মুভমেন্ট আশা করি না। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলি অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।
মার্কেট ডেল্টা হল
[ATTACH=CONFIG]9086[/ATTACH]
মার্কেট ডেল্টা অনুসারে, এখানে সীমাবদ্ধ ক্রেতা রয়েছে। তদুপরি খুব আক্রমণাত্মক এর আয়তন 1.2520 - 1.2635 এর ভিতরে। এই কারণেই আমি শর্ট ডিলগুলি বন্ধ করে দিয়েছি এবং গতকাল বেশিরভাগই লং ডিল খুলেছিলাম।
[ATTACH=CONFIG]9087[/ATTACH]
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2085569888.jpg[/IMG]
শনিবার মার্কেট বন্ধ থাকলেও*শুধুমাত্র*ব ্রেক্সিটের ভাগ্য নির্ধারণের**জন্য হাউস অফ কমন্সে একটা সেশন হয়েছে, যেখানে*অলিভার লেটইনের আনা এক সংশোধনী প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাশ হওয়ায় এমপিরা ভোট দান থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। ফলে*‘বেন অ্যাক্ট’ ফাঁদে আটকা পড়লো ব্রেক্সিট। তাই*খুব ধোয়াসার মধ্যে আছে ইনভেস্টরা।*যার কারনে*আগামী রোববার ট্রেডিং শুরু হলে অনিশ্চিতভাবে অনেকেই হয়তো লস করতে পারে, সেক্ষেত্রে* আপনাদের করনীয় এখন যা যা তা হল :*১.রানিং ট্রেড গুলো ক্লোজ করে ফেলবেন আজকেই বিশেষ করে জিবিপি আর ইউরো। কারন কি হয় বলা যায় না।*২.যারা স্টপ লস ব্যবহার করেন না স্টপ লস দিয়ে দিন।ব্যালেন্স সেভ করুন।একটা কথা আবারো বলি হাই ভোলাটিলিটির সময় স্টপ লস কিন্তু হিট করে না সুতরাং আপনি রিস্কে থেকেই যাচ্ছেন। তাই ট্রেড বন্ধ করে দেয়াটাই উত্তম বলে আমি মনে করি।মারকেটে থাকুন লাভ এমনি আসবে।বাফেট সাহেবের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলি এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখবেন না তাতে কিছু থাকবে না সুতরাং এক ব্রেক্সিট এ অনেক টাকা কামাবেন এই ভাবনায় সব ডিম এক ঝুড়িতে না রাখার জন্য অনুরোধ রইল।
-
ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের বেধে দেওয়া সময় প্রায় শেষের দিকে, এমন পরিস্থিতিতে কোনো সমাধানে না পৌঁছে উল্টা দেশটির সরকার প্রধানের সাথে বেশিরভাগ সরকারি এবং বেসরকারি সাংসদদের মতপার্থক্য উল্টা দেশটিকে আরো বড় সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন। অলরেডি মার্কেট বন্ধের দিনেও বেশ কিছু লাইভ ওয়েবসাইটে GbpUsd পেয়ারে ৫০ - ১৫০ পিপস ডাউন শো করছে। যদি আজকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নিজের সকল কর্মকান্ড বন্ধ করে সরাসরি সময় বৃদ্ধির এবং ডিলের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে তবে হয়তো পাউন্ডের উপর খুব একটা নেগেটিভ ইফেক্ট পরবেনা। কিন্তু জনসন যদি তার অবস্থানে অনড় থাকেন তবে মার্কেট ওপেনিং এ পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে বেশ কিছুটা ডাউ গ্যাপ দিয়ে মার্কেট ওপেন হতে পারে। পাশাপাশি ইউরো রিলেটেড পেয়ারগুলোতেও কিছুটা নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পরার সম্ভাবনা আছে। আর যদি ব্রেক্সিট নিয়ে আরো ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয় তবে গোল্ড সাপোর্ট পেয়ে আপ হয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল।
মনে রাখা উচিৎ আয়ারল্যান্ডের সাথে পজেটিভ আলোচনার ফলে গত সপ্তাহে পাউন্ড সকল কারেন্সির বিপরীতে সুপার ডুপার বুলিশ মুডে ছিল। ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন সৃষ্ট ঝামেলার যদি সমাধান না হয় তবে পাউন্ড আবারো বেয়ারিশ মুডে চলে যাবে। যেহেতু পাউন্ডের মুভমেন্ট পুরোপুরি ব্রেক্সিট বিষয়ক নিউজ, মিটিং, ডিল বা টুইট কেন্দ্রিক হচ্ছে তাই পাউন্ড রিলেটেড পেয়ারগুলোতে ট্রেড করতে হলে অবশ্যই অবশ্যই ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলোর বিশেষ করে ব্রেক্সিট বিষয়ক সকল কিছুতে ভালো মত আপডেটেড থাকা উচি
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9152[/ATTACH]
অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই পাউন্ডের মেধ্য একটা অস্বাভাবিক মুভমেন্টের শুরু হয়েছে, যার মুল কারন হল ব্রেক্সিট। নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে গতকাল ব্রেক্সিট ইস্যুতে মুখোমুখি হয়েছিল স্পিকার ও বৃটিশ সরকার। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সমোঝোতা করে ফেলেছে ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে। আর সমোঝোতা অনুযায়ী আগামী ৯ দিনের মাঝে ইউনিয়ন ছেড়ে যাবার কথা। কিন্ত তা কার্যকর করতে বৃটিশ সরকারের বিষয়টি বৃটিশ পার্লামেন্টে যাকে হাউজ অব কমন্স বলা হয়, সেখানে উথাপন ও সমন্বয়ক হিসেবে বিলটি পাশ করা আবশ্যক কিন্ত এই বিষয়ে বিলটি উথাপন করার সুযোগই পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। সর্বশেষ প্রস্তাবটি উথাপন করলে হাউজ অব কমন্সের স্পিকার বিষয়টি পুনরাবৃত্তি বলে প্রস্তাবটি খারিজ করে দেন। তবে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর উথাপন করা বিলে বিপক্ষ অপশনেই ভোট পড়ে বেশি! যা এই ব্রেক্সিট ইস্যুকে আরও অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। এখানে উল্লেখ্য, হাউজ অব কমন্সে বিল পাশ না হলে ব্রেক্সিট কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। এমন পরিস্থিতিতে পাউন্ড নিয়ে ট্রেড করা যে সত্যি রিস্কি তা বুঝতে আপনাকে ফান্ডামেন্টাল বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। সমসাময়িক বিষয়ে একটু চোখ বুলালেই অনেক কিছু পরিস্কার হতে পারবেন বলেই আশা রাখি।
-
1 Attachment(s)
ফরেক্স মার্কেটে যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড করে থাকেন, তবে সম্ভবত আপনার সবচেয়ে লাভের এবং লসের ট্রেডটি পাউন্ডের কোন পেয়ারের। হ্যাঁ, পাউন্ড হল সবচেয়ে ভোলাটাইল কারেন্সিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। ঐতিহাসিক ভাবেও পাউড কারেন্সিটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থান দখল করে আছে। ফরেক্স ট্রেড করতে হলে শুধু প্রাইস কোনদিকে বাড়ছে বা কমছে তা জানাই শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, সাথে সাথে আপনি যে দুটি কারেন্সি বা মুদ্রা নিয়ে ট্রেড করছেন, সেগুলো সম্পর্কে জানাও বেশ জরুরী। পৃথিবীতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মুদ্রা হচ্ছে ব্রিটিশ পাউন্ড। ব্রিটিশ পাউন্ডকে “পাউন্ড স্টারলিং” ও বলা হয়। পাউন্ড বিশ্বের চতূর্থ সর্বোচ্চ ট্রেড হওয়া মুদ্রা এবং তৃতীয় বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি। এর পূর্ণরুপ Great Britain Pound বা সংক্ষেপে GBP নামে পরিচিত। পাউন্ড সংশ্লিষ্ট কারেন্সি পেয়ারগুলোকে আমরা GBP/XXX অথবা XXX/GBP এভাবে দেখতে পাই।
[ATTACH=CONFIG]9640[/ATTACH]
অর্থনীতির ইতিহাসে পাউন্ডের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। একটা সময় ছিলো যখন পাউন্ডই ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা। কিন্তু বর্তমান মার্কেটের আন্তর্জাতিক ট্রেড এবং অ্যাকাউন্ট বিবেচনায় পাউন্ডের সেই অবস্থান দখল করেছে মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এবং ব্রিটিশ সম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ার ফলশ্রুতিতে ১৯৪০ সালে পাউন্ড তার শ্রেষ্ঠত্ব হারায়। এরপর ধাপে ধাপে পাউন্ড বিভিন্ন সময় অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পড়ে।হেজ ফান্ড এবং কারেন্সি এক্সচেঞ্জের ইতিহাসেও পাউন্ড গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে। ১৯৯০ সালে বৃটেন ইউরোপিয়ান এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজমে যোগ দেয় এই প্রত্যাশায় যে এটি এক্সচেঞ্জ রেটের সমস্ত অনিশ্চয়তা দূর করতে সক্ষম হবে এবং একটি মাত্র কারেন্সি ব্যবহারের পথ সুগম করবে। দুর্ভাগ্যবশত এই পদ্ধতির মাধ্যমে আশানুরূপ সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়নি এবং পাউন্ড বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মুখে পড়ে। এ সময়ে বিখ্যাত কারেন্সি বিশেষজ্ঞ জর্জ সরোস বলেন যে পাউন্ডের এই রেট টিকবে না এবং অনেকেই তখন বিপুলভাবে পাউন্ড শর্ট করেন। এবং পাউন্ডও ইতিমধ্যে এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসে যা Black Wednesday নামে পরিচিত। জর্জ সরোস একাই ১ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমান লাভ করেন সেই ঘটনার কারণে। সম্প্রতি ব্রেক্সিটের কারনেও পাউন্ড বিপুলভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।ফরেক্স মার্কেটের সকল গুরুত্বপূর্ণ কারেন্সির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তেমনি পাউন্ড মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক - ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মাধ্যমে। মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রন সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডও সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির হার ২% এ বজায় রাখতে।যে বিষয়গুলো পাউন্ডকে প্রভাবিত করেযেই সাধারন অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ডলারকে প্রভাবিত করে, সেগুলোর বেশিরভাগই অন্যান্য কারেন্সিগুলোকেও প্রভাবিত করে। পাউন্ডও এর ব্যাতিক্রম নয়। ট্রেডিংয়ের জন্য ট্রেডাররা পাউন্ডের অর্থনৈতিক ডাটা বা রিপোর্টগুলকে খুব গুরুত্বের সাথে নেয়। সুদের হার বা ইন্টারেস্ট রেটের পরিবর্তন, জিডিপি, রিটেইল সেলস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন, মুদ্রাস্ফিতি এবং ট্রেড ব্যালেন্স রিপোর্টগুলো এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়। এছাড়া Employment রিপোর্টগুলো যেমন কি পরিমান নতুন চাকরী হচ্ছে, বেকারত্বের হার ইত্যাদি রিপোর্টগুলোও মার্কেটে প্রভাব ফেলে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্য মার্কেটে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। পাউন্ড ট্রেডিং করার সময় এ সকল বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।রিজার্ভ কারেন্সির দিক থেকে পাউন্ডের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বর্তমানেও বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী কারেন্সি হিসেবে পাউন্ড মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। জনসংখ্যা এবং আকারের দিক থেকে খুব বড় না হলেও ব্রিটেন বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর একটি এবং বিশ্ব নেতৃত্বের দিক থেকেও অন্যতম। ভোলাটাইল কারেন্সি হিসেবে পরিচিত হলেও ডলারের শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে পাউন্ডের অবস্থান নিঃসন্দেহে সুদৃঢ়।
-
1 Attachment(s)
[attach=config]9650[/attach]
gbp/usd পেয়ারটিতে 1.3512 লেভেল থেকে ঘুরে দাড়িয়েছে এবং সেখান থেকে মার্কেট ট্রেন্ড নিম্নমুখী ধারবাহিকতা বজায় রয়েছে। বর্তমানে ওভারসোল্ড মার্কেট পরিস্থিতিতে ট্রেন্ডটি 1.2939 থেকে 1.3039 এর ভিতর সাপোর্ট জোন স্পর্শ করেছে। ট্রেন্ড মুভমেন্ট এখন দুর্বল, কিন্তু বাউন্স হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে 1.3101 লেভেলটিকে লক্ষ্য করে এগিয়ে যাবে। পেয়ারটির সাপ্তাহিক পিভট পয়েন্ট: Wr3 - 1.3654, wr2 - 1.3526 ও wr1 - 1.3206। এছাড়া সাপ্তাহিক সাপোর্ট - 1.3091 ws1 - 1.2763 ws2 - 1.2640 ws3 - 1.2325 ট্রেডিংয়ের বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সেরা ট্রেডিং কৌশল হলো অপেক্ষাকৃত বড় সময়সীমার ভিত্তিতে ট্রেড করা এবং সে অনুযায়ী প্রবণতা এখন ঊর্ধ্বমুখী। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় নিম্নমুখী মুভমেন্টগুলোকে লোকাল কারেকশন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রবণতাকে ঊর্ধ্বমুখী থেকে নিম্নমুখী হওয়ার জন্য 1.2756 লেভেল স্পষ্টভাবে ভেদ করে প্রবণতাকে নিম্নমুখী হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে সাপোর্টের অবস্থান 1.2231 - 1.2224 এবং টেকনিক্যাল রেসিস্ট্যান্সের অবস্থান 1.3509।
-
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও দেখেছিলাম, ট্রাম্পের মত প্রার্থি যিনি কিনা সকল জরিপেই পিছিয়ে ছিলেন, তিনিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর মার্কেট কিরকম গতি পেয়ে গিয়েছিল। এবারও এর ব্যত্যয় না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। সবার জন্য শুভকামনা রইল। সবাই ভাল থাকুন, এই কামনা রইল।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9771[/ATTACH]
GBP/USD পেয়ারটির*প্রাইস গত দু’দিন ধরে কমছে।*আজ মার্কেটে যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর এবং ফেড নীতিনির্ধারকদের মন্তব্য।*আজকের ট্রেডিং সেশনে পাউন্ড/ডলার পেয়ারটি ১.৩০৯০ প্রাইসে ওপেন হয়েছিল। বর্তমানে পেয়ারটির প্রাইস বেড়ে ১.৩১০০ এর কাছাকাছি অবস্থান করছে।*যুক্তরাজ্যে Halifax PMI রিপোর্ট প্রত্যাশিত লেভেলের উপরে আসার কারণে GBPUSD পেয়ারটি রিকভারের চেষ্টা করছে। বর্তমানে ট্রেডারদের মনোযোগ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর কার্নির মন্তব্যের দিকে। যেহেতু জানুয়ারির শেষের দিকে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গর্ভনর পজিটিভ আলোচনা করবেন। যার ফলে পেয়ারটির প্রাইস বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়াও আজ ফেডারেল রিজার্ভের ভাইস চেয়ারম্যান রিচার্ড ক্লারিদার কনফারেন্স রয়েছে। কনফারেন্সে রিচার্ড ক্লারিদা পজিটিভ মন্তব্য করলে ইউরো বিপরীতে ডলারের প্রাইস বাড়তে পারে।