-
1 Attachment(s)
‘কোভিশিল্ড’ টিকায় আজীবন সুরক্ষা: গবেষণা
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকা নিলে আজীবন করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা।
[ATTACH]14928[/ATTACH]
শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিজ্ঞান জার্নাল নেচারে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, এই টিকা অ্যান্টিবডি তৈরি ছাড়াও ‘সার্চ-অ্যান্ড-ডেসট্রয় টি-সেল’কে প্রস্তুত করে। যাকে শরীরের মধ্যে টি-সেলের ‘প্রশিক্ষণ শিবির’ বলা যেতে পারে। ফলে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও সমানভাবে করবে এই টিকা।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, কোভিশিল্ড টিকা দিলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তা শেষ হওয়ার অনেক পরেও শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলো তৈরি হতে থাকবে। ফলে সম্ভবত এটি আজীবন অব্যাহত থাকবে।
সুইজারল্যান্ডের গবেষক বুখার্ড লুডউইগ জানান, ‘এই সেলুলার প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো থেকে যে টি-কোষগুলো আসে তাদের মধ্যে খুব উচ্চ স্তরের ফিটনেস থাকছে। ফলে ভবিষ্যতে মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এটিই রক্ষা করবে।’
তিনি বলেন ‘এক্ষেত্রে ভাইরাসই আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক বলা যায়। দেহের ‘টি-সেল’ রেসপন্স কীভাবে আরও ভাল করা যায়, সেই নিয়ে আরও প্রচেষ্টার শিক্ষাই দিল করোনা।’
এর আগে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজার এবং মডার্নার মতো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি টিকাগুলোর চেয়েও ‘টি-কোষ’ তৈরিতে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা তৈরি এই কোভিড টিকা আরও বেশি কার্যকর।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা তৈরি করোনাভাইরাসের এই টিকাটি উৎপাদন করছে। এই টিকাটি ‘কোভিশিল্ড’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশে প্রথম থেকেই এই টিকা দেয়া হয়েছে এবং বর্তমানেও এই টিকা দেয়া হচ্ছে।
-
1 Attachment(s)
অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার মতো এত অ্যান্টিবডি নেই অন্য টিকায়
[ATTACH]14984[/ATTACH]
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন তাদের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার মতো এত অ্যান্টিবডি অন্য কোনো টিকাগ্রহণকারীদের দেহে পাওয়া যায়নি।
সোমবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রকাশিত টিকা সংক্রান্ত একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় দেশে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারতে প্রস্তুত করা কোভিশিল্ড দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে আরও কয়েক ধরনের টিকা এ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। টিকাদানের উদ্দেশ্য হলো মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা, যা ভবিষ্যতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এবং আক্রান্ত হলেও রোগের তীব্রতার সম্ভাবনা কমায় বলে আগের গবেষণায় জানা গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে ‘Hematological Parameters and Antibody Titer After Vaccination Against SARS-CoV-2’ শীর্ষক গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন এমন ২০৯ জন এ গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশ নেন।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ এবং অর্ধেকের বেশি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশের আগে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আর অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারী আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন।
তবে এ ধরনের রোগের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকাগ্রহণের পর অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোনো পার্থক্য দেখতে পাননি গবেষকরা। তারা বলেন, ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী টিকাগ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রি ়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের সবার ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ ছিল। এমনকি রক্ত জমাট বাঁধা বা এ ধরনের অন্য কোনো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রি ়া গবেষণার সময়েও দেখা যায়নি।
গবেষণায় পার্শ্বপ্রতিক্রি ়া সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির কোনো সম্পর্কও পাওয়া যায়নি। সার্বিক বিবেচনায় টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যারা আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
এ গবেষণা থেকে বাংলাদেশের জনগণের ওপর টিকা প্রয়োগের পর কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায় বলেও দাবি করেছে গবেষক দল। তবে সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পরিবর্তন এবং টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য টিকার অ্যান্টিবডি তৈরির কার্যক্ষমতা পর্যালোচনার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ সহ-গবেষক হিসেবে প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন।
-
1 Attachment(s)
বঙ্গভ্যাক্সের অ্যানিমেল ট্রায়ালে মিলেছে কার্যকরী অ্যান্টিবডি
[ATTACH]15264[/ATTACH]
দেশীয় ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্সের অ্যানিমেল ট্রায়ালে ইতিবাচক ফল মিলছে। অনুমোদন পেলে নভেম্বরে মানবদেহে ট্রায়ালের প্রত্যাশা গ্লোব বায়োটেকের। তবে বিএমআরসির বিরুদ্ধে উঠেছে অসহযোগিতার অভিযোগ। দেশীয় ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহে প্রয়োগের আগে নৈতিক অনুমদন পেতে বানরের দেহে প্রয়োগের শর্ত বেধে দেয় বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি)। সেই অনুসারে গত ১ আগস্ট থেকে বানরের দেহে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করে সুফল পাওয়ার দাবি করেছে গ্লোব বায়োটেক।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট থেকে আমাদের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। চলবে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ট্রায়াল শেষে অক্টোবরেই বিস্তারিত প্রতিবেদন বিএমআরসিতে জমা দেওয়া হবে। এরপর যদি তারা অনুমোদন দেয়, তাহলে নভেম্বরের শুরুতে আমরা মানবদেহে ট্রায়ালে যেতে পারবো।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদনের জন্য চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি প্রটোকলসহ বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে আবেদন জমা দেয় গ্লোব। বিএমআরসির সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রোটোকল পর্যালোচনা করে প্রায় শতাধিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সংশোধিত প্রোটোকল আবারো জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক। পাঁচ মাস পরে গত ২২ জুন বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে বানর অথবা শিম্পাঞ্জির ওপর টিকার ট্রায়াল সম্পন্ন করার শর্ত জুড়ে দেয় বিএমআরসি।
-
1 Attachment(s)
৫ থেকে ১১ বছরের শিশুরাও পাবে ফাইজারের টিকা
[ATTACH]15348[/ATTACH]
৫ থেকে ১১ বছর বয়সের শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দিতে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের(এফডিএ) কাছে ট্রায়ালের ফলাফল নিয়ে আবেদন জমা দিয়েছে ফাইজার। আগামী মাসের শেষের দিক থেকেই এ টিকা দিতে আমেরিকার ওষুধ সংস্থা আবেদন জানিয়েছে। জার্মানির বায়োএনটেকের সাথে মিলে এ টিকা তৈরি করা হয়েছে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ৫-১১ বছর বয়সীদের এই টিকা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে এ মাসের শেষের দিকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হতে পারে। বিশ্বজুড়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছিল এই সংস্থা।
ফাইজারের তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশ ের, কাছে আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে এফডিএ। কিছুদিন আগে ফাইজার ভ্যাকসিনকে সম্পূর্ণ ছাড়পত্র দিয়েছে এফডিএ। এখন থেকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকেই।
আমেরিকায় ক্রমে বাড়ছে ডেল্টা হানা। স্কুল খুলে দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের কোভিড আক্রান্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে। আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস ও চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের বরাতে এবিসি নিউজ জানায়, গত সপ্তাহেই প্রায় আড়াই লক্ষ শিশুর কোভিড ১৯-পজিটিভ ফলাফল এসেছে।
লাখো শিশু স্কুলে ফিরে যাওয়ার পরপরই করোনায় শিশুদের হার অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে। শিশুরা রেকর্ড গড়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা টেক্সাসে সবচেয়ে বেশি। উল্লেখ্য এর আগে সেখানকার গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট স্কুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নিষিদ্ধ করেছিলেন। করোনার সূত্রপাতের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ মিলিয়ন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি আটজন মার্কিনির মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ হয়েছে। করোনার টিকাদান ব্যাপকহারে কার্যকর করা হলো এই পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছে না বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র: রয়টার্স
-
1 Attachment(s)
ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসছে
[ATTACH]15555[/ATTACH]
কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ২৫ লাখ ডোজ করোনার ফাইজারের টিকা দেশে আসছে। পৃথক তিন চালানে আসবে এসব টিকা। সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯৫০ ডোজ টিকা। এরপর মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১২টায় আসবে ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮০ ডোজ টিকা। এদিন রাত ১১টা ২০ মিনিটে আসবে আরও ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯৫০ ডোজ।
দুদিনে মোট ২৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিএমএসডি ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ১ম দফায় এক লাখ ৬২০ ডোজ এবং ২য় দফায় ১০ লাখ ৩ হাজার ৮৬০ ডোজ এবং ৩য় দফায় আরও ২৫ লাখ ডোজসহ ফাইজারের মোট ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে।
এদিকে ডিসেম্বরের মধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের মাধ্যমে দেশের ২০ ভাগ এবং পর্যায়ক্রমে ৪০ ভাগ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাবাস্থ্য সংস্থা। দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর অনুরোধ জানালে দ্রুতই ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাতে সম্মত হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
-
আগামীকাল থেকে টিকা পাবে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর ৮টি কেন্দ্রে সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজার-বায়োএনটেকের এ টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট আটটি কেন্দ্র থেকে এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে আগামীকাল সোমবার একটি কেন্দ্র উদ্বোধন হবে, পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বাকি সাত কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া দ্রুতই এই কার্যক্রম প্রতিটি জেলায় শুরু করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ওই বয়সসীমা শিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে এসেছে। সেই তালিকা চূড়ান্তকরণের শেষে পাঠানো হয়েছে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে। সেখানে তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ডাটা সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।’
প্রাথমিকভাবে ১২টি কেন্দ্র নির্বাচন করা হলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় আটটি কেন্দ্রকে টিকাদানের জন্য নির্বাচিত করা হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত কোন চারটি স্কুল নির্বাচিত হওয়া থেকে বাদ পড়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে- হার্ডক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, কসমো পলিটন ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ,আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ ব্রিজ স্কুল, স্কলাসটিকা স্কুল, বিএইচ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই এ কার্যক্রম চলবে।